#সুখ_নীড়
#পর্ব-১১
জাফরের মা এত বছর পরে পল্লবকে এ বাড়িতে দেখে খুশিতে যেনো আত্মহারা। তাড়াতাড়ি করে পল্লবের হাত থেকে তার ব্যাগটা টেনে নিলো। পল্লবও জাফরের মায়ের পিছুপিছু দোতলার দিকে চলতে লাগল। কুয়াশার কারণে ফেরীঘাটে খুব জ্যাম থাকায় তাদের পৌঁছাতে রাত এগারোটা বেজে গেছে প্রায়।
এ বাড়িতে কখনো এসে কেউ থাকবে না এটা জানার পরেও খালেক সাহেব তার ছেলেদের জন্য আলাদাভাবে রুম সাজিয়ে রেখেছেন। বড় ছেলে কল্লোল মাত্র একবার এসেছিল এ বাড়িতে। পল্লব সেই তুলনায় বেশিই এসেছে। পল্লব জানে তার রুম কোথায়! খালেক সাহেব তার বাড়িতে যতই মেহমান আসুক না কেনো তাদের রুম কাউকে দেন না। জাফরের মা প্রতিদিন নিজ হাতে রুমটা সাফ করেন। মাঝে মাঝে খুব আফসোস করেন এ নিয়ে। বাবা তার ছেলেদের জন্য কত ব্যবস্থা করে রেখেছে অথচ ছেলেরা মনের ভুলেও এ মুখো হওয়ার কথা ভাবে না। ভাববেই বা কেনো! তাদের মায়ের অট্টালিকা ছেড়ে এই মফস্বলে কারই বা থাকতে মন চাইবে!
ক্লান্ত পল্লব কিছুই খেলো না আর রাতে। আসার পথে ফেরীতে হালকা পাতলা খেয়েছিল। তাই তেমন ক্ষুধাও নেই। এতটা সময় বাসে বসে থাকতে থাকতে তার কোমর ধরে গেছে। সে জাফরের মায়ের থেকে ব্যাগটা নিয়েই ঠাস করে রুমের দরজা লক করে দিলো। কোনোমতে গায়ের গেঞ্জিটা খুলেই বিছানায় শুয়ে পড়ল। বিছানায় শুয়ে পড়তেই তার অনুভব হলো আরো কেউ একজন আছে এ বিছানায়।
আসলে সে ক্লান্তিতে কোনোদিকে ঠিকঠাক না দেখেই হাতের ব্যাগটা ফেলেই তড়িঘড়ি করে বিছানায় শুয়ে পড়ে। বিছানাতে কম্বলের নিচে জয়ীতা আছে এটা সে টেরই পায়নি। ভেবেছে হয়ত কম্বল দলা পাকানো অবস্থায় আছে। কম্বল টেনে নিজের শরীরে নিতে যেয়েই টের পায় কম্বলের তলায় আরো কেউ আছে। সে কিছুটা অবাক হলো।
জয়ীতা মাত্র কিছুক্ষণ আগেই খালেক সাহেবের জন্য অপেক্ষায় থাকতে থাকতে না খেয়েই কখন যেনো ঘুমিয়ে পড়েছে। এরমধ্যে পল্লব এসেছে। সেও কিছু টের পায়নি।
হঠাৎ কেউ তার পাশে শুয়ে কম্বল ধরে টান দিতেই ঘুমের ঘোরে সে ভাবে হয়তো চোর এসেছে। সে ভয়ে চিৎকার করে উঠে। পল্লব মেয়ে মানুষের চিৎকার শুনে ঘাবড়ে যায়। কী করবে কিছু বুঝে শুনে উঠতে না পেরে দ্রুত বাম হাতে জয়ীতার চুলের মুঠি খামচে ধরে ডান হাতে তার মুখটা চেপে ধরল।
জয়ীতা নিজেকে মুক্ত করার জন্য কোনো উপায় না পেয়ে পল্লবের হাতের তালুতে গায়ের সর্বশক্তি দিয়ে কামড় বসিয়ে দিলো। পল্লবও ব্যাথায় ককিয়ে উঠে উহ করে উঠে। দ্রুত জয়ীকে ছেড়ে দিয়ে পাশের টেবিল ল্যাম্পটা জ্বালিয়ে দিলো।
পল্লবের হাতে এমনভাবে কামড় দিয়েছে একদম দাঁতের দাগ দেবে বসে গিয়েছে। সে হাতটা চেপে ধরে অগ্নি বিস্ফোরিত নয়নে পেছনে ফিরে তাকাল। তাকিয়ে সে যেনো গোলকধাঁধায় পড়ে যায় । কাকে দেখছে সে!
ল্যাম্পের আবছা আলোয় পল্লবকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে উঠে জয়ীতা!.
– জয়ীতা দ্রুত রুমের লাইট অন করল। পল্লবকে দেখে তার মাথা এলোমেলো হয়ে যায়। সাথে সাথে সে বুঝে যায় এই কাজ তাহলে খালেক সাহেবের। তিনিই পল্লবকে সাথে করে নিয়ে এসেছেন।
পল্লব এগিয়ে এসে জয়ীকে দু’হাতে চেপে ধরে বলল, তুমি এখানে?
পল্লবের চোখের দিকে চোখ রেখে কিছু বলবে কিন্তু জয়ীতা পারল না। সে খুব ঘাবড়ে গেল।
জয়িতা কোনো কথা বলছে না দেখে সে দুই হাতে তাকে ঝাঁকাতে শুরু করল, তুমি কোথায় ছিলে এতদিন? কোথায় না খুঁজেছি তোমায় পাগলের মতো! হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়িয়েছি আর তুমি এখানে এসে! আমিও কত বড় গাধা একবারের জন্যও কেন ভাবলাম না তুমি বাবার কাছে আসতে পারো!
কথাগুলো বলতে বলতে পল্লবের দু’চোখ ভিজে উঠল। পল্লবের আদ্র চোখদুটি দেখে জয়িতা খানিকটা অবাক হয়ে বলল , তুমি তো চেয়েছিলে তোমার জীবন থেকে আমি সরে যাই। ভয় নেই এখানেও আমি থাকছি না! কাকতালীয়ভাবে আমার নিয়তি এখানে আমাকে টেনে নিয়ে এসেছে। আমি যদি জানতাম তুমি এখানে আসবে তাহলে তুমি আসার আগেই আমি চলে যেতাম।
জয়ীর কন্ঠের দৃঢ়তা দেখে পল্লব তাকে ছেড়ে দিলো।
জয়ীতা কিছুটা পিছু সরে যেয়ে বলল, কেন খুঁজেছ আমাকে? আমিতো তোমাকে খুঁজতে বলিনি। তোমাকে মুক্ত করে দিয়ে আমি চলে এসেছি। তুমি মুক্ত, তুমি স্বাধীন। কত কিছুই তো করেছো আমাকে পিছু ছাড়ানোর জন্য। আর কষ্ট করতে হবে না।
পল্লব একদৃষ্টিতে তার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। কী বলবে ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না। জয়ীর বলা কোনো কথাই তার কানে যাচ্ছে না।
জয়ী কথা বলতে বলতে হঠাৎ খেয়াল করলো পল্লবের হাত বেয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে মেঝেতে। তার মনে পড়ল মাত্র কয়েক মুহূর্ত আগেই সে কি করেছে পল্লবের সাথে। নিজের বোকামির জন্য নিজেকেই থাপড়াতে মন চাচ্ছে তার। সে আর কোনো কথা না বলে দ্রুত ফার্স্ট এইড বক্স আনতে দৌড় দিলো।
পল্লবের হাত থেকে গড়িয়ে গড়িয়ে তখনও বেশ রক্ত ঝরছে। পল্লবের এতক্ষনে হাতের ব্যাথার কথা মনে হলো।
জয়ীতা পল্লবের হাতটা নিজের কোলের উপরে নিয়ে ক্ষতস্থানে এন্টিসেপটিক লাগিয়ে বেঁধে দিলো। নিজের এমন বোকামির জন্য সে পল্লবের কাছে বারবার স্যরি বলছে।
পল্লব কপট রাগ দেখিয়ে বলল, মাফ করতে পারি তবে একটা শর্ত আছে । এরপর থেকে কখনো আমাকে ছেড়ে যাবার কথা স্বপ্নেও ভাববে না তুমি। জয়ীতা কেঁপে উঠে বলল, কিন্তু তুমিই..
জয়ীকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই পল্লব তাকে বুকের মাঝে টেনে নিলো। জয়ীতা পল্লবের বুকে মাথা রেখে ডুকরে কেঁদে ওঠে। পল্লবের চোখও সিক্ত। আসলে সে নিজের ভুল বুঝতে পারছে। হারালেই বোঝা যায় প্রিয় মানুষের মূল্য। সে নিজের নিয়তির উপর রাগ করে জয়ীকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। আর না। যত যা কিছুই হোক জয়ীকে সে কিছুতেই ছাড়তে পারবে না। জয়ীকে সে যে করেই হোক আগলে রাখবে এমন করেই বুকের মাঝে।
হঠাৎ করে তার বাবার প্রতি তার কৃতজ্ঞতা আরো কয়েক শত গুণ বেড়ে গেল। এখন বুঝতে পারছে কেনো তাকে এভাবে জোর করে এখানে নিয়ে এসেছে। এই মানুষটা এত অদ্ভুত একটা মায়ার জালে তাকে দিনদিন বেঁধে ফেলছে যে সে চাইলেও কোনোদিনই এখান থেকে বের হতে পারবে না।
জয়ীতা ফুপিয়ে কেঁদেই যাচ্ছে। পল্লবের বুকে এভাবে কোনোদিন আর মাথা রেখে কাঁদতে পারবে সে স্বপ্নেও ভাবেনি। সে শুধু ভাবছে তার শ্বশুর কী এমন জাদুর আছর করলো যে পল্লব এত বদলে গেল!
সকালে জয়ী নিজ হাতে নাস্তা বানাতে ব্যস্ত। খালেক সাহেব মর্নিং ওয়াক করে এসে জয়ীকে কিচেনে ব্যস্ত দেখে দু’চোখ ভরে সেই দৃশ্য উপভোগ করছেন। এমন দৃশ্য দেখাই কত দিনের স্বপ্ন তার!
নাস্তার টেবিলে কেউ মুখ খুলতেই পারছে না। জয়ীতা লাজুক ভঙ্গিতে শ্বশুরকে খাবার এগিয়ে দিচ্ছেন। পল্লবও চুপচাপ। তার হাতে ব্যথা হওয়ায় সে ঠিকঠাক খেতে পারছে না। জয়ীতা পরোটার পিস টুকরো করে দিয়েছে। সে কোনোমতে ধরেই মুখে দিচ্ছে। আজ জাফরের মা আসেনি। সেই রান্নাবান্না দেখেন এ বাড়িতে। জয়ীতাই ফোন করে নিষেধ করেছে তাকে।
খালেক সাহেব যে ব্যাপারটা জানেন না তা নয়।তিনিও ব্যাপারটা জানেন। জাফরের মা তাকে ফোন দিয়ে জানিয়েছে যে জয়ী তাকে ছুটি দিয়েছে , এখন সে কী করবে। পরে খালেক সাহেব ব্যাপারটা বুঝতে পেরে হাসিমুখে তাকে বলেন, আচ্ছা কয়েকদিন তুমি এসো না। আমার মা’ই তার ঘর সংসার সামলাক।
কেউ কোনো কথা বলছে না.। খালেক সাহেবপল্লবের হাতের ব্যাণ্ডেজ় দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে বললেন, কী ব্যাপার! হাতে কী হলো আবার?
পল্লব আস্তে বলল, ওই বেশি কিছু না।পিনে ফুটো হয়ে গিয়েছে। শীতকাল তো তাই ব্যাথাটা একটু বেশিই মনে হচ্ছে।
– ওষুধ খাওনি? তাড়াতাড়ি খাও। টিটেনাস দিতে হবে কিনা কে জানে?
– নাহ, খাব। না না। টিটেনাসের দরকার নেই। খুবই সামান্য একটা প্রব্লেম।
তাদের কথাপোকথন শুনে মনে হচ্ছে কিছুই ঘটেনি। সব কিছু স্বাভাবিক। তারা এভাবেই প্রতিদিন নাস্তায় বসে একসাথে। আসলে জয়ী আর পল্লব কী বলবে বুঝতে পারছে না। এমন একটা সারপ্রাইজে তারা সত্যিই শকড।
খালেক সাহেব বললেন, তা আমার সারপ্রাইজ কেমন লাগল তোমাদের?
পল্লব নড়েচড়ে বসল। বলল, বাবা, তুমি পারোও। আমাকে জানালে কী হতো?
– আগে জানালে এই সারপ্রাইজটা দিতাম কী করে?
– তাই বলে এতদিন ধরে এভাবে আমার কাছে লুকাবে? ফোনেও তো বলতে পারতে!
– তুমিও জানতেই বা চেয়েছ কই? কখনই তো বলোনি জয়ী নিখোঁজ। তুমি তো বললে জয়ী নাকি তার মায়ের কাছে!
পল্লব বুঝল ভুল তো তারই।
– তা আমার মা এভাবে ঘর ছেড়ে কেনো এসেছে সেটা কি জানতে পারি?
– পল্লব এবার কী উত্তর দিবে বুঝতে পারে না। কোনোমতে আমতা আমতা করে বলল, না, মানে…. একটু কথা কাটাকাটি হয়েছিল।
– এমন কী কথা কাটাকাটি যে ওভাবে একটা অসুস্থ মানুষ ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল? আল্লাহ মেহেরবান ছিলেন বলেই আমার হাতে সেদিন অসুস্থ অবস্থায় ও পড়েছিল। না হলে কী হতে পারত ভেবেছ! মেয়েদের জন্য একা চলাফেরা করা আমাদের সমাজ কতটা ভয়ংকর তা তো জানোই।
– পল্লব নিশ্চুপ!
খাওয়া শেষে জয়ী তার শ্বশুরের জন্য চা নিয়ে তার রুমে যায়। চা হাতে দিতেই খালেক সাহেব তাকে বসতে বললেন।
– কিছু মনে হয় বলবি?
– না, মানে! বাবা, আপনি পল্লবকে এভাবে নিয়ে এলেন! আর কী এমন হলো যে হঠাৎ আমার প্রতি সে এত সদয় হলো? নিজের ভুল বুঝতে পারল?
– আমি কিছুই করিনি রে, মা! সে নিজেই তোকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল। আমি ওর সাথে কথা বলেই বুঝেছি ও তোকে খুব মিস করছে। ও অনুতপ্ত। এজন্যই কায়দা করে এখানে নিয়ে এসেছি। আমি দেখতে চেয়েছি ও আসলেই তোকে ভালোবাসে কি না! আমার ধারণাই সত্যি। ও আসলে ওর মায়ের প্রেসারেই হয়ত তোকে এভাবে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।
কথা শেষ করার আগেই দেখল পল্লবও এসেছে এ রুমে। সে আসলে পেছনে দাঁড়িয়ে সবই শুনছিল। সে তার বাবাকে বলল, আমি স্বপ্নেও ভাবিনি জয়ী তোমার কাছে। আল্লাহর দরবারে অনেক ধন্যবাদ। তুমি সত্যি বলেছ, বাবা। আমি জয়ীকে হারিয়েই বুঝেছি আমি কী হারিয়েছিলাম। আমি আমার কৃতকর্মের জন্য অনেক অনেক স্যরি , বাবা।
খালেক সাহেব ছেলেকে কাছে বসিয়ে বললেন, পাগল ছেলে। যা করেছ তো করেছ। এখন সেসব বাদ দিয়ে আগামী দিনগুলো ভালোভাবে কাটানোর প্লান করো। আর স্যরি আমাকে না, আমার মাকে বলো। অনেক কষ্ট দিয়েছ তাকে। এমন ভুল আর কখনো করো না।
স্বপ্নের মতো কেটে গেল আরো দু’টি দিন। জয়ীতা পল্লবের সাথে এ বাড়িতে কেটে যাওয়া প্রতিটি মুহূর্ত খুব উপভোগ করছে। এক একটি ক্ষণ এত স্বাধীন আর এতটা ভালো লাগায় ভরপুর যেনো এখানেই কাটিয়ে দিতে মন চাচ্ছে জীবনের বাকী সময়টুকুও।
সে পল্লবের ঘাড়ে মাথা রেখে বলল, আমার যে আর ঢাকাতে ফিরতে মন চাচ্ছে না।
– আমারও না। কিন্তু ফিরতে তো হবেই। আর তোমাকেও ফিরতে হবে। না হলে আমি থাকতে পারব না যে!
– কিন্তু পল্লব! আর কিছু বলতে পারে না সে!
পল্লব বুঝতে পারে এই কিন্তুর অর্থ। সেও কিছুই বলতে পারে না সে। সে জানে ঢাকাতে তাকে ফিরতে হবে! সে এই দু’দিন ধরে ফোনে কোনো রিপ্লাই দিচ্ছে না। কতটা তোলপাড় যে চলছে সেটা সে এখানে বসেই টের পাচ্ছে। এ সব কিছুর জন্য জয়ীকেই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে বরাবরের মতোই।
কিন্তু না, তাকে এসব রুখতে হবে। কিন্তু কীভাবে? তার মায়ের নানান কারসাজির কাছে সে এখনো বাচ্চা। তার মা কতটা নির্দয় এটা তার অজানা নয়৷
জয়ীতাকে আর তাকে কাল কতবার তার বাবা রিকোয়েস্ট করেছে এখানেই থেকে যেতে। কিন্তু সে একবারের জন্যও হ্যা বলতে পারেনি। সে কোন অধিকারে এ বাড়িতে থাকবে এটাই সে বুঝতে পারে না। এই মানুষটাকে কতটা অন্ধকারে রাখবে আর। মন চায় সব বলে দিবে কিন্তু সাহস হয় না। এই অমূল্য ভালোবাসাটুকু সে কী করে হারাবে? আর সারাজীবন ধরে ঠকে আসা মানুষটি যদি এই মিথ্যে আশ্বাসটুকু নিয়ে বাঁচে সেটাও তার জন্য অনেক। কী দরকার মানুষটিকে আবারো আঘাতে জর্জরিত করার।
আসলে পল্লব জানেই না যে তার বাবা তার জন্ম পরিচয় সম্পর্কে সবই জানে। সব জেনে-বুঝেই তাকে বুকে টেনে নিয়েছে।
পল্লব জয়ীতাকে বুকের মাঝে টেনে নিয়ে বলে, আর কোনো কিন্তু না! আমাদের আর কেউ কিছুতেই আলাদা করতে পারবে না। তুমি আমার উপর বিশ্বাস রাখো! আমি যতদিন বেঁচে থাকব তোমার হাত শক্ত করে ধরে রাখব। কথা দিলাম।
জয়ীতা এক অগাধ বিশ্বাসে বুকের সাথে লেপ্টে যায় পল্লবের। এক সুখের উল্লাসে কেঁপে উঠে তার বুক। কিন্তু সে জানে না কতোটা কঠিন ভবিষ্যৎ তাকে ইশারা করে ডাকছে প্রতিনিয়ত। নিয়তির বিধান খণ্ডানোর ক্ষমতা তিনি ছাড়া যে আর কারোরই নেই।
চলবে……..
পর্ব- ১০
https://www.facebook.com/111576077291737/posts/464417112007630/