#সুখ_নীড়
#পর্ব-১২
বাবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে রওয়ানা হতে বুক চিড়ে যাচ্ছে পল্লব আর জয়ীতার। এই একটা সপ্তাহ কখন পার হয়ে গেল তারা টেরই পেল না। খালেক সাহেব ওদের বিদায় বেলায় কিছুই বলতে পারছেন না। তার মনে হচ্ছে মুখ খুলতেই তার ভিতরের কষ্টগুলি দলা পাকিয়ে একসাথে নদীর ঢেউয়ের মতো দুর্নিবার গতিতে বেরিয়ে আসবে। নিজেকে কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না ওদের সামনে ।
নীরবে পল্লবকে শক্ত করে বুকের মাঝে চেপে ধরেছেন ছাড়তে মন চাচ্ছে না একদমই। এ ক’দিন তার এই ভূতুড়ে বাড়িটা যেনো আলোয় আলোয় ঝলমলিয়ে উঠেছিল। স্বপ্নের মতো কেটেছে প্রতিটি মুহূর্ত ।
জাফরের মাও অঝোরে কাঁদছেন। জয়ীতাও তাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেই যাচ্ছে। মায়ের মতো এই মানুষটা তাকে এ ক’দিন আগলে রেখেছেন। এই মানুষটার কারণেই সেদিন সে এ বাড়িতে এসেছিল। তাই তার কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নেই জয়ীর।
খালেক সাহেবের সামনে জয়ীতাও মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না। সে খালেক সাহেবকে উপর থেকে দেখেই টের পাচ্ছে কেমন লাগছে তার। সে খুব সাহস করে কাছে যেয়ে অস্ফুটস্বরে বলল, “আসি, বাবা। নিজের খেয়াল রাখবেন। ” আরো কিছু বলতে যাবে অমনি কান্নারা ইচ্ছের বিরুদ্ধেই বেরিয়ে আসতে লাগল।
খালেক সাহেব, জয়ীতাকে সামলাতে কোনোমতে বলল, আরে পাগলী!
আমার জন্য ভাবিস না তো! আমার জীবন তো এমনই। ঠিকই দেখবি ক’দিন যেতেই আমি তোদের কথা ভুলে গেছি। একদম চিন্তা করিস না। ফোন দিস মাঝেমধ্যে এই বুড়ো বাপকে। আর আমাকে নিয়ে না ভেবে নিজেরা একদম ঠিকঠাক চলবি। আর কোনো পাগলামি যেনো শুনি না।
খালেক সাহেব আর কথা বলতে পারলেন না। খেই হারিয়ে ফেললেন।
বাবাকে কাঁদতে দেখে পল্লব আর জয়ীতাও খুব বেশি ইমোশনাল হয়ে পড়ল এবার। তাদের মন চাইছে তার বাবাকেও সাথে করে নিয়ে যাবে। কিন্তু কই নিয়ে যাবে?
বাস চলছে দ্রুতগতিতে। পল্লব জয়ীতা কারো মুখেই কথা নেই। দু’জনেরই মনের অবস্থা একই। জয়ীতা বিষন্ন মনে বাইরের দিকে অপলক তাকিয়ে আছে। পল্লব তার মনের অবস্থা বুঝতে পেরে বলল, বাবাকে আমাদের কাছে নিয়ে আসব। একদম ভেব না।
জয়ীতা চমকে উঠে বলল, এটা সম্ভব, পল্লব?
– আমার সর্বাত্মক চেষ্টা করব।
– কিন্তু আম্মি কি মেনে নিবেন?
– আম্মির বাড়িতে জায়গা না হলে না আমি অন্য ব্যবস্থা করব।
জয়ীতার চোখ দু’টি চকচক করে উঠল। সে খুশিতে পল্লবের হাতটা চেপে ধরে তার ঘাড়ে মাথা রেখে বলল, অনেক অনেক খুশি হলাম, পল্লব। আর কিছুই চাওয়ার নেই তোমার কাছে আমার।
জয়ীতা সত্যিই খুব খুশী হয়েছে। সে ভাবছে সে হয়ত ভুল ছিল। পল্লব হয়ত আসলে কিছুই জানেই না তার জন্ম পরিচয় নিয়ে । শুধু শুধুই সে ভয় পাচ্ছিল। মনে মনে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাল জয়ী।
খালেক সাহেবের আজ বুকের মাঝে খুব ভারী ভারী লাগছে। মনে হচ্ছে পাজর ভেঙে কান্না আসছে। দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে ভেতরে। এ ক’টা দিন ছিল তার জীবনের সবচেয়ে প্রতিক্ষীত এক অধ্যায়। তার শুধু মনে হচ্ছে তার জীবনটা কেনো এমন এলোমেলো হলো। সেও চেয়েছিল আর সবার মতো একটি সুস্থ, স্বাভাবিক সংসার। তার জানামতে কখনো কোনোদিন কাউকে ঠকায়নি। এতবড় পোস্টে সে চাকরি করেছে অথচ কতবার সুযোগ পাবার পরেও কোনোদিন কারও থেকে দু’পয়সা ঘুষ খায়নি। এত সততার সাথে সারা জীবন কাটিয়ে কী প্রতিদান মিলেছে তার?
কত বার ভেবেছে সে তার বাচ্চাদেরকে তার কাছে নিয়ে আসবে। প্রয়োজনে সে যুদ্ধ করবে সাজেদার সাথে কিন্তু সাহসে কুলোয়নি। তাছাড়া কল্লোল তার নিজের সন্তান হলেও পল্লব তার কেউ না। তার উপর কোনো অধিকার নেই। তার উপর কল্লোল কখনোই তার সাথে আসতে রাজী হতো না। সে তার মায়ের কাছে থাকতেই অভ্যস্ত।
আর মায়ের বুক থেকে সন্তানকে কেড়ে নেয়ার মতো পাষাণ হৃদয়ের মানুষও তিনি নন। নিজেই কষ্ট করেছেন সারাজীবন তাও কাউকে বিরক্ত করেননি। সাজেদাকে ডিভোর্সও দেননি। নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন সবার মাঝ থেকে।
তার বড় বোন সেতারা বেগম কতবার তাকে আবার বিয়ে করানোর জন্য মেয়ে খুঁজেছেন কিন্তু খালেক সাহেব রাজী হননি কিছুতেই। সময় কালেই সংসার জুটলো না সেখানে অসময়ে আর কিইবা হবে?
এ ক’টা দিন খুব আনন্দের মাঝে স্বপ্নের মতো কাটাতে ঠিক যতটা ভালো লেগেছিল এখন তার থেকে কয়েক শত গুণ খারাপ লাগা ভর করেছে তার উপর। যেদিকে তাকাচ্ছে সেদিকেই অনুভব করছে জয়ী আর পল্লবকে। তিনি টের পেলেন তার মাঝে যেনো হ্যালুসিনেশান হচ্ছে। মাঝেমাঝেই জয়ী আর পল্লবকে দেখতে পাচ্ছেন ঘরের মাঝে হাঁটাচলা করছে। নিজের মাঝে এমন সমস্যা হচ্ছে টের পেয়ে বেশ ঘাবড়ে গেলেন। এই বয়সে এমন সমস্যা একবার ভর করলে নামানো কঠিন হয়ে পড়বে।
জাফরের মা তার খারাপ লাগার ব্যাপার বুঝতে পেরে বারবার এসে তার আশেপাশে ঘুরঘুর করছে আর কিছু লাগবে কিনা জিজ্ঞেস করেই যাচ্ছে। খালেক সাহেব কার উপর রাগ ঝাড়বেন বুঝতে না পেরে জাফরের মাকেই এমন অযথা বিরক্ত করার জন্য জোরেশোরে ধমক লাগিয়ে সেদিনের মতো ছুটি দিয়ে দিলেন। জাফরের মা খুব কষ্ট পেলেন তার এমন ব্যবহারে।
খালেক সাহেব রুমে যেয়ে দরজা লাগিয়ে দিলেন। আলমারি খুলে সেই জীবনের শুরুর দিনগুলোর তোলা ছবির এলবাম বের করলেন। ছোট কল্লোলকে নিয়েই বেশিরভাগ ছবি৷ পল্লবের সাথে খুব বেশি ছবি নেই। কারণ তখন তিনি বেশিরভাগই ঢাকার বাইরে থাকতেন।
তার আর সাজেদার কয়েকটা ছবিকে দু’হাতে স্পর্শ করছেন আর চোখের পানিতে চশমার গ্লাস ঝাপসা হয়ে আসছে। নিয়তি তার সাথে এমন করে কেনো খেলছে মেলাতে পারছেন না কিছুতেই।
তার মনে হচ্ছে ওদের সাথে দেখা না হলেই ভালো হতো! ওরা এখানে কেনো এলো? ভালোই তো কাটছিল তার নিঃস্ব জীবন। এসব ভাবতে ভাবতে ভাউ ভাউ করে বাচ্চাদের মতো কাঁদতে শুরু করলেন।
হঠাৎ তার ফোন বেজে উঠল। চোখের পানি মুছে ফোনটা হাতে নিতেই দেখলেন তার বোন অস্ট্রেলিয়া থেকে ফোন করেছে। একবার ভাবল কথা বলবে না পরক্ষণেই আবার ভাবনা বদলাল। এই একটা মানুষই তার জীবনে আছে যে তাকে নিঃস্বার্থভাবে সেই দূর থেকে ভালবেসে যাচ্ছে যার পরম মমতায় তাঁর সকাল হয়, সন্ধ্যা গড়ায় । এই মানুষটার ঋণ সে জীবনে কখনো শোধ করতে পারবে কিনা সে জানে না। সেই সুযোগও কোনদিন হয়তো হবে না । দুই হাতে চোখের পানি মুছে ফোনটা রিসিভ করলেন।
তার গলার ভারি শব্দের হ্যালো শুনেই সেতারা বেগম বুঝতে পারলেন কিছু তো একটা হয়েছে। খালেক সাহেবের কাছে মন খারাপের কথা অনেকবার জিজ্ঞেস করার পরে আসল সত্যটা জানলেন। তিনি নিজেও ভাইয়ের কষ্টে খুব ব্যথিত হলেন। ভাইয়ের এমন কষ্টের সময় তার পাশে না থাকার কষ্টটা যেন আরও বেশি কষ্ট দিতে শুরু করলো তাকে।
বেশ কিছুক্ষণ ধরে ভাইকে স্বান্তনা দিতে এটা সেটা বলার পরে হঠাৎ করে খুব শক্ত হলেন তিনি।
-তোর কাছে কোনোদিন তো কিছু চাইনি আজ চাইব দিবি?
-তোমার জন্য আমার জীবন পর্যন্ত দিতে পারি, বুবু। একবার চেয়েই দেখো।
-তুই কিন্তু আমাকে কথা দিয়েছিস তুই আমাকে দিবি! তুই তোর কথা ঘুরাতে পারবি না একদম ।
চোখের পানি ধরে রাখতে পারছিলেন না খালেক সাহেব তিনি খুব কষ্টে বুকের কষ্ট চেপে রেখে আস্তে করে বললেন, কথা দিলাম। বলো কী চাই?
– আমি তোকে অস্ট্রেলিয়াতে দেখতে চাই। আমারও বয়স হয়েছে। হয়তো বেশি দিন আর বাঁচব না। তোর শরীরটাও বেশি ভালো না। কে আগে কে পরে কখন চলে যাই জানিনা। এমনিতেই তোর দুলাভাই যাওয়ার পর থেকে আমার প্রতিটা মুহূর্ত খুব আতঙ্কে কাটে। এমন মনে হয় কখন যেনো চলে যাচ্ছি। বয়সতো আর কম হলো না। তাছাড়া আমার আর এখন এত শক্তিও নেই যে আমি বাংলাদেশে আগের মতো হুটহাট চলে আসতে পারব। আর আমি আসতে চাইলেও ওরা আমাকে যেতে দিবে না। আমি চাই জীবনের শেষ দিনগুলো দু’ভাই বোন একসাথে কাটাই। হয়তো আমি আগে যাব নয়তো তুই! আমি যদি আগে চলে যাই আমি তোকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি আমার ছেলেমেয়েরা তোকে কখনোই অনাদর করবে না।
ওপাশ থেকে খালেক সাহেবের কোন জবাব নেই দেখে তিনি আবার বললেন, তারপরেও যদি মনে হয় যে না তোর এখানে ভালো লাগছে না তাহলে তুই বাংলাদেশে চলে যাস। আমার এই কথাটুকু রাখ, ভাই। এই ছোট্ট জীবনে আর কত কষ্ট পাবি! এখানে এলে আমি হয়তো তোর কষ্টটুকু ভোলাতে পারব না কিন্তু চেষ্টা করব তোকে আনন্দে রাখার! সারাক্ষণ আমরা আমাদের সেই ছোট্ট গ্রামের গল্প করব! আমাদের বেড়ে ওঠা, বনে বাঁদাড়ে ঘুরে বেড়ানো, নদী থেকে মাছ ধরা, একসাথে স্কুলে যাওয়া, আব্বার হাতে মার খাওয়া কত স্মৃতি আমাদের তাই না! এখানে খুব সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে হাঁটার। আমরা দু’ভাইবোন হেঁটে হেঁটে সেই গল্প করব।
কথা বলতে বলতে সেতারা বেগম নিজেও কাঁদতে শুরু করেছেন ফোনের ওপাশে। ভাই কে সান্তনা দিতে নিজেই অশান্ত হয়ে গিয়েছেন।
এবার খালেক সাহেব বোনের মনের অবস্থা বুঝতে পেরে বললেন, ঠিক আছে। তোমার কথাই রইল। দেখি এদিকে একটু গোছগাছ করেই খুব তাড়াতাড়ি চলে আসব।
সেতারা বেগম স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন।
-ঠিক আছে! যা করবি খুব তাড়াতাড়ি কর। আমি তোর ভিসার ব্যবস্থা করতে বলছি। ওদেরকে এখনই জানাচ্ছি।ওরা তো সেই কবে থেকেই বলে মামাকে নিয়ে আসো, মামাকে নিয়ে আসো। ওরা খুব খুশি হবে তুই আসবি শুনলে।
খালেক সাহেব অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজী হয়ে গেলেন ভিনদেশে যেয়ে তার জীবনের বাকি সময়টুকু কাটানোর জন্য। দেশটা ভিন্ন হলেও সেখানে তার আপন মানুষ আছে। এই দেশ এই মাটি আঁকড়ে পড়ে থেকে কি লাভ!
এদিকে এক বুক আশা আর দু’চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে জয়ীতা পল্লবের হাত ধরে তাদের বাসায় এসেছে। বাসায় ঢুকে মনে হলো পরিবেশ একদম শান্ত। চারদিকে চুপচাপ। বাসায় কয়েকজন সার্ভেন্ট এর আনাগোনা ছাড়া আর কাউকে চোখে পড়লো না তাদের।
রুমে ঢুকে ফ্রেশ হচ্ছিল জয়ীতা। বেশ কয়েকবার রুমে নক করার শব্দে জয়ীতা এগিয়ে যেয়ে দরজা খুলল। দরজা খুলে দেখে দরজায় দাঁড়িয়ে তার বড় জা, চৈতী। চৈতী মাত্র তার মেয়েকে নিয়ে কোচিং ক্লাস থেকে ফিরেছে।
জয়ীতাকে দেখে চৈতী ভূত দেখার মত চমকে উঠল। দাঁতে দাঁত চেপে সে বলল, “আম্মি তাহলে ঠিকই বলেছিলেন। এই ডাইনীটার কারণেই এত কিছু ঘটে গেল। ”
সে জয়ীতাকে আর কিছু না বলে তাকপ পাশ কাটিয়ে তাদের রুমের ভিতরে ঢুকে পড়ল। পল্লব তখন বিছানায় আধাশোয়া হয়ে ফোন ঘাটাঘাটি করতে ব্যস্ত
পল্লবের দিকে অগ্নি বিস্ফোরক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ধমকের সুরে চৈতী বলল, এই বাড়িটা কোনো সরাইখানা না যে যখন খুশি আসবে আর যখন খুশি যাবে। কারো কাছে কোনো কিছু বলার প্রয়োজন মনে করো না। আমাদের না হয় না মানো অন্ততপক্ষে আম্মির কথা তো ভাববে।
পল্লব ভীষণ অবাক হয়ে গেল। এই প্রথম তার সাথে এমন টোনে কথা বলেছে তার ভাবী। চৈতী তার বড় ভাবী হলেও সে তাকে কখনোই সেভাবে মানে না। বড় ভাই কল্লোলকেই পাত্তা দেয় না আর তো সেখানে চৈতী।
সে বিছানা ছেড়ে উঠে চৈতীকে উল্টো ধমক দিয়ে বলল, এমন করে কথা বলার সাহস কোত্থেকে পাও তুমি? বাড়িটা নিশ্চয়ই তোমার বাবার না? নাকি এটা বড় ভাইকে তোমার বাপ যৌতুক দিয়েছিল? নইলে আমার মায়ের বাড়িতে দাঁড়িয়ে আমাকে প্রশ্ন করার দুঃসাহস দেখাও! গেট লস্ট ফ্রম মাই রুম! নেক্সট টাইম আমার রুমে আসার আগে আমার পারমিশন নিয়ে আসবে।
পল্লব যে কিছুটা বেয়াদব কিসিমের এটা চৈতীর অজানা নয়। তাই সে অবাক হলো না। কিন্তু জয়ীর সামনে পল্লবের কাছে এভাবে ছোট হয়ে ভীষণ অপমানিত বোধ করতে থাকে সে! সে রাগে অপমানে গজ গজ করতে করতে বলল, কার বাড়ি আর কী সবই টের পাবে। শুধু আম্মিকে একটু আসতে দাও। আমি এক্ষুনি আম্মিকে ইনফর্ম করছি। জাস্ট ওয়েট অ্যান্ড সি! যাবার আগে অগ্নিমূর্তির মতো হয়ে খানিকক্ষণ তাকিয়ে রইল জয়ীতার চোখের পানে।
জয়ীতা যেনো ঝড়ের পূর্বাভাস দেখতে পাচ্ছে। কালো মেঘে চারিপাশে ছেয়ে যাচ্ছে তার। নিজের থেকে খুব বেশিবভয় হচ্ছে পল্লবকে নিয়ে। পল্লব রেগে গেলে কাউকে তোয়াক্কা করে না। কাকে কী বলে সেই হুশও থাকে না। তাকে দেখলে তার শাশুড়ি যে কী রিয়্যাক্ট করবে সেটা সে এখনই টের পাচ্ছে। এবার তার বেশি ভয় হচ্ছে পল্লবকে নিয়ে কারণ অন্যসময় তার শাশুড়ি তাকে যাই বলুক পল্লব হয় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে নয়তো মায়ের সঙ্গ দিয়েছে। কোনো এক অজানা কারণে পল্লবও তার মায়ের মতোই কিছুতেই চাইত না জয়ীতা তার সাথে থাকুক। যেহেতু বউকে সাপোর্ট দিত না তাই তার আম্মির সাথে তাকে নিয়ে তেমন বড় কোনো ঝামেলাও হতো না কিন্তু এখন চিত্র পুরোই ভিন্ন। জয়ীতাকে পল্লব কথা দিয়েছে সে যে কোনো মূল্যে তাকে অসম্মান হতে দিবে না। সে জয়ীকে বুক দিয়ে আগলে রাখবে আজীবন।
চলবে……
পর্ব- ১১
।https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=465257245256950&id=111576077291737