সুখ নীড় পর্ব-১০

0
339

#সুখ_নীড়
#পর্ব_১০

পল্লবের সাথে খালেক সাহেবের কোনো বায়োলজিকাল সম্পর্ক নেই এটা জানার পর থেকে জয়ীতার মাথায় কোনো কিছুই কাজ করছে না। এই ঠাণ্ডার মাঝেও সে দরদর করে ঘামছে। কারো সাথে এ কথা শেয়ার করারও উপায় নেই। আর সেতারা বেগমের বলা কথাগুলোর মাঝে এক বর্ণও মিথ্যা আছে বলে তার মনে হচ্ছে না। তাছাড়া তার শ্বশুরের বলা কাহিনীর সাথেও মিলিয়ে তার কাছে মনে হচ্ছে আসলেই কোথাও গড়বড় আছে। সে বারবার বলেছে তার সাথে তার স্ত্রীর দীর্ঘদিন কোনো সম্পর্ক ছিল না। যা ছিল লোক দেখানো। সরাসরি কিছু না বললেও তার শ্বশুরের বলা কথাগুলো আর কথা বলার বিভিন্ন সময়ে তার ব্যক্ত অনুভূতি সব যেনো ওই একটা ব্যাপারের দিকেই নির্দেশ করছে। কত চাপা কষ্ট বুকে বয়ে বেড়াচ্ছেন উনি। পৃথিবীতে উনার বলার জায়গা পর্যন্ত নেই। হায়রে জীবন! আর কত মহানুভবতা ওনার মাঝে। জেনেশুনেও পল্লবকে কখনো বুঝতে দেননি যে সে তার বাবা নয়। বরং নিজের ঔরসজাত সন্তানের থেকে তাকেই বেশি ভালোবাসে সে।

জয়ীতা পল্লবের সাথে তার সংসার জীবনের সেই শুরুর দিনগুলো থেকে অনেক কিছুই শুধু মিলিয়ে যাচ্ছে৷ হঠাৎ করে পল্লবের পরিবর্তনের কারণ ভাবছে সে।
তার স্পষ্ট মনে আছে এখনো। একটা ঘটনা আজ বারবার মনে পড়ছে তার।
সেদিন পল্লবের ফোনটা বেজেই যাচ্ছিল। পল্লব তখন ওয়াশরুমে। জয়ীতা এগিয়ে গিয়ে ফোন হাতে নিয়ে দেখল, স্ক্রীনে ভাসছে, খালেক মল্লিক ইজ কলিং….

নাম দেখে সে প্রথমে ভেবেছিল তার শ্বশুর কল দিয়েছে। তাই রিসিভ করতে চেয়েছিল কিন্তু পরক্ষনেই আবার জয়ীতার মাথায় আসে তার শশুরের নাম্বার তো পল্লবের ফোনে ‘বাবা’ লিখে সেভ করা। তাছাড়া কোনো সন্তানই বাবা মায়ের নাম্বার ফোনে নাম লিখে সেভ করে না। খানিকটা অবাক হলো সে। পরে ভাবে অন্য কেউ।
একই নামে কত মানুষই তো থাকে।

পল্লব বের হবার পরে সে বলেছিল তার ফোনে কল এসেছে। পল্লব ফোনটা হাতে নিয়ে কল লিস্ট চেক করে ফোনটা আবার ফেলে রাখে বিছানাতে। তার কল ব্যাক করার আগ্রহ দেখল না জয়ীতা। সে ভাবল, অন্য কেউ হবে হয়তোবা।

কারণ তার বাবা কল দিলে পল্লব মন খুলে তার সাথে গল্প করে। এটা জয়ী ভালো করেই জানে। এই মানুষটিই তাদের বিয়ের সময় পল্লবকে একমাত্র সাপোর্ট দিয়েছিল। পল্লবের সাথে তার বন্ডিংটা সেদিনই বুঝেছিল জয়ী। দূরে থেকেও ছেলের মনজুড়ে ছিল তার স্থান। বিয়ের দিন জয়ীতাদের গ্রামে সেই কতটা রাস্তা পাড়ি দিয়ে তিনি চলে এসেছিলেন। পল্লবের এক ডাকে তিনি না এসে থাকতে পারেন নি।

এরপরে ওইদিন আবার সন্ধ্যাবেলা জয়ীর সাথে কথা বলার সময় খালেক সাহেব জয়ীকে জিজ্ঞেস করেন পল্লব কোথায়? কল দিয়েছে কয়েক বার অথচ রিসিভ করেনি। এরপর সন্দেহ দূর হলো জয়ীতার। দুপুরের ওই ফোন কল তাহলে তার বাবারই ছিল। কিন্তু নাম লিখে সেভ করার ব্যাপারটা তার মাথায় আসেনি। জিজ্ঞেস করবে সেই সাহসও ছিল না। তখন কিছুদিন ধরেই এ কথা সে কথা নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল দু’জনের। ভেবেছিল হয়তো কোনো কারণে বাবার নাম্বার নাম লিখে সেভ করেছে নয়তো এমনিতেই। পরে এ নিয়ে আর মাথা ঘামাতে যায়নি সে। নিজের সংসার নিয়েই তখন টানাটানি চলছে।

জয়ীর হঠাৎ চোয়াল জোড়া শক্ত হয়ে উঠল। তবে কি পল্লব সবকিছু জেনে গিয়েছে? জয়ীতার অস্বস্তি আরো বাড়তে লাগল। শুরুর দিকে বাবা ছেলের মাঝে এসে যেমন সম্পর্ক দেখেছিল কিছুদিন বাদে সেটা তার কাছে মনে হয়েছে অনেকাংশেই বদলে গেছে । হঠাৎ করে পল্লব কেমন যেন বদলে গেল।
জয়ীর সাথে যখন তার শশুরের কথা হতো প্রায়ই সে পল্লবের ব্যাপারে নালিশ জানাত। খালেক সাহেব প্রায়ই অভিমান করে বলতো আমার ছেলেটা কি বউকে পেয়ে তার বাবার কথা ভুলেই গেছে? একবারও কি তার মন চায় না বাবাকে দেখতে আসতে বা ফোন করে কথা বলতে? জয়ীতা তখন হাস্যচ্ছলে কথাগুলো উড়িয়ে দিত। এবং এটা সেটা বলে তাকে বুঝাতে চাইত। যেমন পল্লবের ব্যবসায়িক নানান ব্যস্ততা চলছে, এই কাজ সেই কাজ এসব বলে তার বাবাকে ব্যর্থ বুঝ দিত।

জয়ীতার কাছে এখন সবকিছু ধীরেধীরে পানির মতো পরিষ্কার হচ্ছে। হঠাৎ করে পল্লবের এমন বদলে যাওয়া, তার সাথে মিসবিহেভ করা, পল্লবের মা সাজেদা চৌধুরীর সাথে সবকিছু নিয়েই বিভেদ শুরু হওয়া, তার বাবার সাথে দূরত্ব সৃষ্টি সবকিছুর পেছনেই কারণ হয়ত একটাই ।

তার অনুমান যদি সত্যি হয়ে থাকে এটাই কি তবে সেই কারণ। পল্লব তাকে বারবার বলেছিল, “আমার জীবনের সাথে জড়িও না। নিজের মতো করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করো। আমার সাথে জড়ালে পদে পদে শুধু অপমানিত হবে। আমার জীবনের সাথে জড়ালে একটা অসম্মানজনক জীবনই পাবে। ”

জয়ী তখন ভেবেছিল হয়ত তার মা জয়ীকে মেনে নিবে না এটা বুঝিয়েছে। এখন বুঝতে পারছে আসলে কাহিনী হয়তো অন্য কিছু। কিন্তু তার মনে প্রশ্ন জাগল, পল্লব জানল কোথা থেকে? এ কথা তার শ্বশুর, শাশুড়ি আর সেতারা বেগম ছাড়া আর কেউ তো জানার কথা না। আর এ কথা এদের মধ্যে কেউ জানানোরও কথা না। তাহলে কী করে জানল পল্লব? জয়ী মাথা খাটাতে থাকে। পল্লব যদি সত্যিই কিছু জেনে থাকে তবে কে তাকে জানাতে পারে?

হুট করে তার মাথায় এলো এ কথা আরেকজনও তো জানে। আর সে হলো পল্লবের আসল জন্মদাতা। সেই হয়ত পল্লবকে জানিয়েছে। আবার মাথায় এলো সে পল্লবকে এত বছর পরে জানাবেই বা কেন? তার পরক্ষণেই মনে হলো হয়তো সে পল্লবের থেকে সে সুবিধা নিতে চাইছে। কারণ সে যেই হোক কোনো ভালো মানুষ নিশ্চয়ই না। সে আগাগোড়া একজন সেলফিস মানুষ। না হলে একজন বিবাহিতা নারীর সাথে তার সম্পর্ক তৈরি হতো না। সে সারাজীবনই সুবিধাবাদী । একসময় সুবিধা নিয়েছে পল্লবের মায়ের থেকে আর এখন পল্লবের থেকে নিতেই পল্লবকে নিজের পরিচয় দিয়েছে। এরা নোংরা মানসিকতার মানুষ। এদের নোংরা মানসিকতা কোনোদিনই বদলাবে না।

কিন্তু কে হতে পারে সেই লোকটা। তার শশুর এর কাছে শুনেছে একসময় তাদের বাড়িতে লোকজন ভরপুর থাকত। থাকারই কথা পল্লবের নানা ছিলেন একজন মন্ত্রী। নানান ধরনের মানুষের আনাগোনা ছিল তার চারপাশে। এদের মাঝে হয়তো কেউ। যে করেই হোক এই কালসাপকে তার খুঁজে বের করতে হবে। না হলে পল্লবের জীবনটা তছনছ হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা সে কীভাবে করবে? পল্লব তো তাকে সহ্যই করতে পারে না।
জয়ীর অনুমান শক্তি খুবই প্রখর। সে ভাবল যে করে হোক পল্লবের পাশে তাকে থাকতেই হবে। এই রহস্যের জটও তাকে খুলতে হবে।

খালেক সাহেব ঢাকাতে একটা হোটেলে উঠেছেন। ঢাকায় এলে হোটেলেই থাকেন। অনেক পরিচিত বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন থাকা স্বত্তেও তিনি কারো বাসায় ওঠেন না। নানান ধরণের কথার বাণে জর্জরিত হতে হয়। তাই এসব অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি থেকে মুক্ত থাকবার জন্যই তিনি হোটেলে থাকেন।

কল্লোলের সাথে দেখা করে এসেছেন ওর অফিসে যেয়ে। আর পল্লবকে বেশ কয়েকবার কল দেবার পর ফোন রিসিভ করল। পল্লবকে জানাল সে ঢাকায় এসেছে একটা কাজে। কালই চলে যাবে। যাবার আগে তার সাথে একবার দেখা করে যেতে চায়। পল্লব খানিকক্ষণ থেমে জবাবে জানাল সন্ধ্যায় সে আসবে। খালেক সাহেব আসলে এসেছেনই পল্লবের সাথে কথা বলতে।

খালেক সাহেব পল্লবের জন্য একটা রেস্টুরেন্টে অপেক্ষা করছেন ঘণ্টা দুয়েক ধরে। বারবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। খালেক সাহেব তো একবার ধরে নিলেন যে হয়তো আজ আর দেখা হবে না পল্লবের সাথে। তিনি ভেবেছিলেন আজ তার সাথে কথা বলতে পারলে কাল সকালেই বাগেরহাটের উদ্দেশে রওনা হবেন। জয়ীকে একা একা রেখে এসেছে। এমনিতে মেয়েটার মানসিক অবস্থা ভালো না। একা একা কীভাবে থাকবে তা নিয়ে খুব চিন্তা হচ্ছে।

অধৈর্য হয়ে উঠে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল ঠিক সে সময় হুড়মুড় করে সেখানে ঢুকল পল্লব। পল্লবকে দেখে খালেক সাহেবের যেন হালে পানি ফিরল। তিনি উঠেই পল্লবকে শক্ত করে দু’হাতে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরলেন। অনেকদিন পর তার সাথে দেখা। পল্লব এতদিন পরে একটা ভরসার জায়গা পেল যেনো। সেও শক্ত করে খালেক সাহেবকে বুকে জড়িয়ে ধরল।

খালেক সাহেব খেয়াল করলেন পল্লব যেনো তার বুকের মধ্যে গেঁথে আছে। তার চশমার আড়াল থেকে সব কিছুই ঝাপসা দেখছেন। মনে মনে ভাবছেন কে বলবে এই ছেলেটা তার না। সম্পর্ক কি শুধু জন্ম দিলেই হয়? রক্তের সম্পর্ক ছাড়া কি সম্পর্ক হয় না? কই কল্লোল তো এভাবে ঝাঁপিয়ে পড়লো না তার বুকে। কল্লোলকে তো সে জন্ম দিয়েছে। ভালোবাসা শুধু রক্তের সম্পর্কেই হয় না।

পল্লবের সাথে অনেক কথা হলো। কথা বলার ফাঁকে ফাঁকে জয়ীকে নিয়ে নানান কথা জিজ্ঞেস করলেন তিনি। কিন্তু পল্লব ইচ্ছে করে কথাগুলোকে এড়িয়ে গেল। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন জয়ীর সাথে ঝগড়া হয়েছে কিনা। পল্লব জানে তার বাবা জয়ীকে খুব পছন্দ করে তাই সে জয়ীর ব্যাপারে সেসব কথা এড়িয়ে যেয়ে বলল, জয়ী এখন ওর মায়ের কাছে আছে।
এটা বলেছে না হলে তার বাবা যদি আবার জয়ীর সাথে দেখা করতে চায় তাহলে আরেক বিপদ হবে। খালেক সাহেব মনে মনে হাসলেন ছেলের মুখে এমন সাজানো গোছানো মিথ্যে কথার বহর শুনে।

পল্লবের সাথে কথার ফাঁকে ফাঁকে তিনি যতটুকু বুঝলেন পল্লব খুব বেশি ভালো নেই। ভেতরে ভেতরে একটা হাহাকার যেন বয়েই যাচ্ছে। ছেলেমেয়ে যত বড়ই হোক তার মনের কথা বুঝবে না এতটা অক্ষম বাবা মা নন। সরাসরি কিছুর জিজ্ঞেস করতেও পারছেন না তিনি।

বেশ সময় পরে উঠতে যাবে তখন হঠাৎ পল্লবের হাত দুটি চেপে ধরে তিনি বললেন, বাবা আমার শরীরের অবস্থা খুব বেশি ভালো না। নানান সমস্যায় জড়িয়ে আছি। বয়স হয়েছে বুঝিসই তো। হয়তো যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে। ছোট্ট জীবনে অনেক কিছুই চাওয়ার ছিল কিন্তু মানুষের চাওয়ার সাথে পাওয়ার পূর্ণতা হবে এটা তো কোন বিধানে লেখা নেই। আমার নাম হয়তো সেইসব হতভাগ্যদের খাতায় লিখেছেন যাদের চাওয়া পাওয়ার কোন মূল্য কারো কাছে নেই।
কথাগুলি বলতে বলতে খালেক সাহেবের সত্যিই চোখ বেয়ে গ্রীবাদেশ সিক্ত হলো।
খালেক সাহেবের চোখে পানি দেখে পল্লবের চোখজোড়াও ভিজে উঠল। সে মনে মনে ভাবল, সত্যিই তো! তার বাবা তো সেই সব হতভাগাদের দলেই। কী পেয়েছেন তিনি জীবনে? এত ভাল মানুষ হওয়া সত্ত্বেও স্ত্রীর কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। একজন পুরুষের কাছে এর থেকে কষ্টের আর কী হতে পারে? সারাটা জীবন স্ত্রী-সন্তানকে ছেড়ে একটা নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করছেন। তার নিজের থেকেও বেশি দুর্ভাগা মনে হচ্ছে তার বাবাকে। নিজের কষ্ট যেন নিমিষেই ভুলে গেল সে।

পল্লব তাকে কিছু বলতে যাবে তখনই খালেক সাহেব বললেন, আমি কি তোমার জীবন থেকে মাত্র সাতটা দিন আমার পাশে পেতে পারি? আমি আগামীকাল ঢাকা থেকে চলে যাচ্ছি। হতে পারে এটাই আমার শেষ আসা। আমি কি আগামী সাতটা দিন বাগেরহাটের মাটিতে তোমার সাথে থাকতে পারি? তোমাদের বাসায় আমি যতটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঠিক ততই আরাধ্য তোমরা আমার বাড়ীতে। পথ চেয়ে থাকি যদি কেউ আসো। কিন্তু আমার সেই চাহনি নিস্ফলই রয়ে যায়৷ বাবা, আমার চাওয়াটুকু কি খুব বেশি হয়ে গেল? আমি কল্লোলের কাছে এমন আবদার করবার সাহস পাইনি। কারণ সে কেমন তুমি তো জানোই। তাই তোমার কাছেই শেষ ভরসা হিসেবে এই আবদারটুকু!

বলতে বলতে খুব ইমোশনাল হয়ে গেলেন খালেক সাহেব।

পল্লব তো এমনিতেই ক’দিন ধরে খুব মানসিক যন্ত্রণার মাঝে দিন কাটাচ্ছে তাই তার কাছে তার বাবার করা আবদারটুকু মোটেও অন্যায় মনে হয়নি। সে নিজেও এই ইঁটকাঠের শহর ছেড়ে দূরে কোথাও পালাতে চায়৷ এই মানুষটিকে সে যতই এভয়েড করার চাক না কেনো সে পারবে না। রক্তের বাঁধন না থাকলেও এই মানুষটিই তার একমাত্র আপন।

পরদিন বাগেরহাটের বাসে চড়েছে বাপ ছেলে। সাঁ সাঁ করে গাড়ি ছুটছে তার গন্তব্যে। ইচ্ছে করেই নিজের গাড়ি আনেনি পল্লব। সে কিছুদিন তার মায়ের প্রাচুর্যের বাইরে একটা সাধারণ জীবন যাপন করতে চায়। একটা ব্যাকপ্যাকে মাত্র দুই তিনসেট পোশাক নিয়ে এসেছে। কাউকেই কিছু জানায়নি। তার মা জানলে তো তেলেবেগুনে জ্বলে উঠত। ছোটবেলা থেকে সে প্রায়ই তার বাবার কাছে যাবার আবদার করত তার আম্মির কাছে। কিন্তু সে কিছুতেই যেতে দিতে রাজী হতো না। মাঝেমাঝে এমন করে চুরি করে চলে আসত বাবার কাছে। আজও বহুকাল পরে সেই একইভাবে চলে এসেছে। এই মানুষটি যে তাকে পিতৃ পরিচয়ে আপন করে নিয়েছে তাকে সে কী করে এভাবে খালি হাতে ফেরাবে!

তার আম্মি তাকে না পেলে দুনিয়া তোলপাড় করে খুঁজতে শুরু করবে তাই একটা মেসেজ পাঠাল,

” আমি ক’দিনের জন্য ঢাকার বাইরে যাচ্ছি। অযথা খোঁজাখুঁজি করো না। আমার সময় হলে চলে আসব”!

চলবে…..

পর্ব- ৯

https://www.facebook.com/111576077291737/posts/463818142067527/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here