#সুখ_নীড়
#পর্ব_১৫
পুলিশ এসে তাদের মতো করে জয়ীর ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল সবার কাছে। সাজেদা চৌধুরীর তো মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে আছে। পল্লবকে নিষেধ সত্ত্বেও সে পুলিশ ডেকেছে। তার রেপুটেশনের ওপর যতভাবে দাগ লাগানো যায় কোনোদিকই বাদ রাখছে না এই ছেলে। পুলিশ সবার কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করে সমস্যার কোনো সুরাহা করতে না পেরে পল্লবকে জিজ্ঞেস করল, আপনার কি কাউকে সন্দেহ হয়?
এ প্রশ্নের সাথে সাথে পল্লবের মায়ের চোখদু’টি বেশ বড় হয়ে গেল। পল্লব কী বলে সেটা নিয়েই এবার তার প্রখর আগ্রহ! কারণ পল্লব যদি কোনোক্রমে একবার তার নাম বলে ফেলে তবে তার ওপর মিডিয়ার লোকজন নির্দ্বিধায় আংগুল তুলবে। প্রচণ্ড ভয় পায় সে এই মুহূর্তে এই হলুদ সাংবাদিকদেরকে। সামনে তার নমিনেশানের কথাবার্তা চলছে। এই মুহূর্তে কোনো ঝামেলায় সে পড়তে চায় না। আর জয়ীতাকে নিয়ে আগেই নানানভাবে বিতর্কিত সে। এই মুহূর্তে কোনোভাবেই আর নতুন কোনো বিতর্কে জড়ানো সম্ভব না। আর গুম কেসে তো একদমই না।
পুলিশের এই প্রশ্নে সে নিজেও কিছুটা আবেগপ্রবণ হবার অভিনয় করে ছেলেকে নিজেই বলে, হ্যা, বাবা। বলো। কাউকে তোমার সন্দেহ হয়! আমার শত্রুর অভাব নেই বুঝলেন! খুব ভয় হচ্ছে। জানেনই তো এবার ইলেকশান করছি। এখন নতুন নতুন শত্রুদের ডানা পাখনা গজিয়েছে। কেউ হয়ত আমাদেরকে বিপদে ফেলতে এই কাজটা করেছে। কিন্তু যেই করুক তার কাছে আমার প্রশ্ন শত্রুতা আমার সাথে হতে পারে তাই বলে আমার পরিবারের কারো সাথে কিসের শত্রুতা? আপনারা প্লিজ, একটু ভালো করে ইনভেস্টিগেট করুন!
পল্লব তার মায়ের এমন পরিবর্তনের ব্যাপারটা ঠিকই বুঝতে পারল। সে তার মায়ের মুখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে পুলিশকে বলল, না এখনো পর্যন্ত তেমন কাউকে সন্দেহ করিনি। তবে কিছু জেনে থাকলে অবশ্যই আপনাকে সর্বপ্রথমে জানাব। আপনারা প্লিজ একটু সিসি ক্যামেরার ব্যাপারটা দেখেন। আর কীভাবে ইনভেস্টিগেট করলে সঠিক ভাবে আগানো যাবে সেটা একটু দেখেন।
পুলিশ ইন্সপেক্টর আহসান আলী তাকে বলল, বাহাত্তর ঘণ্টার আগে আমরা কোনো মিসিং কেস নেই না। কিন্তু আপনি কল করেছেন তাই চলে এসেছি। সিসি ফুটেজ এর ব্যাপারটা আমাদের ইনভেস্টিগেট টিমকে দেখাব। ওনারা ভালো বুঝবেন। তবে আপনি যদি কাউকে সন্দেহ করেন আমাদের জানালে আমাদের জন্য তদন্ত শুরু করা সহজ হবে।
– আমি নিজেই আপনাকে জানাব কাউকে যদি আমার সন্দেহ হয়। আপনি প্লিজ, দ্রুত সিসি ফুটেজ উদ্ধারের চেষ্টা করুন। এখান থেকে হয়ত কোনো ক্লু পাওয়া যাবে।
আহসান আলী পল্লবকে আশ্বাস দিয়ে চলে গেল।
আহসান আলী যাবার পরে পল্লব তার মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল, সতিই তুমি কিছু জানো না, আম্মি?
– পল্লব, তোমার সাহস দেখে আমি অবাক হচ্ছি। কোন সাহসে তুমি এ বাড়ীতে পুলিশ ডেকেছ? একবারও জিজ্ঞেস করেছ আমাকে?
– এখানে সাহসের কী ব্যাপার দেখতে পেলে! আমি আমার ওয়াইফকে খুঁজে পাচ্ছি না। তোমরা আমাকে কেউ হেল্প করছ না। তাহলে কারো না কারো হেল্প তো আমার নিতেই হবে। আমি সেটাই নিয়েছি।
– তুমি জানো তোমার এই ছোট ভুলের মাশুল আমাকে কী করে দিতে হবে? একের পর এক ভুল তুমি করেই যাচ্ছ আর আমি মাশুল দিয়েই যাচ্ছি। আমিও তো মানুষ নাকি! এই বয়সে এসে এত প্যারা আর ভালো লাগে না। ভেবেছি শেষ বয়সটা বিজনেস সব তোমাদের হাতে বুঝিয়ে দিয়ে আমি আমার বাবার দেখানো পথে রাজনীতির মাঠে বাকী জীবনটা কাটাব। কিন্তু তুমি তো আমার সবখানেই কাঁটা বিছিয়ে রাখতে পিছ পা হচ্ছ না।
– আম্মি, আমি এখনো কিছুই করিনি। এ তো সবেমাত্র শুরু। এই খবর মিডিয়ার কানে গেলে কী হবে ভালো করেই জানো। আমি আহসান আলীকে রিকোয়েস্ট করেছি যেনো মিডিয়ার কোনো কাকপক্ষীও টের না পায়। কিন্তু জয়ীকে খুঁজতে তোমরা কো অপারেট না করলে এটা খুব বেশিক্ষণ চাপা থাকবে না। তাই আমি বাড়ির সবার কাছে রিকোয়েস্ট করব জয়ীর খোঁজ যেই জানুক না কেন আমাকে জানাতে। আমি জাস্ট জয়ীকে চাই। ওর সাথে যে যাই করুক না কেনো আমি একবারের জন্যও টু শব্দটি করব না। কথা দিলাম। শুধু জয়ীকে পেলেই আমার চলবে!
সাজেদা বেগম ছেলের উপর এক প্রকার রাগ করেই নিজের রুমে চলে গেলেন। এদিকে পল্লব তো হন্য হয়ে পুরো বাড়িতে আবার চক্কর লাগাচ্ছে জয়ীর খোঁজে। সে বুঝতে পেরেছে কেউই তাকে জয়ীতাকে খুঁজতে সাহায্য করবে না। তাই বসে থেকে কোনো লাভ নেই। পুরানো এই তিনতলা বাড়িটার কোণা কোণা চষে বেড়াচ্ছে সে। একেকটা জায়গায় প্রয়োজনে সে বারবার খুঁজছে। তার দৃঢ় বিশ্বাস জয়ী বাড়ির ভিতরেই আছে। সে নিজেই খেয়াল করে দেখেছে জয়ীর স্যান্ডেলগুলো পর্যন্ত ঠিকঠাক আছে। জয়ী নিশ্চয়ই খালি পায়ে বাইরে বের হয়নি। তাছাড়া পরিচিতজন যে যেখানে আছে সবার কাছেই খোঁজ নেওয়া হয়ে গেছে ।
তার বাবা খালেক সাহেবের সাথেও খানিকক্ষণ আগে কথা বলেছে। জয়ীর কথা কিছু জিজ্ঞেস করার সাহস পায়নি পল্লব। তাছাড়া খালেক সাহেব যেভাবে তার কাছেই উল্টো জয়ীর শরীর কেমন আছে, সে কী করছে এসব খোঁজ-খবর জিজ্ঞেস করেছে তাতে পল্লব নিশ্চিত সেখানে এবার জয়ী যায়নি।
বিছানায় এপাশ ওপাশ করেই রাত পার হয়ে যাচ্ছে পল্লবের। বুকের মাঝে দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। কী হয়েছে জয়ীর সাথে? তার শুধু মনে হচ্ছে তার আম্মিই কিছু করেছে। কিন্তু কী করে সত্যি বের করবে? ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকিয়ে দেখল, রাত সাড়ে তিনটা বাজে। না খেয়েই শুয়ে পড়েছে সে। জয়ী তাকে বারবার বলেছিল বাগেরহাটে থেকে যাবার কথা। সে এখানে আসতেই চায়নি। জয়ী জানত এ বাড়িতে সে নিরাপদ নয়। সব জেনেশুনেও জয়ীকে সে এখানে নিয়ে এসেছে। নিজেকে বড় অপরাধী লাগছে পল্লবের। জয়ীতাকে নিরাপত্তা দেওয়া তার কর্তব্য ছিল। কিন্তু সে একদমই বুঝতে পারেনি তার ঘরে কতটা অনিরাপদ আর অনিশ্চিত জয়ীর জন্য।
পল্লবের হঠাৎ মনে হলো চিলেকোঠার পাশেই একটা স্টোর রুম আছে। সেখানে বাড়ির যত পুরানো আসবাবপত্র কাগজপত্র ফেলে রাখা হয়। সে এই একটা জায়গাই খোঁজা বাদ রেখেছে। কারণ ওই স্টোররুমে সচরাচর বাড়ির সার্ভেন্ট ছাড়া আর কেউই ঢুকে না।
পল্লব ছোটবেলাতে বাড়ির পুরানো সার্ভেন্ট রাবুর সাথে দুই একবার ঢুকেছিল। এরপরে কোনদিন ওই রুমে যাওয়া হয়নি। পল্লবের সিক্সথ সেন্স বারবার তাকে জানান দিয়ে যাচ্ছে যে ওই রুমে গেলেই সে জয়ীতাকে পাবে। ঘরের মধ্যেই কোথাও জয়ীকে গায়েব করা হয়েছে। বাইরে নিলে কেউ না কেউ দেখত। সবাই কি আর মিথ্যে বলবে তার কাছে! তার শুধু মনে হচ্ছে এই কাজটার পেছনে তার আম্মিরই হাত রয়েছে। পুলিশের সামনে সে মুখ খোলেনি তার আম্মির রেপুটেশনের কথা ভেবে। তার কাছে তার আম্মির বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ নেই। যদি তার সন্দেহ অমূলক হয় সে ক্ষেত্রে তার আম্মিকে শুধু শুধু ফাঁসিয়ে দেওয়াটা উচিত হবে না। এমনিতেই তার দোষের শেষ নেই।
পল্লব মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলো, এবার জয়ীতাকে খুঁজে পেলে এ বাড়িতে আর এক মুহূর্ত না। জয়ীকে নিয়ে সে আলাদা সংসার পাতবে! তার আম্মি যা ভাবে ভাবুক। কাউকে সে পরোয়া করে না। জয়ীকে দেওয়া প্রত্যকটি কথা সে রাখবে। অনেক হয়েছে।
স্টোর রুমের চাবি থাকে বাড়ির সবচাইতে পুরানো কর্মচারী রাবুর কাছে। পল্লব তাকে রাবু খালা নামেই ডাকে। মহিলার বয়স তার মায়ের বয়সের প্রায় কাছাকাছি। সেই ছোটবেলা তার নানা এনেছিল এ বাড়িতে। খুবই বিশ্বস্ত আর ঘরের মানুষের মতো। প্রয়োজনে ঘরের মানুষের জন্য জীবন দিয়ে দিতে পারে এই মহিলা। তাই তার আম্মি তাকেই এ বাড়ির বেশিরভাগ দায়-দায়িত্ব নিশ্চিন্তে সঁপে দিয়েছে। পল্লব এবং কল্লোলকে মানুষ করার দায়িত্বও এই মানুষটির হাতেই ছিল। রাবু খালাও নিজের বাচ্চার মত করে এদেরকে মানুষ করেছে। এই ভুবনে তার আর আপনজন তো কেউ নেই। এরাই তার আপন মানুষ।
একটু বেঁটে ধরনের গাট্টা গোট্টা শরীরের অধিকারী রাবু খালা। পল্লবের আম্মির একদম যথার্থ সহকারী। মেজাজ মর্জি খানিকটা সাজেদা চৌধুরীর মতোই কাঠখোট্টা ধরণের । বাড়ির সব চাকর-বাকর তাকে বেশ সমীহ করে । মালিকের প্রতি ভীষণ রকমের অনুগত সে। এজন্যই নিজের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে। তবে সাজেদা চৌধুরীর মতো মেজাজি হলেও পাষাণ দিলের মানুষ সে না। মন-মানসিকতাও এত নোংরা না। কাজের ফাঁকে যে সময়টুকু পায় সেটুকু ধর্মকর্ম করেই কাটায়। পল্লব, কল্লোলও তার মায়ের মত করেই এই মানুষটিকে সম্মান করে।
পল্লব ছুটে গেল নিচতলাতে রাবু খালার রুমে। রাত তখন গভীর। বাড়ির সবাই মোটামোটি ঘুমিয়ে গেছে।
রাবু মাত্র তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার জন্য উঠেছে। এ বাড়িতে সেই একমাত্র সার্ভেন্ট যার একটা পার্সনাল রুম আছে। বাকিরা সবাই এক রুমে গাদাগাদি ঠাসাঠাসি করে থাকে। পল্লবই ছোটবেলা রাবুখালার কষ্ট দেখে তার মায়ের কাছে আবদার করেছিল তার জন্য আলাদা রুমের জন্য। তার আম্মিও ছেলের কথা ফেলতে পারেননি। রাবুকে বাকী সার্ভেন্টদের থেকে সরিয়ে আলাদা করে রুম দেওয়া হয়।
পল্লবের প্রতি রাবু খালার প্রচণ্ড রকমের টান। নিজের ছেলের মতো ভালোবাসেন।
রাবু খালার রুমের দরজা খোলাই ছিল। এত রাতে পল্লবকে দেখে সে ভীষণ অবাক হয়।
ইশারায় জিজ্ঞেস করে কী হয়েছে? কোনো সমস্যা?
রাবু খালা কথা বলতে পারে না। খুব ছোটবেলা একটা এক্সিডেন্ট হয়ে তার জিহবার আগা থেকে খানিকটা কেটে পড়ে গিয়েছিল। ঠোঁটের সাহায্যে দুই চারটা শব্দ কষ্ট করে বোঝাতে সক্ষম হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তার কথা কেউ বোঝে না। ইশারা ইঙ্গিতের সাহায্যেই সবার সাথে কথা বলে। বাড়ির সবাইই তার সাথে এভাবে এখন কথা বলায় অভ্যস্ত। সবাই বোঝেও। পল্লব আর কল্লোল তো সবার থেকে বেশি বোঝে।কারণ এনার কোলেই ওরা মানুষ হয়েছে।
পল্লব বলল, আমি চিলেকোঠার স্টোর রুমের চাবি চাই৷ খালা।
রাবু কিছু সময় থেমে থেকে ইশারায় আবার জানতে চাইল, কেনো? এত রাতে সেখানে যাওয়া যাবে না। সাপখোপ থাকতে পারে। ওখানে অনেকদিন হয় পরিষ্কার করা হয় না।
পল্লব বলল, সমস্যা নেই। আমি ম্যানেজ করে নিবো। আমি ওসবে ভয় পাই না।
রাবু অনেকভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেও পল্লবকে বোঝাতে অপারগ হন। পল্লবের কেনো যেনো মনে হচ্ছে জয়ী ওখানেই আছে। আর তার আম্মিই এসব করেছে। আসলে তার আম্মি জয়ী আবার ফিরে এসেছে এটা মেনে নিতে না পেরেই এ ধরণের একটা ঘৃণ্য কাজ করেছে। জয়ী ওখানে কতটা কষ্ট পাচ্ছে ভেবেই তার বুক ভার হয়ে যায় ।
রাবু খালার থেকে চাবি নিয়ে রুমে ঢুকেই লাইট অন করল। রাবু খালাও পিছু পিছু এসেছিল কিন্তু পল্লব তাকে বাধা দিলো। রাবুকে অগত্যা ইচ্ছে না থাকা স্বত্তেও পল্লবের কথায় রাজী হয়ে ফিরে যেতে হয়েছে। সাজেদা চৌধুরীর কাছে কিছু জানাবে সেটাও পারছে না। পল্লব তাকে বারবার করে নিষেধ করেছে কাউকে কিছু না জানাতে! তাছাড়া এতরাতে সাজেদা চৌধুরীর রুমে যাওয়াটাও সমীচীন মনে করলেন না।
রুমে ঢুকতেই পল্লবের মনে হলো এখানে হয়তো বহুদিন তেমন কারো আসা যাওয়া হয় না। স্টোররুম ভর্তি গাদাগাদি করে রাখা পুরানো আসবাব, স্যানিটারি জিনিসপত্র আর বাক্স পেটরায়। মাকড়সার জালে পরিপূর্ণ চারপাশে। চারপাশে চোখ বুলিয়ে তার মনে হলো না ভেতরে কেউ থাকতে পারে৷ তবুও নিজের মনকে আশ্বস্ত করতে সে সবকিছুর আড়ালে আবডালে মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে জ্বালিয়ে খোঁজ করছে। কিন্তু না কোনোকিছুই নেই।
হঠাৎ তার মনে হলো কর্ণারের দিক থেকে খুটখুট শব্দ হচ্ছে। পল্লবের কান খাড়া হলো। সে সজাগ দৃষ্টিতে খানিকক্ষণ খেয়াল করে পরে শব্দকে আন্দাজ করে করে সামনে আগাতে লাগল। কিন্তু না! কিছুই দেখতে পেল না। আধঘন্টা ধরে খুব ভালো করে দেখল।
পল্লব রুমটা তালাবদ্ধ করে ছাদে যেয়ে দোলনায় বসল। মাথাটা প্রচুর ব্যথা হচ্ছে তার। আজকাল কোনো টেনশান সে নিতেই পারে না। কী হলো জয়ীর সাথে ভেবেই কূল পাচ্ছে না। আসলেই কি তার আম্মিই জয়ীকে লুকিয়েছে নাকি অন্য কিছু ঘটেছে? নাকি সত্যিই জয়ী তাকে ছেড়ে চলে গেছে? কিছুই মাথায় আসছে না পল্লবের। জয়ীকে নিয়ে মাত্রই সুখের একটা ঘর বাধার স্বপ্ন দেখল অমনিই এভাবে ঝড় একেবারে এলোমেলো করে দিলো! কীভাবে কোনপথে এগুবে সেটাই তার মাথায় আসছে না। একটু যদি কোনো ক্লু পেত তবুও কিছুটা আশা করতে পারত!
মাথার উপরে অঝোরে শিশির পড়ছে। সেদিকে হুশ নেই তার। হুশ থাকবেই বা কী করে ? চোখের পানিও যে সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বয়েই যাচ্ছে। কিছুতেই নিজেকে সামলাতে পারছে না সে। ভালোবাসার মানুষ হারানোর কষ্ট কতটা ভয়াবহ সেটা একমাত্র যে হারিয়েছে সেই জানে!
চলবে…..
পর্ব- ১৪
https://www.facebook.com/111576077291737/posts/469026024880072/