সুখ নীড় পর্ব-২৯

0
272

#সুখ_নীড়
#পর্ব_২৯

কয়েক মুহূর্তের জন্য আপন ভাবলেও সাজেদা চৌধুরী তার রূপ দেখিয়ে দিলেন আবারও। কিছুসময় আগেই জয়ীতাকে যা না বলা যায় সেসব কথা বলে ইচ্ছেমতো গালাগাল করেছেন। জয়ীতাই নাকি তার ছেলেকে খুন করেছে। জয়ীতাকে থ্রেট করেছে সে তার নাতীকে জয়ীতার বুক থেকে কেড়ে নিয়ে এই খুনের প্রতিশোধ নিবে । আর জয়ীতাকে স্বামী হত্যার দায়ে জেলে পঁচে মরতে হবে।

জয়ীতার সমস্যা যেন কাটছেই না। একটা শেষ হতে না হতেই আরেকটা হাজির। একদিকে পল্লবকে হারিয়ে সে বিপর্যস্ত অন্যদিকে তার নিজের ঘাড়েই পল্লবের খুনের বোঝা চাপানোর হুমকি ধামকি। তার সাথে যোগ হয়েছে তার নবজাতক বাচ্চাটিকে হারানোর নতুন ভয়।

কোনো উপায়ান্তর না দেখে সে তুহিনকে ফোন করল। তুহিন ছাড়া এই মুহূর্তে আর কাউকে সে ভরসাও পায় না। তুহিন সবকিছু জেনে জয়ীতাকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ করল। জয়ীতা বুঝতে পারছে তার শ্বাশুড়িকে সাথে নিয়ে সামনে আগাতে গেলে এক পা এগুলে দুই পা পিছু ফিরে আসতে হবে। তাই পল্লবের খুনী পর্যন্ত পৌঁছাতে হলে তাকে নিজেকেই যা করার করতে হবে।
এজন্য এখন তাকে যদি কেউ সাহায্য করতে পারে সেটা হচ্ছে একমাত্র তুহিন। এই একটিমাত্র মানুষই এখন তার নিখাঁদ শুভাকাঙ্ক্ষী। তুহিনের কাছে সব কথা খুলে বলতেই তুহিন প্রথমে কিছুটা ইতস্তত করলেও পরে তাকে অভয় দেয় । এ ব্যাপারে সে জয়ীতার সব ধরনের সাহায্য করবে কথা দেয়।

পরেরদিন সকালবেলায় জয়ীতা থানায় অপেক্ষা করছে তুহিনের। সে থানায় এসেছে পল্লবের ব্যাংক স্টেটমেন্ট নেওয়ার জন্য। থানায় এসে ওসি সাহেবের কাছে জানল যেসব এটিএম বুথ থেকে পল্লবের ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে সেসব বুথের সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে ইতিমধ্যে । এটা জানার পরে জয়ীতার টেনশন কিছুটা কমলো। অন্তত এ যাত্রায় তার শাশুড়ির রোষানল থেকে কিছুটা হলেও তো রক্ষা পাওয়া যাবে।

ওসি জামান সাহেব জানালেন, কিছুক্ষণ পরে সাজেদা চৌধুরীও আসছেন এখানে। তার সাথে কথা হয়েছে।

জয়ীতা উনি আসা পর্যন্ত অপেক্ষায় বসতে চাইছে না।উনার সামনে পড়ার কোন ইচ্ছেই জয়ীতার নেই। সে তুহিনকে দিয়ে অনুরোধ করালো যাতে ভিডিও ফুটেজটা তাদেরকে দেখানো হয়।

ট্রানজেকশনের টাইমের সাথে মিলিয়ে সিসিটিভি ফুটেজের দিকে তারা গভীরভাবে খেয়াল করছে। পল্লবের একাউন্ট থেকে টাকা উঠানোর কাছাকাছি সময়ে যারাই টাকা তুলেছে সবগুলো ছবি খুব ভালো করে জুম করে দেখানো হচ্ছে জয়ীতাকে।

হঠাৎ জয়ীতার চোখ দুটো বড়ো বড়ো হয়ে উঠল। তুহিনও ব্যাপারটা খেয়াল করে বলল, কাউকে চিনতে পেরেছেন?

জয়ীতা বলল, হ্যাঁ চিনতে পেরেছি। এই তো সেই মেয়ে যে ঐ রাতে আমার বাসায় এসেছিল। যার কাছ থেকে আমি পল্লবের ফোনটা পেয়েছিলাম। কী যেন নাম বলেছিল…. মেঘনা! যদিও এটা ওর আসল নাম না আমার বিশ্বাস। এই ডাইনীটাই তাহলে সব জায়গা! ও মাই গড।

জয়ীতার কথা শুনে ভারপ্রাপ্ত অফিসার জামান এবং তুহিন দুজনেরই চোয়াল শক্ত হয়ে উঠল। তুহিন এগিয়ে এসে ছবিটা দেখতেই সে নিজেও বড় একটা ধাক্কা খায়।

পুলিশ অফিসার আরো পাকাপোক্তভাবে নিশ্চিত হবার জন্য প্রত্যেকটা ট্রানজেকশনের টাইম অনুযায়ী সবগুলো সিসিটিভি ফুটেজ চেক করলেন। এই ক’দিনে বেশ কয়েকবার টাকা তোলা হয়েছে পল্লবের একাউন্ট থেকে।
অবাক করা বিষয় হলো প্রত্যেকটা সিসিটিভি ফুটেজে এই একটা মাত্র মেয়েকেই দেখানো হচ্ছে। জয়ীতা ভাবছে এই মেয়ের যদি অন্য কোনে সহযোগী থাকে তাহলে তারা কই? নাকি সবকিছু এই মেয়েটা একাই করেছে? তাহলে কি তার সব ধারণা মিথ্যে?

তুহিনের চোখ-মুখের পরিবর্তন দেখে জয়ীতা বুঝতে পারল যে কিছু একটা চলছে তুহিনের ভেতর!

সে তুহিনকে জিজ্ঞেস করল, তুমিও একে চেনো?

তুহিন কিছুটা ইতস্তত করে বলল, হুম, চিনি।

দায়িত্বরত অফিসার জামান এবার সতর্ক হলেন। জয়ীতা কিছু জানতে চাইবার আগেই তিনি জিজ্ঞেস করলেন, উনার সম্পর্কে কী জানেন সবকিছু ডিটেইলস এ বলুন।

– না, মানে আসলে আসলে …..

তুহিনের এমন গরিমসি দেখে অফিসার জামান বললেন, দেখুন! কোনো রকম কিছু লুকানোর চেষ্টা করবেন না। একবারও এমন কথা ভাববেন না। তাহলে আপনি অনেক বড় ঝামেলায় পড়বেন। আপনি বুঝতে পারছেন এটা মার্ডার কেইস। উনার সম্পর্কে যা কিছু জানেন সবকিছু বলেন। কথা দিচ্ছি কোনো বিপদ হবে না আপনার।

– ওর নাম মোহনা! আমি আর ও একসাথে এমবিএ করেছি।

জয়ীতা তো এবার আরো অবাক। তার চিন্তাই ঠিক। এই মেয়ে আসল নাম লুকিয়ে অন্য নাম ব্যবহার করেছে।

– তুহিন আর কিছু বলছে না দেখে অফিসার জামান বললেন, এটুকুই নাকি আরো কিছু জানেন? মানে ওনার সাথে আপনার রিলেশন কেমন ছিল? উনি এখন কোথায় থাকে?

– আমার আর মোহনার রিলেশন ভালোই ছিল আমরা ক্লোজ বন্ধু ছিলাম। কোথায় থাকে সেটা আমি জানি না।

– শুধুই ক্লোজ বন্ধু ছিলেন নাকি এর থেকেও বেশি কিছু? প্লিজ কো-অপারেট করুন। কোনোকিছু লুকাবেন না। আপনি লুকালেও আমরা তদন্ত করে সব কিছু বের করে ফেলব কিন্তু আপনি নিজে থেকে যদি আমাকে সবকিছু বলে দেন সেক্ষেত্রে দেখা যাবে আমাদের একটু বেগ কম পেতে হবে, কাজটা আমাদের জন্য সমাধান করা সহজ হবে, দ্রুত হবে। সাথে আপনারও বিড়ম্বনা হবে না।

– বেশ কয়েক সেকেন্ড চুপ করে থেকে তুহিন আস্তে করে বলল, মোহনার সাথে আমার রিলেশনটা বন্ধুত্বের থেকেও বেশ কিছু ছিল। আমরা দু’জন দু’জনকে পছন্দ করতাম।

– করতাম তার মানে এখন তার সাথে আপনার কোনো রিলেশন নাই সেটা বোঝাতে চাইছেন তো?

– জি। ওর সাথে আমার খুব ভালো রিলেশন ছিল এটা সত্যি । কিন্তু বেশ কিছু কারণে ওর সাথে আমার ব্রেক আপ হয়ে যায় আজ থেকে আরও দেড় বছর আগে।

জয়ীতা হাঁ করে সবকিছু গিলছে। তার মাথায় ঢুকছে এই মেয়ে যদি তুহিনের গার্লফ্রেন্ড হয়ে থাকে সেখানে পল্লবকে কেন খুন করতে যাবে। পল্লবের সাথে এই মেয়েটির কীসের শত্রুতা?

– তো তুহিন সাহেব, যেহেতু মোহনার সাথে আপনার একটা ভালো রিলেশন ছিলো তাই আপনি ভাল করেই চিনেন। এজন্য ওর নাড়ি নক্ষত্র সম্মন্ধে সবকিছু বললে আমার জন্য খুব ভালো হতো। আর তদন্তেও খুব সুবিধা হতো।

– ও খুব হাই অ্যাম্বিশাস একটা মেয়ে। সাথে ভীষণ লোভীও। মোটামুটি মধ্যবিত্ত ঘরের একটা মেয়ে। বাবা বেঁচে নেই, মা আছেন। আরো দুই ভাই আছে ওর। পরিবারের সাথে ওর সম্পর্ক খুব একটা ভালো না। স্বাধীনচেতা টাইপের মানুষ। কাকরাইলে ওদের ভাড়া বাসার ঠিকানাটা আমি জানি যদি সেই আগের বাসাতেই থাকে তাহলে আমি আপনাকে ওর বাসা চিনিয়ে দিতে পারব কিন্তু যদি বাসা শিফট করে সেক্ষেত্রে আমার আর কিছু করার থাকবে না।

– ও আই সি! কিছুক্ষণ অফিসার থেমে থেকে আবার বললেন, দেখুন! এটা যদিও আপনার পার্সোনাল ম্যাটার। তাও আমাদের ইনভেস্টিগেশন এর খাতিরে আপনাকে একটু জিজ্ঞেস না করে পারছি না। ওনার সম্পর্কে আপনি যে বিশেষণগুলো ইউজ করেছেন একটাও তো উনার প্রতি ইমপ্রেস হওয়ার মতো মনে হলো না। ওনার কোনো ভালো গুণ আপনার চোখে পড়েনি নাকি ওনার সাথে রিলেশন নেই দেখে এখন সবকিছুই আপনি ওনার খারাপ ভাবে দেখছেন?.

– দেখুন, আমি ওর সাথে যখন রিলেশনে জড়াই তখন ওকে ঠিক চিনতে পারিনি। মানুষের মানুষ চিনতে ভুল হয়। এটাই স্বাভাবিক। ও খুব ভালো স্টুডেন্ট ছিল, পড়াশোনায় পাংচুয়াল। আমরা অনেক সময় ধরে গ্রুপ স্টাডি করতাম সেভাবে ওর সাথে আমার একটা রিলেশন তৈরি হয়। বেশিদিন অবশ্য আমাদের সম্পর্ক টেকেনি। মাস ছ’য়েকের মাথায় আমাদের ব্রেকআপ হয়ে যায়।

– যদি কিছু মনে না করেন কারণটা জানতে পারি?

– কারনটা তো আগেই বললাম! ওর স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে আমি যখন ভালোভাবে জানতে পারি তখন ধীরে ধীরে ওর থেকে আমি দূরে সরে এসেছি। ও আসলে শুধুমাত্র আমাকেই নয় ফিনান্সিয়াল অ্যাবিলিটি ভালো এমন দেখে আরো দু’ চার জন ছেলের সাথে রিলেশন করেছে আমি যতদূর জানি। এটা আমি জানার পর থেকে ধীরে ধীরে ওর থেকে দূরে সরে এসেছি। তাছাড়া ওই মাস ছ’য়ের মধ্যে ওর সাথে আমার দুই একবার আরো নানান অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে! ওর স্বভাব চরিত্র তখন আমি মোটামুটি বুঝতে পেরেছি তাই ওর থেকে আমি সরে এসেছি। ও প্রচণ্ড লোভী একটা মেয়ে। টাকা পয়সা ছাড়া কিছুই বোঝে না । স্টুডেন্ট হিসেবে যতটা না ভালো মানুষ হিসেবে ঠিক ততটা খারাপ এবং বাজে।

– আপনি কি নিজে থেকে সরে এসেছেন নাকি ও আপনার থেকে সরে গিয়েছে?

– দুটোই বলতে পারেন আমি ওকে অ্যাভয়েড করতে শুরু করেছি এবং ও যখন বুঝতে পেরেছে ও আমার কাছে যা আশা করছে সেটা কখনো পাবে না তখন ও নিজেও আমাকে অ্যাভয়েড করতে শুরু করেছে এভাবে আস্তে আস্তে আমাদের মধ্যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়।

– আই সি! আচ্ছা এবার বলুন পল্লব সাহেবের সাথে উনার কীভাবে পরিচয় থাকতে পারে? পল্লব সাহেবের বাসাতেই বা কেন গেল বা উনার ফোনটাই বা তার কাছে কী করে এলো ? তাছাড়া উনি দেখছি পল্লব সাহেবের ব্যাংক পাসওয়ার্ড পর্যন্ত জানে। পল্লব সাহেবের এটিএম কার্ডটা ওনার কাছে! ব্যাপারটা কী বলুন দেখি! যেহেতু পল্লব সাহেব আপনাদের সাথে কাজ করতেন সেহেতু আপনার হয়তো কিছু জানা থাকতে পারে!

– সরি, এ ব্যাপারে আপনাকে আমি সাহায্য করতে পারছি না কারণ আমার চোখে এমন কিছুই পড়েনি। পল্লব ভাইয়ের সাথে ওনার কোনো পরিচয়ই আছে কিনা সেটা পর্যন্ত আমি জানি না।

– আচ্ছা, ম্যাডাম জয়ীতা! আপনার কাছে একটু আসি। আপনার কি কখনো মনে হয়েছে পল্লবের সাথে এই মেয়ের কোনো যোগাযোগ থাকতে পারে?

– জি না। এমনটা আমার কখনোই মনে হয়নি। পল্লবের সাথে যদি ওর পরিচয় থাকত তাহলে আমি নিশ্চয়ই একে চিনতাম। পল্লব আমাকে বলত।

– আচ্ছা আচ্ছা। কিছু মাইন্ড করবেন না, প্লিজ।আপনার পার্সোনাল লাইফ সম্পর্কে কয়েকটা কোশ্চেন জিজ্ঞেস করব। আশা করছি আপনি তদন্তের স্বার্থে কোনোকিছু লুকাবেন না।

– অবশ্যই আপনি জিজ্ঞেস করতে পারেন।

– আপনাদের ম্যারেড লাইফ কেমন ছিল? হ্যাপি ছিল নাকি…. মানে কোনো সন্দেহ, অবিশ্বাস…মানে বুঝতেই তো পারছেন আমি কী বুঝাতে চাচ্ছি!

– জি, আমি বুঝতে পারছি। প্লিজ, পল্লব এই পৃথিবীতে নেই। ওকে নিয়ে কোনো উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করা হোক এটা আমি চাই না।

– দেখুন, আমি বুঝতে পারছি আপনার খারাপ লাগছে আমার কথা শুনতে। কিন্তু আপনাকে এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। পরিস্থিতিটা এখন এমনই হয়ে দাঁড়িয়েছে। পল্লব সাহেবের ব্যাংক কার্ড অন্য একটা মেয়ের কাছে পাওয়া গিয়েছে এবং এই মেয়ে সম্পর্কে যে কথা শুনলাম তাতে কোনো কিছুই অমূলক ভাবা যাচ্ছে না। আমি পল্লব সাহেব সম্পর্কে যতদূর ইনভেস্টিগেট করে জেনেছি, শুনেছি ওনার নাকি দুইটা বাসা ছিল। একটাতে আপনাকে নিয়ে থাকত আরেকটা বাসা ঢাকাতে যেখানে উনি একা থাকতেন। আপনার মনে কখনো সন্দেহ হয়নি ওই বাসাতে উনি একা কেন থাকতেন, কাকে নিয়ে থাকতেন?

-না, কখনো সন্দেহ হয়নি। কারণ পল্লব সেরকম নয় আর আমাদের দুটো বাসা থাকার কারণটা আপনাকে আমি গতকালই বলেছি। আমাদের পারিবারিক কিছু সমস্যা আছে যে কারণে পল্লব এভাবে থাকত। আমাকে কেন বিরুলিয়া থাকতে হয়েছে সেটাও আপনাকে বলেছি। আমার শাশুড়ির সামনেই আপনাকে বলেছি। আবার কেন এটা জিজ্ঞেস করছেন?

 

– দেখুন আমাদেরকে সবদিক ভেবেই তদন্ত করতে হয়। ঠিক আছে। আপনার কথাই মেনে নিলাম। তবে আপনিই বলুন এই মেয়ে পল্লব সাহেবের ব্যাংক কার্ড কীভাবে পেল আর পাসওয়ার্ডই বা কীভাবে জানল?

– যেভাবে ওর মোবাইল পেয়েছে। আর পাসওয়ার্ডের ব্যাপার হচ্ছে পল্লবের পার্সে ব্যাংক কার্ডের পেছনেও একটা কাগজে এই কার্ডের পাসওয়ার্ড লেখা ছিল। ওই একাউন্টটা ও নতুন করেছিল। পাসওয়ার্ড মনে না থাকত না বিধায় ও লিখে রেখেছিল। এটা আমি নিজে দেখেছি। এই মেয়ে কোনোভাবে হয়ত ওর থেকে ব্যাংক কার্ড জব্দ করেছিল। দ্যাটস সিম্পল! অথচ এ নিয়ে আপনি আমার পল্লবের চরিত্র নিয়ে আজেবাজে বলছেন!

তুহিনের দিকে তাকিয়ে জয়ীতা বলল, চলুন! এনারা এনাদের মতো তদন্ত চালিয়ে যাক। আমরা আমাদের মতো একটু চেষ্টা করি।

জামান সাহেব তুহিনের কাছে আরো কিছু বিবৃতি নিয়ে তখনকার মতো ছেড়ে দিলো।
তুহিন আর জয়ীতা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। এখান থেকে দ্রুত বের না হলে ওই মেয়ে আবার না কোথায় লাপাত্তা হয়ে যাবে! যত দ্রুত সম্ভব ওকে ধরতে হবে। না হলে মূল কালপ্রিট ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে যাবে।

চলবে……

পর্ব- ২৮..

https://www.facebook.com/111576077291737/posts/524600352655972/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here