-‘এলোকেশী কন্যা-‘
[১০]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)
রোদ আশেপাশে তাকিয়ে মেঘকে কোথাও না দেখে উঠে দাঁড়াল। এই ছেলেটা একদন্ড স্থির থাকে না। বাসাতে যেমন চঞ্চল বাইরেও তেমন। রোদ বিরক্ত নিয়ে মেঘকে খুঁজতে সামনের দিকে পা বাড়াল। মেঘ হাঁটু গেড়ে বসে আলোর রুমে রাখা মাটির কলস থেকে পানি ঢালছে। তাড়াহুড়ো করে পানি ঢালতে গিয়ে অনেকখানি পানি মেঝেতে পড়ে গেল। মেঘ দ্রুত উঠে পাপোশ দিয়ে পানিটুকু ঢেকে দিলো। যাতে কেউ দেখে বুঝতে না পারে। এই গোপন কাজটা করে মেঘ দাঁত বের করে হেসে উঠে দাঁড়াল। তখন রোদ রুমে এসে মেঘকে দেখে ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞাসা করল, “পানি কী করবে, খাবে? আর আমাকে না বলে কোথায় গিয়েছিলে?”
“দাভাই, একটা মানুষ পানি খাবে।”
“কোন মানুষ?”
মেঘ পানি হাতে নিয়ে মকবুলের কথাটা রোদকে জানাল। কথাটা শুনে রোদের কপালে ভাঁজ পড়ল। একটা মানুষকে তো আর কেউ এমনি আঁটকে রাখে নি। নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে! তাছাড়া এখানকার মানুষ গুলোও সুবিধার না। আগ বাড়িয়ে কিছু করে বিপদে পড়া যাবে না। যা করতে হবে জেনে বুঝে ভেবে করতে হবে। তাছাড়া ওদের একটা ভুল পদক্ষেপে আলোরা বিপদে সম্মুখীন হতে পারে। আর এটা সে কখনোই চায় না।
রোদ কিছু একটা ভেবে আলোকে মৃদু স্বরে ডাকল। আলো রোদের ডাক শুনে চুলার আঁচ কমিয়ে ওদের কাছে এসে দাঁড়াল। রোদ তখন দুই পকেটে হাত গুঁজে অকপটে জিজ্ঞাসা করল,
“ওই ছেলেটাকে বেঁধে রাখা হয়েছে কেন?”
আলো ঘাড় ঘুরিয়ে মকবুলের দিকে একবার তাকিয়ে শুকনো ঢোক গিলে কম্পিত কন্ঠে বলল,
“সে খুনী। তাকে খুনের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।”
”কাকে খুন করেছে আর কেন?”
আলো চোখ মুছে রোদের দিকে তাকিয়ে গলার জোর বাড়িয়ে বলল,
“ভালোবাসলে নাকি কঠিন মূল্য চুকাতে হয়। আমার বান্ধবীও ওকে ভালোবেসে খুন হয়ে নিদারুন ভাবে মূল্য চুকিয়েছে। ওই পাষাণ মানুষটা নিজে হাতে আমার বান্ধবীকে খুন করেছে। এর মধ্যে কেন বা কিন্তুর সঠিক মানে আমি জানি না, আর বুঝিও না। মূখ্য কথা ওরা ভালোবেসে পাপ করেছে। এখন তার শাস্তি ভোগ করছে।”
কথাটা বলে আলো চোখ মুছতে মুছতে দ্রুত পায়ে হেঁটে স্থান ত্যাগ করল। রোদ অবাক চাহনি নিয়ে আলোর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। কথাগুলো এভাবে বলার কারণটা সে বুঝল না। ‘ভালোবাসা’ শব্দটা প্রতিবার উচ্চারণ করার সময় ওর কথায় ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছিল। ঘৃণা মিশ্রিত কন্ঠে শব্দটা উচ্চারণ করে ওর চোখ দু’টো রাগে দপদপ করছিল। আলো হয়তো কোনো কারণে ভালোবাসাতে বিশ্বাসী না। অথবা কারণ বশত সে ভালোবাসাকে প্রচন্ড ঘৃণা করে। আর সেটা ওর বলা কথার ধরণ থেকে স্পষ্ট। নরম এবং সরল মনের মেয়েটাকে এত কঠিন কথা বলতে দেখে রোদ বেশ অবাক হয়েছে। রোদ ওর নিচের ঠোঁট কামড়ে পাশ ফিরে দেখে মেঘ নেই।
সে দ্রুত পায়ে হেঁটে বাইরে বের হয়ে দেখল, মেঘ দু’টো ইটের উপর দাঁড়িয়ে একটা ছেলেকে পানি খাওয়ানোর চেষ্টা করছে। তবে ছেলেটা বেশ লম্বা হওয়াতে ঠিক মতো পানি খেতে পারছে না। রোদ আশে পাশে কয়েকবার চোখ বুলিয়ে নিলো। মেঘেরও ইটের উপর দাঁড়িয়ে পানি খাওয়াতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তবুও সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আশে পাশে কাউকে না দেখে রোদ সেদিকে এগিয়ে গেল। আলোর কথা শুনে সে বুঝছে, এখানে নিশ্চয়ই কোনো কাহিনী আছে। রোদ মেঘকে কোলে তুলে মকবুলকে পানি খাওয়াতে সাহায্য করল। পানি খাওয়াতে পেরে মেঘের মুখে বিশ্বজয় করা হাসি ফুটল। রোদ মেঘকে কোল থেকে নামিয়ে মগটা বাড়িতে রেখে আসতে বলল। নাহলে কেউ ওদের দেখলে খুব বকবে। মেঘ রোদের কথা শুনে দৌড়ে মগ রাখতে চলে গেল। মকবুল ওদের চিনে না। এর আগে কখনো দেখেও নি। তাই সে কিছু বলার আগে রোদ বলল,
“আমাদেরকে আপনি চিনবেন না। তবে শুভাকাঙ্ক্ষী ভাবতে পারেন।”
“আপনেও চইলা যান। আমার পাছে আপনারে দেকলে ছা ছা ছাস্তি দেওন হইবে।”
মকবুল অনেক কষ্টে কথাটা বলে ভয়ার্ত চোখে আশেপাশে তাকাল। ওর জন্য এই নির্দোষ মানুষ গুলো শাস্তি পাক, সে মোটেও চাচ্ছে না। ছেলেটা সত্যিই খুব খারাপ হলে রোদকে চলে যাওয়ার বলত না। আলোর বলা কথা আর মকবুলের হাবভাব দেখে রোদের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হলো। সে কিছু একটা ভেবে মকবুলকে জিজ্ঞাসা করল,
“চোখে দেখা সব ঘটনা সত্যি হয় না। কখনো কখনো এর পেছনেও কিছু অজানা সত্য লুকিয়ে থাকে। শুধু এতটুকুই বলতে পারি, আপনার এই নিকৃষ্ট কাজে কেউ ভালোবাসার মতো পবিত্র বন্ধনকেও ঘৃণা করছে। পবিত্র ভালোবাসাকে অখ্যাতিকর বলে আঙ্গুল তুলছে।”
কথাটা বলে রোদ আর দাঁড়াল না। মকবুল কথাগুলো শুনে ছলছল চোখে মুখে কৃত্রিম হাসি ফুটিয়ে আকাশের দিকে তাকাল। তারপর বিরবির করে দু’একবার উচ্চারণ করল,
”বলোবাছি, আমাল বালোবাছার পিরিও মানুচতাকে। এতা না কেউ দেকবে আল না কেউ জানবে।”
কথাটা বলে মকবুল মৃদু হাসল। ওদিকে মেঘ মকবুলের বাঁধন খোলার জন্য জেদ ধরেছে। সে রশি কাটার জন্য আলোর থেকে আঁশবটি চাচ্ছে। আলো পড়েছে মহাবিপদে। মকবুলের রশি কাটা মানে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা। এই ভুল মোটেও করা যাবে না। রোদ মেঘের জেদ দেখে রাগ সংযত করে গম্ভীর কন্ঠে বলল,
“চুপ করে বসো। আমি তোমার মুখে আর একটা টু শব্দও শুনব না। নাহলে এর ফল খুব খারাপ হবে।”
রোদের রাগের আভাস পেয়ে মেঘ গুটিশুটি হয়ে আলোর পাশে বসল। মাথা নিচু করে কিছুক্ষণ বসে থেকে ঘাড় ঘুরিয়ে আবার মকবুলের দিকে তাকাল। লোকটার মুখ দেখে ওর খুব কষ্ট হচ্ছে। কেন যে শুধু শুধু লোকটাকে এত কষ্ট দিচ্ছে, কে জানে!
আলো ততক্ষণে ওর রান্না সম্পূর্ণ করে ওদের খেতে দিলো। মেঘ মন খারাপের সুরে বায়না ধরল এখন আলোর হাতে খাবে। আজ কেন জানি মেঘ একটার পর একটা বায়না করতেই আছে। এজন্য রোদ বিরক্ত হয়ে আলোর সামনেই পুনরায় ওকে বকলো। আর সব জায়গায় সব জেদ শোভা পায় না। রোদ নিজে মেঘকে খাইয়ে দিতে ওর দিকে এগিয়ে গেল। মেঘ অভিমান করে উল্টো ঘুরে ওর দিকে পিঠ করে বসল। অর্থাৎ সে রাগ করেছে। তখন রোদেকে অবাক করে আলো মেঘের মুখে খাবার তুলে দিলো। রোদ যদিও এতটা আশা করে নি। সে কিছু বলতে গেলে আলো ইশারায় নিষেধ করে রোদকে ভাত বেড়ে দিলো। রোদ এর আগে কখনো খুদের ভাত খায়নি। তবে এখানে এসেই ওর এই অভিজ্ঞতাটা হয়েছে। আলো একে একে রোদকে সব পদের তরকারি তুলে দিয়ে মেঘকে খাওয়াতে লাগল। রোদ আর বসে না থেকে হাত ধুয়ে একলোকমা ভাত তুলে মুখে দিলো। একে একে সব পদ একটু করে খেয়ে সে বেশ অবাক হলো। কারন প্রতিটা পদে ভিন্ন ধরনের সুস্বাদু একটা স্বাদ রয়েছে। হাঁসের মাংসটা একটু বেশিই ঝাল ঝাল। তবে খেতে দারুন লাগছে খেতে। মেঘের তো চাটনি টা খুব পছন্দ হয়েছে। এজন্য সে মুখ ফুটে বলেই ফেলল,
“বউমনি, যাওয়ার সময় এই খাবারটা একটু দিও তো। এটা খেতে খুব মজা।”
মেঘের কথা শুনে আলো হেসে বলল,
“আচ্ছা।”
দাদীমা গোসল সেরে মুনের মায়ের কাছে ভাত নিয়ে গেছে। মুনের মায়ের অবস্থা খুব একটা ভালো না। তাই উনি প্রায় সময় ওখানেই থাকেন। আলো মেঘকে খাইয়ে নিজেও খেয়ে নিলো। রোদ অনেকদিন পর আজ তৃপ্তি করে খেয়েছে। ওর বাসায় বুয়াদের হাতের রান্না খেয়ে মুখে একটা অরুচি এসে গিয়েছিল। মেঘ তো পেটপুরে খেয়ে পা টান টান করে শুয়ে আছে। খাওয়ার ছলে ক্ষণিকের জন্য সে মকবুলের কথা বেমালুম ভুলে গেছে।
পাহাড়ি অঞ্চলে বৃষ্টি আসার সময় অসয়ম নেই। আকাশে মেঘ জমলেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। এখন আকাশের অবস্থা খুব একটা ভালো না। যখন তখন অঝরে বৃষ্টি নামতে পারে।
তাই রোদ ফিরে যাওয়ার জন্য মেঘকে তাড়া দিতে লাগল।
আলো মেঘকে, মোয়া, তিলের নাড়ু আর চাটনি দিলো। মেঘ তো খুব খুশি। মেঘদের সঙ্গে আলোর হয়তো আর দেখা হবে না। একথা ভাবলেই সে মনে চাপা একটা কষ্ট অনুভব করছে। ওর মনে হচ্ছে, মেঘরা ওর খুব কাছের কেউ। এজন্য বিদায় বেলায় সে কষ্ট পাচ্ছে।
মেঘ তো বউমনি! বউমনি! করে আবার গল্প জুড়ে দিয়েছে। তোতাপাখির মতো কতশত বুলি আওড়াতে আছে। আলো মেঘের এমন আদুরে ডাক শুনে মলিন মুখে হেসে বলল,
“মেঘবাবু, আমাকে আর বউমনি ডাকবে না কেমন। এখন থেকে মিষ্টি ডাকবা। ‘বউমনি’ সম্বোধনে আমার কেমন যেন লাগে।”
কথাটা শুনে রোদ ঘাড় ঘুরিয়ে পূর্ণ দৃষ্টিতে আলোর দিকে তাকাল। আলো তাকাতেই ওদের দু’জনের চোখাচোখি হয়ে গেল। আলো দ্রুত ওর দৃষ্টি সরিয়ে অন্য দিকে তাকাল। তখন মেঘ দাঁত বের করে হেসে বলল,
“তোমাকে আমি বউমনি বলেই ডাকবো। এই বারণ আমি মোটেও শুনব না, হুম।”
মেঘের কথা শুনে রোদ আকাশের দিকে একবার তাকিয়ে বলল,
“এই ছেলে প্রচন্ড ঘাড়ত্যাড়া। সে কারো কথাতেই কর্ণপাত না। ওর কথায় কিছু মনে করো না।”
“হুম।”
কিছুদূর এগিয়ে দিতে আলো ধীর পায়ে ওদের পিছু আসল। ঘন জঙ্গলের মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ একটা বুনো বানর দেখা গেল। বানরটা লাফিয়ে ওদের দিকেই এগিয়ে আসছে। বানর দেখে মেঘ ভয়ে পেছনে ঘুরে আলোকে জাপটে ধরে। আলোর পেছনে রোদ থাকায় আলো রোদের বুকে ধাক্কা খেলো। সাথে সাথে রোদ ওদের দু’জনকে কোনোমতে ধরে ফেলল। আলো নিজেকে রোদের থেকে ছাড়িয়ে একটা লাঠি দিয়ে বানরটাকে তাড়িয়ে দিলো। তারপর তিনজনে পুনরায় গল্প করতে করতে হাঁটতে লাগল। আর একটু সামনে এগোলেই ওদের রিসোর্ট। রোদ আলোকে আর আসতে নিষেধ করে ওর থেকে বিদায় নিলো। এবং আলোকে দেখে শুনে সাবধানে ফিরে যেতে বলল। মেঘ মন খারাপ করে আলোর গলা জড়িয়ে ধরে আদর দিলো। আলো ছলছল চোখে মাথা নিচু করে চলে আসতে যাবে, তখন রোদ ওকে পিছু ডেকে বলল,
“আলো, ভালোবাসা এবং ভালোবাসার মানুষগুলো নিষ্ঠুর নয়। পরিস্থিতি তাদের নিষ্ঠুর হতে বাধ্য করে। ভালোবাসার মানুষ যেমন উন্মাদের মতো ভালোবাসতে জানে। তেমনি ভালোবাসা রক্ষার্থে নিষ্ঠুরের মতো আঘাত হানতেও পারে। যদি পারো তো মকবুলকে বাঁচিও। এটা তোমার কাছে আমার অনুরোধ অথবা চাওয়া যা ইচ্ছে ভাবতে পারো। তবে এখন জোর দিয়ে বলছি, ওর জায়গা আমি থাকলে আমিও হয়তো একই কাজ করতাম। আজ মকবুলের প্রতি ঘৃণা নয় বরং আমার সন্মানটা দ্বিগুন হারে বেড়েছে। তুমি সাবধানে থেকো, আসছি।”
কথাটা বলে রোদ মেঘের হাত ধরে সামনের দিকে এগিয়ে গেল। ভুলেও আর একবারও পিছু ফিরে তাকাল না। ফিরলে হয়তো দেখত, অশ্রুসিদ্ধ চোখে এক মায়াবিনী হতবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। রোদ মকবুলকে সাপোর্ট করছে!
মুনের ভালোবাসার শেষ পরিণতি হলো, মৃত্যু। তাও প্রাণপ্রিয় ভালোবাসার মানুষটার হাতে। তবুও রোদ মকবুলকে দ্বিগুন সন্মানের কথা বলল।
তাহলে রোদের কথা শুনে এটাই স্পষ্ট যে, রোদও মকবুলের মতোই চিন্তা ধারার মানুষ। আচ্ছা, সব পুরুষের চিন্তায় কী এতটা নিচু মনের? কে জানে হবে হয়তো! এই প্রশ্নের উত্তর ওর এখনো অজানা।
আলো চোখ মুছে রোদের প্রতি একরাশ ক্ষোভ নিয়ে বাড়ির পথে হাঁটা ধরল। দিনকে-দিন ভালোবাসা নামক জিনিসটার
প্রতি ওর ঘৃণা জন্মেই যাচ্ছে। চোখের সামনে এসব দেখলে আদৌও কী ঠিক থাকা যায়! তাও আবার বোনের মতো বান্ধবীকে এমন নৃশংস ভাবে খুন হতে দেখলে। সে তো পারছে না! তবে আলো এই মূহুর্তে খুব করে চাচ্ছে, ওর লাল রঙ্গা হৃদয়টাতে চিরতরের জন্য মরিচা পড়ে যাক। যাতে সে ভুলেও কখনো কাউকে ভালোবাসতে না পারে। ভালোবাসা নামক কাটাযুক্ত পুষ্পকে সে ওর হৃদয়ে জায়গা দিতে চায় না, কিছুতেই না। কখনো না!
আলো ভেবেছিল, রোদ হয়তো সবার থেকে একটু আলাদা। আর যাই হোক, ওর চিন্তা ভাবনা বাকিদের মতো নিচু মনের না। কিন্তু না! রোদের কথাগুলো থেকে বোঝা গেল, সেও মকবুলের মতোই একজন। তাহলে সব পুরুষ এক! আর তাদের এই নিচু মনের চিন্তা-ধারাও।
তাই আলো পুরুষ আর পুরুষের ভালোবাসার প্রতি ওর মনে জমা রাখল, ‘ঘৃণা, ঘৃণা এবং একরাশ ঘৃণা। আদৌও এই ঘৃণা ওর মন থেকে মুছবে কী না, সে তাও জানে না।’
To be continue……!!