এলোকেশী’- [১১]

0
534

-‘এলোকেশী’-
[১১]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)

ঘন আঁধারে ডুবে গেছে চারিপাশ। অচেনা পাখিগুলো ক্লান্ত শরীরে ফিরছে আপন নীড়ে। পশ্চিমাকাশে সূর্য তার রক্তিম আভা ছড়িয়েছে। প্রকৃতিও তার অঢেল রূপমাধুরী নিয়ে সবুজের মাঝে উপস্থিত হয়েছে। মৃদু বাতাসের সাথে ভেসে আসছে অনাদরে বেড়ে ওঠা বুনো ফুলের মিষ্টি সুগন্ধ। দূরের পাহাড়ে জন্মানো গাছ গুলোকে এখন বেশ ঘন সবুজ দেখাচ্ছে। স্বচ্ছ আকাশে ধীরে ধীরে কালো মেঘ জমতে শুরু করেছে। বৃষ্টি হওয়ার পূর্ব মূহুর্তের মতো এখন আবহাওয়াটাও বেশ শীতল।
রোদরা রিসোর্টে ফিরে কফিসহ হালকা নাস্তা অর্ডার করে ফ্রেশ হয়ে নিলো। দুই ভাই এখন ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে চুল ঠিক করছে। রোদ হাত দিয়ে ওর চুল ঝাঁড়া দিলে মেঘও তাই করছে। রোদ টি-শার্ট ঠিক করলে, মেঘও
অকারণে ওর টি-শার্ট টেনে ঠিক করছে। মেঘের কান্ড দেখে রোদ মৃদু হেসে বলল,
”কিছু বলবে?”
“হুম! বউমনিকে আমাদের সঙ্গে নিয়ে চলো।”
“কেন?”
মেঘ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে না পেয়ে মাথা নিচু করে দাঁত দিয়ে নখ কাটতে লাগল। আলোকে ছেড়ে যেতে ওর খুব কষ্ট হচ্ছে। এই কথাটা সে মুখে বললেও রোদকে বোঝাতে অক্ষম।
এত খুঁজে রোদের ‘কেন’ এর উত্তর দিতে পারল না মেঘ। তাই নিরাবতাকে সঙ্গী করে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকল। তাছাড়া কথাটা সাহস করে বললেও এখন একটু ভয়ও পাচ্ছে। যদি দাভাই রেগে যায়!
মেঘকে চুপ থাকতে দেখে রোদ আধশোয়া হয়ে বসে শান্ত কন্ঠে বলল,
”তোমাকে তোমার বউমনির কাছে রেখে যাই? আমাকে তো আর দরকার নেই। এখন বউমনিই তোমার সব। কাল সকালে তোমাকে আলোর কাছে রেখে আমি সত্যিই ঢাকায় চলে যাব।”
একথা শুনে মেঘ গুটিগুটি পায়ে রোদের দিকে এগিয়ে এসে পাশে বসল। রোদের এক হাতের আঙ্গুল নাড়াচাড়া করতে করতে মাথা নিচু করে মৃদু স্বরে বলল,
“না দাভাই! তুমি বউমনিকে তাড়াতাড়ি বিয়ে করো। তারপর আমাদের সঙ্গে ঢাকায় নিয়ে চলো। তোমাদের দু’জনকেই আমার চাই, প্লিজ দাভাই!”
মেঘের মুখে বিয়ের কথা শুনে রোদ ভ্রু কুঁচকে উঠে সোজা হয়ে বসল। মেঘ যে সরাসরি বিয়ের কথা বলবে রোদ মোটেও আশা করে নি। এইটুকুন বাচ্চা অথচ ওর চিন্তা ভাবনা বেশ গভীর। রোদকে উঠে বসতে দেখে মেঘ ওর মাথাটা আরো নিচু করে নিলো। ওর থুতনী গিয়ে ঠেকে গেছে একদম বুকের সাথে। তাছাড়া আজ সারাদিন দাদাই ওকে বেশ কয়েকবার বকেছে। হয়তো এখনো বকবে! তাই মেঘ একটু অভিমান করে মাথা নিচু করে আছে। কিন্তু রোদ তেমন কিছু না বলে মেঘের কপালে উষ্ণ স্পর্শ দিয়ে মৃদু হেসে বলল,
“তোমার বউমনি আমাকে বিয়ে করবে না। সে আমার উপরে রেগে আছে। আমার বলা কথায় কষ্ট পেয়ে, খুব কেঁদেছেও। হয়তো সে আর কোনোদিন আমার মুখও দেখতে চাইবে না। এখন বলো, তাকে কীভাবে ঢাকায় নিয়ে যাব?”
আলো কেঁদেছে শুনে মেঘ নাক ফুলিয়ে ভ্রু কুঁচকে বলল, “তুমি বউমনিকে বকেছো? না বকলে, বউমনি কাঁদল কেন দাভাই?”
“উহুম, শুধু কয়েকটা সত্য কথা বলেছি।”
রোদের এত কঠিন কথা বুঝতে না পেরে মেঘ ড্যাব করে ওর দিকে তাকিয়ে থাকল। রোদ ব্যাপারটা বুঝে মেঘের চুলে হাত বুলিয়ে মৃদু হাসল। তখন ওয়েটার এসে অর্ডারকৃত খাবার দিয়ে তাৎক্ষণিক চলে গেল। ওরা দু’জনে মিলে নাস্তা সেরে বেলকণিতে গিয়ে দাঁড়াল। বাইরে ঝড়ো বাতাস বইছে। সেই সাথে আকাশ কাঁপিয়ে মেঘও গর্জন তুলেছে। গর্জনের সাথে সাথে পুরো আকাশ আলোকিত হয়ে যাচ্ছে। রোদ বেলকণির পেতে রাখা চেয়ারটাতে বসল। ঠান্ডা বাতাসে শরীর ও মন দু’টোই জুড়িয়ে যাচ্ছে। মেঘও আদুরে বিড়াল ছানার মতো রোদের কোলের উপর চুপটি করে বসল। তারপর অনবরত চলতে থাকল তার কথার ঝুলি।
ততক্ষণে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। বৃষ্টির বড় বড় ফোঁটা মাটির বুকে নিদারুন ভাবে আঁছড়ে পড়ছে। গত বৃষ্টির রাতে আলো ওদের সঙ্গে ছিল, অথচ আজ নেই!
রোদ মেঘকে কোলে নিয়েই রুমের জানালার থাই আঁটকাতে গেল। মেঘ ওকে নিষেধ করে বৃষ্টির পানিতে হাত ভিজিয়ে খিলখিল করে হেসে উঠল। বৃষ্টির ফোঁটা হাতে পড়লে নাকি ওর কাতুকুতু লাগছে। মেঘ রোদের হাতটাও টেনে জোর করে ভিজিয়ে দিয়ে হাসতে লাগল। মেঘকে এভাবে হাসতে দেখে রোদ মুচকি হেসে ওকে আরো কাতুকুতু দিলো। মেঘ তখন ছটফট করে হাসতে হাসতে রোদকে নিষেধ করতে লাগল। তারপর দুই ভাই অনেকটা সময় খুনশুঁটি করে রাতে খাবার খেয়ে বাজি ধরে গেম খেলতে বসল। যে হারবে সে অপর জনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিবে। বাজি মোতাবেক মেঘ হেরে রোদের মাথায় হাত বুলিয়ে চুল টানতে লাগল। মেঘের ছোট ছোট হাতে আদুরে ভাবে হাত বুলানোতে রোদের চোখ দু’টো ঘুমে বন্ধ হয়ে আসছে। একটুপরে, রোদ মেঘকে নিষেধ করে পাশে শুইয়ে দিয়ে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে গেল। মেঘও রোদের পেটের উপর পা তুলে দিয়ে ধীরে ধীরে ঘুমের দেশে পাড়ি জমাল।
এখন বাজে রাত বারোটা একুশ। পাহাড়ি অঞ্চলে এখন গভীর রাত। এখানে শহুরে পিচ ঢালা রাস্তার মতো ঝকঝকে লাইটের ঝলকনি নেই। চারপাশে জঙ্গল আর জঙ্গল। সেই সাথে বন্যপ্রাণী এবং পাহাড়ি মশাদের উৎপাত। তাছাড়া লাইট বলতে এখানে কেরোসিন তৈরী কুপি। যদিও কেউ কেউ শোলার প্যানেল ব্যবহার করে। তবে টানা বৃষ্টির দিনে একটু সমস্যা হলেও তারা মানিয়ে নিতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এছাড়া কোনো উপায়ও নেই। কারণ এমনই হয় পাহাড়িদের ত্রুটিযুক্ত দৈনন্দিন জীবন যাত্রা।
ঘন কালো মেঘে আকাশটা মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে। বজ্রপাতের উচ্চশব্দে চারপাশটাও যেন কেঁপে উঠেছে। টিনের চালে ঝমঝম শব্দ করে একনাগাড়ে চলছে বৃষ্টির নৃত্য। সবুজ শ্যাওলা পড়া উঠানে অনেকখানি পানি জমে গেছে। সুনসান নিরাবতা চারিপাশ! শুধুমাত্র শোনা যাচ্ছে প্রবল বাতাসের শনশন শব্দ, টিনের চালে বৃষ্টির নাদ আর কোলা ব্যাঙের ডাক।
আলো অন্ধকার রুমে জানালার পাশে চুপ করে বসে আছে। বাইরে তুমুল বেগে বৃষ্টি হচ্ছে। ঘন জঙ্গলে বৃষ্টির রাত আরো অন্ধকার রুপ ধারণ করেছে। মকবুল এই বৃষ্টির মধ্যে গাছে হেলান দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ভেজা শরীর আর ঠান্ডা বাতাসে ওর পুরো শরীর হিম হয়ে যাওয়ার উপক্রম। আলো জানালার দিয়ে ওর করুণ অবস্থা দেখে মুখে হাত দিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগল। একটা মানুষের এত কষ্ট স্বচক্ষে দেখা যায় না। প্রায় চার ঘন্টা ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। আর মকবুল বৃষ্টির মধ্যে সেভাবেই দাঁড়িয়ে আছে। ওকে পাহারা দেওয়া লোক দু’টো বৃষ্টি কারণে অনেক আগেই চলে গেছে।
কাঁদতে কাঁদতে আলোর হঠাৎ রোদের কথাগুলো মস্তিষ্কে নাড়া দিয়ে উঠল। সে রাগের বশে রোদের কথাগুলো একবার ভেবেও দেখেনি। রোদ হঠাৎ মকবুলকে বাঁচাতে বলল কেন? আর মকবুলের জায়গায় সে থাকলে একই কাজ করত, এই কথায় বা কেন বলল? তাহলে কি রোদের সঙ্গে মকবুলের কথা হয়েছে? কি কথা হয়েছে? আর কথা না হলে, রোদ জোর গলায় ওকে এই কথাগুলো বলল কেন? এই প্রশ্নগুলো ইতিমধ্যেই আলোর পুরো মস্তিষ্কে কিলকিল করতে লাগল। রোদরা কাল চলে যাবে। ওর দেখা সে চাইলেও আর পাবে না। এখন এসব প্রশ্নের উত্তর কেবল মকবুলই দিতে পারবে। দিনের বেলায় মকবুলের সাথে সে কথা বলতে পারবে না। তাছাড়া কালকে মকবুলের হাত কাটা হবে। তাহলে এখনই
মোক্ষম সময়! আলো শরীরে ওড়না জড়িয়ে রান্নাঘরে থেকে কিছু একটা নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে বেরিয়ে পড়ল। এই উত্তরগুলো ওর জানা চাই-ই চাই। নাহলে সে কিছুতেই শান্তি পাচ্ছে না, আর পাবেও না। আলো সতর্কতার সাথে আশেপাশে চোখ বুলিয়ে ধীর পায়ে মকবুলের সামনে গিয়ে দাঁড়াল। সামনে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে মকবুল চোখ মেলে আলোকে দেখে কম্পিত কণ্ঠে বলল,
“আলোবু! আমি জানতাম তুমি আছবা। আসতে দেলী কললা ক্যান? আমি ভাবছিলাম, তুমি লুকাইয়া আমালে একটু কেতে (খেতে)দিবা। কুন্তু না, তুমিও আমালে না খাওয়াই রাখলা আলোবু।”
একথা শুনে আলো অন্যদিকে তাকিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগল। মুনের কথায় মকবুল ওর বড় হয়েও ওকে আলোবু ডাকে। আলো হাতের বাটি থেকে ভাত বের করে কাঁপা হাতে ওর মুখের সামনে ধরল। প্রচন্ড ক্ষুদার্থ মকবুল করুণ চোখে আলোর দিকে একবার তাকিয়ে মাথা নিচু করে নিলো।আলো ব্যাপারটা বুঝে বৃষ্টিতে ভিজে জবজবে হয়ে মকবুলকে নিজে খাইয়ে দিতে লাগল। আজ বিবেকের কাছে হার মেনে, সে এসেছে ওর বান্ধবীর খুনীকে খাওয়াতে। মকবুলকে খাইয়ে আলো খুব শান্ত কন্ঠে বলল,
“কেন এমন করলেন মকবুল ভাই? এমনটা না করলে কী খুব ক্ষতি হতো?”
“আলোবু, আমাকে মাফ করে দিও।”
কথাটা বলে মকবুল গাছের সাথে হেলান দিয়ে ছলছল চোখে উপরে তাকাল। বৃষ্টি গতি একটু কমেছে। আলো কিছু একটা ভেবে নিরুত্তর থেকে আস্তে করে মকবুলের বাঁধন খুলে দিলো। পৃথিবীর বুকে এখন মুন নেই। মকবুল নাহয় বেঁচে থাকুক। তাছাড়া পাপ তো বাপকেও ছাড়ে না। আর মকবুল তো জলজ্যান্ত মানুষ। এছাড়াও রোদও কেন জানি চায় মকবুল বাঁচুক। বাঁধন খোলাতেও মকবুলের কোনো হেলদোল নেই। সে একই ভাবে থম মেরে দাঁড়িয়ে আছে। আলো বৃষ্টির জলে অশ্রু লুকিয়ে নিঃশব্দে কাঁদতে কাঁদতে বলল,
“চলে যান, মকবুল ভাই! এখান থেকে অনেক অনেক দূরে চলে যান।”
কথাটা বলে আলো অন্য দিকে তাকিয়ে শব্দ করে কাঁদতে লাগল। কষ্টে ওর দম আঁটকে আসছে। তখন আকস্মিক কিছু দেখে মকবুলের পুরো শরীর থরথর করে কাঁপতে লাগল। সে জোর গলায় কিছু বলার শক্তিটুকুও যেন হারিয়েছে ফেলেছে। তবুও সে অনেক কষ্টে এতটুকুই উচ্চারণ করল,
“ছ ছ ছরে যাও আলোবু, ছরে যাও।”
ততক্ষণে যা অঘটন ঘটার ঘটে গেছে। যেটার জন্য ওরা কেউ প্রস্তুত ছিল না। অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে ওদের সঙ্গে ঠিক সেটায় ঘটল।
পরেরদিন খুব সকালে রোদ ঘুম থেকে উঠে পড়েছে। মেঘ হাত পা ছড়িয়ে বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। রোদ ফ্রেশ হয়ে এসে দাঁড়াতেই ওয়েটার এসে দরজা নক করল। রোদ দরজা খুললে, ওয়েটার জানতে চাইল সে ময়না পাখি নিবে কী না! কালকে রাতের ঝড়ে পাখিরা আহত হয়ে আর উড়তে পারে নি। সকালে সেই পাখিগুলোকে কয়েকজন ধরে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করছে। আহত পাখি ছাড়াও নাকি সুস্থ পাখিও আছে। রোদ মেঘের দিকে একবার তাকিয়ে ওর পাশে কোলবালিশ দিয়ে ওয়েটারের সঙ্গে নিচে গেল। আর হঠাৎ করে এখন পাখি পেলে মেঘ খুব খুশিও হবে। রিসোর্টের অনেকে পাখি নিতে দরদাম করছে। রোদ সেখানে গিয়ে চোখ বুলিয়ে সব পাখিদের দেখে নিলো। তারপর সব আহত পাখিসহ পাঁচটা সবুজ টিয়া এবং দু’টো ময়না পাখি নিলো। তারপর ওয়েটারকে ডেকে যদি সম্ভব হয় তো ওই আহত পাখিগুলোর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলল। সে আবার পশু পাখির কষ্ট দেখতে পারে না। মনে হয় ওদের কষ্ট ওর বুকে গিয়ে লাগে। ওয়েটার রোদের কথামতো পাখি চিকিৎসকের নাম্বার যোগাড় করতে চলে গেল।
রোদের পাখি গুলোর দাম মোট তেরো হাজার সাতশ আটত্রিশ টাকা হলো। রোদ পাখি ওয়ালাকে দাম দিয়ে সুস্থ পাখিদের খাঁচা নিয়ে রুমে চলে গেল। একটু পরে ওরা ঢাকার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়বে। তাই রোদ ওদের অপ্রোয়েজনীয় জিনিসপত্র ট্রলিতে গুছিয়ে এক পাশে রাখল। ময়না পাখির চিঁ চিঁ শব্দে মেঘের আরামের ঘুমটা ভেঙ্গে গেল। সে বিরক্ত হয়ে চোখ ডলতে ডলতে উঠে বসল। তারপর মুখ কুঁচকে চোখ খুলে ওর সামনে দু’টো খাঁচা দেখে তড়িৎ গতিতে উঠে দাঁড়াল। তারপর সে দ্রুত খাঁচার কাছে গিয়ে খুশিতে গদগদ হয়ে বলল,
“দাভাই, এগুলো আমার? ওয়া কত্ত সুন্দর, উ বাবা এত্তগুলো পাখি! লা লা লা, এগুলো সব আমার।”
মেঘের কান্ড দেখে রোদ হেসে ওকে টেনে ফ্রেশ করাতে নিয়ে গেল। তারপর দুই ভাই নাস্তা সেরে একেবারে রেডি হয়ে নিলো। মেঘ ওর খাবার থেকে পাখিদেরও খাইয়েছে। সে তো পাখি পেয়ে খুশিতে আত্মহারা। রোদ ওয়েটারকে ডেকে ওদের ট্রলি আর পাখিগুলোকে নিচে নিয়ে যেতে বলল। তারপর সে সব দেখে শুনে মেঘের হাত ধরে আস্তে ধীরে নিচে নামল। আহত পাখিগুলোর চিকিৎসার ব্যবস্থা হয় নি। রোদ ওই পাখি গুলোকেও সাবধানে ওদের সঙ্গে নিলো। তারপর
রিসিপশনে রুমের চাবি আর যাবতীয় বিল পরিশোধ করে ওরা বেরিয়ে পড়ল।

To be continue…….!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here