-‘এলোকেশী কন্যা-‘
[০৬]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)
রোদ আর মেঘ একই বৃন্তের প্রাণবন্ত দু’টো ফুল। আর ফুল দু’টো ভালোবাসা নামক শাখাকে আঁকড়ে ধরে একে অন্যের জন্য বেঁচে আছে। ওদের ভালোবাসা দেখেই বোঝা যায়, ওরা দুই ভাই একে অন্যের প্রাণ। এজন্যই হয়তো একজনের কষ্ট দেখলে আরেকজনও কষ্টে দুমড়ে মুচড়ে যায়।
ওদের ভালোবাসা দেখে অালোর কেন জানি চোখ দু’টো ভিজে গেল। সে অন্য দিকে ঘুরে সতর্কতার সাথে চোখ মুছে নিলো। ডাক্তার আলোকে চোখ মুছতে দেখে মুচকি হেসে বললেন,
“মিসেস চিন্তা করবেন না। আপনার স্বামী শীঘ্রই সুস্থ হয়ে যাবে। আমি মেডিসিন লিখে দিচ্ছি, সেগুলো শুধু সময় মতো খাওয়াবেন।”
কথাটা বলে উনি পুনরায় ড্রেসিং করাতে মনযোগ দিলেন। আর আলো একথা শুনে বিষ্ময়কর দৃষ্টি নিয়ে ডাক্তারের দিকে তাকাল। রোদ ওর স্বামী! এটা কেমন কথা? বলা নেই, কওয়া নেই! ডাক্তার অকস্মাৎ অচেনা একজনকে ওর স্বামী বলে দিলেন। তাছাড়া উনি ওদের ব্যাপারে কিছু জানেনও না। অথচ অনুচিত একটা কথা বলে বসে থাকলেন। তবে রোদের মধ্যে কোনো জড়তা বা সংকোচ দেখা গেল না। সে নিশ্চুপ হয়ে বালিশে মুখ গুঁজে উপুড় হয়ে শুয়ে আছে। ওর এখন অযথা কথা বাড়াতে ইচ্ছা করছে না। এত ধকল শরীরেরও আর কুলাচ্ছে না। অসহ্য ব্যাথায় ওর পুরো শরীর যেন ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া ডাক্তার বললেই তো আর হয়ে গেল না। তবে রোদের খুব ইচ্ছে করল, এখন পাশ ফিরে আলোর মুখভঙ্গিটা দেখতে। আচ্ছা! মেয়েটা কী এখন লজ্জা পাচ্ছে, নাকি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে? একথা রোদের জানতে ইচ্ছে করলেও তাকাল না। বরং তাৎক্ষণিক ওর এই অযৌক্তিক ইচ্ছেটাকে দমিয়ে নিলো। কারণ সব ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিতে নেই। কিছু কিছু সময় ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিলে সর্বনাশা কিছু ঘটার প্রবল আশঙ্কা থাকে।
এর মধ্যে মেঘ কী বুঝল কে জানে! সে আলোর মুখের দিকে তাকিয়ে মুখে হাত দিয়ে ফিক করে হেসে দিলো। মেঘকে এভাবে হাসতে দেখে আলো করুণ দৃষ্টিতে তাকাল। এখন এই বাচ্চাটাও ওকে দেখে মজা নিচ্ছে। হাসতে হাসতে মেঘের হঠাৎ চোখ পড়ল ডাক্তারের দিকে। ডাক্তারের হাতে আরো দু’টো ইনজেকশন দেখে মেঘ একটু পেছনে সরে উচ্চশব্দে বলল,
“আবার?”
“তোমার ভাইয়াকে দিবো।”
মেঘ ভ্রু কুঁচকে কিছু একটা ভেবে অকপটে বলল,”আপনি কী ঔষধের নাম ভুলে গেছেন?”
“মানে?”
“মানে হচ্ছে, আপনি ঔষধের নাম ভুলে শুধু শুধু আমাদের ইনজেকশন দিচ্ছেন। ইনজেকশনে মেলা ভয় পাচ্ছি, গোল গোল ঔষধ দিলেই তো হয়।”
মেঘের কথা শুনে ডাক্তার শব্দ করে হেসে রোদকে পরপর দু’টো ইনজেকশন দিলেন। তারপর ঔষধ লিখে কিছু পরামর্শ দিয়ে উঠে দাঁড়ালেন। রোদ শুয়ে থাকা অবস্থায় ঘাড় ঘুরিয়ে আলোকে বলল,
“ওই ট্রলিতে ক্যাশ টাকা আছে, উনাকে দাও।”
“আ আ আমি?”
রোদ ভ্রু কুঁচকে ওর দিকে তাকিয়ে বলল,”হুম তুমি।”
আলো মুখ কাচুমাচু করে টাকা বের করে ডাক্তারকে দিলো। ডাক্তার টাকা নিয়ে হাসি মুখে বিদায় নিয়ে প্রস্থান করলেন। রোদ রিসিপশনে ফোন করে একজন ওয়েটারকে ওদের রুমে পাঠাতে বলল। পুরো রুম জুড়ে এখন পিনপতন নিরাবতা।
তখন আলো গুটিগুটি পায়ে রোদের সামনে দাঁড়িয়ে মৃদু স্বরে বলল,
“আপনারা বিশ্রাম নিন, আমার এখন ফিরতে হবে।”
“বাইরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া সন্ধ্যা হয়ে গেছে, অন্ধকারে তোমার যাওয়াটা ঠিক হবে না।”
রোদের কথা শুনে আলো জানালা দিয়ে বাইরে তাকাল। সত্যিই, এখনো বৃষ্টি থামে নি। বরং বৃষ্টির সাথে ঝড়ো বাতাস বইছে। আলো উপায় না পেয়ে কাচুমাচু করে সোফায় গিয়ে বসল। মেঘ বালিশে হেলান দিয়ে মিটিমিটি হেসে আলোকে দেখছে। আলো যেতে না পারাতে ওর খুব খুশি লাগছে। তখন ওয়েটার এসে ওদের রুমের দরজা নক করল। আলো উঠে দরজা খুলে এক পাশে সরে দাঁড়াল। রোদ ওয়েটারকে দেখে উঠে বসে টাকা আর প্রেসক্রাইবশন এগিয়ে দিয়ে বলল,
“এই মেডিসিন গুলোর ব্যবস্থা করুন। যদিও আমি শুনেছি, আপনাদের কাছে মেডিসিনের ব্যবস্থা থাকে।”
“জ্বি স্যার! তবে এখন সব গুলো না পেলে?”
“যেগুলো পাবেন নিন আসুন। আর আমাদের রাতের খাবার রুমে পাঠিয়ে দিবেন।”
ওয়েটার আড়চোখে একবার আলোর দিকে তাকিয়ে, “জ্বি স্যার” বলে স্থান ত্যাগ করল।
রোদ মেঘের দিকে একবার তাকিয়ে উঠে কিছু খাবার মেঘের সামনে রাখল। বাচ্চাদের খাবার আর কী! এই রিসোর্টে উঠার সময় রোদ এগুলো কিনে এনেছিল। কারণ মেঘ সারাদিনে টুকটাক এটা ওটা খেতেই থাকে। পছন্দের চিপ্সের প্যাকেট দেখে মেঘের মুখে হাসি ফুটল। সে খুশিতে গদগদ হয়ে আলোর দিকে তাকিয়ে রোদকে বলল,
“দাভাই, দোয়া করছি। আমি যেন মিষ্টি একটা বউমণি পাই।”
মেঘের দুষ্টুমি বুঝতে পেরে রোদ আর কথা বাড়াল না। মেঘ দিন দিন খুব পাকা হয়েছে। সে ছোট হয়ে বড় ভাইকে কথার খোঁচা মারছে। সামনের সোফায় আলোকে মাথা নিচু করে বসে থাকতে দেখে মেঘ মিষ্টি হেসে বলল,
“ওই মিষ্টি শুনছ? এখানে এসো।”
একথা শুনে রোদ মেঘের দিকে একবার ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিয়ে আলোর দিকে তাকাল। মেঘের এমন সম্বোধনে আলো অবাক হলেও কিছু বলল না। সে উঠে মেঘের পাশে গিয়ে চুপটি করে বসল। রোদ পানির বোতল মেঘের পাশে রেখে পাশ ফিরে আবার শুয়ে পড়ল। মেঘ খাবারের প্যাকেট আলোর দিকে এগিয়ে দিয়ে খেতে বলল। আলো খাবে না বললে, মেঘ জোর করে ওর মুখে গুঁজে দিলো। এখন দু’জনে খাচ্ছে আর ফিসফিস করে গল্প করছে। মেঘের দুষ্টু মিষ্টি কথা শুনে আলো নিঃশব্দে হাসছে। রোদ ততক্ষণে ক্লান্ত শরীর নিয়ে ঘুমিয়ে গেছে। হঠাৎ ঘড়ির দিকে চোখ পড়াতে আলো চমকে উঠে দাঁড়িয়ে গেছে। এখন বাজে রাত দশটা একুশ। দাদীমা নিশ্চয়ই খু্ব টেনশন করছে। বৃষ্টিও থেমে গেছে। অজানা কারণে আলোর এখন খুব অস্থির লাগছে। সে এর আগে কখনো রাতের বেলায় বাইরে থাকে নি। আর এখন তো চাইলেও যেতে পারবে না। কারণ পাহাড়ি রাস্তায় না আছে লাইট, আর না আছে কোনো নিরাপত্তার ব্যবস্থা। সারাটা দিন মেঘদের সঙ্গে থেকে ওদের খুব আপন হয়ে হচ্ছিল। এজন্য হয়তো কিছুক্ষণের জন্য টেনশন ভুলে গিয়েছিল।
আলোকে অস্থির হয়ে ঘামতে দেখে মেঘ চিপ্স খাওয়া থামিয়ে বলল,
“কি হয়েছে তোমার? পেটে ব্যাথা করছে, পানি খাবা?”
আলো জোরপূর্বক একটা হাসি দিয়ে না বোধক মাথা নাড়াল।
তখন ওয়েটার এসে দরজা নক করে খাবার আর ঔষধ দিয়ে গেল। আলো সেগুলো নিয়ে নিঃশব্দে দরজা আঁটকে দিলো। রোদ এখনো ঘুমাচ্ছে। আলো ঘড়ি দেখে মেঘকে খাবার আর ঔষধ খাইয়ে দিলো। রোদকে ডাকবে কী না সে ভেবে পাচ্ছে না। রোদের শরীরে অনেক ক্ষত তাই ঔষধ গুলো খাওয়াও জরুরী। আলো মেঘের মুখ মুছিয়ে বালিশে শুইয়ে দিলো। মেঘ শুয়ে ওর ট্যাব নিয়ে গেম খেলতে লাগল। এই ট্যাবে সিম নেই, শুধু আছে মেঘের পছন্দের অসংখ্য গেম।
আলো মেঘের পাশে শুয়ে মেঘের গেম খেলা দেখছে। বেশ কিছুক্ষণ পর, আলো খেয়াল করল মেঘ ঘুমিয়ে গেছে। সে উঠে মেঘকে ভালো ভাবে শুইয়ে ট্যাব টা বালিশের পাশে রাখল। এখন বাজে রাত বারো টা তিন। রোদ এখনো ঘুম থেকে ওঠে নি। আলো উপায় না পেয়ে রোদের একটু কাছে গিয়ে মৃদু স্বরে ডাকল। কয়েকবার ডেকে রোদের সাড়াশব্দ না পেয়ে কম্পিত হাতে রোদকে স্পর্শ করল। রোদের শরীরে প্রচন্ড জ্বর। আলো হাত সরিয়ে কিছু করবে ভেবে পাচ্ছে না। ওর শরীরও কাঁপছে। একে তো সে একা মেয়ে। তার উপরে এই মানুষটার শরীরেও এত জ্বর। আলো ঢোক গিলে পানি এনে রোদের রুমাল ভিজিয়ে জলপট্রি দিতে লাগল। হঠাৎ রোদ আলোর হাত সরিয়ে স্বজোরে ওকে মেঝেতে ধাক্কা মেরে বলল,
“নোংরা মেয়ে আমাকে স্পর্শ করবে না। তোমার স্পর্শ আমার ঘৃণা লাগছে, খুব খুব ঘৃণা লাগছে।”
কথাটা বলে রোদ আবার চোখ দু’টো বন্ধ করে নিলো। আলো প্রচন্ড ব্যাথা পেয়ে হতভম্ব হয়ে রোদের দিকে তাকিয়ে আছে। ওকে নোংরা মেয়ে বলল। কিন্তু কেন? আলো ছলছল চোখে রোদের দিকে অভিমান নিয়ে তাকাল। অসুস্থ মানুষের কথা গ্রাহ্য না করে সে উঠে আবার রোদের কাছে গেল। ভেজা রুমাল রোদের কপালে দিতে রোদ আবার চোখ খুলে তাকাল। প্রচন্ড মাথা ব্যাথায় সে চোখ খুলতেও পারছে না। তবে আবছা ভাবে এবার আলোকে দেখে বলল,
“আমি ঠিক আছি, যাও শুয়ে পড়।”
“ধাক্কা মেরে ব্যাথা দিয়ে এখন বলছেন শুয়ে পড়ো। একদম কথা বলবেন না, নাহলে আপনার কপালে দুঃখ আছে।”
রোদ আলোর রাগান্বিত কন্ঠ শুনে চোখ খুলে তাকাল। তখন জঙ্গি মেয়ে ভেবে সে আলোকে ধাক্কা দিয়েছিল। ওর পুরো মস্তিষ্ক জুড়ে এখনো ওই ঘটনাটাই ঘুরপাক খাচ্ছে। এজন্য হঠাৎ আলোর স্পর্শ পেয়ে ভুল বুঝেছে। আলো উঠে খাবার এনে রোদকে খেতে বলল। রোদ একবার চোখ খুলছে তো একবার বন্ধ করছে। আলো সমস্যাটা বুঝে মানবিককার খাতিরে একটু খাবার তুলে রোদের মুখের সামনে ধরল। রোদ খাচ্ছে না চুপ করে তাকিয়ে আছে। আলো রোদের নাক চেপে ধরে মুখে খাবার পুরে দিলো। রোদ চোখ বড় বড় করে ওর দিকে তাকালেও মুখে কিছু বলল না। রোদকে খাবার আর ঔষধ খাইয়ে আলো জলপট্টি দিতে থাকল। ওদিকে মেঘ গুটিশুটি মেরে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে, “দাভাই বাঁচাও! দাভাই বাঁচাও! করে বিরবির করছে। আলো দ্রুত উঠে মেঘের কাছে গিয়ে ওর মাথায় পিঠে হাত বুলিয়ে দিলো। মেঘ ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে আবার ঘুমিয়ে গেল।
বাইরে আবার বৃষ্টি নেমেছে। ঠান্ডা বাতাসে শরীরের মধ্যে শিরশির করে উঠছে। আলো উঠে জানালার বন্ধ করে পর্দা টেনে দিলো। তারপর রোদের কপালে জলপট্টি দিয়ে আলতো করে রোদের চুল টেনে দিতে লাগল। রোদ একটু আরাম পেয়ে ঘুমে তলিয়ে গেছে। আলো উঠে বসল বিছানার ঠিক মাঝখানে। যাতে দু’জনের দিকে খেয়াল রাখতে পারে।
মেঘ ততক্ষণে আলোর এক হাত বুকের সাথে আঁকড়ে ধরেছে। আর আলো অন্য হাতে রোদের চুল টেনে দিচ্ছে। আলো ওদের দু’জনের দিকে তাকিয়ে আলো মুচকি হাসল। অচেনা এই মানুষ দু’টোর প্রতি ওর মনে অদ্ভুত ভাবে মায়া জন্মেছে। মনে হচ্ছে, রোদ মেঘ ওর খুব কাছে কেউ।
পরেরদিন সঠিক সময়ে পূর্বাকাশে সূর্য তার উপস্থিতি জানান দিলো। সেই সাথে সূত্রপাত ঘটাল রৌদ্রজ্জ্বল নতুন একটা দিনের। ঝকঝকে স্বচ্ছ আকাশে ঝাঁক ঝাঁক সবুজ টিয়াপাখি দল বেঁধে উড়ে যাচ্ছে। কালকে রাতের বৃষ্টিতে গাছগুলো সব গ্লানি ধুয়ে মুছে নব্য রূপে সজ্জিত হয়েছে। পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘের ভেলা আপন মনে ভেসে বেড়াচ্ছে।
কালকে রাতে রোদের ঘুমটা বেশ ভালো হয়েছে। তাই খুব সকালে ওর ঘুমটা আগে ভেঙ্গেছে। বুনো পাখিরা এসে থাই গ্লাসে টোকা দিয়ে যাচ্ছে। রোদ আড়মোড়া ভেঙ্গে পাশ ফিরে দেখে আলো বসে বসে ঘুমাচ্ছে। ওর সামনের অবাধ্য কিছু চুল এসে কপাল ছুঁয়েছে। ফর্সা মায়াবী মুখশ্রীতে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। মনে হয় রাতে ঠিক মতো ঘুমাতে পারে নি। রোদ ওর দৃষ্টি সরিয়ে মেঘের দিকে তাকাল। মেঘ আলোর পা জড়িয়ে ধরে বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। মেঘের ঘুমের ভঙ্গি দেখে রোদ মৃদু হেসে উঠে ফ্রেশ হতে গেল। তারপর ওদের দু’জনকে ডেকে ফ্রেশ হতে বলে খাবার অর্ডার করল। তিনজনে একসঙ্গে খেয়ে উঠতেই আলো তাড়াহুড়ো করে বলল,
”আমার এখন বাড়ি যেতে হবে। আপনারা সাবধানে থাকবেন, আসছি।”
আলো চলে যাবে শুনে মেঘ মন খারাপের সুরে বলল,”চলো আমরা তোমাকে এগিয়ে দিচ্ছি।”
আলো নিষেধ করলেও মেঘ ওর বারণ শুনল না। অগত্যা মেঘের জেদের জন্য রোদ ওদের নিয়ে বের হলো। মেঘ আর আলো গল্প করতে করতে সামনে হাঁটছে। আর রোদ ওদের থেকে একটু পিছিয়ে। হাঁটতে হাঁটতে আলো হঠাৎ দাঁড়িয়ে গেল, সামনে লোক জনের ছোটাছুটি দেখে। সে একটা মাঝ বয়সী মহিলাকে দাঁড় করিয়ে বলল,
“কী হয়েছে, সবাই এভাবে দৌড়াদৌড়ি করছে কেন?”
ওই মহিলা জবাবে যা বলল। সেটা শোনার জন্য আলো এই মুহূর্তে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। সে হতভম্ব হয়ে এক পা পিছিয়ে যেতেই রোদের সাথে ধাক্কা খেলো। আলো করুণ দৃষ্টিতে রোদের দিকে একবার তাকিয়ে শুকনো ঢোক গিলে দৌড় দিলো বাড়ির পথে। আলোকে এভাবে যেতে দেখে মেঘও ওর পেছনে ছুট লাগাল।
To be continue….!!