‘এলোকেশী কন্যা’- [১৪]

0
512

-‘এলোকেশী কন্যা’-
[১৪]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)

প্রায় এক ঘন্টা পর মাতবর তার লোককে বললেন আলোকে ডেকে আনতে। এখন বিচার কার্য শুরু করা হবে৷ ওই শহুরে ছেলেটাকে উনার বেশ সন্দেহ হচ্ছে। তাছাড়া ছেলেটা কথাতে বেশ চটপটে। আর শহুরের মানুষ গুলো মোটেও সুবিধার না। এরা যখন তখন একটা ভয়ানক কান্ড ঘটিতে ফেলতে পারে৷
আর ওই ছেলে যতই বলুন আলোর ওর কেউ না। তবুও কেন জানি একটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। চাইলেও সঠিক হিসাবটা মিলেও মিলছে না। তাছাড়া যতই খারাপ পরিস্থিতিই আসুক আলোকে হাত ছাড়া করা যাবে না। সে হচ্ছে, সোনার ডিম পাড়া হাঁসের মতো অতি মূল্যবান কেউ। আর ওকে হাতের মুঠোয় পাওয়ার এটাই মোক্ষম সুযোগ। তাছাড়া উনি উনার আদরের একমাত্র ছেলে মতিকে কথা দিয়েছেন। আলোকে উনি নিজে মতির হাতে তুলে দিবেন। তখন নাহয় মতি ওই ফুলটাকে দুমড়ে মুচড়ে নষ্ট করে ছিঁটকে ফেলে দিবে। আর নষ্ট ফুল কোনো কাজে লাগে না। তাই সেটাকে যত্ন করার মানেও হয় না। মতি আবার ফুল নষ্ট করতে বেশ পটু! ওর একপ্রকার নেশায় পরিণত হয়েছে, রোজ নতুন নতুন ফুল নিয়ে খেলা করার। ছেলে এই কাজে মাতবরের বেশ গর্ব হয়। কারণ পুরুষের কাজই তো পুরুষত্ব ফলানো। সেটা হোক ন্যায় বা অন্যায়। তাছাড়া এই গ্রামে ন্যায় আর অন্যায় বলে কিছু নেই। সব আইন উনার নিজের হাতে। মাতবরের পরিকল্পনা এখন অবধি ঠিক আছে, শুধু সঠিক সময়ের অপেক্ষা।
মাতবর চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে মুখে একটা বিশ্রী হাসি ফুটিয়ে অনেক কথায় ভাবছেন। এসব ভেবে কেন জানি উনার পৈশাচিক এক আনন্দ হচ্ছে। তবে ব্যাপারটা প্রকাশ করছেন না। অবশেষে উনার এতদিনের অপেক্ষার প্রহর আজ সমাপ্ত হতে যাচ্ছে। উনি ঠোঁট কামড়ে হেসে ঘাড় ঘুরিয়ে পাশে তাকালেন। অদূরে উনার নয় নাম্বার পুত্র লবি(রবি) মাটিতে বসে খেলা করছে৷ ওর বয়স এখন সাড়ে পাঁচ বছর। দেখতে পাহাড়িদের মতোই। মা নেই! কিছুদিন আগে ওর মাকে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে এখন অন্যের ঘরের ঘরণী। আর রবিকে মাতবরের বিশ্বস্ত কাজের লোক রহমান দেখাশোনা করেন। আর এখন অবধি মাতবরের মোট বউয়ের সংখ্যা বারো জন।
তবে বর্তমানে উনার বাড়িতে অবস্থান করছেন তিনজন স্ত্রী। বাচ্চা প্রসবের সময় মারা গেছেন দুইজন, একজনকে উনি স্বজ্ঞানে নিজে হাতে খুন করেছেন। আর বাকি ছয়জনকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। এসব কাজে কখনো উনার বিন্দু পরিমাণ খারাপ লাগে নি। বরং বেশ আনন্দ পান উনি, পৈশাচিক এক আনন্দ! আর সেই আনন্দের প্রকাশ ঘটায় নেশা এবং নারীর শরীরে উন্মাদ হয়ে।
উনি আগাগোড়ায় প্রচন্ড কঠোর হৃদয়ের মানুষ। যার হৃদয়ে না আছে ন্যূনতম বিবেক, আর না মায়া। কঠোরতা যেন উনার রক্তে মিশে আছে। এজন্যই নিজের স্ত্রীদের চোখের পানিতে উনার কঠোর হৃদয় গলে না। তবে এখানে আরেকটা সত্য লুকায়িত আছে। উনি উনার সব ছেলেদের উনার নিজের বাড়িতেই রাখেন। তবে মেয়েগুলোর খোঁজ কেউ বলতে পারে না। হঠাৎ করে মেয়ে বাচ্চা নিঁখোজ হওয়াতে বাচ্চার মায়েরা যখন কান্নাকাটি করেন, তখন উনি হাসি হাসি মুখে বলেন,’বাচ্চাকে উনি নিজে পাহাড়ের উপর থেকে নিচে ফেলে এসেছেন। মেয়ে বাচ্চা অাপদ, তারা নাকি কোনো কাজের না। তাই আপদ দূর করেছেন।’
উনার একথা বাচ্চার মায়েরা প্রথমে কেউ বিশ্বাস করতেন না। হঠাৎ একদিন আরেকটা মেয়ে বাচ্চা হারানোতে মায়ের খুব কান্নাকাটি দেখে, উনি বিরক্ত হয়ে একটা পাহাড়ের নাম বলেছিলেন। সেই পাহাড়ের নিচে অনেক খুঁজে সত্যিই দুই দিনের বাচ্চার মৃত শরীর পাওয়া গেছে। এবং পাহাড় থেকে সরাসরি পাথরের উপরে পরাতে মাথার খুলি ফেটে ঘেলু বের হয়ে গিয়েছিল। নিষ্পাপ বাচ্চাটার শরীরে কারো নখের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত ছিল। মাতবর রেগে নিজে বাচ্চাটার শরীরে অসংখ্য নখের আঁচড় বসিয়ে পাহাড় থেকে ফেলে দিয়েছিলেন।
এই ঘটনার পর থেকে সবাই উনার কথা বিশ্বাস করেছিলেন, আর জেনেও ছিলেন উনি প্রচন্ড পাষাণ। যে নিজের বাচ্চাকে এভাবে মারতে পারে। সে অন্যের অবস্থা কী করবে আল্লাহ জানে! মূলত উনার এই পাষণ্ড রুপের জন্য গ্রামের কেউ মুখ খুলতে পারে না। ভয়ে নতজানু হয়ে থাকে। আর উনি সবার এই ভয়টাকেই স্বার্থসিদ্ধি জন্য কাজে লাগায়। নিজের মর্জি
মতো নিয়মকানুন সৃষ্টি করে গ্রাম পরিচালনা করেন। উনার ছেলে মতিও যেন উনারই আরেকটা কপি। মনে মায়া দয়া কিচ্ছু নেই। সেও মেয়েদের সহ্য করতে পারে না। এজন্য রাগ মেটাতে মেয়েদেরর শরীর খুবলে খেতে পছন্দ করে। ওর কবল থেকে বাঁচতে যখন কোনো মেয়ে চিৎকার করে, সে তখন মেয়েটার উপর আরো নৃশংস ভাবে অত্যাচার চালায়। ওর জন্য এভাবে কত মেয়ের প্রাণ গেছে তার হিসাব নেই। পরে ব্যাপারটা চেপে যেতে মাতবর মেয়েটির বাবা মাকে ভয় দেখিয়ে গ্রামে সালিশ বসিয়ে বলেন, ওই মেয়ে শহুরে এক ছেলের সঙ্গে পালিয়েছে। আর উনার পরিচিত একজন দেখে কথাটা উনাকে জানিয়েছেন। অথবা বলেন সেই মেয়েকে উনি শহরে পাঠিয়েছে, কাজের জন্য। ওখানে সে ভালো থাকবে। এখানে এভাবেই মিথ্যার উপরে মিথ্যা ভর করে দিনগুলো কাটছে। সবাই সবকিছু জেনে বুঝে প্রাণের ভয়ে চুপ থাকে।
তবে এখানে সেই জাহেলিয়াত যুগের মতো কেউ চায়না মেয়ে বাচ্চা হোক। কারণ এই গ্রামে মেয়ে বাচ্চা মানে অভিশাপ। সুন্দর হলে তো কথায় নেই! তারও অনিশ্চিত জীবনের গল্প হয় আর পাঁচজনের মতোই কলুষিত।
এক ঘন্টার জায়গায় প্রায় আড়াই ঘন্টা হতে চলল। কিন্তু ওই লোকগুলো আলোকে নিয়ে এখনো ফিরেনি। মাতবর রেগে লোকগুলোকে গালমন্দ করে আরো একদল লোক পাঠালেন। এবং বললেন, ওই মেয়ের চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে উনার সামনে উপস্থিত করতে। উনাকে বসিয়ে রাখার অপরাধে আগে খুব কঠিন একটা শাস্তি দিবেন। তারপর ওর বাকি অপরাধের বিচার করবেন। একটুপরে, দুইদল লোক ফিরে এসে ভয়ার্ত গলায় জানালেন আলো এবং ওই ছেলে কাউকেই তারা খুঁজে পায়নি। তারা নাকি পালিয়েছে। মাতবর হুংকার দিয়ে চেয়ার থেকে উঠে চিৎকার করে মতিকে ডাকলেন। মতি সেখানে উপস্থিত হতেই মাতবর ক্রোধে ফেটে পড়ে বললেন,
“শহুলেল(শহরের) ওই চুতি** পুলাডাই এই কাম কলছে। তুই গিয়া আছেপাছেল ছব লিছোর্ত কুঁজ। আল ওদেল পেলে তালাতালি আমাল চোখেল ছামনে আন।”
মতি ওর বাবার রাগান্বিত মুখ দেখে কয়েকবার শুকনো ঢোক গিলে, “আছ্ছা আব্বা” বলে লোকজন নিয়ে স্থান ত্যাগ করল। মাতবর আরো লোক লাগিয়ে পুরো গ্রামটা আবার তন্নতন্ন করে খোঁজার আদেশ দিলেন। কোনোভাবেই ওদের পালাতে দেওয়া যাবে না। আর আলোর নিঁখোজের কথাটা চারদিকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ছড়িয়ে গেল। কেউ কেউ মনে মনে খুশি হলেও সেটা প্রকাশ করলেন না। আলো নাহয় পালিয়ে বেঁচেছে, উনাদের তো এখানে থাকতে হবে। আর এখানে থাকতে হলে না চাইলেও মাতবরের কথাতেই সম্মতি দিতে হবে। নাহলে মৃত্যু! তবে গ্রামের অন্যরা আলোকে নিয়ে কুৎসিত কথা বলতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করলেন না। মুখে যা আসছে উনারা তাই বলছেন। আজ সকালে রোদকে যারা দেখেছে, মাতবারের কাছে ভালো সাজতে তারা ওদের নিয়ে বানোয়াট কথা বানিয়ে পুরো গ্রামে রটিয়ে দিলেন। কথাগুলো এমনভাবে সাজিয়েছেন যেন এটাই সত্যি। কেউ কেউ তো মুখ ঝামটা দিয়ে মৃত দাদীমাকেও ছেড়ে কথা বললেন না। যেন সব দোষ দাদীমার।
এদিকে মতি দশ করে একটা দল তৈরী করে রিসোর্টে খুঁজতে লাগাল। তিনটে দল একসঙ্গে রিসোর্টে গুলোতে খুঁজতে শুরু করেছে। আজ যদি ভাগ্যক্রমেও ওরা ধরা পড়ে, তাহলে ওদের কপালে কী আছে, ওরা ঠিক কল্পনাও করতে পারছে না। মতি ওর দলবল নিয়ে রিসোর্টের ম্যানেজারদের সাথে হাঙ্গামা করে সব রুম তল্লাশি করছে। জোর করে বাঁধা দিলেই ভাংচুর শুরু করছে। বিশ্রীভাবে গালাগাল করছে। রোদরা উঠেছিল ছিলো রিমঝিম রিসোর্টে। মতি খুঁজতে খুঁজতে সেই রিসোর্টের দিকেই ধীরে ধীরে এগোচ্ছে।
রোদরা রিসোর্টে পৌঁছে ম্যানেজারকে বলে আরেকটা রুম বুক করেছে। ওরা সেই রুমেই এখন অবস্থান করছে। মেঘ তো আলোর কাছে থেকে সরছে না। আলোর তো এখনো কাঁদতে কাঁদতে বেগতিক অবস্থা। তাছাড়া ওর পুরো শরীরে কাদামাটির সাথে চুলেরও বেহাল দশা। রোদ মেঘ আর আলোকে রুমে থাকতে বলে দ্রুত পায়ে বেরিয়ে গেল। মেঘ তোতাপাখির মতো আলোকে অনবরত কত কী বলছে। বার বার হাসানোর চেষ্টা করছে, তবুও কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। আলো শুধু নাক টেনে ফুঁপিয়ে কেঁদেই যাচ্ছে। রোদ আলোর জন্য কয়েকটা ড্রেস এনে রুমে ঢুকতে যাবে, তখন মেঘের কথা শুনে রোদ ওখানেই থমকে দাঁড়িয়ে গেল। মেঘ আলোর কোলের উপর বসে আলোর চোখ মুছে দিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে বলতে লাগল,
“জানো বউমনি, তোমার মতো আমরাও একা। আমাদেরও বাবা মা নেই। আমি আর দাভাই অনেক বড় বাসায় একা থাকি। আমাদের অনেক কিছু আছে। কিন্তু আদর করার কেউ নেই। তবে দাভাই আমাকে খুব ভালোবাসে, আর আমিও বাসি। আর এখন দাভাই ছাড়া আমি তোমাকেও খুব ভালবাসি। কেন জানো? কারণ তোমার কাছে আসলে আমি আম্মু! আম্মু! গন্ধ পায়। আর এই গন্ধটা আমার মেলা মেলা পছন্দ। বউমনি আমার আম্মুর মতো আমাকে ভালোবাসবা?”
এইটুকুন!
মেঘের এই কথা শুনে আলোর ততক্ষণে কান্না বন্ধ হয়ে গেছে। সে নিষ্পলক ভাবে চেয়ে আছে মেঘের নিষ্পাপ মুখের দিকে। মেঘের আবদার শুনে আলোর চোখ দিয়ে কেন জানি ঝরঝর করে অশ্রু ঝরে গেলো। আলোকে কাঁদতে দেখে মেঘ উত্তেজিত হয়ে মুখ কাঁচুমাচু করে বলল,
“না, না, আমাকে ভালোবাসতে হবে না। তবুও তুমি কান্না করো না বউমনি। আমার না খুব কষ্ট হচ্ছে, তোমার কান্না দেখে। প্লিজ বউমনি আর কেঁদো না।”
একথা শুনে আলো মেঘকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগল। রোদও সতর্কতার সাথে ওর চোখের পানি মুছে নিলো। এরপর ওদের থামাতে শব্দ করে রুমে এসে আলোকে একটা ড্রেস এগিয়ে দিলো। আলো রোদকে দেখে মেঘকে ছেড়ে মাথা নিচু করে নিলো। মেঘও ওর মুখ মুখে মিষ্টি হাসল। রোদ আঙ্গুল দিয়ে ওয়াশরুম দেখিয়ে আলোকে দ্রুত গোসল সেরে নিতে বলল। আর মেঘকে বলল রোদের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিতে। রোদের কথা শুনে মেঘ আলোর দিকে একবার তাকিয়ে বিনাবাক্যে উঠে চলে গেল। রোদ পাশ ফিরতেই দেখল আলো ওয়াশরুমের দরজার কাছে থম মেরে দাঁড়িয়ে আছে। রোদ সেদিকে এগিয়ে আলোকে জিজ্ঞাসা করল,
“দাঁড়িয়ে আছো কেন?”
আলো মাথা নিচু করে কান্নারত কন্ঠে বলল,
“আমি কখনো এরকম গোসলখানা ব্যবহার করি নি। কোথায় কী করব? ঠিক বুঝতে পারছি না আমি?”
রোদ ব্যাপারটা বুঝে ওয়াশরুমে গিয়ে আলোকে সব দেখিয়ে দিলো। তারপর সে চলে আসতে যাবে তখন আলো পুনরায় ফুঁপিয়ে কেঁদে দিলো। মানুষটাকে কিছু বলতেও ওর বিবেকে বাঁধছে। ওর জন্য তো কম কিছু করছে না। রোদ ওকে আবার কাঁদতে দেখে বলল,
“কী সমস্যা বলো? তোমার আর কিছু কী লাগবে? আমাকে বলতে পারো।”
আলো ওর ভেজা চোখ দুইহাত দিয়ে মুছে নিলো। তারপর ঢোক গিলে জিহ্বা দিয়ে একবার ঠোঁটে ভিজিট বলল,
“আসলে আমার চুলে কাদামাটিতে একাকার অবস্থা। আর আমি একা কখনো আমার চুল পরিষ্কার করি নি। দাদীমা সব করে দিতো। পুকুর হলে পারতাম। কিন্তু এখানে একা কী করে, কী করব।”
আলোর কথা শুনে রোদ ওকে আশ্বস্ত করতে মৃদু হেসে বলল,
” আচ্ছা আমি তোমাকে সাহায্য করছি? তুমি এখানে এসে দাঁড়াও।”
একথা বলে রোদ একটা সুইট চেপে আলোকে শাওয়ারের নিচে দাঁড় করাল। তারপর ঝিরিঝিরি পানিতে ধুঁয়ে যেতে লাগল আলোর পুরো শরীর। রোদ এগিয়ে এসে ধীরে ধীরে আলোর চুলের কাদা ছুটাতে লাগল। এঁটেল মাটি সহজে ছুটছেও না। রোদ এই প্রথম কোনো মেয়ের চুল স্পর্শ করল। এটাই ওর প্রথম অভিজ্ঞতা। এজন্য হয়তো ওর হাতটা মৃদু ভাবে কাঁপছে। রোদ নিজেকে যথেষ্ট সামলে আলোর চুলের মাটি ছুটাতে ছুটাতে বিরস কন্ঠে বলল,
“এত বড় চুল রাখার কী দরকার? একটু ছোট করলেই হয়।
যেহেতু তুমি নিজে সামলাতে পারো না।”

To be continue……!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here