-‘এলোকেশী কন্যা’-
[১৮]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)
ওরা প্রায় আধা ঘণ্টার মধ্যে বাসায় পৌঁছাল। রোদ আগে নেমে দরজা খুলে মেঘদের নামতে ইশারা করল। মেঘ লাফ দিয়ে নেমে চিৎকার করতে করতে বাসার ভেতরে ঢুকে গেল। সবাইকে তো জানাতে হবে সে আজ বাসায় ফিরেছে। রোদ ওকে দৌড়াতে নিষেধ করে আলোর দিকে তাকাল। আলো দুরুদুরু বুকে ঢোক গিলে আস্তে ধীরে নামল। ভ্যাপসা গরমে এসি গাড়ি থেকে নেমে অবস্থা আরো খারাপ। মনে হচ্ছে পুরো শরীরে আগুন লেগে গেছে। বাতাসও নেই! গাছপালা গম্ভীর রুপ নিয়ে থম মেরে আছে। আবহাওয়াও যেন প্রচন্ড রেগে তাপমাত্রা দ্বিগুন হারে বাড়িয়ে দিচ্ছে। আজ কেন এত রাগ কে জানে! এখন বাজে এগারোটা সাত। অথচ সূর্যের কড়া তাপ দেখে মনে হচ্ছে মধ্য দুপুর।
আলো গাড়ি থেকে নেমে এক সাইডে সরে দাঁড়াল। ড্রাইভার ট্রলি বাসায় রেখে গাড়ি পার্ক করতে গেলেন। রোদ অদূরে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছে। ওর কথা শুনে স্পষ্ট জরুরি কিছু নিয়ে আলোচনা করছে। হয়তো অফিসের কোনো ব্যাপারে। একা একা বাসায় প্রবেশ করাটা আলোর কাছে বেশ দৃষ্টিকটু লাগছে। তাই সে দাঁড়িয়ে রোদের অপেক্ষা করছে। আর মেঘ তো একাই চলে গেছে। মূলত সে ওয়াশরুমে গেছে। যাওয়ার
আগে আলোকে ইশারায় সেটাই বুঝিয়েছে। আলো ওখানে দাঁড়িয়ে আশেপাশে চোখ বুলালো। রোদরা যে এত উচ্চবিত্ত আলো ভাবে নি। তবে ওদের চাল-চলন ব্যবহারে বুঝেছিল ওরা বেশ ভদ্র এবং স্বচ্ছল পরিবারের ছেলে। তাই বলে এতটা! আর না বোঝার মূখ্য কারণ ওদের মধ্যে অহংকারের লেশমাত্র পায়নি। উচ্চবিত্তদের মতো সামান্য ব্যাপারে নাক কুঁচকাতেও দেখে নি। বরং মিশুক ভাবে দু’জনের মধ্যেই বিদ্যামান। কিন্তু এখানে এসে পা রাখতে না রাখতেই ওর ভুলটা ভেঙ্গে গেল। সেই সাথে আলো লজ্জায় আর মাথা তুলে তাকাতে পারল না। একরাশ আফসোস এসে ওকে আঁকড়ে ধরল।
এত উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেদের সে প্রথমদিন কলার মোচা আর ডিম দিয়ে খেতে দিয়েছিল। আর শুতে দিয়েছিল শক্ত কাঠের বিছানায়। অথচ তারা থাকে রাজ প্রসাদের মতো বাড়িতে আর হয়তো খাবার খায় বেশ উন্নতমানের। সম্ভবত
চক্ষু লজ্জায় কিছু বলতে পারে নি। এসব ভেবে আলোর কেন জানি নিজেকে খুব ছোট মনে হলেও, পরক্ষণে আবার ভাবল সে তার সামর্থ্য অনুয়ায়ী করেছে। ওর কষ্টের উপার্জন দিয়ে ওদের যথাসাধ্য আপ্যায়নের চেষ্টা করেছে। রোদ বা মেঘ তো ওকে ছোট করেনি। বরং ওদের সঙ্গে সহজে মিশে গেছে। এটা ভেবে তাৎক্ষণিক মিষ্টি হেসে আশপাশটা অবলোকন করল।
রোদদের রাস্তায় পাশে সাদা রংয়ের দো’তলা বাড়িটা বেশ আর্কষনীয়। বিশেষ করে বাড়ির নকশাটা! রাজকীয় একটা ব্যাপার আছে। বাড়িতে ঢুকতেই পিচচালা রাস্তার একপাশে ফুলের বাগান। সেখানে নাম না জানা অসংখ্য ফুলের গাছ দেখা যাচ্ছে। বেশ কয়েক ধরনের ফুলও ফুটেছে! রাস্তার দুই ধারে চা পাতার মতো গাছগুলো ডিজাইন করে কাটা, অপর পাশে একটা সুইমিং পুল। নীল স্বচ্ছ পানি সেখানে টলমল করছে। বাগানের মাঝখানে সাদা রঙ্গের একটা দোলনা এবং তার পাশেই পানির ফোরায়া। ঝিরঝির করে মাছের মুখ দিয়ে পানি বের হচ্ছে। সেই পানি একটা বাচ্চা ছেলে হাত পেতে ধরছে। দেখতে অদ্ভুত সুন্দর দেখাচ্ছে।
আলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রোদ দ্রুত কল কেটে ভেতরে প্রবেশ করল। ওর খেয়ালই নেই আলো এখনো দাঁড়িয়ে আছে। কথার তালে সব ভুলে গেছে। আলো বাড়ির ভেতরের সৌন্দর্য দেখে আরেকদফ অবাক হলো। তবে সেটা প্রকাশ করল না। এভাবে তাকাতে দেখে যদি কেউ হাভাতে ভাবতে পারে। সে গরীব! তবে হাভাতে তো নয়! তাই নিজেকে যথেষ্ট সামলে মেঘের পাশে বসল। মেঘ সোফাতে উপুড় হয়ে শুয়ে গেম খেলছে। রোদ অপর সোফায় বসে কাউকে পানি দিতে বলল। তাৎক্ষণিক একজন সুন্দরী মেয়ে এসে ওদের পানি দিয়ে গেল। আলোর ঠিক সামনে কাঠ আর ঝকঝকে মোটা কাঁচের তৈরী সেন্টার টেবিল। অনেক বড় ড্রয়িংরুমে বিভিন্ন আসবাবপত্র , নামী দামী শোপিস, এক সাইডে রাজকীয় সোফা, দেওয়ালে বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং, অপর দেওয়ালে
বিশাল বড় একটা দেওয়াল ঘড়ি। ঘড়িটা তখনই টিকটিক ঢং ঢং শব্দ করে সঠিক সময় জানান দিলো। আলো চমকে উঠে ধরফড় করে উঠে বুকে থুথু দিলো। ওকে ভয় পেতে দেখে মেঘ খিলখিল করে হেসে উঠল। আর রোদ ভ্রু কুঁচকে নিলো।
ভয় পেলে বুকে থুথু দিতে হয়? এটা কেমন সাইন্স? এটা তো জানত না। মেঘ তখন হাসতে হাসতে উঠে বসে বলল,
“বউমনি, আমাদের বাসা পছন্দ হয়েছে?”
“হু হুম, বাড়িটা জান্নাতের মতো সুন্দর করে সাজানো।”
একথা শুনে রোদ একবার তাকিয়ে ফোন স্কল করতে লাগল।
পাহাড়ি অঞ্চলের ছোট্ট গ্রামের মেয়েটা এর আগে এতকিছু দেখেনি। বিলাসিতা জিনিসটার সঙ্গে সে পরিচিতও না। তাই হয়তো অতি সহজেই জান্নাতের সাথে তুলনা করে ফেলল।
আর জান্নাতের সঙ্গে তুলনা করা মানে বিরাট ব্যাপার। যদিও
সুখ সমৃদ্ধ ভালোবাসাপূর্ন প্রতিটা পরিবারই এক একটা জান্নাত। অথচ ওর জায়গায় উচ্চশিক্ষিত মর্ডান কোনো মেয়ে থাকলে, সো নাইস, দারুণ, ওয়াও, অসাধারণ, বিউটিফুল, এসব বলে সৌন্দর্যের প্রশংসা করত। নয়তো অকপটে অন্য কিছুর সঙ্গে তুলনা করত।
রোদ ফোন থেকে দৃষ্টি না সরিয়ে শান্ত কন্ঠে বলল,
“যাও গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে, ঘুম দাও।”
“এখন?”
“হুম, চলো বউমনি।”
মেঘ আলোকে এক প্রকার টেনে দোতলায় নিয়ে গেল।রোদও উঠে আলোকে একটা রুম দেখিয়ে দিল। রোদ আর মেঘের মাঝখানের রুমটা আলোর। মেঘ নিজ দায়িত্বে আলোকে সব বুঝিয়ে দিচ্ছে। কোথায় কী রাখা দেখিয়েও দিচ্ছে।পড়াশোনা বাদে সে সব বিষয়ে পটু। এসব কাজে তো তাকে বলতেও হয় না। সে যেন একাই একশ! রোদ চলে যাওয়ার জন্য এক পা বাড়িয়ে আবার থেমে গিয়ে বলল,
“ওই ড্রেস গুলোর একটা আপাতত পড়ো। বাইরে গেলে আর কয়েকটা কিনে দিবো।”
আলো উত্তর না দিয়ে শুধু হ্যাঁ বোধক মাথা নাড়াল। রোদের কেন জানি খুব রাগ হলো। সে কিছু বললেই মেয়েটা এভাবে মাথা নাড়ায়, নয়তো চুপ থাকে। বিনাবাক্যে জবাব দেওয়া সম্ভব নাহলে তবে দুই একটা কথা বলে। এটা কেমন ব্যবহার?
এমন করার মানে কী?রোদ রাগটা কোনোমতে সামলে গম্ভীর কন্ঠে বলল,
“মুখে বলতে কী হয়? বোবার মতো মাথা নাড়াও কেন?”
“বু বুঝেছি, ও ওই ড্রেসেই হবে সমস্যা নাই!”
রোদ আলোর দিকে একবার তাকিয়ে হনহন করে চলে গেল। রোদের প্রস্থানে আলো হাফ ছেড়ে বাঁচল। এতক্ষণ যেন দম টা আটকে ছিল। তারপর তিনজনে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে রুমে চলে গেল। মেঘ আলোর রুমেই আছে। দু’জন শুয়ে ফিসফিস করে কীসব গল্প করছে। মনে হচ্ছে সিরিয়াস কিছু। ব্যাপারটা মোটেও তা না। আর ওদের তো গল্পের কোনো সমাপ্ত পার্টও নেই। এই চলছে তো চলছেই। রোদ দরজা নক করে রুমে ঢুকে সাবধানে থাকতে বলে অফিসে চলে গেল। ওর যাওয়াটা খুব জরুরি। নাহলে আজ রেস্ট করত। তাছাড়া বাসায় শেফ থেকে শুরু করে সব কাজের জন্য লোক নির্ধারণ করা আছে। তারাই সব কাজ সম্পূর্ন করে সঠিক সময়ে ওদের খেতে ডাকবে।
আজ প্রায় তিনদিন ধরে মাতবরের লোকেরা আলোকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। ওকে না পেয়ে মাতবরের মস্তিষ্ক যেন বিগড়ে গেছে। মতি সেই রাগ তুলতে গত রাতে দু’টো মেয়ে তুলে এনেছিল। তাদের অমানুষের মতো ধর্ষণ করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়েও রেখেছে। মেয়ে দু’টোর আঁকুতি ওর কঠিন হৃদয়ে নাড়া দেয় নি। ওদের ছটফটানি আর চিৎকারে সে আরো উন্মাদ হয়ে গিয়েছিল। ওর পুরো শরীরে যেন কাম উত্তেজনা দ্বিগুন বৃদ্ধি পাচ্ছিল। সে পৈশাচিক আনন্দে বিভোর ছিল। ছেলের দেখে মাতবরও রাগ কমাতে মেয়ে দু’টোর শরীর খুবলে খেয়েছে। কার্য শেষে ওদের নিস্তেজ নগ্ন শরীরে লাথি দিতে উনি ভুলেন নি। লাথি, গালাগালি, এবং থুথু ছিটিয়ে স্থান ত্যাগ করেছেন।
উনার আবার ননভার্জিন মেয়ে মোটেও পছন্দ না। ননভার্জিন মেয়ে উনার দু’চোখের বিষ। উনি নিজে ননভার্জিন করলেও।
অসহ্য ব্যথাযুক্ত শরীরে লাথির আঘাতে মেয়ে দু’টোর প্রান যায় যায় অবস্থা। নিভু নিভু চোখে তারা হয়তো আল্লাহকে বিচার জানাচ্ছিল। নিরবে অশ্রু ঝরিয়ে বাবা-মা আর ছোট ভাই-বোনদের মুখটা স্মরণ করছিল। মেয়ে হয়ে জন্মেছে বলে আফসোসে তপ্ত নিঃশ্বাস ছাড়ছিল। নিরবে নিজের জীবনকে বড্ড তুচ্ছ ভেবে ঘৃণা করছিল। অবশেষে অল্প বয়স,শারীরিক অত্যাচার, এবং অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে ওদের প্রাণপাখি উড়ে গেল। তারা মৃত লাশে পরিণত হলো। চিরতরের জন্য নিঃশ্বাস আটকে গেল। এবং প্রান যাওয়া পরপরই তাদের চুলের মুঠি ধরে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হলো। নগ্ন শরীরে লাশ হয়ে তারা ঝুলতে থাকল। নিষ্পাপ চোখ দু’টো বন্ধ করে যেন ওরা নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে। নিষ্ঠুর এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে ওরা মুক্তি পেলো। ওদের একজনের বয়স দশ আর আরেকজনের তেরো। সদ্য বেড়ে ওঠা নিষ্পাপ দু’টি ফুল। আজ অমানুষদের কবলে পড়ে দু’টো ফুলই অকালে ঝরে গেল। না দিলো ওদের বাঁচতে আর না দিলো শান্তিময় মৃত্যু!
মাতবর মতিকে উনার রুমে ডেকে কিছুক্ষণ আলোচনা করলেন। আর জানালেন গ্রামের মেয়ে আর না তুলতে। এই কয়েকদিনে বেশ কয়েকজনকে উনারা তুলে এনেছেন। এমন করলে গ্রামবাসী জেনে যাবে ক্ষিপ্ত হয়ে বেঁকে বসবে। তখন ব্যাপারটা হাতের বাইরে চলে যাবে। একথা শুনে মতি বেশ বেজার হয়ে বলল,
“আব্বা, শলীল ঠান্ডা না হইলে আমাল ঘুম আছে না। একথা লাখতে আমি পালব না।”
“আলে বাই** গেলাম থেকি তুলি আনতে নিছেদ কললাম। তুই অন্য জায়গা থেকি আনবি।”
” কুন জায়গা থেকি আব্বা?”
“পাহালে কত সুন্দল সুন্দল বেডিলা ঘুরতে আছে ৷ ওদেলই ছুযোগ বুঝে তুলি আনবি। আল শহুলেল বেডিগো গতর নরম হয়, দেখবি মজা বেছি পাইবি।”
একথা শুনে মতির চোখ দু’টো চকচক করে উঠল। সে নারীর দেহের পাগল। নারীর দেহের কথা শুনলেই ওর পুরো শরীর শিরশির করে ওঠে। আর এই শিরশিরানি কমে কারো দেহকে খুবলে খেয়ে। মতি মাতবরকে আজ সন্ধ্যার পরপরই রেডি থাকতে বলল। আজকেই ওরা শহরের একটা না একটা ফুল
তুলবে। সে যে করেই হোক। ওরা এবার শহরের ফুলের ঘ্রাণে উন্মাদ হবে। এসব বলে বাবা ছেলের মুখে বিশ্রী একটা হাসির রেখা ফুটে উঠল। আবার কোন মায়ের বুক খালি হবে কে জানে! কার ভাগ্য কাকে এখানে টেনে আনবে তাও অজানা। শুধু জানা এইটুকু কেউ নিঃশেষ হবে আর সেটা নির্মম ভাবে। না পারবে কিছু বলতে, আর না পারবে নিজেকে বাঁচাতে। শুধু থাকবে আত্মচিৎকার, কষ্ট, ছটফটানি,অশ্রু, সতিচ্ছেদ, রক্ত, অতঃপর মৃত্যু। ব্যস, এই খেলা এখানেই শেষ।
গভীর পাহাড়ে লুকায়িত জঙ্গিদের একটা দল মাতবরদের থেকেও নিকৃষ্ট। যদিও এদের সঙ্গে ওদের কোনো মিল নেই। তবে দু’টোই অমানুষ বর্বর এবং নিকৃষ্ট জাতি। মাতবর সেই দলের অন্তর্ভুক্তও নয়। তবে উনি ওই জঙ্গিদের ভয় পান। এর যথাযথ কারণও আছে বটে। সেই জঙ্গিরা গত সপ্তাহে ঘুরতে আসা তিন বন্ধুকে অপহরণ করেছিল। এবং তিনজনেরই করুণ অবস্থা করে দুইদিন পর বলি দিয়েছে। ছেলেগুলোর টাটকা রক্তে তাদের উপাসকের আরাধনা করেছে। জঙ্গি মেয়েরা টানা দুইদিন ধরে তাদের ফায়দা উঠিয়েছে। টগবগে যুবক পেয়ে ওরা হাত ছাড়া করে নি। ছেলেগুলো একপর্যায়ে
অবচেতন হলে তাদের শরীরে আগুনের ছ্যাকা দিয়ে জ্ঞান ফিরিয়েছে। শুকূরের কলিজা দিয়ে তৈরী জিনিসটা ওদের জোরপূর্বক খাইয়েছে। ছেলেগুলো আর সহ্য করতে না পেরে কাঁদলে জঙ্গি মেয়েরা খিলখিল করে হেসে উঠেছে। তাদের কাছে ব্যাপারটা খুব মজার ছিল। তারপর ছেলেগুলোকে আধমরা হয়ে বলি হতে হলো।
একদিকে মতি আর মাতবের কাছে নারীর দেহ অতি তুচ্ছ। আর অন্য দিকে লাজ-লজ্জা ভুলে জঙ্গি মেয়েরা পুরুষের শরীরের পাগল। জঙ্গি গোষ্ঠীর পুরুষরাও কিছু বলে না। এটা তাদের কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার। বরং তারা আরো উল্লাসে মেতে ওঠে। পাপ করতে করতে এদের মন থেকে বিবেক, অনুশোচনা, অপরাধবোধ, একেবারেই মুছে গেছে। আর ভদ্র সমাজের ছেলে-মেয়েগুলোও পৃথিবীর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যে ডুবতে এখানে আসে। ধরাকে সরা জ্ঞান ভেবে মর্জি মতো চলাফেরা করে। তারপর নিজেদের অসাবধনতায় এদের হাতে পড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ফলস্রুতিতে ভয়ংকর এক পরিস্থিতির শিকার হয়। তাছাড়া প্রতিটা জায়গা অর্থাৎ গ্রাম, শহর অথবা পাহাড়ি র্দূগম অঞ্চলের সবখানে ভালো মন্দের এক একটা ঘটনা লুকায়িত থাকে। আশ্চর্যজনক ভাবে এই ব্যাপারে ভালোটা সব সময় প্রকাশিত হয় বিধায় সবাই জানে। আর খারাপটা অপ্রকাশিত থেকে যায়। আর প্রকাশিত হবে কীভাবে? এখানে মিডিয়া, টিভি, সোশ্যাল সাইড, লাইভ তো দূর নেটওয়ার্ক অবধি নেই। আর না আছে কোনো নিরাপত্তা। এজন্যই এসব ঘটনা মাটিচাপা পড়ে যায়। ছেলে-মেয়েরা ভালোর টানে ছুটে এসে অসাবধানতায় মুখ থুবকে খারাপের কবলে পড়ে। কত মায়েদের বুক খালি হয়।
যার মূখ্য উদাহরণ রোদ, মেঘ আর ওই তিনটে ছেলে।
To be continue………….!!