বুকের_বা_পাশে 🌿🌿 #written_by_Nurzahan_akter_allo #Part_31

0
325

#বুকের_বা_পাশে 🌿🌿
#written_by_Nurzahan_akter_allo
#Part_31

–“নজর টিকা দিয়ে দিলাম। এবার আর কারো নজর লাগবেনা।” (প্রত্যয় মুচকি হেসে)
–(তুয়া সাইলেন্ট)
–“এই আদরটা দিয়ে তোর কপালে অদৃশ্য ভাবে আমার স্পর্শের একটা চিহ্ন এঁকে দিলাম। আমার বউ বলে কথা। ” (প্রত্যয়)
–(তুয়া সাইলেন্ট)
–“শোন তুয়া! আমার স্পর্শটা তোর জন্য পবিত্র। কারন আমরা এখন পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ। সময় চেয়েছিস সময় দিয়েছি। তাই বলে একবারেই দুরে সরে যাস না।প্রতিটা কাজের জন্য এনার্জির প্রয়োজন হয়। তেমনি আমারও বেঁচে থাকার জন্য এনার্জির দরকার। যেটা আমি তোর কাছে থেকে পেতে চাই। তোকে তো আমি সময় দিয়েছি। তোর সব আবদার বিনা বাক্যেতে মেনেও নিয়েছি। তুই শুধু তোর কপালে আদর দেওয়ার অধিকার থেকে আমাকে বঞ্চিত করিস না। আমার এতটুকুই চাওয়া আছে শুধু তোর কাছে। আমার আর কিচ্ছু লাগবেনা। আমি সম্পূর্ণভাবে তোকে না পেলাম। এতটুকুর অধিকার তো পেতেই পারি, তাই না?” (প্রত্যয় সফ্টলিভাবে কথা গুলো বললো)
–(তুয়া সাইলেন্ট)

তুয়া প্রত্যয়ের এমন কাজে রিয়েক্ট করতে গিয়েও থেমে গেল। প্রত্যয়ের বলা কথা গুলো শুনে, তুয়া আর টু শব্দ করেনি। প্রত্যয় তো ভুল কিছু বলেনি। এতদিন যা হয়ে আসছে, প্রত্যয় সব মুখ বুজে মেনে নিয়েছে। ওর তো এত কিছু সাফার করার কথা না। ওর চাওয়াটুকু তো ভুল না। এজন্য তুয়া টু শব্দ করতে পারলো না।

হঠাৎ ওদের রুমের দরজা নক হওয়াতে, প্রত্যয় একটু সরে দাঁড়ালো। তুয়া দ্রুত পায়ে রুম থেকে বের হয়ে গেল। প্রত্যয় তুয়ার যাওয়ার পানে তাকিয়ে থাকলো। তুয়ার কাজিনরা এসে তুয়াকে ডেকে নিয়ে গেল। প্রত্যয়ও একটু পর তুয়াদের বাসায় গেল। এত এত মানুষের সমাগম, গান বাজনা,বাচ্চাদের হাউকাউ, বিয়ের বাড়ি যেমন হয় আর কি। তুরাগের বন্ধুরা ফাজলামি করছে। বাসার মহিলারা বসে আড্ডা দিচ্ছে। মাঝে মাঝে সবাই মিলে একসাথে গগন ফাটানো অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছে।

প্রত্যয় চারপাশটায় চোখ বুলিয়ে নিলো। প্রত্যয়ের আম্মু আর তুয়ার আম্মু মেহমানদারী করতে ব্যস্ত। প্রত্যয় তুরাগের দিকে এগোতেই, মিথি এসে প্রত্যয়ের রাস্তা আটকে দাঁড়ালো। একটু হলে তো প্রত্যয় মিথির সাথে ধাক্কা খেতো। মিথি প্রত্যয়ের দিকে তাকিয়ে বললো,
–“ওহ হো সকালে ছিলো মেরুন কালার শার্ট। এখন সবুজ পান্জাবী। আল্লাহ! গো আল্লাহ! আমি এবার বুঝি মরেই হয়ে যাবো।” (কপালে হাত রেখে ঢং করে)
–“শালিকা এত তারাতারি মরলে তো হবে না। তুমি মরলে,আমাদের জুনিয়র গুলোকে কে সামলাবে?” (প্রত্যয় মুচকি হেসে)
–“বয়েই গেছে তাদের সামলাতে।” ( মুখ ভেংচি দিয়ে)
–“এভাবে বলোনা। তুমি ওদের খালামনি বলে কথা।”
–“যাই হোক বললেন না তো আমাকে কেমন দেখাচ্ছে?” (ভাব নিয়ে)
— “আমার বউয়ের মতো ন্যাচারাল বিউটি লাগছে না। তোমাকেও মন্দ লাগছেনা,চলে আর কি। তবে এই সাজগোজ এর পরিমানটা একটু কম হলে আরো ভাল লাগতো।” (প্রত্যয়)
–“হুহ।” (মুখ ভেংচি দিয়ে, প্রত্যয়কে মৃদু ধাক্কা দিয়ে চলে গেল)
–“একি মেয়ে রে বাবা। ধাক্কা মেরে চলে গেল।শালিকারা কি এমন প্যারাময় হয়নি নাকি কে জানে?” (প্রত্যয় বিরবির করে)

প্রত্যয় এগিয়ে গেল তুরাগের কাছে। তুয়া আর প্রত্যয় একসাথে তুরাগের গালে হলুদ ছোঁয়ালো। এরপর প্রত্যয় আর তুয়া ওখানে কিছুক্ষন বসলো। কারন ফটোশুটের একটা ব্যাপার আছে। যদিও অকারনে ছবি তোলার বিষয়টা প্রত্যয়ের মোটেও পছন্দ না। তারপরেও পরিস্থিতি মোতাবেক সব মেনে নিতে হয়। সব জায়গায় “না ” বোধক শব্দটার গুরুত্ব না দেওয়াটাই শ্রেয়। কারন প্রতিটা কাজ পরিস্থিতি আর সময় অনুযায়ী করাটাও বুদ্ধিমানের কাজ। প্রত্যয় তুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলো। প্রত্যয়কে নিয়ে তুয়ার ভাবিরা কম ফাজলামি করলো না। উনারা বড় তাই প্রত্যয় টু শব্দ করেনি। মুচকি হেসে সব কথা শুনেছে। তবে উনাদের কিছু কিছু কথাতে প্রত্যয় আর তুয়া দুজনেই লজ্জা পেয়েছে।

প্রত্যয়ের এত হট্টগোল ভালো লাগছিলো না। তাই তুয়াকে নিয়ে একটা নিরিবিলি জায়গায় এসে দাঁড়ালো। এর মধ্যে হুট করে, মিথি কোথা থেকে দুই হাত ভর্তি হলুদ নিয়ে আসলো। আর প্রত্যয়ের গালে দিতে যাবে, তখনই প্রত্যয় মিথির দুই হাতের কব্জি ধরে ফেলে। প্রত্যয় মিথির দিকে তাকিয়ে বলে,

–“আমার মা আর আমার বউ ছাড়া অামাকে আর কোনো মেয়ে টার্চ করুক, এটা আমি চাইনা। শালিকা বলে ছাড় দিচ্ছি। এর মানে এই নয় যে সব কিছু মেনে নিবো।” (মুচকি হেসে)
–“এত অহংকার? একটু হলুদ দিলে আপনার গাল খসে পড়বে বুঝি?” (তাচ্ছিল্যের সুরে)
–“যেমনটা ভাবো। তবে অনেকের কথাবার্তা আর কাজের মাঝেও তাদের মন-মানসিকতারও প্রকাশ পায়। সত্যি বলতে,আমি আমার মতো চলতে পছন্দ করি। নিজের মতো চলাটাকে যদি অহংকার করা বলে। তো আমি অহংকারী, এটা মানতে আমার কোন সমস্যা নেই।” (প্রত্যয়)
–“বাব্বা তুয়া আপু তোমার বর তো দেখি মজাও বুঝেনা। এ কেমন নিরামিষ টাইপের তোমার বর।” (মিথি)
–“মিথি আমি সরি! কারন আর পাঁচ টা হ্যাংলা জিজুদের মতো গায়ে পড়া স্বভাবের আমি হতে পারলাম না। শালিকাদের সাথে অতিরিক্ত হ্যাংলামি করাটাকেই বুঝি মজা করা বোঝায়? যাই হোক, আমি তাহলে তোমাদের জিজু হিসেবে বড্ড বেমানান। এজন্য আমি আবারও সরি।” (প্রত্যয় শান্ত সুরে)
–“আমি বলেই কি এমন করছেন? নাকি অন্য কোনো মেয়ে হলে মেনে নিতেন?” (মিথি)
–“ওই যে বললাম,আমার বউ আর মা ছাড়া এমনভাবে টার্চ করার পারমিশন আমি কাউকে দেয়নি। আর কখনো দিবোও না। বলতে পারো এটাও আমার মর্জি। তবে আমি মনে করি,এমন হ্যাংলামো না করে সুন্দর ভাবে কথা বলেও একটা সু সম্পর্ক তৈরী করা সম্ভব হয়। যদি ভাল সম্পর্কের মানে কেউ বোঝে তো। এমনভাবে বার বার ধাক্কাধাক্কি, গায়ে পড়ে কথা বলা এসব আসলে ভদ্রতার মধ্যে পড়েনা।
আর রইলো হলুদের কথা তাই তো, ওয়েট।” (প্রত্যয়)

তুয়া দাঁড়িয়ে ওদের সব কথা শুনেছে। প্রত্যয় তুয়ার হাত ধরে ওর সামনে দাঁড় করালো। তারপর তুয়ার হাত ধরেই, প্রত্যয় মিথির থেকে তুয়ার হাতে হলুদ নিলো। তুয়ার হাত দিয়েই, প্রত্যয় ওর নিজের গালে হলুদ ছোঁয়ালো। প্রত্যয়ের এমন কাজে মিথি আর তুয়া দুজনেই হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। প্রত্যয় এবার নিচু হয়ে,ওর গালের হলুদ তুয়ার গালে ছোঁয়ালো। তুয়ার বুঝতে বাকি নেই যে প্রত্যয় রেগে গেছে।আর রাগের কারণেই প্রত্যয় এমন কান্ড ঘটালো। তবে অবাক করা ব্যাপার, প্রত্যয়ের মুখে রাগের কোনো চিহ্ন নেই। সবটা যেন স্বাভাবিক আছে। আসলে মিথির এমন গায়ে পড়া স্বভাবটা প্রত্যয়ের কাছে মোটেও ভাল লাগছেনা। আর অতিরিক্ত কোনকিছুই ভালো নয়। তাই প্রত্যয় এটা করতে বাধ্য হয়েছে।

এরপর প্রত্যয় তুয়ার গালে হলুদ দিয়ে মিথির দিকে শান্ত দৃষ্টিতে তাকালো। ওর এমন শান্ত দৃষ্টির মানে হলো,

–“”আমার #বুকের_বা_পাশে তুয়ারই স্থান। তুয়াই আমার পুরো শরীর আর মন জুড়ে বিচরণ করে।তাই আমি শুধু তারই।”

মিথি বলার মতো আর কোন কথা খুঁজে পেলো না। তাই তুয়া আর প্রত্যয়ের দিকে একবার তাকিয়ে চলে গেল। মিথি চলে যাওয়ার পর তুয়া বললো,

–“ওর কথায় রাগ করো না। ও একটু মজা করছিলো।” (তুয়া)
–“মজা মানে এই না, যে ও মেয়ে হয়ে বার বার আমাকে ধাক্কা মারবে। মজা, ফাজলামি আমিও বুঝি। তবে সবটা লিমিটের মধ্যে থাকাটাই শোভনীয় নয় কি?”
–“হুম।”

এর মধ্যে তুয়ার ভাবি এসে তুয়াকে ডেকে নিয়ে গেল। প্রত্যয়ের কাছে থাকা তুয়ার ফোনে একটা কল আসলো। আননোন নাম্বার। প্রত্যয় কলটা রিসিভ করে চুপ থাকলো। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, গানের সাউন্ডের জন্য কোনো কথাই শোনা গেল না। প্রত্যয় দ্রুত ওখান থেকে নিচে চলে এলো। এই নাম্বারটাই ট্রাকিং করতে দেওয়া আছে। হুট করে কল কেটে গেল। এর মধ্যে প্রত্যয়ের কাছে একটা ফোন আসলো।প্রত্যয় ফোনটা রিসিভ করে বললো,

–“পাভেল হ্যাঁ বল ভাই। কিছু জানতে পারলি?” (প্রত্যয়)
–“আর একটু কলটা কানেক্ট থাকলেই আসল লোকেশনটা জানা যেতো। তবে এটা তোদের বাসার আশে পাশেই শো করছে।” (পাভেল)
–“ওহ্।”
–“সিমটা বন্ধ করে দিয়েছে। এজন্য আর কিছু করা যাচ্ছে না। চিন্তা করিস না ভাই। সব তথ্য পাওয়া যাবে।” (পাভেল)
–“হুম। আচ্ছা রাখছি তাহলে।” (প্রত্যয়)
–“হুম।”

প্রত্যয় একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিচে হাটাহাটি করছিলো। তখনই দেখে প্রিয়মের বন্ধু রিমনকে। প্রত্যয় রিমনের সাথে কথা বলে। তারপর…………!!

রাত প্রায় ১১ টা দিকে। প্রত্যয়, প্রিয়ম আর রিমন তিনজনে বসে আছে। প্রিয়ম আগুন চোখে রিমনের দিকে তাকিয়ে আছে। রিমনের চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি পড়ছে। প্রত্যয় রিমনের দিকে তাকিয়ে বলে,

–“*********** এই নাম্বারটা প্রিয়ম তোমাকে দিয়েছিলো?” (প্রত্যয়)
–“হুম।”
–“তাহলে এতদিন এসব তুমি করেছো? এসব করাটা কি খুব দরকার ছিলো? এত নোংরা মেসেজ তুমি তুয়াকে দিতে?” (প্রত্যয় দাঁতে দাঁত চেপে)
–” না ভাই বিশ্বাস করেন। আমি এমন করিনি। আমি খারাপ মানলাম। কিন্তু এতটা নিচে নামিনি আমি। প্রিয়ম আমার ভাই। আমি ওকে এভাবে কষ্ট দেওয়ার কথা ভাবতেও পারিনা।” (রিমন)
–“তাহলে এসব কি মিথ্যে?” (প্রিয়ম)
–“রিমন সত্যি টা বলো। আমরা তোমাকে কিচ্ছু বলবো না।কেন করলে,বা এসব কার কথায় করেছো?” (প্রত্যয়)
–“আমি এসবের কিচ্ছু জানিনা ভাই। আর সত্যি কথা হলো, এই সিমটা তো এখন আমার কাছেই নেই। আমি তাহলে কিভাবে এসব করতে পারি।” (রিমন)
–“ওই সিম তাহলে কার কাছে আছে?” (প্রিয়ম অবাক হয়ে)
–“আকাশের কাছে আছে। আকাশ আমাকে বলেছে,তুই নাকি এই সিমটা ওকে দিতে বলেছিস। তাই আমি দুই মাস আগে ওকে ওই সিমটা দিয়েছি।”

প্রত্যয় এবার প্রিয়মের দুজন দুজনের দিকে তাকালো।আবার খেলার মোড় যেন অন্য দিকে ঘুরে গেল। প্রত্যয় আর প্রিয়ম এদের দুজনের ভেতরেই যেন রাগের ফুলকি জ্বলে উঠছে। প্রিয়ম, প্রত্যয় আর রিমন তিনজন মিলে প্রিয়মের ফ্ল্যাটে গেল। প্রিয়ম রিমনকে বললো,আকাশকে ফোন দিয়ে যাতে এক্ষুণি আসতে বলে। রিমন প্রিয়মের কথা মতো তাই করলো। ১০ মিনিটে আকাশ এসে হাজির। প্রত্যয়, প্রিয়ম আর রিমনকে একসাথে দেখে আকাশ একটা ঢোক গিললো। প্রিয়ম আকাশের কাঁধে হাত রেখে আকাশকে একটা চেয়ারে বসালো। আর রিমন প্রিয়মের কথা অনুযায়ী আকাশের মুখ আর চেয়ার সাথে ওর হাত আর পা বেঁধে দিলো। আকাশের মুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট। তারপর প্রিয়ম ওর বেডরুমে গিয়ে হাতে করে একটা হকিস্টিক নিয়ে ফিরে আসলো।

প্রত্যয় চুপচাপ করে সোফাতে বসে শুধু দেখছে। কারণ চোর ধরে দেওয়াটাই প্রত্যয়ের দায়িত্ব ছিলো। আর সে কথা অনুযায়ী, প্রত্যয় চোর ধরেও দিয়েছে। এবার প্রিয়ম আর আকাশের হাইড এন্ড সিক খেলার রহস্য উন্মোচনের পালা। আকাশ প্রিয়মের বন্ধু তাই প্রত্যয় প্রিয়মকে এই দায়িত্বটা দিল। কারণ বন্ধুর প্রতি বন্ধুর অধিকার টা সব সময় বেশিই থাকে। আর সেটা বন্ধুর প্রতি বন্ধুর জন্য জান বির্সজন দেওয়া হোক বা কারো জান নেওয়া। এখানে প্রত্যয়ের থেকে প্রিয়মের অধিকারটা বেশি। তাই প্রত্যয় নিশ্চুপ থেকে প্রিয়মের কর্মকাণ্ড গুলো দেখে যাচ্ছে। প্রিয়মই না হয় ওর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর, উত্তর খুঁজে নিক। এজন্যই প্রত্যয় পায়ের উপর পা তুলে, রাজকীয় ভঙ্গিতে বসে আছে। তবে প্রত্যয় বসে বসে এটাই ভাবছে,

–“প্রিয়ম আকাশকে মেরে আগে আধমরা করুক। আজকে সকল রহস্যের উন্মোচন ঘটুক। তারপর আমি ডক্টর হিসেবে আকাশের ফ্রিতেই না হয়, সব চিকিৎসার সেবা প্রদান করবো”।

প্রত্যয় হকিস্টিক টা নিয়ে আকাশের সামনে বসলো। প্রিয়ম যে কি পরিমান রেগে আছে, সেটা ওর চোখ আর নিঃশ্বাস ফেলার ভাবভঙ্গি বলে দিচ্ছে। প্রিয়ম আকাশের সামনে হাঁটু গেড়ে বসল। আর বাম দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে শব্দ করেই দুইবার জোরে জোরে নিঃশ্বাস ছাড়লো। প্রিয়ম নিজেকে শান্ত করার যথেষ্ট চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রিয়ম নিজেকে কোনমতে শান্ত করে, আকাশের দিকে তাকিয়ে ঠান্ডা গলায় বললো,

—“দেখ ভাই তোকে আমি আমার বন্ধু না। আমার ভাইয়ের মতো ভালোবেসে ছিলাম। আমি তোকে লাস্ট আর একটা সুযোগ দিলাম। এবার তুই ভালোই ভালোই বলে দে কেনো এসব করেছিস? কি উদ্দেশ্যে করেছিস? কার কথা শুনেই বা করেছিস? এর পেছনে তোর লাভ টাই বা কি ছিলো?” (প্রিয়ম)

আকাশ কিছু বললো না। রিমন আকাশের মুখে থেকে কষ্টেপটা খুলে দিয়েছিলো। কিন্তু আকাশ কিছু বললো না, সে চুপ করে বসে আছে। প্রিয়মের ইশারায় রিমন আকাশের মুখটা আবার বন্ধ করে দিলো। প্রিয়ম ওর শরীরের সর্বশক্তি দিয়ে আকাশকে মারতে শুরু করলো। আজকে প্রিয়ম যেন রাগের চুড়ান্ত সীমানায় এসে পৌঁছেছে। আপনজনদের এমন বিশ্বাসঘাতকতা সে কোনো মতেই মানতে পারছেনা। এজন্য প্রিয়ম হিংস্র সিংহের মতো গর্জে উঠেছে। আজকে প্রিয়মের এমন ভয়ংকর রুপ, আর হিংস্র চেহারাটাই বলে দিচ্ছে,

–“আকাশের পরিণতি খুব খারাপ করে তবেই প্রিয়ম ক্ষান্ত হবে।”

এর মধ্যেই আকাশের ফোনের রিংটোন বেজে উঠলো। প্রত্যয় সোফাতে পড়ে থাকা, আকাশের ফোনটা হাতে তুলে নিলো।আর ফোনের দিকে তাকাতেই বড়সড়ো একটা ঝাটকা খেলো। কারন আকাশের ফোনে কলের সাথে মিথির ছবি ভেসে উঠেছে। মিথির হাস্যজ্বল ছবিটার উপরে মিথির নাম্বারট ‘ হটি ‘ নামে সেইভ করা।

To be continue….!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here