এলোকেশী_কন্যা২__ #written_by_Nurzahan_akter_Allo #part_7 🍁🍁

0
726

#এলোকেশী_কন্যা২__
#written_by_Nurzahan_akter_Allo
#part_7
🍁🍁

______রোদ যে ভয় পায়নি তা কিন্তু না রোদ কয়েক পা পিছিয়ে বুকে থুথু দিয়ে চোখ বন্ধ করে!তারপর কয়েকবার মাথা ঝাঁকিয়ে আবার চোখ খুলে দেখে যে না এখানে কেউ নেই!তারপর রোদ ওর রুমে চলে যায়!


রোদ ওর রুমে গিয়ে শার্ট খুলছে আর মনে মনে বলছে_____

রোদঃ তখন ওই মেয়েটার এত বড় চুল দেখে আমিও এখন ভুলভাল দেখা শুরু করছি মে বি!আচ্ছা ওই মেয়েটা এত বড় চুল সামলায় কিভাবে?যাইহোক মেয়েটা হাতের তিল গুলো খুব মোহনীয়! আচ্ছা মেয়েটার নামটা যেন কি উমমম হুমম মনে পড়ছে মেয়েটির নাম আলো!আচ্ছা আলো এত বড় চুল মাথায় নিয়ে হাটে কিভাবে?থাক ওই মেয়েটাকে নিয়ে এখন আমার না ভাবলেও চলবে!সে আলো হোক আর কালো হোক আমার মাথা না ঘামানোটাই বেটার…!!এখন আমার আবেগ প্রবণ হওয়া যাবে না…!!


ওইদিকে আলোর ঘুম পাচ্ছে না!সন্ধ্যায় গোসল করার কারনে চুলও শুকাচ্ছে না।আর নতুন একটা রুমে ঘুম না আসাটাই স্বাভাবিক!আলোর গলা শুকিয়ে গিয়েছিলো কাঁদতে কাঁদতে তাই নিচে পানি খেতে গিয়েছিলো!আলো ওর রুমে এসে বারান্দায় রাখা ইজি চেয়ারে বসে বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকে আর বলে!

আলোঃ আচ্ছা চাঁদ মামা তুমিও কি আমার মত একা?তোমারও কি কেউ নেই?? আজকে আমি এখানে আসলাম তুমি আমার সঙ্গী হবে।

আলো ওখানেই বসে একা একা কথা বলতে বলতে আলো একটা সময় ঘুমিয়ে যায়।


পরেরদিন সকালে _____!!!

আলো খুব সকালেই ঘুম থেকে উঠে! তারপর নিচে গিয়ে দেখে রোদের আম্মু উঠেছে!আলোর রোদের আম্মুর থেকে জায়নামাজ আর কুরআন নিয়ে আসে।রোদের আম্মু খুশি হয়! আলো ওর রুমে এসে অযু করে নামাজ পড়ে তারপর কুরআন পড়ে।আলোর পাশের রুমটা হচ্ছে মেঘের রুম!আলোর কুরআন পড়া শুনে মেঘ ঘুমে ঢুলুঢুলু চোখ নিয়ে আলোর রুমে আসে!মেঘ এসে আলোর পাশে বসে আলোর কুরআন পড়া দেখে! রোদের আম্মু নিচ তলায় থাকে এজন্য দোতলা থেকে মেঘ ওর আম্মু কুরআন পড়া শুনতে পাই না! আলো কুরআন পড়া শেষ করে পাশ ফিরতেই দেখে মেঘ বসে বসে ঘুমাচ্ছে….!!


আলো মুচকি হেসে মেঘের পাশে বসে!আলো বসতেই মেঘ আলোর কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়ে।আলোর মেঘকে টেনে বিছানায় নিয়ে যায়!মেঘের ঘুম চলে গেছে আর আলো মেঘের হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। মেঘ আলোর দিকে তাকিয়ে বলে…

মেঘঃ বউমনি তোমার শরীর মা মা গন্ধ আছে!
আলোঃ তাই বুঝি

মেঘঃ হুমম! বউমনি তুমি আমাকে সব সময় ভালবাসবে তো।আমি কিন্তু তোমাকে এতগুলা ভালবাসি..!!

আলোঃ মেঘ বাবু আমিও তোমাকে অনেক ভালবাসি!আর ভালবাসি কেন জানো?

মেঘঃ কেন বউমনি??

আলোঃ আমার অনেক ইচ্ছা ছিলো আমার একটা ছোট ভাই বা বোন থাকবে!আর আমি তাদের অনেক ভালবাসবো।কিন্তু আল্লাহ এতদিন আমাকে সেই সুখ দেয় নি! কিন্তু এখন আমি তোমাকে পেয়েছি মেঘবাবু!তাই তোমাকে অনেক অনেক ভালবাসবো

মেঘঃ বউমনি দাভাইকে বেশি ভালবাসবে নাকি আমাকে বেশি ভালবাসবে।

আলোঃ তোমার দাভাই আসলো কোথা থেকে!আর উনাকে ভালবাসতে যাবো কেন দুঃখে মেঘবাবু।(মেঘের গাল টেনে)

মেঘঃ জানো বউমনি আমার দাভাই আমাকে শুধু বকা খাওয়াই!কিছুদিন আগে ছাদ থেকে আমি হিসি করছিলাম তখন দারোয়ানের মাথায় পড়ছে!দাভাই তখন আম্মুকে বলে দিসে! আর আম্মু আমাকে চটাস চটাস করে আদর দিসে!আহহ কি যে মিষ্টি আদর গুলো খেতে! পিঠটা এত জ্বালা করছিলো যে মনে হচ্ছিল আমার পিঠেই ঠাডা পড়ছে…

মেঘের কথা শুনে আলো হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে!কথা বলতে বলতে আলো মেঘকে ওর রুমে নিয়ে যায় আর তারপর ফ্রেশ করিয়ে দেয়।তারপর দুইজন নিচে চলে যায়!রোদের আম্মু আর আলো মিলে পরোটা আর গরুর মাংস রান্না করে।রোদের আব্বু এসে মেঘকে বলে পড়তে বসতে…

রোদের আব্বুঃ মেঘ যাও পড়তে বসো!সকালের পড়াটা অনেক উপকারী…

মেঘঃ না এখন পড়তে বসবো না!

রোদের আম্মুঃ কেন??

মেঘঃ আমি চলে গেলে যদি বউমনি ভয় পাই তাই।

রোদের আববু+আম্মুঃ হা হা হা


মেঘের আর কি করা রোদকে এক বস্তা গালি দিয়ে উপরে চলে গেল!রোদকে গালি দেওয়া কারন রোদ অনেক ট্যালেন্ট ছাএ আর মেঘ পড়াশোনাতে পুরাই ভজার বাপ।রোদ ভাল ছাএ এজন্য মেঘকে সবাই বলে ভাল করে পড়ার জন্য। মেঘ রোদের রুমে গিয়ে একটা চকলেট বোম (পটকা) ফাটালো! আর রোদ বুকে হাত দিয়ে হুড়মুড়িয়ে বেডের উপরেই উঠে দাড়িয়ে গেল।রোদ ঘুমে বিভোর ছিলো হঠাৎ ওর রুমে এত শব্দ হওয়ার কারনে ভয় পেয়েছে!রোদের তাকানো দেখে মেঘ ভো-দৌড়! মেঘের দৌড়ানো দেখে রোদও দৌড় কারন রোদ ক্ষেপে গেছে…..


মেঘঃ দাভাই আমি কিছু করি নি!এমনি এমনি শব্দ হলো।এবারে মত আমাকে মাফ করে দাও (দৌড়াতে দৌড়াতে)

রোদঃ তুই দাড়া আজকে তোরে আমি কি করি দেখ!দাড়া একদম দৌড় দিবি তুই (দৌড়াতে দৌড়াতে)

মেঘঃ ওহ আববু,ওহহ আম্মু, ওহহ বউমনি আমাকে বাঁচাওও! দাভাই আমাকে মেরে ফেললো….. (চিৎকুর করে)


মেঘ গিয়ে ওর আব্বুর পেছনে লুকায়!রোদের আব্বু রোদকে কোন রকম থামায় আর জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে?রোদ রাগে ফোঁস ফোঁস করতে করতে বলে…

রোদঃ কালকে মাথা ব্যাথার জন্য আমি সারারাত ঘুমাতে পারি নি! ভোরের দিকে কেবল ঘুমটা এসেছিলো আর তোমার ছোট ছেলে এখন আমার রুমে গিয়ে চকলেট বোম ফাটিয়ে এসেছে। (রাগে চিৎকার করে)

মেঘঃ ইয়ে মানে আমি ইচ্ছে করে করিনি!এমনি এমনি ফোটে গেছে আমার কি দোষ।

রোদের আব্বুঃ মেঘ তোমাকে আমি পড়তে বসতে বলছি আর তুমি রোদের রুমে গিয়ে এসব করছো কেন??

মেঘঃ আমি ভেবেছিলাম এখন পড়তে না বসে সন্ধ্যায় একেবারে 5th গিয়ারে সব একসাথে পড়ে নিবো।এজন্য পড়তে না বসে দাভাইয়ের রুমে গিয়েছিলাম।আর আমি চকলেট বোম ফাটিয়ে পরীক্ষার করছিলাম দাভাই সত্যি সত্যি ঘুমাচ্ছিলো কি না???(মাথা নিচু করে)


রোদ রাগে ফোঁস ফোঁস করতে করতে সোফায় বসে পড়লো!মেঘও শান্ত বিড়াল ছানার মত সোফায় বসে নক কামড়াতে শুরু করলো।

To be continue….

(ছোট করেই দিলাম কারন আমি আলু স্টাইল করে কাটতে গিয়ে আমার হাত কেটে ফেলছি। টাইপ করতে পারছি না তাই সরি 😥😥)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here