এলোকেশী_কন্যা২__ #written_by_Nurzahan_akter_Allo #part_6 🍁🍁

0
752

#এলোকেশী_কন্যা২__
#written_by_Nurzahan_akter_Allo
#part_6
🍁🍁

রোদের আম্মুঃ শুধু শুধু মেয়েটার গায়ে তুলবেন না!কি এমন করছে মেয়েটা যে আপনি ওকে এভাবে মারছেন।আপনি আসলেই খুব পাষাণ একটা মহিলা!
আমি আলোকে আমার ছেলের বউ করতে চাই এখনই!আপনার মত মহিলার কাছে এই মেয়েটা সত্যিই সেইভ না….(রেগে চিৎকার করে)
.
.
.
রোদের আম্মু রেগে যায় খুব!রোদের আম্মু আলোর দীদার কাছে যায়।আলোর দীদা তখন কাঁদছিলো।রোদের আম্মু আলোর দীদাকে কাছে গিয়ে বললো…

রোদের আম্মুঃ চাচি আমি আলোকে আমার ছেলের বউ করতে চাই।যদি আপনি অনুমতি দেন তো…

দীদাঃ….

রোদের খালাঃ চাচি আমার বোনের বড় ছেলে নাম রোদ!অনেক ভালো ছেলে! আলো অনেক ভালো থাকবে। আপনি আর অমত করবেন না!

রোদের আম্মুঃ এই যে এটা আমার ছেলে রোদ(ফোনে রোদের ছবি দেখিয়ে)

দীদাঃ মা আমি সবই বুঝবার পারলাম! কিন্তু শহরের পোলা আলোকে ক্যান বিয়া করবে কও।এই পোলারও তো মত থাকতে হইবো তাই না।

রোদের আম্মুঃ চাচি আমার ছেলেকে আমি যা বলবো তাই করবে!আমি আজকেই ঢাকা ফিরছি! আর আমার সাথে আমি আলোকে নিয়ে যেতে চাই।আর চাইলে আপনিও আমার সাথে যেতে পারেন..

দীদাঃআমি যামু না!তোমরা এই অভাগীকে একটু ভালো রাইখো তাহলেই হবে।ছেরি ডা ভালবাসা পাই নি কারো কাছে (কাঁদতে কাঁদতে)

রোদের আম্মুঃ আমি আলোকে আমার সাথে নিয়ে যাবো তারপর ওকে রোদের মনের মত গড়ে তুলবো।ততদিন আলো আমার কাছে থাকবে।

রোদের খালামনিঃ চাচি আমার উপর ভরসা করে আলোকে যেতে দেন!আমি কথা দিচ্ছি আলো ওখানে ভালো থাকবে।
.
.
.
রোদের আম্মু আলোর দীদাকে রাজি করায়! তারপর রোদের আম্মুরা বাসায় এসে দেখে রোদরা চলে গেছে।রোদের আম্মু সবকিছু গোছগাছ করে তারপর আলোকেও গোছগাছ করে নিতে বলে!মেঘ কিছু বুঝতে পারছে না শুধু ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে আলোর দিকে।রোদের আম্মু মেঘকে রেডি করিয়ে দেয় তারপর আলোর বাসায় যায়।আলো কিছুতেই যাবে না বলে জেদ ধরছে!আলোর দীদা আলোকের উনার কসম দেয়! আলো দীদাকে জড়িয়ে ধরে কাদলো তারপর পুটি, পারু, ধবলির কাছে গিয়ে ওদরর জড়িয়ে ধরে আরো জোরে হাউমাউ করে কেঁদে দিলো!ওদের গায়ে হাত বুলিয়ে দিলো! আলো ছোট মায়ের কাছে গিয়ে বিদায় নিতে গেলো বাট ছোট মা হনহন করতে করতে বাড়ি থেকেই বেরিয়ে গেল।
.
.
.
আলোর দীদার থেকে বিদায় নিয়ে চললো একটা নতুন পরিবেশে।রোদের আম্মু গাড়িতে আলো পাশেই বসে আছে আর আলো রোদের আম্মুর কোলে মাথা দিয়ে কাঁদছে! আর মেঘ ড্রাইভাররের পাশে বসে রোদকে মেসেজ করছে…!!

মেঘঃ দাভাই তুমি চলে গেছো তাই বউমনি হাউমাউ করে কাঁদছে! এজন্য আমাদের সাথে আমরা বউমনিকেও সাথে নিয়ে বাসায় আসছি।
.
.
.

রোদ মেঘের মেসেজটা দেখলো!বাট মেঘ মজা করছে ভেবে কিছু বললো না। রোদের আম্মু আলোকে বার বার নিষেধ করছে যাতে না কাঁদে তারপরেও আলো কেঁদেই যাচ্ছে। রোদের আম্মু ঠাস করে আলোর গালে একটা থাপ্পড় মারে।
.
.
.

রোদের আম্মুঃ বার বার মানা করছি না কাঁদতে! রোদ, মেঘের মত তুই আমার সন্তান হয়ে থাকবি।আমার শখ ছিলো একটা আমার মেয়ে হবে কিন্তু আল্লাহ আমাকে মেয়ে না দিয়ে দিয়েছে দুইটা ফাজিলের ডিব্বা। তুই আমার মেয়ে হয়েই আমার বাসায় থাকবি একদম কাদবি না।আর কার জন্যই বা কাদবি তুই….!!
.
.
.

রোদের আম্মুর কথা শুনে আলো উনাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকলো!এই রকম ভালবাসার মিশ্রন শাষন করার যে ওর কেউ নেই।আলো কাঁদছে আর মেঘ ড্রাইভারের পাশের সিটে দাড়িয়ে সিট টাকে জড়িয়ে ধরে আলোদের দিকে কুটুরকুটুর চোখে তাকিয়ে আছে!আলো কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়ে…!!

.
.
.
রোদ বাসায় আসেনি!রোদের আম্মু বাসায় পৌছে আলোকে ডাকে!আলো হুড়মুড়িয়ে চারদিকে তাকিয়ে দেখে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। রোদের আম্মু আলোকে গাড়ি থেকে নামতে বলে!আলো গাড়ি থেকে নেমে চারপাশে তাকিয়ে দেখে অনেক সুন্দর একটা বাড়ি পাশে অনেক বড় একটা বাগান করা! বাগানের মাঝখানে বড় বড় তিনটা মাছ বানানো! আর মাছের মুখে ঝর্না মত পানি পড়ছে আর বিভিন্ন কালার লাইট জ্বলছে!রোদের আম্মু আলোকে নিয়ে ভেতরে যায়! আলো ভেতরে গিয়ে দেখে বাইরে থেকে বাড়িটা যতটা সুন্দর তার থেকে ভেতরে বেশি সুন্দর!মেঝেতে কার্পেট বিছানো,বড় বড় শোপিচ,আসবাবপত্র, আলো ঘুরে দেখছে।তখন রোদের আম্মু আলোকে বলে…
.
.
.
আম্মুঃ পরে পুরো বাড়িটা দেখিস!এখন ফ্রেশ হয়ে আয়।তারপর কিছু খেয়ে রেস্ট করবি..!!

মেঘঃ হুমম চলো বউমনি

আম্মুঃ মেঘ তোমার পাশের রুমে আলোকে নিয়ে যাও!আর ওকে সব দেখিয়ে দাও কোথায় কি আছে??

মেঘঃ আচ্ছা আম্মু
.
.
.
মেঘের পেছন পেছন আলোও গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে গেল!রুমটা সুন্দর করে গোছগাছ করা।মেঘ আলোকে ওয়াশরুমে নিয়ে গেল তারপর কোন টা কি ভালো করে বুঝিয়ে দিল!কোথায় কি রাখা আছে দেখিয়ে দিলো।মেঘ আলোকে ফ্রেশ হয়ে নিতে বলে তারপর মেঘ ওর রুমে চলে যায়।আলো একটা কামিজ হাতে নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায় একবারে গোসল সেরে নেয়!আলোর চোখের পানি আর গোসলের পানি মিলে মিশে একাকার!আলোর বুকে চিরে কান্না আসছে….!!
.
.
.
আলো গোসল সেরে মাথায় টাওয়াল পেচিয়ে রুমে আসে!মেঘ তখন আলোর হাত ধরে টানতে টানতে ড্রয়িং রুমে নিয়ে যায় আর রোদের বাবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।রোদের বাবা রোদের আম্মুর কোন কাজে বাঁধা দেয় না কারন রোদের বাবা জানে রোদের আম্মু যা করে ভেবে চিন্তে করে।রোদের আব্বু আলোর সাথে হেসে হেসে কথা বলে!
.
.
.
রাত ১২ঃ৩০ টার দিকে রোদ বাসায় ফিরে!সবাই যে যার রুমে ঘুমাচ্ছেন রোদ ওর কাছে থাকা চাবিটা নিয়ে দরজা খুলে ওর রুমে যাচ্ছিলো হঠাৎ করে আবছা আলোকে দেখে বড় চুল ওয়ালা একটা মেয়ে গুটিগুটি পায়ে সিড়ি বেয়ে উপরে চলে যাচ্ছে! রোদ যে ভয় পায়নি তা কিন্তু না! রোদ কয়েকটা পিছিয়ে বুকে থুথু দিয়ে চোখ বন্ধ করে কয়েকবার মাথা ঝাঁকিয়ে আবার চোখ খুলে দেখে যে না এখানে কেউ নেই!রোদ ডায়নিং টেবিলে গিয়ে আলোর পানি খেয়ে রেখে যাওয়া গ্লাসেই পানি খায়….!!

তারপর রোদ ওর রুমে চলে যায়।

To be continue….

(তোমরা যদি রেসপন্স করো তাহলে আমিও গল্পটা আরো ভালো করে লিখার চেষ্টা করবো…!!রাত ৯ টার দিকে আরেক পার্ট দিবো যদি তোমাদের রেসপন্স পাই তাহলে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here