বুকের_বা_পাশে🌿🌿 #written_by_Nurzahan_Akter_Allo #Part_10

0
336

#বুকের_বা_পাশে🌿🌿
#written_by_Nurzahan_Akter_Allo
#Part_10

তুয়ার কথা শুনে প্রিয়মের চোখের কোণা বেয়ে কয়েক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো। কেউ তো আছে যে, ওকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসে। এমন ভালবাসা ক’জন ছেলের ভাগ্যতেই বা জোটে! কে বললো প্রিয়ম ভালবাসার কাঙ্গাল? তুয়া থাকলে প্রিয়মের আর কিছু লাগবে না। তুয়াই হলো এখন প্রিয়মের বেঁচে থাকার একমাত্র আশার আলো। প্রিয়মের জীবনে এখন শুধু তুয়ার আগমনের অপেক্ষা, কারণ তুয়াই পারবে প্রিয়মের জীবন ভালবাসা দিয়ে পরিপূর্ন করে দিতে।


সারাদিন ব্যস্ত থাকার পরে প্রত্যয় সন্ধ্যার দিকে ফ্রি ছিলো। এর মধ্যেই পৃথার আগমন ঘটে। প্রত্যয়ের কানের কাছে কিছুটা সময় বকবক করে পৃথা প্রত্যয়কে জোর করে নিয়ে যায় একটু ঘুরতে। সাদ বিজি থাকার কারণে সে আসতে পারেনি। প্রত্যয় আর পৃথা আইফেল টাওয়ার দেখতে গেলো। এখানে ওরা অসংখ্যবার এসেছে তবুও জায়গা এতোটাই সুন্দর যে বার বার দেখাতেও বিরক্তি আসে না। মধ্যযুগের অবাক আর্শ্চয্যের একটি জিনিস ছিলো আইফেল টাওয়ার। এই আইফেল টাওয়ারে দেখার উদ্দেশ্যে লাখো মানুষের পদাচারণ ঘটে এই প্যারিস শহরে! যদিও এখানে আইফেল টাওয়ার বাদেও মনোমুগ্ধকর কিছু জিনিস আছে দেখার মতো আর যেটা মনকাড়ে সবচেয়ে বেশি সেটা হলো মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর স্বচ্ছ বাতাস। ১৮৮৯ সালে আলেকজেন্ডার গুস্তাফি আইফেল টাওয়ার টি নির্মান করেন। আইফেল টাওয়ারের সৌন্দর্য মানুষকে বিমোহিত করে তোলে। রাতে আইফেল টাওয়ারের সৌন্দর্য দ্বিগুন হারে বেড়ে যায়! কারণ হাজার হাজার লাইটের আলো দিয়ে টাওয়ারটাকে আলোকিত করা হয়। এই আইফেল টাওয়ারে না উঠলে পুরো প্যারিস শহর দেখাও সম্ভব নয়।

প্রত্যয় এতোক্ষণ দেখছিলো রাতের আকাশের তারাদের মেলা, সাথে আইফেল টাওয়ারের সৌন্দর্য। আর পৃথা মনোযোগ দিয়ে দেখছিলো প্রত্যয়কে। পৃথা প্রত্যয়কে দেখে ভাবছিলো,

–“একটা ছেলে এতটা মার্জিত, ভদ্র স্বভাবের হয় কি করে? তুই এতো ভালো কেন রে প্রত্যয়? তুই দুই একটা কথা সাধারণ ভাবে বলেও, মানুষের মন কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা রাখিস! তোর মধ্যে এমন কিছু গুন আছে যেগুলো দেখে আমার অবাধ্য মনটাও বাধ্য করে তোকে ভালবাসতে। প্রত্যয় একটা বার আমাকে আপন করে নে না রে! তোর মতো ছেলেকে যে জীবনসঙ্গী হিসেবে পাবে, সে অনেক ভাগ্যবতী হবে রে।” (পৃথা মনে মনে)

–“আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন? এভাবে কেউ আমার দিকে তাকিয়ে থাকলে আমার লজ্জা লাগে।” (প্রত্যয় অন্য দিকে তাকিয়ে)

–“হা হা হা! ডাক্তারের লজ্জা আছে বুঝি?”
–“ডাক্তাররা লজ্জা পেতে পারবেন না, এটা কি কোথাও লিখা আছে নাকি শুনি?” (প্রত্যয়)
–“তা লিখা নেই! আচ্ছা প্রত্যয় তুই কিভাবে নিজেকে এতটা শান্ত রাখিস?”
–“মানে?” (প্রত্যয় জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে)
–“এতগুলো রুগী দেখার পরেও তোর মুখে বিরক্তিকর ভাবটা আসে না? প্রত্যকটা রুগীর সাথে এত অমায়িক বিহেভ করিস কিভাবে?” (পৃথা)

–“আমি যে পেশাতে নিয়োজিত আছি, সে পেশাই আমাকে শিখিয়েছে নিজেকে শান্ত রাখতে। কারণ ডাক্তারদের মাথা ঠান্ডা রাখা উচিত! কোনো ডাক্তার হাইপার হয়ে বা রাগের মাথায় কারো যদি চিকিৎসা করে তাহলে কারো না কারো প্রাণ ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। বিশেষ করে যারা সার্জানি করে। আমাদের করা ছোট্ট ভুলের জন্য একটা মানুষের জীবন থমকে যেতে পারে। আর সেটা আমাদের ভুল, অমনোযোগী, বা চিন্তিত হয়ে কাজ করার ফলে ঘটে। তাহলে বল, আমার রাগের জন্য কেন আমি অন্যের বিপদ ডেকে আনবো?”(প্রত্যয়)

–“আমি তো মাথাটা ঠিক রাখতে পারিনা রে! সারাদিনের ক্লান্তিতে মেজাজটা আরো বিগড়ে যায়।” (পৃথা)

–“ডাক্তারদের উচিত পেশেন্টের সাথে এমন ভাবে কথা বলা যাতে রুগী নিজের সমস্যার কথা বলতে সংকোচ বা দ্বিধাবোধ না করে। এমন একটা সফট বিহেভ করা উচিত, যাতে রুগী ডাক্তারদের বিহেভে মুগ্ধ হয়। আর সত্যি বলতে ডাক্তারের চিকিৎসার আগে ডাক্তারদের ব্যবহারের ইফেক্ট পড়ে রুগীর উপর। ডাক্তারদের ব্যবহারেই রুগী ৩০% সুস্থ হওয়ার আশা রাখে।”

–“হুম আর এই ভাল বিহেভ করেই তো রুগীদের থেকে কম প্রোপোজাল পেলি না। তোর বিহেভে ওরা এতটাই মুগ্ধ হয় যে অসুখের কথা না বলে প্রোপোজ করে বসে ।” (মুখ ভেংচি দিয়ে)

–“ডাক্তারকে রুগী প্রোপেজ করে, রাইটারকে পাঠক প্রোপোজ করে, উকিল কে আসামীর বাড়ির কেউ প্রোপোজ করে, ছাত্রী টিচারকে প্রোপোজ করে, খেলোয়াড়রা প্রোপোজ করে মডেলদের আর সিনেমার হিরোদের প্রোপোজ করে তার ভক্তরা। এসব এখনকার ফ্যাশান হয়ে গেছে। তবে কারো আগ্রহ থাকলে এক পা এগিয়ে যাও। আর না হলে সাইলেন্ট মুডে থাকো।” (প্রত্যয় মুচকি হেসে)
–“হা হা হা! হুমম ঠিক।” (পৃথা)

প্রিয়মের জ্বর কমে গেছে। তুয়া, প্রিয়ম, তুরাগ আর তিন্নি ওরা সবাই মিলে ড্রয়িংরুমে বসে আড্ডা দিচ্ছে। তুয়ার আম্মু মুড়ি, চানাচুর, পেয়াজ, কাঁচা মরিচ আর সরিষার তেল দিয়ে ঝাল ঝাল করে মাখিয়ে দিলো। তুয়ার আম্মু মাখানো মুড়ির বড় বোলটা সামনে রাখতেই তুয়া আর তুরাগ হামলে পড়লো। তিন্নি আর প্রিয়ম ওদের কাহিনী দেখে হো হো করে হেসে দিলো। তুয়া তো মুড়ির মধ্যে বাদাম খোঁজার জন্য চিরুনি তল্লাশী চালাচ্ছে। তুয়ার সাথে তুরাগও পাল্লা দিচ্ছে। তুয়ার আম্মু তুয়ার মাথায় একটা ঠুয়া মেরে বললো,

–“তোদের জন্য কি আমি মুড়ি মাখিয়ে দিয়েছি? ছেলেটার জ্বর তাই ওকে দিলাম আর তোরা কি শুরু করলি?” (তুয়ার আম্মু)
–“আমি কি করছি? তোমার হ্যাংলা ছেলেই তো তিন্নি আর প্রিয়মকে খেতে দিচ্ছে না।” (তুয়া)
–“আমি আগে করলাম নাকি তুই আগে করলি রে তুলা।?” (তুয়ার চুল টান দিয়ে)
–“আম্মু তোমার ছেলেই তো সব করছে! শুধু আমার দোষ তাই না? আব্বু আসুক আব্বুকে বলে দিবো।তোমরা মা ছেলে মিলে আমার উপর অত্যাচার করো।” (তুয়া)
–“কার এতো বড় সাহস আমার রাজকন্যার উপরে অত্যাচার করে?” (তুয়ার আব্বু)

তুয়ার আব্বু আরেক সোফাতে বসতে বসতে উপরের কথাটা বললো। এর মধ্যেই একটা অসহায় বাদামের উপরে তুয়া, তুরাগ আর তুয়ার বাবার তিনজনেরই চোখ পড়লো। তিনজনে আড়চোখে তিনজনের দিকে তাকিয়ে বাদামটা নেওয়া জন্য তিনজনেই হামলে পড়লো মুড়ির বোলের উপর। তুয়ার বাবা বাদামটি পেয়ে ঝটপট মুখে পুড়ে দিয়ে বিশ্বজয় করা হাসি দিলো। প্রিয়ম আর তিন্নি এই ঘটনা দেখে কয়েক সেকেন্ড চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে দম ফাটানো হাসি দিলো। এদিকে তুয়া আর তুরাগ মুখটা পেঁচার মতো করে মুখে মুড়ি দিয়ে বসে থাকলো।

ইশতিয়াক রায়হান (প্রত্যয়ের বাবা) প্রত্যয়ের হসপিটাল তৈরির কাজে লেগে গেলো। উনি নিজে দাড়িয়ে সব কাজ তদারকি করছে। ইট, বালি, সিমেন্ট থেকে শুরু করে উনি সব কিছু ব্যবস্থা করে ফেলছে। উনার ছেলে হসপিটাল বানাচ্ছে বলে কথা। বাবা হয়ে গর্ব হয় উনার ছেলে প্রত্যয়কে নিয়ে। প্রত্যয়ের আম্মু কলেজ থেকে ফিরে সন্ধ্যায় পর দেখতে যায় হসপিটালের কাজ কতটুকু এগোলো। কারণ হসপিটাল হয়ে গেলেই উনার কলিজার টুকরা এতো বছর পর উনার কাছে ফিরে আসবে। একটা মা যে তার ছেলের মুখটা দেখার জন্য, একটু ছুঁয়ে আদর করার জন্য অধির আগ্রহে পথ চেয়ে বসে আছে।

প্রত্যয়ের আম্মু প্রত্যয়ের সাথে ভিডিও কলে কথা বলছে।প্রত্যয়ের আম্মু মুচকি হেসে প্রত্যয়কে বলে,
–“এই যে ডাঃ ওয়াসিক রায়হান প্রত্যয়! আপনার জন্য মেয়ে দেখা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই আপনার পায়ে শিকল পড়ানো হবে।”
–“তা সেই পাত্রীটা কি তোমার আম্মু (নানুমনি) নাকি?” (প্রত্যয় মুচকি হেসে)
–“ফাজিল ছেলে! আমার মায়ের দিক থেকে নজর সরা।আর আমার মায়ের বয়েই গেছে তোকে বিয়ে করতে।” (প্রত্যয়ের আম্মু)
–“হা হা হা! কেন, আমি পাত্র হিসেবে কোন দিক দিয়ে কম আছি বলো? তোমার আম্মুর সৌভাগ্য বুড়ি বয়সে আমার মতো বর পাবে।”(প্রত্যয়)
–“আব্বু আমি কিন্তু সিরিয়াসলি বলছি। তাড়াতাড়ি বাংলাদেশে চলে আয়! বিয়ে-শাদি করে আমাদেরও নাতি-নাতনির সাথে খেলা করার সুযোগ দে।”
–“হবে সব হবে! এতো তাড়াহুড়োর কি আছে? খুব তারাতাড়ি আমিও তোমাকে একটা পুতুলের মত বউমা উপহার দিবো।” (প্রত্যয়)
–“হুম! সেই আশাতেই আছি।”

প্রত্যয় আরো কিছুটা সময় কথা বললো ওর আম্মুর সাথে‌। তারপর তুয়ার সেই ছোট বেলার পুতুলের ব্রেসলেট টা বের করে দেখলো। মুচকি হেসে ব্রেসলেট টা ওর বুকের বা পাশে চেপে ধরে মনে মনে বললো,

–“ব্রেসলেটের মতো আমার বুকের বা পাশে কবে তোর মাথাটা রাখবি রে তুয়া? কবে তোকে আমার বুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতে পারবো? আমি বাংলাদেশে ফিরে যখন বলবো,”এই তুয়া আমার বউ হবি?” এই কথা শুনে তুই কি খুব লজ্জা পাবি? তোর লজ্জা মাখা মুখটা দেখতে কেমন হবে রে? একদম লাল টমেটো নাকি চেরীর মতো? লজ্জায় লাল বর্ণ ধারণ করবি? হা হা হা!আমাকে দেখে তুই কি আমাকে বকা দিবি? নাকি ছোট্ট বেলার মতো কামড়ে দিবি? আমি জানি আমার উপর তুই অভিমান করে আছিস, আমি ফিরে দেখবি তোর সব অভিমান মুছে দিবো। তোর অভিমান কমাতে যা ইচ্ছে করিস! শুধু এই বুকের বা পাশে থেকে দুরে যাওয়ার চেষ্টা করিস না রে তুয়া। নাহলে আমি মরেই যাবো রে।তোকে সারাজীবনের জন্য পাওয়ার আশায় এখানে পড়ে আছি। আর আমি তো তোকে দূরেই যেতে দিবো না।আমার বুকের বা পাশের কোঠরে তোকে আটকে রাখবো। তোকে আমি আমার মিষ্টি বউ বানাবো। এতো এতো ভালবাসবো যে আর আমার উপর রাগ করে থাকতেই পারবি না।” (প্রত্যয়)

ওইদিকে______

তুয়ার আম্মু এর মধ্যেই গরম গরম কাবাব আর চা করে আনলো। আড্ডা দেওয়ার সময় এসব খাওয়ার মাঝে প্রিয়ম তুয়াদের পরিবারের সুখ’টাকে দেখছিলো। প্রিয়মের জন্মের পর থেকে এমন ভাবে বাবা মাকে কোনদিন কাছে পায় নি। এতো খুনসুটি করে কোনদিন ওরা সময় কাটায়নি! তুয়া সত্যি খুব লাকি যে ভাগ্য করে এমন পরিবার পেয়েছে। প্রিয়মদের মতো তুয়াদের এতো প্রোপার্টি নেই। কিন্তু সুখ নামক অমূল্য জিনিস টা আছে তুয়াদের পরিবারে। যেটা প্রিয়ম ওদের বিরাট অট্রলিকাতে থেকেও খুঁজে পায় না! এখানে এক মুঠো মুড়ির মধ্যেও মায়ের ভালোবাসা জড়িয়ে আছে আর আছে অনাবিল সুখ। সেখানে প্রিয়মদের ডায়নিং টেবিল ভর্তি বার্গার, পিৎজা থেকে শুরু করে নাম না জানা হরেক রকমের খাবারের মধ্যে সুখের ছিটে ফোঁটাও নেই।প্রিয়ম ওর এক হাতে এক মুঠো মুড়ি তুলে মুড়ির দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললো,

–“এক মা কে মুখ ফুটে বললেও ঝাল কিছু বানিয়ে দেয় নি! আর আরেক মা জ্বর দেখে কতকিছু করছে! এক মা জ্বরের কথা শুনেও কপালে হাত দেওয়া প্রয়োজনই মনে করেনি। আর আরেক মা অন্যের ছেলে বলে দুরে না সরিয়ে কত সেবা যত্ন করছে।
এক মা টাকার পেছনে দৌড়াতে থাকে আর আরেকটা মা ছেলে মেয়েকে আনন্দ দেওয়া জন্য কত কি করে।
এই মুড়ি, তোরাও খুব ভাগ্যবান জানিস? কারণ তোদের মাঝেও এখন আছে একটা মায়ের হাতের ছোঁয়া। যেটা আমি মানুষ হয়েও পাই না; আমার মায়ের একটু ভালবাসা আর তার আদর মাখা হাতের ছোঁয়া।”

প্রিয়মের এভাবে মুড়ি নিয়ে বসে থাকতে দেখে, তুয়ার আম্মু প্রিয়মের মাথায় হাত রাখলো। প্রিয়মের পাশে বসেই উনি এতোক্ষণ প্রিয়মকে খেয়াল করছিলো। প্রিয়ম ছলছল চোখে তুয়ার আম্মু দিকে তাকালো। তুয়ার আম্মু সব জানে প্রিয়মের ব্যাপারে, প্রিয়মের কষ্টটা কোথায় সেটা উনি মা হিসেবে সহজেই বুঝতে পারে। কারণ ছোট থেকেই তো দেখে আসছে প্রিয়মকে। প্রিয়মের মতো ছেলের মা হতেও ভাগ্য লাগে‌। যা প্রিয়মের মা কোনদিনই বুঝেনি। আর প্রিয়মও যুগ হিসেবে যথেষ্ট ভদ্র, হাসি-খুশি থাকা একটা ছেলে। ভদ্র ছেলে হলেও ওর ভাগ্য খুব খারাপ! তুয়ার আম্মু প্রিয়মের কপালে একটা আদর দিয়ে দিলো। প্রিয়ম এক আদর মাখা হাতের ছোঁয়া পেয়ে তুয়ার আম্মুর কোলে মুখ লুকালো। মুখ লুকানোটা ওর জন্য খুবই প্রয়োজন ছিলো‌; না হলে নোনা জল আড়াল করে রাখাটা ওর জন্য খুব দুষ্কর হয়ে যেতো।

To be continue….!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here