#বুকের_বা_পাশে 🌿🌿
#written_by_Nurzahan_akter_allo
#Part_33
–“আমি কিন্তু তোদের সব কথা শুনেছি। আর লুকিয়ে রাখার কোন স্কোপ নেই। এবার আমার থেকে কিভাবে লুকাবি তুয়া? এবার তো তুই আমার কাছে ধরা পড়ে গেছিস। এবার সত্যিটা তোকে বলতেই হবে।” (প্রত্যয়)
প্রত্যয়ের কথা শুনে তুয়া আরো জোরে কেঁদে দিলো। প্রত্যয় তুয়াকে ধরে একটা গাছের নিচে নিরিবিলি জায়গায় বসলো।তুয়ার দুই হাতে মুখ ডেকে কেঁদেই যাচ্ছে। প্রত্যয় পাশের একটা দোকান থেকে পানি কিনে আনলো। পানিটা তুয়ার দিকে এগিয়ে দিলো। তুয়া প্রত্যয়ের চোখ মুখের গম্ভীরতা দেখে আর টু শব্দ করার সাহস পাচ্ছেনা। কারন তুয়া যতটুকু জানে প্রত্যয় যথেষ্ট ঠান্ডা মাথায় মানুষ। কিন্তু কারো উপরে রেগে গেলে। তার অবস্থা খারাপ করে তবেই প্রত্যয় দম ছাড়ে। তুয়া ভয়ার্ত দৃষ্টিতে প্রত্যয় এর দিকে তাকিয়ে আছে।তুয়ার মনে হচ্ছে, এখন এই মুহূর্তেই ওর নিঃশ্বাস টা আটকে গেলে মনে সবচেয়ে ভালো হতো। প্রত্যয় তুয়াকে পানি খেতে দিলো। তুয়ার জন্য এই মুহূর্তে পানির বড্ড বেশি প্রয়োজন ছিলো। ওর গলা শুকিয়ে মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। তুয়া একটু পানি খেলো। আর পানি নিয়ে ওর চোখ মুখে দিলো।
ওইদিকে তুরাগ আর তিন্নিকে নিয়ে সবাই মেতে আছে।তুরাগের আর তিন্নি পাশাপাশি বসে,সবাই পিক তুলতে ব্যস্ত।এর মধ্যে তুরাগের কাছে ক্যামেরা ম্যানের অত্যাচারটা বেশি মনে হচ্ছে। কারন উনি তুরাগকে, বামে, ডানে, এ পাশে, ও পাশে এদিক, ওদিক,চিৎ হয়ে কাত হয়ে,তিন্নি কাঁধে হাত রেখে,এসব পোজ দিতে বলছেন। তুরাগ পড়েছে মাইকার চিপায়। বেচারা তুরাগ না পারছে কিছু বলতে আর না পারছে সহ্য করতে। আজকে বিয়ে বাড়ি বলে তুরাগের হাত থেকে ক্যামেরা ম্যান বেঁচে গেল। তা না হলে তুরাগ ক্যামেরা ম্যানের অবস্থা দফারফা করে দিতো। এখানে তিন্নির বোনগুলো, আর ভাবিদের অযথা দাঁত কেলিয়ে হাসাটাও তুরাগের কাছে বিরক্তের একটা কারন।
তুরাগ আশেপাশে তাকিয়ে তুয়াকে খুঁজলো। কিন্তু তুয়া বা প্রত্যয় কাউকেই পেলো না। তুরাগ ফোন বের করে প্রত্যয়কে ফোন দিলো।
–“হ্যালো প্রত্যয় তুয়া কি তোমার সাথে?”
–“জ্বি ভাইয়া। তুয়ার নাকি লোকজন মাঝে ভালো লাগছিলো না।শরীর নাকি খারাপ করছিলো। তাই আমি তুয়াকে নিয়ে একটু বাইরে এসেছি।” (প্রত্যয়)
–“তুয়া আর তুমি কি খেয়েছো?”
–“জ্বি ভাইয়া।”
–“আচ্ছা থাকো তাহলো। আমরা চলে গেলাম। তোমরা বরং ধীরে সুস্থে এসো।”
–“আচ্ছা ভাইয়া।”
এর তুরাগ ফোন রেখে দিলো। তুরাগ মনে মনে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলো। কারন প্রত্যয় এমন একটা ছেলে। সে যত কষ্টই পাক। তবুও তুয়াকে কষ্ট দিবেনা। আর ভাই হিসেবে তুরাগ এই কথাটা জোর দিয়ে বলতে পারে। এজন্য তুরাগ স্বস্তির একটা নিঃশ্বাসও নিতে পারে। যত যাই হোক। প্রত্যয় যে ওর বেস্টটা দিয়ে তুয়াকে ভাল রাখবে। এটা অস্বীকার করা ক্ষমতা কারো নেই।
তারপর তিন্নির বাবার থেকে তিন্নি বিদায় নিলো। একটা মেয়ের জন্য এই মুহূর্তটা খুব কষ্টের। তবুও এই নিয়মেই নিজেকে মানিয়ে নিতে হয়। কবুল এই তিনটা শব্দের উপর ভরসা, আস্থা, বিশ্বাস,দায়িত্বের উপর ভিত্তি করেই, একটা মেয়ে স্বামীর ঘরে পা রাখে। বিয়ের আগে বাবার আর ভাইয়ের স্নেহমাখা নিরাপদ স্থান ছেড়ে। বিয়ের পর স্বামী নামক মানুষটাকেই বেঁচে থাকার অবলম্বন করে নিতে হয়।আমাদের সমাজের এই নিষ্ঠুর নিয়ম। প্রথমে মানতে কষ্ট হলেও,সময়ের সাথে সব সয়ে যায়। এরপরে তুরাগ রা তিন্নিকে নিয়ে চলে গেল। তিন্নির বাবা মা আশ্রুসিদ্ধ চোখে তিন্নিদের গাড়িটার দিকেই তাকিয়ে থাকলো।
প্রত্যয় তুয়াকে ওর দিকে ঘুরালো। তুয়া মাথা নিচু করে বসে আছে। চোখের পানি গুলো নিঃশব্দে গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে। প্রত্যয় খুব শান্ত গলায় তুয়াকে বললো,
–“তুয়া সবটা আমাকে খুলে বল। এভাবে লুকিয়ে রাখলে কোন সমাধান হবেনা। নিজে কষ্ট পাচ্ছিস, আর আমাদেরও কষ্ট দিচ্ছিস।” (প্রত্যয়)
–(তুয়া সাইলেন্ট)
–“আমাকে বল আমি তোর পাশে আছি। আর এভাবে লুকিয়ে রাখলে হবেনা। সত্যি কখনোই চাপা থাকবেনা। আন্টি তোকে কি কিসের ভয় দেখাচ্ছে?” (প্রত্যয়)
–“প্লিজ তোমার পায়ে পড়ি। আমাকে এসব জিজ্ঞাসা করোনা। আমি তোমাকে বলতে পারবো না। প্লিজ! প্লিজ তুমি থামো।” (তুয়া হাত জোর করে)
–” কেন থামবো? তোর জন্য আমি কেন সাফার করবো? আমার কি দোষ? আমাকে কেন এরমধ্যে জড়িয়ে নিলি?
এখন তোর আমার সম্পর্কটা তো অন্যরকম। আমরা সারা জীবনের জন্য একটা বন্ধন আবদ্ধ হয়েছি। আমি তোর সব দায়িত্ব নিয়েছি। তোর ভাল থাকা না থাকার সব দেখার দায়িত্ব আমার। তুই কেন আমার কাছ থেকে সব কথা গোপন রাখিস? কেন আমার কাছ থেকে আড়াল করছিস?” (প্রত্যয়)
— “তুমি আমাকে ভুল বুঝছো।” ( তুয়া কেঁদে কেঁদে)
— “তুই এখন পুরো ঘটনাটা আমাকে খুলে বল। আর না হলে আমি সরাসরি প্রিয়মের সাথে এ বিষয়ে কথা বলবো? আমিও এর শেষ দেখেই ছাড়বো।” ( প্রত্যয়)
–“না প্লিজ তুমি প্রিয়ম কে কিছু বলো না। প্রিয়ম সহ্য করতে পারবেনা ও মরে যাবে। প্লিজ তুমি দয়া করো। প্লিজ তোমার পায়ে পড়ি। তুমি প্রিয়ম কে কিছু বলো না।” (তুয়া)
— “তাহলে এই রহস্যের রহস্য উন্মোচন কর।”
তুয়া কেঁদেই যাচ্ছে। এর ফলাফল যে কতটা ভয়াবহ হবে। এটা ভেবেই তুয়ার কলিজা কেঁপে যাচ্ছে। তুয়া আর একটু পানি খেয়ে নিজেকে শান্ত করে নিলো| বেশ কয়েকজন পথচারী ওদের দিকে তাকাচ্ছে। প্রত্যয় তুয়াকে নিয়ে একটা নিরিবিলি জায়গায় বসলো। তুয়া এখনো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। আর প্রত্যয় তুয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে । তুয়ার কষ্ট টা এখন প্রত্যয় অনুভব করতে পারছে। তুয়া যে কতটা মারাত্মক সিচুয়েশানের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সেটা প্রত্যয়ের বুঝতে বাকি নেই। এতজনের এতগুলো ষড়যন্ত্রের চাপ মাথায় নিয়ে। তুয়ার একা একা লড়াই করে যাচ্ছে। এটা মোটেও চারটে খানি কথা না। তুয়া যে কিভাবে এসব সহ্য করেছে। প্রত্যয় তার উওর খুঁজে পাচ্ছেনা। এরপর তুয়া নিজেকে স্বাভাবিক করে নিলো। প্রত্যয়ের দিকে একবার করুন চোখে তাকালো। তুয়ার এমন দৃষ্টির মানেই বোঝায় কাউকে হারানোর কষ্টটা। তুয়ার চোখেও এই কষ্টটা প্রত্যয় এখন স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে। তুয়া কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে এক বার ঢোক গিলে নিয়ে বললো,
–“আসলে উনার সাথে আমার একটা ডিল হয়েছে।” ( মাথা নিচু করে)
—“কিসের ডিল, কাকে নিয়ে ডিল?” ( জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে)
–“আমার আর প্রিয়মেয়ের ভালোবাসা টা কোরবানী করার ডিল। সারা জীবন ওর পাশে থাকবো এমন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েও ওকে ছেড়ে দেওয়ার ডিল। ওকে কষ্ট দিয়ে দূরে সরিয়ে যাওয়ার ডিল।” ( তুয়া কেঁদে কেঁদে)
—“উনি কি এমন কথা বলেছে ,যার জন্য তুই এমন কঠিন একটা সিদ্ধান্ত নিলে?” ( প্রত্যয়)
–“প্রিয়ম ওর বাবা মায়ের নিজের সন্তান নয়।” (তুয়া)
— “মানে?” (প্রত্যয়)
–“হ্যাঁ এটাই ঠিক। আমি তোমাকে সব সত্যি টাই বলছি। এই কথাটা কোনভাবে প্রিয়ম জেনে গেলে,ও তাহলে মরেই যাবে।
আর আমি যদি প্রিয়মকে বিয়ে করতাম। তাহলে উনি প্রিয়মের অনেক বড় ক্ষতি করে দিতো। এই কথার প্রেক্ষিতেই উনি আমার সাথে একটা ডিল করে।” (তুয়া)
–“উনি এসব বললো আর তুই বিশ্বাস করে নিলি?” (প্রত্যয়)
–“না আমি ওনার মুখের কথাই বিশ্বাস করিনি। উনি বেশকিছু জোরালো প্রমাণ দিয়েছে। যার কারণে আমি বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছি।” (তুয়া)
–(প্রত্যয় জিঙ্গাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে)
–“প্রিয়ম ওর বাবা-মায়ের সন্তান না। প্রিয়মের ফুপির আর তার বয়ফ্রেন্ডের আবেগী ভুলের মাসুল হচ্ছে প্রিয়ম। লোকলজ্জা আর সমাজের হাত থেকে বাঁচার জন্য। প্রিয়মকে আশিক আঙ্কেল উনার ছেলে বলে ব্যাপারটা সামলে নেয়। আর প্রিয়মের বাবা মা তখন অন্য জেলায় ছিলো। তাই ব্যাপারটা সহজেই মিটে যায়। প্রিয়মের ফুপিই প্রিয়ম জন্ম দেয়।” (তুয়া)
–“আচ্ছা তুই কিসের ভিত্তিতে এসব বিশ্বাস করছিস?” (প্রত্যয়)
–“আমি এই ব্যাপারটাকে অনেক খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছি। প্রিয়ম কে উনার লোকেরাই বারবার মারতে চাইছিলো| কিছুদিন আগেও আমাদের বিয়ের শপিং করতে গিয়েছিলাম। তখন আমাদের গাড়ির ব্রেকফেল করে দিয়েছিল। উনি ভেবেছিলেন আমাকে মেরে ফেললে। উনার পথের কাঁটাও চিরতরে দূর হয়ে যাবে। কিন্তু ভাগ্যক্রমে আমি আর প্রিয়ম সেদিন বেঁচে যায়।” (তুয়া)
–(সাইলেন্ট)
–“আমি প্রথমে উনার এসব কথা বিশ্বাস করিনি। আমি উনার কোন শর্তই মানবো না। এইকথা বলে ওনার মুখের উপরে না করেও দিয়েছিলাম। কিন্তু আমি না করার পর,উনি তখন বারবার প্রিয়ম কে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছে। উনি প্রিয়মকে বেশ কয়েকবার এক্সিডেন্টও করিয়েছে। এতে প্রিয়ম এক্সিডেন্ট করে অনেক কষ্টও ভোগ করেছে।” (তুয়া)
–“আচ্ছা তুই কি প্রমান দেখে, উনার কথা বিশ্বাস করেছিস?” (প্রত্যয়)
–“প্রিয়ম হওয়ার পর, প্রিয়ম আপন মা মানে প্রিয়মের ফুপু প্রিয়মকে রেখে যাওয়া আগে একটা চিঠি লিখে গিয়েছিলো।আমি সেই চিঠিটাই দেখেছি। আর যে মা বার বার ছেলেকে বিপদে ফেলতে পারে। সে মা ছেলের জান নিতেও দ্বিধা করবেনা। এজন্য আমি আমার ভালবাসা কুরবানী দিয়েছি।উনি বলেছে, আমি যদি প্রিয়ম বিয়ে করি। তাহলে উনি আজ অথবা কাল উনি প্রিয়মকে মেরেই ছাড়বে।” (তুয়া কেঁদে কেঁদে)
–( প্রত্যয় সাইলেন্ট)
–“আমি উনার পা ধরেছি। বার বার প্রিয়মকে ভিক্ষা চেয়েছি,উনার রাজি হয় নি। আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে। আমি পারিনি প্রিয়মকে এমন একটা যন্ত্রনাদায়ক কথা শুনতে দিতে। এজন্য আমাকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে হয়েছে।” (তুয়া কেঁদে কেদে)
–“তাহলে প্রিয়ম এখন কি কষ্ট পাচ্ছে না?” (প্রত্যয়)
–“এখন পেলেও নিজেকে সামলে নিতে পারবে। আমি ওর কাছে অপরাধী হয়ে থাকতে রাজি আছি। আমি ওর মুখে লোভী। আর আমার স্বার্থপরতার কালিমা আমার গায়ে মাখতেও রাজি আছি। তবুও প্রিয়ম বেঁচে থাকুক, ভাল থাকুক। এটাই এখন আমার একমাত্র চাওয়া। প্রিয়ম এখন কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু একদিন ঠিকই সব সামলে নিবে।” (তুয়া)
–“প্রিয়ম কোনদিন না কোন দিন তো জানবেই, তখন কি হবে একবার ভেবেছিস?” (প্রত্যয়)
–“প্রিয়ম মরে যাবে, এসব শুনলে। আমি পারিনি আর পারবোও না। প্রিয়মকে এমন কুৎসিত সত্যি টা জানাতে।আজ প্রিয়মের জন্যই, শুধু আমি আমার ভালবাসাটা কুরবানী দিয়েছি। আমি হারিয়ে ফেলেছি আমার পৃথিবীকে।সারাজীবনের জন্য আমি আমার প্রিয়মকে চিরতরের জন্য হারিয়ে ফেলেছি।” (কেঁদে কেঁদে)
–“এটা কি আসলে সঠিক সমাধান হয়েছে?” (প্রত্যয়)
–“উনি আমাকে অনেকদিন থেকে থ্রেট দিচ্ছে। আমি প্রথমে উনার কথা গ্রাহ্য করেছিলাম না। এজন্য উনি প্রিয়মের পেছনে লোক লাগিয়েছিলো। আর বলেছে আমি যদি বিয়েটা ক্যানসেল না করি। তাহলে উনি প্রিয়ম গিয়ে জানিয়ে দিবে, ‘প্রিয়ম জারজ সন্তান।’ (কেঁদে কেঁদে)
তুয়ার মুখে এই কথা শুনে। প্রত্যয় সাথে সাথে তুয়ার মুখ চেপে ধরেছে। তুয়া প্রত্যয়ের দিকে তাকিয়ে শব্দ করে কেঁদে যাচ্ছে । মনের ভেতরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। বিগত কয়েকটা মাস থেকে সে এই আগুনে তুয়া প্রতিনিয়ত দগ্ধ হচ্ছে। এমন অসহ্য কষ্টটাও তুয়া একা মুখ বুজে সহ্য করেছে।প্রিয়মকে নিয়ে এমন কথা শুনে প্রত্যয়েরই যেন মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। তুয়ার আরও কিছু বলতে যাচ্ছিল। কিন্তু প্রত্যয় মাথা নাড়িয়ে তুয়া বলতে না করে।তখনই হঠাৎ পেছন থেকে কেউ বলে উঠে,
–“প্লিজ ভাই ওকে বলতে দেন। সব সত্যিটা আমারও তো জানা উচিত। আর জারজদের জারজ শব্দটা শুনতে সমস্যা কি?” (প্রিয়ম চোখ ছলছল করে)
To be continue…!!
(ইডিট করার সময় পায়নি,ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)