স্পর্শানুভূতি #writer_Nurzahan_Akter_Allo #part_28 🍁🍁

0
446

#স্পর্শানুভূতি
#writer_Nurzahan_Akter_Allo
#part_28
🍁🍁

ওদিকে রুম অন্ধকার করে বসে আছে জয়!আজকে মনে হচ্ছে ওর বাঁচার ইচ্ছেটাও হারিয়ে ফেলছে!জয় খুব কাঁদছে আর একা একা বিরবির করছে!কারন জয় যে মিষ্টুকে অনেক আগে থেকেই খুব ভালবাসে……….বাট মুহিতের জন্য বলার সাহস পায় নি।মিষ্টুর দুষ্টুমি,কথা,ওর ছোট ছোট আবদার সবকিছু মিলিয়ে জয়ের মন কেড়ে নিয়েছিলো। বাট আজকে একটা দমকা বাতাস এসে সবকিছু নষ্ট করে দিয়ে চলে গেল।জয় মিষ্টুর একটা ফ্রেমে বাঁধানো পিক বের করে তাকিয়ে আছে বলছে…


জয়ঃএই মিষ্টু আমার ভালবাসাটাকে এভাবে ফাঁকি দিলি?কেন রে আমি তো আমার সবটুকু দিয়েই তোকে খুব ভালোবেসেছিলাম!মিষ্টু তোকে আমি খুব ভালবাসি রে!আজকে আমার পুরো পৃথিবী ঘুরে গেছে কারন আমি নিজে দাড়িয়ে থেকে তোকে অন্য কারো হতে দেখছি রে!আমি আজ অনেক চেষ্টা করেও বলতে পারি নি আমি সমার মিষ্টুকে বিয়ে করবো!আমি যদি বলতাম মুহিত মারা যেত রে কারন মুহিত কতটা কষ্টটা কষ্ট পেয়েছে সেটা তো নিজে চোখে দেখছি আমি।আজকে মুহিতের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি আমার ভালবাসাটাকে দাফন করে দিলাম রে!জানিস মিষ্টু আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল খুব….তবে কারো উপরে আমার কোন অভিযোগ নেই রে!তুই আমার ভাগ্যতে ছিলি না তাই তোকে হারিয়ে ফেললাম।তবে আমি তোদের পাশে আছি আর থাকবোও কারন রাসেল খুব ভাল ছেলে!( কেঁদে কেঁদে)


জয়দের মত অনেক ছেলের আছে যারা হাসি মুখে ওদের ভালবাসাকে দাফন দিতে পারে!আর দুষ্টু মেয়েরা খুব অল্পতে যে কারো মন জয় করতে পারে। আর ছেলেরাও বেশি আকৃষ্ট হয় দুষ্টু মেয়েদের প্রতি! আর এখানে দুষ্টু মানে যে বেশি দুষ্টুমি করে,বেশি কথা বলে,ছোট ছোট আবদার, রাগ,অভিমান, এসব কে আমি বোঝাতে চেয়েছি?আর মিষ্টু যে প্রকৃতির মেয়ে ওকে ভালবাসাটা আনকমন কিছু নয়।আর ভালবাসতে তো সবাই পারে বাট ভাগ্য করে তাকে সারাজীবনের জন্য কাছে পায়ই বা কত জন।জয় হয়তো মিষ্টুকে পেলো না আর বড় কথা সবাই যদি তার তার প্রিয় মানুষটাকে পেতো তাহলে ভালবাসায় কষ্ট নামক জিনিস টা যে কি সেটা কেউ বুঝতে পারতো না। দুরে থেকেও তো ভালবাসা যায়,যদি তাই না হতো তাহলে একটা প্রবাদের মানে আমরা কখনোই বুঝতাম না।আর প্রবাদ টি হলো…
..ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ…


বন্ধুর বোনের প্রেমে পড়লে না তাকে বলা যায় আর না দুরে সরিয়ে রাখা যায়।কিন্তু অনেক ছেলে /মেয়ে আছে যারা এই কাজটাই করে ফেলে।কারন ভালবাসা/ ভাললাগা তো আর বলে কয়ে ডেট ঠিক করে তো আর হয় না।আর এজন্য ফুটে ওঠার আগেই শেষ হয়ে যায় অনেক ভালাবাসার কলি!কেউ কেউ তো আছে বন্ধুর কথা ভেবে নিজের ভালবাসা দাফন দিয়ে দেয়।আর তাদের মধ্যেও জয় একটা!


এভাবে প্রায় তিন দিন কেটে যায়…

মিষ্টু অনেকটা সময় নিয়ে মাথা ঠান্ডা করে ভাবলো আর মুহিতকে একটা মেসেজ দিলো।

ভাইয়া আমি নাকি তোর কলিজা ছিলাম! এটা ভুল বলতি তুই সেটার প্রমান নিজেই পেলাম।আমি কেমন সেটা তুই তো জানতি তারপরেও তুই এসব বিশ্বাস করে নিলি! আমি আর তোকে ডিস্টার্ব করবো না ভাইয়া তবে আমি তোর মুখোমুখি খুব তারাতারি দাঁড়াবো। আর রইলো রাসেলের কথা আল্লাহর কালাম দিয়ে যেহেতু আমাদের বিয়েটা হয়েছে তাই অমান্য করা সাহস আমার নেই!কারন আমার জীবনটা সিনেমা নয় যে সংসার করবো না !বা মানতে পারবো না বলে নতুন কোন কাহিনীর সৃষ্টি করবো।আজকে আমাদের সাথে যা হয়েছে বড্ড খারাপ কিছু হয়েছে!হয়তো রাসেল ভাইয়াকেও বর হিসেবে মেনে নিতে সময় লাগবে তারপরেও আমি চেষ্টা করবো সবকিছু মেনে নিতে। আমি আর রাসেল ভাইয়া যে খুব খারাপ ভাবে ফেঁসে গেছি সেটা কাউকে বিশ্বাস করাতে পারলাম না! তবে ইনশাআল্লাহ মনে রাখিস মিষ্টু এত সহজে হাল ছাড়ার পাএী না।আর আফসোস কি জানিস ভাইয়া?

মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আগেও আসামির থেকে তার শেষ ইচ্ছের কথা জানতে চাওয়া হয়! বাট তোরা কেউ আমাদের সেই সুযোগ টাও দিস নি।ভাইয়া তোর উপরে আমার রাগ বা অভিমান কোনটাই নেই শুধু একটু কষ্ট পেয়েছি তাই…আর হ্যা যদি পারিস তো এই খারাপ মেয়েটাকে মাফ করে দিস!তোর বোন তোর সামনে আসবে ঠিকই তবে মাথা উচু করে! কারন মুহিত মিষ্টুকে মাথা নিচু করে থাকার মত লেইম কোন কাজ করার শিক্ষা দেয় নি। আর ভালো থাকিস ভাইয়া! আর আম্মু বলিস তার মেয়ের জন্য একটু দোয়া করতে…

মিষ্টু মেসেজ টা সেন্ড করে কাঁদতে শুরু করলো!রাসেল ওর বাবার সাথে কথা বলে জানালো যে ওর বিয়ে করে ফেলছে!আর এটা রাসেলের আম্মু জানার পর তো সেই অশান্তি সৃষ্টি শুরু করছে? পুরো বাড়ি মাথা তুলে ফেলছে চিৎকার করতে করতে….

রাসেলের আম্মুঃচাল চুলোহীন না জানি কাকে তুলে আনবে কে জানে?রাসেল তো জানে ওর জন্য আমি মেয়ে ঠিক করে রাখছি! তারপরেও এটা কাজটা করতে পারলো।ছিঃ!

রাসেলের বাবাঃরাসেল এখন ছোট নয়!রাসেল এখন যথেষ্ট বড় হয়েছে আর বড় কথা ভাল মন্দ বোঝার বয়স হয়েছে?তাই তুমি অযথা চিৎকার করে আমার কানের পোকা বের করো না।

আম্মুঃকি আমার চিৎকার করে বাড়ি মাথায় তুলছি?আমার কি কোন অধিকার নেই রাসেলে কে নিয়ে কিছু বলার?আমি কি রাসেলের কেউ না?

বাবাঃ না সেই অধিকার তোমার নেই!যার খোঁজ রাখার কোন প্রয়োজন বোধ করো না তুমি! যাকে ভালবাসা তো দুরে থাক একটা মিষ্টি করে ডেকেও কথা বলো না আজকে নিজের সার্থে আঘাত লাগছে বলে আজকে এত বড় বড় কথা!আমার মুখ খুলিও না মিতা তুমি বিপদে পড়ে যাবে।

আম্মুঃতুমি এভাবে আমার সাথে কথা বলতে পারো না

বাবাঃকি পারি আর কি পারি না সেটা দেখাতাম অনেক আগেই! রাসেল যদি ওর কসম না দিতো।তবে রাসেলের বউ বাসায় আসলে তুমি যদি রাসেল বা ওর বউকে খারাপ কিছু বলো। তাহলে তোমাকেও আমি ছেড়ে কথা বলবো না। তুমিও কথাটা মনে রেখো…


এই কথা বলে রাসেলের বাবা চলে গেল!রাসেলের একটা বোন আছে!ওর নাম রোজ। রোজ কেন জানি রাসেলকে একে বারেই সহ্য করতে পারে না তবে রাসেল রোজকে খুব ভালো বাসে..।রাসেল ভালোবেসে কিছু দিলেও রোজ সেটা নেয় না! কিন্ত ক্রেডিড কার্ডে টাকার দরকার হলে ঠিকই রাসেলকে বলে।রাসেল যথেষ্ট চেষ্টা করে মা আর বোনের মন পাওয়ার জন্য কিন্তু এরাই রাসেলকে আপন ভাবতে পারে না।এজন্য রাসেল এখন একা একা থাকতেই পছন্দ করে… আগের মত আর আগ বাড়িয়ে কিছু করতে বা বলতে যায় না।


ওইদিকে মুহিত মিষ্টুর মেসেজ টা দেখে থম মেরে বসে আছে!কি বলবে বুঝতে পারছে না।

রাসেল একেবারে দুপুরের খাবার নিয়েই বাসায় ফিরলো।মিষ্টু তখন বারান্দায় বসে ছিলো!রাসেল আশপাশে তাকিয়ে মিষ্টুকে খুজলো হঠাৎ বারান্দায় থেকেই মিষ্টুর গলা শোনা গেল..

মিষ্টুঃচোরের মত একদিক ওইদিকে কাকে খুজছেন?

রাসেলঃনা মানে তোমাকেই খুজছিলাম!
মিষ্টুঃআমি পালিয়ে তো যায়নি!এভাবে তাহলে খুজছেন কেন?

রাসেলঃআমি কখন বললাম তুমি পালিয়ে যাবে!যাই হোক তুমি কালকে থেকে এক ড্রেসে আছো আর এখনও তো সাওয়ার নাও নি..

মিষ্টুঃআমার কথা আপনার ভাবতে হবে না!নিজের কাজ নিজে করুক আর এখন এখান থেকে বিদায় হন তো।

রাসেলঃতুমি এখন আমার ওয়াইফ সো আমাকে তোমার কথা ভাবতেই হবে তাই না।দশ টা পাঁচ টা একটা মাএ বউ আমার।(মুচকি হেসে)

মিষ্টুঃআপনার মনে রং লাগছে দেখছি!আমার তো রীতিমত এখন ডাউন হচ্ছে? আপনি এসব ইচ্ছে করে করছেন কি না সেটা নিয়ে?

রাসেলঃপ্রথমত আমি অতীত ভেবে বর্তমান নষ্ট করাটা বোকামি বলে মনে করি।আর আমি কোন অন্যায় করি নি যে চোরের মত চুপ করে বসে থাকবো বা নিজেকে গুটিয়ে নিবো।আর সময় মত সব প্রমান দিয়ে দিবো আর আমিও বুঝিয়ে দিবো আমি নির্দোষ…

মিষ্টুঃ কেঁচো খুঁড়তে না কেউটে বের হয়!তখন এত বড় বড় কথা থাকবে তো মুখে..

রাসেলঃরাসেল তওসীফ জেনে শুনে কখন কারো সাথে কোন অন্যায় করে নি!আর আমি কাউকে ভয় পাই না!আর সেদিন নার্ভাস+ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিলাম তোমার আর মুহিতের জন্য। আর বড় কথা আমি তোমার কথা ভেবেই চুপ করে সব মেনে নিয়েছি কারন আমি চাইনা! আমার জন্য কেউ সারাজীবন বদনাম বয়ে নিয়ে বেড়াক…

মিষ্টুঃওহহ তাই বুঝি!তাহলে এখনো বদনাম হয় নি বলছেন?আরো বাকি আছে নাকি..?

রাসেলঃতোমার গায়ে বদনাম আমি নিজে ইচ্ছে করে লাগায় নি মিষ্টু!ওই অভদ্র মহিলার জন্য আজ আমাদের এই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে! তবে আমরা এখন একটা পবিএ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পড়ছি! এখন আমরা চাইলেও সবকিছু আবার আগের মত করে দিতে পারবো না।আমি তোমাকে সাফ সাফ করে জানিয়ে দিচ্ছি যে,
আমি চাই আমরা নতুন করে শুরু করি।আশা করি বাংলা সিনেমার মত এখন তুমি এখন এই ডায়ালগ দিবে না যে….

” না আমি আপনাকে মনে নিতে পারবো না!আমি পারবো না আপনার সাথে সংসার করতে!আমার ডিবোস চাই।আমি অসভ্য আমার সাথে সংসার করা যায় না।তুমি নিজে পথ নিজে বেছে নিবে… এসব হাজিবাজি

মিষ্টুঃ না আমি বাংলা সিনেমার হিরোইন নয় যে এসব বলবো! আর আমার জীবনটাও কোন সিনেমা নয়।
তবে আমারও একটু সময় চাই!কারন হুট করে সব মেনে নেওয়া পসিবল না।

রাসেলঃ মিষ্টু তোমাকে একটা কথা বলি আমরা দুজন কেউ এমন পরিস্থিতি ইচ্ছাকৃত ভাবে তৈরী করি নি!আমাদের ফাসানো হয়েছে!তুমি প্লিজ আমাকে ভুল বুঝো না। কারন তুমি ভুল বুঝলে আমি এই লড়াইটা শুরু করার আগেই হেরে যাবো!তাই বলছি আমাকে কোন সাহায্য করতে হবে না বরং আমাকে একটু শুধু একটু সাপোর্ট করো।তুমি যেমন তোমার পরিবারের থেকে দুরে সরে আছো! আমি তেমন আমার ভাইয়ের মত বন্ধুর কাছে খারাপ হয়ে গেছি!আর বড় কথা আমি নিজেই নিজের কাছে ছোট হয়ে গেছি!আজকে আমরা আমাদের বাসায় যাচ্ছি! আর হ্যা আমি চাই এসব কথা আমার পরিবারের কেউ না জানুক! এটাই তোমার কাছে আমার রিকুয়েস্ট বলতে পারো।

মিষ্টুঃনা গেলে হয় না।আমি যে ভাইয়া আর আম্মুকে ছাড়া দুরে কোথাও গিয়ে থাকতে পারি না।(কেঁদে কেঁদে)

রাসেলঃ আমি আছি তো!আমাকে সব সময় তোমার পাশে পাবে।আর আমি আমার অধিকার নিয়ে তোমার কাছে যাবো না যতদিন না তুমি চাও!তবে আমাকে তুমি শুধু তোমার পাশে থাকার সুযোগ টা দাও।

এটা বলে রাসেল চলে গেল!

রাসেল জানে এখন মিষ্টুর ভেঙ্গে পড়তে দেওয়া যাবে না কারন হিতে বিপরীত হতে পারে।এজন্য রাসেল চাচ্ছে মিষ্টুকে নরমাল বিহেভে আনতে!মিষ্টু রাসেলের বলা সব কথা গুলো খুব মনোযোগ দিয়ে ভাবলো আর একটাই ফলাফল পেলো সেটা হচ্ছে…

মিষ্টুঃ পরিস্থিতির সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে!সাবধানে পরের পদক্ষেপ নেওয়াটাই বুদ্ধি মানের কাজ।আমিও এত সহজে ভেঙ্গে পড়বো না!আমি ওই ডায়নী কে উচিত শিক্ষা দিবো আর বোঝাবো যে কোন মেয়েকে এমন পরিস্থিতিতে ফেললে তার আসলে কেমন লাগে!ডায়নী রাবেয়া তুই রেডি থাক!তোর মরার পাখনা গজিয়েছে আমি তোর পাখনা ভালো করে ছেটে দিতে না পারলে আমার নামও মিষ্টু তাহিয়াত না….


রাসেল মিষ্টুর কথা গুলো শুনে মুছকি হেসে পর্দা আড়াল থেকে সরে গেল।রাসেলের চাচ্ছিলো আগের মিষ্টু হয়েই সমস্যার সমাধান করুক! বোকারা পিছিয়ে যায় আর এখানে দোষ না করেও কেন ওরা সবার কাছে দোষী হয়ে থাকবে!মিষ্টু সোফা থেকে উঠে বড় বড় নিঃশ্বাস নিয়ে রুমে আসলো। মিষ্টুর বেডের উপর বেশ কয়েকটা মেয়েদের ড্রেস! মিষ্টু জানে এগুলো রাসেল এনেছে! মিষ্টু নিজেই অবাক হচ্ছে এই কারনে যে,মিষ্টু রাসেলকে রাগ দেখাতে পারছে না!মিষ্টু মনে প্রাণে বিশ্বাস করে রাসেল নিজ ইচ্ছাকৃত ভাবে একাজ করবে না!কেন জানি মিষ্টুর মন জোর দিয়ে বলছে রাসেলকে অযথা কষ্ট না দিতে!কারন রাসেলও ওর মত ফেঁসে গেছে….


মিষ্টু একটা ড্রেস নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল!একটু পর রাসেল এসে ওয়াশরুমের দরজাতে নক করলো আর বলে গেল শীত পড়ছে বেশি পানি না ঢালতে।রাসেল মিষ্টুর সব ডিটেইলস মুহিতকে মেসেজ করে কারন রাসেল জানে মুহিতের কলিজা মিষ্টু…আর একবার হলেও মেসেজ পড়বে মুহিত।রাসেল কিচেনে গিয়ে সব খাবার গরম করে আর ডায়নিং টেবিলে সাজায়!মিষ্টু ওয়াশরুমের থেকে বের হয়ে বারান্দায় আসা রোদে বসে চুল মুচছে!রাসেল মিষ্টুকে খেতে ডাকে…মিষ্টু বসে আছে কারন মিষ্টু জানে মুহিত ওকে ছাড়া খায় না…খাওয়া কথা শুনে মিষ্টুর মন খারাপ হয়ে গেল।


রাসেল মিষ্টুর হাত ধরে টেনে এনে টেবিলে বসায়!আর মিষ্টু সাথে সাথে চেয়ার থেকে উঠে রাসেলকে এক থাপ্পড় মারে….

চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here