#প্যারাময়_লাভ❤❤
#written_by_Nurzahan_akter_Allo
#part_17
গোবরের জুতা পড়ে যদি ভালো কিছু পাওয়া যায়!তাহলে তো বার বার গোবরের জুতা পড়াই ভালো….😂
–
মুগ্ধ আর রুহি একটা বাসায় যায়!মুগ্ধ একটা বাসায় ঢুকে আর একজন মহিলাকে দেখতে পায়।মুগ্ধ ওই মহিলাটির সামনে গিয়ে বলে…
মুগ্ধঃআসসালামু আলাইকুম আন্টি..
মহিলাটিঃওয়ালাইকুম সালাম!আপনাদের তো ঠিক চিনবার পারলাম না।আপনারা কেডা???
মুগ্ধঃআমরা এই গ্রামে ঘুরতে এসেছি!আপনাদের গ্রামটা অনেক সুন্দর! গ্রামটার নামটা কি জানতে পারি???
মহিলাঃএই গ্রামের নাম সরিষাবাড়ী
মুগ্ধঃবলছিলাম যে আন্টি একটু পানি দেওয়া যাবে।ওর পায়ে গোবর লাগছে পা টা ধোঁয়ার জন্য… (রুহিকে উদেশ্য করে)
মহিলাটিঃহেতি আপনার কেডা (সন্দেহের চেখে)
মুগ্ধঃআমার বউ
–
মহিলাটি পানি আনতে গিয়ে বেশ কয়েকজন লোকজনকেও ডেকে আনে!সবাই ওদের একপ্রকার ঘিরে ধরে!মহিলা পানি দিলে রুহি আগে ওর পা টা ধুয়ে ফেলে সাবান দিয়ে।তারপর রুহি পা ধোয়া হয়ে গেলে মুগ্ধ সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে চলে আসতে যাবে! ঠিক তখন ওই লোকগুলো পথ আটকে দাড়ায়।মুগ্ধ আর রুহি ভ্রু কুচকে ওনাদের দিকে তাকায়…. তখন একজন মুরব্বী মত লোক বলে উঠে…
–
মুরব্বীঃআমাগো হক্কলকে গেরামের মানুষ ভাইবা!মনে করছো আমরা তোমাগোর মতিগতি বুঝবার পারুম না।
মুগ্ধঃমতি গতি মানে কি???কিসের মতিগতি এসব কি বলছেন??(ভ্রু কুচকে)
মহিলাটিঃআমরা সব বুঝবার পারছি!আপনারা বাড়ি থেইকা পালাইয়া আইছেন।আর না হইলে প্রেম পিরিত করার লাইগা এইহানে আইচেন!শহরের পোলা গুলারে খুব ভালা মত চিনা আছে….
মুগ্ধঃও আমার বউ!আমি ওকে নিয়া পালাবো কোন সুখে!আজিব কথা বলছেন কেন??রাস্তা ছাড়ুন আর আমাদের যেতে দেন।
মুরব্বীঃহেতি যদি আপনের বউ হয় তো! হেতির নাকে নাকফুল নাই!হাতে চুরি নাই!আর মাইয়াডাকে দেখে মনে হইতাছে না হেতির বিয়া হইছে।
রুহিঃ বিয়ে হলে পেছনে পোষ্টার লাগিয়ে ঘুরবো নাকি!কি সব ফালতু কথা বলছেন.??
মুরব্বীঃকে আছিস??এদের দড়ি দিয়া বাইন্ধা রাখ।এই মাইয়ার লাগে এই পোলার বিয়া না দেওয়া পযন্ত এদের ছাড়ান যাইবো না।
মুগ্ধঃ এসব কি বলছেন??আমরা কি খারাপ কিছু করছি যে আপনারা এমন সিদ্ধান্ত নিচেছন।বলা নেই কওা নেই জোর করে বিয়ে দিবেন মানে কি??আর বিয়ে করা বউকে আবার বিয়ে করবো কেন??
মহিলাটিঃএত কিছু বুঝবার পারি না!আমাগো
গেরামে এমন অনাসৃষ্টি কান্ড আমরা বাপু সহ্য করবার পারুম না।
রুহিঃতাই বলে বিয়ে দিয়ে দিবেন!আপনাদের জন্য কি রেজিস্ট্রিপেপার সাথে নিয়ে ঘুরবো নাকি!এসব আবাল মার্কা কথা ছাড়েন!
একটা ছেলেঃওই মাইয়া এত কথা কও ক্যান!প্রেমিকের লগে ঘেষাঘেষি করে ঘুরবার সময় মনে আছিলো না।
রুহিঃ ওই শালা কালা কাউয়া!ফালতু কথা বললে তোর কানের নিচে ধাপ করে এমন একটা দিবো না।কেউ তোর বাবার নাম জিজ্ঞাসা করলে মায়ের নাম বলবি…
ছেলেটিঃমাইয়া মানুষের গতরে এত তেজ ভালা না!
রুহিঃঠাস্!ঠাস্!ঠাস! আর একটা দিলাম না।হিসু করে দিতি।মুখের ভাষা ঠিক কর তা না হলে তিন নাম্বার পায়ে এমন কিক মারবো। বাবা হতে পারবি না
(তিনটা থাপ্পড় মেরে!ছেলের দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে )
–
রুহি ছেলেটার কানে আর গালে থাপ্পড় গুলো মেরেছে! এজন্য ছেলে কানে পো পো আওয়াজ হচ্ছে। ছেলেটা বেআক্কেলের মত রুহির দিকে তাকিয়ে আছে।মুগ্ধ কিছু বললো না! কারন মুগ্ধ জানে রুহি ঠিক তার জবাব দিবে।মুগ্ধ তো আর সবসময় রুহির সাথে থাকবে না।ওখানে আরো গ্রামের মানুষ জড়ো হয়ে গেল!কেউ ওদের কোন কথা না শুনছে! আর না বিলিভ করছে।রুহি মুগ্ধর দিকে তাকিয়ে দেখছে মুগ্ধ রাগে ফোঁস ফোঁস করছে!রুহি মনে মনে বলছে…..
রুহিঃ কি করতে যে এই ঠাডা পরা গ্রামে ঘুরতে এলাম।এখন নাকি বিয়ে দিবে তাহলে পরীক্ষা দিয়ে সাথে সাথে এই গ্রামে চলে আসাই তো ভালো ছিলো!ধুর একটা মিসটেক হয়ে গেল!আর এখন এ কোন বিপদ এসে পড়লো!আর ধুর, ভুল কথা বলি ক্যারে! বিপদ তো আসে নি আমাদের কাছে! আমরাই তো মরতে মরতে এই বিপদের কাছে হেটে এসেছি!একেই মে বি সবাই বলে……
খাল কেটে কালা কুমির ডাকে আনা…
–
মুরব্বীঃতোমরা এহনই হেতিগোর বিয়ার দেওয়ার ব্যবসথা করো।আমাগো গেরামে কোন মাইয়া বা পোলা এভাবে কারো সাথে ঘুরতে বাইর হয় না।তাই তোমাগোর বিয়া দিয়া দিবো…
উপস্থিত সবাইঃ হ হ তাই করা হোক!
–
এই মুহূর্তে মুগ্ধ আর রুহি ১২০০ বাইশ ভোল্টেজের শক খেয়ে হাবলার মত দাড়িয়ে আছে!মুগ্ধ অনেক কিছু বোঝানোর চেষ্টা করছে বাট উনাদের কিছুতেই বোঝানো যাচ্ছে না!গ্রামের কিছু কিছু মানুষ এরকম উনারা যা বুঝবো ওইটাই ঠিক!মুগ্ধ আর রুহিকে বিয়ে দেওয়ার একজন জন্য মসজিদের ডাকতে চলে যায়!তারপর গ্রামের ইমাম এসে বিয়ে পড়ায়।
ইমামঃ বলো মা আলহামদুলিল্লাহ কবুল
রুহিঃ কবুল!কবুল!কবুল!
ইমামঃএকবার বলতে বলছিলাম!(রুহির দিকে তাকিয়ে)
রুহিঃতিন বার কবুল বলতে হবে এটা আমি জানি! তাই আপনাকে কষ্ট করে বার বার বলতে যাতে না হয় তাই একেবারে বলে দিসি।
ইমামঃওহহ!বাহ। তা বাবা তুমি কবুল বলো…(মুগ্ধর দিকে তাকিয়ে)
মুগ্ধঃকবুল!কবুল!কবুল
–
এরপর সবাই ওদের জন্য মোনাজাত করলো!ইমাম যা যা বলছে রুহি জোরে জোরে বলছে আমিন।মুগ্ধ রাগী চোখে চোখ কটমট করে রুহির দিকে তাকিয়ে আছে!কারন রুহি এত জোরে আমিন বলছে যে সবাই ওর দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।তারপর বিয়ের সম্পূন করে।একই দিনে দুইবার বিয়ে করে ওরা কি বলবো সেটাই বুঝতে পারছে না।বিয়ে দেওয়ার পর মহিলাটি রুহিকে উদেশ্য করে বললো…
–
মহিলাঃওই মাইয়া!তুমি এহন থেইকা হাতে চুড়ি,নাকে নাকফুল আর মাথার সোজা সিথি করবা।
রুহিঃসোজা সিথি মানে???
মহিলাঃ চুলের মাঝখানে সিথি করবা!তাহলে সোয়ামির মঙ্গল হইবো!সোয়ামির যাএাপথ সোজা হইবো!আর চুরি পড়া ছাড়া তুমি তোমার সোয়ামিকে পানি খাইতে দিবা না!চুরি ছাড়া সোয়ামিকে পানি দিতে হয় না!অমঙ্গল হয়।
রুহিঃ সব বুঝলাম বাট আন্টি আমি যদি সামনে চুল ফুলিয়ে চুল বাঁধি তো! তাহলে কি আমার বরের ডিকবাজি দিতে দিতে রাস্তা পার হবে!না মানে সোজা সিথিতে যদি রাস্তা সোজা হয় তো চুল ফুলালে তো সেই রাস্তা ঢিপি থাকার কথা! তাই বলছি আর কি… (বিশ্বজয় করা হাসি দিয়ে)
মহিলাঃএত কিছু জানিনা!যা কইতাছি তাই করবা।
মুগ্ধঃআমরা তাহলে এখন আসি!আপনাদের তো কাজ শেষ তাই না।
মুরব্বীঃহ! ভালো থাইকো আর সুখে থাইকো।মাইয়া টা আবার ছাইড়া পালাই যাইও না।
মুগ্ধঃআংকেল আমি এত নিম্ন রুচি নিয়ে চলি না!যাকে একটা ভালবাসি আর দুইবার বিয়ে করা বউকে রেখে পালানোর মানেই হয় না।তবে আপনারা এই কাজ আর কারো সাথে করবেন না কারন আমরা যদি খারাপ মূহুর্তে ধরা পড়তাম! তখন আমাদের বিয়ে দিলে মানতাম!বাট আমরাই এই বাসায় পা ধোঁয়ার জন্য একটু পানি চাইতে আসলাম! আর আপনারা না জেনে না বুঝে ধরে বিয়ে দিয়ে দিলেন।এটা ঠিক না….(কথাটা বলে মুগ্ধ ওই বাসা থেকে বের হয়ে যায়)
–
পেছনে মহিলাটি রুহিকে কি কি যেন বলতে বলতে আসছিলো?? আর মুগ্ধ রাগে গজগজ করতে করতে আগে আগে হেটে এসে বাইকের উপর এসে বসলো!ওই দিকে মহিলাটি রুহিকে বলছে…
মহিলাঃব্যাডা মানুষ গুলান রে এ্যাক্কেরে বিশ্বাস নাই!এবার জলদি কইরা ছালপাল লইয়া লইবা!ছালপাল হইলে ব্যাডা মানুষের ঘরে মন টিকবো!
রুহিঃনা না আন্টি আমার বরটা ওইরকম না!ওহহ যথেষ্ট ভাল ছেলে।আমাকে খুব ভালোবাসে…
মহিলাঃব্যাডা মানুষ যতই ভালো হোক না ক্যান! শুধু একখান কথা মনে রাখবা।ব্যাডা মানুষের একটু ছুঁকছুঁকানি স্বাভাব থাকবোই সে যতই ভালা ব্যাডা হোক না কেন!!!
রুহিঃওহহ!!
(ওহহ আমরা বরের দোষ আমার জানু উপর দিচ্ছেন তাই না!আমি বুঝে ফেলছি…মনে মনে)
মুগ্ধঃরুহি তুই কি আসবি নাকি আমি চলে যাবো?রাত আটটা বাজে অলরেডি…
রুহিঃহুমম আসছি!ওকে আন্টি আপনি ভালো থাকবেন।
মহিলাটিঃহ তুমি…
–
মুগ্ধ বাইক থেকে নেমে!ওই মহিলার কাছে যায় আর ওয়ালেট থেকে কিছু টাকা বের করে দিয়ে সবাইকে মিষ্টি খাওয়াতে বলে!সবাই ওদের জন্য দোয়া করলো এটাই বা কম কিসের।তারপর মুগ্ধও মুচকি হেসে মহিলার থেকে বিদায় নিলো।মুগ্ধ আর রুহি বাসার উদেশ্যে রওনা দিলো!রুহি মুগ্ধকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে আছে!আজকে রুহি তো খুব খুশি….মুগ্ধ রুহিকে উদেশ্য করে বললো..
–
মুগ্ধঃএবার কি তোর বিয়ে করা শখ মিটছে???নাকি আর কয়েকবার করবি??
রুহিঃ তুমি করলে আমিও রাজি!তবে কত লাকি আমি দেখছো???
মুগ্ধঃযেমন…
রুহিঃ যাকে পাওয়ার জন্য এত কিছু আজকে একই দিনে তাকেই দুইবার বিয়ে করলাম।আমার মত লাকি একটা মেয়েকে দেখাও তো।তবে…
মুগ্ধঃতবে কি???
রুহিঃ আমার না তোমাকে বিয়ে করে হ্যাট্টিক করার ইচ্ছা আছে!
মুগ্ধঃ চিন্তা করিস না! বিয়ে করেই আমরা হ্যাট্টিক করবো কারন এবার আমাদের বড়রা মিলে আমাদের বিয়ে দিবে।
রুহিঃওহহ তাই তো!ইসসস সেই খুশি লাগছে(মুগ্ধকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে)
মুগ্ধঃআর ওই মহিলাটি তোকে কি বলছিরো রে??
রুহিঃবলছে ওরা আমাদের তো বিয়ে দিয়েছে! বাট আমরা যেন এখন নিজ দায়িত্বে বাসর টা করে নেই।(দুষ্টু হেসে)
মুগ্ধঃ……..
(মহিলাটার কাজ নাই দুষ্টুকে আরো দুষ্ট বুদ্ধি দিয়েছে!)
রুহিঃ আচ্ছা আমরা তো একদিনে দুইবার বিয়ে করলাম তাহলে আমরা বাসর করবো কয়বার।
মুগ্ধঃ…….
রুহিঃ বলো না!আর শোনে আমি খুব তারাতারি বেবি নিবো কেমন!ওই আন্টি বলছে ছেলেদের নাকি ছুঁকছুঁকানি বলে কি একটা স্বভাব আছে!
মুগ্ধঃ এসব কেমন ভাষা রুহি!এসব কথা যেন আর না শুনি….
রুহিঃচলো আমরা বাসরটাও সেরে ফেলে!বিয়ের তো হয়েই গেছে! তাহলে আর কোন সমস্যা নাই(মুগ্ধ পিঠে কামড় বসিয়ে)
মুগ্ধঃউফফ!এসব কি করছিস তুই??জোর করে বিয়ে করছিস বাসরটাও কি….
রুহিঃহুমম তো!বর আন রোমান্টিক হলে বউকেই তো হাল ধরতে হবে।
মুগ্ধঃওকে চল তাহলে একটা আবাসিক হোস্টেলে যাই।তুই যেহেতু বলছিস তাহলে তোর শখটাই পূরণ করি। আজকে তাহলে বাসায় আর যাবো না…একেবারে বাসর টা সেরেই যায়।
রুহিঃ নাআআআআআ!আমি তো মজা করছিলাম।তুমি সত্যি সত্যি সিরিয়াস হচ্ছো কেন???
মুগ্ধঃআমি তোর হাজবেন্ড হয়ে তোর সব আবদার পূরণ করার টা এখন আমার দায়িত্ব। আর বৈধ অধিকারটা তো পেয়ে গেছি তাই না।তাহলে ওয়েট করে কি হবে??(দুষ্টু হেসে)
রুহিঃ আরে না!আ আম আমি ম ম মজা করছি।আমি কিছু খাবো! আমার খুধা লাগছে?? (কথা কাটানোর জন্য)
মুগ্ধঃহুমমম!
(রুহি ম্যম তাহলে রেডি থাকবেন।আপনি আমাকে অনেক জ্বালিয়েছেন!এবার আমার পালা….(মনে মনে)
–
রুহি মুগ্ধকে কাঁধে মাথা রেখে ভাবছে!
রুহিঃ জানু বৈধ অধিকার টা আমিও পেয়ে গেছি! এবার তোমাকে উপর এত অত্যাচার করবো! তুমি কল্পনাও করবে না।তবে কষ্টের অত্যাচার না গো জানেমান তোমাকে তো দিবো রোমান্টিক অত্যাচার!দেখি কতদিন এত সাধু সেজে থাকো।
ওইদিকে মুগ্ধ মনে ভাবছে….
মুগ্ধঃআজকে একটা শান্তি লাগছে যা বলে বোঝাতে পারবো না!অবশেষে আমি তোকে নিজের করে পেলাম!আর কোন ভয় নেই।এবার তারাতারি বাসায় বলে তোকে আমার কাছে আনবো।আজকে থেকে আর কোন ভয় হারানোর ভয় নেই! (মুচকি হেসে)
–
মুগ্ধ আর রুহি একটা রেস্টুরেন্টে খেয়ে নিলো!আর দুই বাড়ির জন্য মিষ্টি নিয়ে নিলো!মুগ্ধ আর রুহি বাসায় পৌঁছে যায়!রুহি বাইকে থেকে নেমে মুগ্ধর দিকে তাকায়। রুহির চোখের ভাষা বলে দিচ্ছে রুহি ঠিক কতটা খুশি! মুগ্ধ মুচকি হেসে রুহি কাছে গিয়ে রুহির কপালে আদর দিয়ে দেয়।রুহি অবাক হয়ে মুগ্ধর দিকে তাকিয়ে আছে!এই প্রথম মুগ্ধ রুহিকে আদর দিলো সামনাসামনি!রুহিও চট করে মুগ্ধ গালে একটা আদর দিয়ে দৌড়!মুগ্ধ মুচকি হেসে মাথা চুলকে যে যার বাসায় চলে যায়।
–
পরেরদিন সকালে…
রুহিদের বাসায় আসে! মুগ্ধর বাবা তখন ড্রয়িং রুমে বসে পেপার পড়ছিলো।রুহি মুগ্ধর বাবার পাশে গিয়ে বসলো!তারপর নখ কামড়াতে শুরু করলো।মুগ্ধর বাবা একবার রুহির দিকে তাকিয়ে বললো..
মুগ্ধর বাবাঃ কি রে মা কি হয়েছে?
রুহিঃতোমার ছেলে আমার সাথে ঝগড়া করছে!ওরে কিছু বলো না কেন?বড় বাবা তোমার ছেলের তারাতারি বিয়ে দিয়ে দাও!যাতে বউ এসে মারতে পারে…. (ফিসফিস করে)
মুগ্ধর বাবাঃ ঠিক বলছিস!ওর তারাতারি বিয়ে দিয়ে দিতে হবে ওর বেশি বাড় বেড়ে গেছে।(ফিসফিস করে)
মুগ্ধর আম্মুঃরুহি তারাতারি মুগ্ধকে এই কফিটা দিয়ে আয় তো মা!আমার তরকারি পুড়ে যাবে এখন উপরে গেলে।
রুহিঃ আমাকে দাও!
–
রুহি মুগ্ধর রুমে গিয়ে দেখলো মুগ্ধ মেরুন কালার থ্রীকোয়াটার প্যান্ট আর সাদা সেন্ডোগেঞ্জি পড়ে চোখের উপর একটা হাত রেখে জমপেশ ঘুমাচ্ছে! এবার রুহির মাথা একটা দুষ্টু বুদ্ধি আসলো!রুহি……….
To be continue….
(কেমন লাগছে গল্পটা তোমাদের??……আজকের পার্ট অনেক বড় করে দিসি।তাই তোমরাও বড় বড় কমেন্ট করবে 🙈🙈🙈)