#প্যারাময়_লাভ❤❤
#written_by_Nurzahan_akter_Allo
#part_32
তারপর রোদ,আলো,মিষ্টু, রাসেল মুগ্ধ আর রুহিকে সাথে আর কিছুক্ষন কথা কথা বলে বিদায় নিলো!
–
মুগ্ধ রোদদের এগিয়ে দিয়ে গটগট করতে করতে ওর রুমে চলে গেল!তারপর ওর ড্রেস বদলে নিলো।মুগ্ধ রাগে ফোঁস ফোঁস করছে কারন রুহির এরকম লাগাম ছাড়া মুগ্ধকে বার বার সবার সামনে লজ্জাতে ফেলে।রুহি ওখানকারই স্থানীয় মেয়ে তারপরেও রুহিকে দেখার জন্য অনেকে ভিড় করছে!এভাবে বেশ কিছুক্ষন থাকার পরে রুহি মুখ তুলে আশে পাশে মুগ্ধকে খুঁজলো! বাট রুহি মুগ্ধকে কোথাও দেখতে পেলো না।রাত ১২ঃ৩০ টার দিকে মুগ্ধ ড্রয়িং রুমে এসে সোফাতে বসলো।রুহি একবার তাকালো!মৌমি রুহিকে মুগ্ধর রুমে গিয়ে রেখে আসলো আর ফ্রেশ হয়ে নিতে বললো।তারপর মৌমি নিচে গিয়ে একটা ট্রে তে মুগ্ধ আর রুহির খাবার ধরিয়ে দিয়ে রুমে পাঠিয়ে দিলো।
–
মুগ্ধ রুমে এসে দেখে রুহি রুমে নেই!রুহি একে বারে সাওয়ার নিয়ে তারপর বের হয়!একটা লাল কালার থ্রীপিস পড়ছে!চুল বেয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে।রুহি ওয়াশরুমে দরজা খুলে রুমে আসতেই পা পিছলে ধপাস করে পড়ে গেল!মুগ্ধ তখন সোফায় বসে ফোন টিপছিলো!মুগ্ধ রুহির দিকে একবার তাকিয়ে আবার ফোনের দিকে মনোযোগী হলো।
রুহি একা একাই উঠলো।মুগ্ধ রুহিকে সোফাতে এসে বসতে বললো!মুগ্ধর কথামত রুহি সোফাতে গিয়ে বসলো!মুগ্ধ রুহিকে খাইয়ে দিচ্ছে আর নিজেও খেয়ে নিলো।খাওয়া-দাওয়া শেষ করে মুগ্ধ এটো প্লেট গুলো নিচে রাখতে গেল! আর রুহিকে বললো বেডের উপর থেকে ফুলের পাপড়ি গুলো সরাতে।
–
মুগ্ধর রুম সাজানো নেই!শুধু বেডের উপর গোলাপের ফুলের পাপড়ি পড়ে আছে!এজন্য রুহি মুগ্ধর গুষ্ঠী উদ্ধার করতে শুরু করলো!মুগ্ধ রুমে এসে দেখে রুহি খাম্বার মত এখনো দাড়িয়ে আছে!মুগ্ধ দরজা আটকে রুহির দিকে এগোতেই! রুহি যে ফুল না সরিয়ে দাড়িয়ে আছে এটা ওর হুশ হতেই রুহি মুগ্ধকে দেখে দৌড়ে বেডের উপর উঠতেই হুড়মুড় করে খাট ভেঙ্গে নিচে পড়ে গেল।মুগ্ধ আবুলের মত বোঝার চেষ্টা করছে এটা কি হলো?রুহি খাট থেকে পড়ার সাথে সাথে চিৎকুর দিয়ে উঠলো! ওর চিৎকার শুনে বাসার সবাই এসে মুগ্ধ দরজা নক নক শুরু করলো…
–
মুগ্ধ দরজা খুলে দিতেই সবাই হুড়মুড় করে রুমের মধ্যে ঢুকে পড়লো!মৌমি গিয়ে রুহিকে টেনে তুলতে পারছে না!তাই মুগ্ধ গিয়ে রুহিকে টেনে তুললো।মুগ্ধ লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে! কারন ওর বাবা মায়ের সামনে এভাবে লজ্জায় পড়তে হবে! এটা ওরা ভাবে নি।মুগ্ধর বাবা মুগ্ধর দিকে তাকিয়ে…
মুগ্ধর বাবাঃ আহাম্মক একটা!…(বলে চলে গেল)
মুগ্ধর আম্মুঃকি রে খাট ভাংলো কি করে??
মুগ্ধর বাবাঃ মুগ্ধর আম্মু রুমে এসো!!!(বাইরে থেকেই)
মৌমির হাজবেন্ড(সবুজ)ঃবাহ্ আমার শালা বাবু এত তাড়া।যে সত্যি সত্যি খাটই ভেঙ্গে ফেলছে।শালাবাবু ছোট একটা মেয়ের উপর একদিনেই এত অত্যারচার করাটাই কিন্তু মোটেও ঠিক না! হা হা
মৌমিঃ আমার ঘুম পাচ্ছে আমি গেলাম।(কথাটা বলে চলে গেল)
সবুজঃ হা হা হা! শালাবাবু তুমি সত্যি রেকর্ড করে দিলো!তোমার মত হাজবেন্ড ঘরে ঘরে হোক
মুগ্ধঃ ভাইয়া প্লিজ! ফাজলামি বাদ দেন।আর এসব কে করলো তাই বলেন।(বিরক্তের সুরে)
সবুজঃ আমি তো জানিনা…
রাহাতঃ এসব আবির করছে (দরজার কাছে দাড়িয়ে)
মুগ্ধঃ ওই হারামিটা কই আগে তাই বল!আজকে ওকে মেরে! আমি উল্টো করে ঝুলাবো।(দাঁতে দাঁত চেপে)
আরিয়ানঃ আমাদের রেখে আবির পালিয়েছে।
সবুজঃ আচ্ছা এসব এখন বাদ দাও!আপাতত পাশের রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো কেমন।এখন অনেক রাত হয়ে গেছে।
–
সবুজ রা সবাই চলে গেল!মুগ্ধ রুহির কাছে যেতেই দেখলো রুহি মাথা নিচু করে বসে আছে।মুগ্ধ রুহিকে কোলে তুলে নিয়ে তারপর পাশের রুমের দিকে হাটা ধরলো।রুহি মুগ্ধর বুকে মাথা রেখে ফুঁপিয়ে কেঁদে দিলো!কারণ রুহি সত্যি খুব ভয় পেয়েছে।মুগ্ধ আর কিছু বললো না!ওরা পাশের রুমে ঢুকতেই দেখে রুমটা অনেক সুন্দর করে লাল গোলাপ,রজনীগন্ধা আর লাল অর্কিড ফুল দিয়ে সাজানো!বেডের উপর মুগ্ধ আর রুহির নাম লিখা!পুরো রুমে ক্যান্ডেল আর বেলুন দিয়ে সাজানো।মুগ্ধ আবিরকে এই এভাবেই রুম সাজাতে বলেছিলো বাট মুগ্ধ যখন এসে দেখলো রুম সাজানো নেই তখন ওর রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছিলো! বাট এমন সারপ্রাইজ পাবে মুগ্ধও আশা করে নি।মুগ্ধ আর বুঝতে বাকি নেই আবির ইচ্ছে করছে যাতে রুহি ইচ্ছেও পূরণ হয় আর ওদের আজকের মত পবিএ রাতটাও নিয়ে যাতে কারো মনে আফসোস না থাকে।আর এজন্য প্রতিটা মানুষের জীবনে এইরকম হারামি বন্ধু থাকা দরকার!
–
রুহি খাট ভেঙে পড়ে গিয়েও ব্যাথা পাইনি কারন মেঝেতে তোষক বিছানো ছিলো।রুম টা এত সুন্দর করে সাজানো দেখে রুহি মুগ্ধর কোল থেকে নেমে রুম টা ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকে!রুহির ছলছল চোখের বদলে এখন রুহির মুখে হাসির ঝলক ফুটে উঠেছে।মুগ্ধও মুচকি হেসে রুহিকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে।রুহি কাঁপাকাপি শুরু করে দেয়!রুহি যে কাঁপতে শুরু করছে সেটা মুগ্ধও বুঝতে পারছে।মুগ্ধ রুহিকে ওর দিকে ঘুরালো তারপর দুই হাত রুহির গালে রাখলো!
–
মুগ্ধ রুহির চোখে চোখ রাখে!রুহি মুগ্ধর চোখের দিকে একবার তাকিয়ে সাথে সাথে চোখ নামিয়ে নেয়!কারন আজকে মুগ্ধ চোখে এক ধরনের নেশা কাজ করছে।রুহি পেছাতে থাকে আর মুগ্ধ এক পা একপা করে রুহির দিকে এগোতে আছে।রুহি একটা সময় ঠাস করে বেডে পড়ে যায়।মুগ্ধও মুচকি হেসে রুহির দুই হাত বেডের সাথে চেপে ধরে। মুগ্ধ ঠোঁটের কোণে দুষ্টু হাসি!রুহির আজকে কেন জানি মুগ্ধকে
খুব ভয় লাগছে!রুহির গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। মুগ্ধ রুহির ঠোঁটে ঠোঁট রাখতে যাবে ঠিক তখনই রুহি ভ্য ভ্য করে কেঁদে দিলো।
মুগ্ধঃ কি হলো কাদছিস কেন??আমি কি তোকে মেরেছি??(আদুরে কন্ঠে)
রুহিঃ প্লিজ সরো! আমার কেমন জানি লাগছে।
মুগ্ধঃ কেমন লাগছে?(দুষ্টু হেসে)
রুহিঃ তোমাকে এখন আমার কেন জানি খুব ভয় লাগছে!!!!সরো প্লিজ
মুগ্ধঃ কেন আমি কি বাঘ নাকি ভাল্লুক যে আমাকে
তোর ভয় লাগছে।আর এতদিন তো খুব বলতি আদর লাগবে তাহলে আজকে কেন ভয় লাগছে??
রুহিঃ প্লিজ সরো!আমার হাঁটু কাঁপছে আর কান গরম হয়ে যাচ্ছে। বুকের মধ্যে ঢড়াস ঢড়াস করছে।
মুগ্ধঃআমি আছি তো কাঁপাকাপি বন্ধ করে দিবো।
রুহিঃ পি….
–
মুগ্ধ মুচকি হেসে রুহির ঠোঁটে ঠোঁট রেখে কান্না বন্ধ করে দিল…..
তারপর…… তারপর……..(বাকিটা ইতিহাস!আর ইতিহাস জানতে চেয়ে লজ্জা দিবেন না)
–
সকালে ৬ঃ৩০ টা..
রুহি মুগ্ধর বুকে মুখ গুজে শুয়ে আছে!আর মুগ্ধ পরম যত্নে রুহিকে জড়িয়ে ধরে আছে।মুগ্ধ রুহির দিকে তাকিয়ে আছে! সকালে সোনালী রোদ এসে রুহির মুখে পড়ছে! আর নাকে নোজপিন টা চিকচিক করছে।মুগ্ধ মুচকি হেসে রুহির কপালে আদর দিয়ে দেয়।রুহিকে নড়তে দেখে মুগ্ধ সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ঘুমের ভান করতে থাকে…
–
রুহি পিটপিট করে চোখ খুলে আর দেখে রুহি মুগ্ধর বাহুডোরে বন্দী!রাতের কথা মনে হতে রুহি লজ্জা লাল,নীল, বেগুনী হতে শুরু করে! রুহি মুচকি হেসে মুগ্ধর চুলে হাত বুলিয়ে দিলো,দাড়িতে আঁকিবুঁকি করলো,মুগ্ধর কপালে,গালে,রুহি ঠোঁট ছোয়ালো।তারপর হালকা করে রুহি মুগ্ধর থুতনীতে কামড় দিলো।যদিও কামড় আস্তে দিতে গিয়ে একটু জোরেই দিয়ে ফেলছে!মুগ্ধ সাথে সাথে চোখ খুলে..
–
মুগ্ধঃ আদর লাগবে এটা মুখে বললেই হয়!সকাল বেলা এমন ভাবে কামড়াকামড়ি করছিস কেন??(দুষ্টু হেসে)
রুহিঃ না মানে..ইয়ে আসলে
মুগ্ধঃতুই আসলেই একটা লুচু মেয়ে!যখনই দেখলি নিষ্পাপ একটা ছেলে ঘুমাচ্ছে তখনই…
রুহিঃ কে নিষ্পাপ??? (চোখ বড় বড় করে)
মুগ্ধঃ কে আবার আমি??(ভাব নিয়ে)
রুহিঃ ওহহ!মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
মুগ্ধঃনে শুরু কর..
রুহিঃ কি শুরু করবো?(ভ্রু কুচকে)
মুগ্ধঃ যখন ঘুমিয়ে ছিলাম তখন তো কামড়াকামড়ি করছিলি!এখন জেগে আছি নে আবার সেই কাজ শুরু কর।দেখি তুই কত কামড়াতে পারিস…
রুহিঃ তুমি কি জানো!বিয়ের আগের তুমি কতটা ভদ্র ছিলে! বাট বিয়ের পর কতটা খাটাশ হয়ে গেছো।
মুগ্ধঃ শোন বিয়ের পর কোন ছেলেই ভদ্র থাকে না বুঝলি!আর যে ছেলে বিয়ের পরও ভদ্র থাকবে! তাকে আর বাবা ডাক আর শুনতে হবে না।আর বেশি ভদ্র হলে আরেকটা সমস্যা আছে??
রুহিঃকি সমস্যা শুনি??
মুগ্ধঃ বেশি ভদ্র হলে বউ থাকবেনা।পাখি অন্য ডালে গিয়ে বাসা বাঁধবে ..(দুষ্টু হেসে)
রুহিঃকেন বউ থাকবে না কেন??(ভ্রু কুচতে)
মুগ্ধঃসময় হোক সব বুঝে যাবি..
–
তারপর মুগ্ধ রুহিকে ওর ঠোঁটেদ দেখিয়ে ইশারা করে আদর দেওয়ার জন্য! রুহি মুগ্ধর বুকের উপর উঠে আর মুচকি হেসে মুগ্ধকে চোখ বন্ধ করতে বলে।মুগ্ধ রুহির কথামত চোখ বন্ধ করে।আর রুহি সুযোগ বুঝে দৌড় দেয় মুগ্ধ চোখ খুলে দেখে রুহি নেই!তারপর আর কি আপসোস করতে করতে মুগ্ধ আবার ঘুমিয়ে পড়ে…
–
রুহি দৌড় যাওয়ার সময় ইভার সাথে ধাক্কা লাগে আর দুজনেই পড়ে যায়!ইভার আম্মু এসে ইভাকে টেনে তোলে আর রুহির একা একা উঠে।ইভার আম্মু রুহিকে বলে…
ইভার আম্মুঃ চোখের মাথা খেয়েছো নাকি??এভাবে দৌড়ে আসছো কেন?
রুহিঃচোখের মাথা খেতে কেমন টেস্ট! আপনি যদি টেস্ট টা বলতেন,তাহলে আমিও খেয়ে দেখতাম।
ইভার আম্মুঃআমি জানবো কি করে??
রুহিঃ জানেন না তো খাওয়ার কথা বললেন কেন??
ইভার আম্মুঃ এই মেয়ে তোমার লজ্জা শরম বলতে কিছু নেই নাকি!মুখে মুখে তর্ক করছো কেন??আর বড় কথা বিয়ের পরেরদিন নতুন বউ হয়ে এভাবে দৌড়ে বেড়াচ্ছো..
ইভাঃ ওর আবার লজ্জা! আম্মু তুমি এত ফানি কথা বলো না।(তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে)
ইভার আম্মুঃ ছিঃ!ছিঃ! কেমন বেহায়া মেয়ে।ফরজ গোসলও তো দাও নি দেখছি!আর এই ভাবেই রুম থেকে ড্যাং ড্যাং করতে বাইরে যাচ্ছো…
রুহিঃ ফরজ গোসল দিয়েছি কি না সেটা কি আপনাকে বলে দিতে হবে নাকি?আর আগে যদি জানতাম যে আমার ফরজ গোসল দেওয়া নিয়ে আপনার এত আগ্রহ তাহলে আপনাকে আমার ওয়াশরুমে নিয়ে যেতাম।তাহলে সরাসরি দেখে নিতেন!আফটার অল খালা শাশুড়ি আপনি আমার!আপনার ইচ্ছে কি আমি অপূর্ণ রাখতে পারি…
ইভার আম্মুঃ তুমি আসলেই বেহায়া,বেশরম একটা মেয়ে! (কথাটা বলে চলে গেল)
রুহিঃ ধন্যবাদ..
ইভাঃ সে আর বলতে!জানো তো রুহি আমার মনে হয় তুমি মুগ্ধকে শরীর দেখিয়ে পাগল করছে!আর তা না হলে মুগ্ধ মত ছেলে তোমাকে বিয়ে করবে কেন বলো??
রুহিঃ তুমিও বুঝি ছেলেদের শরীর দেখিয়ে বেড়াও।আর আমার মত এভাবেই বুঝি ছেলেদের পাগল করো তাই না।
ইভাঃ মাইন্ড ইউর ল্যাংগুয়েজ…
রুহিঃ তুমি বললে দোষ নাই!আমি বললে ইংরেজি ঝাড়ছো।তোমার আর দোষ কিসের বলো! যে যেমন মন-মানসিকতা নিয়ে চলে! তার চিন্তা ধারা তো তেমনই হবে।
ইভাঃ মুগ্ধকে আমি ভালবাসি!আমি দেখবো কতদিন মুগ্ধকে আটকে রাখতে পারো।
রুহিঃহুমম অবশ্যই ট্রাই করে দেখো! এই ইভা জানো তো কালকে রাতে না মুগ্ধ আমাকে অনেক আদর করছে।(ইভাকে রাগানোর জন্য)
ইভাঃআমি মুগ্ধকে ছিনিয়ে নিবোই…
রুহিঃ ওকে!আপাতত তুমি যেহেতু এখন ওকে পাও নি! তাই তোমার জন্য দশ ড্রাম সমবেদনা। আর হ্যা কালকে রাতেই ফরজ গোসলটা দিয়েছিলাম এজন্য সকালে দেয় নি।কারন এসব লোক দেখানো কাজ আমার মোটেও পছন্দ না।রুমের ভেতরে কি করবো সেটা বাইরের লোকদের জানানো শোভনীয় না! তাই না…
(ফিসফিস করে)
–
তারপর রুহি দুষ্টু হাসি নিয়ে নিচে গেল!আর ইভা রাগে গজগজ করতে করতে রুমে চলে গেল।রুহি নিচে মুগ্ধর আম্মুর সাথে দেখা করলো!তারপর রান্নাঘরে গিয়ে মুগ্ধর আম্মু সাথে গল্প জুড়ে দিলো!মুগ্ধর আম্মু রুহিকে খুব ভালোবাসে!মুগ্ধর আম্মু বললো…
মুগ্ধর আম্মুঃ এই রুহি মা যা তোর বাপি আর আম্মুর সাথে দেখা করে আয়..
ইভার আম্মুঃ কেন বড় আপা?রুহি এখন ওই বাড়িতে যাবে কেন??
মুগ্ধর আম্মুঃরুহির বাবার কলিজা রুহি!ওদের বাসাটা ফাঁকা হয়ে গেছে!আর আমার বাসায় রুহিকে এত নিয়ম কানুন মানতে হবে না! কারন আমি ছেলের বউ হিসেবে ওকে নিয়ে আসিনি।রুহিকে আমি বাসায় এনেছি আমার মেয়ে হিসেবে রাখবো তাই! আর আমার ছেলের প্রাণ ভোমরা রুহি!আমার ছেলে যেটাতে ভাল থাকবে আমি মা হয়ে আমার ছেলের ভালোটাই আমি আগে দেখবো।আর ওরা ভাল থাকলে আমরাও ভালো থাকবো…
ইভার আম্মুঃ আপা এত বার বাড়তে দিও না পরে দেখবে এর জন্য আপসোস না করতে হবে।
মুগ্ধর আম্মুঃএই রুহি এই খাবার গুলো তোর আম্মুকে দিবি !আর ওদের সাথে দেখা করেই চলে আসবি কেমন।(রুহি হাতে খাবারের বক্স ধরিয়ে দিয়ে)
রুহিঃ হুমমম
–
ইভার আম্মু মুগ্ধর আম্মুকে রুহির নামে হাজিবাজি বলছে!বাট মুগ্ধর আম্মু সেগুলো শুনেও না শোনার ভান করছে!আর এটা সেটা বলে কথা কাটিয়ে অন্য কথা বলতে শুরু করছে!রুহি ওদের বাসায় গিয়ে ওর বাপি আর আম্মুকে জড়িয়ে ধরলো।রুহি ওর বাপি আর আম্মু সাথে কথা বলে নিজের রুমে গেল।রুহি আম্মু হুট করে এসে একটা নীল শাড়ি ধরিয়ে দিলো কারন বিয়ের পরের দিন থ্রীপিস পড়ে থাকাটা বেমানান লাগছে!রুহি প্রথমে রাজি হচ্ছিল না পরে ওর আম্মু ওকে বোঝানোর পর রুহি শাড়ি পড়তে রাজি হলো।রুহি তো শাড়ি পড়তে পারে না তাই রুহির আম্মু রুহিকে শাড়ি পড়িয়ে দিলো….
To be continue…