রোদেলা লেখা : মাহাবুবা মিতু পর্ব: ২৩

0
843

রোদেলা
লেখা : মাহাবুবা মিতু
পর্ব: ২৩

সেদিন অনেক রাতে নোভেল এসেছে। মা ওকে দেখে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করলো। যেন তার নিজের শরীরের একটা অংশ রেখে এসেছে “কৃষ্ণচূড়া” তে…। সেটাকে ফিরে পেয়ে তার এই ক্রন্দন।

কৃষ্ণচূড়া হচ্ছে রোদেলার নানু বাড়ির নাম। নানার বাবা ছিলেন বিরাট ধনী ব্যাবসায়ী, তিনি সাহিত্য প্রেমীও ছিলেন। অনেক ভালোবাসায় তৈরী এই বাড়িটার নাম নিয়ে খুবই উত্তেজিত ছিলেন নাকি সেসময়। বন্ধুমহলে সুন্দর একটা নাম খুঁজে দিতে পুরষ্কারও ঘোষণা করেছিলেন । দেশ বিভাগের আগের কথা এটা। তখনকার সময়ের এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কোন এক কাজে আসেন তাদের এলাকায়। তিনি তখন ছিলেন ঐ এলাকার স্বনামধন্য ব্যাবসায়ী। এত বড় লোক এসেছেন, তাই তিনি ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবকে তার বাড়িতে দাওয়াত করেন।
বাড়িতে ঢুকে তিনি বাড়ির সৌন্দর্য দেখে নাকি মোহিত হয়েছিলেন। পরে তিনিই এ বাড়ির নাম দিয়েছিলেন কৃষ্ণচূড়া। এসব গল্প নানুর কাছে শুনেছে রোদেলা।

বাড়ির বয়স একশো হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। কৃষ্ণচূড়া নাম ফলকের ‘ড়’ এর ফোটা মুছে গিয়েছে কালের স্রোতে। তাই এটাকে এখন দেখায়- কৃষ্ণচূডা….

কোথায় যেন ছিলাম…
ওহ্ মনে পরেছে- নোভেল এসেছে, মা হাউমাউ করে কাঁদছে। নোভেলকেও দেখা যাচ্ছে কাঁদতে।
বাইরের যে কেও বলবে খুবই আবেগি একটা দৃশ্য।
নাসিমার নোভেলকে এমন অকৃত্রিম ভালোবাসা বৃথা যায় নি।

কিন্তু রোদেলার পিত্তি জ্বলে যায় এসব দেখে। এই ছেলে এক নম্বরের স্বার্থপর, চালবাজ। ছোটবেলা থেকেই কোথায় কোন কথা বললে কোন কাজ করলে ঝামেলা বাড়বে তাই করতো।

যতই ওরা আসতে চাক এটা যে আরেকটা সারভাইভাল মোমেন্ট হবে ওদের জীবনে এটা বোঝা পানির মতো সোজা। মা তার বাবার বাড়িতে আশ্রীত হয়েই থাকুক না কেন, থাকতে পারতেনই। অন্ততঃ ওদের দুই-বোনের একটা গতি করা পর্যন্ত।

এই নোভেল ওদের চলে আসর সময় একটা বারও বলে নি তোমরা যেও না, কিংবা কোথায় যাও তোমারা…?

একটা শব্দ পর্যন্ত করে নি এ বিষয়ে, ও পারতো ওদের আটকে রাখতে, এত কিছু নিয়ে বাড়ি গরম করো, আর আটকে রাখতে পারলে না ফুফুকে যে কিনা তোমারি জন্য বাড়ি ছাড়ছে….
আজ আসছে দরদ দেখাতে, ভবিষ্যতে যদি দরকার পরে তাই…

এখন কিছু লোক এসে বলবে – ভাব নিও না রোদেল, এতদিন ঐ বাড়ি ছেড়ে আসার জন্য কামড়াকামড়ি করে এখন এসব বালছো…!?

হ্যা, ওরাও জানে এটা খুবই কঠিন সিদ্ধান্ত ওদের জন্য। ওরা নিজেও জানে না একা চলতে পারবে কি না এই দূর্মূল্যের বাজারে। তবুও ওরা দুই-বোন যাই করেছে তা এই নোভেল নামক এই রাহুর বলয় থেকে বাঁচতে, আর ঐ বাড়ির মানুষগুলোকে শান্তি মতো বাঁচতে দিতে। তারা একমাত্র নাসিমা বেগমের জন্য নিজ গৃহে পরবাসীর মতো থাকতো। আর নাসিমা বেগমের সাথে ঝগড়া লাগতো – খাওয়া, পরা, থাকা কিংবা কাজ, নিয়ে না। সব সময়ই ঝগড়া লাগতো এই নোভেলকে শেল্টার দিতে গিয়ে। তিনি নিজেও বুঝতেন যে তিনি অন্যয় ভাবে তাদের সাথে ঝগড়া করছেন। ভুল নোভেলরই, ওকে কিছু বলতেন তো নাই উল্টো তাদের সন্তানদের কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরতেন। পাহাড় ঠেলতেন কথা দিয়ে।

একদিন হলো কি নোভেল খুব বাজে একটা কথা বললো বড় মামীর সাথে….

তিনি বললেন-
দাঁড়া…! তোর বাবা আজকে আসুক… খুব স্বাভাবিক ভাবে ব্যাপারটা নোভেলের বাবাকে বললেন, দেখ তোর ছেলে আমাকে আজ এই কথা বলেছে….

তখনই নাসিমা কোত্থেকে বললেন-
” হুম…
এটুকু কথাও ওর বাবার কাছে লাগানো লাগে, ওর মা নাই তো তাই সবাই খুব মজা করে ওর কীর্তন গাইতে পারে, নিজেদের ছেলেমেয়েরা যেন ধোঁয়া তুলসি পাতা। ”
বড় মামী নাসিমা বেগমের কথা শুনে অবাক। তিনি বড় হিসেবেও তো ওকে পারতেন শাসন করতে, তিনি তা করেন নি, না হয় ওর বাবাকেই বলেছেন, খুব অন্যায় কিছু কি করে ফেলেছেন…

এরপর নাসিমা নোভেলকে সবার সামনে মারা শুরু করে, আর বলতে থাকে- আর করবি এমন…? হ্যা কে আছে তোর এখানে… যে তোর দোষ ঢেকে রাখবে…

নিজেদের ছেলেমেয়ে এরচেয়ে বেশী করলেও কেও কিছু বলবে না, কারন ওদের মা আছে, তোর কে আছে… বেদম পিটুনি দিয়ে ওকে নাসিমা বেগম তার ঘরে নিয়ে যায়। ওকে শাসন না নিজে করলো, না দিলো ওর বাবাকে করতে, উল্টো বড় মামীর ছেলেমেয়েদের খবরদারি করে গেলো।

এটা একদিনের না, প্রতিদিনের গল্প, যে কেও কোন কথা বললেই তিনি ব্যাক্তিগত আক্রমণ করতেন। একটা সময় সবাই কথা বলাই বন্ধ করে দিয়েছে। ফলাফল আজকের নোভেল।

একটু কৌশলী হলেই ওর মা অনায়াসেই সবার মধ্যমনি হয়ে থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি আশ্রিত হয়ে সবাইকে মানসিক যন্ত্রণা দিতেন কথা দিয়ে। তার কথায় এত বিষ যে নোভেলের ছোট মা, মানে ছোট মামী আত্ন*হত্যা পর্যন্ত করতে গিয়েছিলেন। রোদেলাও ওর খুব কাছের এক বন্ধুকে একদিন বলেছিল – আমি যদি কোনদিন আত্ন*হত্যা করি, তবে জেনে রাখবি তার জন্য আমার মা দায়ী থাকবে।

এসব ভেবে ঘুমিয়ে পরলো ও। কারন পরদিন ওর অনেক কাজ।
পরদিন রোদেলা সবার আগে ব্যাংকে যায়, একটা একাউন্ট নম্বর সাবমিট করতে হবে। ওর আগের একাউন্ট যেটা ওর মায়ের নামে খোলা সেটা ব্লক হয়ে গেছে। কিছু পেমেন্ট আটকে আছে সেগুলো তুলতে নতুন একাউন্ট নম্বর দিতে হবে।
এই এক কাজের যোগ্যতায় ও ওর মাকে নিয়ে বেড়িয়ে গেছে “কৃষ্ণচূড়” থেকে। টিউশনি করিয়ে সংসার, দুইবোনের পড়ার খরচ চালানো মুশকিল, আর চাকরী…! সবেমাত্র পড়ছে থার্ড ইয়ারে। কে দেবে চাকরী ওকে…?

ইদানীং ওর মা কেমন যেন চুপসে গেছেন। তিনি মনে মনে আহত, সংসার কিভাবে চলবে সেই চিন্তায় না, অন্য এক চিন্তা তার মনে। কি সেটা কেও জানে না। তবে খেতে বসে, বিকালের অবসরে তিনি নাকি আফসোস করেন নোভেলের জন্য, কি করছে বেচারা, খেয়েছে কি না, রাতে ফিরলো কিনা বাড়িতে সময় মতো। এসব শুনেছে রোদেলা প্রিসিলার থেকে।

তাছাড়া রাত হলে দেখা যায় বারান্দায় টুলের উপর বসে রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকতে। যদিও জঙ্গল ছাড়া কিছুই চোখে পরে না এখান থেকে। তবুও তিনি তাকিয়ে থাকেন আনমনে। কি ভাবেন তিনিই জানেন…

গতকাল বিকেলে নাসিমা বেগমের তিন বোন এসেছিলেন ওদের নতুন বাসা দেখতে। তারা খুব করে বকলেন নাসিমাকে কেন তিনি ঝুঁকের বসে এসে পরলেন সে বাড়ি ছেড়ে। তিনি যে বাড়ি ছাড়ছেন এ কথাটা পর্যন্ত জানান নি তাদেরকে।

আজ একটা কাজ সাবমিট করার কথা ছিলো রোদেলার। বাড়িতে এখন মেহমান। একটাই ঘর ওদের, সেখানে কথা বলছে সবাই, এরকম পরিস্থিতিতে কাজ করা মুশকিল। আজ অনেক রাত আব্দি কাজ করতে হবে ওকে।

রাতে তারা খেয়ে গেলেন। রোদেলা খেয়ে দ্রুত কাজে বসলো।
সেদিন কাজ শেষ হতে ভোর হয়ে গেলো। ঘুমে চোখ ডুবে যাচ্ছে। কলমের কালি শেষ হওয়ায় লাইট অন করে কলম খুঁজলো ও, আনমনে চোখ গেলো বিছানায়। ওর মা ঘুমিয়ে আছে। চেয়ারটাতে বসে ওর মাকে দেখতে লাগলো ও।

সোজা সিঁথিতে খোলা চুল, চোখে চেহারায় রাজ্যের ক্লান্তি,
হালকা রঙের মলিন একটা শাড়ি গায়ে, শেষ বার বাবা যখন চলে গেলেন, এরপর থেকে মা হালকা রঙের শাড়ি পরা শুরু করেছেন। ব্যাপারটা ঘটেছে খুব ধীরে। তার যত শাড়ি ছিলো রঙিন সব তিনি পরিচিতদের মধ্যে বিলি করেছেন। আর এখন শাড়ি কিনবার সময় সাদা, হালকা আকাশী, গোলাপি এই রঙের শাড়ি কিনেন। যেন স্বেচ্ছায় বিধবা বসন গ্রহণ করেছেন তিনি। আচ্ছা বাবাকে কি তিনি মৃত ধরে নিয়েছেন….

ওর মায়ের তরুণী বয়সের ছবি দেখে মাঝে মাঝে অবাক হয় রোদেলা। এমন শিক্ষিত, সুন্দরী, স্মার্ট, উচ্ছ্বাসিত তরুণীর
জীবণ যেন একটা ভুল সিদ্ধান্তে শেষ হয়ে গেলো।

নাসিমা বেগমের বিয়ে ঠিক হয়েছিলো এক বিলেত ফেরত
ব্যারিস্ট্যারের সাথে। যেমন সুন্দর বর তেমনি ঘর। সবাই ওর নানুকে বলেছিলো অনেক ভালো কপাল আপনার মেয়ের এত বড় বাড়িতে বিয়ে হচ্ছে। বাড়ির সবাই উচ্ছ্বাসিত বিয়ের আমেজে। সত্যি বলতে রূপের জোড়েই বিয়েটা ঠিক হয়েছিলো। ছেলেরা নানুদের তুলনায় অনেক বড়লোক। ঐ এলাকার জমিদার ছিলেন তার পূর্বপুরুষেরা । জমিদারি উঠে গেলেও তাদের প্রতিপত্তি তখনও ছিলো।

এক বিয়ের দাওয়াতে নাসিমাকে দেখেন বিলেতফেরত ব্যারিস্ট্যার আসাদুজ্জামান রুবিন। প্রথম দেখাতেই নাসিমাকে পছন্দ হয়ে যায় তার। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন পঞ্চায়েতের সভাপতি মোরশেদের মেয়ে নাসিমা। বেশ কিছুদিন অনুসরণ করেন নাসিমার গতিবিধি। দিনে দিনে পছন্দ পরিণত হয় ভালোবাসায়। উদ্দাম ভালোবাসা অনুভব করেন তিনি নাসিমার প্রতি। বাড়িতে ব্যাপারটা জানান রুবিন। বাড়ির কেও রাজি না। অনেক যুদ্ধ করে বাবা-মাকে রাজি করান রুবিন। এত সব আয়েজন নাসিমাকে নিজের করে পেতে। তার আত্নবিশ্বাস ছিলো তিনি বিয়ের প্রস্তাব পাঠালে মোরশেদ সাহেব না করবেন না। এমন জামাতা সকল মেয়ের বাবাই মনে মনে খুঁজেন। কজন পান এমন মেয়ে জামাই….?

অথচ নাসিমা ততদিনে মন দিয়ে রেখেছেন বাড়ির ভাড়াটিয়ার ছেলেকে। মেয়েদের মন পাওয়ার যে একটা ব্যাপার আছে তখন হয়তো এর চল ছিলো না, বিয়ে করতে চাইলেই হলো, মেয়ে রাজি কি-না তা জানার কোন দরকার নেই।
মেয়ে যেন কাগজের নোট – “চাহিবা মাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে”
মেয়ে রাজি নাই তো কোন সমস্যা নাই, বিয়েটা আগে হোক সব ঠিক হয়ে যাবে।

বর্তমানে এসেও অনেকে এমন ধারনা পোষণ করে, অথচ মেয়েদেরও মন আছে, তাদেরও পছন্দ অপছন্দ রয়েছে তার খেয়াল ক’জন বাবা-মা রাখেন…? আর নাসিমার গল্প তো প্রায় ত্রিশ বছর আগের।

একমাস পরে বিয়ে। অথচ রুবিন প্রায়ই এই-ওই বাহানায় নাসিমাদের বাড়িতে আসে। উদ্দেশ্য যদি নাসিমাকে দেখতে পায় একবার। নাসিমা রুবিনকে দুচোক্ষে দেখতে পারতো না। দেখতে না পারারই কথা। অন্যের প্রেমে যে বুদ তার চোখ থেকেও অন্ধ। নাসিমার ছোট ছোট ভাইবোনের জন্য এটা ওটা কিনে আনতেন। ওদের অনেক ভালোবাসতেন তিনি । যেই উদ্দেশ্যে এ বাড়ি বয়ে আসা তা পূরণ হতো না তার। নাসিমার মা এটা ওটা নাশতা দিয়ে পাঠাতেন ওকে, ও যেতে রাজিই হতে না। তখন নাসিমার মায়ের একটু খটকা লাগে। একদিন তিনি মেয়েকে জিজ্ঞেস করেন বিয়েতে মত আছে কিনা, নাসিমা কিছু না বলেই রাগ দেখিয়ে চলে যায়। ওর মা ভাবে মেয়ে লজ্জায় হয়তো কপট রাগ দেখিয়ে চলে গেলো। তাই এসব বিষয়ে আর ভাবেন নি তিনি। দেখতে দেখতে নাসিমা আর রুমিনের বিয়ের দিন ঘনিয়ে এলো।

পুরো এলাকা ভরে গেলো বাতিতে। এলাকার সবাই খুশি এই বিয়েতে। নিজের মেয়ের বিয়ে হলে যেমন খুশি লাগে, তেমনি খুশি সবাই। নাসিমাকে এলাকার সবাই খুব ভালোবাসে। ভালো ছাত্রী হিসেবেও তার খুব নাম। রুবিন বলেছে বিয়ের পর ওকে বিলেত নিয়ে যাবে পড়াতে। কত স্বপ্ন তার নাসিমাকে নিয়ে…

অথচ বিয়ের আগের দিন পর্যন্ত কেও জানতো না নাসিমার প্রেমের কথা। ওদের বাড়িতে থাকার কারনে কেও টের পায়নি ব্যাপারটা। হলুদের অনুষ্ঠান ও হয় ধুমধাম করে। রাতে নাসিমার সব মামাতো, চাচাতো, বোনেরা একসাথে ঘুৃমায়৷ পরদিন বিয়ে। সকালে উঠে দেখে নাসিমা ঘরে নেই। কোথাও একটা আছে ভাবে সবাই। সকাল সাড়ে নয়টায় ওর মা একটা কাগজের পায় বিছানা গুছাতে গিয়ে। সেখানে তিনি অজ্ঞান হয়ে পরে যান। সবাই বলছিলো এদিকে ওদিকে আছে কোথাও, অথচ তিনিই প্রথম জেনেছেন কোথাও নেই নাসিমা। চলে গেছে অনেক দূরে……

রোদেলা মনে করে এটা ওর মায়ের জীবণের প্রথম ভুল। তিনি বিয়ে করতে চান না এটা আগে জানাতে পারতেন। তার এমন পালিয়ে যাওয়া কেও এখনো ভুলতে পারেন নি। তাকে দেখে মানুষ এখনো আফসোস করেন – কি করলি নাসিমা, জুয়া খেললি নিজের জীবণ নিয়ে।

এই পুরাতন বাড়ির এক চিলতে ঘরে বসে ভাবে রোদেলা মা যদি রুবিন আঙ্কেলকে বিয়ে করতো তাহলে ওদের জীবণটা অন্য রকম হতো….

ওদের হয়তো জন্মই হতো না, তবুও মা তো ভালো ঘর, ভালো বর, সম্মানের সঙ্গে বাঁচা সব পেতেন। মার নিজেও হয়তো আফসোস হয় তার এই ভুলের জন্য। কিন্তু ওরা কখনো এসব ব্যাপারে বলতে শুনে নি। এসব কথা নানু বলেছিলো রোদোলাকে। আর কিছুটা মেঝ খালামনি।

রোদেলা ভাবে মানুষ বড্ড আবেগী প্রাণী। এই আবেগের নিয়ন্ত্রণহীণতা ওর মাকে জীবনের দৌড়ে কোথায় ছিটকে ফেলেছে। এ ঘটনা থেকে রোদেলা জেনেছে আবেগের নিয়ন্ত্রণ কতটা জরুরি একটা মানুষের জীবনে। একটা ভুল সিদ্ধান্ত কিভাবে অনেকগুলো মানুষকে ধ্বংস করে দেয় তা দেখেছে একেবারে কাছ থেকে….

চলবে….

(খুবই দুঃখিত দেরি হওয়ায়। মেয়েটাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম, আগে সিরিয়াল না দেওয়ায় দেরি হয়ে গেছে দেখাতে দেখাতে। তোমরা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখো। আর মেয়েটার জন্য দোয়া করিও)

previous :
https://www.facebook.com/659404701187391/posts/1506747323119787/
next :
https://www.facebook.com/659404701187391/posts/1510243232770196/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here