অতিথি পর্ব:১১ লেখা: মিশু মনি

0
468

অতিথি
পর্ব:১১
লেখা: মিশু মনি
.
কেউই আর খাবার খেতে পারল না।সবাই উঠে যে যার মত চলে গেল।
মৈত্রীর মনের অবস্থা অনেক খারাপ। মিশুকে সে ছোটবোনের মত দেখে।তাছাড়া এত দীর্ঘ জীবন পেরিয়ে এসে এই বাচ্চা মেয়েটাকে নিজের স্ত্রী হিসেবে মেনে নেয়া অসম্ভব।
মৈত্রী জীবনের অনেক ধাপ পেরিয়ে এসেছে।সে প্রতিষ্ঠিত একজন ছেলে।এই বয়সে এসে এমন ছোট মেয়েকে বিয়ে করতে তার ঘোর আপত্তি।
মিশুর সাথে কথা বলে বাবাকে বুঝিয়ে বলতে হবে।ভাবতে ভাবতে চোখ বুজে রইলো মৈত্রী।
.
মর্ম চুপচাপ হয়ে গেছে।মিশু পিচ্চি মেয়ে,ভাইয়ার সাথে ওকে একদম ই মানাবে না।ভাইয়ার জন্য একজন ম্যাচিউর মেয়ে লাগবে।মিশু ভীষণ অবুঝ।এ ধরনের নানাম কথা ভেবে মর্ম’র মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
.
মিশু বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবছে।আসলেই কি কাজী বিড়াল মৈত্রীর সাথে তার বিয়ে হবে? কেমন হবে যদি বিয়ে হয়?
মিশু বাসায় ওর মাকে কল দিলো।মা রিসিভ করে হ্যালো বলতেই মিশু বলল,আম্মু আমার বিয়ে।
– কি! বিয়ে মানে!
– আংকেল তার ছেলের সাথে আমার বিয়ে দিবেন বলেছেন।
– কখন বলল? আর কবে দিবে?
– বলেছে আমার ইন্টার পরীক্ষার পর বিয়ে দিবে।কাজী মৈত্রীর সাথে।
মিশুর মা অনেক খুশি হয়ে বললেন, খুব ভালো কথা।ওনারা অনেক ভালো মানুষ। তুই একটু দাড়া, আমি তোর আব্বুকে কথা টা বলেই এসে কল দিচ্ছি।
মিশু অপেক্ষা করছে।কিছুক্ষণ পর মা কল দিলেন, হ্যালো মিশু
– হ্যা মা।
– তুই কি রাজি?
– আমিতো তোমার কাছে শুনার জন্য কল দিলাম। তুমি যা বলবা তাই।
– শোন মা,তুই আমাদের একমাত্র মেয়ে।আমাদের অনেক ইচ্ছে তোকে ডাক্তার বানানোর।তুই আমাদের স্বপ্ন পুর্ন করবি না?
– হ্যা মা করবো।
– কিন্তু ইন্টার পরীক্ষার পর বিয়ে হলে তুই কখনো ডাক্তার হতে পারবি না।ডাক্তার হওয়ার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হবে।সংসার, স্বামী, দায়িত্ব এসব পালন করতে করতেই দেখবি বয়স পেরিয়ে গেছে।আমরা তো সেটা চাই না।লক্ষী মা আমার,মন খারাপ করিস না।এখুনি বিয়ে টিয়ের চিন্তা মাথায় আনিস না।বুঝেছিস আমার কথা?
– হ্যা আম্মু বুঝেছি।তুমি খুব ভালো গো আম্মু।
– চিন্তা করিস না।আমি ওনাদের সাথে কথা বলে দেখবো।মৈত্রী একজন প্রতিষ্ঠিত ছেলে।তোর চেয়ে বয়সে অনেক বড়। তোদের বোঝাপরায় সমস্যা হবে।মৈত্রীর জন্য একটা ম্যাচিউর মেয়ে লাগবে।তোর ডাক্তার হওয়া পর্যন্ত মৈত্রী নিশ্চয় ই অপেক্ষা করবে না।
– ঠিক বলেছ আম্মু।এইজন্যেই তুমি মা।কত্তভালো তুমি।
– তবে মর্ম’র সাথে বিয়ে দিতে চাইলে আমরা আপত্তি করবো না।কারন মর্ম প্রতিষ্ঠিত হতে আরও কয়েক বছর দেরি আছে।এবার বুঝেছিস আমার কথা?
– হ্যা বুঝেছি।আমি বিয়ের চিন্তা আর মাথাতেই আনবো না আম্মু।আমি তোমাদের স্বপ্ন পুর্ন করবো। তুমি চিন্তা করোনা।
মা হেসে বললেন, তুই ও চিন্তা করিস না।আমরা ওনাদের সাথে কথা বলে বিয়ের আলাপ বাদ দিতে বলবো। তুই তোর মত আনন্দ কর।কেমন?
– আচ্ছা।থ্যাঙ্ক ইউ আম্মু।টা টা।
.
মিশু কল কেটে দিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।মায়েরা এত ভালো হয় কেন?
.
বিয়ে ক্যানসেল হয়েছে শুনে মৈত্রী খুশিতে লাফিয়ে উঠল। যাক,মিশুর মাথায় বুদ্ধি আছে।
.
মর্ম ও ভীষণ খুশি।মিশুর সাথে ভাইয়ার বিয়েটা কিছুতেই মেনে নেয়া যাচ্ছিল না।মিশু তো আমার বউ হবে,আমার শার্ট এ বমি করে দিবে,নাক ঝেড়ে দিবে।আহ! মন খারাপ ভাবটা দূর হয়ে গেল।
.
মর্ম ছুটে মিশুর রুমে আসল- মিশু আসবো?
– আসো।
মর্ম এসে মিশুর পাশে বসে বলল,কি করছ ভাবি?
– ওই কি বললা? আমি তোমার ভাবী?
– হ্যা ভাবী। তুমি আমার মৈত্রী ভাইয়ার বউ।
– ভালো হবে না কিন্তু সারমর্ম।আমি বিয়ে করবো না।
– আমাকেও না?
– উহু।
– কেন কেন? তুমি না আমায় বিয়ে করবা?
– আগে বড় হই,তারপর। আমিতো বাচ্চা মেয়ে।
– ইস রে বাচ্চা মেয়ে,নাক চিপলে দুধ বের হবে।
– কি চিপলে কি বের হবে তাও জানোনা? নাক চিপলে সর্দি বের হবে।
– ও হ্যা।মিশু মনির নাকে তো আবার সারাক্ষণ সর্দি থাকে।
মিশু রেগে বলল,মর্ম,তুমি যাও তো এখান থেকে।আমি ফেসবুক চালাচ্ছি।
– লাইসেন্স আছে?
– হ্যা আছে।যাও এখান থেকে।
– কার সাথে চ্যাটিং করা হচ্ছে শুনি?
– সেটা জেনে তোমার কি হবে? যাও এখান থেকে।
.
বাধ্য হয়ে মর্ম বের হয়ে আসলো। বাইরে এসে ভাবতে লাগলো কিভাবে মিশুকে জব্দ করা যায়।
চিন্তাভাবনা করে চুপি চুপি এসে মিশুর বিছানার নিচে লুকিয়ে পড়ল। মিশু ফেসবুকে ব্যস্ত,অন্যদিকে খেয়াল নেই।
মর্ম নানান রকম শব্দ করতে লাগল যাতে মিশু ভয় পায়।কিন্তু মিশু বুঝতে পেরেছে এটা মর্ম’র ই কাজ।মিশু মনে মনে ভাবলো,দাড়াও মিস্টার সারমর্ম।আমাকে ভয় দেখাতে এসেছ,আজ আমিও তোমার কি হাল করি দেখো। আমি বাসা থেকে আসার সময় ব্যাগে করে পেট খারাপের ওষুধ নিয়ে এসেছি।স্পেশালি মর্ম’কে জব্দ করার জন্য।আজ রাতের খাবারে ওটা মিশিয়ে তোমায় খাওয়াবো। তারপর তুমি শুধু বাথরুম আর বেডরুম,বেডরুম আর বাথরুম।হা হা হা…
মর্ম বিছানার নিচে থেকে ভাবলো,মিশু একা একা হাসছে কেন?
মিশু হটাত উঠে এক দূরে রুম থেকে বেড়িয়ে এসে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে দিলো।
এবার মর্ম রুমে বন্দি হয়ে থাক।
.
মিশু সোজা মৈত্রীর রুমে চলে আসলো। মৈত্রী মুচকি হেসে বলল,আরে মিশু যে।আসো ভিতরে।
মিশু ভিতরে ঢুকে বলল, মর্মকে মেরে বালিচাপা দিয়ে এসেছি।
– সে কি! কিভাবে?
– রুমে রেখে দরজা লক করে দিয়েছি।
– হা হা হা।ও পরে তোমাকে জ্বালাবে দেখো।
– আমার সাথে পারবে না।আমি হচ্ছি পাজির পা ঝাড়া।
– তাই নাকি!
– হুম।শুনুন যেটা বলতে আসলাম।বাসে আপনার মোবাইল এ একটা কল রেকর্ড শুনেছিলাম। ওটা আপনার গার্ল ফ্রেন্ড তাই না?
– ছিল।
– ছিল! এখন নেই?
– ব্রেক আপ হয়ে গেছে।তিন মাস আগে।
– প্রেমে আবার ব্রেক আপ হয় নাকি? ব্রেক আপ হয় টাইম পাস এ।যারা টাইম পাস করার জন্য রিলেশন করে,ব্রেকাপ তাদের হয়।আপনি কি টাইম পাস করতেন?
– না।ভালোবেসেছিলাম।
– তাহলে ব্রেকাপ ট্রেকাপ কিচ্ছু হয়নি।ধরে নিন ঝগড়া হয়েছে।
– তুমি বাচ্চামানুষ গো।তুমি বুঝবা না।
– হুহ।আমি সব বুঝি।আমার সাথে আপুর পরিচয় করিয়ে দিন তো, আমি ঝগড়া মিটিয়ে দিচ্ছি।
– হা হা হা।তাই নাকি?
– হ্যা তাই।আমার সাথে বিয়ে হবেনা তাতে কি? আপনার গার্ল ফ্রেন্ড এর সাথে আপনার বিয়ে হবে।আমি হবো ঘটক আর আপনি হবেন কাজী। দিন তো আপুর নাম্বার দিন।
.
মৈত্রী নাম্বার দিতেই চাইছিল না।মিশু অনেক জোর করে নাম্বার টা নিয়ে নিজের রুমে আসলো।
মর্মকে রুমে বন্দি রেখে গিয়েছিল সেটা ওরমনে নেই।
মর্ম দরজার কাছে দাড়িয়ে ছিল।মিশু দরজা খুলতেই খুব জোরে আঘাত পেয়ে মর্ম একেবারে মেঝেতে ধপাস। মিশু জিহ্বায় কামড় দিয়ে বলল,একি! তুমি!
মর্ম’র শিক্ষা হয়ে গেছে।ও মেঝেতে পড়ে চেঁচাচ্ছে। মিশু হাত ধরে টেনে তুলতেই মর্ম বলল,দস্যি মেয়ে।আস্তে দরজা খুললে কি হত?
– তুমি আমার রুমে কি করছ?
– তুমি ই তো দরজা লক করে চলে গেছ।আমি রুমেই ছিলাম।
– হা হা।উচিৎ শিক্ষা হয়েছে।দেখি কোথায় ব্যাথা পেয়েছ?
– সারা শরীরে ব্যাথা পেয়েছি।তুমি একবার হাগ করো, ঠিক হয়ে যাবে।
– ছিঃ আমি এখানে হাগু করবো কেন? আমি তো তোমার বিছানায় হাগু করবো।
– উহহু।হাগু নয়,জরিয়ে ধরতে বলেছি।
– হুহ।খেয়েদেয়ে কাজ নেই,আজ কি ঈদের দিন যে কোলাকোলি করবো?
– তোমার সাথে কথায় পারা যাবে না।থাকো, আমি রুমে গেলাম।
.
মর্ম চলে যাওয়ার পর মিশু মৈত্রীর প্রাক্তন প্রেমিকাকে কল দিলো। মেয়েটি রিসিভ করে হ্যালো বলে জিজ্ঞেস করল,কে বলছেন?
– এই মেয়ে,অচেনা নাম্বার থেকে কল আসলে রিসিভ করে সালাম জানাতে হয়।
– সরি।কে বলছেন?
– আমি মৈত্রীর মা
– আসসালামু আলাইকুম আনটি।
– ওয়ালাইকুম আসসালাম।কেমন আছো মা?
– জ্বি আনটি ভালো। আপনি?
– ভালো নাই রে মা।খুব চিন্তায় আছি।চিন্তায় চিন্তায় শেষ হয়ে গেলাম রে মা।
– কেন আনটি কি হয়েছে?
– ছেলেটা বিছানায় পড়ে আছে অনেক দিন ধরে।
– কোন ছেলে?
– মৈত্রী রে মা।ওর খুব অসুখ।ছেলেটা মরে যাচ্ছে আমার।
বলেই মিশু কান্না জুরে দিলো।
মেয়েটি বলল,আনটি প্লিজ কাঁদবেন না।কি হয়েছে মৈত্রীর? কি হয়েছে?
– আজ তিন মাস ধরে ছেলে আমার খায়না ঠিক ভাবে।না খেয়ে খেয়ে শুকিয়ে গেছে।কিছুদিন আগেই চিকুনগুনিয়ায় ছেলেটার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে।এখন আবার কি যে অসুখ হয়েছে ডাক্তার ও বুঝতে পারছে না।
মেয়েটি হঠাত চুপ হয়ে গেল।মিশু বলল,হুশ নেই ছেলেটার।আজ ঘোরের মাঝে তোমার নাম উচ্চারণ করছিল।তাই কল দিলাম।কি জন্য ওকে ছেড়ে গেলা তুমি?
মেয়েটি বিব্রত হয়ে বলল,আনটি আসলে মৈত্রীর কোনো দোষ নেই।আমিই ওকে ভুল বুঝেছিলাম। কিন্তু ভুল ভাঙার পর ওকে কল করেছিলাম। ও বলেছিল,যে মেয়ে আমাকে বিশ্বাস করেনা আমি তার সাথে থাকতে চাইনা।
– সেটা তো অভিমান করে বলেছিল।তুমি আর কল দাওনি ওকে? ও তো তোমারি চিন্তায় চিন্তায় শেষ হয়ে যাচ্ছে।তুমি এখন ও ওকে ভালোবাসো মা?
– হুম।
– তাহলে আর দেরি করোনা।আমাদের বাসায় চলে আসো।মৈত্রী তোমাকে দেখলেই সুস্থ হয়ে যাবে।বাসার ঠিকানা জানোতো?
– হুম জানি।থ্যাংকস আনটি।আমি আসছি এখুনি।
.
ফোন কেটে দিয়ে মিশু নাচানাচি শুরু করে দিলো,ঝিংকু নাকুর নাক্কু নাকুর নাক্কু নাকুর না না… ঝিংকু নাকুর নাক্কু নাকুর না….
.
তাড়াতাড়ি মৈত্রীর রুমে এসে বলল,কাজী সাহেব শুয়ে পড়ুন।
– কেন?
– প্রাক্তন প্রেমিকা আসছে।আপনি অসুস্থতার ভান করে শুয়ে থাকুন।
মিশু সবকিছু বুঝিয়ে বলল মৈত্রীকে।মৈত্রী মিশুর কথামত এই গরমে কম্বল গায়ে জড়িয়ে শুয়ে রইলো।
মিশু বাড়ির বাইরে থেকে সিগারেট এর পরিত্যক্ত অংশ কুড়িয়ে এনে মেঝেতে ছরিয়ে দিলো। কেউ দেখলেই ভাব্বে,ছেলেটা এত ধুমপান করে! সারাঘরে সিগারেট!
তারপর মৈত্রীর গালে মেক আপ লাগিয়ে চোখের নিচ টা কালো করে দিলো।মৈত্রী মিশুর কাজকর্ম দেখে হাসছে।খুব মজা লাগছে ওর।পাশাপাশি প্রিয়জন ফিরে আসবে এই ভাবনায় অন্যরকম অনুভুতি হচ্ছে।
মিশু দুহাতে মৈত্রীর চুল গুলো এলোমেলো করে দিলো। তারপর বলল,চুপচাপ অসুস্থতার ভান করে শুয়ে থাকতে।ওই মেয়ে এসে ক্ষমা চাইবে তারপর যেন মৈত্রী কথা বলে।তার আগে অচেতন হয়ে পড়ে রইবে।
.
বাড়ির কেউই জানেনা কি হতে চলেছে।সকলে যে যার মত ব্যস্ত।মৈত্রীর বাবা অফিসে গেছেন।আর মাকে মিশু নবরত্ন তেল মাথায় মালিশ করে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছে।
মিশুর খুব মজা লাগছে! আজ বাসায় দারুন নাটক হতে চলেছে!
.
মেয়েটাকে দেখেই মিশু ক্রাশ খেল।খুব মিষ্টি দেখতে।মিশুর কেমন হিংসে হতে লাগল।
মেয়েটি চিন্তিত মুখে বলল,আনটি কোথায়?
– ঘুমিয়েছেন। এখুনি ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। আপনি কে?
– আমি মানে,আমি অতিথি।
– আমিও অতিথি। আসুন ভিতরে।
মেয়েটি বাসায় ঢুকে ভয়ে ভয়ে চারিদিকে তাকাচ্ছে।এই বাসায় সে আজই প্রথম এসেছে।আর মৈত্রীর মায়ের সাথেও আজই প্রথম আলাপ হয়েছে।
মিশু বলল,আপনি কাকে খুঁজছেন?
– না মানে মৈত্রী কোথায়?
– ওহ আপনি মৈত্রীর অতিথি? আসুন আমার সাথে।উনি তো অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। আপনি ওনার কে হন? বন্ধু?
মেয়েটি বিব্রত হয়ে বলল,হুম।
.
মিশু মেয়েটিকে মৈত্রীর রুমে ঢুকিয়ে দিয়ে বলল,উনি বিছানায় আছেন।আপনি যান ভিতরে।
মেয়েটি ভিতরে ঢুকলো।
মিশু এক ছুটে মর্ম’র রুমে আসলো। মর্ম ল্যাপটপে কি যেন করছে।
মিশু বলল,কি দেখছ?
– কিছুনা।বসো।
– ল্যাপটপ বন্ধ করছ কেন? খারাপ জিনিস দেখছিলে বুঝি?
– খারাপ জিনিস বলতে?
মর্ম অবাক হয়ে তাকাল।মিশু দুষ্টুমি ভরা হাসি দিয়ে বলল,কিছুনা।শর্ট ফিল্ম দেখবে?
– কোথায়? কি?
– বড় ছেলে।
– দেখেছি।
– আরে তোমাদের বাড়ির বড় ছেলে।ফিল্ম করছে।দেখবা? দেখলে আসো।
মর্ম কিছু না বুঝে মিশুর সাথে মৈত্রীর রুমের দরজায় এসে দাড়ালো।মিশু ফিসফিস করে বলল,চুপ করে দরজায় কান রাখো। ভিতরে শুটিং হচ্ছে।
মর্ম কান লাগিয়ে মেয়েটির কণ্ঠ শুনতে পেয়েই চোখ বড় বড় করে মিশুর দিকে তাকালো! ওর বিস্ময়ের সীমা নেই!
( চলবে…)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here