Addicted_love Part: 36

0
953

#Addicted_love
Part: 36
Aarizona Ella
ইশফাক ধীর পায়ে এলাকে কোলে নিয়ে ঘরের ভিতর প্রবেশ করতে লাগলো।।
ইশফাক নিজের রুমের খাটেই শুইয়ে দিল এলাকে।
তারাতাড়ি ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে ঢুকে পরলো ইশফাক,ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এলার শরীর এর তাপমাত্রা কপালে হাত দিয়ে চেক করতেই চমকে গেলো, খুব বেশিই গরম হয়ে আছে এলার কপাল।ইশফাক তারাতাড়ি ডাক্তার কে কল করে আসতে বলেলো।
কিছুক্ষণ এর মধ্যে ই ডাক্তার এসে এলাকে চেকাপ করছে।ফ্যামিলি ডাক্তার হওয়ায় কোন সমস্যা হয় নি ইশফাকের।
খুব বেশি ভিজার কারনে এমনটা হয়েছে,উনার সাইনাস এর প্রব্লেম থাকার কারনে উল্টো এফেক্ট করেছে,উনাকে কয়েকদিন ঠান্ডা পানি থেকে দূরে রাখবেন।কিছু মেডিসিন দিয়ে যাচ্ছি ওগুলো রেগুলার খাইয়ে দিবেন,একটা ইঞ্জেকশন দিয়ে দিচ্ছি,যদি আজ রাতের মধ্যে জ্বর না কমে তাহলে সকালে উনাকে আমার ক্লিনিকে এডমিট করিয়ে দিবেন।(ডাক্তার)
আচ্ছা।।(ইশফাক)করুন স্বরে বল্লো।
ডাক্তার যাওয়ার পর ইশফাক বেড এর পাশের সোফায় গিয়ে বসলো।এলা এখনো বেঘোরে ঘুমুচ্ছে।
ইশফাকের চোখ রক্তাক্ত হয়ে আছে যেনো কাউকে খুন করতে পারলে খুব শান্তি লাগতো।
রাত একটা বাজছে কন্তু ইশফাকের চোখে ঘুমের কোন আনাগোনা খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। হাটুর উপর কনুই দুটোর ভর দিয়ে থুতনির নিচে হাত এর পাতা দুটো উল্টো করে বসে আছে সোফায়।সে একনজরে তাকিয়ে আছে এলার ঘুমন্ত মুখের দিকে।
এই মেয়ের চেহারার থেকে আমি নজর সরাতে পারছি না কেন?কেন ওকে এতটা মায়াবী লাগছে আমার,ওর দিকে লাকালেই কেন আমার চোখ ফিরাতে ইচ্ছে করেনা।কেন ইচ্ছে করছে ওকে ছুইয়ে দিতে,কেন ও এতো টানছে আমাকে ওর দিকে।(ইশফাক)মনে মনে।
দরজায় কারো নক করার শব্দ পেয়ে ধ্যান ফিরলো ইশফাকের।
এসো।।(ইশফাক)
স্যার আপনার খাবার নিয়ে এসেছি,অনেক রাত হয়ে গেছে(আন্টি)
আমি খাবো না,খিদে নেই আমার।আপনি নিয়ে যান।(ইশফাক)
হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়িয়ে রুম ত্যাগ করলো আন্টি।
ইশফাক পাহাড়া দিয়ে যাচ্ছে এলাকে।
এলা থরথর করে কাপছে তা ইশফাকের চোখে এড়ায়নি,দৌড়ে খাটের দিকে এগিয়ে গেলো ইশফাক।
জ্বরের মাত্রা দ্বিগুন বেড়েই চলেছে।।এমতাবস্থায় ইশফাক কি করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছেনা এদিক ওদিন কি যেন খুজতে লাগলো ইশফাক।
জ্বরপাট্টি দেয়ার জন্য তাৎক্ষনাক কোন কাপড় এর টুকরো খুজে না পাওয়ায় সে কাপার্ড থেকে নিজের একটি টি-শার্ট উঠিয়ে নিলো।ওয়াশ্রুম থেকে জলদি ভিজিয়ে এনে এলার মাথার পাশে গিয়ে বসলো ইশফাক।ভিজানো টি-শার্ট টি দিয়ে উষ্টেপৃষ্টে এলার কপালে জ্বর পাটি দিতে লাগ্লো সে।
ইশফাকের নজর বার বার শুধু এলার ঠোঁটের নিচের তিলটার দিকে পরছে,,এলার দিকে তাকিয়ে থাকার ব্যাপারে আর কি ই বা বলা যায়,,রাত শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু ইশফাকের এলার দিকে নাগাতার তাকানোর কোন শেষ হচ্ছে না।
হঠাৎ এলা এক হাত দিয়ে ইশফাকের হাটু জড়িয়ে ধরাতে চমকে উঠলো ইশফাক।এ কেমন শিহরণ অনুভব করছে ইশফাক,,এলার ছেয়াতে আজ ঘৃনা লাগছে না ইশফাকের,,,অন্যরকম এক ভালো লাগা কাজ করছে।
এলা আরো জোরে চেপে ধরেছে ইশফাকের হাটু যার কারনে ইশফাক বিন্দুমাত্রাও নড়তে সক্ষম হচ্ছে না,,আজ কেন জানি ইশফাকের ইচ্ছে করছে না এলার হাত সরিয়ে দিতে,তার মনে হচ্ছে যেনো এলা এভাবেই ধরে থাকুক তাকে।
ইশফাক আস্তে আস্তে এক হাত এগিয়ে দিচ্ছে এলার চুলের দিকে,,,মাথায় হাত বুলাতে লাগলো আর তাতে এলার চেহারা আরও শীতল হয়ে গেছে।
যতই রাত গভীর হচ্ছে ততই চাঁদনীরাতের মতো আলো ছড়িয়ে পরছে এলার মায়াবী চেহারায়।
ইশফাক হুশারা হয়ে হয়ে যাচ্ছে,,ইচ্ছে করছে ঠোঁট দিয়ে এলার গাল ছুয়ে দিতে।।।
ইশফাক নিজের ঠোঁট এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এলার গালের দিকে,,ইশফাকের ঠোঁট প্রায় ছোয়া ছোয়া,,এমন সময় ফোন এর রিং বেজে উঠেলো।।রিং বাজতেই ইশফাকের ঘোর কাটলো।।ফোন হাতে নিতেই দেখছে এথিনা কল করেছে।।
রিং বেজেই যাচ্ছে,,বেশ কিছুক্ষন এলার চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকার পর ইশফাক কল রিসিভ করলো ইশফাক।।
হ্যালো,,,,,,,(ইশফাক)
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
এতো রাতে মানুষ কি করে(ইশফাক)ধমক দিয়ে
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,৷৷
ঘুমাচ্ছি ফোন রাখো😠(ইশফাক)
ফোন ছুড়ে মারলো ল্যাম্পার টেবিলের উপর।। পুরা রাত এভাবেই এলার দিকে তাকিয়ে কাটালো ইশফাক।।।
চোখ খুলতেই দেখছি আমি কোন একটি রুমে।।হুড়মুড়িয়ে উঠে বসে পরলাম,,,, এটা তো ইশফাকের রুম,ইশফাক কোথায়? রুমে তো দেখছি না উনাকে,,,আর আমি এখানে কিভাবে এসেছি?😲😱
উঠেই আন্টির রুমে দৌড় দিলাম,
এই কি আন্টি কোথায়? 😧
দৌড়ে নিচে নেমে কিচেনের দিকে গেলাম,,আন্টি রান্না করছে,,,
কি করছেন আন্টি😁?
রান্না করছি,তোমার এখন কেমন লাগছে?(আন্টি)
আমার আবার কি হয়েছে?😧😦
কাল রাতে প্রচন্ড জ্বর উঠেছিলো তোমার,খুব চিন্তা হচ্ছিলো তোমার জন্য (আন্টি)
কিন্তু আমি তো একদম ঠিক আছি😕
মুচকি হাসছে আন্টি।।।
ডাইনোসরের পঁচা ডিম কোথায়?দেখতে পাচ্ছি না যে?😕
ডাইনোসরের পঁচা ডিম এটা আবার কে?(আন্টি)ভ্রু কুচকে।
আরে ওই থনথনা শাকচুন্নির অবৈধ প্রেমিক আর কি😛।
আর কি কি নাম আবিস্কার করবে তুমি।।(আন্টি)হাসতে হাসতে লুটে পরছে আন্টি।😆😂
আচ্ছা আন্টি তোমার হাব্বিও তোমাকে কিভাবে আদর করতো একটু বলবে😝😜😛
খুব বেশি ফাজিল হয়ে গেছো তুমি,,,দাঁড়াও তোমাকে,বলে আন্টি আমাকে দৌঁড়ানি দিতে শুরু করলেন।
আমি দৌড়ে বাগানে চলে এসেছি আর আন্টিকে এদিক ওদিক বিল্কি দিচ্ছি, আর হাসছি আন্টিও হাসছে।।গাছে পানি দিচ্ছিল মালি,উনার হাত থেকে পাইপ কেড়ে নিয়ে আন্টির দিকে ঝেকে দিলাম আন্টি ভিজছে আর হাত দিয়ে নিজেকে বাঁচাতে চেস্টা করছে।।আন্টি সামনে এসে আমার হাত থেকে পাইপ কেড়ে নিয়ে আমার উপর পানি ঝড়াতে লাগ্লেন,,আমি পালাচ্ছি আর এদিক ওদিক ছুটছি।।দৌড়াতে দৌড়াতে আস্ত একটা পিলারের সাথে ধাক্কা খেয়ে নিচে বসে পরলাম।আন্টিও ভয়ে চুপসে মাথা নিচু করে থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।আমি আর আন্টি সম্পুর্ন ভিজে চৌচির হয়ে গেছি।উপরের দিকে তাকাতেই দেখছি ডাইনোসরের পঁচা ডিম রক্তাক্ত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
চলবে।
খুব অসুস্থ এরপরও গল্প অনেক কষ্টে লিখেছি,,আপনাদের খুশির জন্য। ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here