+34+35 #Addicted_love Part : 33

0
960

33+34+35

#Addicted_love
Part : 33
Aarizona Ella
বেশ কিছুক্ষণ পর বিচে গিয়ে পৌছালাম।ওরা দুজন গাড়ি থেকে নেমে গেছে,আমি গাড়িতে বসেই চুল ঠিক করে গাড়ি থেকে বেরুলাম।
গাড়ি থেকে নামতেই মিস থনথনা আমার কাধে ইয়া বড় একটা ব্যাগ চেপে দিয়ে আমাকে পিছনে ফেলে দুজন একসাথে হাটা শুরু করলো।
ব্যাগটা আমি বহন করতে পারছি না আমার চেয়েও বড়😭😭
ওটা উঠাতে গিয়ে আমি নিজে পড়ে যাচ্ছি।ব্যাগটা একাবার নিচে রাখছি আবার তুলে হাটছি।এভাবে অনেক কষ্টে বিচের পারে গিয়ে পৌছালাম।
মিস থনথনা বিচে গিয়েই উপরের টপ খুলে ফেললো।
ছিঃ কি বেহায়া কি পড়েছে এটা😱বিকিনি।।
আস্তাগফিরুল্লা,লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লাহ বিল্লাহ🙈🙊।
দুজন টুরিষ্ট সীটে গিয়ে বসলো আর আমি একপাশে ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি কামের বেটির মতো। বাকি পর্যটক দের দেখছি,শত শত লকের আনাগোনা এখানে,কেউ এদিক ওদিক ছুটাছুটি করছে,কেউ ক্যাচিং বল খেলছে,কেউ কেউ আবার সমুদ্রে বয়া দিয়ে ভাসছে,এই প্রান্ত থেকে দূরের জাহাজ গুলোকে বেশ ক্ষুদ্র লাগছে,আবার কেউ স্পিড বোট চালাতে ব্যাস্ত।সবাই যার যার মতো আনন্দে মেতে আছে,শুধু আমি একজন ছাড়া। ব্যাগটি নামিয়ে নিচে রাখলাম বালির উপরে।ঘন্টা খানেকের মধ্যে সুর্য্য ডুবার দৃশ্য আকাশের বুকে ভেসে উঠবে।
ইশফাক আর এথিনা সমুদ্রে নামছে আর আমি তাদের দিকে তাকিয়ে আছি।দুজন খুব ব্যাস্ত আনন্দে মেতে থাকায়,ইশফাক আমার দিকে মাঝে মাঝে ফিরে তাকচ্ছে,আর এথিনার তো লেগেই আছে ইশফাকের গলায় পড়া।ওদের অশ্লিল কান্ডগুলো আর উল্লেখ না করলেই ভালো। আমারও খুব ইচ্ছে করছে সমুদ্রের পানিতে কিশোরী পায়ে ছুটে যেতে,সমুদ্রের সাথে জড়িত নিল সাদা মেঘে ঢেকে থাকা দৃশ্যকে উপভোগ করতে,সমুদ্রের বুক থেকে আছড়ে পড়া জলের কিরদার অনুভব করতে।কিন্তু সবার সব ইচ্ছে পুরন হয় না।আধভেজা হয়ে ইশফাক পানি থেকে উঠে আমার দিকে আসছে।
ব্যাগ থেকে তাওয়াল বের করে এথিনাকে দিয়ে এসো(ইশফাক)আমার পাশের টুরিস্ট সীটে বসতে বসতে বললো।
আমি ব্যাগ থেকে তাওয়াল বের করে সমুদ্রের দিকে এগুলাম।
এথিনা সমুদ্রের বেশখানিকটা দূরে।আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি সেখানে শুধু পা ভিজছে আমার।
hey why are u standing so far,come here n give the tawel to me stupid😠(এথিনা)চিৎকার করে.
আমিও নামতে নামতে বেশ খানিকটা দূরে এসে গেছি সমুদ্রের।
এথিনার সামনে গিয়ে তাওয়াল এগিয়ে দিলাম।
এথিনা তাওয়াল হাতে নিয়ে আমাকে এক টানে পানিতে ফেলে দিলো।আচমকা টান দেয়াই আমি নিজেকে সাম্লাতে না পেরে ঢেউ এর ভিতরে ঢুকে গেলাম, নাকে মুকে পানি ঢুকছে পানি ছাড়া আর কিছু দেখছি না এই বুঝি ডুবে যাবো, দম বন্ধ হয়ে আসছে আমার।বাচাঁর আশা টা বুঝি শেষ প্রহর গুনছে।
এলাকে ডুবতে দেখে এক দৌড়ে সমুদ্রে গিয়ে ঝাপিয়ে পড়লো ইশফাক,মাঝখানে পাগলের মতো খুজতে লাগলো এলাকে,কিছুক্ষণ পর খুজে পেল এলাকে।কোলে তুলে এলোপাথারে বুকের সাথে লাগিয়ে সমুদ্র থেকে উঠে আসতে লাগলো ইশফাক।এলা অজ্ঞান হয়ে গেছে। এলার দিকে তাকিয়ে আছে ইশফাক।এই কেমন মায়া খুজে পাচ্ছে ইশফাক আজ এলার মাঝে।ধবধবে ফর্সা,টানা টানা চোখ,গোলাপের পাপড়ীর মতো ঠোঁট,আর ঠোঁটের নিচে কালো তিল।ভিজা চুলগুলো কিছু এলার মুখে আর কিছু ইশফাকের বুকের সাথে লেপ্টে আছে,ইশফাক অপলকভাবে তাকিয়ে আছে এলার দিকে।এ কেমন মায়া যা আগে কখনো অনুভব হয় নি ইশফাকের।ইশফাকের চোখে এলাকে আজ খুব মায়াবি লাগছে,এলা তো আগে থেকেই অনেক মায়াবি তাহলে কেন ইশফাকের চোখে এই মায়া আগে পড়লো না।এক নেশা লাগানো চাহনিতে মাদকতা প্রকাশ পাচ্ছে ইশফাকের এলার জন্য। ভাবতে ভাবতেই ইশফাক সীটে এনে শুইয়ে দিল এলাকে।হাতের পালস্ চেক করছে,পালস্ চলছে কিন্ত এলা এখনো অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে।আজ প্রথম ইশফাকের বুক মোচড় দিয়ে উঠেছে,চিন্তার ছাপ ভেসে উঠছে ইশফাকের চেহারায়।
এলার মুখের সাথে মুখ লাগিয়ে মাউতওয়াক্স দেয়ার চেষ্টা করছে ইশফাক।এলাকে ছুতেই এক মধুময় শিহরণ জাগছে ইশফাকের মনে।কিন্তু কেন এমন হচ্ছে ইশফাক বুঝে উঠতে পারছে না।এলার হাতের তালু নিজের হাতের তালু দিয়ে ঘষছে ইশফাক।
এলা,,,চোখ খুলো,,,,,,এলায়ায়ায়ায়ায়া।(ইশফাক)😰চিৎকার করে ডাকছে ইশফাক এলাকে।
hey baby এমন করছো কেন?অজ্ঞান হয়েছে শুধু মারা তো যায় নি আর😏😏😏(এথিনা)
shut up,,কি দরকার ছিলো এভাবে ধাক্কা দেওয়ার?ওর দুশ্মনি আমার সাথে তুমি কেন ওর পিছে এভাবে লেগে আছো?😠(ইশফাক)চিৎকার করে,খুব রেগে আছে ইশফাক।
তুমি এই দুই কটির মেয়ের জন্য আমার সাথে এভাবে কথা বললে?(এথিনা)ছলছল চোখে।
হ্যাঁ বলেছি,কি করেছো তুমি? কেন ধাক্কা দিয়েছো ওকে,কি দরকার ছিল তোমার? (ইশফাক)রেগে আগুন।
আমি তো মজা করছিলাম।(এথিনা)
মানুষের জীবন নিয়ে কিসের মজা হ্যা?যদি আজকে কিছু হয়ে যেতো?অতিরঞ্জিত কোন কিছুই ঠিক না কয়বার বলেছি তোমায়? (ইশফাক)
আমি আর এখানে একমুহূর্ত ও থাকবনা😭😭(এথিনা)
এতো যাওয়ার শখ হয়েছে যেহেতু যাও,😠😠(ইশফাক)
হনহনিয়ে চলে গেলো এথিনা,সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে,বেশ কিছুক্ষণ পর এলার জ্ঞান ফিরলো।
ইশফাক তাকিয়ে আছে আমার দিকে আমি এদিক ওদিক তাকাচ্ছি,উঠে বসলাম।
ঠিক আছো তুমি?(ইশফাক)
হুম।মাথা নেড়ে।
চলো রাত নেমে আসছে,বাড়ি যেতে হবে।(ইশফাক)
এথিনা ম্যাম কথায়?😕
ওর বাসা থেকে ফোন এসেছিলো তাই তাৎক্ষনাক চলে যেতে হয়েছে ওর।(ইশফাক)
ওহ।
খুব শীত লাগছে।উঠে দাঁড়ালাম,হাত দুটো বগলের নিচে মুড়িয়ে রেখেছি,কাপড় গুলো আধভেজা হয়ে আছে।
ব্যাগ থেকে জ্যাকেট বের করে ইশফাক আমার দিকে এগিয়ে দিলো।
এটা গায়ে জড়াও।(ইশফাক)
আমার বেশ অবাক লাগছে😱মাথা কি গেছে উনার নাকি আমার মাথার স্ক্রু লুজ হয়ে গেছে 😱😲
চলবে।

#Addicted_love
Part:34
Aarizona Ella
ইশফাক ব্যাগটি নিজের কাধে তুলে নিয়ে গাড়িতে রাখলেন।বেশ অবাক লাগছে আমার😦
আমি গাড়ির পেছনের সীটে গিয়ে বসলাম।ড্রাইভিং সীটে বসে আমার দিকে একপলক তাকিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলেন।রাত হয়ে এসেছে,কিছু পথ চলার পর গাড়ির হঠাৎ স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেছে।
ইশফাক চমকে উঠলো।
what the hell damn it?😠গাড়ির স্টার্ট কিভাবে বন্ধ হলো আবার।তুমি বসো আমি দেখছি সমস্যা কি।(ইশফাক)আতংকিত হয়ে।
যথারীতি গাড়ি থেকে নেমে গেলো ইশফাক।
গাড়ির সামনে পিছনে এদিক ওদিক ডিক্কিতে খুটিয়ে খুটিয়ে চেক করছে ইশফাক।চেক করতেই গাড়ির সামনের একটি আর পিছেনের একটি টায়ারে ফুটো দেখতে পেল ইশফাক।
তার মানে এটা নির্ঘাত কেউ জেনে শুনে করেছে,কিন্তু কে? এলা তো আমার সাথেই ছিলো, এক চুল পরিমানও নড়ে নি সে আমার পাশ থেকে।ফুটো যেহেতু দেখছি এটা নির্ঘাত এথিনার কান্ড।এই এথিনার কাজ কারবার মাঝে মাঝে খুব বেশি বিরক্ত লাগে।😠(ইশফাক)
আমি বসে আছি,কি হলো কে জানে?মনে মনে ভাবছি।
গাড়ির টায়ার ফেটে গেছে,এখন এটাতে করে যাওয়া আর সম্ভব না,তুমি বেরিয়ে এসো,দেখি বাসায় যাওয়ার কোন ব্যাবস্থা করা যায় কিনা।(ইশফাক)বিরক্তির ছাপ নিয়ে।
আমি কোন কথা না বলে গাড়ি থেকে বেরিয়ে এলাম।খুব দুর্বল লাগছে শরীরে।
ইশফাক এদিক ওদিক তাকিয়ে কি যেন খুজছে।আমরা যে জায়গায় অবস্থান করছি তার থেকে খানিকটা দূরে একটি পিকনিক স্পট দেখা যাচ্ছে।
হ্যালো!ফোর্কস্ বিচের বিসাইড এরিয়ার মিডেল রোডে একটা গাড়ি পাঠিয়ে দাও।অপেক্ষা করছি।(ইশফাক)ফোন কানে ধরে।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,আমি শুধু উনার কথা শুনছি।
এতো কিছুর সারাংশ দেয়া আমি মোটেও পছন্দ করি না।যা বলেছি do it fast.😠(ইশফাক)।
রাগে ফুসতে ফুসতে ফোন রাখলো।
ক্লান্তিতে শরীর এর ভারসাম্য মৃদু হয়ে আসছে আমার।
ওইদিক টায় চলো,ওখানে মানুষের কলরব শুনতে পাওয়া যাচ্ছে মনে হয় বনভোজন চলছে। এমন জনশুন্য রাস্তায় এভাবে দাঁড়িয়ে থাকা টা ঝুঁকিপুর্ন।যতক্ষন গাড়ি আসছেনা ততক্ষণ ওদিকটায় গিয়ে অপেক্ষা করা যায়।(ইশফাক)বলে হাটতে শুরু করলো।
আমিও উনার পিছনে পিছনে হাটা ধরলাম। প্রায় ১০-১৫ মিনিট পর পিকনিক স্পট টাতে এলাম।এখানে প্রায় ২৫-৩০ জন মতো মানুষ হবে।কিন্তু এদের তো দেখে আমেরিকান মনে হচ্ছে না।ইশফাক একটি ভদ্রলোকের সাথে কথা বলছে।আমি একপাশ হয়ে দাঁড়িয়ে আছি।
ইশফাক সহ ভদ্রলোকটি এদিকেই আসছে।আমি হতরম্ভ হয়ে গেছি।
hello,i m Bishwajit Sarkar from kolkata.(ভদ্রলোক)
hi…বিধঘুটে লাগছে আমার।
এটা উনাদের পিকনিক সেলেক্টেড এরিয়া,আমাদের গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে উনাকে জানিয়েছি,আরেকটা না আসা পর্যন্ত আমরা উনাদের সাথে থাকার অনুমতি পেয়েছি।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,আমি মুচকি হাসছি।
yah yah of-course ma’am,,humanity is the biggest religion,, u both can join with us until ur car arrive…. 😊(ভদ্রলোক)
thank u sooo much for being helpful.মুচকি হেসে বললাম।
ইশফাক এলার দিকে অবাক দৃষ্টিতে কোমল চাহনিতে একনাগার তাকিয়ে আছে।
Come along MR.Chowdhury. (ভদ্রলোক)
এভাবে দুইবার ডাকার পর ইশফাকের ভাবনায় ছেদ পরলো।
hmmmmmmm,oh yes yes come plz(ইশফাক)কিছুটা চমকে উঠলো।
একসাথে গেলাম।
চলবে।

#addicted_love
Part: 35
Aarizona Ella
ভদ্রলোক টি কে ফলো করে উনার পিছে পিছে ইশফাক আর আমি যেতে থাকলাম।
লোক টি উনাদের ক্যাম্পে আমাদের কিছুক্ষণ এর জন্য আশ্রয় দিলেন।আর সবার সাথে পরচয় করিয়ে দিয়ে সবাইকে আমাদের সমস্যার কথা জানালেন।এতে কেউই আপত্তি করে নি,যাক ভালোই হলো। সবাই গোলিয়ে একসাথে বসে ১০,২০,৩০ খেলছে।ইশফাক আর আমাকে তাদের পাশে বসার স্থান করে তাদের সাথে খেলায় শামিল করলো।এখানে যারা আছেন সবাই ভারতীয় আর্মি টিম আর তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ।ছুটি কাটাতে সবাই পরিবার নিয়ে আমেরিকা এসেছে।
ইশফাক আমার পাশে বসে আছে,সবার জুটি গুলো বেশ অসাধারণ লাগছে।সবাই যার যার মতো করে প্রিয় মানুষটির কাছে তার ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ করছে।
আমি শুধু দেখছি আর তাদের ভালবাসা অনুভব করছি,নিজের ভালবাসা পাওয়ার ভাগ্য তো কপালে নেই,তাই অন্যের একের প্রতি অপরের টান দেখে খুব প্রশান্তি কাজ করছে।
চিন্তা করে একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেললাম।
১০ থেকে শুরু করে ১০০ তে যার পালা শেষ হবে সে নিজের ইচ্ছা মতো নাচ,গান,কবিতা, ইত্যাদি তে অংশগ্রহণ করবে।
সবার সাথে হেসে মেতে থাকতে বেশ আনন্দ লাগছে আমার,আজকে অনেক দিন পর কেন জানি এক আনন্দের অনুভূতি অনুভব করছি। সবাই একে অপরের বিপরীত জনের পাশ কাটিয়ে বালিশ ছোড়াছোড়ি করছে।এভাবে অনেকে নাচলো আবার কেউ কেউ গান করলো আবার কেউ কেউ মনের ভাব প্রকাশ করলো আবার কেউ কৌতুক করে সবাইকে হাসাচ্ছে।
কিছুক্ষণের জন্য ভুলেই গিয়েছি যে আমি অন্য জগতে হারিয়ে গেছিলাম।
বালিশ টা আমার কাছে এসে থামায় সবাই চেচিয়ে উঠলো,।
আ,,,,,আ আয়ামি?😕😧
হ্যাঁ আপনার পালা এবার।(একজন মহিলা বলে উঠলো।)
হয়তো উনিও কলকাতা শহরের।
কিন্তু আমি তো কিছু করতে জানি না😰
না না প্লিজ আমি না,আমাকে বাদ দেন।😣
না না না এ কেমন কথা আপনার পালা আপনাকে শেষ করতে হবে এর আগে ছাড়া পাবেন না।(মহিলা)
সবাই জোর করছে,আমি রাজি না হওয়াতে সবাই ইশফাক কে অনুরোধ করছে আমাকে মানিয়ে নিতে।
সবাই এতো অনুরোধ করছে যেহেতু একটা গান গেয়ে শোনাও, (ইশফাক)
কিন্তু আমি,,,,,,,,,,,😰😨
দু এক লাইন শুনিয়ে দাও।(ইশফাক)
ওকে।
সবাই খুশিতে চিৎকার করে উঠলো।
Yeh mere dil ka jana,
Ek akhiri faisla hai,
Ab sath hoga na tera,
Yeh dard ki imtehaa hai.
Tha pyar tera to jhuta,
Saccha magar yeh khuda hai,
Tanhayi o me hu roya,
Tab jake mujhko mila hai,
,,,
Ha khush hai ab hum to.,
Tujhse kaha hum khafa hai,
Tune chuna hai woh rasta,
Tere liye jo bana hai.
Ehsaan tera mai manu,
Tanha mujhe jo kiya hai,
Tere bina hum zee lenge..
Woh sath mai jo tuzhse mile..
Ah,,,haaaa…….
ইশফাকএলার দিকে করুন চাহনিতে ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে আছে।
এই চাওয়ায় কিসের ভাব প্রকাশ পাচ্ছে ইশফাক নিজেও বুঝে উঠতে পারছেনা।
ইশফাকের বুকের ধুকধুক শব্দ টার গতি খুব জোরেই বেড়ে চলছে।কিসের উথাল পাতাল হচ্ছে।ইশফাক ভ্রু কুচকে পলকহীন ভাবে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে এলার দিকে।
সবার কড়াতালিতে ইশফাকের ভাবনায় ছেদ পরলো।সে চমকে এদিক ওদিক তাকচ্ছে সবার দিকে,এলার দিকে চোখ পড়তেই দেখে এলা চাপা হাসি দিচ্ছে।
ওওয়াহ!!!আপ তো বেশাখ বাড়িয়া গাতি হে।(কয়েকজন বলে উঠেছে)
এলা জোড়পুর্বক মুচকি হাসছে তা ইশফাকের চোখে এড়ায়নি।
মেয়েটা তো বেশ ভালোই গায় এলার দিকে তাকিয়ে (ইশফাক)মনে মনে।
এমন সময় ইশফাকের কল আসে।ইশফাক কথা বলতে বলতে সবার মাঝখান থেকে উঠে বাইরে চলে গেছে।
এলা এসো ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে এসেছে।ভিতরে এসে ফোন পকেটে রাখতে রাখতে বললো ইশফাক।
উনার কথায় উঠে দাঁড়িয়ে গেলাম।সবার থেকে বিদায় নিয়ে গাড়িতে উঠে গেলাম।
সামনে ড্রাইভার থাকায় ইশফাক পিছনে আমার সাথে বসেছে।
গাড়ি স্টার্ট দিলো ড্রইভার।গাড়ির গ্লাস নামিয়ে দিতে বললো ইশফাক।
গাড়ি চলছে বাইরে থেকে বেশ গতিতে বাতাস ঢুকছে।আর চুল গুলো খুব উড়ছে।এই বাতাসের গতি এলোকেশি করে দিচ্ছে এলাকে।
আর এলার সেই উড়ন্ত চুল ইশফাকের মুখের উপর গিয়ে পড়ছে।
ইশফাক কিছুটা ইতস্তবোধ করছে কিন্তু আজকে কেন জানি এলার উড়ন্ত চুলের ঘ্রান নিতে বেশ মৌহনীয় লাগছে ইশফাকের।ইশফাক নিজের মুখ এলার মাথার আরেকটু কাছে নেয়ার চেষ্টা করছে।
এলার চুলের ঘ্রান নিতে ইশফাকের কেমন জানি খুব বেশি ইচ্ছা করছে।এলা এক ধ্যানে তারায় জ্বলে উঠা বিস্তৃত আকাশ দেখছে।আর প্রকৃতির সাধ নিচ্ছে।বেশ ভালো লাগছে এলার যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো যোগ্যতা রাখে না।
এদিকে ইশফাক অপ্রকাশিত অনুভূতি অনুভব করছে এলার চুলের ঘ্রান এর মাঝে।
হঠাৎ এলার মাথার সাথে ইশফাকের মুখের সংঘর্ষ হওয়ায় এলা ফিরিয়ে তাকায় ইশফাকের দিকে।
আমি ইশফাকের দিকে তাকালাম।
ইশফাক আচমকা কেশে উঠলো।আর ধরফড়িয়ে গ্লাসের বাইরে দেখছে।
চোর ধরা পরলে যেমন টগবগিয়ে উঠে ইশফাক ঠিক তেমনটা করছে কিন্তু কেন?
উনি কেশে যাচ্ছেন।।
আপনি ঠিক আছেন?(আবুলের মতো চেহারা বানিয়ে জিজ্ঞেস করলাম)😕
হ,,,হ,,,হুম।(ইশফাক)থতমত খেয়ে গেলো আমার প্রশ্নে)
ওহ।।
বাইরের নজারা উপভোগ করতে করতে গুমিয়ে পড়েছে এলা।
বার বার ঢলে পরছে এলার মাথা।
বার বার মাথা ঢলে পরতে দেখে ইশফাক এলার মাথা নিজের কাধে রাখলো।
ইশফাক চাইছে না এলার দিকে তাকাতে কিন্তু এলার নিস্পাপ মায়াবি চেহারা বার বার ইশফাক কে বাধ্য করছে তার দিকে অপলক তাকিয়ে থাকতে।
ইশফাক তাকিয়ে আছে যেনো তার দেখার শেষ হচ্ছে না।
বেশ কিছুক্ষণ পর গাড়ি ইশফাকের বাড়ির সামনে এসে থামলো,ইশফাকের ধ্যান ওদিকে নেই, ইশফাক এখনো তাকিয়ে আছে এলার দিকে।
ড্রাইভারের ডাকে ধ্যান ভাংলো ইশফাকের।
স্যার আমরা এসেছি।(ড্রাইভার)
হ,,,,,,,হুম।(ইশফাক)
ইশফাক ডাকতে চেয়েও ডাকতে পারছে না এলাকে,কারন খুব নিস্পাপ আর মায়াবি লাগছে তাকে।
এলার কাধে হাত দিতেই ইশফাক এলার শরীরে গরম অনুভব করছে,এলার কপালে হাত দিয়ে দেখলো উত্তপ্ত হয়ে আছে,এলার কপাল পুড়ে যাচ্ছে।
ইশফাক কিছু না বলে সোজা কলে তুলে নিলো এলা কে।
চলবে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here