#Addicted_love
Part:42
Aarizona Ella
স্যার উনি এসেছেন।।।(মহিলা)
মহিলা ভদ্রলোকটি কে ডেকে বললেন।।আমি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছি গা কাপছে আমার।।।।
হাল্কা গলা ঝাড়লো লোক টি। উনার দিকে তাকালাম,,দেখতে বেশ সুদর্শন 😊এরপর ও আমার ভয় করছে,কে,চিনি না জানি না আন্তাজে এখানে কিভাবে আসলাম।।।
লোক টির দিকে তাকাতেই আমার দিকে দেখে একটা মুচকি হাসি দিলো ভদ্রলোক।।
আমি ভয়ে ঘামতে শুরু করলাম।।লোক টি আমার দিকে এগিয়ে আসছেন তা দেখে আমি কাপা শুরু করে দিচ্ছি,আমার পুরা শরীর ৬০ ভোল্টেজ এর ভাইব্রেট করছে😰😰
লোক টি আমার অবস্থা বুঝতে পেরে সোফার সামনেই দাঁড়িয়ে গেলেন।
ওখানে দাঁড়িয়ে আছেন কেন সোফায় এসে বসুন প্লিজ।(ভদ্রলোক)
,,,,,,,,,,,,,,,
আমি ঠাই দাঁড়িয়ে আছি,আর কাপছি।।
দেখুন ভয় পাওয়ার কিছু নেই,আমি একজন ভদ্র ফ্যামিলির ছেলে আর আপনি এখানে সম্পুর্ন নিরাপদ,, এভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে ভাল্লাগবে না আমার।দয়া করে এদিকটায় এসে বসুন।(ভদ্রলোক)
উনার কথায় একটা সস্থি ফিরে পেলাম.উনার দিকে তাকাতেই লোক টি মুচকি হাস্লেন।
বসুন প্লিজ।(ভদ্রলোক)
আমিও চাপা হাসি দিয়ে এক পা এক পা সোফার দিকে এগুলাম।।।
লোক টি এক হাত দিয়ে সোফার দিকে ইশারা করে মুচকি হেসে বসতে বললেন।
আমি বসলাম।লোক টি আমার মুখোমুখি থাকা সোফাটিতে নিজেও বস্লেন।
আমি আদিয়ান আহাম্মেদ।এই বাড়ির মালিক।আপনার পরিচয় জানতে চাইছি যদি আপনি কিছু মনে না করেন।
খুব নম্র ভাষায় বললেন কথাগুলো
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,আমি চুপচাপ নিচের দিকে তাকিয়ে আছি।।আর বড় বড় নিঃশ্বাস নিচ্ছি।।
আপনি ঠিক আছেন?(আদিয়ান)
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,খুব কান্না পাচ্ছে আমার।।আমি ফুপাচ্ছি।।আদিয়ান আমার অবস্থা বুঝতে পেরে এক গ্লাস পানি আমার দিকে এগিয়ে দিলেন।
আমি ঢুক করে এক নাগারে পানি গুলা গিল্লাম।।
কি বলবো আমি😭😭
দেখুন মিস আপনার নাম টা পর্যন্ত আমি জানি না,,আপনার ব্যাপারে যদি আপনিই কিছু না বলেন তবে আমি আপনাকে সাহায্য কিভাবে করবো বলুন।?(আদিয়ান)।।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,😭😭
আপনি আগে রিলাক্স হোন এতো তাড়া নেই আমার,ধীরে সস্থি বলতে পারেন,,(আদিয়ান)
লোক টির ভাষা বেশ নম্র।।লোক টি তাকিয়ে আছে আমার দিকে,,আমি যে অবস্থা করছি তার তাকানো টাই স্বাভাবিক।।বেশ কিছুক্ষণ পর আদিয়ান আবার কথা বলা শুরু করলেন।
এবার আপনার নাম টা কি জানতে পারি?(আদিয়ান)
আ,,,,,আ,,আমি এ,,,,,,,,,।বলতে গিয়ে থেমে গেলাম।
,,,,,,,,,,,,,,,,,আদিয়ান জিজ্ঞসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে।
আমি ইশা।।। নিজের নাম টা লুকালাম😞
ওহ মিস ইশা তো বাড়ি কোথায় আপনার?কি করেন আপনি(আদিয়ান)
আম,,,,,,আম,,,,আমার বা,,,,,,,,,😖😖😖
জ্বী বলুন আপনি না বললে আমি বুঝবো কিভাবে😊(আদিয়ান)বেশ শান্ত স্বরে কথা বলছেন।
আ,,,,,,আ,আমি উ,,,,,,উত্তরায় থা,,,,,থাকি।😥
তো ওতো রাতে আপনি মাঝরাস্তায় কি করছিলেন?(আদিয়ান)
আ,,,,আ,,,আমি।।।।।
আপনার ভয় পাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই,আমিও আপনার মতো রক্ত মাংসের একজন সাধারণ মানুষ। (আদিয়ান)
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,।
আসলে আমি এসব জিজ্ঞেস করতে মোটেও চাচ্ছি না,তবে আমার তো জানতে হবে আপনাকে সাহায্য করার জন্য তাই না?।আপনি একজন ভদ্র ফ্যামিলির মেয়ে সেটা তে কোন সন্দেহ নেই, আপনার পরিবাবের লোকজন হয়তো চিন্তা করছে,খুজছে আপনাকে,আর আমি আপনাকে অনেক করুন অবস্থায় পেয়েছি,তাও রাস্তায় মাঝরাতে।।তাই আমি জিজ্ঞেস করতে বাধ্য হচ্ছি(আদিয়ান)।
আমার কেউ নেই,,,, আমার কোন বাড়ি নেই,না আছে কোন আপনজন।।আমি একা খুব একা বলে ফুপিয়ে ফুপিয়ে অঝোরে কাঁদছি আর একটু চেচিয়ে বললাম কথা গুলো।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,আদিয়ান আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন।।।
মাথা টা খুব ভারি লাগছে চারিদিক অন্ধকার হয়ে আসছে।।
এলা অজ্ঞান হয়ে যাওয়াতে সবাই আতংকিত হয়ে উঠলো।
আদিয়ান ছুটে গেলো এলার দিকে।এলার নাক থেকে রক্ত পরছে। আদিয়ান তা দেখে চমকে উঠলো।তারাহুরো করে একটা রুমে নিয়ে শুইয়ে দিলো এলা কে।
হ্যালো একটু ইমেডিয়েট আমার বাড়ি আসুন তো।আদিয়ান ফোন কানে ধরে বলছে কথা গুলো।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
ডাক্তার এসেছে চেকাপ করছে এলার।।আদিয়ান জানতে চাইছে এমন হাওয়ার কারন কি।।
প্রচন্ড মানসিক চাপের কারনে উনার নাক থেকে রক্ত ঝরছে,আর উনার শরীর অসম্ভব রকমের দুর্বল,পালস্ একদম খুব কম চলছে।।উনাকে একটা ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে দিচ্ছি,আর শারীরিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে একটা স্যালাইন পুশ করছি।৬ ঘন্টা পর উনার ঘুম ভাংবে আর তার সাথে উনাকে খাবার খাইয়ে ঔষধ খাওয়ানো অতি অবশ্যক,,আরেকটা কথা যতদিন উনি সুস্থ না হন ততদিন কোন ধরনের মানসিক চাপ যেন উনার ভুগতে না হয়।উনাকে স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করবেন।(ডাক্তার)
জ্বী।(আদিয়ান)।
আদিয়ান নিজেও চিন্তায় পড়ে গেছে ,, হিসেব যেন কোন ভাবেই মিলাতে পারছে না সে।সে নিজেও আতংকে পড়ে গেছে😰😰
আদিয়ান কিছুতে বুঝে উঠতে পারছে না এই মুহুর্তে তার কি করা উচিত।সে তো এই মেয়েটি কে চিনে না পর্যন্ত,একটা অচেনা মেয়েকে এভাবে বাসায় রাখা টা কি আদৌ উচিত আদিয়ানের।
ডাক্তার চলে গেছে বেশ অনেক্ষন কিন্তু আদিয়ান এখনো সেই আব্দি দাঁড়িয়ে আছে একি জায়গায়।
এলার দিকে তাকিয়ে আছে।।।
মেয়ে টা কে দেখতে খারাপ লাগছে না,কোন ভালো ফ্যামিলির মেয়ে হবে।।মেয়ে টা কে খুব অস্বাভাবিক অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিলো,ওর এখন এইসব কিছু ডিসকাস করা যাবে না,,এর পিছনে হয়তো কোন কারন আছে,মেয়েটি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত আমার খেয়াল রাখতে হবে।তারপর দেখি কি করা যায়(আদিয়ান)মনে মনে।
রুম থেকে বেরিয়ে গেলো আদিয়ান।বিছানায় বেঘোরে ঘুমুচ্ছে এলা।
চলবে।