Story – Every Thing Is Fair In Love And War Writer – Nirjara Neera . Part – 13

0
599

Story – Every Thing Is Fair In Love And War
Writer – Nirjara Neera
. Part – 13…………………….

অলোকের বিভ্রান্ত চেহেরা দেখে দারাহ বলে উঠল
.
— সম্রাট??
.
— হুহ!!
.
অলোক কি বলবে বুঝতে পারলো না।। দারাহ আর অলোকের জবাবের অপেক্ষা না করে মায়া কে অলোকের বিছানায় আস্তে করে শুইয়ে দিল।। তারপর অলোকের কাছে এসে বলল
.
— সম্রাট আমাকে মাফ করবেন।। কিন্তু এই মুহুর্তে ঈরানভা রাজকুমারী কে আপনার বেশি প্রয়োজন ছিল।। তাই দ্বিধা না করে নিয়ে এসেছি।
.
এই বলে আরো একবার মাথা নিচু করে সম্মান জানিয়ে নিঃশব্দে বেড়িয়ে দারাহ।।
অলোক এখনো দাড়িয়ে রয়েছে।। তার মনের মধ্যে উথাল পাতাল ঢেউ শুরু হয়ে গেছে।। হৃদপিন্ডে প্রচুন্ড শব্দে যেন বাজনা বাজছে।। সে ধীরে ধীরে মায়ার দিকে এগিয়ে এলো।। মায়া এখনো নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে।। তার পড়নে দুধের মত ধবধবে সাদা ও ফিন ফিনে একটা হাত কাটা জামা।। এই পোশাকে দেখে অলোকের দু চোখের চঞ্চলতা বেড়ে গেল।। সে কিছুতেই তার মন কে প্রবোধ দিতে পারছেনা।। অলোক হাত বাড়িয়ে মায়ার মুখের উপর পড়ে থাকা চুল গুলো সরিয়ে দিল।। তারপর হালকা ভাবে তার গাল স্পর্শ করতে লাগল।। কিন্তু তার মন টা ছটফট করছে।। অগত্য সে চট করে মায়ার কপালে একটা চুমু খেয়ে নিল।। মায়া শুধু ঘুমের ঘোরে কপালে হাত টা মুছল।। এরপর অলোক আবারো মায়ার নাকে চুমু দিল।। তারপর নজর পরল মায়ার ঠোটে।। চোখের পাতা দুটো কেপে উঠল অলোকের।। মায়ার একটু খানি হা করা ঠোট দুটো তাকে কাছে আসার আহবান করছে।। সে কিভাবে ফিরিয়ে দেবে?? স্পর্শ করতে গিয়ে যদি মায়া জেগে যাই?? তাহলে অলোক কে আরো বেশি ঘৃণা করবে।। সত্যিই কি তাই?? মায়া কি একটু ও বুঝবেনা অলোকের বুকের যন্ত্রনা।। সে তাকে কি পরিমান কষ্ট দিচ্ছে তা কি কোনো দিনও জানবেনা??
হালকা করে বুড়ো আঙ্গুলে অলোক মায়ার ঠোট স্পর্শ করল।। নিজের মনের কাছে হার মেনে মায়ার ঠোটের কাছে এগিয়ে গেল।। তারপর ছোট করে ঠোটের নিচে এক পাশে হালকা করে একটা চুমু খেল।। যাতে মায়া ঘুম না ভাঙে।। তারপর উঠে দাড়ালো।। নাহ্!! দারাহ এটা একদম ভালো কাজ করে নি।। আরো একবার মায়ার দিকে তাকালো।। অলোকের চুমু দেয়া স্থানে মায়া অনবরত হাত বুলাতে লাগল।। ঠোটের কোনে মুচকি হাসি ফুটে উঠলো অলোকের।। তারপর গায়ের উপর কম্বল টা টেনে দিল।। এবং সে তার আরাম কেদেরায় গিয়ে শুয়ে পড়ল।। মনে মনে মায়া কে বলল কালকে অনেক বড় দিন মায়া।। তৈরি থেকো।। শুভ কামনা তোমার জন্য।।
.
ভোর হতেই বার্বান রাজ প্রাসাদে সাজ গোজের বাহার শুরু হয়ে গেল।। ক্রমে ক্রমে লোকজন আসা যাওয়া শুরু করল।। চারদিকে উৎসবের আমেজ হতে লাগল।। কিন্তু কেউ বুঝতে পারলো না উৎসব টা কি!! রাণী ইরাভ আর ছোট রাজকুমারী অধরা প্রাসাদের সাজ দেখে অবাক হয়ে গেল।। কিন্তু কেউ জানেনা এত সাজ কিসের?? সে সময় সামনে দিয়ে কোনো কাজের জন্য হন্ত দন্ত হয়ে দারাহ যাচ্ছিল।। রাণী ইরাভ ডাক দিলেন
.
—- দারাহ!!!
.
ডাক শুনে দারাহ থমকে দাড়ালো।। তারপর নত হয়ে অভিবাদন জানালো।।
.
—- বলুন বড় রাণী!! আপনার জন্য বান্দা হাজির।
.
—- এত কিসের আয়োজন চলছে দাড়াহ??
.
একটু হেসে দারাহ জবাব দিল।।
.
—- বেয়াদবি নিবেন না।। তবে সম্রাটের নির্দেশ আছে কাউকে না জানানোর জন্য।।
.
—- আমি তার মা।। আমাকে জানাতে অসুবিধা কোথায়??
.
—- আবারো বেয়াদবি নিবেন না বড় রানী!! আমার কোনো অসুবিধে নেই।। সব সম্রাটের নির্দেশ, উনার অসুবিধা।।
.
এই বলে পাশ কেটে দারাহ চলে গেল।। আর রাণী ইরাভ দাঁত কিড়মিড় করে বলতে লাগল
.
—- এমন কি জিনিস যা নিজের মা কেও বলতে পারে না??
.
ঘুম থেকে উঠেই মায়া চমকে উঠেছিল তার চারপাশে আবারো অপরিচিত পরিবেশ দেখে।। কিন্তু চতুরতার সাথে দারাহ সেটা সামলিয়ে নিল।। সে জানালো যে রাতে কোনো বিশেষ কারনে এখানে আনা হয়েছিল।। কোনো সমস্যা নেই তাকে আবারো তার রুমে পৌছে দেয়া হবে।। মায়া মেনে নিল।। এখানে সে হাতের পুতুল ছাড়া আর কিছু না।। তাই চুপচাপ তাদের কথা শোনা ছাড়া তার আর কোনো কাজ নেই।।
তাকে তার কক্ষে নিয়ে আসা হলে সে চুপচাপ চারদিকে দেখতে লাগলো।। সে আগে খেয়াল করেনি।। কিন্তু তার কক্ষ টা বেশ বড়।। দক্ষিণ দিকে খোলা বারন্দা আছে।। সাথে লাগোয় এক টুকরা বাগান।। সেখানে একটা দোলনা রাখা।। চাইলে সে এখানে কিছু সময় কাটাতে পারবে।। তার সামনে হরেক রকম ফুলের বাগান।। ফুলের মিষ্টি গন্ধে সেখান টা মৌ মৌ করছে।। রং বেরংয়ের প্রজাপতি রা এখানে সেখানে উড়ে বেড়াচ্ছে।। এত কিছু দেখে মুহুর্তে মায়ার মন টা ভালো হয়ে গেল।। অনেক দিন পর তার শুকনো মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।। খুশি মনে মায়া দোলনায় বসে চড়তে লাগল।। লিয়া এসে মায়া কে চড়তে সাহায্যে করতে চাইল।। কিন্তু এই মুহুর্তে মায়া একা থাকতে চাই।। তাই তাকে চলে যেতে বলল।।
কিছুক্ষন ধরে মায়া এই সৌন্দর্য্য উপভোগ করছে।। সে সময় একটু মোটা সোটা ধরনের লম্বা ঘোমটা পরিহিত এক দাসী সামনে দাড়ালো।। মায়া ভ্রু কুচকে বলল
.
— কি চাই??
.
জবাবে কিছু না বলে দাসীটি একটা সিল বের করে মায়ার হাতে দিল।। মায়া হাত বাড়িয়ে সিল টি নিল।। সিল টি দেখেই মায়া চমকে উঠল।। একি!! এটাতো তাদের রাজকীয় সিল!! ঈরানভা রাজ্যের রাজকোষ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের সিল।। এ-এই সিল এই দাসী কিভাবে পেল??
কাপা কাপা চোখে দাসীটির দিকে তাকিয়ে বলল
.
—- তাহলে তুমি””””””
.
দাসীটি কথা শেষ হবার আগেই মাথা নাড়ল।। আর মায়া যা বোঝার বুঝে নিল।। তারপর ঝট করে দোলনা থেকে উঠে দৌড়ে কক্ষের দরজায় চলে গেল।। তারপর পাহারারত দুই কিন্নর সৈন্য কে জানালো যে সে এক জামা পরিবর্তন করছে।। না বলা পর্যন্ত যেন কাউকে কামরায় প্রবেশ করতে দেয়া না হয়।। এমন কি সম্রাট অলোক আসলেও যেন আগাম বার্তা দেয়া হই।।
.
তারপর আবারো এক দৌড়ে মায়া দাসী টির সামনে চলে আসল।। দাসী টি ততক্ষণে ঘোমটা খুলে ফেলেছে।। তাকে দেখে মায়ার চেনা চেনা লাগছে।।
.
—- তুমিই”””””
.
মাথা নত করে দাসী টি বলল
.
—- রাজকুমারী আমি বিভীষা পুত্র বীর।। আপনাকে এখান থেকে নিয়ে যেতে এসেছি।। তাই এই বেশ ধারন করেছি।। ঈরানভা রাজ্যে আপনাকে এখন খুবই প্রয়োজন।।
.
—- বীর!!!
.
মায়া বীর কে চিনতে পেরে হঠাৎ করে বীরের বুকে ঝাপিয়ে পড়ল।। তারপর তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধলল।। তারপর কাদো কাদো গলায় বলল
.
—- বীর আমি এখানে থাকবো না।। আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও।। এখানে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে।।
.
মায়ার আকস্মিক জড়িয়ে ধরায় বীর হতচকিত হয়ে গেল।। মায়া তার বাল্যকালের বন্ধু।। এক সাথে অনেক খেলা ধুলা করেছে তারা।। তার মা প্রায় সময় মায়া কে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসতেন।। কিন্তু মায়া কখনো তাকে এভাবে স্পর্শ করে নি।। তাই হঠাৎ এভাবে জড়িয়ে ধরায় সে অপ্রস্তুত হয়ে গেল।। তাই সে কোনো ভাবে মায়া নিজের বাহু থেকে ছাড়িয়ে বলল
.
—- রাজকুমারী আপনি শান্ত হোন।। নিজেকে সামলান।। আমি আপনাকে নিয়ে যেতেই এসেছি।।
.
—- কি-কি ভাবে?? ও-ওরা আ-আমাকে পাহারা দিয়ে রেখেছে।।
.
—- আপনি চিন্তা করবেন না।। সব আমার উপর ছেড়ে দেন।। আজ আপনার বিবাহ তে””””””
.
চমকে উঠে মায়া বলল
.
—- আ-আমার বিবাহ????
.
— জি রাজকুমারী!! আজ আপনার বিবাহ।। দেখছেন এত আয়োজন।। সব আপনার আর ওই বার্বান সম্রাটের বিবাহের আয়োজন!!
.
মায়া স্তম্ভিত হয়ে গেল।। তারপর ধীরে ধীরে চারদিকে তাকালো।। দেখল দাসীরা ঠিকই এসে তার কক্ষ কে সাজিয়ে গিয়েছে।। তারপর আবারো বড় বড় চোখে ঝট করে বীর কে শক্ত করে ধরে ভয়ার্ত গলায় বলল
.
—- বীর আমাকে এখান থেকে এক্ষুনি নিয়ে যাও।। আ-আমি ওই সম্রাট কে বি-বিয়ে করবো না।। আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও।।
.
—- রাজকুমারী আপনি একটু ধৈর্য্য ধরুন।। আপনার সাথে বার্বান সম্রাটের বিবাহ হবে না।। আমি নিয়ে যাব।। তবে তার আগে কেউ যেন আমার আভাস না পাই।। আমি সব প্রস্তুতি নিয়েছি।। আপনি হাসি মুখে বিবাহের জন্য তৈরি হোন।। সময় মত আমি আপনাকে নিয়ে যাব।।
.
—- বী-বীর!!!
.
—- আমার উপর ভরসা রাখুন রাজকুমারী!!!
.
ঠিক সে সময় কক্ষের দরজা খোলার শব্দ হল।। বীর তাড়াতাড়ি মাথার উপর ঘোমটা ফেলে দিল আর মায়া তার চোখ টা মুছে নিল।। তারপর দেখল কক্ষের মধ্যে সম্রাট অলোক প্রবেশ করছেন।। সাথে অনেক জন দাসী। তারা একে একে বিভিন্ন ডালা ভর্তি জিনিস নিয়ে আসল।। হঠাৎ অলোক কে দেখে ভয়ে মায়ার আত্মা বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম হল।। সে মনে মনে ঈশ্বর কে ডাকতে লাগল।। যেন অলোক কিছুই টের না পাই।।
.
অলোক প্রবেশ করতেই মায়ার দিকে তার নজর গেল।। মায়া মুখে জোর করে হাসি ফুটিয়ে রেখেছে কিন্তু মুখ টা ভয়ে শুকিয়ে গেছে।। মায়ার হাবভাব দেখে তার কিছুটা খটকা লাগল।। কারন মুখে হাসি থাকলেও চোখটা ফোলা ফোলা হয়ে অাছে।। ভ্রু কুচকে এগিয়ে এলো সে।। তার উপর মায়ার সাথে ঘোমটা পড়া একটা দাসী দাড়িয়ে আছে।। অথচ তার মহলে কেউ ঘোমটা পড়ে না।। এগিয়ে এসে ঘোমটা পরিহিত কে বলল
.
—- কে তুমি?? ঘোমটা পড়েছো কেন?? ঘোমটা তুলো দেখি??
.
মায়ার প্রাণ টা শুকিয়ে যাচ্ছে।। ধরা পড়লে বীরের জান টা চলে যাবে।। পানির তৃষ্ণা বেড়ে যাচ্ছে ভয়ে।।
.
—- কি বলেছি শুনো নি??
.
—- অ-অ-অললোক””””””””” উমমম!! স-সম্রাট!! ও ও ও বিধবা!! তা-তাই ঘোমটা!!
.
মায়ার কথা শুনে অলোক এক পলক মায়ার দিকে তাকালো।। মায়া প্রথম তাকে নাম ধরে ডেকেছে।। তাই আর সে কিছু বলল না।। ঘোমটা পরিহিত দাসী কে যেতে দিল।। সবাই চলে গেল অলোক হাসি মুখে মায়ার হাত টেনে নিয়ে দাসী দের রাখা ডালা গুলোর সামনে নিয়ে গেল।। মায়া বীরের কথা মত চুপচাপ রইল।। অলোক ডালা দেখিয়ে বলল
.
—- মায়া এসব পড়ে তৈরি হও।। আজ অনেক বড় দিন।। অনেক গুরত্বপূর্ন দিন।। ঠিক আছে।।
.
—- হুম
.
—- তোমার সব পছন্দ হয়েছে মায়া??
.
সব ডালা দেখিয়ে আমাকে বলতে লাগল।। সেখানে দামী দামী হীরা জহরত বসানো কাপড় গহনা সব ছিল।।
.
—- হুম!!
.
—- শুধু হুম বলছো কেন পছন্দ হয় নি??
.
—- না নাহ!!! খুব পছন্দ হয়েছে!!!
.
অলোক খু্শি হয়ে গেল।।
.
লিয়া আমার চুল সাজিয়ে দিচ্ছে।। অন্যান্য রাও আছে।। কেউ পায়ে মেহেদি দিচ্ছে, কেউ হাতে বালা দিচ্ছে, কেউ জামা ঠিক করে দিচ্ছে আবার কেউ চুপচাপ দেখছে।। সে আমাকে বার বার বলছে যে আমাকে দেখতে নাকি আকাশ থেকে নেমে আসা কোনো পরী মনে হচ্ছে।। শুনে একটু করে হাসলাম।।।
লিয়া বলতে লাগল যে আমার চাইতে অপরুপা কন্যা সে আর দেখে নি।। সবুজাভ চোখের সাথে সবুজাভ ঘাঘরা আর পাতলা ফিন ফিনে ওড়না।। তার সাথে হীরা মুক্তা পান্নার গহনা।। আমাকে নাকি সবুজ কোনো পরী বলে মনে হচ্ছে।। সম্রাট নাকি আমাকে দেখলে পাগল হয়ে যাবে।। আমাকে খুব ভালোবাসবে।। আমি নাকি খুব সুখে থাকবো।। মনে মনে বললাম বিয়ে করলেই তো সুখে থাকবো।।
.
বার্বান রাণী ইরাভ আর রাজকুমারী অধরা আমার সাথে দেখা করতে এসেছিল।। কিন্তু অলোকের কঠোর নিয়মের কারনে তারা আমার দেখা পাই নি।। হতে পারে।। লিয়ার কাছে শুনেছি।। আমার অত কিছু নিয়ে চিন্তা নেই।। বীর কি করবে সেটা নিয়ে চিন্তা।।
.
আজ পুরো বার্বান রাজ প্রাসাদ ঝলমল করছে।। যেন কোনো রাজা রাজ্যে জয় করে ফিরে এসেছে।। উৎসব মুখর হয়ে আছে চারদিক।। বিন্দু মাত্র বিষন্নতার ছাপ কোথাও নেই।। কিন্তু এত আয়োজন কিসের তা কেউ বলতে পারে না।। শুধু জানে এটা সম্রাটের নির্দেশ।। রাণী ইরাভ মুখে কিছু না বললেও অন্তরে ভীষন অসন্তুষ্ট।। কি কারনে এত বড় অনুষ্টান হচ্ছে তা মহলের রাণী হয়েও সে জানে না।।
.
সময়ের সাথে অলোক এলো অনেক টা যোদ্ধা বেশে সৈনিক পরিবেষ্টিত হয়ে।। কালো পোশাকে তাকে আরো ভয়ঙ্কর লাগছিল।। তার উপর অলোকের নির্লিপ্ত রুদ্র চেহেরা এবং বড় বড় ঢোলের দুম দুম শব্দ চারপাশে থম থমে পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।। অলোক দরবার কক্ষে প্রবেশ করতেই সবকিছু নিশ্চুপ হয়ে গেল।। এরপর দরবার কক্ষ থেকে বড় একটা কক্ষে প্রবেশ করলো অলোক।। বিরাট এই কক্ষে খুব সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে।। কক্ষের মাঝ বরা বর বেদীর মত তৈরি উচু স্থানে গিয়ে উঠে বসলো অলোক।। তার সামনে অপরিচিত কয়েক জন আলখেল্লা পরিহিত জপমালা হাতে বৃদ্ধ বসে আছে।। সবাই এখনো বুঝতে পারছেনা অলোক কি করতে যাচ্ছে।।
অলোক তারপর ধীরে ধীরে একজন দাসীর কানে ফিস ফিসিয়ে কিছু একটা বললেন।। দাসী সাথে সাথে চলে গেলেন।।
.
মায়া এখনো তার রুমে।। চিন্তায় তার মাথা ফেটে যাওয়ার মত উপক্রম হয়েছে।। এত দামী রাজ পোশাক গহনা তার চিন্তা বিন্দু মাত্রও দূর করতে পারছেনা।। ভাবছে যদি কোনো কারনে পালাতে অসমর্থ হলে ওই নিষ্টুর বার্বান সম্রাট কে বিয়ে করতে হবে।। সেই সাথে বীরের প্রাণ টা যাবে।। ভয়ে তার হৃদপিন্ডে হাতুরী পেটার মত শব্দ হচ্ছে।। গলাটা শুকিয়ে যাচ্ছে।। বার বার তার পানির তেষ্টা পাচ্ছে।।
.
(চলবে)
.
কাল সকাল আট টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত এক নাগাড়ে কাজ করেছি।। সকালে স্কুল, বিকালে রাত নটা পর্যন্ত টিউশনি থাকে।। কিন্তু কাল দুপুরেও জিরোবার সময় পাইনি।। বেড়িয়ে যেতে হইছে কাজে।। রাত ১০:৩০ টায় ফেবু তে ঢুকসি।। সন্ধায় একটু সময় পেয়ে বলছিলাম গল্প দিতে পারছিনা।। গল্প অর্ধেক লিখছিলাম।। তাই দিই নি।। ধৈর্য্য ধরার জন্য অধৈর্য্য আর ধৈর্য্য উভয় দের ধন্যবাদ জানায়।।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here