Thing Is Fair In Love And War Writer – Nirjara Neera ………………… Part – 8

0
636

Story – Every Thing Is Fair In Love And War
Writer – Nirjara Neera
………………… Part – 8………………………..

প্রায় ঘন্টা খানেক সময় ধরে তাবুতে বন্দি মায়া।। তাবু তৈরি হলে অলোকের নির্দেশ অনুযায়ী মায়া কে আলাদা তাবুতে রাখা হয়।। সেই সাথে কঠোর পাহারা।। কিছুতেই মায়ার এসব ভালো লাগছিল না।। তার মনে শুধু ঘুর পাক খাচ্ছিল যে কিভাবে এখান থেকে পালানো যায়?? কিভাবে অলোকের হাত থেকে ছাড়া পাওয়া যায়।। কিন্তু ব্যাপারটা অত সহজ না।। অন্তত এ ভাঙা পা নিয়ে।। পা টা সত্যিই ভেঙে গিয়েছে কিনা কে জানে?? নাকি শুধু মচকে গিয়েছে।। মায়া পা টাকে একটু নাড়িয়ে হাটতে চাইল।। উফফ্!! ও বিভীষা!! তুমি কোথায়??? কি যে ব্যাথা!! অল্প নাড়াতেই যেন ব্যাথা বেড়ে গেল।। এ পা নিয়ে সে কিভাবে পালাবে??
.
ভাগ্যও যেন তার সহায় হচ্ছে না।। অবশ্য পা ঠিক থাকলেও যে মায়া পালাতে পারবে সেটাও কোনো নিশ্চিত না।। আর এটা মায়া ভালো করেই জানে।। কারন অলোক যেভাবে পাহারাদার দিয়েছে একটা পিপড়া পর্যন্ত বের হওয়ার সুযোগ নেই।। মনে মনে কিছু চিন্তা করল মায়া।। যদি এখান থেকে পালাতে হয় তাহলে সময় নিয়ে পালাতে হবে।। আর এত কঠোর পাহারার মধ্যে সেটা কখনো সম্ভব নাহ্।। তাই মায়া ঠিক করল যে ভোর রাতের আগেই এখান থেকে পালাবে।। কারন তখন সবাই ঝিমিয়ে থাকবে।। তার দিকে নজর রাখার শক্তি কারো থাকবেনা।। মনে মনে এটা ঠিক করে মায়া শুয়ে পড়ল।। পালানোর আগে কিছুক্ষন ঘুমানো যাক।। তাহলে পালাতে শক্তি পাবে।।
.
সৈন্যরা তার জন্য খাবার রেখে গিয়েছিল।। কিন্তু যেভাবে রেখে গিয়েছিল সেভাবে রয়েছে।। ছুয়েও দেখেনি সে।। ভোর রাতে পালাতে গিয়ে কি কি করবে সেটা ভাবতে ভাবতে মায়ার চোখে ঘুম নেমে এলো।।
সমস্ত কাজ শেষে অলোক যখন মায়ার তাবুতে প্রবেশ করল তখন মায়া গভীর ঘুমে তলিয়ে আছে।। সে তাবুতে প্রবেশ করতেই তার নজর গেল খাবারে।। মায়া খাবার গুলো বিন্দু মাত্র স্পর্শ করেনি।। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল কিন্তু মুহুর্তেই তার ঠোটের কোনে হাসি ফুটে উঠল।। ধীরে ধীরে মায়ার কাছে এগিয়ে গেল।। মায়ার পাশে বসে মায়াকে দেখতে লাগল।। তার খুবই লোভ হচ্ছে মায়া কে একটু খানি স্পর্শ করার।। কোন ভাবেই সে নিজের উপর ভরসা করতে পারছেনা।। ক্ষতি কি?? শুধু একটু খানিই তার গাল টা ছোবে।। সেটা কোনো দোষের না।। মনে মনে ভাবল অলোক।। মায়ার গাল ছুতে গিয়ে অলোক খেয়াল করল মায়ার চেহারার মধ্যে সে প্রশান্তি টা নেই যেই প্রশান্তি ঘুমন্ত মানুষের চেহেরার মধ্যে থাকার কথা।। যেন কোনো ব্যাথায় কাতর।।
.
ব্যাথার কথা মনে উঠতেই অলোকের মনে পড়ল যে মায়ার আহত পায়ের কথা।। তাই সে দ্রুত উঠে মায়ার পায়ের কাছে গেল।। কিন্তু পায়ের দিকে নজর পড়তেই ঝট করে সে চোখ বন্ধ করে ফেলল।। কারন ঘুমন্ত অবস্থায় মায়ার পায়ের উপর থেকে ঘাঘরা টা খানিকা উপরে উঠে গেছে।। আর তাতে মায়ার ফর্সা লোভনীয় পা টা অলোক কে প্রচুন্ড ভাবে কাছে টানছে।। ইশ!!!! তার প্রচুন্ড কষ্ট হচ্ছে।। এই মুহুর্তে মায়াকে তার কাছে চাই, স্পর্শ করতে চাই, চুমু খেতে চাই, এমন ভাবে বুকের সাথে পিষে ফেলতে চাই যেখানে শুধু মায়া অলোক ছাড়া আর কাউকে দেখতে পাবে না।। জীবনে কোন নারী কে অলোক স্পর্শ করে নি।। এমনকি মহলের অতীব সুন্দরি নারীরা তার কাছে নিজেকে সমর্পন করে দিলেও অলোক ফিরে তাকাতো না তাদের দিকে।। যখন মহলের অন্যান্য পুরুষ রা ২/৩ টা নারী ছাড়া রাত কাটাতে পারতো না সেখানে অলোক ওই সব নারী থেকে মুখ ফিরিয়ে চলে আসতো আর বিভোর হয়ে থাকতো মায়ার স্বপ্নে।। কখন সে মায়া কে পাবে?? কখন সে মায়া কে স্পর্শ করতে পারবে??
.
তর সইল না অলোকের।। মায়ার পায়ের কাছে বসেই চুমু দিতে লাগল।। উহ্!! এত মিষ্টি কেন লাগছে!! কেন যে তাকে নেশার মত পেয়ে বসছে?? মনে হয় এ থেকে যেন নিজেকে সে ছাড়াতে পারবেনা।। আরো গভীর মনোযোগে চুমু খেতে লাগল অলোক।। যেন কোন নেশা পেয়ে বসেছে।। সত্যিই তাই!! জীবনে প্রথম কোন মেয়ের শরীরে চুমু খাচ্ছে।। যেটা তাকে নেশার মত পেয়ে বসছে।। একটু একটু করে উপরে উঠতে লাগল।। ঠিক তখন হাটুর কাছাকাছি আসতেই পায়ের আঘাত টা নজরে পড়ল অলোকের।। মুখ তুলে তাকালো অলোক।।
.
মায়ার মুখ এখনো এই ব্যাথায় কাতর সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। ধীরে ধীরে অলোক আঘাতের স্থানে আলতো করে হাত বুলালো।। তারপর তাবু থেকে বেড়িয়ে গেল।। কিন্তু কিছুক্ষন পর একটা ছোট্ট কোটা নিয়ে ফিরে এলো।। ঔষুধের কোটা।। যেটা যুদ্ধে আঘাত প্রাপ্ত সৈন্যদের লাগিয়ে দেয়া হয় যাতে ব্যাথা কমে দ্রুত সেরে উঠতে পারে।। কোটা টা হাতে নিয়ে অলোক আবার পায়ের কাছে বসল।। কোটা হাতে নিয়ে অনেক কষ্টে নিজেক সংযত করল সে।। তারপর মায়ার পায়ে ঔষুধ লাগিয়ে দিল।। লাগিয়ে দিয়ে অলোক সেখানে সে অার অপেক্ষা করল না।। কারন মায়া তার ধৈর্য্য বাধ ভেঙে দিবে।।
.
তাবু থেকে বেড়িয়েই অলোক ঘোড়া ছুটিয়ে চলল।। সেনাপতি সহ প্রায় সবাই একটু চমকে উঠলেও অবাক হল না।। কারন তারা অলোকের এরকমে আচরনে অভ্যস্ত।। মিনিট পাচেক পরে সে এক ঝরনার উপরে দাড়ালো।। ঘোড়া কে ছেড়ে দিয়ে অলোক বিন্দু মাত্র দেরি করল না।। উপর থেকে নিচের পাহাড়ি খরস্রোতা নদীতে ঝাপিয়ে পড়ল।। তার এই মুহুর্তে মায়া কে ভোলা প্রয়োজন।। প্রথম দেখাতেই মায়া তার ঘুম কেড়ে নিয়েছে।। দ্বিতীয় দেখাতে কেড়ে নিয়েছে তার হুশ না জানি মায়া আর কি কি কেড়ে নেবে অলোকের??? না জানি নিঃস্ব বানিয়ে ছাড়ে অলোক কে।।
.
(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here