তোর দিওয়ানা শুধুই আমি😎 #My madness love😍 #লেখিকা_তামান্না #পার্ট_11

0
368

#তোর দিওয়ানা শুধুই আমি😎
#My madness love😍
#লেখিকা_তামান্না
#পার্ট_11

In london💗….




সম্রাট দুই হাত পকেটে গুজে সোহেল কে নিয়ে দাড়িয়ে আছে এক সিটিস্কেন রুমের সামনে। সোহেল ইয়া বড় বড় চোখ করে দরজার দিকে তাকায় আছে। সম্রাট একবার দরজার দিকে তাকিয়ে সোহেলের দিকে তাকায় মুচকি হাসি দেয়। সোহেল দরজার দিকে তাকানো অবস্থায় সম্রাটকে উদ্দেশ্যে করে বলে…..

সোহেল:::: ব…ব…বস এই রুমটা কিসের?? (চরমভাবে অবাক হয়ে )

সম্রাট মুচকি হেসে বলে :: সিটিস্কেন রুম। কাম অন ইউড মি।

সোহেল সম্রাট ভেতরে ঢুকতেই দেখে দরজার মধ্যে থেকে এক ফ্রেম বের হয়ে সম্রাটের সামনে আসে। এতে ফ্রেমটা সম্রাটের আইস স্কেন করতেই দরজা খুলে যায়। ভেতরে ঢুকে সোহেল চারপাশ তাকাতে থাকে।

সম্রাট সেখানে থাকা কম্পিউটারের মধ্যে স্ক্রিনে ভেসে উঠা সার্চে কার্ড স্ক্রিন লেখে। সোহেলও তার পাশে এসে দাড়ায়। সোহেল আশ্চর্য হয়ে বলে….

সোহেল::: বস এখানে সার্চ করলে কি হবে??

সম্রাট বাকাঁ হেসে বলে ::: কার্ডের রুপ বের করবো।

সোহেল বেকুবের মতোন হয়ে বলে ::: কার্ডের কি ভালোবাসাও থাকে??

সম্রাট শুনে ভ্রু কুঁচকে সোহেলের দিকে তাকিয়ে বলে :::: ওয়াট ননসেন্স কি বলিস?

সোহেল ভাবনা নিয়ে কথাটা বলেছিলো সে সম্রাটের শক্ত গলা শুনে নড়েচড়ে উঠে। সে নিজের দুই হাত পিছে নিয়ে একএ করে এন্টেশন দিয়ে বলে :::: বসস আমার মন জানতে চাই এটা কেন করা হচ্ছে?

সম্রাট::; তোরে (কম্পিউটারে টাইপিং আর ক্লিক করে )স্ক্রিন করে ফ্রিজে ঢুকানোর জন্যে কাজ করতেছি। তোরে ঐ যে (তর্জনী আঙুল দিয়ে ইশারা করে ফ্রিজের দিকে দেখায়) ওখানে বেধে ঠান্ডা করবো কেমন?? ( ব্রাশর্মাকা স্মাইল দিয়ে)

সোহেল এ কথা শুনে এন্টেশন থাকা অবস্থায় এক ঢোক গিলে বলে::: বস আমাকে না কার্ডকে করেন!!

সম্রাট মুচকি হেসে সোহেলের পিঠে ঠাসস করে এক বারি দে। এতে সোহেল বেচারা আউচচচ কি রে ভাই? তোর সাথে আর পারি না !! এমন কাজ যে করিস সব মাথার উপর আকাশ দিয়ে যায়।

সম্রাট:: হুমম তোর জন্যে অবশ্যই যাবে। আকাশ ভরা তারা ,,,পুকুর ভরা মাছ,,,গোয়ালভরা গরু,,,ড্রেনভরা ময়লা পানি,, দিনভরা ব্যস্ততা,, সবুজেভরা ঘাস।

সোহেল চোখজোড়া দুইহাত দিয়ে কুচলিয়ে নিজের কানের ঝেড়ে বলে ::: ভাই এতো লজিক কোথার থেকে আসে তোর??

সম্রাট:: মস্তিষ্ক কি বেচে আছে নাকি বেচে নেই??

সোহেল বেকুবের মতো হয়ে বলে:::: হ্যাঁ তা ত আছে তোমার মাথায়,,,আমার মাথায় (টেডি স্মাইল দিয়ে)।

সম্রাট চোখ ঘুরিয়ে বলে ::: হয়েছে??

সোহেল ঠোটে আঙুল দিয়ে নিজের মাথা এপাশওপাশ নাড়িয়ে হ্যাঁ সূচক ইঙ্গিত করে। সম্রাট টাইপিং শেষ করে এন্টার ক্লিক করে। তখনই নিচের ফ্লোর ফাকা হয়ে একটা গোল চক্রের রেখা বের হয়। সম্রাট কার্ডটা নিয়ে সেই চক্রের মাঝে রাখে। সে দাড়িয়ে সোহেল কে ইশারা করে তাকে নিয়ে এসে দাড়ায় দরজার সামনে। সেখানে লাগানো আছে থ্রি ডি সানগ্লাস। এর মধ্যে থেকে দুইটা নিয়ে একটা নিজে পরে নেয় আরেকটা সোহেলকে দে। সে পরে সম্রাট কে কিছু জিগ্গেস করবে তার আগেই সম্রাট ওকে হাত দিয়ে ইশারা করে বলে ওয়েট।

সম্রাট দরজার পাশে এসে লাইট অফ করতেই উপরের অংশ হতে গ্রীন কালারের সেডো কার্ডের উপর পরে। সম্রাট আর সোহেল দাড়িয়ে থাকে। তখন গ্রীন লাইটের আবেশে কার্ডের প্রকৃতি সামনে থাকা স্ক্রিনে অটোমেটিক্যালি ভেসে উঠে। সোহেল অবাক হয় বলে…..

সোহেল::: Veleniya loya এই মেয়ে নাকি??

সম্রাট ভ্রু কুচকে তার দিকে তাকিয়ে বলে::: ত কি এমন হলো??

সোহেল ::: আরে বস এই মেয়ের নাম ত বাংলাদেশের শিরোনাম!! দেশের বেশির ভাগ খারপ ছেলেদের নিহত করেছে ইনি। আর আমরা ত….

সোহেল বাকি শব্দটা বলা আগেই সম্রাট বলে::: ডাইরেক্ট এনকাউন্টার (ডেভিল স্মাইল দিয়ে)। আর কি কি জানো?? (সামনের স্ক্রিনে নামের দিকে তাকিয়ে দুই হাত বুকের উপর গুজে)

সোহেল ::: জ্বী বস এই মেয়েটা এ পর্যন্ত অনেক খারাপ ছেলে মেয়ে কে মেরেছিলো তবে সেটা খুন না যাস্ট হাতে পায়ে মারার মতোন। Just like those five boys..

সম্রাট সোহেলের কথা শুনে শুধু নিজের মাথা উপরনিচ নাড়ে আর মনে মনে বলে….

সম্রাট::: মেয়েটা বাইরে ভেতরে অনেক ভিন্ন। সব ঠিক দেখা গেলেও কিছু একটা তো অভিন্ন আছে। তবে কি সেটা??

সোহেল কথা শেষ করে সম্রাটের দিকে তাকায় দেখে সে ভাবনামগ্ন। এ দেখে সোহেল হালকা কাশি দিয়ে বলে ::: আহ বস কি হলো?? কোথায় ভাবতে লেগে গেলেন??

সম্রাট সোহেলের দিকে তাকিয়ে স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস ছেড়ে উহম কিছু না এমনেই। চল কার্ডের মালিকানা কে খুজার ব্যবস্থা করি।

এ বলে তারা রুমের বাইরে পা রাখতেই দরজা অদৃশ্য হয়ে সিক্রেট ডোর হয়ে যায়। সোহেল আচমকা এমন ভাবে বন্ধ হওয়ায় ভয় পেয়ে যায়। যা সম্রাটের নজর এরায় নি। সম্রাট দেখেও না দেখার ভান করে দুষ্টুমির ফেস করে বলে::: Scary???

সোহেল ::: No Brave!!!(দাতঁ কেলিয়ে হাসার ট্রাই করে)

সম্রাট::: হুমম গুড লেটস গো।

সম্রাট শিস বাজিয়ে বাজিয়ে গাড়ির কাছে এসে দাড়িয়ে ফোন বের করে টাইম দেখে বলে ::: ওওও শিট মিটিং।

এ বলে তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠে রওনা দে। সোহেল দেখে ::: ও বাবা যাক বস বুঝে নি আমি যে ভয় পেলাম। নইতো আমার ঠাং কিসতো। বাট এভাবে গেলো কই?

সোহেলের পাশে বডিগার্ড র্গান নিয়ে দাড়িয়ে ছিলো সে সোহেলের সব কথা শুনে বলে ::: Sir, the boss didn’t listen it but i did… (এটেনশন অবস্থায় থেকে না হেসেই বলে)

সোহেল চোখজোড়া ছোট করে দুই হাত পকেটে গজে বলে ::: anything else??

গার্ড::: No Sir…

সোহেল নিজের চোখ ঘুরিয়ে ভেতরে চলে যায়।

🌸🌸

এদিকে…..

রোয়েন বসেই আছে সালমানের জন্যে। সে বার বার বড় ঘড়ির দিকে তাকিয়ে আবার ফোনের দিকে নজর দেই। সে মুখ ফুলিয়ে সোফার মধ্যে হেলান দিয়ে দুইহাত বুকের উপর গুজে বিড়বিড় করে বলে……

রোয়েন::: এক ত নিজেই উধাও হয়ে যায় উল্টা আমাকে শুনায় যে আমি কেন উধাও হয় !! আজকে আসুক। তার একদিন কি আমার একদিন দেখায় দিবো।

তখন মিসেস এলিনা রোয়েনের কণ্ঠ শুনতে পেয়ে কিচেন থেকে বের হয়ে আসে। তিনি অবাক হয়ে তার কাছে এসে বলে::: My son….what happend?? Why are you looking so angry??

রোয়েন মিসেস এলিনা দেখে বলে:: Nothing mom just angry for my enemy friend…

মিসেস এলিনা মুচকি হেসে বলে ::: Hum you and Salman best friends for ever..

মিসেস এলিনা আর রোয়েনের কথার মাঝেই সালমান এসে রোয়েন পিঠে বসিয়ে ধপাস করে ঠাসসস। রোয়েন এমনেতেই রেগে ছিলো সালমানের উপর সেই সাথে এই রকম ভাবে মারায় সে সালমানের পিঠেও ঠাসসসস করে বসিয়ে দে। এতে কি দুইজনই বডি ব্লডার। এই মারাতে যে কিছুই হবে না তা তারা নিজেরা জানে।

মিসেস এলিনা কথা শেষ করেই চলে যায় কিচেনের দিকে খাবার রেডি করতে। সালমান রোয়েনের দিকে তাকায় বলে ::: কিছুই হয় নি।

রোয়েন:: সেইম হিয়ার টু উহ।

সালমান::: তুই মেয়েদের সাথে থাকতে থাকতে ওদের মতো শিখে গেছিস শেষ পর্যন্ত বাহ শাবাস। আইম সো হাসি পাচ্ছে টু ইউর উপর। (ব্রাশর্মাকা স্মাইল দিয়ে)

রোয়েন::: বদমাইজ কোথায় ছিলি?? হুমম কাকে পটাইছিস কি করছিস কার সাথে রুমে টাংকি মারলি??

সালমান ব্যবলাকান্তের মতো হয়ে বলে;:: কি বলছিস এসব আজেবাজে কথা?? তুই জানিস আমি কেমন?? তাও।

রোয়েন :: হহহ আমি ত জানি তুই কেমন নাম্বার ওয়ান দেবদাস।

সালমান ::: ধুর বাল তুই হবি আরকি দেবদাস তাই আগে থেকে মুখ থেকে বের করে ফেললি। (দাত কেলিয়ে)

ওরা আর কিছু বলবে তার আগেই মিসেস এলিনা এসে বলে::: Lunch is ready..Please come and take..

এ বলে উনি চলে যায়। উনার সাথেই ড্রাইনিং টেবিলে খেতে বসে যায় দুইজনই।

🌷🌷

In Bangladesh💗…..




নীল সাওয়ার করে এসে রেডি হয়ে আয়নার সামনে এসে নিজের চুলগুলো হাত দিয়ে এলোমেলোভাবে নাড়িয়ে::: Im the hero…yooo..

নীল::: ধুর কি বলি?? কার হিরো হবো??

নীলের এমন কথার মাঝেই ফোন আসে। এতে সে শিস বাজিয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখতেই চোখ গোলা হয়ে যায়। কারণ ফোনের স্ক্রিনে ভেসে উঠছে তামান্নার বিশ মিসকল্ডস এন্ড টেন এসএমএস। সে ভয়ে এক ঢোক গিলে বিড়বিড় করে বলে….

নীল::: আজকে আমাকে সাপের লেজ দিয়ে বেধে ঝুলাবে। আমি ত ভুলেই গেছিলাম এরে কল দেওয়ার কথা। ওও হ্যাঁ বক্স।

সে তড়িঘড়ি করে পেন্টের পকেট থেকে বক্সটা বের করে খুলে দেখে সেখানে একটা চিরকুট এর নিচে একটা গোল্ডেন কালারের কয়েন। সে দেখে ব্যবলাকান্তের মতো হয়ে বলে ::: তামান্না আমাকে পয়সা দিছে?? এ আল্লাহ মেয়েটা কি?? পয়সা দিসে আমার এতো বড় বাড়ি,, গাড়ি,,। এ কিনা আমাকে পয়সা দিলো। দাড়া বেটি বজ্জাত কল দিতাছি।

🌸🌸

এদিকে…..

তামান্না তাসনিমের সাথে মিলে বাসাটাকে সাজিয়ে ফেলে একদম জাকজমকভাবে। মিসেস নাইম কিচেনের কাজ দেখছিলো। নিরু আই মিন তাসনিম সব স্টাফদের নাম লিস্টে লিখে তামান্নাকে দেখায়। তামান্না দেখে বলে….

তামান্না ::: হুমম এই বিশজন স্টাফের মধ্যে দুইজন গেইটের মধ্যে ফুল নিয়ে দাড়িয়ে থাকবে যখন সবাই ভেতরে আসবে তখন ফুলের তুড়ি গুলো তাদের উপর দিয়ে অভিনন্দন জানাবে। আর বাকিরা পানি-জুস- খাবার পরিবেশনের কাজ করবে।

নিরু::: ওকে দিই। আমি দুইজন সিলেট করি বাইরের গেইটে দাড়ানো জন্যে।

তামান্না :: ওকে যা।

এ বলে দুইজন কাজে লেগে পরে। তাদের কনভারসেশন সেই গাড়িতে বসে থাকা ব্যক্তি টা তাদের বাসার গ্লাস দিয়ে দেখে আর শুনে। সে ডেভিল স্মাইল দিয়ে বলে::: এখন কাজটা নিখুঁতভাবে হবে।
সে ডাস্টবিনের উপর রাখা বক্সটা হাতে নিয়ে স্টাফদের রুমের দিকে চুরিচুপে ঢুকে তাদের মতো সেজে বের হয়। শুধু মুখের উপর মাস্ক পরে রাখে।

তামান্না দেওয়ালের মধ্যে ফুলের নকশা বানাছে বিভিন্ন কালার দিয়ে তখন পাশের রুম থেকে তার ফোন বেজে উঠে। সে ফোনের সাউন্ড শুনতে পেয়ে সেখান থেকে উঠে রুমে এসে দেখে ফোন বেজেই যাচ্ছে। সে ফোন উঠায় দেখে নীল নাম লেখা স্ক্রিনে ভেসে আসছে।

তামান্না একরাশ রাগ নিয়ে কল ধরে কিছু বলবে তার আগেই নীল বলে::: ওইই হারামজাদী আমি কি ফকির যে একটা কয়েন দিলি?? হুমম। এটাই সেই বক্স ছিলো যার জন্যে তুই আমাকে গালি দিছিস।

তামান্না শুনে বলে:: ওইই এতোক্ষণ ধরে বকবক করেই যাছিস আমার কথা ত শুনবি না শোনে নিজের আজাইরা কথাবার্তা বলা শুরু করছিস। বেকুব গাধা।

নীল শুনে::: আচ্ছা ত বল কি বলবি?

তামান্না মাথা শান্ত করে বলে:: চিরকুট দেখছিস?

নীল শুনে মনে মনে :: আবারো মিসটেক। আরে হ্যাঁ দেখছি ত। বুঝেছি কিন্তুু কেন? (আমতা আমতা করে হাসার ট্রাই করে বলে)

তামান্না নীলের এসব আমতা আমতা গিরি বুঝে যায়। এতে সে চোখ ঘুরিয়ে বলে ::: ফাস্ট ত চিরকুট দেখিস নি সেকেন্ড কয়েন দেখে লাফিয়ে উঠছিস তোর মতোন গাধা আমি আমার জীবনে দেখি নি।

নীল উদাস কণ্ঠে বলে ::: সরি।।

তামান্না মুচকি হেসে বলে::: আরে ইটস ওকে। এখন শোন চিরকুটে লেখছিলাম আজ রাতে তোর আর নিলার স্পেশাল ডে সো মোর এগ্রিমেন্টস। আর কয়েন টা শুধু পয়সা না সেটা ভালো করে খেয়াল করে দেখ।
আলোর সামনে নিয়ে বুঝবি। আপাত রাখি কাজ আছে। আল্লাহ হাফেজ।

নীল:: ওকে দেখতেছি। আল্লাহ হাফেজ।

তামান্না কথা শেষ করে বের হবে তখনই ওর লাগে কে যেনো তাকে দেখছে। সে পিছে ফিরতেই কাউকে দেখতে পাই না। তামান্না একে ভ্রাম ভেবে নিচে চলে আসে।

তখন তামান্নার রুমে থাকা আড়াল করা লোকটা ডেভিল স্মাইল দিয়ে বক্সটা তামান্নার বেডে বালিশের উপর রেখে বেরিয়ে করিডোরের সামনে এসে নিজের ফোন হাতে নিয়ে একটা নাম্বারে এসএমএস করে ::: The work is done…

তারপর……..

…………চলবে………..😈

[বিঃদ্র::: উহ দিলাম সবাই এই গল্পের অপেক্ষায় ছিলেন। কেমন হলো জানাবেন সাথে লাইক কমেন্ট এন্ড শেয়ার করে পড়ুন😄। বাট কেউ কপি করে নিজের নাম ইউজ করবেন না😑। তাহলে কিন্তু মাফিয়া কুইন কে কল দেবো হুমম😜।।। হেপি রিডিং 😊 নিচের লিংকে জয়েন করুন]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here