তোর দিওয়ানা শুধুই আমি😎 #My madness love😍 #লেখিকা_তামান্না #পার্ট_13

0
348

#তোর দিওয়ানা শুধুই আমি😎
#My madness love😍
#লেখিকা_তামান্না
#পার্ট_13

🌺🌺
Sunday evening time in bangladesh😍…..




তামান্না দুইহাত বুকের উপর গুজে নিলাকে দেখছে। নিরু ঠোট উল্টিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই চেয়ে আছে। আর নিলা সে ত পেটে হাত দিয়ে বসে আছে। তিনজনের মাঝে এতই নিরবতা মেনটেন হচ্ছে যেনো এরা আজই মাএ পরিচিত হলো কেউ কাউকে চেনে না এমন ভাব।

তামান্না নিরবতা ভেঙে নিলার পাশে গিয়ে বসে তার হাত মুঠিবদ্ধ করে বলে ::: কে তোরে এমন বলছে?? (শান্ত কণ্ঠে তবে গম্ভীর ভাব নিয়ে)

নিলা চোখ গোল গোল করে তামান্নার দিকে দৃষ্টি আকষর্ণ করে দেখে মেয়েটা তার দিকে শান্ত তবে ভেতরে কিছু না কিছু চলছে। এমন ভাব দেখে নিলা মনে মনে…..

নিলা::: কোথায় যেনো শুনেছি খারাপ কিছু শুনে যখন সামনের মানুষটা খুব সুন্দর কণ্ঠে ভালো দেখায় তখন এক নাগাড়ে মেনে নিতে হবে তার ভেতরে আগুন জ্বলছে। এখন কি তামান্নার ভেতরে জ্বলছে তা না জানা আমি!! (নিজের চোখ ঘুরিয়ে উদাস হয়ে )

তামান্না নিলাকে চুপ থাকতে দেখে এবার ধমক দিয়ে বলে ::: ওই কুকুরনী তোরে কিছু জিগ্গেস করছি?? (ভ্রু কুচকে রেগে গিয়ে) কে বলছে তোরে এমন?? বলবি নাকি আমি এর ব্যবস্থা করবো?

নিলা করুণ নয়নে তামান্নার দিকে তাকায় সে নিলার করুণ চোখ দেখেও গলে নি উল্টা আরো ঝাড়ি স্বরুপ বলে ::: তোর নয়ন নয়ন চোখজোড়া নীল কে যেয়ে দেখাস আমাকে না!! (রাগে দাতঁ কটমট করে) তুই বল হারামজাদী!?
(নিজের রাগ থামানোর জন্যে নিলা হাত ছেড়ে নীজের কাপড় চেপে ধরে)

নিরু চোখজোড়া নিভু নিভু করে সোফার মধ্যে গা হেলিয়ে বসে আছে। তার থেকে আপুদের এসব কথা সব আসমানের উপর দিয়ে যাচ্ছে এমন অবস্থা। আপু দের কথায় ডিস্টাব না হোক এই ভেবে আস্তে করে নিলার কাবার্ড থেকে একটা জিন্স আর হাতফুল টি-শার্ট নিয়ে গেস্ট রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিলার রুমে আরেক পা আগাবে তার আগেই একদিকে তার নজর পরে যায়। সে তা দেখে চোখজোড়া বড় করে খুশিতে মেতে উঠে। সে নিলার দরজার দিকে তাকিয়ে বলে ::: আপুদের কথা আপুরাই জানে আমার কি?? তখন ফ্ল্যাশব্যাক করে কে কাকে দেখছে কি বলছে আপু?? কিছুই বুঝলাম না আমি (উদাস হয়ে মাথা হেলিয়ে )

নিরু জিন্সের পকেটে হাত দিয়ে ঠোটঁ উল্টিয়ে সেই রুমের দিকে যায়।

নিলার রুমে তামান্নার উওর দিতে পারচ্ছে না নিলা। সে মুখ নিচে করে আসে। তামান্না নিলার উপর যতোই রাগ করুক না কেনো নিলার উদাস ফেস দেখলেই সেও উদাস হয়ে পরে। তামান্না নিলার থুতনি ধরে নিজের মুখের দিকে করে বলে…..

তামান্না ::: বল না দোস্ত কি বলছে তোর এই পিরিয়ডের টাইমে?? তুই যাস্ট বল বাকি কাজ আমি করছি (বাঁকা হেসে)

নিলা আমতা আমতা করে বলে ::: আগে তোর টা বল?? (জানার ভঙ্গিতে )

তামান্না ভ্রু কুচকে নিলার দিকে তাকিয়ে বলে ::: আমি কি বলবো?

নিলা মুখ বাকিয়ে বলে ::: তুই নিজে আমাকে কিছু বলিস না আবার আমার থেকে জানতে চাস!? যাহ ফুট বলবো না।

তামান্না নিলার বাচ্চামো দেখে ফিক করে হেসে দে। সে হাসি থামিয়ে বলে ::: ধুর আমার টা সিরিয়াস কিছু না বুঝলি !! যে বাইরে যাচ্ছিলো সে মনে স্টাফ হবে যার কাজ করতে মন চাচ্ছিলো না চলে গেলো। তা কি !? (ডোন্ট কেয়ার ভাব করে শান্ত কণ্ঠে )

নিলা তামান্নার থেকে এ কথা শুনে ব্যবলাকান্তের মতো তাকিয়ে তামান্নার গাল কপাল নিজের হাত দিয়ে ধরে চেক করতে লাগে। তামান্না নিলা কান্ড দেখে ওর হাত ধরে বলে ::: কি করিস কি চেক করতেছিস?? (অবাক হয়ে)

নিলা::: তোর মাথা মুন্ড (মুখ ফুলিয়ে দুই হাত বুকের উপর গুজে অন্যদিকে তাকিয়ে)

তামান্না মুচকি হেসে বলে :: তা ত চেক করে ফেলছিস এখন কেন চেক করছিস সেটা কে বলবে হুমম?? (দুষ্টুমির ভঙ্গিতে )

নিলা একশ্বাস ফেলে বলে ::: ধুর তোর সাথে পারবো না বলেই ফেলি। উফফফ অসহ্যকর।

তামান্না নিজের দুই হাত এক করে হামি দিয়ে বেডের উপর হাত রেখে ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে::::: হাজার বার করা লাগবে দেখিস। সু দোয়া দিলাম।

নিলা::: এ্যাআআআআ……(বেকুবের মতোন)

তামান্না :: সু দোয়া আনে ভালো(ভাব মেরে)

নিলা ::: হুমম। নিজের মাথা হেলিয়ে বলে……

🌺🌺

ফ্ল্যাশব্যাক💐



তামান্না নিরু নিলা হাসাহাসি করছিলো। তখন হঠাৎ নিলার কল চলে আসে। তামান্না আর নিরু সোফার মধ্যে বসে কথা বলতে থাকে নিজেরদের মধ্যে। নিলার কল আসায় সে ফোন হাতে নিয়ে দেখে স্ক্রিনে ভেসে উঠছে “আননোন” নিলা কল কেটে রুমে আসবে তখনই তার ফোনে একটা মেসেজ আছে। সেখানে লেখা থাকে ” তুই আমার কল না ধরে বড়ো ভুল করলি এর শাস্তি শুধুই তোর মৃত্যু ” নিলা এ লেখাটা দেখে ঘাবড়ে চিৎকার দিয়ে ফোনটা বেডের উপর ছুঁ মাড়ে। তামান্না নিরু ত হতবাক নিলার কান্ডে।

তামান্না গিয়ে নিলাকে দেখে তার ফেস ভয়ে ভয়ে ঘেমে গেছে। সে দেরি না করে নিলাকে জড়িয়ে ধরে বেডের উপর বসায়।

বাকিটুকু ত প্রথমেই জানলেন💐…..

🌺🌺

তামান্না শুনে রেগে দাড়িয়ে যায় দেওয়ালে ডান হাত রেখে জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে বলে ::: শালা কোন কুকুরের এমন সাহস করছে আমার জানে জিগারের দিকে নজর দেওয়ার। তার কের নেই।

নিলা তামান্নার রাগ চরকগাছে উঠে গেলো দেখে এক ঢোক গিলে দাঁড়িয়ে পাশে থাকা টেবিল থেকে পানি নিয়ে ওরে দে। তামান্না পানি খেয়ে মাথা ঠান্ডা করে বলে ::: তুই বাদ দে এসব এখন তোর রেস্টের প্রয়োজন। ইটস পিরিয়ড টাইম বেইব।

নিলা ভ্রু কুচকে বলে ::: বেশি পিরিয়ড পিরিয়ড করিস না ত। এটা শুনতে ভালো লাগে না। আচ্ছা তুই এতো শান্ত কি করে তোর বাসা থেকে ঐ স্টাফটা কিছু না বলেই চলে গেলো।

তামান্না মজার মুড করে বলে:::: চিল বেবি একটা গান শুনিস নি “”চলে গেছে তাতে কি নতুন একটা পেয়েছি”” গানটার মতোই ভেবে নে স্টাফটাও চলে গেছে তাই আরেকটা বাসায় আসবে। আর পিরিয়…….

তামান্না কিছু বলবে তখনই তার ফোনে কল আসে সে পকেট থেকে ফোন বের করে দেখে সুমনার নাম স্ক্রিনে ভেসে উঠছে। তার ফোনে কল আসতে দেখে নিলা ও চুপ করে থাকে। সে কানে ফোন ধরতেই অপর পাশ দিয়ে….

সুমনা ভয়ার্ত কণ্ঠে জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে ::: দিই দিই দিই (কেঁপে কেঁপে)

তামান্না সুমনার এমন কণ্ঠ শুনে বুঝে গেলো কোনো গন্ড গোল চলছে সে ফোন কান থেকে সরিয়ে লাউড স্পিকার অন করে বলে ::: সুম কি হলো বল??কি কিছু হইছে??(চিন্তিত হয়ে )

সুমনা নিজের শ্বাস ফেলে বলে::: দিই ঐ ঐ যে ফারুক হানিমা আছে না?? (কান্নার বেগ থামিয়ে হিচকি তুলে)

তামান্না শুনে ফোন জোরে চেপে বলে ::: হ্যাঁ কি করছে বল?? নিলাও দাড়িয়ে চিন্তিত হয়ে দুই হাত মুচড়ামুচড়ি করতে থাকে।

সুমনা::: দিই আপনি ওদের বিয়ে করানো পরও ফারুক আমার পিছেই পরে ছিলো আমি বলতে গিয়েও পারতাম না কারণ তাকে যে ভীষণ ভালোবাসি। এখন এখন সে আমার বাসায় আগুন লাগায় দিতে চাচ্ছে। আমি ঘরের মধ্যে লুকিয়ে আছি। সে বাহির থেকে খুব গর্জন দিয়ে ডাক দিচ্ছে। (কান্না করে হিচকি তুলতে তুলতে )

তামান্না ::: সুম ডোন্ট ওয়ারি মা…(থেমে যায় বাকিটুকু বলার আগে সে আড়চোখে নিলাকে দেখে ফোনে) আমরা আসতেছি তুই চুপচাপ যেখানে আছিস সেখান থেকে চেষ্টা কর বের হতে।

সুমনা::: দিই কিভাবে আমি কোনো রাস্তা পাচ্ছি না।

তামান্না নিলাকে নিরুর সাথে বলে বেরিয়ে কারের মধ্যে এসে কানের মধ্যে ব্লটুথ লাগিয়ে এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে :: সুমনা আমি এখন যেভাবে যা যা কলতে বলবো ঠিক সেভাবে করো।। ওকেএ??

সুমনা কান্না থামিয়ে শক্ত হয়ে বলে :: ওকে আপ্পি বলেন।

তামান্না::: শুনো তুমি যে রুমে আছো সেখান থেকে বের হয়ে স্টোর রুমে যাও। গিয়ে দেখো সেখানে আড়াল করা কোনো দরজা আছে কিনা।

সুমনা তার কথা মতো সেখানে এসে আড়াল করা দরজা খুজতে থাকে। কিন্তুু টেনশনে থাকায় সেই দরজাটা তার নজরে পরছে না। সে কলে বলে::: দিই ভয় করছে পাচ্ছি না।

তামান্না::: শুনো বুনু আগে ঠিক হও। চোখ বন্ধ করে এক দীর্ঘ শ্বাস নাও।

সুমনা এমন করার পর চোখ খুলে এপাশ ওপাশ তাকাতেই দেওয়ালে এক ফ্রেমের পাশে চাবির মতো ফাকা চিহ্ন দেখা যায়। সে বলে ::: দিই পেয়েছি। এ কথা শুনে তামান্না স্বস্তির নিশ্বাস নে। সুমনার হ্যান্ডেল খুলে চুপেচুপে বেরিয়ে রাস্তার সাইডে চলে আসে।

তামান্না বলে ::: বের হতে পেরেছো কোথায় তুমি?

সুমনা:::: দিই আমি রাস্তার মধ্যে ছিলাম। কিন্তু……

বাকিটা বলার আগেই সুমনার কান থেকে ফোনটা কে যেনো কেড়ে নে। এতে সুমনা ঘাবড়ে পিছে তাকিয়ে দেখে ফারুক দাড়িয়ে আছে সাথে তিনজন ছেলে।

তামান্না ব্লটথে হাত দিয়ে:: হ্যালো সুমনা সুমনা।

ফারুক ফোনের মধ্যে মেয়ের কণ্ঠ শুনে তাড়াতাড়ি ফোন টা মাটিতে আছাড় মারে। এতে ফোনটা ভেঙে যায়। সুমনার সামনে ফারুক শয়তানি হাসি দিয়ে ছেলেদের দিকে তাকিয়ে বলে ::: গাইস তোদের জন্য মাল পাইছি। সেই মাল তাই না??

তামান্না ফোন কেটে যাওয়ায় কার স্টোপ করে কারে ঘুরিয়ে রাস্তা শর্টকাট নে।

🌺🌺

In Bangladesh Airport💗….




রোয়েন প্লেন থেকে নেমে এক হামি দে। সালমান এসে ওর হাতে ব্যাগ ধরায় দে। রোয়েন বিরক্ত হয়ে বলে:::: উফফফ শান্তিভাবে হামি ও দিতে দিবি না।(ঠোট উল্টিয়ে)

সালমান নিজের কোট ঠিকঠাক করে ব্যাগ কাধে ঝুলিয়ে বলে:::: জানিস তো আবার বলিস কেন?? (ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে)

রোয়েন নিজের মাথা নাড়িয়ে বলে ::: কপাল পোড়া !!

সালমান::: মস্তিষ্ক গোবরে ভরা। (ঠিক করতে করতে)

রোয়েন ভ্রু কুচকে ব্যবলাকান্তের মতো হয়ে বলে ::: কার??(সন্দেহের ভঙ্গিতে )

সালমান:::: আছে আমার এক কলিজা।(ভাব মেরে)

রোয়েন শুনে বলে::: তোর আবার কলিজাও আছে??

সালমান::: হ্যাঁ সো ওয়াট। তোর যদি এতো গুলা গিলা থাকে। তাহলে আমার একমাএ কলিজা থাকলে কি সমস্যা??

রোয়েন শুনে কানে হাত দিয়ে মজার করে বলে ::: ইয়ে তুনে কিয়া কাহা হে দোস্ত। ইয়ে শুননেছে ফেলে কিউ মে আপনে বাবুকে পাস নাহি গেয়া। (উদাস হয়ে )

সালমান:::: যা যা যা (ভাব মেরে)

রোয়েন::: উহ সত্যি যেন লন্ডন যেতে বলতেছিস!!?

সালমান নিজের মাথা নেড়ে হুম যা ফুট যেয়ে দেখা।

রোয়েন ::: যাবো কিন্তু??(সিরিয়াস মুড নিয়ে) সালমান শুনে হুমম যা। রোয়েন পিছে ফিরে এগিয়ে যাবে তার আগেই আবার এসে সালমানের কাধ জড়িয়ে ধরে বলে ::: চল।

সালমান মুচকি হেসে ::: হুমম চল।

সালমান আর রোয়েন কারের কাছে আসতেই তার ফোনে একটা মেসেজ আসে………

………চলবে……

[বিঃদ্র:: হিহিহি😁 রহস্যে ভরা সবাই মাথা ঠান্ডাই রাখবেন আর ধয্য ধরুন সব রহস্য খুলবে। হিরো বা ভিলেন তারা সব বাংলাদেশ চলে আসলো। সামনে থেকে স্টাট হবে ডেন্জারাস ভিলেন বা হিরোগিরি। পড়তে থাকুন। লাইক কমেন্ট এন্ড শেয়ার। হেপ্পি রিডিং 😊]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here