#তোর দিওয়ানা শুধুই আমি😎
#My madness love😍
#লেখিকা_তামান্না
#পার্ট_05
At 6:00am…
মাফিয়া কিং সম্রাট ছাদের রেলিং ধরে সামনের সবুজ ঘাস দেখে যাচ্ছে। এরই পাশে বয়ে যাচ্ছে পানির বাহার। সবকিছু মিলিয়ে যেনো পরিবেশটা সৌন্দর্যে ভরপুর। তবুও তার মনের কোণা যে ফাকাঁ তা সে উপলব্ধি করতে পারছে।
সম্রাট চোখ বন্ধ করে মনে মনে ::: সবই তো আল্লাহর অশেষ রহমতে আছে তবে শুধু নেই তুমি। আসবো আমি তোমায় করিতে অাপন। তুমি চাও আর না চাও। তোমার হতেই হবে আমার।
সে চোখ খুলে এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে ::: Just wait and watch my love…Your devil lover Oops No no… তোর প্রেমে তে অন্ধ হতে চলে আসছি খুব শ্রীগই। (ডেভিল স্মাইল দিয়ে )
হঠাৎ সম্রাটের ভাবনার বিচ্ছেদ ঘটে তার বিশ্বাসী বডিগার্ড সোহেলে কথায়। সে হাতে দুইকাপ কপি নিয়ে তার পাশে এসে দাড়িয়ে আছে। সম্রাট তাকে দেখে মুচকি হেসে বলে….
সম্রাট::: তাহলে চলে আসলি বিয়ে সংসার করে। (কপিটা তার হাত থেকে নিয়ে এক চুমক দিয়ে )
সোহেল কপিতে এক চুুমক দিয়ে সামনের দিকে দৃষ্টি রেখে বলে ::: হুম বস আপনার সাথে কাজ করতে করতে অভ্যস্ত। আপনার সাথে এক বেলা দুই বেলা কাজে নিয়োজিত না থাকলে মনটা ফাঁকা ফাঁকা লাগে।
সম্রাট ও সামনের দিকে দৃষ্টি রেখে কপি খেয়ে খেয়ে বলে ::: এখানের অর্ধেক কাজ হয়ে যাচ্ছে রাইট??
সোহেল :: হুম বস। আর গতকাল আসিফের ডেট বডিও চেক আপ করে সুইসাইড কেস করে দেওয়া হয়েছে।
সম্রাট শুনে বার্কা হাসি দে আর বলে :: এখনো কি সে তো শুধু টিজ করেনি সে তো রেপার। না জানি কতো মেয়েকে রেপ করে মাটিতে পুতে ফেলেছিল। কাল যদি তাকে ধরা না যেত তাহলে আমার রাজকুমারী কে… (বলতে গিয়ে রেগে চোখমুখ লাল করে )
যাই হোক ভালো একটা কাজ করলি ওকে ওখান থেকে ধরে এখানে নিয়ে আনলি। (সোহেলে পিঠে বাম হাত দিয়ে এক বারি মেরে) শাবাস।
সোহেল আর সম্রাট হেসে দে। তখন হঠাৎ সম্রাটের মনে পরে যাই কিছু জরুরী কাজ। সে সোহেলকে উদ্দেশ্য করে বলে :: শুন তোর থেকে আজকেই একজন কে ধরে আনতে হবে যদি না আসে আমাকে কল দিবি। তাহলে নিজেই ধরে আনবো। (ডেভিল স্মাইল দিয়ে )
সোহেল হ্যাঁসূচক মাথা নাড়িয়ে চলে যেতেই সম্রাট তাকে থামিয়ে বলে :: শুন এসএমএস করবো আমি ঠিক নিদিষ্ট সময়ে ওয়েট করিস। ( বাঁকা হেসে)
সোহেল:: ওকে বস। ( মুচকি হেসে)
এ বলে তারা দুইজনই বেরিয়ে যাই।
In Bangladesh💗…
।
।
।
।
।
নিলা অাচমকা তামান্নার চোখ কাপর দিয়ে বেধে দিলো।আর নিরুর দিকে তাকিয়ে ইশারা করে চুপ থাকতে। নিরুও তাই করলো সে চুপ করে বুঝার চেষ্টা করছে।
তামান্নার চোখ বেধে সে জিগ্গেস করতে লাগে ::: কি রে আমার চোখ বেধে দিলি কেন?? কিছু দেখছি না তো?? ( অস্থির হয়ে )
নিলা মুচকি হেসে বলে :: আরে তোরে কি আর সারাজীবন চোখ বেধে রাখবো নাকি?? কিছুক্ষণের জন্যই বাধলাম।
নিরু নিলার কাছে এসে দাঁড়ায় আর তাকে হাত দিয়ে ইশারা করে একবার নিলার দিকে আঙুল দেখায় আবার তামান্নার দিকে আঙুল দেখিয়ে চুপ করে ইশারা করে। নিলা নিরুর অথাৎ তাসনিমের ইশারা বুঝতে পেরে সেও ইশারা করে একবার দরজার দিকে তাকাতে বলে আরেকবার নিজের ফোনের দিকে।
নিরু চোখ ছোট ছোট করে নিজের হাত দিয়ে নিজের মাথার উপর ইশারা করে একটু হেটে ব্যাক করে নিলার পাশে । নিলা এই ইশারা বুঝতে পেরে মুখ টিপে হাসতে লাগে। কারণ নিরু ইশারা করে বলে….
নিরু::: যা বললা সব আমার মাথার উপর দিয়ে হেটে গেছে।
নিলা নিরুর কাছে এসে কিছু বলতে যাবে তার আগেই দরজা খুলার সাউন্ড হয়। এতে নিলার পিছে তাকিয়ে মুচকি হেসে নিরুকে চোখ দিয়ে ইশারা করে পিছের দিকে তাকাতে বলে। এতে নিরু পিছে তাকাতে হা হয়ে যাই। সে খুশিতে চিৎকার করতে চাইলেও চুপ মেরে যাই।
সামনের লোকটা তাদের ইশারা করে চুপ থাকতে বলে নিজে তামান্নার পিছে এসে দাড়ায়।
তামান্না এতোক্ষণ বোরড লাগা অবস্থায় ছিলো। হঠাৎ সে তার পিছে কাউকে অনুভব করে। সাথে ঐ মানুষটার পারফিউমের স্মেলটা পাই। তামান্না স্মেলটা বুঝতে পেরেই বলে উঠে…..
তামান্না :: আমার পিঠপিছে ফাজলামি করে লাভ নেই মিস্টার নীল মিয়া। ( নিজের চোখের উপর থেকে কাপর খুলে তাকিয়ে )
নীল ব্যবলাকান্তের মতোন তামান্নার দিকে তাকিয়ে বলে ::: তুই সারাক্ষণ এমনই করিস হারামী। যতোবারই তোকে সারপ্রাইজ দেবো ভাবি তার আগেই তুই এর তেরোটা বাজিয়ে দিস। (উদাস হয়ে )
তামান্না নীলের উদাস ফেস দেখে বলে :: আহারে নিলার বাবুটা দেখি উদাস হয়ে গেলো (দাতঁ কেলিয়ে হেসে)।
নিলা তামান্নার কথা শুনে লজ্জায় এপাশওপাশ তাকাতাকি করতে থাকে। নিরুও নীলের কাছে এসে দুই হাত বুকের উপর গুজে বলে ::: নীল ভাইয়া দ্যাটস নোট ফের।
নীল ::: ওয়াট নোট ফের?? (সন্দেহের ভঙ্গিতে )
নিরু::: উহুহ ঢং। আসলেন তবে কিছু আনলেন না। তাই ( মুখ ফুলিয়ে)
তামান্নাও নিরুর কাধে হাত রেখে নীলের দিকে ইশারা করে বলে :: হেই ইউ। ট্রিট কই হুমম?? ট্রিট ছাড়া যে মাল পটাইছো সেই মাল কিন্তুু বিক্রি করে দেবো। (চোখ ঘুরিয়ে বাকা হেসে)
নীল::: মাএ তো এলাম সাথে সাথে পকেট মারার চিন্তা ভাবনা। ( মুখ গোমড়া করে)
তামান্না নিরুর উপর থেকে হাত সরিয়ে মুখের উপর ডান হাতের তজনী আঙুল রেখে ভাবার ভান করে বলে ::: আরো আছে মনে হয় । যাই হোক দুলাভাই যখন টাকা উরানোর ফমুলা আধুনিক যুগ থেকে শুরু ( মুচকি হেসে )
নীল :::: হারামী বেটি তোর এসব ফাজলামির কারণেই আসতে চাই না। (চোখ রাঙিয়ে)
তামান্না::: তো আসছিস কেন যা ফুট (ডোন্ট কেয়ার ভাব করে )
নীল চোখজোড়া ছোট করে বলে :: তুই দোস্ত না দুশমন।
তামান্না ::: ও আল্লাহ এখন জানছিস সেই কখন থেকে সাথে দুশমনী আছে আমার। ( হাসতে হাসতে )
নিলা এসে তাদের পাশে দাড়ায়। আর বলে:: ওকে গাইস এখন চলো কবে থেকে এখানে আছি। ক্ষুদাও লেগেছে চল খেতে যাই।
এ বলে তারা চলে যাই।
এখন বলি এদের মাঝখানের কিছুকথা।
তামান্না,,তাসনিম এন্ড নিলা কলেজের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলো। তামান্নার রাগ ভেঙেগেলে তারা ক্লাসের মধ্যে চলে আসে। প্রথম চারটা ক্লাস শেষ করে তারা মিউজিকাল রুমে এসে টাইম স্পেন্ড করতে থাকে। তখন নীলের আগমন হয়।
নীল হলো তামান্নার স্কুল ফ্রেন্ড। তবে তামান্নার সিনিয়র সে। তারা একই স্কুলে পরতো। তামান্না যখন ক্লাস টু তে তখন নীল ছিলো ক্লাস সিক্স এ। তারা স্কুলের মাঠে খেলাধুলার চলে পরিচিত হয়। পরে যতো বড় হয় তাদের ফ্রেন্ডশিপ ততো বারে তবে তামান্নার স্কুল লাইফে এমন কিছু কথা রয়েছে যা তখনের ছোট তামান্নার সাথে হয়। যা এখনের তামান্নার মনে নেই।
[নোট নাউ পরে বলবো গল্পে😜। ওয়েট নিয়ে পরতে থাকেন😁]
নীল নিজের কার করে তাদের রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাই। সেখানে সব খাবার অর্ডার দেওয়া হয় নিরুর পছন্দের। কেননা নিরুর মুখ ফুলানোর বাহানার জন্যেই নীল তাদের ট্রিট দেবার জন্য রাজি হয়।
সবাই খাবার খেয়ে নিলে নিলা সবার জন্য ফুসকা অর্ডার করে। এতে তামান্না ফুসকা খেয়ে ওয়াশরুমে যাই হাত ধুতে। সে হাত ধুয়ে বের হতেই গেটের দিকে এমন কিছু দেখে যার কারণে তার চোখ ছানাবড়া হয়ে যাই।
…………চলবে……….😈
[বিঃদ্র::: সরি ফোর লেইট। পরাশুনা নিয়ে একটু বিজি থাকায় গল্প লেইট করে দিতে হচ্ছে। তবে চেষ্টা করতেছি যাতে গল্পগুলো সুন্দরভাবে ইন্টারেস্টিং ভাবে সাজিয়ে উপস্থাপন করতে পারি😍। হেপ্পি রেডি😊]