বসন্তের_ফুল🌺🌺 #তারিন_জান্নাত #পার্ট৪১

0
483

#বসন্তের_ফুল🌺🌺
#তারিন_জান্নাত
#পার্ট৪১

চমৎকার রাত।মেঘের আঁড়ালে উঁকি দিয়ে আজ চাঁদ ও উঠেছে।প্রবণ শীতলতা আঁকড়ে ধরে প্রেমাকে। গোল থালার মতো চাঁদের দিকে অপলক চেয়ে থাকে প্রেমা। প্রেমার চোখে বারবার ভাসিত হচ্ছে অভ্রের ম্লানমুখের সেই হাসিটা।
কাঠের মেজে হাত দ্বারা স্পর্শ করে। তেলতেলে। হালকা পানি পড়লে পিছলে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। প্রেমা উঠে দাঁড়িয়ে কাঠের রেলিং এর পাশে গিয়ে দাড়ায়।
রাতে যখন আড্ডা দিচ্ছিলো তখন অভ্রের খেয়াল ফোনের মধ্যে ছিলো।কেমন চিন্তিত মনে হচ্ছিলো অভ্রকে। তেমন একটা কথা বলেনি। তবে সাইকান, জেরিনের সাথে তাল মিলিয়ে প্রেমাও টুকটাক গল্প করেছিলো।কিন্তু বেশিরভাগ মনোযোগ অভ্রের দিকে ছিলো তার। প্রেমার চোখমুখ ও এখন গম্ভীরতায় ছেঁয়ে আছে।

ভাবনার মধ্যে প্রেমার ফোনটা বেজে উঠে,কাঙ্খিত মানুষটির নাম ভেসে উঠতেই প্রেমার চোখ মুখের পরিবর্তন ঘটে মুহুর্তেই।
ফোন রিসিভ করার পর,কানে অভ্রের কণ্ঠধ্বনি প্রবেশ করতেই প্রেমা কেঁপে উঠে,বুকের মধ্যে তবলা বাজতে শুরু করে। মনে হচ্ছিলো এ তবলা বাজানোর শব্দ অভ্রও শুনতে পারবে।তাহলে হয়তো আর নিস্তার নেই,বারবার লজ্জায় মারবে তাকে।
“এতো রাতে না ঘুমিয়ে বাইরে কী করছো? (অভ্র)
প্রেমা আবারও কেঁপে সচকিত হয়ে আশেপাশে খোঁজতে শুরু করে অভ্রকে।
” কথা বলো।(অভ্র)
“জ্বি,হ্যাঁ না মানে..ঘুম..হ্যাঁ ঘুম আসছে না তাই।
প্রেমার অস্থির কন্ঠে অভ্র শিথিল হয়ে আসে,এবং চেয়ে থাকে প্রেমার দিকে। অভ্রের অবস্থান থেকে প্রেমাকে অনায়াসে দেখা গেলেও প্রেমা অভ্রকে দেখতে পাবেনা। অভ্র শান্ত গলায় বলে ” রাত অনেক হয়েছে,যাও শুয়ে পড়ো। বারান্দা থেকে চলে যাও,
কথাটা বলে ধুম করে লাইনটা কেটে দেয়, তাতে প্রেমার কষ্ট হয় তবে সেটাকে গায়ে মাখায় না।ভাবে অভ্র হয়তো কোনো কারণে আপসেট।
দীর্ঘশ্বাস নিয়ে প্রেমা রুমে চলে যায়।প্রেমা যাওয়ার পরে
অভ্র হাতের ফোনটা খুব জোড়ে ছুড়ে মারে রুমের দিকে। তাতে ফোনটার তেমন কোনো ক্ষতি না হলেও অভ্র কিঞ্চিৎ শান্ত হয়। অস্পষ্ট স্বরে বলে ” সরি প্রেমা।

সবঠিক ছিলো বিকাল পর্যন্ত।প্রেমার সাথে আজ রাতটা জেগে কাটানোর মাত্রাতিরিক্ত ইচ্ছে পুষিত ছিলো তার মন-কোটরে। একটা ফোনকল? শুধু একটা ফোনকল সব এলোমেলো করে দিয়েছে।ছন্নছাড়া।

“ভাগ্য সহায় ছিলো বিধায় বাঁচলেন,নাহলে আমার হাতেই খুন হবেন আপনারা। (অভ্র)

চুল মুষ্টি করে ধরে জোরে টান দেয়। তাতেও সে ক্ষ্যান্ত হচ্ছেনা। টকটকে লাল চোখজোড়া বেঁয়ে পড়ছে তরল। যাকে বলা হয় চোখের অশ্রু।

“আমি চাইনা আমার কষ্টটা আমার ভাই ভোগ করুক। তোমাদের ছায়াও আমি পড়তে দিবো না আমার ভাইয়ের উপর। জগন্য মানুষ (অাগুন্তুকদের উদ্দেশ্যে বলে) (অভ্র)

রাত দুইটা। গভীর রাতও বটে। নির্ঘুমে থাকা দু’জোড়া চোখে বেশ ভয়। জড়ো হাওয়াই গুটিসুটি মেরে বিছানায় শুয়ে আছে প্রেমা। পাশে জেরিন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।
কতোই না শান্তিতে ঘুমোচ্ছে সে।অথচ তার চোখে ঘুমের বিন্দুমাত্র রেশ ও নেই। ড্যাব ড্যাব করে চেয়ে আছে বাইরের দিকে। চাঁদের আলো মিশ্রিত নীরব রুমটায় অদ্ভুদ শব্দ শুনতে পায় প্রেমা। টকটক আবার কটকট শব্দ।উভয় শব্দে প্রেমাকে অস্থির করে তুলে।

প্রেমা ছোটবেলা থেকে কৌতূহলী। যেকোন বিষয়ে। একটা বিষয় শুনলে,দেখলে তা নিয়ে পুরো রিচার্স এ নেমে যায়।কিন্তু এখন ভয় অভ্রের ধমকানিতে। অভ্রের হঠাৎ রাগ হঠাৎ শান্ত মেজাজে প্রেমা এখনো অবগত নয়। কাঁথা সরিয়ে বিছানা ছাড়ে প্রেমা।

রুম থেকে বের হয়। শব্দটা নিচ থেকে আসছে। তাই ফোনের লাইট জ্বালিয়ে নিচে নামে। এখনো সেই শব্দ প্রেমার কানে এসে মাথা ঝিমঝিম করে তুলছে।

সোফার কাছাকাছি আসতেই থেমে যায়। ডান দিকে বাড়ির বাইরে যাওয়ার দরজা।আর বাঁ দিকে রয়েছে একটা গলি। সেদিক থেকেই আসছে শব্দ। প্রেমা গলির ভেরতে প্রবেশ করে। ভয়ে শরীর কাঁপছে তার।যদি কোনো ভুত-টুত থাকে। গলির মধ্যে রয়েছে চারটা রুম।একদম শেষের রুম থেকে আলো বেরোচ্ছে। দৃঢ় পায়ে হেঁটে শেষের রুমটির দিকে এগোয়।
শব্দের গতি এখন আরো প্রখড়। প্রেমা দরজার আঁড়ালে দাঁড়িয়ে উঁকি দেয়। দেখা যাচ্ছিলোনা।তাই মাথা আরো টানিয়ে উঁকি দিতেই ভয়ে আঁতকে উঠে। জোরে শ্বাস বেড়িয়ে আসতে নিলে দু’হাতে মুখ চেপে ধরে। কতো ভয়ানক দৃশ্য।

রুমে মধ্যে টেবিলের পাশে দাড়িয়ে আছে অভ্র। চুরি দিয়ে অনবরত টেবিলে আঘাত করে যাচ্ছে।চোখমুখ ভয়ংকর লাল। এক নাগাড়ে টেবিলে আঘাত করে হাঁপিয়ে যায় সে। ধপ করে পাশে চেয়ারে বসে যায় অভ্র।
ধারালো চুরিটা আবারও হাতে নেয়। হাওয়ার গতিতে বাইরের দিকে ছুড়ে মারে। তাৎক্ষণিক প্রেমা দ্রুত মাথাটা সরিয়ে দরজার আড়ালে লুকিয়ে পড়ে।আরেকটু দেড়ি হলে চুরি প্রেমার মাথায় এসে গেঁথে যেতো।

বিষণ কাঁপছে প্রেমা।ভয়ে হাত পা শীতল হয়ে আসছে। অভ্রকে হঠাৎ ভয় পাচ্ছে সে।ভয় পাওয়ার মতোই অবস্থা।প্রেমার মাথা ফাঁকা হয়ে আছে।কিছুই সে বুঝতে পারছেনা। রীতিমতো চোখ দিয়ে পানি পড়তে শুরু করছে। মাথা ঝিমঝিম করছে যথা সম্ভব নিজেকে সামলে রাখার চেষ্টা করছে। যদি সেন্স হারায় তাহলে ধরা পড়ে যাবে।
আরেকবার চুরিটার দিকে তাঁকায় প্রেমা। চুরি থেকে চোখ সরিয়ে দোওয়ালের দিকে তাকায়। পিলে চমকে উঠে আবারও।দেওয়ালে প্রেমার প্রতিচ্ছবি স্পষ্ট। তারমানে অভ্র ওকে দেখে ফেলেছে। ঠোঁট ভেঙে কান্না শুরু করে দেয় নীরবে।খুব করে চাইছে অভ্র যাতে না দেখুক।

শেষ রক্ষা হয়নি। শক্ত হাতের চাপ অনুভুব করে নিজের কোমল হাতে। ভীতু চোখে মাথা তুলতেই অভ্রের ফর্সা মুখটা দেখতে পায় প্রেমা। অভ্রকে দেখে প্রেমা দরজা চিপে ঢোকে যেতে চাইলে অভ্র টান দেয়।মুহুর্তে অভ্রের বুকে গিয়ে থুবড়ে পড়ে। সাথে সাথে প্রেমা সরে যেতে চাইলে অভ্র আঁকড়ে ধরে।শান্ত স্বরে বলে,
“-ঘুমাতে বলেছিলাম না এখানে কী?(অভ্র)
অভ্রকে ধাক্কা দেয় জোরে।প্রেমা চলে যেতে নিলেই অভ্র হাত ধরে ফেলে আবারও।
– আসার আগে খেয়াল করা উচিত ছিলো তোমার।আসলে আর যেতে পারবেনা। (অভ্র)
প্রেমা চুপচাপ হাত ছাড়াতে শুরু করে, এ অল্প একটা কারণে এখন সে অভ্রকে এড়িয়ে যেতে চাইছে। ভয়ও পাচ্ছে।যেটা অভ্র বুঝতে পারে৷হালকা হেসে পেঁছন থেকে চুলে খোঁপা করে দেয়। এবং ঘাড়ে থুতনি রেখে আবছা কন্ঠে বলে।
– যতদিন কৌতূহল কমাবে না ততদিন
তোমার সব প্রশ্ন ধুম্রজালে আঁটকে থাকবে।
সো,বি নরমাল।(অভ্র)
প্রেমার চোখের পাতা কাঁপছে প্রচন্ড এখন।অভ্রের স্পর্শেও সে ভয় পাচ্ছে। জমে যাচ্ছে।
প্রেমার বাকরুদ্ধকর অবস্থা দেখে অভ্র হাসে। এরপর প্রেমার হাত ধরে সোফার কাছে এসে দাঁড়ায়,টেবিলের ড্রিম লাইটটা জ্বালায়। প্রেমাকে ধাক্কা দিয়ে সোফায় বসিয়ে অভ্র প্রেমার কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়ে। প্রেমার ডান হাতটা নিজের হাতে নেয় এরপর বলে,
” তোমাকে বলেছিলাম না আমি ঘুমাতে পারিনা,আমার ঘুম হয়না। সেদিন ঘুম আসছিলো খুব।ঘুমাতে পারিনি। আজ ঘুমাতে চাই। তোমার সমস্যা হবে না তো?(অভ্র)

অভ্রের বিনীত স্বর শুনে প্রেমা মায়া হতে শুরু করে। এতোক্ষণের সব ভয় কেটে যায়।অহেতুক ভয় পেয়েছে সে। ওর অভ্রের ও ছাড়া কেউ নেই। প্রেমা অভ্রের দিকে তাঁকায় দেখে চোখ বন্ধ করে আছে।মুচকি হেসে প্রেমা অভ্রের কপালের দিকে তাকিয়ে নিচু হয়।তখনি অভ্র চোখ খুলে ফেলে। থেমে যায় প্রেমা।
-কন্ট্রোল ইউর’সেল্প প্রেমা।(অভ্র)
অভ্রের কথায় প্রেমা ঠোঁট বাঁকা করে নাক ফুলিয়ে শ্বাস ছাড়ে। চোখে-মুখে রাগ দেখা যায়। প্রেমার মুখের অবস্থা দেখে অভ্র শুয়া থেকে উঠে বসে যায়।প্রেমার ডান হাত নিজের হাতে মুষ্টিবদ্ধ রাখে।এবং বলে,

-হ্যাপি কাপল, কলেজ লাইফ থেকে একে অপরকে প্রচন্ড ভালোবাসে।একে-অপরের জন্য প্রাণটাও দিতে পারে।কিন্তু পরিবারকে মানিয়ে সেসময়ে বিয়ে করা অসম্ভব ছিলো।অবশেষে সেল্প কন্ট্রোল হারিয়ে তারা লিভ ইন রিলেশনশিফে জড়িয়ে যায়। বিয়েটাও করেনি কিন্তু তাঁরা। তাদের ওই মিস্টেকের কারণে তাদের একটা বেবি হয়। যেটার প্রতি তারা উভয়ে অসন্তুষ্ট ছিলো। দেখো রিলেশনটা করেছিলো তারা অথচ বেবিটাকে তারা সবসময় ফেলনা মনে করে এসেছিলো।
এটাকে কী বলবে তুমি?আদৌ কী ভালোবাসা বলা যায়? তোমার দিক থেকে তুমি বলো?(অভ্র)

অভ্রের কথায় প্রেমা নাকমুখ ছিটকে বলে উঠে,
-ছিঃ কী জগন্য রিলেশন।এমন হলে রিলেশন না করাই ভালো। (প্রেমা)
প্রেমার কথায় অভ্র ছোট করে শ্বাস ছাড়ে,এবং বলে,
-কিন্তু একটু আগে তু…
-অভ্র। আমি তেমন কিছু করতে চাইনি,
অভ্র হেসে দেয়। গভীর একটা শ্বাস নিয়ে বলে,
-বাই দ্যা ওয়ে, কাল বাড়ি যেতে হবেনা আমি আংকেল বলেছি তুমি তোমার ফ্রেন্ডের বাড়িতে আছো।গ্রামে ফিরতে চাও না আপাততে। (অভ্র)
-এমনটা বলার কী দরকার ছিলো।আমি তো কাল চলে যেতে চেয়েছিলাম।আর তুমি?(অভ্র)
-ভয় হলে চলে যেতে পারো। বাট জেরিন আর সাইকান এখানে থাকবে। আমাকে কাল বাড়ি যেতে হবে।(অভ্র)
-না সেটা না,আচ্ছা তোমাকে কেউ খোঁজেনি?(প্রেমা)
প্রেমার কথায় অভ্র কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে বলে
“বাবাকে বলেছি সব আমাদের ব্যাপারে।তাই কেউ খোঁজলেও বাবা অজুহাত দিয়ে দিয়েছে।(অভ্র)
-কী? আংকেল জানে মানে? সব জানে?
– অভ্র মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জানায়।
প্রেমা অবাক হয়ে চেয়ে থাকে অভ্রের মুখের দিকে।
-আচ্ছা আন্টিও সব জানে?
অভ্র মন খারাপ করে বলে,
-মায়ের ব্রেইনে প্রচুর সমস্যা। যে কোন বিষয় উনার মাথায় চাপ দিতে পারে।আমার ব্যাপারে ভীষণ সাবধান উনি। তাই এসব কিছু মা সহ্য করতে পারবেন না তাই বাবা সবটা চেপে গেছে। (অভ্র)
-আন্টিকে দেখলে তো মনে হয়না ব্রেইনে সমস্যা আছে।
-বছর খানেক আগে সুস্থ হয়েছে।তবে এখনো মেডিসিং চলে। (অভ্র)
-ওহ। (প্রেমা)
এরপর পর অভ্র আবারও প্রেমার কোলে শুয়ে পড়ে।সত্যিই তার একটা পুরো আট বা ছয় ঘন্টার একটা শক্ত ঘুমের দরকার। বিছানায় শায়িত হয়ে ছটপট করার চেয়ে প্রেমার কোলে শুয়াটাই অভ্রের জন্য উত্তম।
চোখ বন্ধ করতেই প্রেমা বলে উঠে,
-অভ্র আমরা বিয়ে করবো কখন?(প্রেমা)
অভ্র চোখ বন্ধ রেখেই বলে,
-অপেক্ষা করতে পারবেনা বছর খানেক?”
– ইয়ে মানে, এমনি বলছিলাম পারবো তো অপেক্ষা করতে। (প্রেমা)
প্রেমার কথায় অভ্র রসিকতার স্বরে বলে,
-আমার বউ হতে ইচ্ছে করছে? এতো তাড়াতাড়ি? পরে কিন্তু প্রস্তাবে।(অভ্র)
অভ্রের মৃদু স্বরে আবেগ মিশ্রিত কথায় প্রেমা লজ্জায় মিঁইয়ে যায়। ওরনাটা টেনে অভ্রের মুখ ঢেকে দিয়ে বলে,
-ঘুমাও ফাজি ছেলে।
প্রেমার কথায় অভ্র নিঃশব্দে হাসে। বিয়ের সব কিছু ঠিকঠাক করে রেখেছে অভ্র। শুধু কাঙ্ক্ষিত দিনটার অপেক্ষায় রয়েছে। মাঝখানে কিছু অদৃশ্য দেওয়াল রয়েছে সে দেওয়াল ভাঙতে হবে। তবেই সব করা সম্ভব হবে। আর যাই হোক পাপ সে করবেনা।

_________________

কাঁথা বালিশ সব আরিয়ানে মুখে ছুড়ে মারে অরি। আরিয়ান দাঁত কটমট করে অরির দিকে তাকিয়ে বলে,
-তোকে আমি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করবো।
-আর তোকে আমি জেলে পুলিশদের চাকর বানাবো।(অরি)
-মুখ সামলে কথা বলো,মা-বাবা মানলেও আমি মানবো না তোকে। (অারিয়ান)
-তোর মানা দিয়ে আমি করবো শালা, চুপ থাক আমাকে ঘুমাতে দে,নয়তো থাপড়াবো।(অরি)
অরির কথায় আরিয়ান বাকরুদ্ধ। কতোটা বেয়াদব হলে এমন ব্যবহার করতে পারে ওর জানা নেই।তবে অরিকে সে সহ্য করতে পারছেনা।
-আমার বিছানায় আমিই ঘুমাবো।নাম তুই।নাহলে আমি চেঁচাবো(আরিয়ান)
আরিয়ানের কথায় অরি হেসে বলে,
-বাহ। চমৎকার তো।বাসর রাতে বর চেঁচাবে। মানে বাইরের লোক কি মনে করবে।আই মিন…(অরি)
-এ মেয়ে চুপ। খুন করে ফেলবো তোকে আমি। (আরিয়ান)
-আমি তোকে ছাড়বো নাকি? আমার বাবাতো তোকে ফাঁসিতে ঝুলাবে।(অরি)
অরির কথায় আরিয়ান চুপ মারে।এরপর বলে,
-তুই তোকারি করবানা আমার সাথে,আমি তোমার হাসবেন্ড হই। (নরম স্বরে)
তা দেখে অরি বাঁকা হেসে বলে,
-তুই আর আমি সেম বয়সের,আমি তোকে তুই করেই বলবো। যেমনটা আমি আমার ফ্রেন্ডদের সাথে বলি।
আর যতদিন আমাকে মেনে নিবি না ততদিন তুই করেই বলবো।(অরি)
কথাটা বলে শুয়ে পড়ে অরি।আর আরিয়ান চুপ করে মেঝেতে বিছানা পাতে। ভাবে এমন সাংঘাতিক মেয়ের থেকে সে দূরে দূরেই থাকবে।
“-তোর জীবণটা আমি তছনছ করে দিবো শালা।(অরি মনেমনে কথাটা বলে চোখ বন্ধ করে)

(চলবে)

আপনাদের রহস্য কেমন লাগে বলবেন? নাহলে আমি নরমালি শেষ করে দিবো। রহস্য চাইলে মতামত জানাবেন।
Tarin Jannat

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here