অবৈধ_বিয়ে #Sabriha_Sadi পর্ব : ২৩+২৪

0
419

#অবৈধ_বিয়ে
#Sabriha_Sadi
পর্ব : ২৩+২৪

রাজ চুপ করে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে।

পুরনো সব কথা যেন আজ তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কি যেন ভেবেই যাচ্ছে মানুষটা। এত শক্ত একটা মানুষকেও পরিস্থিতি কখনো নরম করে তুলতে বাধ্য করে।

দুটি হাত পিছনে নিয়ে সেই যে বেলকুনিতে দাঁড়িয়ে ছিল। এখনো তাই আছে।

প্রায় রাত হয়ে এলো যেই কে সেই। রাজ এখনো বেলকুনিতেই দাঁড়িয়ে আছে। আর রানি দরজার ওপাড়েই রয়ে গেল।

– রাতের খাবার গরম করে টেবিলে দিয়ে দিয়েছি। খেতে আসুন।
-…..
– আপনাকে বলছি।

রাজ এক বার রানির দিকে পিছন ফিরে দেখল। আবার বাহিরের নীরব রাতের পানে দৃষ্টি দিল।

– আরে আপনি কি চোখে কম দেখেন? না মানে কানে কম শুনেন?
-….
– আজব তো। হাতির মতো মানুষের কানে সমস্যা থাকে? রামগরুড় ছানা নাকি? লাল পিঁপড়ার মতো তো হয়ে যান রাগ হলে।
– রাগ উঠলে কি শুধু লাল পিঁপড়া হই? সেটা হলে তো অনেক কিছুই করি। তা তুলতে চাইছ নাকি?
– মা মানে?
– মানে টা তো ভালো করেই জানো। আমি কি করি।
– আপনি খেতে আসবেন?
– তুমি খেয়ে নাও।
– খেতে আসবেন কি না বলুন।
– খিদে নেই।
– আমার আছে।
– খেয়ে নাও।
– আর আপনি?
– খাবো না।
– খাবেন না তো?
– না খেয়ে নাও।
– আবর বলছি খাবেন না তো?
– না।
– ঠিক আছে।

রাজ আরো অনেকক্ষণ সেভাবেই দাঁড়িয়ে ছিল ওখানে। নীরবতার মাঝে নিজের প্রাণোসী কে কাছে না পাওয়ার কষ্ট টা উড়িয়ে দিচ্ছে।

ব্যস্ত শহরের নীরব রাত টা রাজের মন টা কে শান্ত করতে না পারলেও কিছু একটা বুঝিয়েছে।

রাজ রুমে ডুকে দেখে রানি নেই। রান্নাঘরেও নেই। রাজ জানে এখন সে কোথায় থাকবে। কোথায় আবার হয়তো রাগে দরজার ওপাড়ে আছে।

রাজ যা ভেবেছে তাই। দরজা বন্ধ।

– রানি।
-….
– রানি। রানি।
-……
– রানি দরজা খুলবে কি না বলো।
– নাআআআ।
– খুলবে না?
– না খুলব না।
– ভাঙ্গব?
– কি?
– দরজা।
– ঘুমিয়ে পড়ুন গিয়ে।
– খুলবে না তো তুমি?
-….
– রানি প্লিজ দরজা খুলো না হলে এবার ভেঙ্গে ফেলব।
– থাক। এতো বাহাদুরি দেখাতে হবে না। খুলছি।

রানি দরজা খুলল। তবে বাহিরে বের হলো না ভিতর থেকেই বলল,,

– কিছু বলবেন?
– মুখে কি লাগাম দিলেন? তাহলে আগে চেঁচাচ্ছিলেন কেন?

রাজ আর কথা না বারিয়ে রানির হাত টা ধরে খাবার টেবিলের সামনে নিয়ে।

– এখানে কেন?
– রাতে কি না খেয়ে ঘুমাবো?
– আগেই তো বললেন আপনার খিদে নেই। তাহলে এখন কোন ইঁদুর ডুকল পেটে?
– খিদের ইুঁদর আমার পেটে না তোমার পেটে ঘুরছে। খিদে লাগলে তো ভার্সিটিতেও ক্লাস না করে ফুসকা খেতে চলে যেতে। লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতাম না নাকি?
– দেখুন। আপনি আমাকে পেটুক বলতে পারেন না।
– যা। আমি কখন বললাম, তোমাকে পেটুক?
চুরের মন পুলিশ পুলিশ।
– কি বললেন আপনি আমাকে?
– কই? কি বললাম?
– আপনি আমাকে চুর বললেন।
– তুমি তো নিজেই নিজেকে বলছো আর আমাকে দোষ দিচ্ছো।
– আপনি।

রাজ তার হাতটা দরে চেয়ারে বসাল।

– আপনি কি বলুন তো? আপনি খুব মিথ্যুক একটা মানুষ। একটুও ভালো না। খুব বাজে লোক। লাল পিঁপড়া আপনি, হাতি একটা হাতি, গরুর ডিম একটা আপনি। আপনি তো একটা গন্ডার।

রানি রাজ কে বকছে। আর সে কিছু না বলেই প্লেটে খাবার নিয়ে রানির মুখের সামনে ধরল।

– বকা শেষ হলে খেয়ে নাও।
– না খাবো না।
– মুখে চেঁপে ধরে খাওয়াতে হবে?
– গন্ডার একটা।

রাজ নিজের হাতে কে খায়িয়ে দিচ্ছে। তারপরেও বেচারাকে বকেই যাচ্ছে রানি।

অবশেষে খাওয়ার মাঝে রাজ রানি কে একটা ধমক দিল।

– চুপপপ। একদম চুপ। খাওয়ার মাঝে এত কথা কেন? বিষম খেলে কষ্ট আমার হবে নাকি তোমার? বকার সময় চলে গেছে? পরে বকো আগে খেয়ে নাও।

রানির মুখটা ছোট হয়ে গেল। চুপ করেই খেয়ে নিল।

– তুমি গিয়ে শোয়ে পড়ো। তবে ভুলেও পাশের রুমে শোয়ার কথা ভাববে না। দরজার ওপাড়ে গেলে একে বারে দরজাটা ভেঙ্গে দিব। যাতে আর দরজার ওপাড়ে নাই যেতে পারো।
– ঢং। আজাইরা যতো কাজ। খালি বড় বড় কথা। এই করব সেই করব। ঘোড়ারডিম করবেন আপনি।

কথাটা বলেই রানি চলে গেল। রাজ মুচকি একটা হাসি দিয়ে নিজেও খেয়ে নিল।

রানি নিজে রাজের রুমে গেল। না হলে যদি সত্যিই দরজাটা ভেঙ্গে দেয়? থাক দরকার নেই।

রানি ভাবতে লাগল রাজের কথা গুলি নিয়ে। রাজের কথা গুলি দিয়ে রানি ভাবনার খেলায় মেতে উঠল। তারমানে লোকটা এতটা খারাপ না। মেয়ের প্রতি কোনো লোভ নেই। থাকলে তো সেদিন রাতে রাগে রানির উপর যা তা করতে পারত। তা না করে বিয়ে করে জীবনটা বাঁচিয়ে দিল। এতটা যত্ন করে তাকে রাখছে। তবে একটাই সমস্যা উনার মাঝে রাগ উঠতে যা ইচ্ছা করে। তার সাথে রাগে একটু কিছু করে ফেলে। রাগ টা সামলে রাখতে পারে না। লোকটা এতটা খারাপ না। কিন্তু সব মানলেও সে স্বামী হিসেবে মানতে পারছে না। মনের এক জায়গায় তাকে বাঁধার সুতা টানছে। কোনো দিকেই যেতে দিচ্ছে না।

কিন্তু আর সব প্রশ্নের উত্তর সে পাবে কোথায়?

চলবে….

#অবৈধ_বিয়ে
#Sabriha_Sadi
পর্ব : ২৪

রাজ রুমে ডুকে দেখল রানি নেই।

একটু পর রানি বেশ হাই তুলতে তুলতে ওয়াশরুম থেকে বের হলো।

রাজ রানির দিকে তাকিয়ে অবাক। সাদা কালো ড্রেসে, সাদা মুখটার মাঝে কালো কাজল টা একটু লেপ্টে আছে। রাজ হা করে দেখছে। চোকের পাতা যেন পড়ছে না।

ও দিকে রানি চোখ মুছতে মুছতে ভাবতে লাগল, লোকটা কি আবার মূর্তি হয়ে গেল নাকি?

পরে রানিই রাজের সামনে গেল।

– আপনি কি সত্যিই মূর্তি হয়ে গেলেন? শুনেছিলাম মানুষ কষ্ট পেতে পেতে পাথর হয় যায়। আপনি কি আসলেই পাথর হয়ে গেলেন?
কি হলো কথা বলছেন না যে? বলুন না আপনি কি পাথর হয়ে গেলেন?
আপনি তো পাথর হয়ে গেলে কথা বলবেন কি করে? মূর্তির মতো শুধু দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন। বুঝতে পারছি না কি হবে এখন?

– এখন শাস্তি মেনে নিতে হবে।
– কিইই? আপনি পাথর হন নি? এখন তো মনে হচ্ছে তাই ভালো হতো।
– বললে কিছু?
– ক কই না তো। আর কিসের শাস্তি?
– ভুলে গেলে সকালে যে কথা হলো। ও। কি কথা হয়েছিল?
– শাস্তি।
– ওকে বলুন কিসের শাস্তি। এক কাজ করুন শাস্তি হিসেবে আমাকে এ বাড়ি থেকে বের করে দিন।
– মোটেও না। বরং এ বাড়িতে থাকার পাকাপাকি করব।
– কিসের পাকাপাকি। দেখুন এতো পাকাপাকি আমি বুঝি না। কি শাস্তি বলুন।

– “তোমার ওই কাজল কালো লেপ্টে যাওয়া চোখ গুলি আরো একটু কালো রঙ্গে রাঙ্গিয়ে দিতে চাই। লেপ্টে যাওয়া কাজল টা না হয় আরো একটু যাবো। তাতে কি হবে? আমি চাই তোমার ওই একটু লেপ্টে যাওয়া কাজল পুরোটা লেপ্টে দিতে। এক সাথে মিশিয়ে দিতে। যেন বুঝা না যায় চোখ দুটি আলাদা। মনে যেন হয় দুটি চোখ কালো রঙ্গে এক সাথে বেশ আছে। কাজল কালো চোখ দুটি এক করে দিতে চাই।”

রানি বেশ বুঝতে পারছে রাজ কি বলতে চাইছে। রানির মন যে সাই দিচ্ছে না। কোথাও বেঁধে রাখা একটা সুতো অনবরত টানছে।

একটা মেয়ে আর যাই হোক তার স্বামী গুন্ডা হোক তা চায় না। তার স্বামী কারো সাথে মারামারি করুন সে তা কখনো চায় না। রানিই বা মেনে নিবে কি করে? তারও তো মনে এটা বাঁধা সৃষ্টি করে। মূলত সে এ কারণেই রাজকে স্বামী হিসেবে মানতে নারাজ। বিয়ে টা কে সে #অবৈধ_বিয়ে হিসেবেই মানে।

রাজ রানি কে কোলে তুলে নিল। রানি তার চোখের দিকে তাকাতেই বাঁধা গুলি যেন হারিয়ে গেল। নিজেই রাজের চাওনি তে ডুবে যাচ্ছে।

রাজ আজ তার প্রাণোসী কে আজ নতুন দেশে নিয়ে যাবে। ভালোবাসার দেশে পারি জমাবে দুটি মানুষ। ভালোবাসার অতল সাগরে ডুব দিবে দুটি মানুষ। আজ যে তার প্রাণোসীরও সাই আছে। আজ কোনো কিছু তেই যে “না” শব্দটা নেই।

রানি কে বিছানায় শুয়িয়ে দিয়ে লাইটা অফ করে দিল। জানালা দিয়ে চাঁদের একটু একটু আলো আসছে।
রানির মুখটা যেন মায়াপরীর মতো লাগছে। ঘরটা অন্ধকার যেন আলো নেই। কিন্তু অন্ধকার ঘরে একটু একটু করে আসা চাঁদের আলো তে আলোকিত।

রাজ তার ভালোবাসার শুরু টা রানির কপালে চুমু দিয়েই শুরু করল।

আর যাই হোক এটাই ভালোবাসার চিহ্ন। কপালের চুমু টা যে একটা বিশ্বস্ততার প্রামণ দেয়।

আজ কাল এই রকম ভালোবাসা পাওয়া দায়।

রাজ একটু একটু করে রানি তে ডুব দিচ্ছে। আর রানি তাতে। ভালোবাসার সাগরে ভাসছে দুটি মানুষ। ভালোবাসার রঙ্গে মিশে গেছে দুজন।

সকালে,,
রানির চোখে ভোরের আলো পড়তেই মিটমিট করে চোখ খুলল সে। গরম নিশ্বাস অনুভব করে পাশ ফিরল সে।

রাজের নিশ্বাস তার নাক মুকে পড়ছে। রাজের বুকে উপরে শুয়ে ছিল রানি। আর আস্তে করে উঠতে গেলেই চোখ গেলো রাজের বুকে। সাদা ধপধপে বুকের মাঝে কালো লোমে ভরা।

কথায় আছে, “সে ছেলের বুকে লোম বেশি থাকে তারা নাকি তাদের স্ত্রী দের বেশি ভালোবাসে।”

কথাটা মনে করেই রানির মুখে এক চিলতে হাসি ভেসে এলো। রাজের বুকে তার চোখের কাজল লেগে আছে। রানি তার ওড়নাটা নিয়ে কাজল টা খুব আস্তে করে মুছে দিচ্ছে যেন লোকটা সজাগ না হয়ে যায়।

– প্রাণোসী থাক না। মুছার কি দরকার? ঘুমাও।

রাজ ঘুম ঘুম কন্ঠে রানির হাত ধরে উপর্যুক্ত কথা গুলি বলল।

রানি আর কিছু না ভেবে রাজের হাত ছাড়িয়ে ওয়াশরুমে ডুকল।

বেলকুনির জায়গাটা রানির বেশ প্রিয়। রেলিং ধরে মুখে এক চিলতে হাসি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কখনো মৃদু কখনো বা উতাল হাওয়ায় তার চুল গুলি এলোমেলো করে দিচ্ছে। এলোকেশী বানিয়ে দিয়ে যাচ্ছে তাকে।

হঠাৎ সে বুঝল রাজ তাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরল।

– প্রাণোসী কি করে এখানে? জায়গাটা বেশ পছন্দ হয়েছে।

রানি শুধু মাথা দিয়ে হ্যাঁ সূচক ইঙ্গিত দিল।

রানির হাতটা ধরে রাজ তাকে নিজের দিকে ফিরাল। গালের দু পাশে হাতটা রেখে বলল,

– “রানি আমি খুব খুশি আজ। কাল রাত টা যে আমার মনে থাকবে। আমি ভাবিনি এত তারাতরি আমি তোমাকে নিজের করে পেয়ে যাবো। তুমি আমাকে মেনে নিয়েছ। সব টা মানিয়ে নিয়েছ ভেবেই আনন্দ হচ্ছে আমার। এর থেকে খুশির আর কি আছে বলো? আমি যে আমার স্বপ্নের রানি কে পেয়েছি। আমার প্রাণোসী যে তুমি।”

রাজ তার কপালের সাথে রানির কপাল টা আস্তে করে লাগিয়ে চলে গেল।

আর রানি বোকার মতো তার যাওয়ার পানে তাকিয়ে ছিল। লোকটা বড়ই অদ্ভুত। কত রহস্য লুকিয়ে আছে এই লোকটার মাঝে?

যত দিন যাচ্ছে রানি যেন কেমন হয়ে পড়ছে। দুটানার মাঝে বাস করছে সে। না পারছে এদিকে আসতে। না পারছে ওদিকে যেতে। দুটানা সাগরের মাঝে রয়েছে।

রাজের প্রতি অনেকটা মায়া জমে গেছে তার। রাজের এত ভালোবাসা, এত যত্ন এত কেয়ার করার প্রতি সে রীতিমত দুর্বল। একটা অদ্ভুত মায়াটান কাজ করে রাজের প্রতি।
কিন্তু এই ভাবেই বা আর কত দিন? আর যে সে এই দুটানার মাঝে বাঁচতে পারছে না। অনেকদিন তো হলো এই ভাবেই আছে। না পারছে সব টা মেনে নিতে, না পারছে রাজ কে ছেড়ে দিতে।
কিন্তু এটাও তো সত্যি রাজ একটা গুন্ডা। এমন মানুষকেই বা স্বামী মেনে সংসার করবে কি করে?
সে এইটা যেন এখন আর নিতে পারছে না। হাপিয়ে যাচ্ছে সে। আর নিতে পারছে না সব। দুটানার মাঝে আর কত দিন?

একদিন দুপুরে,

– প্রাণোসী মন খারাপ?
-….
– বেলকুনিতে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছো। কিছু হয়েছে?

রাজ এবার তার কাঁধে হাত দিল। দিতে না দিতেই রানির রাগ আকাশে ছড়ল। রাগে হাতটা সরিয়ে দিয়ে গর্জে উঠল সে।

– পেয়েছেন কি আপনি?
– কি বলছো তুমি? আর এই ভাবে কথা বলছো কেন?
– কি ভাবে বলব কথা? মুখে মধু নিয়ে? আপনি তেমন হলে মুখে মধুর চেয়েও মিষ্টি করে কথা বলতাম। কিন্তু আপনি তো তেমন মানুষই না।
– কি হয়েছে রানি? এত রাগ উঠেছে কেন তোমার?
– খবরদার। ছুঁবেন না আপনি। আপনি আমার সাথে কেন এমন করছেন? কেন? আমি খেলার পুতুল না। একটা মানুষ পাথর না। মন তো আমারও আছে। আমার সাথেই বা কেন এমন করছেন? আমি তো আপনাকে মন থেকে মানতে পারছি না। মানতে পারছি না যে আমার স্বামী একটা গুন্ডা। রাস্তায় মারামারি করে। আর নিতে পারছি না সব কিছু।

কথা গুলি বলতে বলতে রানি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল। খুব কাঁদছে। আরেক জনের বুক ফাটছে। রাজ যে তার কান্না দেখতে চায় না।

– আমি এখানে বললে তোমার বিশ্বাস হবে না। রেডি হয়ে নাও। রাতের বাসে চিটাগাং যাবো। আশা করি তুমি তোমার উত্তর পাবে।

রাজ আর কিছু না বলে বা শুনার অপেক্ষা না করেই বেড়িয়ে গেল।
অপরদিকে রানি কান্না করতে করতে নিচে বসে পড়ল। চোখ যেন মানছে না মনের মতো। কেঁদেই যাচ্ছে রাজের অতি প্রিয় রানির চোখ দুটি।

সেই কখন লোকটা বের হলো এখনো ফিরার নাম নেই। গেলো কোথায় লোকটা? ভেবেই রানির মন টা ছোট হয়ে গেল।

মানুষটার কিছু হয়নি তো? আছে কোথায়? কখন থেকে বাসায় আসার নামই নেই।

কে জানে কোথায় আছে। কখন আসবে। রানির ভেতরের ভয়টা যেন ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে লাগল। ডুক গিলতেও যেন কষ্ট হচ্ছে তার। কোথায় তার উনি? আসছেন নাই বা কেন? কিছু হলো কি?

বিপদ তো আর বলে কয়ে আসছে না। বিপদের তো আর হাত পা নেই। হুট করেই এসে ডুকে পরে। রানির এখন বেশিই ভয় লাগছে।

চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here