পর্বঃ ২+৩ #অবৈধ_বিয়ে

0
1001

#পর্বঃ ২+৩
#অবৈধ_বিয়ে
#Sabriha_Sadi
পর্ব : ২

এতক্ষণ রাজের কথা গুলি রানির মাথায় উকুনের মতো কামড়াচ্ছিল।

সত্যিই তো রানি এই অবস্থায় বাড়িতে গেলে সবাই ভাববে কি? সবাই বলতে ও শুধু ওর বাবা আর সমাজ কে বুঝিয়েছে। বাবা ছাড়া নিজের বলতে আর কেউ নেই যে তাকে কথা শুনাবে। কিন্তু সমাজ? সমাজ তো তাকে কথা শুনাবেই। শুধু তাকে? না তার বাবাও যুক্ত হবে এই কথা শুনার কাজে। সমাজের কাজই হলো তিল কে তাল করা।
রানি এখন এইভাবে গেলেও কত লোক কত কথা বলবে। অথচ এখন পর্যন্ত তার সাথে খারাপ কিছুই হয়নি। কিন্তু খারাপ হতেই বা কতক্ষণ?

– কি হলো উঠো। তোমাকে দিয়ে আসি।
– নাটক?
– কি?
– নাটক করা হচ্ছে আমার সাথে নাটক করছেন আপনি আমার সাথে?? (চিৎকার করে বলছে রানি)
– কি বলছো তুমি?
– ঠিক বলছি। নাটক করছেন আমার সাথে? নিজের লোক দের দিয়ে আমাকে তুলে এনে এখন আমার সামনে ভালো সাজা হচ্ছে তাই না?
– দেখো রানি। যা জানো না তা নিয়ে কথা বলো না। মানছি, একটা ভুল হয়ে গেছে। কিন্তু আমি তো এখন তোমাকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলছি।
– নাটক নাটক। সব নাটক, এই সব নাটক করছেন আপনি। আপনি ভালো করেই জানেন এখন এই অবস্থায় আমাকে কেউ মেনে নিবে না। সমাজ আমাকে কলঙ্ক দিবে। তারপর আমি মরে যাবো। এটাই তো চান আপনি? তাই নাটক করছেন আমার সাথে। (রানি পাগলের মতো করছে, কি হবে এখন তার?)

রাজ তাকে ঠাসসস করে দিল এক চড়।

– কি হয়েছে তোমার? নাটক করছি আমি? নাটক? বলেছি, ভুল হয়েছে। তাই তোমাকে তোমার বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথাটা আমার নাটক?
ঠিক আছে যাও। নাটক করার দরকার নেই। যাও একাই নিজের বাসায় চলে যাও।
কি হলো যাচ্ছো না কেন? যাও। এখনি যাও।

রানি চুপচাপ করে একপা একপা করে বের হতে লাগল। পাগলের মতো লাগছে তাকে। মাথার চুল মনে হয় একটাও ঠিক নেই। আর এই চুল গুলিই রাজের পছন্দের ছিল। রানি চিন্তায় মগ্ন হয়ে হাটছে। কেন হাটছে? কিসের জন্যে হাটছে? কোথায় যাওয়ার জন্যে হাটছে? অজানা তার।

রাজ হঠাৎ করেই রানির কথা মনে হলো। সে মরার কথা বলেছে। তাকে দেখেও স্বাভাবিক মনে হয়নি। এই রকম অবস্থায় একটা মেয়ে স্বাভাবিক থাকতেও পারে না। রাজ হাত থেকে সিগারেট টা ফেলে বসা থেকে উঠে দাঁড়াল।
ততক্ষণে রানি আড্ডাকারখানা থেকে বের হয়ে গিয়েছিল।

রাজ রানি কে খুঁজতে লাগল। এইটুক সময়ে আবার কোথায় চলে যাবে একটা মানুষ?
রাস্তায় কোথাও তো নেই। গেল কোথায় রানি?

রাজ হঠাৎ দেখতে পেলে রানি আনমনে রাস্তা পাড় হচ্ছে।
রানি কে অনেক ডাকল, কিন্তু কোনো সাড়া পাচ্ছে না। না থামছে, না ফিছন ফিরছে। আনমনে শুধু হাটছে।

এই ভাবে হাটলে তো এই রাতে কোন বাস বা ট্রাক মাটিতে পিশে দিয়ে যাবে।

রাজ দৌড়ে গিয়ে রানি কে রাস্তার এক পাশে নিয়ে এলো।

– কি করছিলে তুমি?
-……..
– কি হলো বলছো না কেন?
-…….
– বলো কেন এমন করছিলে? দেখো তাকাও আমার দিকে, রানি তাকাও আমার দিকে।
-……

– রানি। এই রানি।

রানি হুট করেই রাজের কাঁধের উপরে পরে গেল।
রাজ তাকে কোলে করে নিয়ে গেল আড্ডাকারখানায়। কি করবে এখন রানি কে নিয়ে? ভাবতে পারছে না। রানি কে ফিরিয়ে দিলে আবার সে নিজের ক্ষতির কথা চিন্তা করবে। তো এখন রাজ করবে কি??

রানি আস্তে আস্তে চোখ খুলল।

চোখে খুলে সে রাজের মুখটা দেখল। তার একটু দূরে একটা লোক বসে আছে।

– কাজী, ওর জ্ঞান ফিরেছে। আপনি বিয়ের কাজ শুরু করুন।

কাজী? কিসের কাজী? আর বিয়ের কাজ? কার বিয়ে? কার বিয়ের কাজের কথা বলছে রাজ?
রানি কিছু ভাবতে পারছে না। মাথাটা খুব ব্যথা করছে। রাজের কাঁধ থেকে নিজের মাথাটা তুলতে ইচ্ছে হলেও পারছে না। কারণ সেই শক্তি টাই পাচ্ছে না।

রাজ রানির বিয়ের কাজ চলছে। কাজী তাদের বিয়ের লেখালেখি করছে।

তাদের বিয়েটা হয়েই গেল। রানিও কবুল বলেছে। রাজ আর কাজী স্পষ্ট শুনেছে। রানি যেন এক ঘৌরের মাঝে আছে। কি হচ্ছে তার সাথে সে নিজেই বুঝতে পারছে না।
কিন্তু রানি যখন কবুল বলল, তখন যে এক দৃষ্টিতে কি যেন ভাবছিল। তার চোখমুখে স্পষ্ট ভয় আর চিন্তার রেখা দেখা দিয়েছে।

রানি আবার জ্ঞান হারাল।

এবার যখন চোখ খুলল। তখন আশে পাশে কেউ ছিল না। একটা একলা ঘরে পড়ে রয়েছে সে। রানির খুব ভয় হচ্ছে।
ভয় ভয় চোখ নিয়ে আশপাশ টা দেখলে লাগল। না কেউ নেই? কোথায় আছে এখন সে? কি হয়েছিল তার সাথে? এখানেই বা এলো কেন সে?
রানি এই সব ভাবতে লাগল। তার পর কষ্ট করে বিছানা থেকে উঠবার বৃথা চেষ্টা করতেই, একটা কন্ঠ ভেসে আসল।

– তুমি এখন উঠবে না। শুয়ে থাকো।

রানি কন্ঠের লোকটিকে দেখবার জন্যে সামনে তাকলা। আর সামনে যাকে দেখল তা রানি দেখতে চায় না।

রাজ এক গ্লাস দুধ নিয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

রানি আবার উঠতে চাইল।
– বললাম না, শুয়ে থাকো এখনো তুমি সুস্থ নও। চুপ করো শুয়ে থাকো।
– আমি এখানে কেন?
– মানে?
– মানে আপনি আমাকে এখানে জুর করে নিয়ে এলেন কেন?
– জুর করে মানে? আমি তোমাকে বিয়ে করেছি। তুমি আমার বউ। (রাগে)
– বিয়ে? বউ? কার বউ? আর আমাদের কোন বিয়ে হয়নি। আমি আপনাকে বিয়ে করিনি।
– তুমি স্পষ্ট কবুল বলেছো। নিজের কানে শুনবে?
– হ্যাঁ। শুনান। আমি আমার জ্ঞানে কোন দিন আপনাকে বিয়ে করি নি। করবোও না।
– করতে হবে না আর। একবার হয়ে গেছে।
– মানি না আমি এই বিয়ে।
– ওয়েট শুনাচ্ছি তোমায়।

রাজ তার ফোন থেকে রানির কবুল বলাটা শুনাল। রাজ ইচ্ছে করেই ভালোবেসে এটা স্মৃতি করে রাখতে চেয়ে ছিল। এখন কাজে চলে এলো।

রানির কবুল বলাটা শুনে সে যেন মানতেই চাইছে না, রাজের সাথে তার বিয়ে হয়েছে।

– মানি না আমি এই বিয়ে।
– তুমি না মানলেও কিছু করার নেই। আল্লাহ চাইছে বলেই এত কিছুর পর আমাদের এক করে দিল। এত বড় সুযোগ আমি হাত ছাড়া করব না। সুযোগ একবারই আসে বার বার না। আর এই সুযোগ আল্লাহ ভুলবশত আমাকে দিয়েছে। আমি আর তোমাকে ছাড়ব না। তুমি না মানলেও এটাই সত্যি আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে।
– #অবৈধ_বিয়ে এটা। আমি মানি না এই চুপ।

রাজ হাত থেকে গ্লাসটা রেখে রানির মুখ রাগে চেপে ধরল।

– কি বললে তুমি?
– ছাড়ুন লাগছে আমার।
রাজ রানি কে ছেড়ে দিল।
– দুধটা খেয়ে ড্রইংরুমে এসো।
– আমার খিদে নেই। আমি খাবো না।
– কি বললে?
-……
– দুধটা খাও।
– না। (অন্যদিকে মুখ গুরিয়ে)
– আমি বললাম এখন দুধটা খাও। (রাগে)
– না।

রাজ রানির মুখ চেঁপে ধরে জুর করে অর্ধেকেটা দুধ খায়িয়ে দিল।
রানি রাগে এক ধাক্কা দিয়ে রাজ কে দূরে সরিয়ে দিল।

– কি মনে করেন নিজেকে?
-…
– ভুলে যাবেন না, বিয়ে টা হলেও। এটা #অবৈধ_বিয়ে। আমি মানি না।
– আর তুমি ভুলে যেও না আজ আমাদের বাসর রাত।
– বাসর? কিসের? আমি বিয়েটাই মানি না। আবার বাসর রাত কিসের? ভুলেও আপনি আমাকে কখনে ছুঁয়ে দেখার চেষ্টা করবেন না। আমি কালকেই চলে যাবো এখান থেকে।

রাজ গ্লাসটা ফ্লোরে ছুড়ে দিয়ে রানির কাছে গেল।

রানির দু হাত শক্ত করে ধরে বিছানায় ফেলে দিল।
রাজ রানির উপরে আর রানি নিচে শুয়ে আছে। রাজের হাত ছাড়বার চেষ্টা করছে রানি কিন্তু পারছে না। রাজ যে ভীষণ রেগে রানির বাহুতে ধরেছে।

চলবে,,,,,

#অবৈধ_বিয়ে
#Sabriha_Sadi
পর্ব : ৩

– কি করছেন কি আপনি? ছাড়ুন বলছি।
– কেন?
– কেন মানে? আপনি আমাকে ছুঁয়ার কে?
– ভুলে যেও না। আমার অধিকার আছে। বৈধ বিয়ে না #অবৈধ_বিয়ে তা আমার দেখার দরকার নেই। দেখতেও চাই না। তবে তুমি কিন্তু আমার বউ। আর আজ আমাদের হিসাব অনুযায়ী বাসর রাত। চাইলে আমি এখনি তোমার কাছ থেকে জুরে সবটা আদায় করতে পারি। আমি আমার অধিকার নিতে জানি।
( রাগে রানি কে ছেড়ে দিয়ে রাজ বেড়িয়ে গেল ঘর থেকে।)

রানি রাগে ফুসছে। কিন্তু তার কিছু করার নেই।
রানি বেলকুনিতে গেল। বাহিরের বাতাসটা তার ভালো লাগছে। হাল্কা হাওয়া তার চুল গুলি এলোমেলো করে দিচ্ছে। আর সে চুল নিজের আবদ্ধে রাখার বৃথা চেষ্টা করছে।

রাজ রুমে এসে রানি কে পেল না। ওয়াশরুমে নেই তো। তাই বেলকুনিতে না গিয়ে দূর থেকে উঁকি দিল।
হ্যাঁ রানি তো বেলকুনিতেই আছে।

রাজের খুব করে ইচ্ছা করছে পিছন থেকে রানি কে একবার জড়িয়ে ধরতে। কিন্তু পারছে না। রানি যদি আবার রাগ করে বসে। এমনিতেই রানির এমন কথাতে রাজের অনেকটা রাগ উঠে গেছে।

রাজ কিছু না বলে ঘরে গেল।

আর মনে মনে ভাবছে, কেমন বিয়ে করল সে। প্রথম রাতেই তাকে কাজ করে খাওয়াতে হচ্ছে রানিকে। আর কত কি করতে হবে তাকে আল্লাহ জানে।
রাজ ফ্লোরের ভাঙ্গা কাচের টুকরো গুলি পরিষ্কার করছে নিল। ভাঙ্গা টুকরো গুলি দেখে রাজের সেই দিনটার কথা মনে পরে গেল। যে রানি তার সাথে………

রাজ আর কিছু চিন্তা না করে ঘর থেকে চলে গেল।

একটু পর আবার রুমে গেল। রানি এখনো বেলকুনি থেকে আসেনি। তাই বাধ্য হয়ে তাকেই বেলকুনির পানে যেতে হলো।

– চলো খেয়ে নিবে।
– আমি খাবো না।
– রানি চলো, রাতের খাবার খেয়ে নিবে।
– বললাম তো আমি খাবো না। আমার খিদে নেই। আপনার থাকলে আপনি খেয়ে নিন না। এতটা বিরক্ত করছে কেন আমায়?
( রানি খুব রাগে আর জুরে জুরে চিৎকার করে কথা গুলি রাজ কে বলল।)

রাজে উঠে গেল রাগ। রানির মুখ থেকে এই বিরক্ত কথাটা শুনতে শুনতে রাজ এখন বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে। রাগে রানির কাছে গিয়ে হাতটা শক্ত করে ধরল। তারপর কোলে তুলে নিয়ে হাটা শুরু করল।

রানি রাগে রাজের বুকে কাঁধে ছোট বাচ্চাদের মতো কিল ঘুষি দিচ্ছে। কিন্তু রাজের বডিতে কি এই বাচ্চা মেয়ের ছোঁয়া তে কিছু হবে?

রাজ খাবার টেবিলের সামনে রানি কে নিয়ে নামিয়ে দিল।
– বসো।
– আপনি আমাকে এখানে নিয়ে এসেছেন তাতে কি? আমি না খেলে কি আমাকে জুর করে খাওয়াবেন নাকি?
– দরকার হলে তাই করব। তাই আমাকে প্লিজ বাধ্য করো না জুর করতে। নিজে নিজে খেয়ে নাও। না হলে তো…
– না হলে কি?
– না হলে আমার হাতে খাবে। এই আরকি। আর আমার হাতে হয়তো তুমি খেতে পছন্দ করবে না। তাই বলছি চুপচাপ খেয়ে নাও।

রানি বাধ্য মেয়ের মতো চুপ করে খেয়ে উঠল। কারণ সে জানে রাজ যা বলবে তাই করবে। সেই জন্যে নিজের হাতে খেয়ে নিল। অন্তত, এই খারাপ লোকটার হাতে তো তাকে খেতে হবে না।

রানি বেলকুনিতে দাঁড়িয়ে আছে।
নিজের বাবার কথা ভাবছে। কি করছেন উনি? মেয়ের জন্যে চিন্তা করতে করতে নিজের হাল হয়তো বেহাল করে দিচ্ছে লোকটা। কাল বাড়িতে চলে যাবে সে। কিন্তু বজ্জাত লোকটা কি তাকে বাড়িতে যেতে দিবে? কোন রকম আবার কিছু করবে না তো?

– এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন। ঘুমাবে চলো।
– আমার সময় হলে আমি শোয়ে পড়ব। আপনি যান।
– রাত ১১ টার উপরে আাজে আর এখনো তোমার সময় হয় নি? চলো ঘুমাবে।
( রানির হাতটা দরে রাজ টান দিল)

রানি রাগে এক ধাক্কা দিল রাজ কে।

– কি পেয়েছেন কি?
-….
– নিজেকে কি ভাবেন আপনি? যা ইচ্ছা তাই করবেন আপনি? দেশটা কি আপনার? আমাকে কি পেয়েছেন আপনি? নাটক করছেন আমাকে? এত যত্ন করছেন কেন? তুলে তো এনে ছিলেন রাত কাটানোর জন্য। তাহলে এত সোহাগ কেন? নাটক দেখান আমার সামনে?
– রানি চুপ করো।
– চুপ করব? কেন চুপ করব? ভুল কিছু বলেছি কি?
– রানি চুপ।
– পুতুল পেয়েছেন কি আমাকে? যখন মনে হবে ইউস করবেন আবার ইচ্ছা হলে ফেলে দিবেন।

ইউস কথাটা শুনে রাজের প্রচণ্ড রাগ হলো। ঠাসসস করে রানি কে দিল একটা চড়।

– চুপ করতে বলছি না? চুপ একদম চুপ।
– কেন চুপ করব আমি?
– রানি চুপ।
– না চুপ করব না আমি। আমি ভুল কিছু বলছি না। ঠিক বলছি একদম। কেন আপনি আমাকে রাত কাটানোর জন্যে এনেছেন না? মিথ্যে বলতে পারবেন আপনি? না। পারবেন না আপনি। আপনি আমাকে শুধু রাত কাটানোর জন্যে এনেছেন। আমাকে দয়া করে অবৈধ ভাবে বিয়ে করে এখন অধিকার দেখাচ্ছেন?
স্বামীর অধিকার? নাটক করছেন এখন আমার সাথে?
– এতক্ষণ কোন অধিকার দেখাইনি। এখন দেখাবো। অনেকক্ষণ ধরে তো বলছো কত কিছু। স্বামীর অধিকার দেখাই নি। এখন দেখবে, অধিকার কি?.

রাজ রানি কে জুর করে কোলে তুলে নিল। তারপর বিছানার দিকে গেল।
রানিকে বিছানার উপর ফেলে দিয়ে নিজের শার্টের বোতাম খুলতে লাগল।

রানি রাজের এই রূপ দেখে কিছুটা ভয়কে গেল। ভয়টা রানির ক্রমশ বাড়ছে।
আর রাজকে বলছে,
– প্লিজ কিছু করবেন না আমার সাথে প্লিজ। প্লিজ বাজে কিছু করবেন না আপনি।

কে শুনে কার কথা? রাজ নিজের শার্ট খুলে ফেলে দিল। রানির উপর ঝুকে রানি ওড়না কেড়ে নিল সে। রানি রাজ কে অনেক কিছু বলছে। কিন্তু রাজের মনে হয় কান বন্ধ হয়ে আছে। কিছুই শুনতে পারছে না সে। রানি কি বলছে তা যেন তার কানের কাছেই পৌঁছাচ্ছে না।
রাজ রানির ঠোঁটে কিস করতে লাগল। পাগলের মতো সে রানির গলায় ঠোঁটে চুমু দিতে লাগল। মনে হয় এক রাজ্যে ডুবে আছে রাজ।
রানি চাইলেও পারছে না, রাজ কে আটকাতে। রাজের মাথায় যে রাগ চরেছে। এই রাগ কি শেষ হবার?

রাজ নিজের অধিকার রানির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিল।

অধিকার কি কেউ কাউকে এমনিতেই দেয়? না অধিকার কেউ এমনতে দেয় না। নিজের অধিকার নিজেকেই নিতে হয়। কেউ বা সময়ের অপেক্ষা করে কেউ বা না।

রানি নিজের শরীরের ব্যথায় বিছানায় বিড়ালের মতো পড়ে আছে। চোখ যে তার আজ থামছে না। অনবরত চোখের পানি ধেয়েই চলছে। রানি বিছানায় পড়ে পড়ে কান্না করছে।
আর রাজ নিজের অধিকার আদায় করে বেলকুনিতে চলে গেল।

খুব রাগ হচ্ছে। রানি কে আজ দুবার চড় দিল সে।
ইচ্ছে করছে হাতটাই কেটে ফেলতে। যাকে এতটা ভালোবাসে তাকে সে কিভাবে কষ্ট দিল। রাগ জিনিসটা খুব খারাপ। অনেক বেশি খারাপ। রাগটা চরম আকারে পৌঁছে গেলে কেউ কি আর নিজের মাঝে থাকে?
না। রাগ আসে শয়তানের কাছ থেকে। আর রাগ একবার উঠে গেলে সামলানো মুশকিল। এই রাগের বশবর্তী হয়েই তো মানুষ খারাপ কাজ করে। অন্যায় করে। ভুল করে। যেমন এখন রাজ করল।

রাজ নিজের হাত দিয়ে ইচ্ছে মতো রেলিংয়ে ঘুষি দিতে লাগল।
অনেকক্ষণ এমন করল সে। হাতের অবস্থাটা প্রায় শেষ বললেই চলে। হাতটা থেঁতলে গেছে একে বারে। রক্ত অনবরত বের হচ্ছে। রাজ অনেকক্ষণ বেলকুনিতে দাঁড়িয়ে ছিল। তারপর বেলকুনির পাশে রাখা ডিভানটায় বসে পড়ল।

কখন সকাল হয়ে গেল বলতেই পাড়ে নি রাজ।

রাজের উঠতে ইচ্ছে হচ্ছে না। শরীরে ক্রান্তি ভর করেছে। আবার চোখ বন্ধ করে ফেলল রাজ।

রানি শরীর ব্যথা নিয়ে আস্তে করে উঠে গেল। ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে রুমে ডুকল।
রাজ কে দেখতে না পেয়ে বেলকুনিতে উুঁকি দিল। বেলকুনিতে উুঁকি দিয়ে রানির বুকটা কেঁপে উঠল। কি করেছে লোকটা এইসব? কেন করল এমনটা?

রানির পা গুলি যেন আটকে আছে। সামনে এগুতেই চাইছে না। এতটা পাগলামি একটা লোক করে কি করে?

চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here