কহিনুর_দ্বিতীয়_খণ্ড,পর্ব:১৫

0
666

#কহিনুর_দ্বিতীয়_খণ্ড,পর্ব:১৫
কলমে: ইয়াসমিন

থমথমে মুখ নিয়ে বসে আছে ঐশ্বর্য। বারবার ধাক্কা এসে ওর সাজানো গোছানো জীবনটা কেমন এলোমেলো করে দিচ্ছে। ও চুপচাপ সবটা মেনে নিচ্ছে। জীবন ওর সঙ্গে খেলা করছে। কিভাবে নিজেকে সামলাবে বুঝতেই পারছে না। নিজেকে শেষ করে দিতে মন চাইছে। পৃথিবী যদি এখন ধ্বংস হয়ে যেতো তবে ভালো হতো।তাহলে অন্ততপক্ষে এই কষ্ট অপমান থেকে মুক্তি পাওয়া যেতো। ছোট থেকে যার পরিচয়ে ও একটু একটু করে বড় হয়েছিল এখন জানলো সেটা ডাহা মিথ্যা। ওর সঙ্গেই কেনো এমন হতে হলো? অপরদিকে কহিনুর,যে বাক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে সব কিছু না চাইতেই পেয়ে যাচ্ছে। ও তো এসবের যোগ্য না। কথাগুলো ভেবে ঐশ্বর্যের প্রচণ্ড রাগ হলো কহিনুরের উপরে। ও না থাকলে এসব কিছুই হতো না। ঐশ্বর্য নিজেকে আর আটকে রাখতে পারলো না। বেরিয়ে আসলো কক্ষ থেকে । সোজাসুজি গিয়ে ঢুকলো কহিনুরের কক্ষে। কহিনুর তখন বইয়ের পাতায় মুখ ডুবিয়ে বসে ছিল। ঐশ্বর্যের সহ্য হলো না। কহিনুরের হাত থেকে বইটা টেনে নিয়ে ফ্লোরে ছুড়ে দিয়ে ঠাটিয়ে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলো মেয়েটার গালে। ঐশ্বর্যের হাতটা ঝিমঝিম করে উঠলো। থাপ্পরের শব্দটা কক্ষের বাইরে গেলো কি বোঝা গেলো না তবে কহিনুর হুড়মুড় করে বিছানায় গিয়ে পড়লো। নরম বিছানায় ও কয়েক ইঞ্চি দেবে গেলো। একটা থাপ্পড়ে ঐশ্বর্যের রাগ কমলো না আবারও ওকে টেনে তুলে গলা টিপে ধরলো। এতো কিছুর পরেও মেয়েটা নির্বাকভাবে তাক্ষকিয়ে আছে।না বাঁধা দিচ্ছে না চোখের পানি ফেলছে। ঐশ্বর্য হতবাক হয়ে গেলো ওর এমন আলাভোলা চেহারা দেখে। মেয়েটা এমন নিলীপ্ত কিভাবে আছে? ও দ্রুত কহিনুরের গলা ছেড়ে দিয়ে বলল,
> শুধুমাত্র তোমার জন্য আমি সব কিছু হারিয়ে ফেলেছি।নিজের বলতে আজ আমার কাছে কিছুই নেই। ড্যাডের ভাগ থেকে শুরু করে সুলতান পরিবারের সব কিছু তুমি দখল করেছো। তোমার মতো বোবা মেয়ের যোগ্যতা নেই এই বাড়ির মেয়ে হওয়ার। এখন আদিকেও নিতে চাইছো?

ঐশ্বর্য একদমে কথাগুলো বলে থামলো। মেজাজ প্রচণ্ড খারাপ হয়ে আছে। কহিনুরকে প্রহার করতে গিয়ে ও নিজেই হাপিয়ে গেছে। কিন্তু মেয়েটা ততক্ষণে নিজেকে ঠিকঠাক করে নিয়েছে। মনে হচ্ছে ওর সঙ্গে কিছুই হয়নি। পাশে একজন কাজের মেয়ে দাঁড়িয়ে ছিল ও ঝগড়া না থামিয়ে বাইরে থেকে সবাইকে ডাকতে গেছে। কহিনুর ফ্লর থেকে বইটা কুড়িয়ে ঐশ্বর্যের দিকে তাচ্ছিল্যপূর্ণ হেসে সোফায় গিয়ে পায়ের উপরে না তুলে বসলো। যেটা দেখে ঐশ্বর্যের রাগের পরিমাণ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেলো। মেয়েটাকে এতো মারার পরেও এমন স্বাভাবিক কিভাবে থাকতে পারে? তাও আবার ওকে দেখে হাসছে।মনে হচ্ছে ওর ভাগ্য দেখে কহিনুরের মজা লাগছে। ও আবারও তেড়ে যেতে গেলো কিন্তু ততক্ষনে বাইরে থেকে জুবায়েরের দাদু আর ওর বাবা হুড়মুড় করে ভেতরে প্রবেশ করে ফেলল। কহিনুরের ফর্সা মুখ আর গলাতে কালো দাগ বসে গেছে র*ক্ত জমাট বেঁধে। আরমান ফারুকী ঐশ্বর্যের দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে বললেন,
> কহিনুরের গায়ে হাত দেওয়ার সাহস কিভাবে পেলে ? আজকের মধ্যে তুমি এই বাড়ি থেকে চলে যাবে। তোমার মা মারা গেছে কিন্তু বাবা তো আছেন? আমি খোঁজ নিয়ে তোমাকে পাঠিয়ে দিব। দ্রুত বাড়ি খালি করো।
আরমান ফারুকীর কথা শুনে ঐশ্বর্য কেঁপে উঠলো। এই আরাম আয়েশের জীবন ছেড়ে ও কিছুতেই যেতে পারবে না। হঠাৎ রাগ দেখিয়ে কাজটা ওর মোটেও ঠিক হলো না। কিভাবে পরিস্থিতি সামলাবে বুঝতে পারছে না। কান্না পাচ্ছে খুব। জুবায়েরের দাদু ওর দিকে কটমট দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে কাজের মেয়েটাকে ডেকে নিলেন কহিনুরের ফোলা গালে ওষুধ লাগিয়ে দিতে। অধরা আর জুবায়ের কক্ষে ছিল। খবর পেয়ে ছুটে আসলো। কহিনুরের মুখের দিকে তাঁকিয়ে জুবায়েরের মাথা গরম হয়ে গেলো। সোজা ঐশ্বর্যের হাতটা মুঠোয় নিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
> ওকে মেরেছো কেনো?
ঐশ্বর্য এবার শব্দ করে কেঁদে ফেলল। মুখটা করুণ করে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে। জুবায়ের আরেক দফায় ধমক দিয়ে বলল,
> কান্না বন্ধ করো।। ও তোমার বোন হয় আর তুমি ওকে মারতে পারলে? এই শিক্ষা দিয়েছি তোমাকে? ছোট বোনের গায়ে হাত তুলতে তোমার হাত কাঁপলো না? ওর উপরে কিসের এতো রাগ তোমার?
জুবায়ের একদমে কথাগুলো বলে থামলো। ওর চোখ থেকে আগুন ছুটতে। ঐশ্বর্য ভাঙা ভাঙা কণ্ঠে বলল,
> ও আমার সব কিছু কেড়ে নিয়েছে ড্যাড। তোমাকে আদিকে সবাইকে নিয়ে নিয়েছে। ওকে আমি ক্ষমা করবো না।

জুবায়ের চোখ বন্ধ করে কয়েক সেকেন্ড থেমে বলল,
> ওর জন্যই এতো আয়োজন। যা কিছু দেখছো সবটা ওর। ওর অনুপস্থিতিতে যেটা তুমি ভোগ করেছো। আমি তোমাকে নিজের মেয়ের মতোই ভাবি কখনও আলাদা ভাবিনি তবুও তোমার মনে এতো হিংসা কিভাবে হলো?
কথাটা বলে জুবায়ের ওকে থাপ্পড় দিতে গেলো কিন্তু অধরা সেটা ধরে ফেলল। ফোস করে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বলল,
>রাগারাগি করবেন না। মেয়েটার কথা ভাবুন একবার। আমি ওকে বুঝিয়ে বলবো আপনি ওকে ছেড়ে দিন প্লিজ।
জুবায়ের অধরার কথা শুনে খপ করে ওর হাতটা ছেড়ে দিয়ে কহিলেন পাশে গিয়ে বসলো। বরফের টুকরো নিয়ে মেয়ের মুখে লাগাতে লাগাতে বলল,

> খুব লেগেছে মাম্মা? বোনকে আমি খুব বকে দিব ওর আর এমন সাহস দেখাবে না।

কহিনুর ড্যাবড্যাব করে জুবায়েরের দিকে তাঁকিয়ে আছে কোনো রিয়েক্ট করছে না। মনে হচ্ছে কতকাল পর ও নিজের বাবাকে দেখছে। জুবায়ের মেয়ের মুখটা নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে কপালে চুমু দিয়ে দিলো। ঐশ্বর্য দৃশ্যটা সহ্য করতে না পেরে ছুটে বেরিয়ে আসলো কক্ষ থেকে। অধরা গেলো ওর পেছনে পেছনে। জুবায়ের একবার সেদিকে তাঁকিয়ে আবারও মেয়ের দিকে নজর দিলো। কহিনুর ওর হাত ধরে ইশারা করলো কিছু হয়নি সব ঠিক আছে। জুবায়ের মেয়ের কপালে পরপর দুটো চুমু দিয়ে বেরিয়ে আসলো। আরমান ফারুকী কাজের মেয়েটাকে ধমক দিয়ে বলল কক্ষের দরজা সব সময় বন্ধ রাখতে। অনুমতি ছাড়া প্রবেশ নিষেধ সবাইকে জানিয়ে দিতে।
**********
কক্ষে বসে আছে অধরা। চারদিকে শুধু অশান্তি চলছে। কিভাবে মুক্তি পাবে কিছুই বুঝতে পারছে না। জুবায়ের থমথমে মুখ নিয়ে বলল,
> আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঐশ্বর্যকে জার্মানিতে পাঠিয়ে দিব। ওকে এখানে রাখা ঠিক হবে না। মেয়েটা প্রচণ্ড জেদি তৈরী হয়েছে।
অধরা আনমনে ভাবছিল হঠাৎ ওর কণ্ঠ শুনে চমকে উঠে বলল,
> এই অবস্থায় ওকে দূরে পাঠানো ঠিক হবে না। আমি ওকে ঠিক মানিয়ে নিবো। ওকে বোঝাতে হবে আদি ওর উপযুক্ত না। আদি ছেলেটা কেমন ভেবে দেখুন একবার? ওরকম একটা ছেলের সঙ্গে আমাদের কোনো মেয়েকেই বিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। চৌধুরী আঙ্কেলকে বোঝাতে হবে। কিন্তু কিভাবে?
জুবায়ের রাগে ফুলতে ফুলতে বলল,
> কিসের বোঝাবুঝি? আমি সোজাসুজি নিষেধ করে দিব। সম্পর্ক নষ্ট হলে হবে আমি পরোয়া করিনা। আমার মেয়েরা এতোটা সস্তা না।
> আরে মাথা ঠাণ্ডা করে ভাবুন। আদির বিরুদ্ধে কোনো তথ্য পেলে আঙ্কেলকে দেখাতে পারতেন। তাতে যদি কিছু হয়। উনি যথেষ্ট ভালো মানুষ। আশাকরি উনি বুঝবেন সবটা। আচ্ছা সেসব বাদ দিন আর রাতের জন্য রেডি হোন। আজ রাতে কিন্তু মিশন আছে। সুড়ঙ্গের কাছে গোলাপের চতুর্থ টবটা রাখা আছে। সঙ্গে লাইট আর বারুদ নিতে হবে। মোমবাতি নিলে কেমন হয়?

অধরা একদমে কথাগুলো বলে থামলো। জুবায়ের ওকে দুহাতে নিজের সঙ্গে জড়িয়ে নিয়ে বলল,
> সব কিছু মনে থাকে তাইনা? ওসব ছাড়ো এখন আমাকে সময় দাও। মন মেজাজ খারাপ আছে ভালো করে দাও। শুনেছি বউয়েরা নাকি সব পারে। বরের মন ভালো করা বউয়ের দায়িত্ব।

জুবায়েরের কথা শুনে অধরা ভ্রু কুচকে ফেলল। ভাবলো এই লোকটা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ কথার মধ্যে এসে আবোলতাবোল বকে কেনো? এরকম ছেলেমানুষি করলে তো হবে না। অধরা ওকে ছাড়িয়ে দিয়ে উঠে আসতে গেলো কিন্তু পারলো না। জুবায়ের ওকে কোলে উঠিয়ে নিয়ে দাঁত বের করে শব্দ করে হেসে ফেলল। কোনোরকমে হাসি থামিয়ে বলল,
> পালিয়ে যাচ্ছো কেনো? সুলতান জুবায়ের ফারুকীর থেকে পালানো এতো সহজ? গতকাল রাতে তুমি নিজে বলেছো আমি যা ইচ্ছে তাই করবো তুমি সামলে নিবে। এখন সামলাও।আমার দোষ নেই।
অধরা কপট রাগ দেখিয়ে বলল,
> এটা কি ধরনের ভদ্রতা? এখুনি নামিয়ে দিন। আমার কাজ আছে। সন্ধ্যার আগে ও বাড়িতে যেতে হবে। মনিমাকে সবটা বলতে হবে। বিরক্ত আপনার উপরে।
> তো আমার কি?
> ভালো হচ্ছে না কিন্তু।
> জানি।
অধরা তর্ক করে হাপিয়ে গেলো। ভাবলো দ্রুত একে ভালো কোনো ডাক্তার দেখানো উচিৎ। সমস্যা গুরুতর।
**********
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে আকাশের দিকে তাঁকিয়ে ভড়কে গেলো পাথর। আকাশে ঘনকালো মেঘ। ভাবলো বাংলাদেশে পা রাখতে না রাখতেই কি তবে বৃষ্টি নামবে? ওকে চুপসে যেতে দেখে বেলাল নেচে উঠলো। বলল,
> স্যার কতদিন পরে শান্তিতে বৃষ্টিতে ভিজবো বলুন তো? দেশের বাতাস গায়ে লাগতেই মনটা আনন্দে ভরে উঠলো। প্রাণ ভরে অক্সিজেন নিলাম।
আজ যেনো বেলালের কণ্ঠ খুলে গেছে। হড়বড় করে যা মনে আসছে বলে ফেলছে। সামনে বস দাঁড়িয়ে আছে সেদিকে ওর খেয়াল নেই। পাথর বিরক্তি নিয়ে বলল,
> বৃষ্টির আগে আবাসিক হোটেলে পৌঁচ্ছাতে না পারলে আমি নিজ দায়িত্বে তোমার অক্সিজেন বন্ধ করার ব্যবস্থা করে দিব বেলাল। চুপচাপ নিয়ে চলো।
পাথর ওকে হুমকি দিলো কিন্তু বেলাল পাত্তা দিলো না। দীর্ঘদিন পরে দেশের মাটিতে পা রাখার আনন্দটা নষ্ট করতে মন চাইছে না। বেলার লাগেজ নিয়ে পাথরের পিছু নিলো। এখানকার অফিসের কয়েকজন কর্মচারি ওদের জন্য অপেক্ষা করছিল। পাথর এগোতেই ওরা ফুলের বুকে দিয়ে অভিনন্দন জানালো। বেলালের হাত খালি নেই সেখানে আবার এই অতিরিক্ত বুকে এসে যোগ হলো। বেচারার অবস্থা খারাপ। মনে মনে আচ্ছা করে কয়েকটা গালি দিয়ে দিলো মানুষের এমন বেকুব মার্কা বুদ্ধির জন্য। একজন মানুষের জন্য সামান্য দুটো গোলাপ ঠিক আছে তাইবলে এতগুলো ফুল? সেইতো নষ্ট হবে যত সব। বেলাল নিজের বিগড়ে যাওয়া মেজাজ ঠিক করতে আর পারলো না। গাড়ি অবধি বকবক করলো।গাড়ির সামনে গিয়ে সবকিছু গাড়িতে তুলে দিয়ে শান্তি। গাড়ি ছেড়ে দিলো কিন্তু ওদের পৌঁছনোর পূর্বেই আকাশ বাতাস কাপিয়ে ঝুম বৃষ্টি নেমে গেলো। ঘনঘন বজ্রপাত হচ্ছে। গন্তব্যস্থলে পৌঁছে গাড়ি থেকে নামতেই পাথর আচ্ছা করে ভিজে গেলো। ঠান্ডা পানিতে গায়ে কাটা দিচ্ছে তবুও মনে হলো খারাপ না বেশ ভালো। গায়ের মোটা কোট ভেদ করে কয়েক ফোটা পানি ওর পিঠ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে। পাথর দাঁড়িয়ে পড়লো সেখানেই। কোট খুলে পাশে নামিয়ে রাখলো তারপর কিছুক্ষণ খোলা আকাশের নিচে দুহাত মেলে দাঁড়িয়ে থাকলো। বেলাল কি করবে বুঝতে পারছে না। বসকে ফেলে এগোনো ঠিক হবে কি সিদ্ধান্তহীনতাই নিজেও ভিজে গেলো। ভাবলো এসব বড় বড় মানুষের মতিগতি কখন কিভাবে ঘুরে যায় আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা। বেলাল রীতিমতো বিরক্ত। চুপচাপ দেখলো সবটা।
***************
গভীর রাত জুবায়ের অধরার হাত ধরে গুপ্ত সুড়ঙ্গের প্রথম সিঁড়িতে পা রাখলো। জুবায়েরের হাতের টর্চ লাইট থেকে সামান্য পরিসরে আলো জ্বলছে। ভয়ে অধরার বুক কাঁপছে। নিচে ওদের জন্য কি অপেক্ষা করছে কে জানে। ওরা যতই নিচে নামতে শুরু করলো ততই শব্দ আর বাতাস কমতে শুরু করলো। মাথার উপরের ছাদটা বেশ নিচু মাথায় লেগে যাচ্ছে। জুবায়ের আগে আগে পথ দেখিয়ে ওকে নিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ নীরবতা কাটিয়ে সুর করে মেয়েলি কন্ঠের কান্নার আওয়াজ ভেসে আসলো দূর থেকে। কেউ গুণগুণ করে কাঁদছে। অধরা জুবায়েরের কলার টেনে ধরলো পেছন থেকে। সামনে কি অপেক্ষা করছে ওদের জন্য?

চলবে

ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here