কহিনুর_দ্বিতীয়_খণ্ড,পর্ব:১৪

0
571

#কহিনুর_দ্বিতীয়_খণ্ড,পর্ব:১৪
কলমে: ইয়াসমিন

চৌধুরী বাড়ি থেকে কহিনুর চলে যাওয়ার পর থেকে মিষ্টির মন খারাপ। কিছুতেই বাড়িতে সময় কাটে না। একা একা লাগে তাই বড় বোনের কাছে থাকতে হচ্ছে ওকে।মিঠি আর ওর ফ্রেন্ডের জন্য আলাদা কক্ষের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মৌসুমী ফোন হাতে কারো সঙ্গে চ্যাটিং করতে ব্যস্ত। যেটা মিষ্টির কাছে একদম বিরক্তিকর লাগছে। বোনের এই অতিরিক্ত ফোন ভোক্তির লক্ষণ যে সুবিধার না সেটা ও বুঝে। যদি ওর মতো ভুলভাল কোনো ছেলের পাল্লায় পড়ে যায় তবে কেঁদেও কুল পাবে না। আল্লাহ সহায় ছিল তাই ও এই যাত্রাতে বেঁচে গেছে। বারবার এমন সুযোগ আসবে না। মিষ্টি প্রতিজ্ঞা করেছে জীবন থাকতে এই আকামের সঙ্গে ও জড়াবে না। র*ক্তের সম্পর্কও এখন বেইমানি করে। স্বার্থের জন্য মানুষ অনায়াসে নিচে নেমে যেতে পারে। সেখানে এমন অবৈধ সম্পর্ক যার কোনো বৈধতা নেই সেই সম্পর্ক ওকে কিসের সুখ দিবে। না আছে আশা না আছে ভরসা। শুধু শুধু সময় নষ্ট ছাড়া কিছুই না। কথাগুলো ভেবে ও ভ্রু কুটি করে বলল,
> আপু তুমি কার সঙ্গে কথা বলছো বলোতো? আমার কিন্তু বিরক্ত লাগছে। কহিনুর থাকলে আমি কখনও তোমার সঙ্গে থাকতে আসতাম না। আব্বুকে সব বলে দিব।

মৌসুমী বিরক্তি নিয়ে বলল,
> বিরক্ত করিসনা মিষ্টি। তুই জানিস আমার একটা ফ্রেন্ড বাংলাদেশ আসছে। ওর সঙ্গেই কথা বললাম। ও অনেকদিন এখানে থাকবে। তুই ভাবতে পারবি না ছেলেটা কি কিউট দেখতে। আমি ফিদা, প্রেমে পড়ার মতো একটা চরিত্র।

> আপু দিনশেষে সকলে এক।কথায় বলে পুরুষ মানুষ কারো খালু হয়না ।জীবন সিনেমার মতো না। ছেলেটার সঙ্গে দুদিন কথা বলেই তুমি বুঝে গেলে ও ভালো? সময় দাও দেখবে ঝুলি থেকে সাপ ঠিকই বের হয়েছে।

মৌসুমী বিরক্ত হলো মিষ্টির কথা শুনে। তাছাড়া পছন্দের মানুষের বিরুদ্ধে খারাপ কথা শুনতে খারাপ লাগবে সেটা স্বাভাবিক। ও কপট রাগ দেখিয়ে বলল,
> শোন ও আমাকে কখনও আগে থেকে নক করেনা। আমি নিজ থেকে কথা বলতে চেয়েছি তাছাড়া ছেলেটা প্রথমবার বাংলাদেশ আসছে কিছু চিনে না সেই বিষয়ে কথা বলছিল। আমাদের এখানে আসার নিমন্ত্রণ করেছি। ভীষণ ভালো ছেলে। ওদের কাজ কক্সবাজারেই হচ্ছে। চট্টগ্রামেও কিছু কাজ আছে তবে এখানে বেশি থাকবে। শোন শপিং করতে যেতে হবে। ও পরশুদিন কক্সবাজার পৌঁছাবে তার আগেই আমাকে পার্লারে যেতে হবে।চুল গুলোর কি অবস্থা। এই শোন না আমি পিঙ্ক কালারের দুটো ড্রেস নিবো কি বলিস? আর লাইট কালারে আমাকে কেমন মানাবে?
মৌসুমী একদমে কথাগুলো বলে থামলো। মিষ্টি রীতিমতো অবাক। কে না কে আসছে তার জন্য বোনের উপছে পড়া আনন্দ সহ্য হলো না ওর। ভ্রু কুটি করে বলল,
> যা ইচ্ছে করো যখন চোখের জলে আর নাকের জলে এক হবে তখন আমি তোমার জন্য পিঙ্ক কালারের রোমাল আনবো ওটাতে তোমাকে ভিষন মানাবে। আমি যাচ্ছি যতসব।

মিষ্টি রাগ দেখিয়ে গটগট করে চলে গেলো। মৌসুমী সেদিকে তাঁকিয়ে ভাবলো বোনটা ওর নাকি কহিনুরের কে জানে।সব সময় কহিনুরের গুণগান গাইছে।কথাটা ভেবে ও দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে আবারও ফোনের দিকে নজর দিলো।
*****
ভোররাত, জুবায়ের জেগে আছে কিছুতেই ঘুম আসছে না। ওর বুকের মধ্যে গুটিশুটি মেরে অধরা ঘুমিয়ে আছে। আহিরের বাবার নামে মাদক চোরাচালানের অভিযোগ উঠেছে তাছাড়া ওরা যুক্তি করে সুলতান রিসোর্টে অধরার বিরুদ্ধে কাজ করছিল। বদনাম করে রিসোর্ট বন্ধ করলে ওদের লাভ ছিল। সন্ধ্যা রাতে ভদ্রলোককে পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে গেছে। জুবায়ের ওখান থেকেই ফিরেছে। একদিকে বাড়ির ঝামেলা অন্যদিকে বাইরের ঝামেলা। কথাগুলো ভেবে ও অধরার কপালে ওষ্ঠদ্বয় রাখতেই ও নড়েচড়ে উঠলো। জুবায়ের দ্রুত মুখ সরিয়ে নিলো কিন্তু ততক্ষণে মেয়েটা পিটপিট করে খুঁলে নিয়ে ঘুমঘুম কণ্ঠে বলল,
> কি হয়েছে আপনার, ঘুমাবেন না? টেনশন করবেন না। ঝগড়া ঝামেলা যা ইচ্ছে দুমদাম করে ফেলুন আমি আছি তো সব সামলে নিবো। আপনি যেমন আছেন থাকেন আমার কোনো সমস্যা নেই। ঘুমান নাকি গান গেয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিবো?

অধরার আবোলতাবোল কথা শুনে জুবায়ের হেসে ফেলল। ওকি বাচ্চা যে ওকে ঘুম পাড়াতে গান বলতে হবে? তাছাড়া অধরা কোনো গান পারেনা। জুবায়ের ওর হাতটা নিজের বুকের উপরে রেখে বলল,
> আমি বাচ্চা নয়। বাইরে কি করছিলে বলে ফেলো এবার?
জুবায়েরের কথা শুনে ওর আবারও সবটা মনে পড়ে গেলো। ও উঠে বসতে চাইলো কিন্তু জুবায়ের দিলো না বরং আরও শক্ত করে জড়িয়ে নিয়ে বলল,
> এভাবেই বলো শুনছি।

অধরা উত্তেজিত হয়ে বলল,

> এই বাড়িতে আমাদের অগোচরে কেউ আছে। একজন না বেশ কিছু মানুষ। ঠিক মানুষ না তবে কি তা জানি না। যারা আপনাদের ছাদে আর বাসার নিচে অবস্থান করছে। আমি জানতে চাই ওরা কারা। ওরা কেনো এভাবে লুকিয়ে আছে?

জুবায়ের চিন্তিত হলো বিষয়টা ভেবে। অবিশ্বাস হচ্ছে না এই বাড়িতে এমনটা থাকতে পারে একদম নরমাল বিষয়। তবে এরা কি জার্মান থেকে সেই নর খাদকদের নিয়ে এসেছে কি? বুঝতে পারলো না। বলল,
> কিভাবে বুঝলে কেউ আছে?
> অনুভব করেছি। ঐশ্বর্যকে সেদিন রাতে কেউ আঘাত করে কক্ষে রেখে গেছে। তবে যেই করেছে সে কিছুতেই মানুষ না নয়তো মেয়েটার ব্যথা থাকতো। সে কৌশলে ওকে কক্ষে রেখে গেছে। যাতে মনে হয় সবটা ওর মনের ভূল।আর আমিও আজ ফিসফিস করে কথা বলার আওয়াজ পেয়েছি। কেউ আছে আপনি বিশ্বাস করুন।

অধরার কণ্ঠে উত্তেজনা বিরাজ করছে। জুবায়ের ওকে শান্ত করতে ওর হাতটা নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বলল,
> তোমাকে অবিশ্বাস করলে বিশ্বাস করবো কাকে? তুমি জানো কহিনুর পাথরটা হঠাৎ চুরি হয়েছে। কে নিতে পারে বলোতো? ভাই মিথ্যা বলছে না। আমি গোপনে শুনেছি এটা নিয়ে দাদু চিন্তা করছে।

অধরা এবার আর শুয়ে থাকতে পারলোনা। উঠে বসলো। পাথর ছাড়া কিভাবে অভিশাপ কাটবে কথাটা ভেবেই ওর ভয় করছে। ও এক প্রকার কেঁদে ফেলল। ভেজা কণ্ঠে বলল,
> আমাদের মেয়েটার কি হবে তাহলে? আমি ওর জীবনটা নষ্ট হতে দিবো না, কিছুতেই না। আমি ম*রেই যাবো।
অধরার চোখে পানি চলে এসেছে। জুবায়ের এবার শোয়া থেকে ওর পাশে বসে পড়লো। কিছু একটা ভেবে বলল,
> ভোর রাত হয়ে গেছে কিছুক্ষণ পরে আজান হবে চলো বাইরে থেকে ঘুরে আসি।
অধরা কিছু বলতে চাইলো কিন্তু পারলোনা। জুবায়ের বিছানা থেকে নেমে পড়লো। তারপর আলগোছে ওকে কোলে তুলে নিয়ে হাটা শুরু করলো। অধরা ভ্রু কুচকে বলল,
> কথায় কথায় কোলে তুলে নেওয়া তোমার অভ্যাস হয়ে গেছে।আমি হাটতে পারবো নামিয়ে দাও।
জুবায়ের ওর কথা পাত্তা দিলো না। হাটতে হাটতে লম্বা বারান্দা পেরিয়ে সিঁড়িতে পা রাখলো। নামতে নামতে বলল,
> রোবট বউটাকে মানুষ তৈরী করতে অনুভূতি ফিরিয়ে আনার জন্য এইটুকু করতে হয় আমাকে।চুপচাপ থাকো কথা বলো না। আমাদের পেছনে কেউ আছে মনে হচ্ছে।
অধরা সিউরে উঠলো ভয়ে। ছমছম করছে শরীর। ডাইনিং রুমের আলো নিভুনিভু করছে। জুবায়ের দরজার সামনে গিয়ে ফিসফিস করে বলল,
> নামতে হবে না ডান হাত বাড়িয়ে দরজা খু*লে দাও।
অধরা ওর কথা অনুযায়ী দরজার ছিটকিনি খুঁলে দিলো। গেটে দারোয়ানরা পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছে। সুলতান ভিলার বাইরে পা রাখতেই ওদের কেমন ঠাণ্ডা বাতাস বয়ে গেলো শরীরে। জুবায়ের ওক নিয়ে বাগানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ছেলেটার মতিগতি ওর চিন্তা শক্তির বাইরে। কি করতে চাইছে জুবায়ের? শরৎ কালের শেষ, বিন্দু বিন্দু শিশির পড়েছে ঘাসের উপরে। জুবায়েরের পা ভিজে উঠেছে। অধরা ওর গলা জড়িয়ে ধরে বলল,
> ওই কোথায় যাচ্ছি?
> তোমাকে খু*ন করে গু*ম করে ফেলবো তাই নিয়ে যাচ্ছি।
জুবায়েরের সরল স্বীকারুক্তি। অধরা শব্দ করে হাসতে গিয়েও হাসলো না। পা নাচিয়ে বলল,
> সেতো আমার মৃত্যু নয়গো, হবে শরীরের মুক্তি। আহা পরম আনন্দে আমি সেই মুক্তি পেতে তৈরী।

জুবায়ের এবার রেগে গেলো ভীষণ। মেয়েটা আজেবাজে কথা বলেই চলেছে। কিসের মুক্তি? সুলতান জুবায়ের ফারুকীর থেকে ওর মুক্তি নেই। ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখতে জুবায়ের জানে। তাই ধমক দিয়ে বলল,
> আপাতত মুক্তি আশা ভূলে যাও। এখনো তোমার থেকে আমার অনেক কিছু নেওয়ার আছে। একটা বাচ্চা দিয়ে আমি সন্তুষ্ট না আরও বাচ্চা কাচ্ছা হবে সেসব ভাবো।
অধরা কিছু বলতে চাইলো কিন্তু পারলোনা। জুবায়ের ওকে বাড়ির পেছনের বাগানে নামিয়ে দিয়ে আবারও বলে উঠলো,
> এখানে একটা গোপন সুড়ঙ্গ আছে। মাটির নিচে কক্ষ থাকতে পারে।সেখানেই লুকিয়ে আছে তোমার সব প্রশ্নের উত্তর। এই বাড়িটা তৈরী করতে দু বছরের অধিক সময় লেগেছে। আমার জানা মনে বাগানের দিকে সুড়ঙ্গ দিয়ে বাড়ির নিচ পযর্ন্ত যাওয়া যায়। হয়তো ওখানে কেউ আছে। দ্রুত কাজ করো।
অধরা অবাক হয়ে বলল,
> দিনে খোঁজ করলে হবে না? আমি লুকিয়ে আসবো খোঁজ করতে।আবছা আবছা আলোতে কিছু দেখা যাচ্ছে না।
জুবায়ের গাছের টবগুলোর নিচটা চেক করতে করতে বলল,
“বধির বোবা বলবে বাক্য ঝরবে তখন লাল র*ক্ত, ঊষা কালে খুঁলবে দুয়ার বন্ধ হবে তিমির দুয়ার।”

ধাঁধার রহস্য কি আজ পযর্ন্ত সঠিকভাবে জানতে পেরেছো? শুনো বধির বোবা কথা বলতে শুরু করেছে কি জানিনা তবে র*ক্ত কিন্তু ঝরতে শুরু করেছে। গতকাল সমুদ্রের তীরে নতুন লাশ পাওয়া গেছে। আর বালুচরে আঙুল দিয়ে লেখা আবারও একটা ধাঁধা । এই খু*নের সঙ্গে ওই পাথরটা নয়তো আমার পরিবারের কেউ জড়িত আছে। রহস্য না সামনে আসলে এভাবে খু*ন হতেই থাকবে।
অধরার বুকে মধ্যে ধুকপুক করছে। কহিনুরের বিপদ হবে কি অজানা কারণে ভয় করছে।ও আর সময় নষ্ট করলো না। দ্রুত খুঁজতে শুরু করলো। এই সময়টাতে এই বাড়িতে কোনো খারাপ কিছু হয়না। ঊষাকালে সকল খারাপ শক্তি নির্জীব হয়ে যায়।
********
চুপচাপ লাগেজ গুছিয়ে রাখতে রাখতে হঠাৎ পাথর থমকে গেলো। গত তিন বছর ধরে বাবার থেকে ও আলাদা আছে। আন্টির সঙ্গে মাঝেমাঝে ফোনালাপ হয় তবে পাথর নিজ থেকে কখনও ফোন করেনা। ভদ্রমহিলা বোনের ছেলেকে নিজের ছেলের মতোই ভালোবাসে। পাথর যে উনাকে অপছন্দ করে এমনটা না। বাবার স্বার্থপরতা আর টাকার প্রতি লোভ ওকে বাধ্য করেছে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছে। তাছাড়া পড়াশোনা চলা কালিন সময়ে ও ভালো একটা কোম্পানিতে কিছুদিন জব করেছে। ওর ইচ্ছে ছিল নিজের মতো সাধারণভাবে বাঁচতে। কিন্তু হলো না। একপ্রকার বাধ্য হয়ে নিজেদের কোম্পানিতে জয়েন করতে হলো। এক বছর পরে ও নিজের ইচ্ছা মতো আলাদা থাকার জন্য শর্ত মেনে ব্যবসার দায়িত্ব নিয়েছে। পাথর মায়ের ছবিটা লাগেজে রেখে ঝটপট রেডি হয়ে বেলালকে ফোন দিতে দিতে বেরিয়ে আসলো। রাত বারোটার সময় ফ্লাইট ওদের। আপাতত ঢাকার একটা আবাসিক হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে ওদের জন্য। একরাত ঢাকায় অবস্থান করবে তারপর কক্সবাজার দৌড়াবে। পাথর বাইরে গিয়ে গাড়িতে উঠে বসতে বসতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য মোবাইলে সেভ করে নিলো। বেলাল পৌঁছে গেছে কিছুক্ষণ আগেই।
****
ভ্রু কুটি করে বসে আছে জুবায়েরের দাদু। চৌধুরী বাড়িতে ঐশ্বর্যের বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল কিন্তু ওরা সেটা না করে উল্টো কহিনুরের জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। কহিনুর ওই বাড়ির মেয়ের মতো। সকলের আদরে মানুষ হয়েছে। এখন যদি বউ হয়ে যায় তবে ওরা খুশী হবে। ওকে মাথায় করে রাখা হবে। অধরাকে চৌধুরী সাহেব ফোন দিয়ে এসব বলেছে।এতদিন ওরা যেহেতু ওকে সাহায্য করেছে তাই সেই জন্য হলেও যেনো এই প্রস্তাবটা মেনে নেওয়া হয়। আদি নিজে কহিনুরকে পছন্দ করেছে । ঐশ্বর্যের সঙ্গে ওর যা কিছু ছিল সব অস্বীকার করেছে। সেটা শুনে ঐশ্বর্য কক্ষের দরজা বন্ধ করে বসে আছে।কিভাবে অধরা এই বিয়ে আটকাবে বুঝতে পারছে না। উপকার করে এখন ওরা প্রতিদান চাইছে। ফিরিয়ে দিতে হলে হাজার বার ভাবতে হবে। জুবায়ের রাগে ফুলছে। ঐশ্বর্যের বিষয়ে ও বেশ কিছু জানে। কিন্তু এখন ও নিরুপায়। স্ত্রী কন্যার আশ্রয় দেওয়া মানুষগুরোকে আঘাত করতে বিবেকে বাধা দিচ্ছে। জুবায়েরের দাদু সেসব নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করছে। বাগান থেকে ফিরে আসতেই সকাল সকাল ওদের দুজনকে তাই ডাকা হয়েছে। আদির সঙ্গে কহিনুরের বিয়ে নিয়ে চৌধুরী পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক না খারাপ হয়ে যায় অধরা শুধুমাত্র এটাই ভাবছে। তাছাড়া অভিশাপ অনুযায়ী কহিনুরের বিয়ে দেওয়া ওদের সাধ্যের বাইরে। এখন কি হবে?

চলবে

ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here