তিমিরে_ফোটা_গোলাপ পর্ব-২৪

0
494

#তিমিরে_ফোটা_গোলাপ
পর্ব-২৪
Writer Taniya Sheikh

পল আসার আগে প্যালেস ছাড়ল ইসাবেলা। এছাড়া আর কোনো পথ ছিল না সামনে। পলের সামনে পড়লে তাকে ফিরতেই হতো আবার। চাইলেও আজ আর ফেরার ইচ্ছে নেই। সূর্যোদয় তখনও গগনের পূর্ব প্রান্তে পুরোপুরি জেগে ওঠেনি। জার্মানির প্রথম সূর্যোদয় হয় এই গরলিটজে। অসম্ভব সুন্দর সেই মুহূর্ত। নিইস নদীর পাড়ের নিরালায়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় দেখল ইসাবেলা। প্রত্যুষের স্নিগ্ধতা গরলিটজের বাতাসে। নরম তুলোর মতো বাতাস এসে গা ছুঁয়ে দিয়ে যায়। রোদ ভারি মিঠা লাগে। একাকী ভাবাবেশে আচ্ছন্ন হয়ে দিশাহীন পথ চলছে। বাড়ি ফিরবে না। তবে কোথায় যাবে? কোথায় থেকে ভ্যালেরিয়ার শেষ কাজ সমাপ্ত করবে? এসব ভাবতে ভাবতে বার্চ গাছের আড়ালে বসল। সামনে বইছে নিইসের শান্ত জলের ধারা৷ এই নদীটিকে কেন্দ্র করে হাজার বছর আগে গড়ে ওঠে গরলিটজ শহর। আশপাশের স্থাপত্যে লেগে আছে পুরাতন সেই শিল্প এবং ঐতিহ্যের ছোঁয়া। শহরটি একেবারে অপরিচিত ইসাবেলার কাছে। কারো সাথে কথা বলবে সে জো নেই। এখানকার ভাষা ওর অজানা। ভাবপ্রকাশের অন্যতম মাধ্যম ভাষা৷ ইশারা- ইঙ্গিতে কাওকে কতটুকই আর বুঝাতে পারবে। যদিওবা তা করত কিন্তু ওই গাঁয়ের বাজারে ঘটে যাওয়া দূর্ঘটনার পর এখানকার মানুষকে ওর বিশ্বাস নেই। একটু দূরে পাকা সড়ক। আশ্চর্যের ব্যাপার বেলা বাড়ার পরও রাস্তা বেশ ফাঁকা। খুব একটা লোক সমাগম দেখা গেল না। কোথাও একটা গম্ভীরতার রেশ টের পাওয়া যায়। মাঝেমাঝে দু একটা জার্মান সৈন্যবাহী জীপ দেখা গেল। শহরটা টহল দিচ্ছে ওরা। রোদের তাপ বাড়তেই ইসাবেলা উঠে পড়ে। ওদিকটা বার্চ আর পাইনবৃক্ষের সারি। একটু ছায়ায় গিয়ে বসল এবার। কাল থেকে না খাওয়া। পেটটা বড্ড জ্বালাচ্ছে। হাতে অর্থকড়ি কিছুই নেই। কিছু খেতে হলে অর্থ দরকার। বেলা বেড়ে দুপুর। অনাহারে ইসাবেলার শরীর দুর্বল। দু’হাতে পেট চেপে বার্চ গাছের তলে গা এলিয়ে বসে আছে। খিদে সহ্য করতে না পেরে একসময় উঠে দাঁড়ায়। রাস্তায় তখনও তেমন একটা লোকের দেখা নেই। টহলরত সৈন্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ডাউন টাউনের উঁচু দালানের গা ঘেঁষে এগোতে লাগল। ওর ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় খারাপ কিছুর সংকেত দিচ্ছে। খিদে পেটে সেটা তেমন আমলে নিলো না। লুকিয়ে ও গরলিটজের বাইরে চলে এলো। সামনে দুটো রেস্তোরাঁ দেখা যাচ্ছে। কয়েকজন পুরুষ এবং মহিলাকেও দেখতে পেল। বা’দিকে কাঁচা বাজার। বেশ কয়েকজন নারী পুরুষের ভিড় সেখানেও। ইসাবেলা যাবে কি না ভাবতে লাগল। একসময় দ্বিধাবোধ কাটিয়ে পা বাড়ায়। আগাথার ওপর ভীষণ রাগ হচ্ছে। কেমন একলা আর অসহায় অবস্থায় ছেড়ে উধাও হলো! ভুল হয়েছে একজন প্রেতাত্মাকে বিশ্বাস করে। নোভা বলেছিল ওর মা পবিত্র আত্মা। এমন হয় পবিত্র আত্মা? মিথ্যা বলে, প্রতারণা করে! নিকোলাস এবং নোভার নিষেধ উপেক্ষা করে প্যালেসে থাকা অসম্ভব। ওদেরকে ও বিশ্বাস করে না। আগাথা যতই সান্ত্বনা দিয়ে বলুক, ওরা ইসাবেলাকে মারবে না। কেন যেন ইসাবেলা সেকথা মোটে বিশ্বাস করতে পারেনি। একবার ভেবেছিল ওই প্যালেসের কাছাকাছি কোথাও আত্মগোপন করে থাকবে। সেখানেও ভয় ছিল। ইসাবেলাকে খুঁজে পেতে সমস্যা হতো না ওদের। কিছুতেই ওদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি করতে চায় না ও। যে করেই হোক নিকোলাসদের সমূলে শেষ করতে হবে। কিন্তু কীভাবে ভ্যালেরিয়ার এই অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করবে? কীভাবে?

“আগাথা, কোথায় আপনি? আমি যে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।”

বাজারের পাতলা ভিড়ের মধ্যে হাঁটছে। তারপর আবাসিক এলাকার পথে এগোতে লাগল। দুটো টমটম পাশ কেটে যায়। বাড়িগুলোর সামনে শিশুরা খেলছে। ইসাবেলাকে দেখে এক পলক তাকিয়ে আবার নিজেদের খেলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ল ওরা। এভাবে উদভ্রান্তের ন্যায় হেঁটে আরো ক্লান্ত আর হতাশ হয়। সামনে একটা চার্চ দেখতে পেয়ে সেদিকে গেল। ভেতরে কেউ নেই। হাঁটু মুড়ে বসে প্রার্থনা করল ঈশ্বরের কাছে ইসাবেলা। তিনি যেন একটা পথ দেখিয়ে দেন ওকে। হঠাৎ বিকট আওয়াজে চমকে ওঠে। নড়ে উঠল চার্চটাও। বেরিয়ে এলো বাইরে। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে রইল। একটু আগে যেখানে শিশুরা খেলছিল সেই আবাসিক স্থানটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বোমা। শিশু কিংবা সেই দালান কিছুরই আর চিহ্ন নেই। ভগ্নস্তূপে পরিণত হয়েছে সামনেটা। ইসাবেলা যখন এক পা বাড়াল বোমার আঘাতে ধ্বংস হওয়া সেই আবাসিক এলাকার পথে তখনই আবার সেই বিকট শব্দ। এরপর কিছুক্ষণ ওর শ্রবণশক্তি কাজ করা বন্ধ করে দিলো। স্তব্ধ হলো সামনের সব। বাজার, রেস্তোরাঁ মুহূর্তে মৃত্যুপুরিতে পরিণত হয়েছে। এক হিটলারের স্বপ্ন পূরণ আর স্বেচ্ছাচারিতায় কেবল গরলিটজ নয় পুরো বিশ্বে বেজে উঠেছে যুদ্ধে দামামা। মরছে লক্ষ কোটি নিরীহ মানুষ। ইসাবেলা যুদ্ধের এই নির্মমতা সম্পর্কে একেবারে আড়ালে ছিল। রাশিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের জীবনপ্রবাহে কিংবা নির্জনের ওই পরিত্যক্ত প্রাসাদের বন্দিত্বদশায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা কী করে জানবে? গরলিটজের আকাশে তখন ধোঁয়া আর মৃত্যু ক্রন্দনের হাহাকার। ইসাবেলা পাথরের মতো দাঁড়িয়ে রইল। পা নড়ছে না। আকাশে যুদ্ধ বিমান উড়ে যাচ্ছে। একের পর এক গান ফায়ারিংএর শব্দ। লোকের হুলস্থুল লেগে গেল। আহত, অক্ষত সবাই প্রাণ বাঁচাতে ছুটছে এদিক ওদিক। সাজোয়া জার্মান সৈন্য ট্যাংক এদিকেই আসছে। ইসাবেলার হুঁশ ফিরল। দৌড়াতে লাগল উলটো দিকে। ও একা নয় সাথে আরো মানুষ। সকলে নিরাপদ স্থানের খোঁজে দৌড়াচ্ছে৷ সামনের এক সমতলের কাছাকাছি টানেলে গিয়ে লুকাল সকলে। আকাশে তখনও যুদ্ধ বিমানের ভয়ংকর গর্জন। এই মুহূর্তে খিদের কথা আর মনে নেই ইসাবেলার। ভাগ্যের ওপর ভীষণ ক্ষোভ জন্মাল। বারবার কেন সে বিপদের সামনে পড়ছে? একটা বিপদ না কাটতে আরেকটা এসে হাজির। দু’হাতে হাঁটু জড়িয়ে নীরবে কাঁদতে লাগল। ও একা কাঁদছে না। সাথে নারী, শিশুদের অনেকে কাঁদছে। বোমার আঘাতে আহতদের হাত, পা, শরীরের বিভিন্ন স্থান দিয়ে রক্ত পড়ছে৷ আত্মীয় পরিজন হারিয়ে কেউ কেউ বিলাপ করতে লাগল। সন্ধ্যা নামে বাইরে। যুদ্ধ বিমানের শব্দ আর শোনা যাচ্ছে না আকাশে। দু’একজন বেরিয়ে এলো টানেল ছেড়ে। তারপর আস্তে আস্তে বাকিরা। এদের সকলেই এই মুহূর্তে গৃহহারা। উদ্দেশ্যহীন গন্তব্যের পথে এগোতে লাগল। ইসাবেলা কোথায় যাবে ভেবে পায় না। একা একা হাঁটছে সমতলের ওপর।

“ইসাবেলা!”

“আগাথা!” পাশে আগাথার প্রেত্মাতা দেখে হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠল ইসাবেলা। চোখ ফেটে এলো জল। ওর সারা শরীরে কাঁদা ময়লা। আগাথা ওকে জড়িয়ে ধরল বুকে। সান্ত্বনা দিতে দিতে নিয়ে চলল সামনের বনমধ্যে। বেশ কিছু সময় পরে শান্ত হয় ইসাবেলা। আগাথা তাকে বলে এই ধ্বংসযজ্ঞের কারণ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উত্তাপে পুড়ছে পুরো বিশ্ব। যার সামান্য নমুনা দেখেছে ইসাবেলা।

“এভাবে চললে তো পৃথিবীটা শেষ হয়ে যাবে।” বিমর্ষ মুখে বলল ইসাবেলা।

“ক্ষমতার লোভ বড়ো খারাপ জিনিস ইসাবেলা। এই লোভ একবার যার ভেতর ঢোকে সে বিকারগ্রস্ত হয়ে যায়। বিকারগ্রস্ত লোক ভালো আর খারাপের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না৷ ফলস্বরূপ আশপাশের সবটা বিনষ্ট করে সে। পৃথিবী এখন এমনই কিছু বিকারগ্রস্তের হাতে বন্দি। চিন্তা করো না। খারাপ যত ক্ষমতাবানই হোক না কেন তা অস্থায়ী। ভালোদিনের সূর্য একদিন উঠবেই আবার।”

আগাথার কথাতে কিছুক্ষণ গুম মেরে বসে রইল। চারিদিকে ঘুটঘুটে আঁধারে ছেয়ে গেছে। কোথা থেকে কয়েকটা শুকনো কাঠ আর পাথর এনে আগুন ধরালেন আগাথা। তারপর নিয়ে এলেন পাউরুটি, মুরগি পোড়া আর শ্যাম্পেইন।

“এসব পেলেন কোথায়?”

আগাথা মুচকি হাসলেন। বললেন,

“প্রেতাত্মাদের জন্য এসব যোগাড় করা ব্যাপার না।”

ইসাবেলা গপাগপ খেয়ে নিলো। পেটপুরে খেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে বলল,

“আপনি খাবেন না?” তারপর জিহ্বা কামড়ে বলল,

“আমি বারবার ভুলে যাই আপনি প্রেতাত্মা। প্রেতাত্মাদের তো ক্ষুধাতৃষ্ণা লাগে না। ঠিক বলেছি না?”

আগাথা মাথা নাড়ায়। শ্যাম্পেইনের দু’ঢোক গিলে ফের বোতলে মুখ লাগিয়ে হঠাৎ আনমনা হয়ে গেল। আগাথা খেয়াল করে।

“কী হলো আবার?”

“সারাদিনে দেখা দিলেন না কেন? আমি ভেবেছি আপনি আমাকে ধোঁকা দিয়েছেন। কী করব কিছুই ভেবে পাচ্ছিলাম না।” ঠোঁট ফুলিয়ে ফেলল। মনে পড়ল তখনকার স্মৃতি। বিষণ্নতায় ভরে ওঠে মুখ। আগাথা হাত বাড়িয়ে ওর থুতনি তুলে বলেন,

“ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পৃথিবীতে আগমন আমার জন্য নিষিদ্ধ ইসাবেলা। আমি অনুতপ্ত গতকাল ভোরে কিছু না বলেই চলে গিয়েছিলাম বলে। কিন্তু ভাবতে পারিনি তুমি সেখান থেকে বেরিয়ে আসবে বোকার মতো।”

শেষটায় গলার স্বর কঠিন হলো আগাথার। ইসাবেলা অনুযোগের সাথে বলল,

“তো কী করতাম? নিকোলাসের কথা শোনেননি? সকালে আমাকে দেখলে নির্ঘাৎ মেরে ফেলত।”

“ও তোমাকে মারত না।”

“আপনি কীভাবে সিওর?”

“আগেও বলেছি তোমাকে, আবার বলছি, আমি ওর মা। আমি জানি ও কী পারে আর না পারে।”

ইসাবেলা এবার চুপ হয়ে রইল। আগাথা বললেন,

“তুমি আমাকে বিশ্বাস করো না, না?”

আরো ঝুঁকে পড়ে ইসাবেলার মাথা। আগাথা গম্ভীর গলায় বললেন,

“আমার দিকে তাকাও ইসাবেলা।”

“একদিনের পরিচয়ে কাওকে বিশ্বাস করা সহজ কথা নয়।”

“তার মানে অবিশ্বাস করো আমাকে তুমি?”

“আমি তা বলিনি।”

“তা হলে কী বলতে চাইছ পরিষ্কার করো।”

“হুট করে আপনাকে বিশ্বাস করতে পারব না আমি। ধৈর্য ধরতে হবে আপনাকে। বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে হবে।”

আগাথা হাঁফ ছাড়লেন। দুজনে চুপচাপ বসে রইল। কাঠের আগুন প্রায় নিভে এসেছে। ঠাণ্ডা বাতাস বইতে শুরু করেছে। শীত শীত বোধ হয় ইসাবেলার। আরেকটু আগুনের নিকটে গিয়ে বসল। তারপর নীরবতা ভেঙে বলল,

“আমি এখন কোথায় থাকব?”

“নিকোলাসের প্যালেসে ছাড়া আবার কোথায়?”

“এবং সেটা কীভাবে সম্ভব?” বিদ্রুপের সাথে বলল ইসাবেলা।

“প্রেতাত্মার দ্বারা সব সম্ভব।” ঠোঁট বাঁকিয়ে হেসে উঠে দাঁড়ালেন আগাথা। ইসাবেলাও দাঁড়াল। ভুরু কুঁচকে তাকায়। আগাথা কিছু না বলেই সামনে এগোতে লাগলেন। পেছন পেছন ইসাবেলা। সে যতই বলুক আগাথাকে বিশ্বাস করে না, কিন্তু এটাও সত্য আগাথাকে না চাইতেও বিশ্বাস করতে হচ্ছে। উপায় যে নেই আর।

নিকোলাস জেগে উঠে নিঃশ্বাস টানল। না, ইসাবেলার শরীরের সেই ঘ্রাণ পেল না। এর অর্থ ইসাবেলা চলে গেছে প্যালেস ছেড়ে। বিক্ষিপ্ত এক অনুভূতির যন্ত্রণায় ছটফট করতে লাগল মন। বিরক্ত হলো পিশাচ সত্ত্বা। গ্যাব্রিয়েল্লাকে খবর দিতে হবে। ইসাবেলার ভাবনা মাথা থেকে যে করেই হোক দূর করা চায়। পল’কে ডাকল। নত মাথা, আর্ত মুখে এসে দাঁড়ায় সে। নিকোলাস যে জন্য ডেকেছিল তা বলল না। বরং প্রশ্ন করল,

“বেলাকে পৌঁছে দিয়েছিস?”

বড়োসড় ঢোক গিলতে দেখল পল’কে। একটা অজানা শঙ্কা ঘিরে ধরে নিকোলাসের মনটাকে।

“পল!” চেঁচিয়ে উঠল একপ্রকার।

“সে পালিয়েছে।” ভীত কণ্ঠে বলল পল। নিকোলাস মুহূর্তে ওর গলা চেপে ধরে। ক্রোধাবিষ্ট চোখদুটো, শ্বদন্ত বেরিয়ে এসেছে লাল টুকুটুকে ঠোঁটের কোণ দিয়ে। পলের কলিজা শুকিয়ে এলো। সে ভয়ে ভয়ে বলল,

“আমি ঘরে গিয়ে তখন তাকে পাইনি। অনেক খুঁজেছি প্যালেসে। কোথাও নেই ও।”

নিকোলাস ওর দেহ ছুঁড়ে ফেলে ঘরের একপাশে। চাপা গর্জন করতে করতে ধোঁয়ার কুণ্ডলী হয়ে বাতাসে মিলিয়ে গেল।

চলবে,,,

দুইবার এই পর্বটা লিখেছি তারপর কেটেছি। পুনরায় নতুন করে লিখতে গিয়ে দেরি হলো। পরের পর্ব বড়ো করে দেওয়ার এবং দ্রুত দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here