#তিমিরে_ফোটা_গোলাপ
পর্ব–৬৭
Writer তানিয়া শেখ
জার্মান সৈন্যরা রিগার পার্শ্ববর্তী শহর দখলে নিয়েছে। যে কোনো সময় রিগা আক্রমণ করবে ওরা। অনেকেই বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে গেছে। ওলেগ আলেক্সিভ সপরিবারে এই শহর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখানে এক মুহূর্তও আর নিরাপদ নয়। কিন্তু সমস্যা হলো এতগুলো মানুষ নিয়ে যাবেন কোথায়? বরাবরের মতো এবারও তাঁকে চিন্তামুক্ত করলেন আন্না মেরিও। মস্কোতে তাঁর বাবার পৈতৃক ভিটা। সেখানেই সপরিবারে উঠবেন বলে জানালেন আন্না মেরিও। তাঁর বাবা এখনও বেঁচে আছেন। ভাইয়েরাও কম ভালোবাসে না! কতদিন সেখানে যাওয়া হয় না। সবাইকে দেখলে খুশিই হবে তাঁরা৷ সুতরাং সিদ্ধান্ত নেন আগামী পরশু সকালেই মস্কোর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে সকলে। খবরটা বাড়ির সব সদস্যের কানে পৌঁছেছে। নিজেদের বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়ে থাকতে যেতে কারই বা আনন্দ হয়? তবুও জীবন বাঁচাতে কত কী করতে হয় মানুষকে! বাড়ির সবাই যখন গোছগাছ করতে ব্যস্ত তখন ইসাবেলা সবার অলক্ষ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলো। পুকুরের পাশ ঘেঁষে ঝোপঝাড় পেরিয়ে ইটের রাস্তায় উঠল। কিছুদূর হাঁটলেই পুরোনো গির্জা। গির্জার পেছনে কবরস্থান।
নিকোলাস বলেছে এক সপ্তাহ পর আবার আসবে রাশিয়া। এসে যদি ইসাবেলাকে এখানে না পায় কী হবে তখন? ওকে ছাড়া এক মুহূর্তও ভালো লাগছে না ইসাবেলার। নিকোলাস যেন সাথে করে ওর মন, আত্মা সব নিয়ে গেছে। এই এখানে আছে ওর বিরহ কাতর দেহটা কেবল। তাতে আনন্দ নেই, সুখ নেই। সব যেন বিষাদ, শূন্য। এত আপনজন থাকার পরও হৃদয়টাতে কেবলই বৈরাগীর দোতরা বাজে। নিকোলাস ছাড়া সত্যিই ও শূন্য। ভালোবাসার মানুষটি ছাড়া এই এক সপ্তাহ শতাব্দীসম দীর্ঘ। আরও দীর্ঘ হোক ইসাবেলা চায় না। নিকোলাস তো না ই। তাই তো এখানে আসা ইসাবেলার।
দুপুর এখনও হয়নি। সকালের রোদের তেজে শীতটা একেবারে জবুথবু হয়ে পড়েছে। এতক্ষণ দ্রুত পায়ে হেঁটে আসায় ঘেমে উঠেছে ইসাবেলা। গায়ের সোয়েটার খুলে ফেললে আরাম পাওয়া যেত, কিন্তু সেই সময় যে নেই। কেউ এখানে ওকে দেখলে সমস্যা হতে পারে। স্থানীয়দের ধারণামতে এই কবরস্থানটিতে অশুভ কিছু রয়েছে। রাত তো দূরের কথা দিনের বেলাতেও এদিকে আসা-যাওয়া করে না কেউ৷ একপ্রকার নিষিদ্ধ স্থানটিতে নিরুপায় হয়ে এসেছে ইসাবেলা। সাবধানে গির্জার পলেস্তারা খসা দেওয়াল ঘেঁষে দাঁড়াল। সামনে কবরস্থান। তার মাঝে মাঝে দাঁড়িয়ে আছে ক্রুশচিহ্ন। সতেরো বছরের আগের ইসাবেলা হলে এই নিস্তব্ধ, গুমোট এবং মৃতের রাজ্যে আসতে ভয়ে জ্ঞানই হারাত। আজ যে ভয় করছে না তা নয়। বেশ ভয় করছে। কফিনের ভেতরে সবাই তো আর নিকোলাস নয়। ইসাবেলা গলার ক্রুশটা ধরে ঈশ্বরকে স্মরণ করতে করতে বা’দিকে এগিয়ে গেল। বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে এটা ও পরে নিয়েছিল। কবরস্থানের চারিপাশে বড়ো বড়ো নানান গাছের সারি। চারটে কবর পেরিয়ে থামল ও। সামনের সমাধিস্তম্ভে বড়ো বড়ো অক্ষরে লেখা,
“পিয়েতর গুসেভ
একজন ভাই, একজন পিতা।
(১৮২০-১৮৭৬)
The great art of life is sensation, to feel that we exist, even in pain.– Lord Byron
সমাধিস্তম্ভে লেখা কথাগুলো মনে মনে কয়েকবার আওড়ালো ইসাবেলা। ভ্লাদিমির কাছে একটু আকটু ইংরেজি শেখা। ইদানীং অবসরে ইংরেজি সাহিত্য পড়ছে। আগের তুলনায় ভাষাটা সহজ এখন। লেখাগুলো বেশ ভাবালো ওকে। কোনো এক কারণে এই পিয়েতর লোকটা সম্পর্কে জানার কৌতূহল বাড়িয়ে দিলো। এবার দেখা হলে নিকোলাসকে লোকটা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে। ইসাবেলা ফ্রকের বুকের কাপড়ের ভেতর থেকে চিঠিটা বের করল। নিকোলাস জার্মানি ফিরে যাওয়ার আগে বলেছিল, বিশেষ প্রয়োজন হলে এই কবরের ডালার ফাঁকে চিঠি রেখে যেতে। সময় মতো নিকোলাস পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। ইসাবেলা ডালার ফাঁকে গুঁজে রাখল চিঠিটা। চোখটা আবার স্তম্ভশীলার নামটার ওপর পড়ল। হঠাৎ একটা প্রশ্ন মাথায় উদয় হলো। পিয়েতর গুসেভও কি পিশাচ? এই শহরেও পিশাচ আছে? গির্জার সামনের দিক থেকে মানুষের গলা শুনে চমকে ওঠে ইসাবেলা। প্রশ্নটা যেভাবে উদয় হয়েছিল সেভাবেই কোথাও মিলিয়ে গেল। তাড়াতাড়ি ও সেখান থেকে সরে এলো। আড়ালে দাঁড়িয়ে দেখল মানুষগুলোকে। এরাও বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও যাচ্ছে। গির্জার সামনে দিয়ে চলে যাওয়া ইটের রাস্তা ধরে এগোচ্ছে ওরা। দৃষ্টিসীমার বাইরে যেতে ইসাবেলা বেরিয়ে এলো। তাড়াতাড়ি বাড়ির পথ ধরল ও। সরাসরি বাড়িতে ঢুকলো না। মা ওকে এমন এলোমেলো পোশাক ও ঘর্মাক্ত শরীরে দেখলে হাজারটা প্রশ্ন করবেন। ইসাবেলা মায়ের প্রশ্ন এড়াতে পেছনের দরজা খুলে ঢুকলো। যাওয়ার আগে ভেতর থেকে দরজাটা খুলে রেখে গিয়েছিল। চুপিচুপি জানালা ডিঙিয়ে হলঘর দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে এক দৌড়ে নিজের রুমে ঢোকে। ঘামে ভেজা কাপড় পালটে গোসল খানায় গিয়ে গোসল করে নিলো আগে। শরীরে তোয়ালে জড়িয়ে কাঁপতে কাঁপতে রুমে ঢুকতে মাকে দেখতে পেল। গভীর ভাবনায় বুঁদ হয়ে বিছানার ওপর বসে আছেন। সারাক্ষণ রাশভারি মুখ করে থাকলেও মমতার সূক্ষ্ম ছায়া রয়েছে তাতে। মায়ের ব্যক্তিত্ব ভীষণভাবে আকর্ষণ করে ইসাবেলাকে। এই বয়সে এসেও তিনি যেমন স্মার্ট তেমনই সুন্দরী। বাবা ওলেগ প্রায়ই হেসে বলেন,”তোর মাকে প্রথম দেখেই নিজের সাথে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। জীবনে বিয়ে যদি করি তবে একেই করব। তোর মা দয়া করে আমায় বিয়ে না করলে আমি নিশ্চিত সন্ন্যাসী হতাম।”
ইসাবেলার জানে বাবা মজা করে বললেও এ কথার সত্যতা শতভাগ। মাকে ওর বাবা খুব ভালোবাসেন। শুধু রূপের কারণে নয়। আন্না মেরিও আপাদমস্তক গুণবতী রমণী। লোকে বলে রূপবতীদের বুদ্ধি আধুলি সমান। মাকে দেখে ইসাবেলা জেনেছে লোকের সব কথা সত্য হয় না। বুদ্ধি বিচক্ষণতার জোরে এ বাড়ির সর্বেসর্বা আজ ওর মা। এমনকি ওর দাদু-দিদাও বড়ো পুত্রবধূর মতামতকে ধ্রুব বলে মানে। ইসাবেলা নিজেকে যেন মায়ের ঠিক বিপরীত ভাবে। কতবার এই নিয়ে ছোটোবেলা আক্ষেপ করেছে। মা ওকে বুঝিয়েছে , প্রতিটি মানুষের নিজস্ব সত্তা থাকে। আমাদের উচিত নিজের সেই সত্তাটাকে ভালোবাসা। নিজের চোখে যে নগন্য পরের চোখে অনন্য হবে কী করে সে? আরও কতভাবে বুঝিয়েছিল। কিন্তু মায়ের মতো হতে না পারার আক্ষেপ ওর কিছুতেই যায়নি।
“মা?”
“হুঁ?” চকিতে তাকালেন মেয়ের দিকে আন্না মেরিও। যেন ভিন্ন এক জগত থেকে এইমাত্র এখানে এলেন।
“এত কী ভাবছিলে বলো তো?”
“মায়েদের কত ভাবনা থাকে! সে যাক। যেটা বলতে এসেছিলাম।” বলেই দম নিলেন। উঠে দাঁড়ালেন। সদ্য স্নান সেরে আসা মেয়েকে দেখে হতাশ গলায় বললেন,
“আহ! তুই দেখছি গোসল করে নিয়েছিস। ভেবেছিলাম তোকে একটু বেসমেন্টে যেতে বলব।”
“এখন বেসমেন্টে? কোনো বিশেষ দরকার আছে কি সেখানে?”
“তেমনই। কিন্তু তোর তো আর যাওয়া হচ্ছে না। আমাকেই যেতে হবে তাহলে।”
“আমি যাব। কী আনতে হবে বলো।”
তোয়ালের নিচে অন্তর্বাস পরে আলমারি থেকে পুরোনো একটা ফ্রক পরে নিলো ইসাবেলা। আন্না মেরিও একটা ফর্দ সামনে ধরে বললেন,
“এই জিনিসগুলো বেসমেন্টের স্টোরেজ থেকে নিয়ে আসবি। আর একটা নীল দাগের ছোট্ট বাক্স আছে সেটাও নিয়ে আসবি।”
ইসাবেলা ফর্দটা হাতে নিয়ে বলল,
“ঠিক আছে। তাহলে আমি যাচ্ছি।”
মা এবং মেয়ে হলঘরে এসে থামল। আন্না মেরিও আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন কী কী আনতে হবে। তারপর চলে গেলেন নিজের রুমের দিকে। অনেক কাজ পড়ে আছে তাঁর। রাতের ভেতর সব গুছিয়ে নিতে হবে। ইসাবেলা বেসমেন্টে চলে এলো। হাতে ল্যাম্প। স্টোরেজের ঢুকে ল্যাম্প এককোণের উঁচু স্থানে রাখল। প্রথমে ফর্দে লেখা জিনিসগুলো একটা কাঠের বাক্সে ভরলো। কাজটা শেষ হলে মায়ের বলা নীল বাক্সের সন্ধানে নামে। ওটা খুঁজতে গিয়ে সেখানে রাখা একটা বাক্সের ওপর চোখ পড়ল ওর। ধুলোর আস্তরণেও বাক্সের ওপরের নামটা পুরোপুরি ঢেকে যায়নি। ফুঁ দিয়ে হাতের সাহায্যে ধুলো ঝাড়তে নামটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, সিস্টার ভ্যালেরিয়া। এই নামটা ইসাবেলাকে বিষণ্ণ করতে যথেষ্ট। বাক্সটা তালাবদ্ধ। বাক্সটা খুলবে না খুলবে না করেও তালা ভাঙবে বলে মনস্থির করে বসে। ভারি পাথুরে একটি বস্তু দিয়ে সহজে তালাটা খুলে ফেললো। যা ভেবেছিল তাই। এতে ভ্যালেরিয়ার ব্যবহৃত জিনিসপত্র রয়েছে। সেগুলো নেড়েচেড়ে দেখতে দেখতে চোখ ভরে এলো ইসাবেলার। একটু পর পুনরায় গুছিয়ে রাখতে গিয়ে হঠাৎ চোখ গেল কালো রঙের একটা ফ্রকের দিকে। ভ্যালেরিয়া এসব পোশাক পরা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছিল। এখানে কেন তাহলে? ইসাবেলা কালো ফ্রকটাতে হাত বুলিয়ে দেখছিল। হঠাৎ কিছু একটা বাধল হাতে। ভালো করে দেখতে বুঝতে পারল শক্ত গোলাকৃতির কিছু হবে। ফ্রকের কাপড়ে এমনভাবে বাঁধা যে খুঁজে পেতে গিয়ে সময় লাগল। নিচের কুচির ভাঁজের সাথে কৌশলে সেলাই করে আঁটকানো বাক্সটা। এত কৌশল করে বাক্সটা লুকিয়ে রাখা হয়েছে কেন? ইসাবেলা কৌতূহল দমাতে না পেরে বাক্সটা বের করে ছাড়ল। কাপড়টা তাতে ছিঁড়ে গেল। বেজায় খারাপ লাগল ইসাবেলার। ভ্যালেরিয়ার শেষ স্মৃতি নষ্ট হোক চায়নি। মন খারাপ করে চেয়ে রইল লাল মখমল কাপড়ে মোড়ানো বাক্সটার দিকে।
“এই ঘোড়ার ডিমের বাক্সের জন্য আমার ভ্যালেরির জামাটা ছিঁড়ে গেল।” ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলল ইসাবেলা। যে বাক্সটার জন্য ওর প্রিয় ভ্যালেরির জামা ছিঁড়ল তার রহস্য জেনেই ছাড়বে। চারপাশের লেছ খুলে সাবধানে ওটার মুখ খুললো। এক টুকরো কাগজ ছাড়া ওতে কিছু নেই। এইটুকু কাগজে কী এমন আছে যার জন্য এত রাজকীয় ব্যবস্থা! কাগজটার ভাঁজ খুলে দেখল সেটা একটা ম্যাপ। কিছু সাংকেতিক চিহ্নও রয়েছে তাতে। কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছে না ইসাবেলা। কাগজটা আবারো উলটে পালটে দেখল না। না, কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।
“বেলা, এখনও কাজ শেষ হয়নি তোর?” আন্না মেরিও ওপর থেকে জিজ্ঞেস করলেন।
“এই তো হলো মা।”
মায়ের ডাকে ঘাবরে গিয়ে তাড়াহুড়ো করে ভ্যালেরিয়ার ব্যবহৃত জিনিসের বাক্সটা বন্ধ করল। তারপর আবার সেই নীল দাগের বাক্স খুঁজছে। তখনই খেয়াল হলো এখনও সেই কাগজটা ওর হাতে। কাগজটা আগের বাক্সে রাখবে বলে এগোয়। তাড়াতাড়িতে পায়ের সাথে কিছু বাধা লেগে হুমড়ি খেয়ে পড়তে পড়তেও পড়ল না। কিন্তু ওর হাতের ধাক্কায় কাপড়ে ঢাকা বড়ো আয়নাটা ভেঙ্গে পড়ে ফ্লোরে।
“বেলা, কী ভাঙলি?” আন্না মেরিওর গলা উদ্বিগ্ন শোনায়। ইসাবেলা কপাল চাপড়ে নিজেকে মনে মনে বকে। মাকে উদ্দেশ্য করে মিথ্যা বলল,
“তেমন কিছু না মা। এই একটা পুরোনো গ্লাস।”
আন্না মেরিও গলা নামিয়ে কী যেন বললেন। বেসমেন্টের সিঁড়িতে তাঁর হিলের শব্দ শোনা যাচ্ছে। ইসাবেলা এখন কী করবে? সব গুছিয়ে রাখতে গিয়ে ওর চোখ স্থির পায়ের কাছের কাঁচের টুকরোর ওপর। কাগজটা উলটে আছে টুকরোটার ওপরে। সরাতে গিয়ে থমকে যায়। পরিচিত একটা নাম যেন দেখল! কাগজটা আবার উলটে পালটে দেখে৷ না, মনের ভুল। সারাক্ষণ ওকে নিয়ে ভাবছে বলেই হয়তো এমন ভুল হয়েছে। কিন্তু মন মানল না। ভাঙা আয়নার টুকরোটার দিকে ফের তাকাল। হাতের কাগজের টুকরো নিলো ভাঙা আয়নার সামনে। মনের ভুল না। এই তো নামটা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে। ওই যে সাংকেতিক চিহ্ন ওগুলোর মাঝে এই নামটা লুকিয়ে ছিল। আয়নার প্রতিবিম্বে দেখা যাচ্ছে সেটা। নিকোলাসের সাথে এই কাগজের সম্পর্ক কী?
“বেলা।”
স্টোরেজের দরজা ঠেলে আন্না মেরিও ভেতরে ঢুকতে দ্রুত কাগজটা বুকের কাপড়ের নিচে লুকিয়ে ফেললো ইসাবেলা। ওর মাথায় হাজারটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কাগজটা ভালো করে দেখতে হবে আরেকবার। যে করেই হোক এর ভেতরের রহস্য উদঘাটন করতে হবে ওকে। জানতে হবে নিকোলাসের নামটি কেন লেখা।
“বেলা, কী হয়েছে?” মেয়ের চিন্তিত মুখ দেখে প্রশ্ন করলেন আন্না মেরিও। জোরপূর্বক হাসল ইসাবেলা। ঢোক গিলে বলল,
“আয়না ভেঙে গেছে মা।”
চলবে,,,