হিংস্র_ভালোবাসা🌹 #Season_2 #Writter_Farhana_Chobi #পর্ব-৩৯

0
711

#হিংস্র_ভালোবাসা🌹
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৩৯
.
🍂
.
ডক্টরের কথা শুনে ফারহার দুচোখ যেন ভোরে উঠল ফারহা ভাবতে পারছে না বড় ভাইয়ার মতো মানুষটার আজ এই অবস্তা… কিছুক্ষন পর মেঘ কে কেবিনে দিতে … ফারহা ছুটে গিয়ে মেঘের ঝাপিয়ে পরে কাদঁতে থাকে … হঠাৎ করে ফারহার মনে পরে মেঘের তো এখনো জ্ঞান ফেরেনি অসুস্থ হয়তো মেঘের কষ্ট হচ্ছে ..এটা ভেবে ফারহা মেঘের বুক থেকে উঠতে যাবে তখনি মনে হলো ফারহা কে একহাত দিয়ে মেঘ শক্ত করে জরিয়ে ধরে আছে…..ফারহা মুখ তুলে মেঘের দিকে তাকিয়ে দেখে মেঘের দুচোখ বন্ধ করা … কেবিনে কেউ না থাকায় ফারহা মেঘের ঠোট জোড়ায় আলতো করে চুমু দিয়ে মেঘের উপর থেকে উঠতে যায় তখনি মেঘ ডান হাত ফারহার চুলে গুজে দিয়ে ফারহার ঠোট জোড়া নিজের ঠোঁটের আয়ত্তে নিয়ে নেয় …………,আচমকা মেঘের এমন কাজে ফারহা হতবম্ব হয়ে যায় নিজে কে মেঘের থেকে না ছাড়িয়ে ফারহা মেঘের সাথে তাল মেলাতে লাগলো….. পাঁচ মিনিট পর মেঘ ফারহা কে ছেড়ে দেয়… …মেঘের চোখের দিকে তাকাতে পারছে না …. লজ্জায় মুখ লাল হয়ে গেল …মেঘ রাগী কন্ঠে বলে উঠলো ……

—” হাউ ডেয়ার ইউ প্রেয়শী …তোমার সাহস কি করে হয় আমাকে না বলে ছেড়ে চলে যাওয়ার..??”(মেঘ)

—“ওহ গড আমার রাক্ষস বর টা তো সেই ক্ষেপে গেছে কি করে শান্ত করি ?? সত্যিটা কি বলে দিবো??”ফারহা মনে মনে কথা গুলো ভাবতে থাকে তখনি মেঘের চিৎকার শুনে ফারহার ধ্যান ভাঙে….

—” আই আক্স ইউ সামথিং প্রেয়শী আন্সার মি ড্যাম ইট ..”( চিৎকার করে)

—” আমি তোমার সব প্রশ্নের উওর দিবো কিন্তু এখন না তুমি সুস্থ হও দেন আমি নিজেই তোমাকে সব টা বলবো তবে একটা কথা তোমায় জানিয়ে রাখি আমি নিজের ইচ্ছায় কোথায় যাই নি আমাকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল..”(ফারহা)

ফারহার কথা শুনে মেঘ রাগে চোখ বন্ধ করে দাঁতে দাঁত চেপে নিজের রাগ টা সংবরন করার চেষ্টা করছে … ফারহা বুজতে পারছে মেঘ ওর সাথে রেগে কথা বলতে চাইছে না বলে চোখ বন্ধ করে রাগটা কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে….

—” মেঘরাজ…”(ফারহা)

ফারহার মুখে মেঘরাজ নাম টা শুনে মেঘ সাথে সাথে চোখ মেলে তাকায় ফারহার দিকে ,,,

—“কি বলে ডাকলে আমায় প্রেয়শী ..??”(অবাক হয়ে জানতে চাইলো মেঘ)

—” আ,,আমি তো রাক্ষস বললাম তুমি কি শুনতে পেলে..??”(আমতা আমতা করে বললো ফারহা)

—” নাহ আমি যেন শুনলাম তুমি আমাকে মেঘরাজ বলে ডাকলে…”(মেঘ)

—” ধুর ভুল শুনেছো ,,এখন কেমন ফিল করছো..?? কষ্ট হচ্ছে নাতো???”(ফারহা)

মেঘ হালকা উঠে বসে ,,ফারহা কে চোখ মেরে বলে …

—“তোমার ওই রসালো ঠোঁটের মিষ্টি খাওয়ার পর আমি কেমন ফিল করতে পারি বলে তোমার মনে হয় প্রেয়শী …”( টেডি স্মাইল দিয়ে বললো মেঘ)

মেঘের এমন লাগামহীম কথা শুনে ফারহা দ্রুত মুখ ঘুড়িয়ে ফেলে …. কিছুক্ষন পর বলে…

—” তোমাকে একটা কথা বলার ছিল …আসলাম ভাইয়ের অবস্তা খুব একটা ভালো না ৪৮ ঘন্টার আগে ডক্টর রা কিছু বলতে পারবে না…”(ফারহা )

—” ওয়াট ,,আসলাম ওহ শিট আমি তো আসলামের কথা ভুলে গেছিলাম প্রেয়শী ও কোন কেবিনে আছে আমি এখুনি ওর সাথে দেখা করতে চাই..”(মেঘ)

—” ওকে দেন ,,তুমি আমার সাথে এসো…”(ফারহা)

মেঘের হাতের সেলাইনের ক্যানেলা খুলে দিল নার্স .. ফারহা মেঘের অন্য হাত ধরে মেঘ কে নিয়ে ICU রুমে ডক্টরের পার্মিশন নিয়ে আসলাম কে দেখার জন্য কেবিনে ঢুকে…..
.
.
.
.
—” বস আপনার এই ইনজুর কি করে হলেন..??”(সূর্য)

—” ইউ ইডিয়েস কথা কম বলে দ্রুত ডক্টর কে ফোন কর..”(সামিরা)

—” হ্যা বাট বস আপনি হসপিটালের না গিয়ে বাড়িতে আসলেন কেন..??”(সূর্য)

সামিরা সূর্যের অহেতুক কথায় বেশ চটে যায়..পায়ে গুলি লাগায় অতিরিক্ত রক্ত বের হচ্ছে সাথে প্রচন্ড যন্ত্রনা দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করছে সামিরা কিন্তু সূর্যের অহেতুক প্রশ্নে সামিরা রাগ আর কন্ট্রোল করতে পারলো না ঠাটিয়ে এক থাপ্পোর মাড়লো সূর্যের গালে ,,,, সামিরার থাপ্পোর টা সূর্যের ইগো তে লাগলো … এতো বছর ওর লাইনে কাজ করলো নিজের সব টা দিয়ে গ্রপটাকে এতো উপরে আনলো আজ তাকে এভাবে অন্য লোকদের সামনে থাপ্পোর মারলো বিষয় টা সূর্যের হজম হলো না …. গালে হাত দিয়ে সামিরার সামনে থেকে সরে গেল…..সামিরা রক্তাক্ত পা নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করতে তিন্নি সামিরার সামনে পরে …

—” ও আল্লাহ এতো রক্ত ক্যান..সামু তোর কি কোথাও কেটে গেছে..??”(তিন্নি)

—” হ্যা আমাকে রুমে নিয়ে চল প্লিজ আমি আর এই যন্ত্রনা সহ্য করতে পারছি না…”(সামিরা)

সামিরার কথা শুনে তিন্নির বেশ মায়া হলো যতোই হোক একি বংশের মেয়ে একি রক্ত ওদের গায়ে বইছে ..তিন্নি চেয়ে ও মুখ ফেরাতে পারলো না….তিন্নি সামিরা কে নিয়ে ওর রুমে শুইয়ে দিয়ে ..দ্রুত ওর গায়ের জ্যাকেট খুলে দিয়ে বাকি ড্রেস চেন্জ করিয়ে দিলো … প্রতিদিন সামিরা নিজের হাতে আগুন কে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে দিতো কিন্তু আজ সামিরা নিজে ইনজুর থাকায় আগুন কে ইনজেকশন দেওয়া হলো না … আগুন নিজের বাড়িতে জেল খানার মতো থাকতো তবে সামিরার অনুপস্থিতে আগুন রুম থেকে বের হয়ে তিন্নির রুমে যেতে নিলে সামিরার গুঙ্গানির আওয়াজ পেয়ে রুমে ঢুকে দেখে সামিরা বিছানায় শুয়ে ছটপট করছে আর তিন্নি ছুড়ি হাতে দারিয়ে আছে…..

—” তিন্নি কি হচ্ছে এই সব??”(আগুন)

—” স্যার সামিরার পায়ে গুলি লেগেছে কিন্ত কি করে বার করবো তাই ভেবে পাচ্ছি না….??”(তিন্নি)

—” ডক্টর কে খবর দেও..?”(আগুন)

—” স্যার শহরের সব ডক্টর স্ট্রাইক করেছে তারা কেউ আসতে রাজি ..”(তিন্নি)

তিন্নির কথা শুনে আগুন সামিরার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখে সামিরা জ্ঞান হারিয়েছে…..তখন বলে….

—” ওকে আমি দেখছি … একটা বোলে গরম পানি আর একটা মোম জালিয়ে আনো…”(আগুন)

তিন্নি আগুনের কথা মতো গরম পানি আর মোম জালিয়ে আনলো …..রুমে এসে দেখে সামিরার হাত বেডের সাথে বাধা …

—” স্যার ওর হাত বাধলেন কেন..?”(তিন্নি)

—” গুলিটা বের করবার সময় যে যন্ত্রনা হবে তা সামিরা সহ্য করতে পারবে না তাই ,,তুমি দেরি না করে ওর অন্য পা টা চেপে ধরো….”

তিন্নি সামিরার অন্য পা চেপে ধরে ,,,আগুন চাকু টা আগুনে গরম করে ঠান্ডা করে নিয়ে সামিরার পায়ের গুলি লাগা অংশটায় ঢুকিয়ে দেয় তখনি সামিরা চিৎকার করে ওঠে তিন্নি পা চেপে ধরায় সামিরা দাঁতে দাঁত চেপে ব্যাথা সহ্য করতে লাগলো ,,, আগুন গুলি টা বের করে ফেলে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে কাটা স্থান টা পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ করে দেয় ….

—” স্যার এই ইনজেকশন টা সামিরার শরীলে ইনজেক্ট করে দিন …”(তিন্নি)

–” এটা কিসের ইন,,,,”বাকিটা বলতে না দিয়ে তিন্নি বলে উঠলো …”স্যার এটা পেইন কমানোর জন্য সামিরার পায়ে ব্যাথা কিছুটা হলে ও কমে যাবে ….”

আগুন সামিরার হাতে ইনজেকশন টা ইজেক্ট করে দেয়…. তিন্নি একটা বালিশের উপর সামিরার পা টা তুলে দিয়ে আগুন কে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসে…….

—” তিন্নি তোমার কাছে আমার কিছু প্রশ্ন আছে ..আমি আশা করবো তুমি সত্যিটাই আমাকে বলবে…??”(আগুন)

—” আমি জানি স্যার আপনি কি জানতে চান .. আপনার রুমে চলুন ওখানে যা শোনার আপনি শুনবেন…”
.
.
🍂
.
.
আসলাম কে এভাবে ICU রুমে দেখে মেঘের চোখ জোড়া ছলছল করতে লাগলো …. আসলাম শুধু ওর ডান হাত ছিল না আসলাম কে নিজের ছোট ভাইয়ের মতো আদর স্নেহ করতো মেঘ …. আর আজ মেঘের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন হারাতে বসলো ….মেঘ আসলামের এক হাত শক্ত করে ধরে আছে…..

—” মেঘ অনেকক্ষণ তো হলো এখন নিজের কেবিনে চল রেস্ট নিবে আর আসলাম ভাই কে রেস্ট নিতে দেও ,,, দেখবে ইনশাআল্লাহ ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ভাইয়ার জ্ঞান ফিরে আসবে…”(ফারহা)

—” সত্যি তো প্রেয়শী.. আসলাম আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না তো ..??”(মেঘ)

—” নাহ একদম না ভাইয়ার লাইফে এখনো কতো কিছু করার বাকি আছে যানো না আর তার থেকে বড় কথা তোমাকে ছেড়ে ভাইয়া কোথাও গিয়ে শান্তি পাবে ??? কোথাও যাবে না ভাই দেখে নিও…”(ফারহা)

ফারহার কথা শেষ হতেই ডক্টর ICU রুমে প্রবেশ করে….

—” মিস্টার চৌধুরী প্লিজ এখন আপনারা কেবিনে চলে যান আর পেশেন্ট কে চেকয়াপ করতে দিন…”(ডক্টর)

—“ডক্টর আসলাম ভালো হয়ে যাবে তো ..??”(নরম কন্ঠে জানতে চাইলো মেঘ)

—” মিস্টার চৌধুরী আমি তো আগেই বলেছি সব টা এখন আল্লাহ্ হাতে তিনি এখন যা চাইবে তাই হবে ….”(ডক্টর)

–মেঘ ফারহা ডক্টর কে আর কিছু বললো না ফারহা মেঘ কে কেবিনে নিয়ে আসলো…

—” এই যে রাক্ষস বরটা অনেকক্ষণ ধরে খালি পেটে আছে এই ফল আর জুস টুকু খেয়ে নিন তো তারপর মেডেসিন নিতে হবে…”(ফারহা)

—” খেতে ইচ্ছে করছে না প্রেয়শী ..”(মেঘ)

ফারহা বুজতে পারলো আসলামের জন্য মেঘের মন খারাপ তাই ফারহা মেঘের মন ভালো করার জনজন্য মেঘের আর একটু কাছে এসে আপেলের একটা টুকরো কিছুটা মুখে নিয়ে মেঘের মুখের দিকে এগিয়ে যায় ,,,, মেঘ হঠাৎ তার প্রেয়শীর এমন বিহেবিয়ার দেখে অবাক হয় তারপর মেঘ ও রোমান্টিক ভাবে ফারহার ঠোট থেকে বাকি আপেল টুকু কামড়ে নেয়…. ঠিক এই সময় নার্স মেডেসিন নিয়ে ঢুকে মেঘ ফারহা কে এই অবস্তায় দেখে লজ্জায় লাল হয়ে দ্রুত কেবিন থেকে বেরিয়ে যায়…..

—” তো মিস্টার আপনি তো বললেন খিদে নেই তাহলে এখন খেলেন কেন..??”(টিস করে বললো ফারহা)

—” রসালো ঠোটের রসালো ফল খেতে এমন অনেক বাহানা দেওয়া যায় যানো তো প্রেয়শী…”(চোখ মেরে বললো মেঘ)

—” ওরে দুষ্টু তবে রে … ” ফারহা তিন পিস আপেলের টুকরো নিয়ে মেঘের মুখে ঢুকিয়ে দিয়ে মুখ চেপে ধরে …. মেঘ বাধ্য হয়ে কষ্ট করে খেয়ে নেয়… ফারহা দুষ্টুমি করতে করতে মেঘ কে পুরো খাবার টা খাইয়ে দেয় তখন আবার নার্স কেবিনে আসে ….মেঘ ফারহা কে দেখে মুখ টিপে টিপে হাসতে লাগলো নার্স…. ফারহা নার্স কে এভাবে হাসতে দেখে বুজতে পারো নার্স নিশ্চয় ওদের প্রাইভেট কোন মুহূর্ত দেখে ফেলেছে তাই এভাবে হাসছে…. নার্সের কাছ থেকে ফারহা মেডেসিন কখন কোন টা খাওয়াতে হবে তা বুঝে নিয়ে … মেঘ কে মেডেসিন খাইয়ে দিলো ….

—” ম্যাম আপনি এখন বাইরে যান স্যারের রেস্ট নেওয়ার সময় এটা…”(নার্স)

—” হাউ ডেয়ার ইউ (চিৎকার করে বললো মেঘ) ….আপনার সাহস কি করে হয় আমার প্রেয়শীর সাথে এই ভাবে কথা বলার..?? ও কোথায় থাকবে বা যাবে তা আপনি বলার কে ..??(প্রচন্ড রেগে বললো মেঘ)

মেঘের কথা শুনে নার্স ভয়ে কাঁপতে লাগলো … যেন কোন বাঘের সামনে দারিয়ে আছে…

— ওহ মাই খাট এই নার্স তো ভয়ে এখুনি হার্ডফেল করবে রাক্ষসটার ভয়ে ,, নাহ আমাকে থামাতে হবে ওকে………..”এই কি হচ্ছেটা কি উনি তো তোমার ভালোর জন্য বলছে আর তুমি ওনাকে বোকছো কেন হুয়াই…??”(ফারহা)

—” যাস্ট স্যাটআপ প্রেয়শী ..তোমাকে আমার সামনে আমার কাছ থেকে দুরে যেতে বলবে আর তাকে আমি ছেড়ে দিবো নো নেভার এই নার্সের কপাল ভালো আমার হাতে এখন গান নেই থাকলে এখুনি শুট করে দিতাম…”(মেঘ)

—“মেঘের কথা শুনে নার্স এবার ভয়ে কেদে ফেললো ,,,, নার্সের চোখে পানি দেখে আমি মেঘের দিকে চোখ গরম করে তাকাতে মেঘ চুপ করে গেল … আমি নার্স কে নিয়ে কেবিনের বাইরে এসে সরি বললাম……”

—” নো নো ম্যাম আপনি সরি বলবেন না স্যার শুনতে পেলে এবার আর আমাকে বকবে না সোজা উপরে পাঠিয়ে দিবে…”(নার্স)

—” সরি আপু প্লিজ কিছু মনে করো না ও একটু আমাকে নিয়ে বেশি পজিসিব তাই এমন ব্যাবহার করলো…”(ফারহা)

ফারহার মিষ্টি ব্যাবহার শুনে নার্সের মন যেন নিমেষে ভালো হয়ে গেল…

—” ঠিক আছে ম্যাম ,,এখন আপনি দয়াকরে কেবিনে যান স্যার হয়তো আপনার জন্য অপেক্ষা করছে…”(নার্স)

ফারহা মুচকি হেসে কেবিনে ঢুকে দেখে মেঘ ঘুমিয়ে পরেছে … ফারহা মেঘ কে ডিসট্রব না করে কেবিন থেকে বেরিয়ে করিডরে এসে দারালো তখনি জ্যাক আর আদিল এসে হাজির হয় …….

—“ম্যাম আপনার কথা মতো পুরো হসপিটাল টাকে আমাদের লোক দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে…”(জ্যাক)

—” গুড ,,, জ্যাক ভাইয়া আপনি আদিল কে নিয়ে বাড়িতে ফিরে যান আমি হসপিটালে থাকছি ..আর একটা কথা আপনাদের দলের সব লোকদের পুরো ইনফরমেশন লিস্ট আমাকে দিবেন …”(ফারহা)

—“বাট হুয়াই ম্যাম..?”(জ্যাক)

—” ঘড়ের ভিতর কিছু আস্তিনের সাপ আছে তাদের বিষ দাত ভাঙ্গার জন্য…”(ফারহা)

জ্যাক ফারহার কথার আগা মাথা কিছু বুজতে না পেরে মাথা নারলো….এদিকে আদিল কিছু একটা বুজতে পেরে ফারহার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল…… আদিল কিছু বলতে যাবে তখনি ফারহার ফোন টা বেজে উঠলো ……ফারহা আদিল আর জ্যাকের থেকে একটু দুরে সরে কল টা রিসিব করে ……

—-“হ্যালো ,,আমি বলেছি না আমি না কল করা পর্যন্ত তুমি আমাকে কল করবে না..”(রেগে বললো ফারহা)

—-“………………..”

—“ওয়াট…. আমি এখুনি আসছি তুমি ওখানে থাকো ..”(ফারহা)

ফারহা কল টা ডিসকানেক্ট করে জ্যাকের দিকে এগিয়ে বলে…..

—” জ্যাক ভাইয়া গাড়ির চাবি টা দিন আমি বের হবো…”(ফারহা)

—” বাট ম্যাম কিংয়ের এই অবস্তায় ফেলে আপনি কোথায় যাবেন..??”(জ্যাক)

—” দ্যাট’স নান অফ ইউর লুক আউট …ক্লিয়ার… নাও চাবি টা দিন..??”(দাঁতে দাঁত চেপে বললো ফারহা)

আদিল অবাক তার বোনের এমন রুপে কথা বলতে দেখে আর জ্যাক অবাক ফারহার এমন কাট কাট কথা শুনে…জ্যাক পকেট থেকে মেঘের গাড়ির চাবিটা ফারহার দিকে এগিয়ে দিতে ফারহা ছো মেরে চাবি টা নিয়ে বেরিয়ে গেল………
.
.
.
#চলবে…………………. 🔥🔥🔥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here