#হিংস্র_ভালোবাসা🌹
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৪২
.
🍂
.
আদিল আপু বলে চিৎকার দিয়ে দৌড়ে ছুটে আসে ফারহার কাছে… হঠাৎ আদিলের এমন চিৎকার শুনে মেঘ ঘাবড়ে গিয়ে পিছুনে তাকিয়ে দেখে দেয়ালে রক্ত লেগে আছে আর নিচে তার প্রেয়শী …. মেঘ কিছু মুহূর্তের জন্য যেন স্টাচু হয়ে গেল ……..আংশিক এমন ঘটনা দেখে মেঘের পা যেন আটকে গেল আদিল মেঘের কাধ ধরে ধাক্কা দিতে মেঘের হুস ফেরে …. মেঘ দ্রুত ফারহা কে কোলে নিয়ে ডক্টরের কাছে যায়…. ডক্টর ফারহা কে চেকয়াপ করে যা বললেন তা শোনার জন্য মেঘ মটেও প্রস্তুত ছিল না … দু পা পিছিয়ে গেল মেঘের …. আদিল মেঘ কে ধরে ফেলে …
–“”” প্লিজ জিজু নিজে কে সামলাও আর Congratulations বাবা হবে তুমি আর আমি মামু উফফ ভাবতেই এখন লুঙ্গি ডান্স করতে মন চাইছে””” (আদিল)
মেঘ আদিলের কথা শুনে হেসে ফেলে তারপর আদিলের হাত ছাড়িয়ে ফারহার কাছে গিয়ে আলতো করে দুহাত দিয়ে ফারহার মুখে স্পর্শ করে কপালে চুমু দেয় …. ফারহার জ্ঞান ফিরে আসে ততোক্ষনে মেঘ কে এভাবে ডক্টর নার্স আদিলের সামনে এভাবে চুমু দেওয়ায় ফারহা বেশ লজ্জা পেয়ে যায় …. ফারহার লজ্জা দেখে ডক্টর নার্স আদিল মিটি মিটি হাসতে হাসতে বের হয়ে যায়….
—-“” মেঘরাজ কি সব টা জেনে গেল?? আর আমি কেবিনে কেন??”””
ফারহার কিছুক্ষন আগের কথা গুলো মনে পরে গেল …মাথার পিছুনে কিছুটা ব্যাথা অনুভব করলো ….
—“”” প্রেয়শী আমি সরি””” …মাথা নিচু করে বললো মেঘ…মেঘের ইচ্ছে করছে নিজেকে মেরে ফেলতে কি করে পারলো নিজের জান কে এতো টা কষ্ট দিয়ে যে কিনা তারি ভালোবাসার অংশ শরীলে বহন করছে…. মেঘ মুখ ফুটে কিছু বলার সাহস করছে না….মেঘ কে চুপ থাকতে দেখে ফারহা মুচকি হেসে বলে …..
—“”” মেঘরাজ আমি কিন্তু তোমাকে এভাবে ভিজা বেড়ালের মতো দেখবো এটা আশা করেনি…. তোমাকে এটা মানায় না তবে তুমি নিজের রাগ টাকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করো…. নয়তো তোমার এই রাগটার জন্য না তোমার সাজানো বাগান ধংসের কারন হয়….”””
ফারহার কথা গুলো যেন মেঘের বুকে তীরের মতো বিদছে … চোখ জোড়া লাল হয়ে গেল মেঘের … ফারহা মুচকে হেসে মেঘ কে জরিয়ে ধরে বলে ওঠে …. Congratulations মি.মেঘ চৌধুরী … পুরনো কথা ভুলে গিয়ে বাবা হচ্ছো সেটার আনন্দ উপভোগ করো…. মেঘের গালে চুমু দিয়ে…..মেঘের বুক থেকে যেন একটা বড় পাথর সরে গেল কিন্তু তারপর ও গিল্টি ফিল করছে মেঘ …. মেঘ কে চুপ থাকতে দেখে ফারহা ব্রু কুচকে মেঘের দিকে তাকিয়ে হুট করে মেঘের ঠোট জোড়া লক করে ফেলে নিজের ঠোট জোড়া দিয়ে….. মেঘ এতোদিন পর নিজের প্রেয়শীকে কাছে পেয়ে নিজেকে আটকাতে পারলো না,,,, তৃষ্ণার্থের মতো ফারহার ঠোট জোড়া শুশে নিতে থাকলো মেঘ…. দশ মিনিট মেঘ কে ছেড়ে দিয়ে মেঘের বুকে মুখ লুকিয়ে বলে “””আই লাভ ইউ মেঘরাজ”””
—“” আই লাভ ইউ মোর দেন ইউ প্রেয়শী যার গভীরতা কখনো মাপা যায় না ভালোবাসি প্রেয়শী,,,,”””
ফারহা এই প্রথম ফারহা নিজ ইচ্ছায় মেঘের কাছে আসলো ভাবতেই মেঘের সারা শরীলে যেন বিদ্যুৎ খেলে গেল …. মেঘ ফারহার লজ্জা মাখা মুখ টা দেখার জন্য বলে….
—“”” বাহহ জুনিয়র আসতে না আসতে প্রেয়শী তো দেখছি রোমান্টিক হয়ে গেছে …ভাবছে প্রতি বছর একজন করে জুনিয়র আসলে কেমন হয় না মানে তাহলে তোমার রোমান্টিকতা উপভোগ করা যেত….””””(শয়তানি হাসি দিয়ে )
—“”” ধ্যাত দিন দিন তুমি কিন্তু ভিষন অশ্লীল হয়ে যাচ্ছো…”””
—“””যার এমন রুপবতী মায়া বতী বউ থাকে সে অটোমেটিক অশ্লীল হয়ে যায়….”””(মেঘ)
—“”” এই রাক্ষস বর আমাকে একটু উঠে দারাতে সাহায্য করুন আমি একটু বাইরে যাবো…”””
—” ওয়েট ,,কি বললে আমাকে রাক্ষস বর ??? “””(ব্রু কুচকে জ্বিগাসা করলো মেঘ)
—“” এই রে ধরা পরে গেলাম … নাহ মানে আমি তো আপনাকে মানে তোমাকে বলি নি আমি তো আর কি হি হি হি (ত্রিশ পাঠি দাত বের করে দিয়ে ) কি বলবো আমি উফফ মাথায় কিছু আসছে না…. ধুর ভাল্লাগে না প্রয়োজনের সময় কিছুই মাথায় আসে না…”””
—” কি হলো ম্যাম কিছু বলছেন না যে…”””
—“”” মেঘ আমি আসলাম ভাই কে দেখতে যাবো আর তুমি আমাকে বাধা দিবে না..””” ( সিরিয়ায় হয়ে বললো ফারহা )
—“”” ওয়াট আমি কেন তোমাকে বাধা দিবো প্রেয়শী ??? আমি নিজে তোমাকে নিয়ে যাবো আসলামের কাছে…”””
মেঘ ফারহা কে আড়কোলে নিয়ে কেবিন থেকে বেরিয়ে আসে,,,,. হঠাৎ করে মেঘ ফারহা কে কোলে তোলায় ফারহা ভয় পেয়ে যায় ,,,, মেঘের গলা শক্ত করে ধরে রাখে যাতে পরে না যায়,,, ফারহার কান্ড দেখে মেঘ হেসে ফেলে …
ICU রুমে ঢুকে মেঘ ফারহা কে সোফায় বসিয়ে দেয় খুব সাবধানে … ফারহা রেগে যায় মেঘের এমন কাজে … হুট করে উঠে দারায় ফারহা মেঘ কে তোয়াক্কা না করে আসলামের সামনে টুলে বসে আসলামের হাত ধরে ….আসলামের হাত ধরতে দেখে মেঘের যেন রাগ হঠাৎ করে হাজার স্পিড বেগে উঠে গেল … ফারহা যদি একবার মেঘের দিকে তাকাতো তাহলে বুজতে পারতো মেঘ কে কতোটা হিংস্র লাগছে ,,,, কিন্তু ফারহা মেঘে সে দিকে না তাকিয়ে আসলামের হাত ধরে বলতে লাগলো…..
—“”” ভাইয়া আপনি আর কতো ঘুমাবেন এবার তো চোখ খুলুন্,,, দেখুন আপনার চোখ খোলার অপেক্ষা আমরা …. মামা হবেন আপনি আর মামা যদি এভাবে চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে থাকে তাহলে কিন্তু বেবি তার মামার সাথে কথা বলবে না ….কথা গুলো বলার সময় ফারহার চোখের কোন বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো…. (হয়তো আসলাম ওর রক্তের কোন ভাই বোনের সম্পর্ক নেই কিন্তু রক্তের বাইরেও দুটো মানুষের আত্তার সম্পর্ক হয় যেমন টা আদিলের সাথে ফারহার….. আপন ভাই বোন না হয়ে ও তাদের ভালোবাসার কোন কমতি নেই,,,,শুধু মাত্র সমাজ এই সম্পর্ক টাকে নোংড়া ভাবে দেখে…… তারা এই সুন্দর পবিত্র সম্পর্কের দিকে আঙ্গুল তুলে…….. )
ফারহার কথা গুলো যেন গলার মাঝে এসে আটকে যাচ্ছে ,,,, কথা আর বের হচ্ছে না গলা থেকে ,,,, মেঘ এতোক্ষন মন দিয়ে ফারহার কথা গুলো শুনছিলো ,,, কিছুক্ষন আগে আসলামের হাত ধরা নিয়ে মেঘের মনে রাগ হিংসা জমা হলে ও এখন আর হচ্ছে না নিজেকে মনে মনে ধিক্কার দিচ্ছে নিজের মনের নোংড়া চিন্তা ভাবনার জন্য…. ডক্টর রুমে প্রবেশ করে আসলামের চেকয়াপ করে…..
–“”” ডক্টর ভাইয়া ঠিক হয়ে যাবে তো.??””(ফারহা)
—“”” ৪৮ ঘন্টা হতে আর মাত্র আদঘন্টা বাকি ,,,আমি এখন একটা ইনজেকশন দিবো ,,আদঘন্টার ভিতর যদি পেশেন্ট রেসপন্স করে তো ভালো আর না হলে …..””””
ফারহার মুখে আর কথা নেই চুপ করে বসব ঘড়িতে সময় দেখছে ইনজেকশন পুশ করার দশ মিনিট অতিক্রম করে যায় ,,,,আদিল মেঘ ফারহা সবাই আল্লাহর কাছে প্রথর্না করছে আর জ্যাক তার কেবিনে শুয়ে তার জিসাসের কাছে প্রে করছে যাতে আসলামের জ্ঞান ফিরে….. ঘড়ির কাটা যখন ছয়টা বেজে বিশ মিনিটের কাছা কাছি তখন আসলামের জ্ঞান ফিরে আসে … আসলাম চোখ মএলে তাকিয়ে ফারহা মেঘ আর আদিল কে দেখতে পায়….. আদিল আসলামের জ্ঞান ফিরে আসতে দেখে হঠাৎ চেচিয়ে ওঠে …..
—“” জিজু আসলাম ভাইয়ের জ্ঞান ফিরে আসছে…””
ডক্টর দ্রুত আসলাম কে চেকয়াপ করে জানায় যে আসলাম এখন আউট অফ ডেন্জার……
আসলাম কে কেবিনে শিফট করিয়ে দিতে বলে ডক্টর ..যেহেতু আসলাম বিপদ মুক্ত সেখানে একটা ICU রুম আটকে রাখার প্রয়োজন নেই…..
আসলাম কে এখনো কেউ ফারহার প্রেগন্সির কথা জানায় নি ফারহা বারন করে দেয় সে চায় বড় ভাই কে সারর্প্রাইজ দিতে…মেঘ ও তাতে আপত্তি করেনি কারন আসলাম কে নিজের ছোট ভাইয়ের মতো দেখে মেঘ… মেঘ ফারহা কে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে সাথে পুরো হসপিটালের সিকিউরিটি তিন গুন বারিয়ে দেয়…..অন্যদিকে সামিরা কানে পৌছে গেল ফারহার প্রেগন্সির খবর …সামিরা হাস ফাস করছে ফারহা কে শেষ করার আর সেই সুযোগ সামিরা পেয়ে গেলো…. সামিরা ল্যাপটপ নিয়ে মেঘের আন্ডার ওয়ার্ল্ডের অল বিজনেস এগুলো যে মেঘের হয়তো পুরো পৃথিবীর কেউ জানে না …. সেগুলো সামিরা খুজে বের করছে….. মেঘের প্রায় সব বিজনেস গুলো সমাজের গরিব অসহায় মানুষদের সাহায্য করার জন্য ..এটাই মনে হলো সামিরার কারন প্রত্যেকটা বিজনেসের ৮০% লাভের টাকা এদের স্কুল হসপিটাল বাড়ি ঘর এতিমখানা চিকিৎসার পিছুনে খরচ করে …. সামিরা ভাবতে পারছে না মেঘ এতো টাকা এই সব মানুষদের পিছুনে ব্যায় করে…..
—“”” হা হা হা কি বোকা কিং এতো টাকা কেউ এই সব নোংড়া লোকদের পিছুনে ব্যায় করে হুম ,,, নো প্রব্লেম আমি তো এসে গেছি এখন থেকে কিংয়ের অল বিজনেস প্রোর্পাটি আমার করে নিবো শেষ করে দিবো কিং আর তার প্রেয়শী সহ তার অনাগত সন্তান কে…. যাষ্ট ওয়েট আন্ড ওয়াচ কিং এই SK হাত থেকে এতো সহজে তোমার মুক্তি নেই….হা হা হা”””
.
.
💦
.
.
—“”” তোর ছেলের জন্য আজ আমার মিশন সাকসেস হলো না মোহনা এর শাস্তি কে পাবে বল তুই না তোর স্বামি আশিকুর..??”””(মোহনার গলা চেপে ধরে ফাহিম বলতে লাগলো..)
—“”” ভা,,,,ভাই আ,,,,মার লা,,,গছে ছা,,,ড় আ,,মাকে…”””(মোহনা)
ফাহাদ মোহনাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে মদের গ্লাস টা নিয়ে এক নিশ্বাসে সব মদ টুকু খেয়ে ফেললো ,,,,কিছুতেই রাগ টা কমাতে পারছে না ফাহিম যতো বার কমানোর চেষ্টা করছে ততোবার সব টা মনে পরে যাচ্ছে….. এদিকে মোহনা ভাবতে পারেনি তার একমাত্র ছেলে সে কিনা তাদের শত্রদের সাথে হাত মেলাবে…..
—“”” মোহনা আদিল কে সামলা না হলে আমাকে তো চিনিস কাউকে ছাড়বো না সবাই কে শেষ করে ফেলবো….”””(ফাহিম)
মোহনা ফাহিম কে কিছু বলার সাহস পেল না ,,,, কারন সে জানে এখন তার ভাই কে কিছু বলা মানে নিজের মৃত্যু কে নিজে আমন্ত্রণ করা….মোহনা নিঃশব্দে নিজের রুমে চলে গেল…….
ফারহা বাড়িতে প্রবেশ করে দেখে পুরো বাড়ির ভোল একে বারে পাল্টে গেছে…. পুরো বাড়িটা নতুন করে পেইন্ট করা সব কিছু নতুন করে সাজানো সাথে নানা রকম বেলুন দিয়ে…. ইভেন পুরো বাড়িটার ফ্লোর জুরে কার্পেট … ফারহা ভিষন অবাক হয় এটা দেখে … ফারহা সরু চোখে মেঘের দিকে তাকাতে দেখে মেঘ দাঁত কেলিয়ে হাসছে….
—“এই সব কি পুরো ফ্লোর জুরে কার্পেট কেন..??””(ফারহা)
—“”” কারন আমি চেয়েছি তাই …””(মেঘ)
—“”” আমার বুজতে বাকি নেই যে কেন মেঘ পুরো বাড়ির ফ্লোর জুরে কার্পেট বিছিয়ে রেখেছে …. একটু বিরক্ত লাগলে ও মনে মনে বেশ ভালো লাগছে মেঘের কেয়ার দেখে…..””””
মেঘ ফারহা কে কোলে করে নিচের একটা বড় রুমে ঢুকে … রুম টা পুরো উপরের মেঘ ফারহার রুমের কপি করা ….
—” এই রুমে কেন নিয়ে আসলে আমাদের তো উপরে রুম…??””(ফারহা)
—“”” নো প্রেয়শী আজ থেকে আমরা নিচ তালায় থাকবো ,,, এই সময় তোমাকে সিরি ভেঙে উপর নিচ করা বারন…..এখানে চুপ করে শুয়ে থাকো আমি তোমার জন্য খাবার নিয়ে আসছি.””(মেঘ)
মেঘ রুম থেকে বেরিয়ে যেতে ফারহার ফোন টা বেজে উঠলো … ফারহা ফোনের স্কিনে মিরার নাম্বার টা দেখে দ্রুত রিসিব করে ….
—“” হ্যালো ..””
—“”আপু একটা প্রব্লেম হয়ে গেছে..””(মিরা)
—“” কি হয়েছে?? আর তোর গলাটা এমন লাগছে কেন??””(ফারহা)
—“” আপু ভাইয়া আমার খোজ করছে …ভাইয়ার লোকেরা আমাকে নেপালে না পেয়ে ভাইয়া কে জানিয়েছে ভাইয়ার পুরো লোকজন আমাকে খুজছে …””(চিন্তিত স্বরে বললো মিরা)
—“”” ধরা দিয়ে দে বাকি টা আমি সামলে নিচ্ছি…””(ফারহা)
—“” ভেবে বলছো তো আপু??”(মিরা)
—“” হুম ভেবেই বলছি … আমি চাই বোন তার ভাইয়ের কাছে ফিরে যাক..”””
—” তাহলে এই জানোয়ার দুটোর উপর কে নজর রাখবে…???””(মিরা)
—“” ওটা নিয়ে তোকে ভাবতে হবে না ,,, আমি সামলে নিবো ..”
—” ওকে তাহলে আমি আজ নেপাল ফিরে যাচ্ছি …”””
—” আমি তোর যাওয়ার সব ব্যাবস্তা করে দিচ্ছি আর শোন পৌছে আমাকে ফোন করবি ..””
—“”” ওকে আপু..রাখছি প্যাকিং করতে হবে…..””
ফারহা কলটা ডিসকানেক্ট করে বিছানায় বালিশের সাথে হেলান দিয়ে ফোনে অন্য নাম্বারে ডায়াল করে কল দিলো……….
.
.
.
[ সামিরা কি পারবে ফারহার ক্ষতি করতে ??🤔🤔
নাকি ফাহিম পারবে??🙄🙄
উফফ এদের শত্রতার জাতা কলে পিশে যাচ্ছে মেঘের জুনিয়র… কি যে হবে আল্লাহ জানে!!!!!😒😒
#চলবে……………..