#হিংস্র_ভালোবাসা🌹
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৪৮
.
🍂
.
ফারহা মেঘের চোখের দিকে তাকিয়ে আর পার্মিশন নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করলো না ,,, মেঘের সামনে দিয়ে বেরিয়ে গেল….. মেঘ হা করে ফারহার চলে যাওয়া দেখছে ,,,মেঘ বুজতে পারছে না ফারহা হঠাৎ করে কোথায় এভাবে রেগে চলে গেল …. ফারহা বের হতেই ফারহার সামনে বারো থেকে পনেরোটা BMW কার এসে থামে… মেঘ ছাদ থেকে সব টা দেখছে … গাড়ি থেকে কালো কোট প্যান্ট সানগ্লাস পরা লোক দেখে মেঘের কাছে গার্ড মনে হচ্ছে ,,, লোকটা গাড়ি থেকে নেমে গাড়ির দরজা খুলে দিতে ফারহা গাড়িতে উঠে বসলো ,,,,মেঘের চোখের সামনে দিয়ে ফারহা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরলো …………ফারহা মেঘের চোখের সীমানা পার হতেই মেঘ ও গাড়ি নিয়ে ফারহার পিছুন পিছুন বেরিয়ে পরলো………
ফারহা গাড়ি সোজা শপিং কমপ্লেসে গিয়ে থামে… . মেঘ ফারহার গাড়ি থেকে কিছুটা দুরে গাড়ি থামিয়ে ফারহার ফারহা কে খুজতে লাগলো…. ফারহা শপিং মলে ঢুকে যায় …. মেঘ দু ঘন্টা যাবত বাইরে দারিয়ে ফারহার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে কিন্তু ফারহা কে আসতে না দেখে মেঘ শপিং মলে ঢুকে ফারহা কে খুজতে থাকে কিন্তু পুরো শপিং মল ঘুড়ে ফারহা কে কোথাও খুজে পায় না … মেঘ ফারহা কে খুজে না পেয়ে পাগলের মতো গাড়ি নিয়ে এদিক ওদিক খুজতে থাকে…….
🍂
🍁
🍂
🍁
এয়ারপোর্টে সামনে দারিয়ে আছে ফারহা মুখে রহস্যময় হাসি ,,,, মেঘ কে বোকা বানাতে পেরে ফারহার বেশ মজা লাগছে….ফারহা গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার পর ,, কিছুটা দুরে যাওয়ার পর ফারহা মেঘের গাড়ি দেখতে পায় ….. ফারহা বুজতে পারে মেঘ ওকে ফলো করছে … তাই ফারহা শপিং মলে ঢুকে পোশাক বদলে নিয়ে আড়ালে গাড়ি রেখে অন্য গাড়িতে বেরিয়ে পরে ফারহা…….
—“”” ম্যাম আপনার টিকিট … অামেরিকা পৌছে প্লিজ একটা মেসেন করে দিবেন নয় তো আমার টেনশন হবে…”””(তিন্নি)
—“” ওকে বাট আগুন কোথায়..??””(ফারহা)
—“” পিছুনে তাকিয়ে দেখ..!!”(তিন্নি))
ফারহা পিছুনে তাকিয়ে দেখে আগুন টেডি স্মাইল দিয়ে দারিয়ে আছে….ফারহা আগুন কে দেখে চোখ থেকে সানগ্লাস নামিয়ে দুষ্টুমি হাসি দিয়ে আগুন কে বলে উঠলো ….
—“””” তো মিস্টার নাম ধরে ডাকবো নাকি স্যার বলে ডাকবো কোনটা..???”””(ফারহা)
—“” হুমম স্যার না বলে ডাকলে খুশি হবো ম্যাম …””(আগুন)
খুক খুক শব্দ করে উঠলো তিন্নি … তিন্নির গলার আওয়াজ পেয়ে ফারহা আগুন দুজনে তিন্নির দিকে তাকিয়ে পরে…..
—“” স্যার ফারহা কি একাই আপনার নাম ধরে ডাকবে ?? শুধু একা আমি স্যার বলে ডাকবো বুঝি..???””(তিন্নি)
—“” হি হি হি তাই তো আমি একা কেন নাম ধরে ডাকবো তিন্নি তুই ও নাম ধরে ডাকবি আগুন কে …. “”(ফারহা)
—“”” লুক ফারহা আমি তোমাকে একটা কথা বলতে চাইছিলাম…??””(আগুন)
—“”” আই নো আগুন তুমি কি বলতে চাও ,,, বাট আমি শুধু একটা কথাই বলবো পাস্ট ভুলে যাও নতুন করে শুরু করো … আর আঙ্কেলের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে অবশ্যই আমি হেল্প করবো তোমাকে….”””(ফারহা)
—-“” থ্যাংকস ফারহা ,,, আমাকে আর একটা সুযোগ দেয়ার জন্য তবে আমি নিজে আমার ড্যাডের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে পারবো….”””(আগুন)
—“” হেই গাইস , তোমরা কি এখানে দারিয়ে গল্প করবে হ্যা ,,,,,,আমি জানি তোমরা ভালো বন্ধু হয়েছো পুরনো সব ভুলে কিন্তু সময় টা তো দেখবে… ফ্লাইটের সময় হয়ে গেল তো ,,, !!!””(তিন্নি)
—“” ওহ হ্যা তাই তো ,,, ফারহা তাহলে যাওয়া যাক ….. “” ফারহার দিকে হাত বারিয়ে দিয়ে….
—“” অফকোর্স ,,,” আগুনের হাতে হাত রেখে…..”””
তিন্নি কে হাগ করে আগুন ফারহা এয়ারপোর্টের ভিতরে চলে গেল …. ওরা চলে যেতে তিন্নি দীর্ঘ শ্বাস ফেলে ,,,আগুনের বাড়ির উদ্দ্যশ্যে ট্যাক্সি নিয়ে বেরিয়ে পরলো……..
🌺
মেঘ সারা শহরে খুজে না পেয়ে মেঘ রেগে ফিরে আসে ,,, ফিরে এসে দেখে ফাহিম খাচার দরজা খোলার চেষ্টা করছে ,,, এটা দেখে মেঘ তেরে যায় ফাহিমের কাছে … ফাহিমের নাক বরাবর এক ঘুশি মারে মেঘ … হঠাৎ মেঘ এসে পরায় ফাহিম ঘাবড়ে যায়… তার উপর মেঘের হাতের পান্চ ফাহিম কে এতো টুকু তে ধরা সাই করতে যথেষ্ট কিন্তু মোহনা নিজের ভাই কে আঘাত করতে দেখে রাগে ফুসতে থাকে…. মেঘ তার লোকদের ফাহিম কে খাচা থেকে বের করতে বলে ,,,, মেঘের কথা মতো ফাহিম কে বের করে মেঘের সামনে হাটু মুরে বসিয়ে রাখে ফাহিম কে …. মোহনা মেঘের উপর রাগে ফুসতে থাকলে ও এখন ওর রিতিমতো ভয় করছে মেঘ কে দেখে ,,,, মেঘের চোখ মুখ আগুনের মতো লাল হয়ে আছে মনে হচ্ছে এই চোখ দিয়ে সব কিছু ভস্র করে দিবে … তিক্ষ্ম দৃষ্টি দিয়ে মেঘের ভাব ভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করছে মোহনা… কিন্তু প্রতিবার ব্যার্থ হচ্ছে…. মেঘ দাতঁ কিড়মিড় করতে করতে ফাহিমের বুক বরাবর এক লাথি মারে ,,, ফাহিম ছিটকে দুরে গিয়ে পরে … মোহনা তার ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আতঁকে ওঠে কারন মেঘের একটা লাথি খেয়ে ফাহিমের মুখ থেকে গরগর করে রক্ত পরতে লাগলো…. মেঘ ফাহিমের চুল ধরে দার করিয়ে শরীলের সব শক্তি দিয়ে ফাহিম কে মারতে লাগলো ফাহিম মেঘ কে আটকাতে গিয়ে পারলো না …. মেঘের শক্তির কাছে ফাহিমের শক্তি যেন আজ ফিকে হয়ে গেল … … আশিকুর ভয়ে টু শব্দ করছে না কারন কয়েক ঘন্টা আগে ফাহাদের এমন ভয়ঙ্কর মৃত্যু চোখের সামনে দেখে আশিকুর প্রচন্ড ভয় পেয়ে চায়…. নিজের মৃত্যু ভয় যেন ঘিড়ে ধরেছে আশিকুর কে….. মেঘ ফাহিম কে মারতে মারতে চিৎকার করে বলতে লাগলো…….
—-“”” তোদের সম্পত্তি চাই তাই না ??? কিহ হলো বল ,,, এই সামান্য সম্পত্তির জন্য মেরেছিস আমার মম ড্যাড কে হা .”””(ফাহাদের পায়ে লোহার রড দিয়ে বাড়ি মেরে বললো মেঘ)
লোহার রডের বারি খেয়ে ফাহিমের আর্ত চিৎকারে ফেটে পরে ….
—“” চিৎকার কর তোর চিৎকার শুনে কলিজা যেন ঠান্ডা হয়ে যায় ,,, চিৎকার কর কুত্তার বা** …”” বলেই আবার মারতে লাগলো মেঘ …. তখনি ফাহিম মেঘের পা জড়িয়ে ধরে বলে উঠলো ……
.
🌺
.
—“”” এখন কেমন আছেন ভাইয়া..””(তিন্নি)
—“”আলহামদুলিল্লাহ ভালো ,,,তুমি কেমন আছো….??””(আসলাম)
—“” ভালো ভাইয়া,,, ডক্টর বললো আপনার পেটের ক্ষত খুব দ্রুত হিল হয়ে যাচ্ছে … আপনাকে খুব তারাতারি হসপিটাল থেকে রিলিজ করে দেওয়া হবে …””(তিন্নি)
—“” সত্যি?? “”
–“” হ্যা ভাইয়া,,,””
–“” তো ম্যাম আপনি হঠাৎ এখানে..??””
—“” কেন ভাইয়া কে দেখতে আসতে পারি না বুঝি..??””( তিন্নি)
—“” হুম অবশ্যই ,,কিন্তু এই সময় ! এখন তো ভিজিটিং আওয়ার নয় তাহলে???””(আসলাম)
—“”” ভাইয়া একটা বিশেষ কারনে আমার এখানে আসা ,, আপনার সাহায্য চাই..??””(তিন্নি)
—“”” হুম অবশ্যই ,,বলো কি সাহায্য চাও তুমি…??””(আসলাম)
—“” ভাইয়া বিষয় টা জিজু কে না জানিয়ে আপনাকে করতে হবে প্লিজ না করবেন না..??””(তিন্নি)
আসলাম একটু ভেবে বললো “” ঠিক আছে “””
— “” Thank you ভাইয়া তাহলে শুনুন………………….””
.
🌸
.
—“” ওয়াট এটা কি করে সম্ভব আগুন আমেরিকা কি করে যেতে পারে ওর পাসপোর্ট ভিসা সব তো আমার কাছে তাহলে কি করে ও যেতে পারে সূর্য..???”””(সামিরা)
—“” আই ডোন্ট নো বস , বাট পাক্কা খবর হচ্ছে একটা মেয়ের সাথে আগুন আমেরিকার যাওয়ার ফ্লাইটে উঠেছে….””(সূর্য)
—“”” আমি এখুনি এয়ারপোর্টে যাবো গাড়ি বার করতে বল এখুনি…””(রাগে ফোস ফোস করতে করতে বললো সামিরা…)
—“”” বস ফ্লাইট টেক অফ দু ঘন্টা আগে করেছে এখন গিয়েতো আপনি ওনাদের ধরতে পারবেন না..”””(সূর্য)
সূর্যের কথা শেষ হওয়ার আগে সূর্যের গালে এক থাপ্পোর মারে সামিরা…. আগুন কে আটকাতে না পারার সব রাগ সূর্যের উপর উপরে পরল… সূর্য গালে হাত দিয়ে দাতেঁ দাঁত চেপে সামিরার থাপ্পোর টা হজম করে নিলো … সামিরা রুমে গিয়ে ভাঙচুর করতে লাগলো… তিন্নি বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুরের শব্দ পেয়ে উপরে ছুটে যায় ……
—“”” সামু !!!!””(তিন্নি)
তিন্নির গলা পেয়ে সামিরা ঘুরে তাকিয়ে দেখে তিন্নি দারিয়ে …. সামিরা ছুটে গিয়ে তিন্নির চুলের মুঠি ধরে তিন্নির মুখ দেয়ালের সাথে শক্ত করে চেপে ধরে … দেয়ালের সাথে চেপে ধরায় তিন্নি ব্যাথায় কুকড়ে যায়….
—“”” আহা সামু কি করছিস কি লাগছে আমার ছাড় ,,, ছাড় বলছি…”””(তিন্নি)
—“”” ছাড়বো তার আগে বল আগুন কোথায় ??? ও কার সাথে আমেরিকা গেল বল ..?? নাহলে আজকে তোর বাবা মায়ের শেষ দিন …”””(সামিরা)
সামিরার কথা শুনে ভয়ে আতঁকে ওঠে তিন্নি …”” সামু বিশ্বাস কর স্যার কোথায় কার সাথে গেছে তা আমি জানি না ,,,,,,আমি তো বাবা মায়ের সাথে দেখা করতে গিয়ে ছিলাম ,,,””
-তিন্নির কথাটা সামিরা বিশ্বাস করে নেয় কারন সামিরার ধারনা নাহ এটা ওর বিশ্বাস তিন্নি কখনো ওকে মিথ্যে বলতে পারে না… তাই তিন্নি কে ছেড়ে দেয় সামিরা তারপর মাথায় হাত দিয়ে বসে পরে ফ্লোরে………
—“” নাহ এটা হতে পারে না ,,, আমি আমার অপমানের প্রতিশোধ নিয়েই ছাড়বো ,,, ছাড়বো না আগুন খান কে…. পস্তাতে হবে ওকে ,,, “”(রাগে ফস ফস করতে করতে বলতে লাগলো সামিরা)
.
🌿
🌺
🌿
.
—“”” আমি সত্যি বলছি মেঘ ভাই ভাবি কে মারার প্লান টা আমাদের ছিলো ওটা মমের প্লান ছিলো… “””(ফাহিম)
—“”” তার মানে ছোট নানু!!!!”””(অবাক হয় বললো মেঘ ,,, আর মেঘের কথা উওরে ফাহিম মাথা নারে)
—“” প্রথমে মোহনা আশিকুরের ইতালিতে যাওয়া তার পরের ফ্লাইটে আমাদের যাওয়া ,,,, প্রোপার্টি নিয়ে কথা কাটা কাটি সব টাই ছিলো মমের প্লান …. আমরা তো মমের হাতের গুটি ছিলাম””(ফাহিম)
ফাহিমের মুখে কথা গুলো শুনে মেঘের চোখ মুখ কেমন যেন হিংস্রতার রুপ নিলো ,,,ফাহিমের গলা চেপে ধরে দাঁতে দাঁত চেপে মেঘ বলে ….
—-“” কোথায় আছে সে এখন বল..???””(মেঘ)
—“” আ,,,, আমেরিকা…. “””(ফাহিম)
মেঘ ফাহিমের গলা ছেড়ে দিয়ে ,,,হাতের পাশে থাকা লোহার রড টা নিয়ে স্ব জোড়ে ফাহিমের মাথার পিছুনে বারি মারে … সাথে সাথে ফাহিম জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে………. মেঘ পিছুনে ফিরে বলে……
—“”” আই’এম কামিং মিসেস জেরিন চৌধুরী ,,,, প্রতিশোধ নিতে আসছি আমি………””
.
.
.
#চলবে………….. 🔥