#হিংস্র_ভালোবাসা🌹
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৩১
.
🍁
.
— “আদিল ….”(তিন্নি)
—” জ্বি আপু কিছু বলবেন..??”(আদিল)
—” নাহ তেমন কিছু না তোকে দুর থেকে বাইরে দেখতে পেয়ে আসলাম… এখানে এতো রাতে কি করছিস???”(তিন্নি)
—” তেমন কিছু না আপু ,, ঘূম আসছিলো না তাই বাইরে হাটা হাটি করছিলাম…”(আদিল)
—“আচ্ছা রাত অনেক হলো রুমে যা গিয়ে ঘুমিয়ে পর ,,,এতো রাত জাগা ভালো না…”(তিন্নি)
— ” ওকে আপু…”
আদিল ভিতরে চলে যেতে তিন্নি যেন হাফ ছেড়ে বাচলো … গলার স্কাফ টা মুখে জড়িয়ে নিয়ে গেট দিয়ে বাইরে গেল তিন্নি…..
.
🍁
.
জানালার কোন ঘেসে সোনালি সূর্যের আলো চোখে পরায় ঘুম ভেঙ্গে গেল ফারহার……চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে অবাক হয় মেঘের বুকের উপর শুয়ে আছে ও ….. পরক্ষনে রাতের কথা মনে পরতে ফারহা লজ্জায় লাল হয়ে যায়……লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে মেঘের ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে একদৃষ্টিতে …. মেঘের এলোমেলো চুল গুলো হাওয়ায় দোল খেলছে মেঘের পুরো কপাল জুরে ,,, চোখের ঘন পাপড়ি গুলো হালকা করে নরে উঠছে বার বার…লাল টকটকে ঠোটের নিচে কালো তিল,, খোচা খোচা দারি উফফ পুরাই বলিউডের কোন হিরোর থেকে কম লাগছে না ….ফারহা মেঘ কে আদর করার লোভ সামলাতে না পেরে মেঘের কপালে ভালোবাসার প্রথম স্পর্শে ছুয়ে দিলো……….
—” বাহ বাহ আমার মতো অবলা ঘুমন্ত বরের সুযোগ নেওয়া হচ্ছে হুমমম…”( দুষ্টুমি হাসি দিয়ে বললো মেঘ)
—” ইসস কি লজ্জা রাক্ষস তাহলে ঘুমাই নি জেগে ছিল…”
লজ্জায় ফারহা মেঘের বুকে মুখ লুকিয়ে ফেলে … মেঘ হেসে দিয়ে ফারহা কে শক্ত করে বুকের সাথে চেপে ধরে…….
—” প্রেয়শী তুমি এতো কিপটা কেন হুম..??”(মেঘ)
মেঘের কথা শুনে ফারহা মেঘের বুক থেকে মুখ তুলে বলে …” আমি কিপটা ..?? কে বললো আপনাকে..??”(রাগি গলায়)
—” কার এতো বড় সাহস আমার প্রেয়শীকে কিপটা বলবে আমি ছাড়া ..??”(শয়তানি হাসি দিয়ে বললো মেঘ)
—” কিহ এতো বড় কথা ..বলুন আমি কি কিপটামি করলাম হুমম..??”(ফারহা)
—” কিপটামি করেছো তো ,,না হলে শুধু মাত্র আমার কপালে তোমার নরম উষ্ণ ঠোট জোড়া ছুতো না ,,,আমার ঠোট জোড়া ও ছুয়ে দিতে……”(মেঘ)
—” ধ্যাত অশ্লীল লোক একটা…” বলে হাত দিয়ে নিজের মুখ ঢেকে ফেললো ফারহা….
—” ওয়াট আমি অশ্লীল লোক লাইক সিরিয়াসলি ,,,তাহলে তো এখন সত্যি সত্যি অশ্লীলতা দেখিয়ে দি….”(দুষ্টু হাসি দিয়ে বললো মেঘ)
—” এই এই একদম না এখন একদম ছুবে না আমায় ছাড়ুন আমাকে … শাওয়ার নিতে হবে. অনেক টা লেট হয়ে গেল…..”(ফারহা)
—” ওহ এই বেপার জান তাহলে চলো আমরা একসাথে শাওয়ার নি…”(মেঘ)
—” এই না না আপনি প্লিজ যাবেন না ..”(কাচুমাচু মুখ করে বললো ফারহা)
মেঘ ফারহার কাচুমাচু মুখ দেখে বলে……”উহু যাবো না একটা সর্তে যদি তুমি এখন এই মুহূর্ত থেকে তুমি করে বলো তাহলে … আর না বললে সমস্যা নেই আমিও তোমার সাথে……বাকি টা বলতে না দিয়ে ফারহা হুট করে বলে উঠলো ……
—” এমা না না আসলে আপনাকে মানে তো,,তোমাকে আপনি বলার অভ্যাস তো তাই একটু সময় লাগবে…… ”
—” বুজলাম এখন যেহেতু তুমি বললে সেহেতু এখন তুমি একাই শাওয়ার নেও আমি না হয় পরে নিবো শাওয়ার নিবো….”(মেঘ)
ফারহা মেঘের বুক থেকে উঠতে যেয়ে খেয়াল করে ওর শরীলে এক টুকরো কাপড় নেই ..চাদর দিয়ে ঢেকে মেঘ বুকের সাথে জড়িয়ে রেখেছে….. ফারহা একবার নিজের দিকে তাকিয়ে মেঘের দিকে তাকিয়ে দেখে মেঘ মুচকি মুচকি হাসছে… এটা দেখে ফারহা লজ্জা পেয়ে মেঘের চোখ চেপে ধরে ……
—-” প্রেয়শী কি করছো চোখ চেপে ধরলে কেন ছাড়ো দেখতে দেও তোমাকে….”(মেঘ)
—” নিলজ্জ বেহায়া অসব্ভ লোক ছিঃ … “(ফারহা)
ফারহা চাদর পেচিয়ে দ্রুত উঠে ওয়াশরুমে ঢুকে যায় …ফারহা চলে যেতে মেঘ হা হা করে হেসে উঠল ……… ফারহা শাওয়ার নিয়ে চেন্জ করার সময় খেয়াল করে ফারহা সাথে করে কোন ড্রেস আনে নি …
—“ওহ মাই আল্লাহ ,,এখন কি হবে রুমে তো রাক্ষস টা আছে আমি এই ভাবে কি করে রুমে যাবো … ছিঃ ছিঃ কি লজ্জা…..আচ্ছা একবার চুপি চুপি উকি মেরে দেখলে হয় না রাক্ষস টা আবার ঘুমিয়ে পরেছে কিনা.. ” (ফারহা)
ফারহা ওয়াসরুমের দরজা খুলে উকি মেরে দেখে মেঘ চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে আছে …ফারহা টাওয়েল পেচিয়ে আসতে আসতে কাবার্ডের কাছে এসে কাবার্ড খুলে একটা লাল রংয়ের সিল্কের শাড়ি নিয়ে কাবার্ড বন্ধ করে পিছুনে ফিরতে ভয় পেয়ে যায় ফারহা কারন সামনে আর কেউ নয় মেঘ নেশা ভরা চোখে ফারহার দিকে তাকিয়ে আছে……
—” আ,,,আপনি না,, মানে তুমি এখানে তু,,তুমি তো ঘুম ছিলে…”(ফারহা)
—” ইসস কি যে বল না প্রেয়শী যার এমন হট বউ আছে সে কি আর পরে পরে ঘুমাতে পারে … ” ফারহার গালে মেঘ তার গাল ঘসতে ঘসতে বললো..
—” আহা কি করছো কি গালটা ছিলে গেল তো…”(হঠাৎ ফারহা বলে উঠলো )
-ফারহার হঠাৎ এমন চিৎকার শুনে মেঘ চমকে গেল…..
—” কি,,,কি হয়েছে কোথায় লাগলো প্রেয়শী ….” পাগলের মতো ফারহার হাত মুখ দেখতে লাগলো মেঘ …. ফারহা বিরক্ত হয়ে মেঘ হাত ছাড়িয়ে সোজা ওয়াশরুমে ঢুকে যায়…… ফারহা হঠাৎ এভাবে চলে যাওয়ায় মেঘ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল ….
—-” কি হলো এটা ….”মাথা চুলকাতে চুলকাতে নিজেকে প্রশ্ন করলো মেঘ …মেঘের ভাবনার মাঝে ফারহা ওয়াসরুমের দরজা খুলে উকি মেরে মেঘ কে বলে……
—“এই যে আমার রাক্ষস জামাই অন্য কোন রুমের ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে আসুন আমার বের হতে অনেক লেট হবে…” বলে ধুপ করে মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিলো ফারহা…
মেঘ মুচকি হেসে নিজের মিনি ছাঁদের পুলে নেমে গেল……….
.
🍁
.
—” সামিরা মা গতকাল রাতে তুমি কোথায় গিয়েছিলে..???”(আরিয়ান খান)
—” আমার এক ফ্রেন্ডের সাথে মিট করতে গিয়েছিলাম আঙ্কেল…”(জুসের গ্লাসে চুমুক দিয়ে বললো সামিরা)
—” সামিরা মা আমি তোমার ড্যাডের সাথে কথা বলেছি ,,আজ বিকেলের ফ্লাইটে তুমি প্যারিসে ব্যাক করবে …”(আরিয়ান খান)
আরিয়ানের কথা শুনে সামিরা জুসের গ্লাসটা হাত থেকে টেবিলের উপর রেখে আরিয়ানের দিকে শান্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে সামিরা বলে……
—” ইউ নো ওয়াট আঙ্কেল ,,এই সামিরা খান্না যখন আপনাকে প্রমিস করেছে আগুন কে আপনার কাছে ফিরিয়ে আনবে… তখন আনবে এই সামিরা কখনো তার প্রমিস ব্রেক করে না…”(সামিরা)
—” আমি জানি সামিরা কিন্তু মা তোমার যদি কোন ক্ষতি হয়ে যায়..তাহলে আমি সাইমুন কে কি জবাব দিবো??? ভেবে দেখেছো তুমি..??” দেখ সামিরা আমি চাই না তোমার এই সুন্দর জীবন টা কোন ভাবে আমি বা আমার ছেলের জন্য নষ্ট হোক ,,,আগুন কে যতোটা জানি ও তোমাকে মেনে নিবে না .. তার থেকে ভালো হয় তুমি প্যারিসে ফিরে যাও তোমার ড্যাডের কাছে….”(আরিয়ান খান)
— ” লিসেন আঙ্কেল এই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার মাঝপথে কখন সামিরা পিছু হাটবে না … যতোক্ষন না আমার জিত আর শত্রুদের হার হয়….” সামিরা আরিয়ান খান কে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ডাইনিং টেবিল ছেড়ে উপরে নিজের রুমে চলে গেল……..রুমে এসে ফোন টা হাতে নিয়ে কারো নাম্বারে ডায়াল করলো…..
.
🍁
.
—” তিন্নি কাল রাতে কি তুই কোথাও গিয়েছিলি…??”(ইভা)
ইভার প্রশ্ন শুনে তিন্নির চোখে মুখে কেমন যেন এক ভয়ের ছাপ ফুটে উঠল কিন্তু তিন্নি জোড় করে মুখে হাসি এনে ইভাকে বলে……
—” আরে না কোথায় যাবো আসলে নতুন যায়গা তো তাই ঘুম আসছিলো না ..তাই বাইরে একটু হাটা হাটি করতে গিয়ে ছিলাম …”(তিন্নি)
—” ওহ তাই বল আসলে রাতে হঠাৎ করে ঘুম ভেঙ্গে যায় পাশ ফিরে দেখি তুই নেই ..আশে পাশেও খুজে পাই নি তাই …”(ইভা)
তিন্নি হাফ ছেড়ে বাচলো ইভা কিছু বুজতে পারেনি এটা ভেবে…. ইভা তিন্নি আফিফ আদিল ফ্রেস হয়ে ড্রইং রুমে আড্ডা দিতে লাগলো……
এদিকে ফারহা শাড়ি পরে আয়নার সামনে দারিয়ে রেডি হয়ে নিলো ভেজা চুল গুলো হেয়ার ড্রাইয়ার দিয়ে শুকাতে নিলে হঠাৎ করে মেঘ এসে হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় হেয়ার ড্রাইয়ার …আচমকা মেঘ এমনটা করায় ফারহা ঘাবড়ে যায় এটা ভেবে ওর ধারা কোন ভুল হলো না তো…??
—” প্রেয়শী তোমার সাহস কি করে হয় আমার বউয়ের ভেজা চুল গুলো শুকানোর জন্য এই কৃত্রিম যন্ত্র ব্যাবহার করার…?””(মেঘ)
ফারহা মেঘের কথা শুনে ফিক করে হেসে দিলো…
—” আপনি না মানে তুমি কি পাগল টাগল হলে নাকি ..?? দেখছো না চুল গুলো থেকে কি ভাবে পানি পরছে … হেয়ার ড্রাইয়ার টা দেও প্লিজ..”(ফারহা)
মেঘ হেয়ার ড্রাইয়ার টা ড্রায়ারে রেখে দিয়ে টাওয়াল দিয়ে সুন্দর করে ফারহার লম্বা চুল গুলোর পানি মুছে দিতে থাকে…..
—” এই রাক্ষস টাকে দেখে সত্যি আমি অবাক এতোটা কেউ কাউ কে ভালোবাসতে পারে বলে আমার জানা ছিলো না .. পৃথিবীতে হইতো আমি একমাত্র ভাগ্যবতী নারী যার কিনা এমন লাভিং কেয়ারিং রাক্ষস হাসবেন্ট আছে .. আমিও আজ আপনাকে কথা দিচ্ছি আমার মন প্রান আমার সব টা জুড়ে শুধু তুমি থাকবে তোমাতে আমার শুরু তোমাতেই আমার শেষ… তোমার হিংস্র ভালোবাসায় নিজে কে পরিপূর্ণ করবো কথা দিলাম….”(ফারহা কথা গুলো ভাবতে ভাবতে নিজের মনে মনে মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো..)
মেঘ ফারহার চুল গুলো মুছে দিয়ে কাবার্ড থেকে একটা জুইলারি বক্স এনে ফারহার সামনে রাখে…….
—” ইউ নো ওয়াট প্রেয়শী আমার বরাবর খুব ইচ্ছে ছিল আমাদের বিয়ের পর আমি প্রথম আমার বউ কে নিজ হাতে সাজাবো …”
—” তাহলে কার পার্মিশনের জন্য ওয়েট করছেন মিস্টার রাক্ষস হাসবেন্ট….”(হাসতে হাসতে বললো ফারহা)
ফারহার কথা শুনে মেঘ যেন হাতে চাদ পেল এমন খুশি খুশি ভাব….. মেঘ ফারহার হাতে কিছু চিকন গোল্ডের চুড়ি পরিয়ে বালা পরিয়ে দিলো..তারপর কানে বড় ঝুমকো .. গলায় হালকা চিকন গোল্ডের হার … আর নাকে ডাইমন্ডের নাকফুল আগেই ছিল তাই আলাদা করে পরাতে হয়নি ..মেঘ ফারহার চোখে গাঢ় করে কাজল পরিয়ে দিয়ে ,,ঠোটে রেড কালার গ্লোসি লিপষ্টিক লাগিয়ে দিলো আর পায়ে নূপুর পরিয়ে দিলো……
ফারহা নিজেকে আয়নায় দেখে যেন চিনতে পারছে না … গতকাল রাতের ভারি মেকয়াপে থেকে এখন পুরাই ভিন্ন লাগছে পুরো বউ বউ ….মেঘ ফারহার শাড়ির আচলটা টেনে মাথায় দিয়ে দিলো……
—” নাও ইটস পার্ফেক্ট প্রেয়শী ..”(মেঘ)
—” আয়ানায় নিজেকে দেখতে দেখতে রাক্ষসটার দিকে নজর দিতে দেখি ব্লাক শার্ট হাতা ফোল্ড করা এ্যাস কালার গ্যাবাডিং প্যান্ট পরা পায়ে ব্রান্ডের শু ,, এক হাতে ব্রান্ডের ওয়াচ অন্য হাতে গোল্ডের মোটা চেইন … সেট করা চুল তারপর ও সামনের কিছু অবাধ্য চুল মেঘের কপাল টা বার বার ছুয়ে দিয়ে যাচ্ছে,,খোচা খোচা দারি …মাশাআল্লাহ ….আমি এতোটাই আমার রাক্ষস বর টাকে দেখতে ব্যাস্ত ছিলাম যে রাক্ষস সেই কখন আমার এতোটা কাছে এসে দারিয়ে আছে টের পাই নি….. হঠাৎ করে আমার রাক্ষস বর টা আমার কপালে আলতো করে চুমু দিলো…
—” প্রেয়শী আয়নায় আমাকে দেখতে এতোটাই ব্যাস্ত যে কখন ওর এতোটা কাছে চলে এলাম তা ও বুজতে পারলো না … কপালে চুমু দিতেই কেমন যেন লজ্জা পেল ….”
— ” এই মিস্টার রাক্ষস জামাই এখানেই কি দারিয়ে থাকবেন নাকি নিচে যাবেন ..?? আমার কিন্তু বড্ড খিদে পেয়েছে….”(ফারহা)
ফারহার কথা শুনে মেঘে অবাক .কারন এমন রোমান্টিক মুহূর্তে যে তার প্রেয়শী এমন কথা বলতে পারে তা ওর জানা ছিলো না…. এদিকে মেঘের মুখ দেখে ফারহার বেশ হাসি পাচ্ছে কিন্তু হাসতে পারছে না মেঘের সামনে তাই মেঘ কে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত সরিয়ে দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল ফারহা……
তিন্নি ইভা আফিফ আদিল ড্রইং রুমে বসে আড্ডা দেওয়ার সময় নূপুরের শব্দ পেয়ে সবাই সিড়ির দিকে তাকায় .. ফারহা কে দেখে আফিফ তিন্নি ইভা আদিল বসা থেকে উঠে হা করে ফারহা কে দেখছে…..
—-” ওহ মাই গড এটা কি আমাদের ফারু নাকি অন্য কেউ লাল শাড়ীতে পুরো নতুন বউ বউ লাগছে ওকে কি সুন্দর ,,দুধে আলতা গায়ের রং তার উপর লাল টুকটুকে শাড়ি ,,,,অসম্ভব সুন্দর লাগছে ফারু কে….”(ইভা)
ইভার কথা শুনে তিন্নি ইভার মাথায় একটা চাটি মেরে বলে…..
—” এই কানি নতুন বউ নতুন বউ লাগছে মানে কি ফারু তো নতুন বউ …”(তিন্নি)
—” ওহ হ্যা ভূল গিয়েছিলাম রে সরি..”(ইভা)
ফারহা নিচে নামতেই ইভার ফাজলামি শুরু হয়ে গেল ….
—” কিরে ঘুম কেমন হলো ফারু..?? আরে তোর চুল গুলো দেখছি সব ভিজে ,,রাতে জিজু কি ডাবল ভালোবাসা দিসে নাকি রে ফারু যার ফলস্রুপ তোকে সকাল সকাল শাওয়ার নিতে হলো…..”(ইভা)
আদিলের সামনে এমন লাগামহীম কথা শুনে ফারহা লজ্জা পেয়ে যায় … কিছু বলতে যাবে তখনি পিছুন থেকে মেঘ বলে ওঠে…….
—” ওহে শালিকা গন তোমাদের যদি আপত্তি না থাকে তাহলে রাতে লাইভ রোমান্স দেখাবো তোমাদের তার পর তোমরা নিজেরাই বুজতে পারবে তোমাদের বান্ধুবী কেন সকাল সকাল শাওয়ার নিলো…..”(মেঘ)
ফারহা আর ওখানে দারিয়ে থাকতে পারলো না দ্রুত ড্রইং রুম ছেড়ে ডাইনিংয়ে চলে আসলো …. ফারহা পিছু পিছু মেঘ ও হাজির হলো ডাইনিংয়ে……
আগের দিনের মতো তিন্নি ইভা আফিফ আদিল মেঘ ফারহা ডাইনিংয়ে বসে ব্রেকফাস্ট করছে ..মেঘ ফারহা কে কোলে বসিয়ে ফারহা কে খাওয়াচ্ছে আর নিজে ও খেয়ে নিচ্ছে …. ফারহার প্রতি মেঘের এতো ভালোবাসা দেখে আদিল এক সস্থির শ্বাস ফেললো… … অনেকক্ষণ যাবত তিন্নির ফোনে একটা নাম্বার থেকে লাগাতার ফোন আসছে আর তিন্নি কলটা রিসিব না করে কেটে দিচ্ছে … যতবার কল টা আসছে ঠিক ততোবার তিন্নি নার্ভাস হয়ে পরছে …
মেঘ পুরো বিষয় টা আড়চোখে খেয়াল করছে তা তিন্নি বুজতে ও পারলো না…হঠাৎ করে মেঘ তিন্নি কে বলে ওঠে…..
—” তিনু বেবি ,, তুমি কল টা রিসিব করছো না কেন..?? বার বার কল আসছে তুমি রিসিব করছো না ..এটা তো কোন আর্জেন্ট কল হতে পারে..?? রিসিব করে কথা বলো “(মেঘ)
মেঘের কথা শুনে তিন্নি প্রচন্ড ভয়ে ঘামতে লাগলো … হাত পা থর থর করে কাপছে তিন্নির …. তিন্নির এমন অবস্তা দেখে মেঘের ঠোটের কোনে বাকা হাসি ফুটে উঠলো……….
.
.
.
.
#চলবে……………………………🍁