#হিংস্র_ভালোবাসা🌹
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৩৬
.
🍁
.
—” আসলাম কিং এতো শান্ত কি করে বসে আছে ??”(জ্যাক)
—” চুপ থাকো জ্যাক এটা ঝড় আসার পূর্বাভাস ..জানি না কি হতে চলেছে….”(আসলাম)
আসলামের কথা শেষ হতে না হতে জ্যাকের ফোন টা বেজে ওঠে …জ্যাক ফোন টা কানে দিতে জ্যাকের হাত মাথায় উঠে যায় … একবার আসলামের মুখের দিকে তাকাচ্ছে অবার মেঘের মুখের দিকে তাকাচ্ছে ………….
—” স্পিক আপ জ্যাক ওয়াট হ্যাপেন্ড..??”(ল্যাপটপে চোখ রেখে বললো মেঘ)
জ্যাক অলরেডি ঘামতে লাগলো ,,, মেঘ কে কি উওর দিবে এটা জ্যাক নিজেও বুজতে পারছে না… মেঘ ল্যাপটপ চেখে চোখ সরিয়ে জ্যাকের দিকে দৃষ্টি ফেলে মেঘ …. মেঘের দৃষ্টি যেনো জ্যাক এর ভিতর টা ভেত করে সব টা জেনে নিচ্ছে এমন টা আভাস পাচ্ছে জ্যাক…….মেঘ ল্যাপটপ সাইডে রেখে ডিভান থেকে উঠে দারিয়ে পাশের টেবিলের উপর থেকে গান টা হাতে তুলে নেয় মেঘ … গান নিয়ে একপা একপা করে আসলাম জ্যাকে দিকে যেতে আসলাম স্তির হয়ে দারিয়ে থাকলেও জ্যাক থাকতে পারলো না … মেঘের সামনে হাটু গেরে বসে পরে জ্যাক …….
—-” কিং আ’ম সরি ,,,,, আশিকুর আর ফাহাদ কে কেউ একজন আমার ডেরা থেকে তুলে নিয়ে গেছে…”(জ্যাক)
মেঘে দু হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ফেললো রাগে ….মেঘ হাতের গান টা জ্যাকের কপালে ঠেকিয়ে ধরে…..জ্যাক ভয়ে জরশর হয়ে যায় … মুখ থেকে কোন শব্দ বের হচ্ছে না এদিকে আসলাম বুজতে পারলো মেঘ কেন এতো রেগে আছে … আসলাম মেঘ কে অন্য ভাবে শান্ত করার জন্য বললো…..
—” বস একটা ইনফরমেশন আছে…”(আসলাম)
—“ওয়াট!!!”(মেঘ)
—” বস আপনাকে মারার জন্য আমাদের ভিতরের দুই জন লোক কে নিজেদের দলে টেনে নিয়েছে.. আর ওরাই আপনার গাড়ির ব্রেকফেল করে দেয়.”(আসলাম)
—” বিশ্বাসঘাতক দের দু মিনিটের মধ্যে পানিশমেন্ট রুমে দেখতে চাই আসলাম…”(মেঘ)
—” বাট বস একটা প্রব্লেম ওদের কে এখনো আইডিন্টিফাই করা যায় নি…”(আসলাম)
—” অলগার্ডস দের বাগানে আসতে বল…আমি আসছি”(মেঘ)
—” ইয়েস বস …”(আসলাম)
মেঘের আদেশ মতো আসলাম তার কাজ করার জন্য রুম ছেড়ে বেরিয়ে যেতে মেঘ জ্যাক কে বসা থেকে উঠে দারানোর জন্য গান দিয়ে ইশারা করতে জ্যাক উঠে দারায়…….
—” কিং ট্রাস্ট মি আই ডোন্ট নো হু ইজ দ্যা কিডন্যাপার …”(জ্যাক)
—” আই নো দ্যাট জ্যাক হু ইজ দ্যা কিডন্যাপার বাট ইউ টেল মি ,,,,, ওই প্লেস টার কথা কে কে জানতো ..?? “(মেঘ)
—” কিং আমি আর আমার লোকেরা বাইরের কেউ তো জানতো না…”(জ্যাক)
—” ওকে ইউ মে গো নাও…”(মেঘ)
জ্যাক চলে যেতে মেঘ ড্রেস চেন্জ করে ওয়াইট শার্ট ব্লাক কোর্ট ব্লাক প্যান্ট ব্লাক শু হাতে রিচ ওয়াচ চোখে ব্লাক সানগ্লাস ,,,চুল গুলো সেট করে নিয়ে মেঘ বেরিয়ে গেল……..
.
.
🍁
.
.
—” স্যার…..”(তিন্নি)
—” কে ” ,,,,,,,,,,আগুন ধিরে ধিরে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে সামনে তিন্নি দারিয়ে….
—” তিন্নি তুমি ফা,,রহা কোথায় ..?? ও কেমন আছে..?? আর আমি কোথায় ..চারিদিক তাকিয়ে বললো আগুন….”
—” স্যার ফারু একদম ঠিক আছে ৷ আপনি কেমন আছেন?? “(তিন্নি)
আগুন শোয়া থেকে উঠে বসতে চাইলে তিন্নি আগুনের হাত ধরে উঠে বসতে সাহায্য করে …..
—” তিন্নি বাকি ক্রশ্চেনের এন্সার টা দিলে না আমি কোথায় আছি আর এটা কার বাড়ি…??”(আগুন)
—” স্যার ভালো করে চারিদিকে তাকিয়ে দেখুন এটা আপনার বাড়ি আর আপনি আপনার রুমে বসে আছেন…”(তিন্নি)
আগুন সত্যি ভালো করে চারিদিক তাকিয়ে দেখে এটা সত্যি ওর রুম আর ও ওর রুমে বসে আছে ….কিন্তু আগুনের মনে পরে গেল মেঘের সেই ভয়ঙ্কর টর্চারের কথা … মনে পরতেই আগুনের সারা শরীলে কাটা দিয়ে উঠলো….
—” হিজ লাভ ইটস সো ডেন্জারাস … “(আগুন)
—” ইয়েস স্যার জিজুর ভালোবাসার ধরন খুব বিপদজনক বাট ফারহা এটাই ইনজয় করে …”(তিন্নি)
—” জিজু কে আর ফারহা ইনজয় করে মানে..??”(আগুন)
—” স্যার আপনি অসুস্থ আর এখন আপনার রেস্টের প্রয়োজন সো আপনি রেস্ট করুন বাকি কথা পরে হবে…..”(তিন্নি কথা টা বলে বেরিয়ে যেতে নিলে আগুন আবার পিছু ডাকে….)
—” লাস্ট একটা কোশ্চেন .. ওই হেল থেকে আমাকে কে উদ্ধার করল…??”(আগুন)
—” আপনার উডবি ওয়াইফ ..”(তিন্নি)
—” ওয়াট !!! ওয়াট ডিড ইউ সে?? উডবি ওয়াইফ ,,হু ইজ সি..??”(আগুন)
—” নিজের হবু বউ কে চিনতে পারছো না মিস্টার আগুন খান…”
তিন্নির পিছুন থেকে কথা বলতে বলতে বের হলো সামিরা… আগুন সামিরা কে দেখে চমকে ওঠে …বসা থেকে উঠে দারাতে গিয়ে ও দারাতে পারলো না দূর্বলতার জন্য … আগুন কে ওঠার চেষ্টা করতে দেখে তিন্নি এগিয়ে আসে কিন্তু তিন্নি আগুনের কাছে যাওয়ার আগে সামিরা তিন্নির হাত টেনে ধরে……..
—” তিন্নি তুই রুমে গিয়ে রেস্ট কর আমি তোর স্যার কে উঠে দারাতে হেল্প করছি…”(সামিরা)
তিন্নি চেয়ে ও আগুন কে হেল্প করতে পারলো না ,,, সামিরার পাশ কাটিয়ে তিন্নি রুম থেকে চলে যায়…. তিন্নি চলে যেতে সামিরা ভিতর থেকে দরজা টা বন্ধ করে দেয়…..
—” দরজা বন্ধ করলে কেন সামিরা??”(কঠিন গলায় বললো আগুন)
—” মিস্টার আগুন খান উহু শুধু আগুন খান না দ্যা গ্রেট আগুন খান যে কিনা তার ছাত্রীর প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে প্যারিস থেকে হবু বউ কে রেখে পালিয়ে এসেছে… হি হি হি কি ঠিক বললাম তো..?? মিস্টার খান??”
সামিরার কথা গুলোই যেন রাগ ঝরে পরছে …আগুন খুব ভালো করেই বুজতে পারছে এই সামিরা খান্না এতো সহজে ওকে ছাড়বে না ,,, কিন্তু ড্যাড কোথায়..?? আরিয়ান খানের কথা মনে আসতে আগুন সামিরার কাছে জানতে চায় ….
—” ড্যাড কোথায় মিস সামিরা..??”(আগুন)
—” আঙ্কেল মেঘ চৌধুরীর হাতে বন্দি মিস্টার খান…”(সামিরা)
—” ওয়াট .. ড্যাড মেঘ চৌধুরীর হাতে বন্দি আর আমি রুমে বসে রেস্ট নিচ্ছি কেমন ছেলে আমি …”(আগুন)
আগুন আরিয়ান খান কে মেঘের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বেড থেকে উঠে দারাতে নিলে মাথা ঘুরে পরে যায় তখনি সামিরা আগুন কে ধরে ফেলে………….. মেঘের হাতে বন্দি থাকা অবস্থায় আসলাম নানা ভাবে আগুনের উপর টর্চার করে ইভেন খেতে ও দিতো না যার ফলস্বরুপ আগুনের শরীল প্রচন্ড দূর্বল হয়ে পরে……
—” ডোন্ট ওয়ারি বেবি আমি আঙ্কেল কে ফিরিয়ে আনবো ,, ঠিক তিন দিনের ভিতর …”(সামিরা)
সামিরার কথা শুনে আগুন যেন স্বস্থি পেল কেন যেন সামিরার কথা গুলো বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হলো ….
—” আই নো বেবি তুমি আমাকে বিশ্বাস করতে পারছো না কিন্তু আই প্রমিস ইউ বেবি আমি তোমার ড্যাড কে ঠিক তিন দিনের মাথায় তোমার সামনে এনে হাজির করবো…”(সামিরা)
-সামিরা আগুন কে শুইয়ে দিয়ে উঠতে গেলে আগুন সামিরার হাত টেনে ধরে……
—” কিছু বলবে বেবি..??”(সামিরা)
—” ফারহা ,,ফারহা কেও চাই আমার ওকে এনে দিতে পারবে আমার কাছে ??”(আগুন)
আগুনের মুখের ফারহার নাম শুনে সামিরার পুরো শরীলে মনে হলো কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে কিন্তু আগুন তা বুজতে না দিয়ে সামিরা দাঁতে দাঁত চেপে আগুনকে বললো……
—” হ্যা এনে দিবো তোমার ফারহা কে তোমার কাছে ….”(সামিরা)
—” প্রমিস করছো??”(আগুন)
—” হ্যা প্রমিস করছি আঙ্কেল আর ফারহা কে তোমার কাছে ফিরে দিবো…”(সামিরা)
সামিরার কথা শেষ হতে আগুনের হাত আলগা হয়ে আসে তখনি সামিরা আগুনের হাত থেকে নিজের হাত টা সরিয়ে নিয়ে দ্রুত রুম থেকে বেরিয়ে নিজের রুমে এসে জিনিস পত্র ভাঙচুর করতে থাকে ….. তিন্নি ভাঙচুরের আওয়াজের শব্দ পেয়ে সামিরার রুমে দৌড়ে এসে দেখে সামিরা পুরো রুমের জিনিস ভাঙচুর করে ফ্লোরে পা ছড়িয়ে বসে আছে……তিন্নি সামিরার এমন রুপ দেখে ভয়ে ভয়ে সামিরার দিকে এগিয়ে যেতে সামিরা ফ্লোর থেকে ভাঙা ফ্লাওয়ার বাজ টা তুলে সামনে ছুড়ে মারতে তিন্নি কপালে লেগে কেটে যায়…..
—” আহা সামু কি করলি তুই এটা..”(তিন্নি)
তিন্নি কপাল ধরে নিচে বসে পরে … সামিরা তিন্নির কপালে রক্ত দেখে হুস ফেরে ,,, আগুনের মুখে ফারহার নাম শুনে সামিরার মাথায় আগুন ধরে যায় … রুমে এসে ভাঙচুর করে …
—” তিন্নি তুই ঠিক আছিস তো খুব লেগেছে ..?”(সামিরা)
—” আমি ঠিক আছি সামু ,,, তুই সান্ত হো…”(তিন্নি)
সামিরা তিন্নি কে বেডে বসিয়ে কপালের কাটা জায়গায় ফাস্টএইট করে দিয়ে …. ওর রুমে শুইয়ে দিয়ে আসে সামিরা…..
—” নাহ আমাকে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে হুট হাট করে রেগে গেলে চলবে না …. ফারহা তোকে আমি আগুনের কাছে ঠিকি ফিরিয়ে দেব কিন্তু তোর মৃত দেহ হা হা হা…”…..সামিরা একা একাই পাগলের মতো হাসতে হাসতে বলতে লাগলো…….
.
🍁
.
মেঘের সামনে হাটু গেরে বসে আছে দুজন গার্ড .. হাত জোড় করে মেঘের কাছে ক্ষমা চাইছে …..
—” বস আমাদের ক্ষমা করুন আমরা আর কোন দিন আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবো না শেষ বারের মতো ক্ষমা করে দিন..??”(গার্ড)
— ” ক্ষমা হা হা হা ক্ষমা নামের কোন ওয়ার্ড আমার ডিকশনারিতে নেই ,,আছে শুধু ডেথ মৃত্যু… ”
মেঘ হাত পাততে আসলাম একটা ধাড়ালো বড় একটা ছুড়ি মেঘের হাতে দিলো গার্ড দু-জন কিছু বলার আগে মেঘ এক পোচে দুজনের গলা ধর থেকে আলাদা করে দিলো… পুরো গার্ডেন রক্তে তলিয়ে গেল মেঘের হাত রক্ত লেগে যাওয়া জ্যাক পানি আর টাওয়াল নিয়ে এগিয়ে এলে মেঘ পানি দিয়ে হাত ধুইয়ে টাওয়েল দিয়ে হাত মুছে হাতে গান টা তুলে নিলো……
—” জ্যাক পুরো এরিয়ার সি সি ক্যামেরার ফুটেজ চেক কর ,, আর হা সন্ধেহ মনে হলে তখনি একশন নিবে..”(মেঘ)
—” ইয়েস কিং..”
—” বস ফাইভস্টার লিডার SK আপনাকে আর ম্যাম কে শেষ করার প্লান করছে…”(আসলাম)
আসলামের কথা শুনে মেঘ বাকা হেসে গার্ডেন থেকে চলে এসে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেল …………
.
.
.
#চলবে……………. 🍁🍁🍁”