#হিংস্র_ভালোবাসা🌹
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৩৭
.
🍂
.
মেঘের সামনে হাটু গেরে বসে আছে দুজন গার্ড .. হাত জোড় করে মেঘের কাছে ক্ষমা চাইছে …..
—” বস আমাদের ক্ষমা করুন আমরা আর কোন দিন আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবো না শেষ বারের মতো ক্ষমা করে দিন..??”(গার্ড)
— ” ক্ষমা হা হা হা ক্ষমা নামের কোন ওয়ার্ড আমার ডিকশনারিতে নেই ,,আছে শুধু ডেথ মৃত্যু… ”
মেঘ হাত পাততে আসলাম একটা ধাড়ালো বড় একটা ছুড়ি মেঘের হাতে দিলো গার্ড দু-জন কিছু বলার আগে মেঘ এক পোচে দুজনের গলা ধর থেকে আলাদা করে দিলো… পুরো গার্ডেন রক্তে তলিয়ে গেল মেঘের হাত রক্ত লেগে যাওয়া জ্যাক পানি আর টাওয়াল নিয়ে এগিয়ে এলে মেঘ পানি দিয়ে হাত ধুইয়ে টাওয়েল দিয়ে হাত মুছে হাতে গান টা তুলে নিলো……
—” জ্যাক পুরো এরিয়ার সি সি ক্যামেরার ফুটেজ চেক কর ,, আর হা সন্ধেহ মনে হলে তখনি একশন নিবে..”(মেঘ)
—” ইয়েস কিং..”
—” বস ফাইভস্টার লিডার SK আপনাকে আর ম্যাম কে শেষ করার প্লান করছে…”(আসলাম)
আসলামের কথা শুনে মেঘ বাকা হেসে গার্ডেন থেকে চলে এসে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেল …………
.
.
🍂
.
.
—” মোহনা আমাদের এখানে আর এক মুহূর্তের জন্য থাকা যাবে না … এখুনি তোর যা যা আছে নিয়ে চল আমার সাথে….”(ফাহিম)
—” মানে কি বলছিস ভাই কোথায় যাবো আর কি হয়েছে..??”( মোহনা)
—” আমার সব প্লান ধরে ফেলেছে মেঘ ও যখন তখন এখানে এসে পরতে পারে তুই আর কোন প্রশ্ন করিস না ,,,প্লিজ চল আমার সাথে…”(ফাহিম)
মোহনা আর কথা না বাড়িয়ে ফাহিমের সাথে বেরিয়ে গেল…..
—” মোহনা সরি বোন তোকে মিথ্যে বলার জন্য কিন্তু এ ছাড়া আমার আর কোন ওয়ে ছিল না … আমার একমাত্র ছেলে কে এভাবে মরতে দিতে পারি না …ক্ষমা করিস আমায়…”মনে মনে বললো ফাহিম…
.
.
.
.
—” ইভা আপু তুমি প্লিজ কান্না অফ কর আর আমার কথা মন দিয়ে শোন ..”(আদিল)
—” কি বলবি রে তুই পিচ্চি … “(কান্না করতে করতে বললো ইভা)
—” আহা ইভু আদিল কি বলতে চায় তা তো একবার শুনবি ..কান্না অফ কর তোর এই ফ্যাচফ্যাচ কান্না শুনতে শুনতে মাথা ধরে গেল আমার রাইট আদিল..”(আফিফ)
—” হাউ রুড ,, আফিফ তুই কি মানুষ বলতো ?? ফারু কে হসপিটাল থেকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না নিখোজ ও আর এদিকে তিন্নি আর আগুন স্যার কে কারা কিডন্যাপ করে নিয়ে গেল … ওরা কেমন আছে তাও আমরা কেউ জানি না আর তুই কি না বলছিস …”(ইভা)
—” আপু শান্ত হও আফিফ ভাইয়া কথাটা ঠিক ওভাবে বলতে চাই নি … আর পরে রইল ওই বাজে স্যার আর তিন্নি আপুর কথা ওদের জিজু ঠিক খুজে বার করবে আর আমার আপা কে ও জিজু খুজে বের করবে …তুমি চিন্তা কর না “(আদিল)
—” হুম ” (কান্না থামিয়ে)
—” আপু এখন প্লিজ মুখ ধুয়ে আসো কেদে কেটে মুখের কি হাল করেছো তা কি তুমি আয়নায় দেখেছো..??”(আদিল)
—“পুরাই রাক্ষুশি লাগছে দেখতে…”(আফিফ)
আফিফের কথা শুনে ইভা রেগে গিয়ে আফিফের গলা চেপে আদিল কোন ভাবে ইভা কে শান্ত করে ওয়াশরুমে পাঠিয়ে দেয় ইভা কে….
—” থ্যাংক্স আদিল ইভার হাত থেকে বাচানোর জন্য…”(আফিফ)
আফিফের থ্যাংক্সের প্রতিউওরে শুধু মুচকি হাসলো আদিল …
.
.
.
মেঘ গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর কিছু লোক হঠাৎ করে মেঘ কে এট্যাক করে ….. আচমকা এমন আক্রমনের জন্য মেঘ প্রস্তত ছিলো না কিন্তু গাড়ি তে থাকা অবস্তায় মেঘ অজানা শত্রুদের পাল্লা শুট করে … মেঘের গাড়ি বুলেট ফ্রুফ হওয়ায় মেঘের কোন ক্ষতি করতে পারলো না উল্টো মেঘ ওদের অবস্তা নাজেহাল করে ছাড়লো ,,, শত্রুদের অনেক লোককে মেঘ শুট করে মেরে ফেলে … বাকিরা ভয় পেয়ে ব্যাক করে চলে যেতে নেয় মেঘ ওদের যাওয়ার সুযোগ না দিয়ে ,,,গাড়ির ট্যায়ারের শুট করে ট্যায়ার পান্চার করে দিয়ে তেলে ট্যাংকে দুবার শুট করতে গাড়িটা ব্লাস্ট করে ….. মেঘ হাতের আঙ্গুলে গান ঘুড়াতে ঘুড়াতে গাড়ি ড্রাইব করে ফারহার পুরনো বাড়িতে আসে যেখানে ফারহা আদিল মোহনা আশিকুর থাকতো……. মেঘ পুরো বাড়ি সার্স করে মেঘ কিছু প্রোপার্টির পেপারস পায় যেটা ফারহার বাবা ফারুক খান ফারহার নামে করে গিয়েছিল…..মেঘ পেপারস গুলো সাবধানে নিয়ে গাড়ি নিয়ে ব্যাক করে ফিরে আসতে নিলে মেঘের ফোনে একটা একটা আননোন নাম্বার থেকে কল কন্টিনিউয়াসলি আসতে লাগলো মেঘ বিরক্ত হয়ে পেপারস গুলো হাতে নিয়ে কল টা রিসিব করে কিন্তু ফোনের ওপাশ থেকে কিছু শুনতে না পেয়ে মেঘ গাড়ি থেকে বের হয়ে কিছু টা দুরে গিয়ে হ্যালো হ্যালো বলতে থাকে ঠিক সেই সময় মেঘের গাড়িটা ব্লাস্ট করে … মেঘ পিছুনে ফিরে দেখে ওর গাড়িটাকে আগুলের অগ্নি শিখায় গুলো জ্বালিয়ে দিচ্ছে…… মেঘের বুজতে আর বাকি রইল না মেঘ কে তার অজান্তেই তার শত্রুরা ফলো করছে আর তারাই ওর গাড়িতে বোম ফিট করেছে…. মেঘ আসলাম কে কল করে লোকেশন পাঠিয়ে দেয় গাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য…. আসলাম কাউ কে কিছু না বলে গাড়ি নিজে চেক করে মেঘের দেওয়া লোকেশন ট্রেস করে চলে যায়…….
দেখতে দেখতে দু-মাস কেটে যায় মেঘ কোন ভাবে ফারহার কোন ট্রেস করতে পারে নি… না পেরেছে আশিকুর ফাহাদ কে ট্রেস করতে … এই দু মাসে মেঘের উপর অনেকবার এট্যাক করা হয় কিন্তু প্রতিবারি মেঘের সাথে যদ্ধে শত্রুদের পরাজিত হতে হয় …. ইদানিং মেঘ আগের থেকে আরো হিংস্র আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলো…. মেঘের লোকজন মেঘের সামনে দারাতে ভয়ে হাত পা কাঁপে … আদিল ইভা আফিফ মেঘের বাড়িতে থাকে ,,, হাসান রাব্বি এখন অনেকটা সুস্থ তাদের কেও বাড়ি না যেতে দিয়ে মেঘ ওর কাছে নিয়ে এসেছে……
—” কিং আপনার কথা মতো সেভেনস্টার গ্রপের সব লোকদের শেষ করে দিয়েছি ….”(জ্যাক)
—” বস ফাইভস্টার গ্রপের কাউকে ট্রেস করা যাই নি তাদের কোন খোজ পাওয়া যাচ্ছে না…”(আসলাম)
—” আর কতো দিন লুকিয়ে থাকবে SK আমার সামনে তো আসতেই হবে ,,,, আর সেই দিন হবে ওর শেষ দিন…”(রাগি গলায় বললো মেঘ)
—” কিং মিস্টার জাফরের সাথে আজ আপনার একটা মিটিং আছে একশ কোটি টাকার ডিলের…”(জ্যাক)
—” ওকে ,,আসলাম নিচে আদিল ,,,ইভা,আফিফ,হাসান রাব্বি কে আমি পাঁচ মিনিটের ভিতর দেখতে চাই…”(মেঘ)
—” ইয়েস বস..”(আসলাম)
.
.
.
—” না না না এটা কি করে হয় আমার সব কোম্পানির 70% শেয়ার চৌধুরী ইনড্রাস্ট্রিজের কি করে হয় ??…. সূর্য খবর নে কে এই কোম্পানীর ওনার্র .. তারপর আমি দেখছি….”(সামিরা)
—” ইয়েস বস ,,,বিকেলের মধ্যে সব ডিটেইলস আপনার হাতে থাকবে…..”(সূর্য)
সূর্য কিছু ফাইল হাতে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে তিন্নি রুমে ঢুকে…..
—“কিছু বলবি তিন্নি..??”(সামিরা)
—” আর কতোদিন সামু আমাকে এখানে বন্দি থাকতে হবে..??”(তিন্নি)
—” তাহলে তুই কি চাস আগুনের যে অবস্তা করেছি তোর ও সেম অবস্তা করি..??”(সামিরা)
—” সামু ,,আমি আমার মা বাবার কাছে ফিরে যেতে চাই প্লিজ আমাকে যেতে দে…?”(তিন্নি)
—” লিসেন তিন্নি যতো দিন না আমার উদ্দেশ্য পুরন হচ্ছে ততোদিন তোকে এখানে থাকতে হবে…. আর তোকে বাইরে ছেড়ে দিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনতে পারি না….”(সামিরা)
—” বাহ সামিরা খান্না বাহ তুই সত্যি তোর বাবার যোগ্য মেয়ে তা তুই আজ ও আবার প্রমান করে দিলে… যাই হোক স্যার কে আর কতো দিন এভাবে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পারিয়ে রাখবি ..?? ওনাকে কেন তুই সুস্থ জীবন যাপন করতে দিচ্ছিস না ..?? এবার তো মানুষ টাকে রেহাই দে সামু..?”(তিন্নি)
—” হা হা হা আগুন কে আমি এতো সহজে ছেড়ে দিবো তা তুই ভাবলি কি করে তিন্নি ..??? আমি আমার চাচা কে ছাড়িনি সেখানে আগুন তো বাইরের লোক ওকে ছাড়ি কি করে ..??”(সামিরা)
—” তাহলে তুই ছাড়বি না??”(কড়া গলায় বললো তিন্নি)
—” নাহ একদম না ,,, তিন্নি এখন এখান থেকে দুর হো নয় তো আমার মাথা গরম হয়ে গেলে কিন্তু …”
তিন্নি আর কিছু না বলে সামিরার সামনে থেকে চলে গেল…. সামিরার ফোনটা বেজে উঠলে সামিরা কল রিসিব করে ….
—” হ্যালো বস কারেন্ট নিউজ আছে..”(সূর্য)
—” ভনিতা রেখে নিউজটা বল ..”(সামিরা)
—” বস আজ বিকেলে কিং শহর থেকে কিছুটা দুরে একটা সাইডে মিটিং করতে যাচ্ছে আর সিকিউরিটি কম …”(সূর্য)
—” গ্রেট এই সুযোগ কি করে হাত ছাড়া করি ,,, সবাই কে আরম্স নিয়ে রেডি থাকতে বল বিকেলে মিশনে বের হবো…”(সামিরা)
—” ওকে বস”
কল কেটে সামিরা নিজে নিজে বলতে লাগলো …. আজ তোর শেষ দিন কিং ফারহাকে যে ভাবে খুন করেছি ঠিক সেই ভাবে তোকেও খুন করবো আমি তারপর আন্ডারওয়ার্ল্ডের কিং কুইন সব আমি হবো আমি হা হা হা…….
.
.
.
.
মেঘের সামনে আদিল ইভা আফিফ রাব্বি হাসান দারিয়ে আছে …. মেঘের গম্ভির মুখ দেখে ইভা আফিফ আদিল কিছু বলার সাহস পেল না ইদানিং মেঘ কে একটু বেশি ভয় লাগে ওদের তাই আর সাহস করে আগ বাড়িয়ে কিছু বলার চেষ্টা না করে চুপ করে দারিয়ে আছে …. মেঘ কিছুক্ষন চুপ থেকে বলতে লাগলো ……
—” তোমাদের কে কিছু কথা বলার জন্য এখানে আসতে বলা হয়েছে ,,আশা করি তা তোমরা বুজতে পেরেছো..??”(মেঘ)
—” হ্যা জিজু “(ইভা)
—” আদিল কে বাদ দিয়ে তোমাদের সবাই কে নিজেদের বাড়িতে আজ পৌছে দেওয়া হবে… ফিরে যাবে নিজেদের বাড়িতে..”(মেঘ)
—” বাট জিজু ….”বাকিটা বলতে না দিয়ে মেঘ বলে উঠলো ….
—” নো মোর ওয়ার্ডস ,,, যা বললাম তাই করবে তোমরা … জ্যাক সবাইকে পৌছে দিয়ে আসবে ..ওকে”
মেঘের মুখের উপর কথা বলার সাহস ইভা বার অন্য কারোর নেই বিধায় মাথা নেরে সম্মতি দিল…..মেঘ আর এক মুহূর্তের জন্য দারিয়ে চোখে সানগ্লাস পরে বেরিয়ে গেল গাড়ি নিয়ে…..মেঘ গাড়ি নিয়ে বের হবার পর পর সামিরার কানে পৌছে গেল খবর টা সামিরা তার লোক জন নিয়ে বেরিয়ে পরলো মেঘ কে শেষ করার টার্গেট নিয়ে… ……
.
.
.
#চলবে……………… 🍁🍁🍁