হিংস্র_ভালোবাসা🌹 #Season_2 #Writter_Farhana_Chobi #পর্ব-৪০

0
650

#হিংস্র_ভালোবাসা🌹
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৪০
.
🍂
.

—” জ্যাক ভাইয়া গাড়ির চাবি টা দিন আমি বের হবো…”(ফারহা)

—” বাট ম্যাম কিংয়ের এই অবস্তায় ফেলে আপনি কোথায় যাবেন..??”(জ্যাক)

—” দ্যাট’স নান অফ ইউর লুক আউট …ক্লিয়ার… নাও চাবি টা দিন..??”(দাঁতে দাঁত চেপে বললো ফারহা)

আদিল অবাক তার বোনের এমন রুপে কথা বলতে দেখে আর জ্যাক অবাক ফারহার এমন কাট কাট কথা শুনে…জ্যাক পকেট থেকে মেঘের গাড়ির চাবিটা ফারহার দিকে এগিয়ে দিতে ফারহা ছো মেরে চাবি টা নিয়ে বেরিয়ে গেল……… আদিল করিডরে দারিয়ে ফারহার চলে যাওয়া দেখছে…

—” আদিল সি ইজ রিয়েলি ইউর সিস্টার..??”( অবাক হয়ে জানতে চাইলো জ্যাক)

—” ইয়েস ব্রো সি ইজ মাই অনলি অন সিস্টার ..”(মুচকি হেসে বললো আদিল)

—” ওয়েল ,,তাহলে কিং আর আসলাম কে দেখে আসি চলো..”(জ্যাক)

—” শিওর ..চলুন…”
.
.
.
ফারহা রাগের মাথায় ফুল স্পিডে গাড়ি চালিয়ে অবশেষে গন্তব্য পৌছালো….. ফারহা গাড়ি সাইড করে গাড়ি থেকে বর হবার আগে একজন সুটবুট পরা গার্ড এসে ফারহার গাড়ির ডোর খুলে দিল ফারহা চোখে সানগ্লাস পরে বার হয়ে গার্ড কে জ্বিগাসা করে….

—” হয়ার ইজ সি..??”(ফারহা)

—” ইনসাইড ম্যাম..”(গার্ড)

ফারহা আর কথা না বলে গট গট করে ভিতরে চলে গেল… ভিতরে ঢুকে ফারহা দেখতে পায় পুরো বাড়িতে যেন টর্নেডো বয়ে গেছে…এটা দেখেই ফারহার মাথায় যেন রক্ত ওঠে গেল .. পাশে হটিস্টিক পরে থাকতে দেখে ফারহা সানগ্লাস টা খুলে দুরে ছুরে ফেলে দিয়ে হটিস্টিক টা হাতে তুলে নিয়ে আর একটু হেটে লক করা একটা রুমের সামনে গিয়ে দারিয়ে লক টা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে…. ঘুট্‌ঘুটে অন্ধকারে ফারহা প্রবেশ করার সাথে সাথে বাইরের চেয়ারে বাধা দুটো লোক চোখ বন্ধ করে ফেললো … ফারহা ভিতরে ঢুকতে বোরকা পরা একটা মেয়ে রুমে ঢুকে লাইট টা অন করে দেয় ফারহা লোক দুটোর মুখের টেপ খুলে দিয়ে হাতে হটিস্টিক নিয়ে সামনে চেয়ার নিয়ে বসে পরে পায়ের উপর পা তুলে ….হঠাৎ লাইট অন হতে চেয়ারে বাধা লোক দুটো ফারহা কে দেখে ভয়ে মুখ থেকে কথা বের হচ্ছে না রুম পুরো সান্ত মনে হচ্ছে না কেউ আছে….

—” মিরা কি হয়েছে এবার বল আমাকে..?”(ফারহা)

—” আপু লোক দুটোকে খাবার দেওয়ার সময় গার্ডদের উপর হঠাৎ দুজে এট্যাক করে …গার্ডদের জখম করে পালিয়ে যেতে নিলে অন্য গার্ডরা ওদের আটকে ফেলে….”(মিরা)

—” রিয়েলি গাইস ,, আমার বন্দি হয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা মাইন্ড ব্লোইং ,,,”(দাঁতে দাঁত চেপে বললো ফারহা)

—” ফা,,,রহা মা আ,,,মি তোর বাবা তু,,ই আমার সাথে এটা করতে পারিস না…”(আশিকুর রহমান)

আশিকুরের কথা শুনে ফারহার শরীলের রক্ত যেন টকবক করে ফুটতে লাগলো … হটিস্টিক টা নিয়ে আশিকুরের মাথায় স্বজোড়ে বারি মারে ফারহা…. ফারহা দ্বিতীয় আঘাত করতে যাবে তখনি মিরা ফারহার হাত আটকে ফেলে……

—” নাহ আপু ছুচু মেরে হাত নষ্ট করো না আর এতো সহজে ওর মৃত্যু দিও না আপু এদের আরো ছটপট করতে দেও আরো কষ্ট দেও ..”(মিরা)

—” ইউ আর রাইট,,মিরা এদের কে এতো সহজে মরতে দিলে চলে না ,,,খেলাতো মাত্র শুরু হলো …এতো তারাতারি শেষ করে দিবো !! নাহ মিরা এখনো তো আমার ট্রাম কার্ড বের করলাম না আর না ফাইভস্টার গ্রপের লিডার SK আমার হাতে এসেছে…”(ফারহা)

মিরা দ্রুত গার্ডদের ডেকে আশিকুরের মাথায় ফাস্টএইট করে দেয় ,,,,,আশিকুর রহমান ফারহার আঘাতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে আর ফাহাদ চৌধুরী হ্যা করে ফারহা কে দেখছে….. ফারহা ফাহাদ চৌধুরীর দিকে একবার তাকিয়ে নজর সরিয়ে ফেলে কারন ফারহা ফাহাদের করা কাজের জন্য অন্য সাস্তি ব্যাবস্তা করেছে … মিরা ফারহা কে তখন ফোন করে আশিকুর আর ফাহাদের করা কাজের কথা বলে তা শুনেই ফারহা রেগে বেরিয়ে পরে ….

—” মিরা বাইরে একটা বরফ রাখা ড্রাম আছে ভিতরে নিয়ে আসার ব্যাবস্তা কর..”(ফারহা)

—” ওকে আপু…”

মিরা গার্ডস দের বলতে তারা ড্রামটা ভিতরে নিয়ে আসে….ফারহার নির্দেশ মতো ড্রাম থেকে বরফ কুচি অর্ধের ঢেলে দিয়ে ফাহাদ কে ড্রামের ভিতরে বসিয়ে দিয়ে বাকি অর্ধেক বরফ ফাহাদের গায়ে ঢেলে দেয় …ফাহাদ ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে সারা শরীল ফ্যাকাশে রুপ ধারন করেছে …. দীর্ঘ দুই ঘন্টা ধরে ফাহাদ বরফের ভিতর বসে আছে …. বরফ গলে পানি হতে ফারহা গার্ড কে ফাহাদ কে ড্রাম থেকে তুলতে বলে …..

—” কেমন ফিল করছেন মি. ফাহাদ চৌধুরী ..??”(ফারহা)

কাঁপা ঠোটে উওর দিলো ” আআ,,আমাকে ছেড়ে দেও প্লিজ আমি আর পারছি না…?”(ফাহাদ)

ফাহাদের কথা শুনে ফারহা চোখ মুখ শক্ত হয়ে গেল … ঠাটিয়ে এক থাপ্পোর মারলো ফাহাদের গালে…..

—” কুত্তার বাচ্চা তোকে আমি ছেড়ে দিবো এতো সহজে এটা তুই ভাবলি কি করে হ্যা ?? মনে করেছিস আমি আগের ফারহা আছি ?? নাহ আমার সব কিছু মনে পরে গেছে…. ছয় বছর আগের সেই ঝড়ের রাতের কথা সেই রাত যে রাতে আমাকে তোরা এতিম করেছিস ,,, আমার চোখের সামনে আমার মম কে ধর্ষন …বাকিটা বলতে গিয়েও থেমে যায় ফারহা … পাশে মিরা দারিয়ে আছে ফারহা কে শক্ত করে ধরে … আজ ফাহাদ কে কথা গুলো বলার সময় ফারহার চোখে মিরা জল দেখতে পেল না দেখতে পেল আগুন … ফারহা রাগে নিজের মাথার চুল টানতে লাগলো…. এক প্রকার অস্বাভাবিক আচরন শুরু করলো ফারহা….. মিরা বুজতে পারলো ফারহা যদি আর একমিনিট ও এখানে দারায় তো ফাহাদ চৌধুরীর আজ শেষ দিন ….মিরা ফারহার হাত টেনে ধরে বাইরে নিয়ে গেল…. ফারহা রুম থেকে বেরিয়ে সোফায় বসে পরলো … দাঁতে দাঁত চেপে কি যেন বিরবির করে বলতে লাগলো মিরা সব টা স্পষ্ট শুনে পেল না… তবুও যে টুকু বুজলো ফারহা কে তাকে শান্ত করতে হবে নয় তো ফারহার করা সব প্লান ফারহার রাগের জন্য নষ্ট হয়ে যাবে…. মিরা ফারহা কে বুঝানোর জন্য ফারহার পাশে বসে পরে…….
.
🍂
.
🍂
.
—” ওয়াট ,,তোমরা কাজিন আই মিন সামিরা খান্না তোমার বোন ??”(অবাক হয়ে জানতে চাইলো আগুন)

–” জ্বি স্যার”

—” সব টা ক্লিয়ার করে বলো তিন্নি.. আমি সব টা জানতে চাই..”(আগুন)

তিন্নি শুরু থেকে সবটা বলে আগুন কে ..পুরোটা শুনে আগুনের পুরো শরীল যেন রাগে জ্বলে যাচ্ছে …..

—” ছিঃ সামিরা এতোটা নিচ এতো হিংস্র যে নিজের চাচা কে পর্যন্ত ছাড় দিলো না .. এমন মেয়ে কে কেন যে আমি সাহায্য করতে গেলাম ,,,এখন তো ইচ্ছে করছে ওকে মেরে ফেলি….”(আগুন)

— ” নাহ স্যার এমন টা বলবেন না আপনি চাইলে ওকে ভালোবাসা দিয়ে ভালোর পথে ফিরিয়ে আনতে পারবেন..”(তিন্নি)

—” নো নেভার এই মেয়ে কারোর ভালোবাসার যোগ্য না ,,, আর একে আমি ভালোবাসবো কখনো না এই আগুনের বুকে একজনের নাম লেখা আছে সে হলো ফারহা…”(আগুন)

—” অন্যের স্ত্রীর নাম নিজের বুকে কেন লিখলেন স্যার???”(তিন্নি)

তিন্নির কথা শুনে আগুন যেন চমকে গেল…

—” কি বললে অন্যের স্ত্রী মানে??? “(আগুন)

—” হ্যা অন্যের স্ত্রী যাকে আপনি আপনার বুকে সব টা জুরে দিয়ে রেখেছেন সে ,,,,ফারহার বিয়ে হয়ে গেছে মেঘ জিজুর সাথে….”(তিন্নি)

তিন্নির কথা শুনে আগুনের মাথাটা যেন ঘুরে গেল বিছানায় ধুপ করে বসে পরলো…. তিন্নি আগুনের কষ্ট টা বুজতে পেরে আগুনের কাধে হাত রাখে …

—” কতোদিন হলো ওদের বিয়ের?? (আগুন)

—“দু মাস পাচঁ দিন…”(তিন্নি)

দুমাসের কথা শুনে আগুন চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে তিন্নি কে বললো…

—” দুমাস পাঁচ দিন তার মানে আমি দুমাস পাঁচ দিন ধরে এখানে বন্দি..??”(আগুন)

আগুনের কথার উওরে তিন্নি মাথা নারলো…”হ্যা”

—” ড্যাড আমার ড্যাড কোথায় তিন্নি..??”(আগুন)

তিন্নি এবার চুপ করে দারিয়ে রইল কারন আগুনের প্রশ্নের উওর টা তিন্নির জানা থাকলেও আগুন কে উওর টা কি করে দিবে এটা তিন্নি জানে না….

—” টেল মি হয়ার ইজ মাই ড্যাড ,,,তিন্নি আমার ধৈর্য্যের পরিক্ষা নিও না যাষ্ট স্পিক আয় ড্যাম ইট…”(দেয়ালে ঘুশি মেরে রেগে চিল্লিয়ে বললো আগুন)

আগুন কে এভাবে চিৎকার করতে দেখে তিন্নি ভয় পেয়ে যায় আর ভয় পেয়ে বলে ফেলে…

—” আঙ্কেল আর বেঁচে নেই ,,,, ওনাকে কোন ফাইভস্টার গ্রপ নাকি মেরে ফেলেছে …”(একদমে বলে থামলো তিন্নি)

তিন্নির কথা শুনে আগুন যেন কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে ,,, ও ভাবতে পারছে না ড্যাড আর বেচে নেই …. আগুনের দুচোখ যেন রক্ত জবার মতো লাল হয়ে গেল …. তিন্নির দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে আগুন বলে উঠলো … ” তিন্নি আমি মেঘ চৌধুরীর সাথে মিট করতে চাই আর তুমি আমাকে বাড়ি থেকে বের হবার জন্য সাহায্য করবে গট ইট……..ছাড়বো না আমি ফাইভস্টার দলের কাউকে ছাড়বো না সবাই কে শেষ করবো আমি “(আগুন)

—” ই,,য়েস স্যার…” আগুনের কথা গুলো তিন্নি শুনে ভয়ে কাপঁতে থাকে …তিন্নির বুজতে বাকি নেই যে তার কথার উপর ভিত্তি করে আগুন কারো বানানো পাতা ফাদে নিজ ইচ্ছায় পা দিচ্ছে…..
.
🍁
.
মাথা নিচু করে মেঘের সামনে দারিয়ে আছে আদিল জ্যাক… মেঘের একহাতে ছুড়ি আর ছড়ির মাথায় আপেল যেটা মেঘ কিছুক্ষন পর পর একটা একটা করে বাইট নিচ্ছে…..

—” জিজু আ,,আমি সত্যি বুজতে পারছি না আপু কোথায় যেতে পারে …”(আদিল)

—” সালাবাবু তুমি বাইরে যাও জ্যাকের সাথে আমার কিছু কথা আছে…”(মেঘ)

মেঘের কথার উপর আদিল আর কথা বলার সাহস পেল না … দ্রুত রুম থেকে কেবিন থেকে বেরিয়ে গেল……

—” ট্রাস্ট মি কিং গতকাল বিকেলের এই হঠাৎ আক্রমনের কথা আমি জানতাম না…”(জ্যাক)

—আপেলে একটা বাইট দিয়ে মেঘ বলে … “আমি তো এই কথা শোনার জন্য তোকে এখানে দারাতে বলি নি জ্যাক”..

—” প্রেয়শী কোথায়..??”(মেঘ)

—” কিং ম্যাম আপনার গাড়ির চাবি নিয়ে হঠাৎ কোথায় যেন বেরিয়ে গেল কাল … তারপর তিন ঘন্টা পর হসপিটালে এসে আপনার সাথে সারারাত কেবিনে ছিল কিন্তু কিছুক্ষন আগে আসলাম কে দেখে আপনার গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে গেল …”

—” ওয়াট ,, প্রেয়শী একা বেরিয়েছে…” কথাটা শুনে মেঘের চোখ মুখের রং পাল্টে গেল ..মেঘ হুট করে বেড থেকে উঠে দারিয়ে শার্ট টা পরে নেয় …

—” কিং আপনি কোথায় যাচ্ছে ডক্টর আপনাকে রেস্ট নিতে বলেছে..”(জ্যাক)

—” ডোন্ট টক রাবিস …ইউ নো দ্যাট প্রেয়শী আমার কি !! ওর যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে এবার আমি আর বাঁচবো না ,,,” মেঘ কেবিন থেকে বেরিয়ে বাইরে থেকে আসলাম কে এক নজর দেখে মেঘ অন্য গাড়ি নিয়ে বার হয়ে যায়…………
.
🍂
.
—” হ্যালো বস মেঘ চৌধুরী হসপিটাল থেকে একা বেরিয়েছে…??”

—” ওয়াও গ্রেইট নিউজ ,,,কোন গার্ড ছাড়া মেঘ একা বেরিয়েছে… কাজ টা তো আমার আরো সহজ হয়ে গেল .. মেঘ আর তার ডান হাত আসলাম কে খতম করার …” কথাটা বলে অট্টো হাসিতে ফেটে পরলো ফাহিম ……
.
.
.
.
#চলবে….. ………….🍂🍁🍂

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here