হিংস্র_ভালোবাসা🌹 #Season_2 #Writter_Farhana_Chobi #পর্ব-৪৩

0
710

#হিংস্র_ভালোবাসা🌹
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৪৩
.
🍂
.
—” ওকে তাহলে আমি আজ নেপাল ফিরে যাচ্ছি …”””

—” আমি তোর যাওয়ার সব ব্যাবস্তা করে দিচ্ছি আর শোন পৌছে আমাকে ফোন করবি ..””

—“”” ওকে আপু..রাখছি প্যাকিং করতে হবে…..””

ফারহা কলটা ডিসকানেক্ট করে বিছানায় বালিশের সাথে হেলান দিয়ে ফোনে অন্য নাম্বারে ডায়াল করে কল দিলো……….

—-“”” হ্যালো হ্যা তোকে একটা কাজ করতে হবে…আমি একটা এড্রেস সেন্ড করছি এমেডিয়েটলি তুই ওখানে পৌছে যা…”””(ফারহা)

—“”” ওকে “””

ফারহা কথা না বারিয়ে কল ডিসকানেক্ট করে ফোন টা পাশে ভাইব্রেট করে রাখে…. তখনি মেঘ খাবার নিয়ে রুমে প্রবেশ করে দেখে ফারহা আনমনে কি যেন ভেবে যাচ্ছে… মেঘ পেলেট টা সাইড টেবিলের উপর রেখে ফারহার গা ঘেষে বসে পরে … হঠাৎ করে গা ঘেষে বসে পরায় ফারহা চমকে ওঠে …..

—“”” তুমি কখন আসলে..??””

–“” যখন আমার বউটি তার গভীর চিন্তায় মগ্ন ছিলো তখন….”””(মেঘ)

–“”” মেঘ কি কিছু বুজে গেল?? নাহ তা তো হবার না ..যা করার আমাকে খুব তারাতারি করতে হবে….আর অপেক্ষা করা যাবে না তাহলে অনেক দেরি হয়ে যাবে……. “””(মনেমনে)

—“”” দেখলে তো আবার ভাবতে বসে গেলে আমার ভাবনার রানী ….হ্যা করো খাবার টা খেতে হবে তারপর মেডেসিন নিতে হবে তোমায়…”””(মেঘ)

—“””” হুম “””

মেঘ সযত্নে ফারহা কে পুরো খাবার টা খাবার খাইয়ে দিয়ে নিজেও খেয়ে নিলো …. মেঘ ফারহা কে মেডেসিন খাইয়ে দিয়ে ড্রেস চেন্জ করিয়ে দেয়….

—“” প্রেয়শী নাও নিড ইউ রেস্ট ,,, “””

—“”” হ্যা আমার রেস্ট নিবো সাথে তুমি ও তবে তোমার হাতের ড্রেসিং টা করে নি তারপর…””(ফারহা)

—“” আমার হাতের ড্রেসিং করার চেয়ে তোমার রেস্ট নেওয়ার বেশি প্রয়োজন..সো নো আর্গুমেন্ট…””(মেঘ)

ফারহা মেঘের কথা না শুনে ফাস্টএইট বক্স এনে ড্রেসিং করে দিলো …. ফারহা মেঘ কে জরিয়ে ধরে মেঘ ফারহার ঠোটে গালে চুমু তে ভরিয়ে দিতে লাগলো ধিরে ধিরে মেঘের ভালোবাসা গভীর থেকে আরো গভীরে চলে গেল যেখান থেকে ইচ্ছে হলে হলে মেঘ ফারহার কেউ ফিরে আসতে পারবে না ……..

____পরদিনের ভোর হলো,

সাদা পর্দার আড়ালে জানালার সরু পথ দিয়ে সূর্যাস্তের আলো ছুয়ে আসছে রুমে, আবছা আবছা চোখ খুললো ফারহা, স্নিগ্ধ হলদেটে সূর্যের কিরণটুকু চোখের উপর পড়তেই চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলে মিষ্টি একটি হাসি দিলো ফারহা!

এতো মধুর সকাল এর আগে কখনোই অনুভব করা হয়নি ফারহার, ভালোবাসাময় রাতের স্মৃতিটুকু ভেসে যাচ্ছিলো চোখের আমেষে, তবে অনেকটা বেশিই শান্তি লাগছিলো ফারহার স্মৃতিগুলো মনে করে করে ভেবে যেতে,ঘুমন্ত মেঘরাজকে দেখবে বলে চাদর ভেতর থেকে হাতটা উঠিয়ে পাশ মুড়ে তাকাতেই হঠাৎ চমকে গেলো ফারহা,
হাতে মাথা ভর করে রেখে, মুখে সেই পুরনো তেডি স্মাইল দিয়ে ড্যাবড্যাবিয়ে একধ্যানে তার দিকই তাকিয়ে আছে মেঘ, চোখ দুটোর চাহনিতে এখনো সেই নেশাচ্ছন্ন অবস্থা, সামনের খাড়া চুল গুলো কপালের উপরে এক ভাজ হয়ে নেমে আছে, বাহ! সকাল সকাল এই রাক্ষস বর টাকে দেখতে ফারহার বেশ দারুণই লাগছিলো, ইচ্ছে হচ্ছিলো এইভাবে যদি সে সারাজীবনই তাকিয়ে থাকতে পারতো, তবে তা কিভাবে সম্ভব সেটা তো তার দুষ্টু রাক্ষস বর বলে কথা,ফারহার চোখাচোখি হতেই ভ্রু দুটো নাচিয়ে চোখ টিপ মেরে বলে উঠলো……

—“” কি ভাবছিলে প্রেয়শী ..??”””(মেঘ)

—“”” কই কিছু না তো..”””(লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে বললো ফারহা)

—“”” ইসস বললে হলো আমি জানি আমার প্রেয়শী এখন কি ভাবছে … “”” ফারহার ঘাড়ে মুখ রেখে বললো মেঘ… মেঘের স্পর্শে ফারহা যেন কেঁপে উঠলো… মেঘের চুম্বুন যেন আরো গাড়ো হতে লাগলো… ফারহার নিশ্বাস ভারি হতে লাগলো ফারহা মেঘের টিশার্ট খামচে ধরে আছে… মেঘ ফারহার ঠোটের দিকে আগাতে লাগলো হঠাৎ তখনি মেঘের ফোন টা বেজে ওঠে মেঘ একরাশ বিরক্তি নিয়ে ফোন কলস টা রিসিব করে কানে ধরতে মেঘের রাগে কপালের রগ গুলো ফুলে উঠলে ….ফারহা মেঘের মুখের দিকে তাকিয়ে মেঘের মুভ মেন্ট বোঝার ব্যার্থ চেষ্টা করলো …

—“”” মেঘ কি হয়েছে তোমার চোখ মুখ এরকম লাগছে কেন..???””(ফারহা)

—“”” প্রেয়শী আমাকে এখন একটু বাইরে যেতে হবে তুমি প্লিজ নাস্তা করে মেডেসিন গুলো খেয়ে নিও….”””(মেঘ চিন্তিত স্বরে বললো)

—“” ওকে বাট তুমি কোথায় যাবে ..??””(ফারহা)

ফারহার কথার উওর না দিয়ে ..মেঘ লং ব্লাক জেকেট গায় জরিয়ে নিয়ে দুটো গান কমরে আর জুতো ছোট ছুড়ি গুজে নিলো …ফারহা শুধু দেখে যাচ্ছে মেঘ কে ফারহার বুজতে বাকি নেই মেঘ কোন মিশনে বার হচ্ছে … .. ফারহা ওভাবেই বিছানায় বসে রইল মেঘ রেডি হয়ে ফারহার ঠোটে গভীর ভাবে চুমু দিলো…..

—“”” সাবধানে থাকবে আর মার জুনিয়রের দিকে খেয়াল রাখবে প্রেয়শী….”””(ফারহার কপালের সাথে কপাল রেখে বললো মেঘ)

—“” হুম তুমি সাবধানে ফিরে এসো তোমার প্রেয়শী আর জুনিয়র তোমার জন্য অপেক্ষা করবে…”””(ফারহা)

—“” ইনশাআল্লাহ ,,,আসি ,,আল্লাহ হাফেজ ….”””

—“” আল্লাহ হাফেজ “””

মেঘ ফারহার জন্য কড়া সিকিউরিটি ব্যাবস্তা করে মেঘ একাই বেরিয়ে গেল…. ফারহা ওয়াসরুমে গিয়ে হট শাওয়ার নিয়ে চেন্জ করে একে বারে রেডি হয়ে বেরিয়ে এসে নাস্তা করে মেডেসিন নিলো….. মেঘের কথা মতো সব টা করে বাড়ি থেকে বার হতে নিলে গার্ড আটকে দেয় গতকালের মতো ফারহা কে ফারহা বাড়ির বাইরে তাকিয়ে দেখে গতকালের থেকে তিন গুন বেশি গার্ড বাইরে রাখা হয়েছে….ফারহা আর বাইরে বের হবার ট্রাই করলো না জানে কোন লাভ হবে না…. ফারহা নিজের রুমে চলে গেল …..

—“”” নাহ যা করার এখন এ বাড়িতে বসে আমাকে করতে হবে….কিন্তু মিরা কি পৌছালো নেপালে..?? কোন ফোন কলস তো করলো না!!! কোন বিপদ হলো না তো..??”””(ফারহা)

ফারহা মিরার খবর নেয়ার জন্য মিরার নাম্বারে ডায়াল করে দুবার রিং হতে মিরা কল রিসিব করে……

—“” হ্যালো সরি আপু তোমাকে এখন ফোন করতে যাচ্ছিলাম কিন্তু তার আগে তুমি কল করলে …””(মিরা)

—“” হয়েছে তোর এখন বল যেতে কোন প্রব্লেম হয়নি তো..??””(ফারহা)

—“” একদম না আর আমি এখন আবার বিডি তে ব্যাক করছি ভাইয়ের পাঠানো লোকদের সাথে…””(মিরা)

—” গ্রেট নিউজ দেশে ফিরলে তোর জন্য একটা গুড নিউজ আছে…””(ফারহা)

—“”” কি গুড নিউজ আপু?? এখুনি বলো..??”

—“”” একদম না ফিরলে বলবো তার আগে না..””

—“”” ওকে তাহলে ফিরে কথা হচ্ছে”””

—“” একদম””

–“”বাই”

—“” বাই বাই””
.
.
🍂
.
.
—“” সবাই রেডি তো ?? আর্মস গুলো ঠিক ঠাক নিয়েছিস তো…??””(ফাহিম)

—“”” ভাই সব রেডি কিন্তু ফাহাদ ভাই আর আশিককে তোরা উদ্ধার করতে পারবি তো..???”””(মোহনা)

—“”” পারতে তো আমাকে হবে দুমাস আগে তোকে নিয়ে পালিয়ে পালিয়ে রয়েছি মেঘের ভয়ে ওর লোক আমাদের উপর অলয়েজ নজর রাখছে ,,,আমাদের প্রতিটা স্টেপ ওর নখদর্পণে …”””(ফাহিম)

—“”” তাহলে আজ যে তুমি আবার ওর উপর এট্যাক করতে যাচ্ছো এটা কি মেঘ জানে না ভেবেছো ..দেখো যেয়ে তোমাদের ওয়েলকাম করার জন্য কি কি ব্যাবস্তা করে রেখেছে…..”””(মোহনা)

—“” তার আগে ফারহার প্রোপার্টির পেপারস গুলো পেতে হবে আমাকে তারপর এদেশ ছেড়ে অন্য কোন দেশে চলে যাবো….”””(ফাহিম)

—“” ওয়াট তুই শুধু নিজের টাই চিন্তা করছিস ??আর তুই ভাবলি কি করে সব প্রপার্টি আমি তোর হতে দিবো ??? এই নিজের হাতে নিজের সৎভাই ভাবির রক্ত লেগে আছে কি শুধু তোকে একা সব সম্পত্তি ভোগ করতে দিবো বলে…???”(রেগে বললো মোহনা)

মোহনার কথা শুনে ফাহিম বেশ ঘাবড়ে গেল ,,,ফাহিম বুজতে পারছে এখন মোহনা কে চটানো মানে নিজের ক্ষতি করা তাই ফাহিম মোহনা কে শান্ত করার জন্য বলে ….

—“”” আরেহ বনু রাগছিস কেন ?? আমি কি শুধু আমার কথাই বলেছি আমিতো তোর আশিক ফাহাদের কথাও বলছি …সম্পত্তি তিন ভাগ হবে তোর আর আশিকের এক ভাগ আমার এক ভাগ আর ফাহাদ ভাইয়ের এক ভাগ …”””(ফাহিম)

—“” কথা টা যেন মনে থাকে …আর একটা কথা প্রোপার্টির পেপারস ককোনটাই আমার হাতে নেই সব আমাদের বাড়িতে ছিল যা এখন মেঘের হাতে….””(মোহনা)

—-” ওয়াট… তাহলে এখন কি হবে..??”

—” চিন্তার কিছু নেই ,,লন্ডনে যে লইয়ার কে দিয়ে ফারুক খান পেপারস বানিয়েছিল তার কাছে নিশ্চয় এটার আরো একটা কপি থাকবে..???”(মোহনা)

—“”” হ্যা রাইট বাট লইয়ারের নাম বা এড্রেস তো জানি না..!!””(ফাহিম)

—“”” খোজ নেও ভাই তাহলে নিশ্চয় পেয়ে যাবে …””(মোহনা)

—“” তুই যখন বলছিস তখন নিশ্চয় আমি খোজ নিবো …তবে এখন আমাকে বের হতে হবে …”””

ফাহিম তার দলবল নিয়ে বেরিয়ে পরে মেঘ কে শেষ করার উদ্দ্যশ্যে……. অন্য দিকে মেঘ একাই ফাইভস্টার গ্রপের সাথে লড়ে যাচ্ছে … মেঘ সকালেই খবর পেয়ে যায় SK ফাইভস্টার গ্রপ ওর বাড়িতে হামলা করবে … তাই মেঘ প্লান করে মাঝ পথে SK গ্রপের উপর হামলা চালায় হঠাৎ করে আচমকা প্লান ফ্লপ হওয়াতে সামিরা বেশ ক্ষেপে যায় …. সামিরা গাড়িতে বসে মেঘ কে শুট করতে থাকে কিন্তু একটা গুলিও মেঘ কে স্পর্শ করতে পারে নি উলটো সামিরার লোকদের গায় গুলি লাগলো…সামিরা হঠাৎ আতঙ্কিত হয়ে গাড়ি নিয়ে ব্যাক করলো…SK কে ব্যাক করতে দেখে সামিরার বাকি দলবল ফিরে গেল ,,,, মেঘের সাথে SK লরাইটা দুর থেকে ফাহিম আর তার দলবল পুরোটা আড়ালে দারিয়ে দেখে ফাহিম এক শয়তানির হাসি দিয়ে মেঘ কে এট্যাক না করে গাড়ি নিয়ে ফিরে গেল…….
.
.
.
.
#চলবে…………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here