#হিংস্র_ভালোবাসা🌹
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৪৪
.
🍂
.
ফাহিম তার দলবল নিয়ে বেরিয়ে পরে মেঘ কে শেষ করার উদ্দ্যশ্যে……. অন্য দিকে মেঘ একাই ফাইভস্টার গ্রপের সাথে লড়ে যাচ্ছে … মেঘ সকালেই খবর পেয়ে যায় SK ফাইভস্টার গ্রপ ওর বাড়িতে হামলা করবে … তাই মেঘ প্লান করে মাঝ পথে SK গ্রপের উপর হামলা চালায় হঠাৎ করে আচমকা প্লান ফ্লপ হওয়াতে সামিরা বেশ ক্ষেপে যায় …. সামিরা গাড়িতে বসে মেঘ কে শুট করতে থাকে কিন্তু একটা গুলিও মেঘ কে স্পর্শ করতে পারে নি উলটো সামিরার লোকদের গায় গুলি লাগলো…সামিরা হঠাৎ আতঙ্কিত হয়ে গাড়ি নিয়ে ব্যাক করলো…SK কে ব্যাক করতে দেখে সামিরার বাকি দলবল ফিরে গেল ,,,, মেঘের সাথে SK লরাইটা দুর থেকে ফাহিম আর তার দলবল পুরোটা আড়ালে দারিয়ে দেখে ফাহিম এক শয়তানির হাসি দিয়ে মেঘ কে এট্যাক না করে গাড়ি নিয়ে ফিরে গেল…….
—“” হাউ ইজ ইট পসিবেল আমার নিশানা কি করে ভুল হয় …”””(সামিরা)
—“” বস মে বি আপনার চোখে কোন প্রব্লেম হলো না তো..??”””(সূর্য)
—“”” যাস্ট স্যাটআপ সূর্য মূর্খের মতো কথা বলো না….”””(রেগে বললো সামিরা)
—“” সরি বস “””(মাথা নিচু করে)
—“”” আগুন কোথায় সূর্য???””(সামিরা)
—“”” ওনাকে রুমে আটকে রাখা হয়েছে..”””
—“” ওকে আমি দেখছি তুই এখন যেতে পারিস…”””
—“”” ওকে বস..”””
সামিরা আগুনের রুমের লক খুলে ভিতরে ঢুকে আগুন কে দেখতে না পেয়ে পাগলের মতো পুরো বাড়ি খুজতে থাকে কিন্তু আগুন কে কোথাও খুজে পায় না সামিরা …. আগুনের রুমে বসে ফস ফস করতে করতে সূর্য কে একঝাড় দিয়ে আগুন কে খুজতে বার হতে নিলে সূর্য জানায় তিন্নি কে ও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না….. সামিরার বুজতে বাকি নেই তিন্নি আগুন কে পালাতে সাহায্য করেছে …. সামিরা রেগে গান নিয়ে বেরিয়ে পরে আগুন আর তিন্নি কে খুজতে……
.
🍂
🍂
🍂
.
মেঘ বাড়িতে ঢুকতে দেখে পুরো বাড়ি ডেকোরেট করা … অসম্ভব করে গার্ডেন থেকে শুরু করে পুরো বাড়ি সাজানো হয়েছে…. মেঘ অবাক হয়ে ভিতরে ঢুকে দেখে হাসান রাব্বি আফিফ ইভা আদিল পুরো দমে কাজ করে যাচ্ছে …. মেঘের দু -চোখ শুধু ফারহা কে খুজছে… এরি মধ্যে ইভা মেঘের হাত ধরে রুমে নিয়ে আসে…..
—“”” নো মোর ক্রোচেন জিজু ,,,বেডের উপর ড্রেস রাখা আছে আপনি দ্রুত ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে নিন… বাইরে আপনার জন্য আপনার প্রেয়শী অপেক্ষা করছে…””””
—“” আরে শালীকা কি হচ্ছে টা কি আগে তো বলবে..??”””
—“”” নোপ জিজু সব জানতে পারবেন রেডি হয়ে বাইরে আসলে…”””
—“”” একটু তো বল শুনি..”””
—“”” সারপ্রাইজ জিজু বলে দিলে আর সারপ্রাইজ থাকবে না ,,,সাথে আপনার বউ আমাকে পেদিয়ে বিন্দাবন দেখিয়ে দিবে ,,,বাবা আমি সেই রিক্স নিবো না….আসি..”””
—“” আরে শালীকা বলে তো যাও…চলে গেল … উফফ প্রেয়শীর মাথার পোকা গুলো যে কি করতে চাইছে বুজতে পারছি না …. যাই রেডি হয়ে আসি ….”””
মেঘ বেডের উপর ব্লু কালার কোট প্যান্ট আর ওয়াইট কালার শার্ট দেখতে পেল…. মেঘ মুচকি হেসে ফ্রেস হয়ে চেন্জ করে নিলো……মেঘ রেডি হয়ে বাইরে বেরিয়ে দেখে পুরো বাড়ি অন্ধকার হয়ে আছে … প্রেয়শী বলে ডেকে উঠলে কেউ পিছুন থেকে মেঘের চোখ বেধে ফেলে … হাতের স্পর্শ পেয়ে মেঘের বুজতে বাকি রইল না এটা কার হাত … ফারহা মেঘ কে ধরে সামনে এগিয়ে গেল ,,,হুট করে ফারহা মেঘের হাত ছেড়ে দিতে মেঘ চোখের বাধন খুলে ফেলতে সবাই মিলে মেঘ কে Happy Birthday জিজু বলে
—“” Happy Birthday Maghraj..””( ফারহা)
মেঘ ফারহার দিকে এগোতে যাবে ঠিক তখনি ……. হঠাৎ করে পিছুন থেকে কেউ একজন মেঘের চোখ চেপে ধরে … মেঘ ফিল করতে পারছে এটা তার প্রেয়শীর হাত নয় ,,,, মেঘ কিছুক্ষন ভেবে অস্পষ্ট স্বরে বলে উঠলো ………
–“”” মিহু””””
মিহু মেঘের চোখ ছেড়ে দিয়ে সামনে দারায়…..মেঘ নিজের আদরের ছোট বোন মিহু কে দেখে বুকে ঝাপটে ধরে …. কতো বছর পর তার কলিজার টুকরা বোন কে দেখলো ….. খুশিতে মেঘের দু-চোখ চকচক করছে…. মেঘের থেকে কিছু টা দুরে দারিয়ে ফারহা … ভাই বোনের এমন ভালোবাসা মাখা কান্না দেখে ফারহার যেন খুব ভালো লাগছে …. ফারহা মেঘ কে দেখছে…..ব্লু কালার কোট প্যান্ট ভিতরে ওয়াইট শার্ট ,,, বাতাসে এলোমেলো হয়ে চুল গুলো কপাল ছেয়ে আছে ,,, হাতে ব্রান্ডের রিচওয়াচ পায়ে শু… সব চেকে বড় কথা মেয়েদের মতো ঘন চোখের পাপড়ি চোখের পানিতে ভিজে আছে ,,, মেঘের চোখ দুটো অসম্ভব সুন্দর লাগছে …. কান্নার জন্য মেঘের নাক টা লাল হয়ে আছে ,,,,ঠোট কামড়ে কান্না আটকানোর ব্যার্থ চেষ্টা করতে ব্যাস্ত মেঘ …. ফারহার ইচ্ছে করছে এখুনি দৌড়ে গিয়ে মেঘের নাক টা কামড়ে দিতে কিন্তু অদম্য ইচ্ছে টাকে দমিয়ে রেখে মেঘের আড়ালে বেরিয়ে গেল ফারহা……
—“” বনু কেমন আছিস তুই ??””(মেঘ)
—“” তোকে ছাড়া আমি কেমন থাকতে পারি ভাইয়া বলতো?? ..””(মিহু)
—“”” সরি রে মিহু তোকে তোর সেইফটির জন্য তোকে নিজের থেকে এতো বছর আলাদা রেখেছি ..”””(মেঘ)
—“”” তো বল তোর বার্থডে তে সারপ্রাইজ টা কেমন লাগলো…”””(মিহু)
—“”” আমার বার্থডে তে এটা বেস্ট সারপ্রাইজ ছিল বনু..”””
এতোক্ষন ইভা আফিফ আদিল হাসান রাব্বি দারিয়ে মেঘ মিহুর কথা শুনছিলো…. আদিলের হুট কে আসে পাশে তাকিয়ে ফারহা কে খুজতে লাগলো কিন্তু কোথাও না পেয়ে মেঘ কে বলতে যাবে তখনি মেঘের ফোন টা বেজে উঠলো ….মেঘ ফোন বের করে দেখে ফারহার নাম্বার থেকে একটা মেসেজ এসেছে ,,,, আসে পাশে ফারহা কে না দেখতে পেয়ে মেঘ মেসেজ টা অপেন করে …..
—“”” মেঘ নিচের এড্রেসে দ্রুত চলে আসো তোমার জন্য আর একটা সারপ্রাইজ আছে ৷ তবে হ্যা একা আসবে সাথে মিহু বা অন্য কাউকে নিয়ে আসবে না….”””(ফারহা)
মেঘ সবার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখে সবাই মুখ টিপে টিপে হাসছে মেঘ বুজতে পারলো সবাই সবটা জানে …. মেঘ মিহুর গাল টেনে দিয়ে ফোনটা নিয়ে ফারহার দেওয়া এড্রেসে যাওয়ার জন্য ………
.
🍂
.
মেঘের সামনে হাত পা বাধা অবস্তায় বসে আছে ,,,ফাহাদ ফাহিম মোহনা আশিকুর …. মেঘ রাগে কোট খুলে নিচে ছুড়ে মারে …. শার্টের হাতা ফোল্ড করে হাতে গান টা লোড করলো……… মেঘের পাশে দারিয়ে আছে ফারহা দু হাতে ইলেকট্রিক তার…..
ফ্লাসব্যাক………………
মেঘ ফারহার দেওয়া এড্রেসে পৌছানোর মাত্র ফারহার লোকেরা মেঘ কে গার্ড দিয়ে ভিতরে নিয়ে আসে ,,,,মেঘ অবাক হয়ে যায় এটা ভেবে ফারহা ওকে এমন একটা জায়গায় কেন আসতে বললো আর ও নিজে বা কেন আসলো..??? ভাবতে ভাবতে মেঘ সামনে তাকিয়ে দেখে ফারহা দারিয়ে ,,,, হাতে হটিস্টিক তাতে রক্ত লেগে আছে …. ফারহার চোখ মুখ লাল হয়ে আছে …. ফারহা মেঘ কে দেখে ঠোট হাসির রেখা ফুটিয়ে তুলে হটিস্টিক টা হাত থেকে ফেলে দিয়ে … মেঘের দিকে এগিয়ে যায় .. মেঘ ফারহা কে শক্ত করে জরিয়ে ধরে বলে…
—“” তুমি ঠিক আছো প্রেয়শী ??? “””
—“”” হ্যা আমি একদম ঠিক আছি ,,, তোমার সারপ্রাইজ দেখবে না মেঘরাজ???”””
—“”” মেঘরাজ তুমি আমাকে মেঘরাজ বলে ডাকলে তার মানে তোমার সব ….””” বাকিটা বলতে না দিয়ে ফারহা বলে উঠলো ….. “””” হ্যা আমার সব স্মৃতি মনে পরে গেছে মেঘরাজ…. সব কিছু মনে পরে গেছে ,,,, যারা আমাকে তোমাকে এতিম করেছে তাদের কে আমি কি করে ভুলে যাই মেঘরাজ স্মৃতি তো আমার ফিরে আসতেই হতো……মেঘ চলো সারপ্রাইজ টা দেখবে “””
মেঘ ফারহার কথা শুনে ফারহার সাথে গিয়ে মেঘ শক্টড হয়ে গেল …. যাদের হাতের মুঠোয় ধরার জন্য এতো বছর চেষ্টা করলো সেখানে তার প্রেয়শী একাই এই মুখোশ ধারী জানোয়ার দের ধরতে পেরেছে…..
.
🍂
.
মেঘ হাতা ফোল্ড করতে করতে হাতে গান নিয়ে ফাহিমের সামনে চেয়ারে পা তুলে বসে মেঘের হাতে গান দেখে মোহনা ভয়ে চুপ করে আছে ফাহিম মেঘের দিকে তাকিয়ে কটমট করে তাকিয়ে বলে……..
—“”” মেঘ আমাদের ছেড়ে দে নয়তো তোদের পস্তাতে হবে ,,, আমি কথা দিচ্ছি আমাদের ছেড়ে দিলে প্রোপার্টির অর্ধেক তোকে দিয়ে দিয়ে দিবো বিনিময় ফারহা কে আমাদের হাতে তুলে দে …”””(ফাহিম)
—“””” ওকে দিলাম ,,,, “””(বাকা হেসে বললো মেঘ)
মেঘের কথা শুনে ফারহা বেশ অবাক হলো ,,, মেঘ এতো ইজিলি ওদের কথা মেনে নিল … ফারহাকে দেখে মোহনা বাচার জন্য তার মায়ার জালে আটকানোর জন্য বলে…..
—-“”” ফারহা মা আমি তোর মা আমাকে কেন তুই তুলে এনেছিস তুই তোর বাবা মা মামাদের বাচা মেঘের হাত থেকে …”””(মোহনা)
মোহনার কথা শুনে মেঘ অবাক হয়ে ফারহার দিকে তাকিয়ে আছে…ফারহা মেঘের তাকানো দেখে ফারহা মুচকি হেসে মোহনার কথা ইগনোর করে মেঘ কে বলে …..
—“”” মেঘরাজ তোমার সো কল্ড চাচা ফাহিম চৌধুরী তোমাকে মারার জন্য তার দলবল নিয়ে এসেছিল বাট বাই এনি চান্স আজ SK গ্রপের সাথে তোমার লড়াই হতে দেখে তোমাকে আর এট্যাক করে না কিন্তু ফিরে ও যায় না ,,,,
—“”” তার মানে SK গ্রপের হাত মিলিয়েছে??”””(মেঘ)
—“”” উহু না তা আর করতে পারলো কই মাঝ রাস্তা থেকে আমার লোকেরা ওদের লোকদের ঘায়েল করে ওকে তুলে এনেছে..এনেছে..আর বাকি লোকেরা মোহনা কে ওর বাড়ি থেকে”””
—“”” কিন্তু ফাহাদ আশিকুর কে তুমি.. “”” বাকিটা বলতে না দিয়ে ফারহা বলে উঠলো “”” হ্যা মেঘরাজ আমি ,,,আমি ওদের কিডন্যাপ করিয়েছি….””””
—“” মামুনি সরি তোমার কথাটা ইগনোর করে মেঘরাজের সাথে কথা বলার জন্য…..”””(ফারহা)
—“” ফারহা মা আমাদের ছেড়ে দে ,,, দেখ তোর বাবার হাত পা মাথাটা কতোটা কেটে গেছে এই লোক গুলো কি রকম মেরেছে…ওকে এখুনি হসপিটালাইজ করতে হবে…ওর ট্রিটমেন্টের দরকার…”””(মোহনা)
—“”” হ্যা ট্রিটমেন্ট হবে তবে তা আমি করবো … আর তোমার স্বামীর হাত পা মাথা মেরে কে ফাটিয়েছে জানো !!!! আমি!!! হ্যা তোমার ভাইদের আর তোমার হাসবেন্টের এই কাটা ফারা চেহারা আমি বানিয়েছি ….. এখন তুমি বাকি আছো….তোমাকে দিয়ে শুরু করি …হাতে থাকা ইলেকট্রিক তার দেখিয়ে……”””
মোহনা ভয়ে এক শুকনো ঢোক গিয়ে করুন চোখে ফারহার দিকে তাকিয়ে আছে ,,,,মোহনা বুজতে পারলো ফারহা আগের পুরনো স্মৃতি ফিরে এসেছে…. তাই আর কিছু বলার সাহস পেল না…. এদিকে ফারহা হাতে ইলেকট্রিক তার নিয়ে মোহনার দিকে এগোতে নিলে মেঘ ফারহার হাত চেপে ধরে……………
.
.
.
#চলবে……………
[জানি না কেমন হলো আজকের পার্ট টা ,,,,, তবে ভুলট্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]