#হিংস্র_ভালোবাসা🌹
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#শেষপর্ব
🌿
🌺
🌿
—-“”” হা হা হা সামু তোর মাথাটা মনে হয় একে বাড়ে গেছে ..!! আমি আগুনের বউ লিগাল বউ আর তুই হচ্ছিস ওর শালী আমি নয় ,,, এখন এই সব তামাসা রেখে বউ সাজ টা খুলে ফেল কারন আজ তোর বিয়ে হচ্ছে না ……””(তিন্নি)
তিন্নির কথা শুনে সামিরার মাথায় যেন আগুন ধরে গেল ,,,সূর্যের কাছে গিয়ে সূর্যের কোমর থেকে গান টা নিয়ে আগুনের দিকে তাক করে বলে… আগুন আমাকে ঠকিয়ে তুমি কাজ টা ঠিক করো নি ৷ ইউ এ্যাভ টু পে ফর দিস…
—“”” হা হা হা সামিরা বেবি আমাকে শেষ করার পরিকল্পনা তুমি মাথা থেকে ঝেরে ফেলো ,,, কারন আমি শেষ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তোমার ড্যাড সাইমুন খান্নাকে কোন দিন খুজে পাবে না….”””(আগুন)
আগুনের কথা শুনে সামিরার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো … ড্যাড কে যে আগুন কিডন্যাপ করতে পারে এটা সামিরার মাথাতেই আসে নি … সামিরা গান নামিয়ে করুন দৃষ্টিতে আগুনের দিকে তাকিয়ে রইল আগুন সামিরার দিকে শয়তানি হাসি সামিরার হাত থেকে গান টা ছিনিয়ে নেয়…..
—“” সামিরা বেবি এই গানের তো আর কোন প্রয়োজন নেই মে বি তাহলে তোমার হাতে কেন থাকবে বলো..?? এটার প্রয়োজন এখন আমার তোমার নয়….”””
—“” ওকে ফাইন ,, নিয়ে নেও গান বাট আমার ড্যাড কোথায় তাকে কোথায় রেখেছো তুমি ??””
—“” কাম ডাউন বেবি তুমি তোমার ড্যাড কে পেয়ে যাবে কিন্তু তার আগে তোমাকে যে আমার একটা কাজ করে দিতে হবে..??””
—“” আমাকে দিয়ে তুমি তোমার কি কাজ করিয়ে নিতে চাইছো আগুন ক্লিয়ার করে বলো..??””( রাগি গলায় বললো সামিরা)
—“” ওহ বেবি এতো উত্তিজিত হচ্ছো কেন সব টাই জানতে পারবে ,, এখন তোমার চামচাদের অডার্র করো মেঘ চৌধুরীর পুরো ফ্যামিলি কে তুলে নিয়ে আসতে …””(আগুন)
—“”” ওয়াট!!! আর ইউ এ্যাভ গন ম্যাড ?? আপনি না বললেন ফারহা বা জিজুর কোন ক্ষতি আপনি করবেন না তাহলে ওদের তুলে আনতে কেন বলছেন..???””(তিন্নি)
–“” ওগো বধু তোমার বেস্টফ্রেন্ড আর তার হাসবেন্টের সাথে আমার কিছু পুরনো বোঝা পড়া বাকি আছে সে গুলো তো মেটাতে হবে তাই না..???”””(আগুন)
—“” দেখুন আপনি কিন্তু আপনার কথার খেলাপ করছেন ৷ আপনাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছি দুটো কারনে এক ফারহা জিজুর কোন ক্ষতি করবেন না আর সামিরা কে শাস্তি দিবেন কিন্তু প্রানে মারবেন না… ভুলে গেলেন সব..??””(তিন্নি)
—-“” ওহ গড তুমি ভাবলে কি করে আমি তোমার সব কন্ডিশন মেনে নিবো ??? আর যে আমার ইমোশন নিয়ে খেলেছে যে আমার ড্যাড কে খুন করেছে তাকে শেষ না করে বাচিয়ে রাখবো ইউ ফুল….””( আগুন)
– আগুনের কথা গুলো সামিরা শুনে ভয়ে ঘামতে লাগলো কারন সামিরা ভাবতেও পারেনি আগুন কোন ভাবে সত্যি টা জেনে যাবে … আরিয়ান খান কে যে ও নিজের হাতে শুট করে মেরেছে এটা আগুন জানবে…. অন্যদিকে তিন্নি কি বলবে বুজতে পারছে না ,,, এতো বড় ধোকা দিয়ে আগুন ওকে বিয়ে করেছে কিন্তু কেন… ?? তিন্নির মাথায় এই প্রশ্ন গুলো ঘুরপাক খাচ্ছে ….আগুন তিন্নির গাল টেনে দিয়ে বলে…
—“”” আই নো সুইটহার্ড তুমি কি ভাবছো !!! আমি কেন তোমাকে মিথ্যে বলে ধোকা দিয়ে বিয়ে করলাম তাই তো..?? তাহলে শোন তুমি আমার কাছে একটা গুটির চাল মাত্র ফারহা কে হাসিল করার… তোমার মাধ্যমে আমি ফারহা কে নিজের করে নিবো … “””
—“” ফারহা প্রেগনেন্ট এটা নিশ্চয় ভালো করে জানেন..??””(তিন্নি)
—“” ইয়াহহ আই নো দ্যাট .. বাট ইউ নো আই এ্যাভ এ্যা নো প্রব্লেম … ফারহা কে আমি তার বাচ্চা সহ আমার করে নিবো হোক সে মেঘের সন্তান তবু ও ফারহা কে আমার হতে হবে…..”””
—“” আজ সত্যি আপনাকে আমার ঘৃনা হচ্ছে ৷ আপনি সত্যি একজন খারাপ মানুষ যে কিনা ভালো মানুষির মুখোশের আড়ালে থেকে নিজের কার্যসিদ্ধি করেন… ছিঃ ছিঃ ছিঃ আমি এই লোকটাকে বিশ্বাস করেছিলাম ছিঃ আর ফারহা !! তার মানে আপনি ……বাকি টা বলতে না দিয়ে আগুন বলে উঠলো ….
—“” হ্যা ফারহার কাছে ক্ষমা চাওয়া ওকে হেল্প করা সব টাই আমার নাটক ছিল শুধু মাত্র ওর বিশ্বা অর্জন করার জন্য আর তোমার চোখে একজন ভালো মানুষ দেখানোর জন্য…..””(আগুন)
—“” সামিরা আমাকে ক্ষমা করে দে ৷ আমি এই নোংরা লোকটা কে চিনতে পারি নি ওর পাতা ফাদে আমি জরিয়ে গেছি….””(তিন্নি)
– সামিরা তিন্নির কথা পুরোটা ইগনোর করে আগুন কে বলে…..
—“” আমি আমার দলবল পাঠাচ্ছি কিংয়ের পুরো ফ্যামিলিকে তুলে আনতে… সূর্য এখুনি দলের লোক জন কে নিয়ে বেরিয়ে পরো …. খালি হাতে যেন ফিরে এসো না তাহলে তোমরা কেউ আর জীবিত থাকবে না…”””
—“” ওকে বস…””
সূর্য তার দলবল নিয়ে বেরিয়ে পরলো …
🍂
🌺
🍂
—-“” ওয়াট !! আর ইউ শিওর ..??””(মেঘ)
—“”…………””
—“” ওকে ,, আমি এখুনি বের হচ্ছি..””(মেঘ)
মেঘ কল ডিসকানেক্ট করে ফারহা কে খাবার আর মেডেসিন খাইয়ে দিয়ে মেঘ আসলাম আর জ্যাক কে ডেকে পাঠায় …. মেঘ ফারহার পাশে আদিল মিহু আর আফিফ কে রেখে আসলাম আর জ্যাক কে নিয়ে বেরিয়ে পরে …… মেঘ গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরার পর পর সূর্যের গাড়ি চৌধুরী ম্যানশনে ঢুকে যায়………….
-ফারহা আদিল মিহু আফিফ বসে গল্প করছিল এমন সময় সূর্য তার লোক নিয়ে রুমে ঢুকে পরে…
—“” কেউ একপা নরার চেষ্টা করলে আমি শুট করে দিবো …””(সূর্য)
—“” তোদের সাহস দেখে আমি মুগ্ধ জানিস কার বাড়িতে দারিয়ে আছিস?? কার সামনে দারিয়ে কথা বলছিস..??””(ফারহা)
—“” দেখুন আমরা জানি আপনি কিং য়ের ওয়াইফ ফারহা চৌধুরী আর এরা ওনার ফ্যামিলির লোক আমাদের উপর অর্ডার আছে আপনাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার এখন আপনারা নিজ ইচ্ছায় যাবেন নাকি আমাকে বল প্রয়োগ করতে হবে…??””(সূর্য)
চোখের সামনে এতো গান দেখে ফাহিম আর আফিফ ভয়ে থর থর করে কাপছে …. মিহু আড়চোখে আদিল কে ভয়ে এমন কাপতে দেখে মিহু আদিলের হাত চেপে ধরে …. যাতে আদিলের ভয় কিছুটা কমে …. ফারহা দশ সেকেন্ড ধরে কিছু একটা ভেবে সূর্য কে বলে ….
—“” চলুন কোথায় যেতে হবে আমাদের…””
—“” ওয়াট!! ভাবি কি বলছো কি এই সব ,,,?? তোমার এই শরীলের কন্ডিশন আর তুমি এই ছ্যাচড়াদের সাথে যেতে রাজি হয়েছো…””
—“” শুধু আমি একা নয় তোমরাও যাবে ৷ এখন আমাকে উঠতে হেল্প করো প্লিজ…””(ফারহা)
মিহু ফারহার মুখের উপর আর কোন কথা না বলে ফারহা কে উঠতে সাহায্য করলো…..
—“” চলুন মিস্টার আজ অনেকদিন পর SK মুখো মুখি হবো সব হিসেব নিকেশ শেষ করতে হবে তো …””
—“” চলুন..””
সূর্য ফারহা বা বাকি মেমবারদের গায় হাত না দিয়ে গান দেখিয়ে গাড়িতে তুলে নিলো…
🍁
🌺
🍁
—“”” ওয়েলকাম মিসেস ফারহা চৌধুরী ,,””(আগুন)
—“” তুমি!!! তুমি SK সাথে মিলে আমাদের তুলে এনেছো??””(ফারহা)
—“” ইয়েস মাই ডিয়ার..তুমি ভিষন ইন্টিলিজেন্ট গার্ল তাই এতো তারাতারি সব টা ধরতে পারলে….””
আগুনের কথা শুনতে শুনতে ফারহার নজর তিন্নির দিকে পরে,,,, তিন্নির মুখে টেপ দিয়ে আটকিয়ে চেয়ারের সাথে বসিয়ে দরি দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে … ফারহার বুজতে বাকি নেই যে এটা কাদের কাজ!! ভিতরে ভিতরে রাগে ফেপে উঠছে ফারহা তারপর ও নিজেকে শান্ত রাখছে শুধু মাত্র নিজের অনাগত বেবির জন্য ….আদিল মিহু দুজন ফারহার দু দিকে দারিয়ে আছে … আগুন সামিরা কে কিছু একটা ইশারা করতে সামিরা তাদের লোকদের পজিশন নিতে বলে…. সামিরার লোকজন আদিল মিহু আফিফ কে বেধে ফেলে … শুধু মাত্র ফারহা কে ছাড়া……
—“” এরা আমাকে কেন বাধলো না..?? নিশ্চয় কোন কাহিনি আছে !! কিন্তু তার আগে আমাকে মেঘরাজ কে মেসেজ করে জানাতে হবে….””
ফারহা ফোন বের করে মেঘ কে মেসেজ সেন্ড করতে যাবে তখনি আগুন ছো মেরে ফোন টা নিয়ে নেয়….
—“” এতো তারা কিসের জানু ,,, কান টানলে যেমন মাথা আসে ঠিক তোমাকে যখন আমার হাতের মুঠোয় নিতে পেরেছি ঠিক তোমার মেঘ কে পারবো… শুধু তার আসার অপেক্ষা …..”””
—” আগুন আমরা এখন বন্ধু তুমি তোমার বন্ধুর ক্ষতি করতে পারো না..??””(ফারহা)
—“” হ্যা বন্ধু তবে তোমার না সামিরার আর একটা কথা ভালোবাসার মানুষ কে কখনো বন্ধু বানিয়ে রাখা যায় না তার প্রতি ফিলিংস টা বের হবেই ৷ তাই তোমাকে বন্ধু বানিয়ে রাখার আমার কোন ইচ্ছে বা শখ নেই৷ সামিরা বেবি কাজী সাহেব কে বিয়ে পড়াতে বলো…””
—“” বিয়ে কার বিয়ের কথা বলছো তুমি..??”(সামিরা)
–“”” কার আবার আমার আর আমার জান ফারহার বিয়ে…”””( আগুন)
–“” ওয়াট!! আর ইউ ক্রেজি ?? ফারহা মেঘের স্ত্রী আর ওর সন্তানের মা হতে যাচ্ছে তাকে তুমি বিয়ে করবে ??? তাহলে তিন্নির কি হবে ?? ওকে যে তুমি বিয়ে করেছো..??””(সামিরা)
—“” তিন্নি ওকে আমি ডিভোর্স দিয়ে দিবো কিন্তু তার আগে আমি ফারহা কে বিয়ে করবো তার ব্যাবস্তা তুমি করবে সামিরা বেবি.. নাহলে তোমার ড্যাড কে আমি…..”””(আগুন)
—“” নো নো নো আগুন প্লিজ ডোন্ট ডু দিস ৷ আমি সব ব্যাবস্তা করছি…””(ভয়ে ভয়ে বললো সামিরা)
এতোক্ষন ফারহা আগুন আর সামিরা কথা শুনে সবটাই ফারহার কাছে ক্লিয়ার হয়ে গেল… কিন্তু এখন ফারহার হাতে কিছুই নেই যা করার মেঘ কেই করতে হবে…..
—“” হয়ার আর ইউ মেঘরাজ ?? তোমার প্রেয়শী বিপদে আছে প্লিজ সেভ মি.. আল্লাহ প্লিজ মেঘরাজ কে দ্রুত এখানে পাঠিয়ে দেও ৷ এই দু মুখো সাপের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য……””
ফারহা মনে মনে আল্লাহর কাছে প্রে করছে যাতে মেঘ দ্রুত এখানে এসে পৌছায়….. সামিরা ফারহা কে হাত ধরে টানতে টানতে স্টেজে এনে বাসায় আর পাশে আগুন বসে পরে …. সামিরা করুন চোখে ফারহার মুখের দিকে তাকিয়ে উঠে চলে গেল……
—“” এই যে কাজী সাহেব দ্রুত বিয়ে পড়ান ৷ “”(আগুন)
–“” না আমি তোকে বিয়ে করবো না ,, একবার মেঘরাজ কে আসতে দে তারপর তোর বিয়ের সাধ ও মিটিয়ে দিবে … ভেবেছিলাম তুই পাল্টে গেছিস বাট ইউ নো কুকুরের লেজ কখনো সোজা হয় না …. “””
ফারহার কথা শেষ হতে আগুন রেগে ফারহার গাল চেপে ধরে বলে….
—“” আমাকে যখন কুকুর বললে তখন কুকুরের কামড় তো তোমাকে খেতে হবে জান ,, যাস্ট বিয়ে টা হতে দেও দেন দেখবে আমি তোমার সাথে ঠিক কি কি করি… “”
কাজী আগুন কে কবুল বলতে বললে আগুন দ্রুত তিনবার কবুল বলে দাত বের করে হাসতে লাগে৷ কিন্তু ফারহা কে বলতে কবুল যখন বলতে বলে ফারহা চুপ করে থাকে যেন তার কানে কোন কোথাই ঢুকে নেই… আগুন রেগে ফারহার গালে থাপ্পোর মেরে বসে শক্ত করে গাল চেপে ধরে কবুল বলতে বলে….
—“” আমি মরে গেলেও কবুল বললো বলবো না জানোয়ার ,,, “”
—“” তাহলে তো তোমার বেস্টফ্রেন্ড তিন্নি আফিফ আর তোমার ননোদ ভাই কে তুমি হারাবে ,,, এই তোরা কে কোথায় ওদের কে মেরে ফেল….””
—-“” না না আগুন আমি বিয়ে করবো ,, প্লিজ ওদের কিছু করো না…”””
—“” না আপু তুই এই খারাপ লোকটাকে বিয়ে করবি না ,,, জিজু এখুনি এসে পরবে…””(আদিল)
—“” তোমার জিজু এখানে আসলে সে আর জিবন্ত ফিরে যেতে পারবে না…””(আগুন)
—“” তাই নাকি মিস্টার আগুন খান…””(মেঘ)
— হঠাৎ করে মেঘ কে দেখে সবাই চমকে যাই কেউ ধারনা করতে পারেনি বাইরে এতো কড়া গার্ড থাকা সত্যেও মেঘ এতো সহজ ভাবে এখানে ঢুকে যেতে পারে…..মেঘ কে দেখে আগুন সামিরার লোক দের ইশারা করে মেঘ কে আটকাতে কিন্তু সামিরার লোকজন কেউ আগুনের কথা তোয়াক্কা না করে সামিরার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে…… আগুন রেগে সামিরা কে বলে…..
—-“”” ওয়াট ইজ দিস সামিরা ?? তোমার লোকজন কেন আমার কথা শুনছে না?? নাকি তোমার ড্যাডের প্রানের মূল্য নেই..???”””(আগুন)
– আগুন সামিরার ড্যাডের কথা বলতে সামিরা ওর লোকদের ইশারা করে মেঘ কে আটকাতে সাথে সাথে সূর্য আর তার লোকজন আগুন আর সামিরাকে গান তাক করে ঘিরে ধরে … তা দেখে সামিরা আগুন অবাক হয়ে যায়…..
—“” তোমাদের কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে?? আমি মেঘ কে আটকাতে বলেছি আমাদের নয়…. “””(সামিরা)
—“”” তাই তো করছি বস সরি সামিরা ম্যাম..””(বত্রিশ পাটি দাঁত বের ারে দিয়ে বলে সূর্য)
—“” মানে.. কি বলতে চাইছিস তুই??”
—“” আমি বলছি সমিরা খান্না অরফে SK ,,, তোদের পুরো টিম মানে ফাইভস্টার দলের লোকদের আমি টাকা দিয়ে কিনে ফেলেছি…”””(মেঘ)
—“”” তার মানে সবাই এখন মেঘের লোক..!!!””
—“” একদম মিস্টার খান ,,, এখন বলুন আপনি কি রকম মৃত্যুর সাধ গ্রহন করতে চান..??””(আসলাম)
— আগুন দাঁত কিড়মিড় করতে করতে আগুনের উদ্দ্যশ্যে বলে….
—“” মেঘ আমি বেচে থাকতে ফারহা কে তোর হতে দিবো না ৷ ও যদি আমার না হয় তাহলে ওকে কেউ পাবে না…”””(আগুন)
– আগুন সামিরার লোকের হাত থেকে গান টা ছিনিয়ে নিয়ে ফারহার দিকে তাক করে শুট করতে যায় ঠিক তখনি সামিরা আগুনের হাতে শুট করে … গান নিচে পরে যেতেই মেঘ আগুনকে কুকুরের মতো মারতে থাকে…. আগুন কে পাল্টা আঘাত করার সুযোগ না দিয়ে মেঘ আগুনের দুপায়ে শুট করে দিয়ে বুকে শুট করতে যায় ঠিক তখনি তিন্নি এসে মেঘের সামনে দারায়….
—“”” না জিজু দয়াকরে ওকে প্রানে মেরো না ৷ ও আমার স্বামী আল্লাহ কালাম পরে ও আমাকে বিয়ে করেছে… আমি ওর বিবাহিতা স্ত্রী… শেষ একটা সুযোগ দেও ওকে প্লিজ জিজু.”””
আগুন তিন্নির কথা শুনে আগুন কে মারতে গিয়ে ও মারলো না … আগুন গড়াতে গড়াতে মেঘের পায়ের কাছে এসে মেঘের পা জড়িয়ে ধরে বলে….
—“”” আমাকে ক্ষমা করো মেঘ ৷ ফারহা কে নিজের করে নেওয়ার নেশায় কতোটা যে নিচে নেমে গেছি তা আজ তিন্নির কথা না শুনলে বুজতে পারতাম না ৷ সদ্য বিয়ে করা স্ত্রীর সামনে তারি বন্ধু কে বিয়ে করতে যাচ্ছিলাম আমি কতোটা নিচ কতো টা খারাপ আমি .. এই ভুলের কোন ক্ষমা হয়না কিন্তু তাও আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইছি আমি….ক্ষমা করো আমায় এই শেষ বারের মতো….আমি সত্যি আপনার #হিংস্রভালোবাসা র কাছে হেরে গেছি আর আপনি জয়ি হয়ে ফারহা কে পেয়েছেন ৷আমি তিন্নি কে নিজের স্ত্রী হিসেবে মেনে নিলাম কথা দিচ্ছি আমি কখনো তিন্নি কে কষ্ট পেতে দিবো না আমার সবটা দিয়ে ওকে ভালোবাসবো “”
মেঘ তিন্নির মুখের দিকে তাকিয়ে আগুন কে ক্ষমা করে দিল … আগুনের কথা শুনে তিন্নির দু চোখ যেন ভিজে এলো… তিন্নি ভাবতে পারেনি আগুন সত্যি এই খেলার সম্পর্কটাকে এতোটা সন্মান দিবে … তিন্নি যেন আজ প্রথম আগুনের প্রেমে পড়লো … এদিকে সামিরা সবার আড়ালে পালাতে গেলে সূর্য সামিরা কে ধরে ফেলে….
— “” সামনে থেকে সরে যা সূর্য নয়তো তোর জন্য ভালো হবে না…””(সামিরা)
—“” রিয়েলি ,, তাহলে দেখি কি করতে পারিস তুই…””
এই বলে সূর্য সামিরার দিকে এগিয়ে যেতে নিলে সামিরা সূর্যের বুকে শুট করে দেয়…. সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পরে সূর্য … সামিরা সূর্য কে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিলে পিছুন থেকে সামিরার পিঠে কেউ শুট করে দেয় … সামিরা ওখানে দারিয়ে পিছুনে মুরে দেখে তিন্নি…… তিন্নির হাতে গান….
–“” তুই আমাকে গুলি করলি তি,,, তিন্নি!!!!””
—“”” হ্যা করলাম কারন তোর মতো রাক্ষুসীর বেচে থাকার কোন অধিকার নেই ৷ যেই মেয়ে নিজের রক্ত কে ছাড় দেয় না সে কখনো মানুষ হতে পারে না৷ তুই বেঁচে থাকলে কখনো না কখনো ফারহা জিজু আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করবি ৷ আর তা আমি হতে দিবো না৷ গুড বাই ৷ তিন্নি গানের বাকি পাঁচটা বুলেট সামিরার বুকে গেথে দিলো .. সামিরার নিথর প্রানহীন দেহ মাটিতে লুটিয়ে পরতে তিন্নি হাটু গেরে বসে কাঁদতে থাকে… ফারহা তিন্নিকে জড়িয়ে ধরে সান্তনা দিতে লাগলো…….
—“” ভাইয়া এখানে আর আমাদের থাকা ঠিক হবে না ৷ ভাবি আর তিন্নি আপু কে নিয়ে আমরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছি তুমি এই লোকটার ট্রিটমেন্টের ব্যাবস্তা করো ….(আগুন কে উদ্দেশ্যে করে বললো)…..
মেঘ ফারহা কে কোলে তুলে নিয়ে হাটা দিলো তার পিছুন পিছুন আদিল মিহু আফিফ তিন্নি যেতে লাগলো……. আর আসলাম আগুন কে নিয়ে হসপিটালে চলে গেল ওর ট্রিটমেন্টের জন্য আর জ্যাক লাশ গুলোর ব্যবস্তা করার জন্য থেকে গেল…….
🌿
🌺
🌿
*দেখতে দেখতে নয় মাস কেটে গেল … এই নয় মাসে ফারহা রাত দিন মেঘ কে প্রচন্ড জালিয়েছে… কখনো কখনো মাঝরাতে উঠে ফারহা ফুচকা আইসক্রিম খাওয়ার জন্য বায়না ধরতো… ফারহার এমন আবদারে মেঘ কখনো বিরক্ত বোধ করতো না বরং হাসি মুখে নিজের হাতে ফুচকা তৈরি করে ফারহা কে খাওয়াতো তবে বাহিরের কোন খাবার মেঘ ফারহা কে খাওয়াতো না … বাইরের খাবার বলতে শুধু মাত্র আইসক্রিম টা নিয়ে আসতো মেঘ…. নয় মাসের পেট নিয়ে ফারহার হাটা চলা করতে ভিষন কষ্ট হয় বিধায় মেঘ ফারহা কে কোলে নিয়ে কখনো গার্ডেনে বা ব্যালকনিতে বা ওয়াশরুম সব জায়গায় নিয়ে যায়… গোছল করিয়ে দেয়া থেকে শুরু করে ফারহার প্রত্যেকটা কাজ মেঘ করে দেয়….. অন্যদিকে আগুন তিন মাসে সুস্থ হয়ে ওঠে নিজের বিজনেস সামলাচ্ছে তার ভিতর খুশির খবর হলো তিন্নি প্রেগনেন্ট …. কিছুদিন হলো তিন্নি আর আগুন এসে মেঘ আর ফারহা কে নিউজটা জানাতে এসেছিল…… আফিফ কলেজের সেই মেয়েটি আফরিন কে পটিয়ে দিব্বি প্রেম করছে ৷ ইভা তার ভালোবাসা মানুষ টিকে কিছুদিন হলো পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়েছে৷ খুব ভালো আছে দুজন৷
আদিল আর মিহু সারাক্ষন টম এন্ড জেরির মতো ঝগড়া করতে থাকে ৷ আর মেঘ আসলে দুজনে মেঘের কাছে একে অন্যের নামে বিচার দিবে তবে কেউ জানুক আর নাই জানুক আমি আমার ভাই টাকে চিনি সে যে মিহুর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে তা বুজতে আর বাকি নেই কারোর…….
.
.
🌺
.
.
তিন বছর পর………
—“” উফফফ এই বাপ বেটির জন্য আমার জীবনটা ত্যানা ত্যানা হয়ে গেল যেমন বাপ তার তেমন জেদি মেয়ে … আর আমার একছেলে এত্তো লক্ষী বলে বুঝাতে পারবো না সারাক্ষন মাম্মাম মম্মাম বলে মুখে ফেনা উঠিয়ে ফেলে…. আর মেয়ে সারাক্ষন পাপ্পা পাপ্পা করবে আর আমার নামে নালিশ করবে…. আজ মার খাওয়ার ভয়ে নিশ্চয় বাপের কোলে উঠে বসে আসে ….””
—“” প্রেয়শী তুমি কেন আমার প্রিন্সেস কে বকেছো হ্যা..??””(মেঘ)
—“” ওই আসলেন আর একজন মেয়ের হয়ে শালীশি করতে দারাও দেখাচ্ছি মজা…”””
ফারহা মেঘের কথার উওর না দিয়ে লাঠি বের করে মেঘের সামনে দারালো আর মেঘলা তার মাম্মামের ভয়ে মেঘে বুকে মুখ লুকিয়ে বসে আছে…
—“” কি যেন বলছিলে মেঘ !!! এখন বলো??”””(রাগি গলায় বললো ফারহা)
—“” ইয়ে মানে আমি তো কিছুই বলে নি ৷ আমি তো জানতে এসেছিলাম তুমি চকলেট খাবে নাকি আইসক্রিম ৷””
—“” পাপ্পা টুমি মাম্মাম কে ভুয় পাততো কেন..???টুমি না বললে মাম্মাম কে বকা ডিবা???””(মেঘলা)
–“” ওরে আমার মা চুপ যা তোমার মাম্মাম তোমার কথা শুনলে আমাকে আর আস্ত রাখবে না…””
—“”কি বলছে মেঘলা হুম ??? আর মেঘলা ফারহান তোমার বড় ভাইয়া কেন মারলে তাকে..???””(ফারহা)
—“” মাম্মাম ভাইয়া আমাল পুটুল দেয় নি ছুধু নিজে একা একা খেলা করে..তাই ভাইয়া কে মারেছি..””(মেঘলা)
—“” দেখলে মেয়েটাকে এতো লাই দিয়ে কি বানাচ্ছো নিজের বড় ভাই কে কি ভাবে মারে .. হোক ওরা জমজ কিন্তু ফারহান তো ওর পাচঁ মিনিটের বড় তাই না..””(ফারহা)
ফারহার কথা শেষ হতে না হতে ফারহান দৌড়ে এসে ফারহার কোলে উঠল…..
—“” মাম্মাম টুমি মেঘলা কে বকো না ৷ ও আমাকে মালেনি আমি পলে গিয়ে ব্যাথা পাইছি…””(ফারহান)
—“” দেখলে মেঘ এই হচ্ছে আমার ছেলে যে নিজের বোনের দোষ ঢাকতে মিথ্যে বললো আর তোমার মেয়ে দিন দিন গুন্ডি তৈরি হচ্ছে …. তিন্নির ছেলেটা আসলে কি পরিমান ওকে মারে তা যদি দেখতে বেচারা এখানে আসলে একটু শান্তিতে থাকতে পারে না তোমার মেয়ের জন্য….””
—“” কি করবে বলো তোমার মতোই মেয়েটা হয়েছে…””
—“” কিহ আমার মতো আমি তোমাকে কি ছোট বেলায় মারতাম নাকি হু…উলটো ভয় দেখাতে তুমি..””
ফারহার রাগ যাতে কমে যায় সে সুযোগে মেঘলা মেঘ দুজনে ফারহার দু-গালে দুজন চুমু দিয়ে সরে পরে….
—-“” এই এটা কি করলে বাপ বেটি আমার গালে চুমু খেলে কেন হ্যা ….”””
—“” তোমার রাগ ভাঙাতে কিন্ত দেখো তুমি মিথ্যে বলবে না তুমি কতোটা জ্বালিয়েছো আগে আমাকে তার প্রমান আছে এখনো তাই অযথা মিথ্যে বলো না…”””
মেঘ ফারহার ঝগড়া শুনে মেঘলা ফারদিন মেঘ আর ফারহার কোল থেকে নেমে কোমরে হাত দিয়ে বলে…..
—-“”” থামো তোমলা ?? এভাবে আমাদের মতো ধগলা(ঝগড়া) কলছো কেন..???””(মেঘলা)
—“” দেখলে তো মেঘ তোমার দিন দিন কতো অধপতন হচ্ছে ৷ বাচ্চাদের সামনে ঝগড়া করছো….””
—“” ওহ মাই গড ,, তুমি এটার দোষ ও আমাকে দিবে ওয়েট…. আমার সোনা মামুনিরা তোমরা বাইরে গিলে খেলা করো আমি তোমার মাম্মাম কে একটু বকে দি ঠিক আছে…””
—-“” পাপ্পা অলপো ইত্তু মাম্মাম কে বকে দিবে বেসি না “””(মেঘলা)
—“”” না না মাম্মাম কে বকবে না আদল করবে পাপ্পা…””(ফারহান)
—“” ওকে সোনারা তোমরা যা বলবে …”””(ফারহা কে চোখ মেরে বললো মেঘ)
মেঘলা ফারহান রুম থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যেতে মেঘ দরজা লক করে দেয়…..
—“”” এই এই তুমি দরজা লক করলে কেন বাইরে বাচ্চা আছে তো….”””
—“” তাতে কি ওরা তো এখন খেলছে……আর তোমার আদরের শান্ত ছেলে তো বললো তোমাকে আদর করে দিতে প্রেয়শী””
—“” তো এখন তুমি কি করতে চাইছো???””(সন্ধেহের চোখে তাকিয়ে বললো ফারহা)
—“” বেশি কিছু না যাষ্ট একটু আদর করবো তোমাকে বলতে পারো মেঘলা আর ফারহানের খেলার জন্য আর একজন ভাই বা বোন আনার জন্য….””(দুষ্টুমি হাসি দিয়ে বললো মেঘ)
—-“” নায়য়য়য়য়য়য়য়য়য়য়য়া মেঘ প্লিজ এই দুটো বিচ্ছুকে সামলাতে হিমসিম খেতে হয় আমাকে তার উপর আরো একজন….!!! “””
—“” সমস্যা কোথায় আমি তো আছি তোমার পাশে.. ফারহার কাধে চুমু দিয়ে বললো মেঘ.. আর মেঘের ঠোটের উষ্ণ স্পর্শে ফারহা শিউরে শিউরে উঠছে….””
—“” মেঘ কি করছো আদিল মিহুর আজ হানিমুন থেকে ফেরার কথা ভুলে গেলে ওরা যখন তখন এসে পরবে….””(ফারহা)
—“” আসুক ,, ওরা হানিমুন করে আসছে আর আমরা হানিমুন করছি ডিসট্রাব করো না তো….””
ফারহাকে আর কিছু বলার সুযোগ দিলো না মেঘ …. মেঘ ফারহার ভালোবাসার গভীর সমুদ্রে ডুবে যেতে লাগলো….. পবিত্র ভালোবাসায় আবদ্ধ হলো দুজনে………..
*********** সমাপ্ত**************
বিঃদ্রঃ গল্পে প্রচুর ভূলট্রুটি হয়েছে আগেই একবার বলেছি আনাড়ি আর খুব কাচা হাতের লেখা আমার তারপর ও অনেক রিডার্সের ভালোবাসা পেয়েছি ৷ সার্পোট পেয়েছি৷ আশা করবো আজ শেষ পর্ব পরে সবাই মতামত প্রকাশ করবেন ৷ আর ভবিষ্যৎতে এভাবে আমাকে সার্পোট করবেন যাতে আরো ভালো ভালো গল্প আপনাদের উপহার দিতে পারি৷
#ধন্যবাদ সবাই কে………….🌺