#হিংস্র_ভালোবাসা🌹
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-২৪
.
.
🍁
—” স্যার এ গুলো বড় স্যার পাঠিয়েছে আপনার জন্য ..”
—” বেডের উপর রাখো…”(আগুন)
আগুনের কথা মতো বেডের উপর আগুনের জন্য আনা ড্রেস রেখে চলে যায় সার্বেন্ট ,,,,আগুন ফ্রেস হয়ে ড্রেস টা পরে মিররে নিজেকে কয়েক বার ভালো করে দেখে নিলো ” হুম পার্ফেক্ট ” চকলেট ওয়াইট শার্ট তার উপর ব্লাক ব্লেজার ব্লাক প্যান্ট হাতে ব্রান্ডের ওয়াচ , অন্য হাতে গোল্ডের মোটা চেইন চুল গুলো জেল দিয়ে সেট করা ব্যাস রেডি….. আগুন মিররের দিকে তাকিয়ে রহস্যজনক হাসি দিয়ে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে………..
.
.
.
আগুন রুম থেকে বেরিয়ে বাইরে আসতে দেখে সামিরা ওর দিকে হা করে তাকিয়ে আছে এক মুহূর্তের জন্য আগুন সামিরা কে দেখে ওর দৃষ্টি আটকে গেল পরক্ষনে ফারহার কথা মাথায় আসতে আগুন তার দৃষ্টি ঘুড়িয়ে অন্যদিকে নিলো …….সামিরা আজ আগুনের সাথে ম্যাচ করে চকলেট কালার একটা গাউন পরে নিলো সাথে হালকা ডাইমন্ডের জুইলারি চুল গুলো সামনের বেবি হেয়ার গুলো ছেড়ে দিয়ে এক সাইডে চুল গুলো খোপা করা , ঠোটে ডার্ক রেড লিপষ্টিক মুখে ভারি মেকয়াপ ….সবাই আগুন আর সামিরার দিকে তাকিয়ে আছে …সামিরা হুট করে আগুনের হাত ধরে সিরি দিয়ে নিচে নামতে থাকে …আগুন সামিরার কাজে কোন এক্সপ্রেশন দিলো না মনে হয় আগুন জানে সামিরা এমন কিছু করবে ….সামিরা এটা ভেবে মনে মনে ভিষন খুশি হয় …. আগুন সামিরা নিচে নামতে আরিয়ান খান আগুন আর সামিরা কে স্টেজে আসতে ইশারা করলে আগুন বাধ্য ছেলের মতো সামিরা কে নিয়ে স্টেজে উঠে যায়……..
—-” লেডিস এন্ড জেন্টেলমানস আপনারা জেনে হয়তো চমকে যাবেন আমার এক মাত্র বন্ধু সাইমুন খান্নার এক মাত্র মেয়ে সামিরার সাথে আজ আমার একমাত্র ছেলে আগুন খান এর এঙ্গেজমেন্ট ..”(আরিয়ান খান)
আরিয়ান খানের এনাউন্সমেন্ট শুনে সব গেস্ট রা কড়তালি দিতে লাগলো … আরিয়ান খান আর সাইমুন খান্না আগুন আর সামিরার কাছে দারিয়ে রিং এগিয়ে দেয় ….সামিরা আগুন কে পাওয়ার খুশিতে সাইমুনের হাত থেকে দ্রুত রিং টা নিয়ে আগুনের আঙ্গুলে পরিয়ে দেয় …. সাথে সাথে সবাই হাতে তালি দেয় …এদিকে আরিয়ান খান সামিরা কে পরানোর রিং টা নিয়ে আগুনের হাতে দিয়ে সামিরা কে পড়াতে ইশারা করে আগুন মুচকি হেসে সামিরার হাত ধরতে বাড়ির সব লাইট এক সাথে অফ হয়ে যায়
—” ড্যাড কি হলো লাইট সব একসাথে অফ হয়ে গেলো কেন..?”(সামিরা)
—” সামিরা মামুনি গিভ মি টু মিনিটস আই উইল চেক ইট ..”(আরিয়ান খান)
আরিয়ান খান ফোনের ফ্লাস জ্বালাতে যাবে ঠিক সে সময় সব লাইট জ্বলে ওঠে …… লাইট জ্বলে উঠতে দেখে সামিরা খুশি হয়ে যায় এটা ভেবে আগুন এখন ওকে রিং পড়াবে কিন্তু সামিরা সামনে তাকিয়ে দেখে আগুনের জায়গায় সারবেন্ট ওর হাত ধরে দারিয়ে আছে ….. সামিরা রেগে গিয়ে হাত ছাড়িয়ে সারবেন্টের গালে থাপ্পোর মেরে বসে……
—” হাউ ডেয়ার ইউ টু টার্চ মি …?” হয়ার ইজ ফায়ার …??”(চিৎকার করে বলে উঠলো সামিরা)
—” ম্যাম আই ডোন্ট নো… হি সেইড মি আই স্টে দেয়ার এন্ড আই হোল্ড ইউর হ্যান্ড…”(ভয়ে ভয়ে বললো সারবেন্ট )
—-” গেট লস্ট ইউ রাসকেল..”(আরিয়ান)
—” আঙ্কেল আজ যেটা হলো তা একদম ঠিক হলো না ….আমি আগুন কে ছাড়বো না ..আজকের অপমান আমি ভুলবো না ….”(সামিরা)
আরিয়ান খান বুজতে পারলেন আগুন সবাই কে বোকা বানিয়ে চলে গেছে ৷ আরিয়ান খানের চোখে মুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট নাহ আরিয়ান সামিরা বা সাইমুন কে ভয় পাচ্ছে না ভয় পাচ্ছে কিং কে ……………
.
.
🍁
.
.
ফারহার বাড়ির ঠিক একটু দুরে গাড়ি থামায় মেঘ …ফারহা পুরো রাস্তা জুড়ে আড়চোখে মেঘ কে দেখে গেছে কয়েকবার মেঘের চোখে চোখ পরলে ফারহা অন্যদিকে দৃষ্টি ঘুড়িয়ে ফেলে মেঘ ফারহার এই আড় চোখে তাকানো টা বেশ আনন্দ পায় …. কিন্তু ফারহার সাথে গাড়িতে একটা কথাও বলে নি মেঘ ….
—” ফিরে যাবে আমার সাথে…?”(মেঘ)
—” ম,,,মানে কোথায় …!!!”(ফারহা)
—” নাহ পাচঁ মিনিট আগে তোমার বাড়ির সামনে গাড়িতে বসে আছি সে দিকে কি খেয়াল আছে প্রেয়সীর …??”(মেঘ)
ফারহা আশে পাশে তাকিয়ে দেখে সত্যি ওর বাড়ির সামনে …ফারহা বেশ লজ্জা পেয়ে যায় ,,,আজ প্রথম বার ফারহা মেঘের সামনে লজ্জা পাচ্ছে কেন তা ফারহা নিজেও তা জানে না … মেঘের দিকে না তাকিয়ে দরজা খুলতে যাবে তখনি খেয়াল করে গাড়ি ভিতর থেকে লক ..ফারহা মেঘের দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকাতে মেঘ ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে শিশ বাজাতে লাগলো …ফারহা মেঘের এই ডোন্ট কেয়ার ভাব দেখে মনে মনে বেশ রাগ হলো…….” সালা রাক্ষস দেখ গাড়ি লক করে কি সুন্দর করে শিশ বাজিয়ে যাচ্ছে …. আমি যে পাশে বসে আছি তা রাক্ষস টার কোন খেয়াল আছে হু….”
মেঘ আড় চোখে তাকিয়ে দেখে ফারহা চোখ মুখ কুচকে তাকিয়ে আছে ওর দিকে মেঘ ফারহার এই বিরক্তি ফুটে ওঠা মুখটা আদর করার ইচ্ছে দমিয়ে রাখতে না পেরে ফারহার গাল দুটো ধরে ফারহার ঠোট জোড়া নিজের ঠোটের আয়ত্তে নিয়ে ফারহার ঠোটের স্বাদ নিতে লাগলো এদিকে মেঘের এমন আক্রমনের জন্য ফারহা মটেও প্রস্তুত ছিলো না …. মেঘের এমন কান্ডে ফারহার চোখ দুটো ছানা বরা হয়ে যায় পরক্ষনে ফারহার চোখ দুটো বুজে আসে ….দশ মিনিট পর মেঘ ফারহার ঠোট জোড়া ছেড়ে দিয়ে কপালে আলতো করে চুমু দিয়ে জরিয়ে ধরে …. আজ ফারহা কেন যেন ইচ্ছে করছে না মেঘ কে সরিয়ে দিতে ওর এই স্পর্শ যেন শরীলের রন্দ্রে রন্দ্রে বিদ্যুৎ তের গতিতে ছড়িয়ে পরছে …মেঘ ফারহার অবস্তা বুজতে পেরে ফারহা কে ছেড়ে দিয়ে গাড়ির লক খুলে দিলো ফারহা এক সেকেন্ড ও না বসে দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে বাড়িতে ঢুকে গেলো ……এদিকে মেঘ মুচকি হেসে গাড়ি ঘুড়িয়ে বেরিয়ে গেল…….ফারহা মেইন ডোর দিয়ে ভিতরে ঢুকতে দেখে ড্রইং রুমের সব লাইট অফ অথচ ড্রইং রুমের লাইট সব সময় জ্বালিয়ে রাখে মোহনা ….
—” আশ্চর্য কি হলো আজ সব লাইট অফ কেন ..?? হয়তো জ্বালাতে ভুলে গেছে ..আমি বরং রুমে চলে যাই…”(ফারহা)
ফারহা রুমে এসে দরজা বন্ধ করে ধুম করে বিছানায় শুয়ে পরে .চোখ বন্ধ করে আজ সারাদিনের কথা ভাবতে থাকে ফারহা…
—” আচ্ছা রাক্ষস টা যখন আমাকে এক্সিডেন্ট থেকে বাচিয়ে ছিলো তখন মে বি রাক্ষসটা কাদছিলো..!! কিন্তু কেন..?? আর আজ এতো লজ্জা পাচ্ছিলাম কেন এই বজ্জাত রাক্ষসটাকে দেখে আর তখন তো……. কিস য়ের কথা ভাবতেই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেললো ফারহা……আজ কেন যেন এই বজ্জাত রাক্ষস টাকে ফারহার খুব ভালো লাগছে …আজ ওর ছোয়া টা খারাপ লাগে নি কিন্তু কেন ??? ভাবতে থাকে ফারহা ….
.
.
🍁
.
.
—” ভাই তুই রেডি ..??”(মোহনা)
—” একদম আমি তো তোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম এতো দেরি করলি কেন..??”(ফাহিম)
—” কিছুক্ষন আগে ফারহা আসলো তাই আসি নি ..”(মোহনা)
—” কোথায় গিয়েছিলো মেয়েটা জানতে চেয়েছিস ..?”(কড়া গলায়)
—” জাহান্নামে যাক ও তাতে আমার কিছু যায় আসে না ভাই ৷ ওর ফেরার অপেক্ষা করছিলাম যাতে আমাদের বের হবার পর কেউ খুজতে না আসে ..”(মোহনা)
—” তারপর ও ওর উপর তোর নজর রাখা উচিত ছিলো মোহনা … কখন কি হয়ে যায় বলা যায় না ..আর মেঘ কে আমি এক বিন্দু বিশ্বাস করি না … ও সুযোগ পেলে মুহূর্তে আমাদের ধংস করে দিবে আমি নিশ্চিত …”(ফাহিম)
—” তার আগে আমি ওকে শেষ করে দিবো কিন্তু আশিক কে এই সময় আমার পাশে থাকাটা খুব জরুলি ছিলো..”(মোহনা)
—” সময় হলে ও তোর পাশে থাকবে মোহনা এখন চল নয় তো দেরি হয়ে যাবে….”(ফাহিম)
—” হ্যা চলো কিন্তু বাহিরে তো বৃষ্টি পরছে তুই রেইনকোট টা নিয়ে নিস…”
—” হুম চল …”
ফাহিম রেইনকোট নিয়ে মোহনা কে নিয়ে বেরিয়ে পরলো রাতের আধারে …এদিকে ফারহা চেন্জ করে এ্যাস কালার প্লাজু সাথে কালো গেন্জি পরে বের হয় ওয়াসরুম থেকে ..জানালা দিয়ে দেখতে পায় বাইরের তুমুল বৃষ্টি ফারহা ছুটে গিয়ে বেলকনিতে দারিয়ে হাত বারিয়ে হাতের তালুতে বৃষ্টির পানি বন্দি করতে লাগলো ….চোখে মুখে খুশির ঝিলিক ….ফারহা কেন যেন এখন গান গান পাচ্ছে …বৃষ্টির পানি হাতের তালুতে বন্দি করতে করতে ফারহা গান ধরলো…….
🍁মেঘের পালক চাঁদের নোলক 🍁
🍁কাগজের খেয়া ভাষছে🍁
🍁 বুক ধুকপুক চাদঁ পানা মুখ 🍁
চিলে কোঠা থেকে হাসছে
🍁মেঘে বাড়িতে ভেজা ভেজা পায় তাথৈ তাথৈ বর্ষা🍁
🍁কাক ভেজা মন জল থৈ থৈ রাত্রির হল ফর্সা🍁
🍁আমি তুমি আজ একা কার হয়ে🍁
🍁 মিশেছি আলোর বৃত্তে🍁
🍁মমচিত্তে নিতে নৃত্তে কে যে নাচে 🍁
🍁মেঘের পালক চাদের নোলক🍁
🍁কাগজের খেয়া ভাষছে….🍁
ফারহা বৃষ্টির পানি হাতে গান গাওয়া মেঘ তার ফোনের স্কিনে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে …. মেঘের এখন ইচ্ছে করছে ছুটে গিয়ে তার শরীলের আত্তা প্রেয়সী কে আদরে আদরে ভরিয়ে দিতে কিন্তু প্রতিশোধের নেশায় মেঘ তার প্রদম্র ইচ্ছে কে দমিয়ে রেখে মোহনা আর ফাহিমের পিছু নিচ্ছে মেঘ….কাউ কে বিশ্বাস করতে পারছে না মেঘ তাই আজ নিজে মোহনা যে কিনা এক সময় তার ফুফিমা ছিল তাকে ফলো করতে হচ্ছে … মেঘ ফোনের স্কিনে ফারহা প্রতিবিম্ব টাকে চুমু দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে গেল ……
.
.
🍂
.
.
—” আপু তুই কি ঘুমিয়ে পরেছিস…??”(দরজায় নক করে বললো আদিল)
—” আদিলের গলা শুনতে পেলাম মনে হলো ..এতো রাতে হঠাৎ ”
বেলকনি থেকে রুমে এসে দরজা খুলে দিতে আদিল হুর মুর করে রুমে ঢুকে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দিলো…ওর কান্ড দেখে অবাক হচ্ছি কারন ও সাধারনত এমনটা কখনো করে না তবে আজ কেন ?? আমি আদিল কে দিকে প্রশ্ন ছুড়তে যাবো তার আগে আদিল আমাকে জরিয়ে ধরে হু হু করে কেঁদে উঠলো ওর কান্না দেখে বুকে ভিতর কেমন যেন এক মোচর দিয়ে উঠল … যে ভাই সারাক্ষন পিছে লেগে থাকে ..কারনে অকারনে ঝগড়া করে ইভেন আমার ভাগের খাবার ছিনিয়ে খেয়ে ফেলে কখনো মিষ্টি কথা মুখ থেকে বের হইনি তার আজ হলো কি …??” ফারহা আদিলের কান্না দেখে ফারহা হতবম্ব হয়ে দারিয়ে রইল ….কিছুক্ষন পর আদিল ওর কান্না থামিয়ে ফারহা কে বিছানায় বসিয়ে ফারহার কোলে মাথা রাখে আদিল…..
—” আপু মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দিবি..??”(আদিল)
আমি কোন কথা না বলে আদিলের চুলে বিলি কাটতে লাগলাম … আদিল আবার চোখ মুছে শুয়ে শুয়ে বলতে লাগলো ……
—” তুই যদি কখনো জানতে পারিস তোর কাছের লোকেরা তোকে সব চাইতে ধোকা দিয়েছে ৷ তখন কি তুই আমাকে ভুল বুজবি আমি তাদের সন্তান বলে…??”(আদিল)
—-” এই সব কি বলছিস তুই কে ধোকা দিবে আমায় !! আর আমি তোকে ভুল বা বুজতে যাবো কেন!! কি সব উলটা পালটা কথা বলছিস তুই??”(ফারহা)
—” আপুরে দুনিয়া টা সত্যি খুব খারাপ সম্পত্তির লোভে নিজের কাছের মানুষদের ও শেষ করতে দুবার ভাবে না …তোর হয়তো আমার এই কথা গুলো পাগলের প্রলাব বলে মনে হবে কিন্তু আমি যা বললাম তার প্রত্যেকটা কথা সত্যি…একদিন তুই বুজতে পারবি আমার এই কথার মানে…”(আদিল)
আদিল ফারহার কোলে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে ফারহা কে প্রশ্ন করে ….
—” আপু তুই নাকি মামুর ছেলে রাহুলদা কে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিস..??”(আদিল)
—” আদিল তুই ভালো করেই জানিস আমি কখনো মামুনির কথার অবাধ্য হইনি ……আর আজ কেন অবাধ্য হবো???”(ফারহা)
—” আমি জানি তুই রাহুলদা কে বিয়ে করতে চাস না কারন তোর মনে অলরেডি অন্য কেউ ঢুকে বসে আছে…”(চোখ বন্ধ করে বললো আদিল..)
আদিলের কথা শুনে ফারহা বেশ নরে চরে বসলো …” ইয়ে মানে আদিল জানলো কি করে যে ওই রাক্ষস টকে আমি একটু একটু রাক্ষসটাকে পছন্দ করতে শুরু করেছি…” ফারহা ওর ভাবনার জগত থেকে ছিটকে পরলো হাতে চিমটি খেয়ে ….
—” আহা হচ্ছে টা কি আদিল তুই হাতে চিমটি কাটলি ক্যান..”(রেগে বললো ফারহা)
—” তা কি করবো শুনি ..?? তোকে কখন থেকে ডাকছি আর তুই আছিস পরে তোর ভাবনার জগতে …”(আদিল)
—” তাই বলে হাতে চিমটি কাটবি বিয়াদপ ছেলে বড় বোনের সাথে এতো মসকড়া কেউ করে ..”(নাক ফুলিয়ে )
আদিল ফারহার কথায় না রেগে ফারহার নাক ধরে টান মারে সাথে সাথে ফারহা ওমা বলে চিৎকার করে উঠল….
—” হারামি কুত্তা.. হনুমান …ছাগল বিলাই ..গন্ডারের লেজ. হাতির শুর, মহিশের দাঁত হলুদ কুমির ,, নীল গিরগিটি,,, লাল গরু ,,, সজারু….বাকিটা বলার আগে আদিল ফারহার মুখে টেপ লাগিয়ে দেয়…
—” নে বল আর কি কি বলবি..? আল্লাহ এইটা মেয়ে নাকি অন্যকিছু কি সব বকা দিয়ে গেল সব মাথার উপর দিয়ে গেছে…” (আদিল)
ফারহা মুখ থেকে টেপ টা খুলে ফেলে দিয়ে আদিলের দিকে অগ্নি দৃষ্টি দিতে আদিল ছুটে রুম থেকে বেরিয়ে যায় …. ফারহা আদিল কে ওভাবে বেরিয়ে যেতে হাসি তে ফেটে পরে …. পাগল একটা…….
.
.
🍁
.
.
মেঘের সামনে হাত পা বাধা অবস্তায় বসে আছে এরিক ,,,,মেঘ এরিকের দিকে আগুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ,,,, মেঘের ইচ্ছে করছে এই মুহূর্তে এরিকে কলিজা টা টেনে বের করে ওর হায়নাদের খাওয়াতে কিন্তু মেঘ তা না করে এরিকে দিকে তাকিয়ে হাতের ধারালো ছুড়িটা হাতে ঘুড়াতে থাকে ,,,তা দেখে এরিক মেঘের দিকে ঘৃনা ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলতে লাগলো…….. ……
.
.
.
#চলবে………………………..🐸🐸
(বিঃদ্রঃ আজকের পার্টটা হয়তো তেমন একটা ভালো হয়নি ৷লেখার ইচ্ছে ছিলো না তারপর ও দিলাম ভুল ট্রুটি হলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি)