হিংস্র_ভালোবাসা🌹 #Season_2 #Writter_Farhana_Chobi #পর্ব-৩০ .

0
769

#হিংস্র_ভালোবাসা🌹
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৩০
.
🍁
.
—-” কিহ বলছেন কি আঙ্কেল আগুন বি ডি তে আপনার বসের কাছে বন্দি ..??”(সামিরা)

—” হ্যা সামিরা আমার মা মরা ছেলেটা বোধ হয় আমার জন্য শেষ হয়ে যাবে…”(কাদতে কাদতে বললো আরিয়ান খান )

—” প্লিজ আঙ্কেল কাদবেন না ,,আমি যাবো আপনার সাথে বিডি তে …. আগুন কে আপনার কাছে ফিরিয়ে আনবো …”(সামিরা)

—” মা সামিরা তুমি যে কথা টা বললে তাতে আমি খুশি কিন্তু তুমি কখন পারবে না আগুন কে কিং য়ের হাত থেকে বাচাতে … তিনি এক ভয়ঙ্কর মানুষ ..যার কাছে বাঘ শিংহ হায়না কুমির পোষ মানতে বাধ্য হয় আর মানুষ হা…”(আরিয়ান খান)

—” আঙ্কেল আমার উপর আপনি প্লিজ বিশ্বাস রাখুন আর সবটা প্রথম থেকে খুলে বলুন সবটা আমার জানা জরুরি…”(সামিরা)

—” ঠিক আছে মা তুমি যখন সব টা জানতে চাইছো তাহলে শোন …….

আরিয়ান খান শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সামিরা কে বলে শুধু মাত্র মেঘের ভয়ঙ্কর রুপের কথা আড়াল করে গেল আরিয়ান খান……..

—” ডোন্ট ওয়ারি আঙ্কেল আমি আগুন ফিরিয়ে আনবো সাথে ফারহা কেও আমি আগুন আর ফারহা কে এক করেই ছাড়বো…”(সামিরা)

—” জানি না মা তুমি কতোটা কি করতে পারবে কিন্তু ফারহা আর আগুন কে কখনোই তুমি ওদের এক করতে পারবে না…”(আরিয়ান খান)

—” যাষ্ট ওয়েট আঙ্কেল দেখুন আমি কি করি…”(সামিরা)
.
🍁
.
—” উফফ এই ভারি লেহেঙ্গা পরে আর কতোখন থাকতে হবে .?? বিরক্তি কর ….”(ফারহা)

—” জিজু না আসা পর্যন্ত তোকে এই ড্রেসে থাকতে হবে বুজছিস … কিন্তু আমরা ভাবছি অন্য কথা আজ কি জিজু টি টুয়েন্টি খেলবে নাকি স্লো বল মারবে বুজতে পারছি না..??”(তিন্নি)

—” তিন্নির বাচ্চা এই সব কি বলছিস তুই .. লজ্জা সরম কি ভাতের সাথে মিশিয়ে খেয়েছিস হারামি…”(রেগে বললো ফারহা)

—” শোন আমি যা বলি সরাসরি বলি এমন পিন পিন করে কথা বলতে পারি না বুজছিস…”(মুখ ভেঙ্গিয়ে বললো তিন্নি)

—” তেলাপোকার বাচ্চি তোর একদিন কি আমার একদিন দারা …” ফারহা ভারি লেহেঙ্গা দু হাত দিয়ে ধরে তিন্নি কে পুরো রুমে দৌড় করাতে থাকে ….

এতোক্ষন ইভা চুপ করে থাকলে ও এবার আর চুপ করে থাকতে পারলো না কারন ওর সামনে স্বয়ং মেঘ দারিয়ে আছে……..

—” জি,,,জিজু আপনি..?”(ইভা)

ইভার মুখে জিজু নাম টা শুনে ফারহা তিন্নি থেমে গেল এদিকে মেঘ ব্রু কুচকে ইভাকে প্রশ্ন করল…..

—” তো শালীকা এখন এখানে কার থাকার কথা ছিল ..?? আর তোমরা এখানে নিশ্চয় তোমার বান্ধুবির বাসর করা দেখার জন্য এসেছো..??”

—” এমা ছিঃ ছিঃ কি বলছেন আমরা কেন আপনাদের বাসর করা দেখবো …তিন্নি আমি গেলাম….তুই আয়….” ইভা মেঘের ভয়ে তারাতারি রুম থেকে বেরিয়ে গেল…কিন্ত তিন্নি পরলো মহা বিপদে ..

—” জিজু আপনি এতো তারাতারি আসবেন বুজতে পারিনি …আপনি বসুন আমি এখন আসি…”(তিন্নি দ্রুত কেটে পরলো)

তিন্নি ইভা চলে যেতেই মেঘ হু হা হা করে হাসতে লাগলো … ফারহা পাগলের মতো মেঘ কে হাসতে দেখে ফারহা মেঘের দিকে ব্রু কুচকে বললো …..

—” এই যে মিস্টার রাক্ষস এভাবে পাগলের মতো হাসছেন কেন..??”(ফারহা)

মেঘ ফারহার কথা শুনে হাসি থামিয়ে দরজা টা বন্ধ করে …শেরওয়ানি খোলার জন বোতাম খুলতে থাকে…

—” ওহ মাই আল্লাহ এই রাক্ষস টা শেরওয়ানী খুলছে কেন ..?? তাও আমার সামনে..!!! ”

ভয়ে চোখ মুখ শুকিয়ে গেল ফারহার…. মেঘ খেয়াল করলো ফারহা কেমন ভয় ভয় চোখে ওকে দেখছে …মেঘ আর একটু মজা নেওয়ার জন্য শেরওয়ানীর বোতাম খুলতে খুলতে ধিরে ধিরে ফারহার দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো……

—“” এই রাক্ষস টা এভাবে আমার দিকে এগিয়ে আসছে কেন..??” এই আপনি এভাবে আমার দিকে এগিয়ে আসছেন কেন..??”(ফারহা)

—” কেন জানো না আজ আমাদের বাসর রাত প্রেয়শী…”(দুষ্টুমি হাসি দিয়ে)

—” বাসর রাত না বাস দেওয়া রাত “(বির বির করে)

মেঘ ফারহার কথা গুলো শুনতে পেয়েও না শোনার ভান করে বলে…..

—” কিছু বললে প্রেয়শী ..??”

—” ক কই না তো , আমি তো কিছু বলেনি..”(ফারহা)

—” তাহলে শুরু করা যাক..??”(চোখে মুখে দুষ্টুমি হাসি নিয়ে বললো মেঘ)

—” ক…কি কি শুরু করবেন..??”

—“ইসস কি ভয়টা না পাচ্ছে পাগলি টা ,,এখুনি মনে হয় কেঁদে দিবে”…… কেন আমাদের বাসর করবো তোমার সাথে “(মেঘ)

ফারহা এবার আর কান্না আটকাতে পারলো না ভ্যা ভ্যা করে কেদে দিলো ,,,তা দেখে মেঘ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল……

—” এটা কি হলো প্রেয়শী সত্যি ভয় পেয়ে কেদে দিলো..!!!”(অবাক হয়ে )

ফারহার কান্নার বেগ যেন দ্বিগুন বেরে গেল … মেঘ ফারহা কে বুকের সাথে চেপে ধরে …..

—” রিল্যাক্স প্রেয়শী আমি কিচ্ছু করবো না আমি তো তোমার সাথে মজা করছিলাম ….রিল্যাক্স কেদো না কাদলে তোমাকে এত্তো কিউট লাগে যে তোমাকে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে ,,, এখন চয়েজ ইট’স ইউর’স… কি করবে কান্না থামাবে নাকি আমি……”(মেঘ)

—” এই না না প্লিজ আমাকে খেয়ে ফেলবেন না ,,এখনো তো আমার গলু মলু কে দেখা হলো আর না আমা নাতি নাতনিদের সাথে গল্প করা হলো .. প্লিজ আমার শখ গুলো পূরন করে নি তারপর না হয় খাবেন…”(কান্না থামিয়ে বললো ফারহা)

—” ওয়াট ! ওয়াট ডিড ইউ সে গলু মলু নাতি নাতনী ,,,লাইক সিরিয়াসলি প্রেয়শী …হা হা হা বাট তোমার এই শখ পুরন করতে হলে তো আমার সাহায্য লাগবে তোমার….”(মেঘ)

—” আপনার সাহায্য কেন লাগবে হুম কারোর সাহায্য চাই না আমার আমি একাই যথেষ্ট আমার ইচ্ছে পূরন করার জন্য…..”(মেঘের বুক থেকে মাথা তুলে বললো ফারহা)

ফারহার বাচ্চামো কথা গুলো শুনে মেঘ আর পেটে হাসি চাপিয়ে রাখতে পারলো না হু হা হা করে হেসে উঠল … ফারহা মেঘ কে হাসতে দেখে বুজতে পারলো ও কি বলে ফেলেছে মেঘ কে … ফারহা লজ্জায় মুখ তুলে তাকাতে পারছে না মেঘের দিকে …. এদিকে মেঘ ফারহা কে লজ্জা পেতে দেখে মেঘের ইচ্ছে হলো তার প্রেয়শী কে আর একটু লজ্জা দেওয়া যাক….

— ” তাহলে যাওয়া যাক প্রেয়শী ..?”(মেঘ)

—” কোথায়..??”(ফারহা)

—” কেন তোমার শখ গুলো পূরন করতে…”( শয়তানি মার্কা হাসি দিয়ে)

ফারহা এবার সত্যি ভিষন লজ্জা পেয়ে গেল …. মেঘ ফারহার কাছে গিয়ে আলতো করে ফারহার লজ্জায় লাল হয়ে গালে চুমু খেলো … .. হঠাৎ মেঘের চুমু দেওয়ায় ফারহা যেন ফ্রিজড হয়ে গেল….. মেঘ শরীল থেকে একটা একটা গহনা খুলে দিতে লাগলো…. কানের দুল খোলার সময় মেঘ ফারহার কানে চুমু দিয়ে .. ফারহার গলায় গাঢ় কাল তীল টায় গভীর ভাবে চুমু দিতে থাকে … ফারহা মেঘের ছোয়া পেয়ে আবেশে চোখ বন্ধ করে মেঘের স্পর্শ অনুভব করতে থাকে…. মেঘ ফারহার গহনা খুলে ফারহা কে কোলে তুলে নেয় … ফারহা লজ্জায় মেঘের বুকে মুখ লুকায় …….. মেঘ ফারহা কে বেডে শুইয়ে দিয়ে ফারহার গলায় মুখ গুজে বলে…….

—-” আই নো প্রেয়শী ইউ লাভ মি সো ম্যাচ ,, বাট ইউ ডোন্ট এক্সপ্রেস ইউর ফিলিংস ,,, ইউ ফিল শাই… বাট আই ডোন্ট শাই …সো মে আই…”

—-” ইসস আমি কেন রাক্ষস টা কে বাধা দিতে পারছি না … রাক্ষসটার প্রত্যেকটা স্পর্শে যেন ভালোবাসার মিশে আছে …..পারছি না এই ভালোবাসা কে উপেক্ষা করতে …. হয়তো এটাই আল্লাহ পবিএ কালামের শক্তি ……..

ফারহা কে চুপ থাকতে দেখে মেঘ বুজতে পারলো চুপ থাকাই সম্মতির লক্ষন….. মেঘ মুচকি হেসে ফারহা কে নিজের এতোটা কাছে টেনে নিলো যে একে অপরের নিশ্বাসে শব্দ শুনতে পাচ্ছে …….মেঘের এতো বছরের ভালোবাসা তাদের এই পবিত্র সম্পর্কের মধ্যেমে ভালোবাসা কে পূর্নতা দিতে লাগলো … … যার মধ্যে শুধুমাত্র ভালোবাসা বিদ্যমান …. ফারহার ভালোবাসার অথৈ জলে ডুবে গেল মেঘ ……..
.
🍁
.
—-” নায়য়য়য়য়য়য়য়য়য়য়য়া ফারহা শুধু আমার আর কারো নয় … কিং আমি তোকে ছাড়বো না … আমার ভালোবাসা কে আমি আমার করেই ছাড়বো … হোক না বেকা পথে কিন্তু আমি ফারহা কে আমার করেই ছাড়বো আই প্রমিস ইউ…..”(আগুন)

—” বাহ স্বপ্ন দেখা ভালো কিন্তু জেগে স্বপ্ন দেখা মটে ও ভালো না মিস্টার আগুন খান সে স্বপ্ন কখনো পূরন হয় না..”(আসলাম)

—-” কিন্তু আমি আমার স্বপ্ন পূরন করবো মিস্টার কিংয়ের চামচা..”(আগুন)

আগুনের মুখে কিংয়ের চামচা শুনে আসলাম ক্ষেপে যায় … খাচার সাথে বাধা দরি টা কিছু টা ঢিল করে দিতে ঝুলন্ত খাচা ধিরে ধিরে পুলে পরে যেতে নেয় সাথে সাথে পুলে থাকা ব্লাক ডাইমন্ড আগুন কে ছিড়ে খাওয়ার জন্য লাফা লাফি করতে থাকে কিন্তু আগুন খাচার ভিতরে থাকায় ব্লাক ডাইমন্ড আগুন কে ছুতে ও পারলো না কিন্তু আগুনের তেজ ভাঙ্গতে সময় লাগলো না …আগুনর চোখে মুখে মৃত্যুর ভয় ভেষে উঠল…..

—” প্লিজ আমাকে বাচান ,,কুমির গুলো আমাকে খেয়ে ফেলবে … প্লিজ মিস্টার আসলাম আমাকে বাচান….”( ভয়ে বললো আগুন)

আগুনের চোখে মুখে মৃত্যুর ভয় দেখে আসলামের ভিষন ভালো লাগছে .. বিশেষ করে ওর নাম ধরে ডাকায় …আসলাম আবার দরি টেনে ধরে আগুন কে উপরে ঝুলিয়ে দিল……..

—-” নেক্টস টাইম আমাকে চামচা বলার আগে একশ বার ভেবে নিস নাহলে এখন তো যাষ্ট টেইলার দেখালাম তখন পুরো সিনেমা দেখিয়ে দিবো…”(আঙ্গুল দিয়ে শাসিয়ে বললো আসলাম)
.
🍁
.
আরিয়ান খান আর সামিরা রাত দুটোর ফ্লাইটে বিডি তে ব্যাক করে …

—” আঙ্কেল আপনি রুমে রেস্ট করুন আমি একটু বাইরে থেকে আসছি…”(সামিরা)

—“ওয়াট কি বলছো সামিরা এতো রাতে তুমি বাইরে যাবে মানে আর মাত্র তো আমরা বাড়িতে আসলাম তার থেকে বড় কথা তুমি তো বাংলাদেশে আসো নি কখনো..পথ ঘাট তো কিছু চিনো না…?”(আরিয়ান খান)

—” নো আঙ্কেল আপনি হয়তো জানেন না আমি বাংলাদেশে কয়েকবার এসেছি এখানকার অনেক কিছুই আমি চিনি আপনি চিন্তা করবেন না ৷”(সামিরা)

—” কিন্তু মা রাত বিরেতে তোমার যদি কোন বিপদ হয় তাহলে তোমার বাবা কে আমি কি জ্ববাব দিবো…”(আরিয়ান)

—” আঙ্কেল প্লিজ আজ এখুনি মার বের হওয়াটা জরুড়ি আমাকে আর বাধা দিবেন না প্লিজ..”(সামিরা)

আরিয়ান কে বলার আর সুযোগ না দিয়ে সামিরা দ্রুত হ্যান্ড ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যায়………….
.
🍁
.
— “আদিল ….”(তিন্নি)

—” জ্বি আপু কিছু বলবেন..??”(আদিল)

—” নাহ তেমন কিছু না তোকে দুর থেকে বাইরে দেখতে পেয়ে আসলাম… এখানে এতো রাতে কি করছিস???”(তিন্নি)

—” তেমন কিছু না আপু ,, ঘূম আসছিলো না তাই বাইরে হাটা হাটি করছিলাম…”(আদিল)

—“আচ্ছা রাত অনেক হলো রুমে যা গিয়ে ঘুমিয়ে পর ,,,এতো রাত জাগা ভালো না…”(তিন্নি)

— ” ওকে আপু…”

আদিল ভিতরে চলে যেতে তিন্নি যেন হাফ ছেড়ে বাচলো … গলার স্কাফ টা মুখে জড়িয়ে নিয়ে গেট দিয়ে বাইরে গেল তিন্নি…..
.
.
.
.
®️চলবে……………. 🖤🖤🖤

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here