হিংস্র_ভালোবাসা🌹 #Season_2 #Writter_Farhana_Chobi #পর্ব-৩৪

0
697

#হিংস্র_ভালোবাসা🌹
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৩৪
.
🍁
.
মেঘের বুকে চুমু দিয়ে ফারহা শক্ত করে জরিয়ে ধরে … আফিফ ইভা আদিল আসলাম মেঘ কে জরিয়ে ধরতে দেখে ওরা নিরবে কেবিন থেকে বেরিয়ে যায়……

মেঘ ফারহা কে বুকে পেয়ে যেন একটা সমুদ্র পরিমান পিপাশা মিটে গেল … ফারহা কে বুকে থেকে তুলে সারা মুখে চুমুর বর্ষন দিতে লাগলো মেঘ যেন কতো বছরের পিপাসা মিটাতে ব্যাস্ত মেঘ …. হঠাৎ করে ফারহা কে ছেড়ে দিয়ে মেঘ বসা থেকে উঠে দারিয়ে দরজার কাছে এসে দেয়ালে ঘুশি মারে …. মেঘের হঠাৎ এমন আচরনে ফারহা চমকে যায় ,,, ফারহা হাতের ক্যানেলা খুলে বেড থেকে নামতে যায় তখনি মেঘ সামনে তাকিয়ে বলে উঠলো …. “ডোন্ট ইউ ডেয়ার ফারহা….” মেঘের মুখে ফারহা নাম টা শুনে ফারহার হাত পা কাঁপা কাপি শুরু হয়ে গেল কারন মেঘ যখন অতিরিক্ত রেগে যায় তখনি মেঘ ফারহা কে প্রেয়শী না ডেকে ফারহা বলে ডাকে…… ফারহা ভয়ে পা তুলে বেডে চুপ করে বসে আছে কোন কথা বলছে না…… মেঘ হঠাৎ করে তেরে এসে ফারহার গাল চেপে ধরে বলে…..

—“তোর সাহস কি করে হয় আমার কথা অমান্য করার বল আন্সার মি ড্যাম ইট …”(জোড়ে চিৎকার করে বললো মেঘ)

ফারহা ভয়ে মুখ থেকে কোন শব্দ বের হচ্ছে না …. মেঘ এতো জোড়ে ফারহার গাল দু টো চেপে ধরেছে যে ফারহার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পরছে …..

—” কি হলো চুপ আছিস কেন বল আমার কথার অমান্য তুই করিস কোন সাহসে ?? তোর পাখনা গজিয়েছে তাই না ,,, তোর পাখনা আমি ছেটে দিবো যাষ্ট ওয়েট কর….”

মেঘ ফারহার গাল টা ছেড়ে দিয়ে বেরিয়ে যেতে নিলে আবার ফিরে আসে…..

—” আ’ম সরি প্রেয়শী তোমার এই অবস্তা দেখে মাথা ঠিক রাখতে পারি নি তোমাকে হার্ড করে ফেলেছি আ’ম সরি জান আ’ম রেইলি সরি …. ফারহা কে জরিয়ে ধরে কপালে চুমু দিয়ে বললো মেঘ….

—“আমি সরি ,,,আমার জন্য তোমাকে এতো কষ্ট সহ্য করতে হলো ,, তোমার বারন সত্যে ও আমি না বলে তিন্নির সাথে বেরিয়ে ছিলাম এটা আমার ঠিক হয়নি … আ’ম সরি রাক্ষস বর ….(মেঘ কে জরিয়ে ধরে মেঘের বুকে মাথা রেখে বললো ফারহা)

—” আর কখনো আমার কথার অবাধ্য হবে না প্রমিস কর….”(মেঘ)

—” আই প্রমিস ইউ ,,, তোমার কথার অবাধ্য আমি কখনো হবো না…”(ফারহা)

মেঘ ফারহা কে বেডে শুইয়ে দিয়ে ডক্টর নার্স কে ডাক দিতে তারা ভিতরে ঢুকে …..

—” ডক্টর আমার ওয়াইফ কে কবে হসপিটাল থেকে রিলিজ দিবেন…??”(মেঘ)

—” মিস্টার চৌধুরী আমরা ওনাকে আরো দুদিন অর্যাবেশনে রাখবো দেন ওনার রিপোর্ট গুলো নর্মাল দেখালে … তারপর ওনাকে রিলিজ করে দিবো…”(ডক্টর)

—” Thanks ডক্টর , “(মেঘ)

নার্স ফারহার হাতে ক্যানেলা লাগিয়ে দিয়ে বেরিয়ে যেতে ফারহা মেঘ কে কাছে ডাকে….

—” এই যে আমার রাক্ষস বর এদিকে আসুন…”(ফারহা)

—” হুম বলো..”(মুখ গমরা করে বললো মেঘ)

—” তুমি এখন এখান থেকে সোজা বাড়িতে যাবে তারপর ফ্রেস হয়ে খেয়ে ঘুমোবে রাতে আসবে আমার সাথে দেখা করতে ঠিক আছে..??”(ফারহা)

—” একদম না তুমি সুস্থ না হওয়া পযর্ন্ত আমি এক পাও নরবে না …”(মেঘ)

—” দেখ তোমাকে এরকম পাগলামি করায় মানাচ্ছে না ,,, কেমন যেন লাগে ,,আমার তো ওই আগের রাক্ষস বর টা কে পছন্দ এমন পাগল কে না ,,,,,,”(মজা করে বললো ফারহা)

—-” কিহ আমি পাগল তাহলে তুমি পাগলি হা হা হা…”(মেঘ)

—” ওকে মানলাম আমি পাগলি এখন তুমি আমার কথা শুনবে কি না বলো না হলে হতের ক্যানেলা গুলো একটানে খুলে ফেলবো আমি…”(ফারহা)

—” এই না না ক্যানেলা গুলো খুলতে গেলে তোমার হাতে লাগবে ,,, কষ্ট হবে তোমার ,,, আচ্ছা ঠিক আছে তুমি যা চাইছো তাই হবে .. আমি এখান থেকে সোজা বাড়িতে ফিরে ফ্রেস হয়ে খেয়ে ঘুমাবো… “(মেঘ)

—” দ্যাট’স লাইক এ্যা গুড রাক্ষস বর… “(ফারহা)

—” এ্যা গুড রাক্ষস বর !!!”

—” হ্যা আচ্ছা তোমার কাছে তো একটা কথা জানতে চাওয়া হলো না…??”(ফারহা)

— ” কি জানতে চাও …?”

—“তিন্নি কেমন আছে ওর কোথাও লাগে নি তো ..?? ও ঠিক আছে তো..?? সবাই আসলো আমার সাথে দেখা করতে শুধু ও এলো না কেন..??”(ফারহা)

ফারহার মুখে তিন্নির নাম টা শুনে মেঘ প্রচন্ড রেগে যায় কিন্তু ফারহা কে ওর রাগ টা বুজতে দিতে চায় না বলে …ফারহার ঠোটে আলতো করে চুমু খেয়ে আসি বলে বেরিয়ে গেল…..

—” এটা কি হলো জানতে চাইলাম তিন্নির কথা আর দিলো চুমু রাক্ষসটার মাথার তার গুলো কি সব ছিড়ে গেল নাকি রে বাবা..”(ফারহা)
.
.
.
🍁
.
.
.
—” তো তিনু বেবি কেমন লাগছে এখানে …?”(মেঘ)

—” জিজু ট্রাস্ট মি আমি ওই লোক গুলো কে চিনি না ওরা কারা তাও আমি জানি না …”(কাঁদতে কাঁদতে বললো তিন্নি)

—” আই নো দ্যাট ,ইউ উন্ট নো দ্যাট এট্যাক… বাট তুমি এর থেকে ও বড় অপরাধ করেছো তিনু বেবি..”(মেঘ)

—” মা,,,মানে কি,,,কি বলতে চাইছেন আপনি…… আল্লাহ প্লিজ সেইফ মি ,, জিজু কোন ভাবে সামিরার কথা জানতে পারলো না তো…?? তাহলেতো আমি শেষ..”( তিন্নি)

—-” ওহ বেবি ইউ নো দ্যাট ভ্যারি ওয়েল ,,আই ওয়াট টক এবাউট ইউ ..সো ড্রামা না করে ক্লিয়ারলি সব টা বলো ,,,,আদারওয়াইজ …….আমার হায়নাদের দুদিন ধরে অভুক্ত ইউ নো তিনু বেবি ..ওদের সামলে এখন যা পরে ওরা তাই ছিড়ে খেয়ে ফেলবে….”(মেঘ)

মেঘের কথা শুনে তিন্নি ভয়ে ঘামতে লাগলো .. হাত পা কাঁপছে … গলা শুকিয়ে আসছে ,,, মনে হচ্ছে এখুনি মরে যাবে ভয়ে…… তিন্নির এমন অবস্তা দেখে মেঘ শরীল কাপিয়ে হা হা করে হাসতে লাগলো…. মেঘের হাসি তিন্নির কাছে যেন ফাসির সমান লাগছে কি করবে কি বলবে তা তিন্নি নিজেও বুজতে পারছে না…….

মেঘ চেয়ার ছেড়ে দিয়ে উঠে দারিয়ে .. আসলাম কে বললো….

—” আসলাম আমার হায়নাদের খিদে মেটা ,,, আজ ওদের লান্চ তিনু বেবি হোক….”( গম্ভির গলায় বললো মেঘ)

—” নায়য়য়য়য়য়য়য়য়য়য়য়া জিজু আমি সব বলছি প্লিজ আমাকে মেরো না …”(ভয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললো তিন্নি)

—” নাহ তিনু বেবি ইউর টাইম ইজ আপ ,,, তোমার হাতে আর সময় নেই ,, রেডি হয়ে যাও আমার ইতু মিতুর (হায়না) লান্চ হওয়ার জন্য….”(মেঘ)

—” ভাইয়া প্লিজ আমাকে একটা সুযোগ দিন বিশ্বাস করুন আপনাদের ক্ষতি হোক এমন কিছু আমি করি নি আর ওই লোক গুলো কারা তা আমিও জানি না…(মেঘের পা ধরে বললো তিন্নি)

মেঘ তিন্নিকে নিচ থেকে হাত ধরে টেনে দার করিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলে……

—” আজ তোর জন্য আমি আমার প্রেয়শীকে হারাতে বসেছিলাম শুধু মাত্র তোর জন্য … এর শাস্তি তো তুই পাবি তিন্নি কঠিন শাস্তি পাবি ……. আসলাম ওকে অন্ধকার রুমে আটকে রাখ আর কোন খাবার বা পানি দিবি না আমি যতোক্ষন না বলছি…..”(মেঘ)

—“ওকে বস…”(আসলাম)

আসলামের আগে কেন যেন তিন্নির উপর মায়া কাজ করতো কেন তা হয়তো জানে না আসলাম কিন্তু ফারহার সাথে ঘটা ঘটনার পর তিন্নির উপর সেই মায়া টুকু আর কাজ করছে না আসলামের … হির হির করে হাত ধরে টানতে টানতে অন্ধকার রুমে আটকে রাখে তিন্নি কে … দরজার অপাশ থেকে তিন্নির কান্নার আওয়াজ ভেবে আসছে আসলামের কানে কিন্তু আসলাম ওটা কে পাত্তা না দিয়ে চলে আসে…….

মেঘ রুমে এসে একটা লম্বা শাওয়ার নিয়ে না খেয়ে ঘুমিয়ে পরে গতকাল রাতে না ঘুমানোর রেশ কাটাতে ঘুমিয়ে পরলো মেঘ …….. কতোক্ষন ঘুমিয়েছে মেঘ তা নিজে ও জানে না হঠাৎ একটা ফোন কলে ঘুম ভেঙে যায় মেঘের… একরাশ বিরক্তি নিয়ে কল রিসিব করে কানে নিতেই মেঘের ঘুম উরে গেল… দ্রুত রেডি হয়ে হসপিটালের উদ্দ্যেশ্য বেরিয়ে পরলো মেঘ…..

পুরো হসপিটালে মেঘ তান্ডোব চালিয়েছে ফারহা কে না পেয়ে …. ডক্টর নার্স ওয়ার্ড বয় ভয়ে জরসর হয়ে দারিয়ে আছে এক পাশে ,,,,, মেঘের দুপাশে দারিয়ে আছে আসলাম আর জ্যাক…. জ্যাক হসপিটালের সি সি ক্যামেরা বার বার চেক করছে যদি কোন ক্লু পায় ফারহা কে বা কারা তুলে নিয়ে গেল ….কিন্তু প্রতিবারি একি জিনিস দেখতে পেল জ্যাক মেঘ চলে যাওয়ার পর পর সব সি সি ফুটেজ অফ করে রাখা হয়েছে ইভেন হসপিটালের বাইরের সিসি ক্যামেরাও অফ ……. …

— ” বস আপনি হসপিটাল থেকে বের হবার পর পর সব সি সি ক্যামেরা অপ করে রাখা হয়েছে.. কোন ক্লু ছেড়ে যাই নি কে বা কারা ম্যাম কে তুলে নিয়ে গিয়েছে…”(জ্যাক)

কথাটা শোনা মাত্র মেঘ হাতের গানটা লোড দিয়ে ডক্টর নার্স ওয়ার্ড বয় গার্ডস দের সামনে হাটতে লাগলো মেঘ….

—” ডক্টর আপনি সত্যি টা বলবেন নাকি আমার গান বলবে ..??”(মেঘ)

—” স্যা,,, স্যার ট্রাস্ট মি আপনি যাবার পর আমি আর আমার নার্স মিসেস চৌধুরীর কপালের জায়গাটা ড্রেসিং করে দিয়ে চলে আসি তার আদঘন্টা পর মিসেস চৌধুরী কে মেডেসিন দিতে এসে নার্স ওনাকে বেডে না পেয়ে আমাদের তখনি ইনফর্ম করে … আমরা পুরো হসপিটালে চেক করেছি কিন্তু কোথাও মিসেস চৌধুরীকে পাই নি…”(ডক্টর)

ডক্টরের কথা শেষ হতেই মেঘের গান থেকে একটা বুলেট সোজা গার্ডের পায়ে গিয়ে ছুলো….গার্ড ব্যাথায় চিৎকার করে উঠলো …… ডক্টর গার্ডের কাছে যাবার সাহস পাচ্ছে না এদিকে গার্ড ব্যাথায় কুকড়ে যাচ্ছে ….

মেঘের চোখ মুখ থেকে যেন আগুন ঝরছে … ভিষন অস্বাভাবিক লাগছে মেঘ কে … জ্যাক আসলাম মেঘের সামনে দারিয়ে কথা বলার সাহস পাচ্ছে না….. রক্ত জবার মতো চোখ ,,, নাক কান মুখ লাল হয়ে আছে … এলোমেলো চুল পুরো বিদ্ধোস্ত লাগছে মেঘ কে …. হঠাৎ করে আসলামের ফোন টা বেজে ওঠে … আসলাম কল টা রিসিব করে ….

—“হ্যালো..”(আসলাম)

—“……..”

—” ওয়াট আমরা এখুনি আসছি..”(আসলাম)

কল কেটে সাহস করে মেঘের সামনে দারিয়ে আসলাম বলে……………
.
.
.
.
[বিঃদ্রঃ মেঘ ফারহার অতীত নিয়ে সবার কিউরিসিটি অনেক🙃 তবে আমার ও কিউরিসিটি কম না😁 তবে এতো সহজে অতীত টা সামনে আসলে আর মজা কোথায় 🤔ধামাকার সাথে অতীত আসলে মন্দ হবে বলে আমার মনে হয় না কি বলেন জনগন🙄🙄]

#চলবে…… 🍁…….🍁 …… 🍁

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here