হিংস্র_ভালোবাসা🌹 #Season_2 #Writter_Farhana_Chobi #পর্ব-৪৯

0
638

#হিংস্র_ভালোবাসা🌹
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৪৯
.
🍂
.
—“” প্রথমে মোহনা আশিকুরের ইতালিতে যাওয়া তার পরের ফ্লাইটে আমাদের যাওয়া ,,,, প্রোপার্টি নিয়ে কথা কাটা কাটি সব টাই ছিলো মমের প্লান …. আমরা তো মমের হাতের গুটি ছিলাম””(ফাহিম)

ফাহিমের মুখে কথা গুলো শুনে মেঘের চোখ মুখ কেমন যেন হিংস্রতার রুপ নিলো ,,,ফাহিমের গলা চেপে ধরে দাঁতে দাঁত চেপে মেঘ বলে ….

—-“” কোথায় আছে সে এখন বল..???””(মেঘ)

—“” আ,,,, আমেরিকা…. “””(ফাহিম)

মেঘ ফাহিমের গলা ছেড়ে দিয়ে ,,,হাতের পাশে থাকা লোহার রড টা নিয়ে স্ব জোড়ে ফাহিমের মাথার পিছুনে বারি মারে … সাথে সাথে ফাহিম জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে………. মেঘ পিছুনে ফিরে বলে……

—“”” আই’এম কামিং মিসেস জেরিন চৌধুরী ,,,, প্রতিশোধ নিতে আসছি আমি………””
.
.
.
মেঘ রেগে বাড়িতে এসে জিনিস পত্র এদিক ওদিক ছুড়ে মারতে থাকে,,,, ফারহা কে খুজে না পাওয়া ,,,নতুন করে জানতে পারা সব স্বরযন্ত্রের মূল কারিগর কে …. সব মিলিয়ে মেঘ তার রাগ সামলাতে পারছে না …. ইচ্ছে করছে পুরো দুনিয়াটা ধংস করে দিতে…… জ্বালিয়ে পুরিয়ে ছাড়কার করে দিতে ইচ্ছে করছে মেঘের ….

মেঘ লাগাতার ফারহার ফোনে কল করতে লাগলো কিন্তু প্রতিবারি ফোনের ওপাশ থেকে বার বার নট রিচেবল বলছে ,,,, মেঘের প্রচন্ড রাগ লাগছে ফোনের উপর …. মেঘ ফারহা কে আর কল না করে জ্যাক কে ফোন করলো……..

—-“”” জ্যাক “””

—“”” ইয়েস কিং “”

—“” আমি আমেরিকা যাচ্ছি ,,, আসলামের খেয়াল রাখবে… আর একটা দ্বায়িত্ব দিচ্ছি তোকে….”””(মেঘ)

—“”” আই নো কিং ,,, আপনি নিশ্চিন্তে আমেরিকা যেতে পারেন ,,,, আমি আসছি ডক্টর আজ আমাকে রিলিজ করে দিচ্ছে হসপিটাল থেকে…”””(জ্যাক)

—“”” গ্রেট ,, রাখছি…””(ডিসকানেক্ট করে দিল মেঘ)

—“” উফফ যাই আসলাম কে দেখে আসি ,,, তারপর তো চেন্জ করতে হবে….””(জ্যাক)
.
.
.
***পরের দিন……………….

আমেরিকার মাটিতে পা রাখলো ফারহা আর আগুন…..ফারহা আগুন কে নিয়ে এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে বাইরে দারাতে একজন পুরুষ আর একজন মেয়ে আর একজন ছেলে ওদের দিকে এগিয়ে আসলো ……

—“” হ্যালো ম্যাম হ্যালো স্যার ,,, আ’ম চেরি ,,,,”””(মেয়েটি)

—“” আ’ম ফারিশ ম্যাম স্যার…. “”(ছেলেটি)

–“” ফারহা এরা কারা ..??””(আগুন)

—“” এরা আমার লোক আগুন ,,, চলো যাওয়া যাক…””(ফারহা)

চেরি আর ফারিশ ফারহা আর আগুনের ব্যাগ দুটো নিয়ে গাড়ির ডিকিতে রেখে দেয়….. আগুন ফারহা গাড়িতে উঠে বসতে ফারিশ গাড়ি স্টাট দেয়…

—“” ফারিশ …!!””(ফারহা)

—“” ইয়েস ম্যাম,,,,আপনার কথা মতো সব ইনফরমেশন কালেক্ট করেছি আর আমরা এখন সেখানে যাচ্ছি !!””(ফারিশ)

—“” গ্রেট জব ফারিশ ,,, আমি এতোটাও এসপেক্ট করেনি তুমি এতো তারাতারি সব ইনফরমেশন কালেক্ট করতে পারবে….””(ফারহা)

ফারহার কথার প্রতি উওরে ফারিশ মুচকি হাসি দিলো মাত্র …. আদঘন্টা পর Opryland Resort চলে আসে … রিসিপশনে আসতে ম্যানেজার সাথে আরো স্টাপ এসে ফুলের বুকে দিয়ে ফারহা আগুন কে ওয়েলকাম জানাতে লাগলো …. ফারহা হাসি মুখে ফুলের বুকে টা নিয়ে ফারিশের হাতে দিলো….

—“” ম্যাম এই নিন আপনার রুমের কি আপনাদের রুম নাম্বার 1108,,,, আমাদের স্টাপ আপনাদের রুম টা দেখিয়ে দিবে ………””(ম্যানেজার)

—“” ফারহা উনি বাঙ্গালী ??””(ফিস ফিস করে বললো আগুন)

—“” হ্যা আগুন উনি বাঙ্গালী ইভেন এই হোটেলের সব স্টাপ রাই বাঙ্গালি…””(ফারহা)

—“” ম্যাম চলুন..”””

ফারহা রুমে যাবার আগে আগুন ফারহা খাতায় সাইন করে স্টাপের পিছু পিছু রুমে চলে যায়…
.
.
.
—“”” ফারহা আমরা একি রুমে কি করে থাকবো আর সাইন করার সময় দেখলাম আমাদের হাসবেন্ট ওয়াইফ যায়গায় সাইন করেছি বাট হুয়াই..??””(আগুন)

—“” কজ আমার শত্রুদের বোকা বানাতে আগুন ,,, “”

—“”” মানে কি বলতে চাইছো তুমি ?? আমি কিন্তু কিছুই বুজতে পারছি না..??”””(আগুন)

—“” লিসেন আগুন তুমি স্ব-ইচ্ছায় আমাকে হেল্প করার জন্য এসেছো তো আমি যা বলছি তুমি তাই করো আর প্লিজ এতো কোশ্চেন করো না ওকে!!! এটা যেহেতু রিসোর্ট তাই একটা রুমের সাথে দেখো আর একটা রুম এটার্চ আছে আমি ওই রুম টায় থাকবো তুমি এই রুমটায় থাকবে ইজ ইট ক্লিয়ার???””(ফারহা)

–“” ইয়েস,,(বাবা মেয়ে তো না যেন আগুনের গোলা নাহ আগুন ও এই মেয়েটার তেজের কাছে ফিকে পরে যাবে…..)

আগুন মনে মনে কথা গুলো বলতে বলতে ওয়াশরুমে চলে গেলো ফ্রেস হতে ,,, ফারহা সে সুযোগে চেন্জ করে নিয়ে ফোন টা অন করলো ……ফোন অন করতে মেঘের এক গাদা মেসেজ মিসড কল ভেষে উঠলো…. … ফারহা মেঘ কে কল ব্যাক করে কিন্তু ফারহা মেঘের ফোন অফ পেয়ে ফোন সাইলেন্ট করে রেখে লান্চ অর্ডার করে দিল………
.
🌿
🌺
🌿
.
—“” ম্যাম আপনার জন্য কেউ একজন মেসেজ দিয়েছে…””(এলিনা)

বলার জন্য হাত দিয়ে ইশারা করলো মিসেস জেরিন চৌধুরী …..

—“” ম্যা,,, ম্যাম যাস্ট এখানে লেখা আছে ,,, সি ইজ কামিং ,,গেট রেডি ফর ইউর ডেথ…”””
“” A “”

মেসেজ টা শুনে জেরিনের পা থেকে মাথা পর্যন্ত যেন কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে….. দোলনা থেকে উঠে দারিয়ে বার বার পাইচারি করছে মিসেস জেরিন…. জেরিন ভাবছে এই এতো বছর কখনো কোন প্রকার থ্রেট পাই নি ও বরং আমেরিকার হাইক্লাসের লোকেরাও তাকে ভয় পায় তোয়াচ করে চলে তাহলে কার এতো বড় সাহস যে ওকে থ্রেট করে..??? ভাবতে ভাবতে মিসেস জেরিনের মাথায় অদ্ভুত এক চিন্তা এসে হানা দেয় হুট করে এলিন কে জ্বিগাসা করে….

—“” এলিন আর রিসোর্টে কি নতুন কেউ এসেছে..???””(মিসেস জেরিন)

—“”” আই ডোন্ট নো ম্যাম ,,,””(মাথা নিচু করে বললো এলিনা)

—“” তাহলে সব টা জেনে আসো খোজ নেও আজ এই Opryland resort য়ে কার কার বকিং রয়েছে বা চেক ইন করেছে???””

—“”” ইয়েস ম্যাম ,,, “””

এলিন চলে যেতে মিসেস জেরিন ফাহিম কে ফোন করার জন্য কিন্তু যতোবার ফাহিম কে কল করছে ততোবার ফোন রিং হয়ে কেটে যাচ্ছে ,,,, মিসেস জেরিন এবার বেশ চিন্তিত হয়ে পরলেন ,,,, একে একে ফাহাদ ,, মোহনা,,, আশিকুর কে কল করলেন কিন্তু কেউ ফোন ধরলো না…. মিসেস জেরিনের কেন যেন এবার ওই থ্রেট টার কথা ভেবে বেশ ভয় করছে …. বয়স টাও বেরে যাওয়ার জন্য হাটা চলা করতেও বেশ কষ্ট হয় মিসেস জেরিনের ……তাই এলিনাকে তার সাথে রাখে সব সময় ,,,, মিসেস জেরিন লাঠি ভর দিয়ে কিছুটা এগিয়ে ব্যালকনিতে গিয়ে দারালেন…… ছেলে মেয়ে জামাই কে ফোনে না পেয়ে ভিতরে ভিতরে হাসঁফাস করতে লাগলো জেরিন……
.
🌿
🌺
🌿
.
দুপুর ঠিক ১:২০ মেঘ দারিয়ে আছে সেই রিসোর্টে যেখানে ফারহা আগুন জেরিন উঠেছে….অথচ মেঘ এখনো জানে না তার প্রেয়শী ও একি রিসোর্টে আছে…… মেঘের রুম টা ফারহার রুমের পাশের রুম টাই পরে 1109 ….

—“” হ্যালো কিং ,, ম্যামের খোজ পেয়েছি ,,,ম্যাম এই মুহূর্তে আমেরিকা আছে … আমি এয়ার লাইন্স থেকে সব ইনফরমেশন নিয়েছি…””(জ্যাক)

জ্যাকের কথা শুনে মেঘ গলার টাই টা হাত দিয়ে আলগা করে নিয়ে বসা থেকে উঠে দারায়….

—“” ওয়াট প্রেয়শী আমেরিকা আমাকে না জানিয়ে ?? ইমপসিবল..!!!””(মেঘ)

—“” নো কিং ,, আমি শিওর হয়ে আপনাকে জানিয়েছি ,,, ম্যাম গতকাল ফ্লাইটে বসেছিল ,,, আমি সিট লিস্টের ছবি পাঠিয়ে দিচ্ছি…..”””(জ্যাক)

মেঘ রাগে দাঁত কটমট করতে করতে কল টা কেটে দিয়ে ফারহা কে কল করতে লাগলো ,,,;ফারহার ফোন সাইলেন্ট থাকায় ফারহা বুজতে পারে নি ওর ফোন টা বাজছে ,,,, ফারহার ফোনের উপর আগুনের চোখ পরতে ফোনের স্কিনে রাক্ষস বর নাম টা জ্বল জ্বল করে উঠল…. এমন আজ গুবি নাম দেখে আগুন হেসে দিলো …. অন্য দিকে মেঘ রাগে কপালের রগ দুটো ফুলে উঠলো …. এই প্রথম বার ফারহার উপর মেঘের প্রচন্ড রাগ হচ্ছে …… আমেরিকায় আসাতে নয় ,,,মেঘের রাগের মূল কারন ফারহার প্রেগন্সি ,,, প্রথম তিন মাস ফারহা অতি সাবধানে থাকতে হবে এটা ডক্টর মেঘ জানিয়েছে ,,,ফারহার শরীলের অবস্তা অতোটাও ভালো না যে এই সময় প্লেনে জার্নি করবে…. বাচ্চা টার কথা ভেবেই মেঘের রাগ বারতে লাগলো…..

জ্যাক ফোনে ছবি টা পাঠিয়ে দিতেই … মেঘ লিস্ট টা ভালো করে দেখে নিলো …. মেঘ আবারো ফারহা কে কল করতে লাগলো কারন মেঘের উওর চাই ….

ফারহার একবার খেতে বমি করে দিলো আগুনের গায় ,,, আগুন প্রথমে মনে মনে রাগ হলে ও যখন ফারহার মুখে জানতে পারলো ওর প্রেগন্সির কথা তখন থেকে আগুন ফারহার প্রতি কেয়ারিং হতে লাগলো ,,, ফারহাকে ফ্রেস হতে সাহায্য করে নিজে শাওয়ার নিয়ে নিলো … তারপর আবার ফারহা কে অল্প কিছু খাওয়ার জন্য জোর করতে লাগলো ,,,,, ফারহা মেঘ কে মেসেজ করার জন্য ফোন হাতে নিতে দেখে মেঘের কল ,,, ফারহা দেরি না করে মেঘের রিসিব করে কানে ধরে……..
.
🌿
🌺
🌿
.

জ্যাক এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে আসলামের খোজ নেওয়ার জন্য হসপিটালে আসে … আসলামের কেবিনে ঢুকে দেখে কেবিন ফাকা জ্যাক টেনশনে পরে আসলাম কে কেবিনে না দেখতে পেয়ে …. জ্যাক ডক্টরের কাছে জানতে পারে আসলাম জোর করে বন্ডে সাইন করে নিজ দ্বায়িত্বে চলে গেছে ,,, এটা শুনে জ্যাকের মাথা খারাপ হয়ে যায় … ঠিক সে সময় জ্যাকের নাম্বারে একটা আননোন নাম্বার থেকে মেসেজ আসে …. মেসেজ টা দেখে জ্যাক আর একমুহূর্ত দেরি না করে গাড়ি নিয়ে ছুটে যায় আসলাম কে বাঁচাতে……….
.
🍂
.
#চলবে…………………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here