কহিনুর_দ্বিতীয়_খণ্ড কলমে:ইয়াসমিন পর্ব:১৬

0
668

#কহিনুর_দ্বিতীয়_খণ্ড
কলমে:ইয়াসমিন
পর্ব:১৬

সিঁড়ির পনেরো ধাপ পেরিয়ে যেতেই সুড়ঙ্গের রাস্তা শেষ হলো। সামনে অদ্ভুত ডিজাইন করা দরজা। জুবায়ের দরজাটা করে পর্যবেক্ষণ করে দেখলো বেশ বড় একটা তালা ঝোলানো রয়েছে দরজাতে। তবে অবাক করার মতো বিষয় হচ্ছে চাবিটা তালার সঙ্গে ঝুলছে। জুবায়ের শব্দ না করে তালা খুঁলে ভেতরে প্রবেশ করলো অধরা ওর পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। ভেবেছিল ভেতরটা অন্ধকার হবে কিন্তু না আবছা আলো বিদ্যামান। সামনে পরপর আরও তিনটা দরজা। জুবায়ের সাবধানে পা ফেলে প্রথম দরজা খুলে ভেতরে উঁকি দিয়ে দেখলো কিছুই নেই। দ্বিতীয় দরজার সামনে গিয়ে শিউরে উঠলো কারণ চেক করে আসা প্রথম কক্ষের ভেতরে চিৎকার চেচামেচি চলছে। অধরা জুবায়ের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিল ও দ্রুত পিছিয়ে গিয়ে দরজা খুঁলে দিলো। সামনে তাঁকিয়ে ওর বুক কেঁপে উঠলো। অসংখ্য মেয়েদের শরীরের কাঁ*টা অংশ ন*গ্ন অর্ধ ন*গ্ন হয়ে পড়ে আছে ফ্লোরে। কোনো অ*ঙ্গ একদম টাটকা লাফালাফি করছে। র*ক্তের ছড়াছড়ি। কি করুণ আর ভয়ংকর দৃশ্য। অধরা পিছিয়ে এসে জুবায়েরের বুকে মুখ ঢুবিয়ে দিলো। ওর শরীর মৃদু মৃদু কাঁপছে। জুবায়ের ওর মাথায় হাত রেখে শক্ত করে নিজের সঙ্গে জড়িয়ে নিয়ে ধপাস করে দরজা বন্ধ করে দিলো। হয়তো ওদেরকে ভয় দেখানোর জন্য কোনো চতুরতার চেষ্টা চলছে। জুবায়ের ফিসফিস করে বলল,
> ঠিক আছো? কিছু হয়নি আমি আছি। খারাপ লাগলে চলো যায়?
অধরা দ্রুত মুখ তুলে ভ্রু কুচকে ফেলল। নিজেকে ওর থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলল,
> একদম না। আমি ঠিক আছি। চলুন বাকিগুলো চেককরি।
জুবায়ের দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বলল,
> চলো তোমাকে দমানো কার সাধ্য?
অধরা ওর কথার প্রতিবাদ করলো না। ওর হাতটা নিজের মুঠোয় নিয়ে এগিয়ে গেলো সামনে। দ্বিতীয় কক্ষে গিয়ে আর চমকালো না কারণ এর থেকেও করুন দৃশ্য প্রথম কক্ষে দেখে এসেছে। এই কক্ষের ফ্লোরে ছড়িয়ে আছে মানুষের ক*ঙ্কাল আর মু*ণ্ডু। দেওয়ালে কিসব চিহ্ন দেওয়া আছে। জুবায়ের পকেট থেকে ফোন বের করে সবটা ভিডিও করে নিলো। একদম শেষ প্রান্তের কক্ষের দরজা ওরা খুঁলতে পারলো না। এখানে কোনো চাবি রাখা নেই। তবে ভেতর থেকে মেয়েলি কণ্ঠে ভেসে আসলো,

” বধির বোবার মুক্ত বাক্যে পাপী তাপি যাচ্ছে জ্বলে। উষ্ণ তরল মাখা শাণিত খঞ্জরে ভয় পাবি ক্ষণেক্ষণে”।

অধরা বিস্ময়কর দৃষ্টিতে জুবায়েরের দিকে তাঁকিয়ে আছে। জুবায়ের দরজায় ধাক্কা দিলো কিন্তু খুঁললো না তবে ভেতরের শব্দটা হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলো সেই সঙ্গে আগের মতো পিনপতন নীরবতা। জুবায়ের দরজায় লাথি দিলো সঙ্গে লাগাতার ধাক্কাধাক্কি তো আছেই। দরজা খুঁলছে না দেখে অধরা ওকে থামিয়ে দিয়ে বলল,
> ভেতরে কেউ আছে কিন্তু এভাবে দরজা খোঁলা সম্ভব না। অন্য কিছু ভাবতে হবে। লক খোলার জন্য চাবির প্রয়োজন। এখানেই সব রহস্যের সমাধান আছে।
> কিভাবে দরজা খোঁলা যাবে কিছুই তো হচ্ছে না। চাবি কার কাছে আছে ভাবো তো।

> এখন ফিরে চলুন এভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে ধরা পড়বো।
> এভাবে লক্ষ্যে পৌঁছনোর পরে ফিরে যাওয়া কি ঠিক হবে?
> উপাই নেই চলুন। পরেরবার ব্যবস্থা করেই আসবো।
> হুম
জুবায়ের হতাশ হয়ে অধরাকে নিয়ে বেরিয়ে আসলো পাতালের কক্ষ থেকে। সুড়ঙ্গ থেকে উঠতেই জুবায়ের ওকে কোলে তুলে নিলো। অধরা চোখ বন্ধ করে জুবায়েরের গলা জড়িয়ে ধরলো। এই প্রথমবার জুবায়ের এই কাজে ওর ভালো লাগলো। হাটার জন্য বিন্দু পরিমাণ শক্তি শরীরে অবশিষ্ট নেই। কিভাবে চলছে আল্লাহ ভালো জানে। কক্ষে পৌঁছে জুবায়ের ওকে বিছানায় নামিয়ে দিয়ে নিজেও লম্বা হয়ে শুয়ে পড়লো। ঘনঘন নিশ্বাস নিয়ে বলল,
> সব গুলো ধাঁধার অর্থ কিন্তু প্রায় এক। বেশ জটিল বিষয়। একটু চিন্তা করতে হবে। ঘুমিয়ে যাও আমার সকালে মিটিং আছে। অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্ম ছেলে বউ নিয়ে নিশী চরে বেড়াচ্ছি।
> ফালতু কথাবার্তা কার থেকে শিখেছেন শুনি? চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়ুন। শুভরাত্রী।
***********
মানুষের জীবনে প্রেমে পড়ে। কখনও মানুষের উপরে কখনও পশুপাখি আবার কখনও প্রাকৃতির উপরে। আর বতর্মানের প্রেম বলতে সময় কাটানো সঙ্গীকে বোঝাই। ভালো না লাগলে সঙ্গী চেঞ্জ করা যায় অহরহ।আর ভালোবাসা বলতে শুধুমাত্র কাজের মানুষগুলোকে বোঝাই। স্বার্থ ছাড়া পরকে আপন করার মতো মন সকলের থাকে না। পৃথিবীর সবাই স্বার্থপর। কথাগুলো একমনে ভেবে চলেছে আদি। জীবন মানে চাকচিক্যপূর্ণ চলাফেরা আর গর্ভ করার মতো জীবন সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানো। লোকজন দেখবে আর জ্বলবে গসিপ করবে তবেই তো প্রকৃত সুখ অনুভব হবে? যখন দেখেছিল ঐশ্বর্য বড় লোকের অত্যধিক আধুনিকা আর সুন্দরী মেয়ে অমনি ওর মনে ভালোলাগা তৈরী হয়েছিল। তাছাড়া ঐশ্বর্যের জন্য আদির বন্ধুরা ওকে বেশ তোয়াজ করে চলে। এখন যদি সবাই জানে মেয়েটা সুলতান পরিবারের কেউ না তখন ওরা কি বলবে? লোক লজ্জার বিষয় আছে। সেখানে যদি কহিনুর ওর বউ হিসেবে আসে তাহলে সব দিক থেকেই ওর জিত থাকবে। একদিকে কহিনুরের চোখ ধাধানো রূপ অন্যদিকে সুলতান পরিবারের ধনসম্পত্তি। কি নেই ওই পরিবারের কাছে? মান সম্মান টাকা সব আছে। তাহলে ও কেনো ঐশ্বর্যের মতো ছিন্নমূল মেয়ের সঙ্গে জীবন জড়াবে?আদি এমন বোকামি জীবনে করবে না। কথাটা ভেবেই ও নিজের বাহুতে বাহবা দিলো। সুযোগ বুঝে যে বাড়িতে কথাটা বলতে পেরেছে এটাইতো অনেক। বেশ রাত হয়েছে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে কফির মগে চুমুক দিতে গিয়ে ও থমকে গেলো। মনে হচ্ছে ছাদ থেকে কিসের আওয়াজ আসছে। নুপুরের শব্দ নাকি কারো চুড়ির রুমঝুম আওয়াজ? কৌতূহলী হয়ে ও ছাদের দিকে পা বাড়ালো। বাড়িতে সকলে ঘুমিয়ে গেছে। উপরে উঠতে ওর খুব বেশি হলেও পাঁচ মিনিট সময় লাগলো। ও যতই উপরে উঠছিলো ততই শব্দটা বাড়ছিল কিন্তু উপরে এসে ও হতোবাক, কারণ এখানে কেউ নেই। ছাঁদের পশ্চিম দিকে সুবিশাল বাশ বাগান তার পা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে শতবছরের পুরাতন একটা বটগাছ। সেখানেই বসে নিশাচর প্রাণি পেচা মনের সুখে ডাকছে। মাঝরাতে পেচার ডাকটা ওর কাছে কেমন ভূতের ডাকের মতো বিদঘুটে শোনালো। আকাশে অর্ধ চাঁদটা আজ মনে হচ্ছে একটু বেশি আলো দিচ্ছে। ঝকমকে জোছনার আলোতে সবটা খুব পরিস্কার না দেখা গেলেও কিছুটা বোঝা যাচ্ছে। ছাদে থাকাটা কেমন অস্বস্তিকর লাগছে দেখে ও ফিরে আসার জন্য যেই পেছন ফিরলো আর ওমনি একটা মেয়ে ওর গলা চেপে ধরলো। আদি চমকে উঠলো। মেয়েটার মুখ পুরোপুরি ওড়না দিয়ে ঘোমটা দেওয়া। আদি নিজের সর্বশক্তি দিয়ে মেয়েটাকে সরানোর চেষ্টা করলো কিন্তু হলো না। এই মেয়ের শক্তির কাছে ও নেহায়েত শিশু। ওর গলা টিপে মেয়েটা ওকে শূণ্যের উপরে উঠিয়ে নিলো। পা ছোড়াছুড়ি করে আদি ক্লান্ত। নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। ওর মনে হলো মেয়েটা ওকে মেরেই তবে দম নিবে। কি শত্রুতা এই মেয়েটার সঙ্গে ওর? আদির এমন লাফালাফি ছুটাছুটির পরেও মেয়েটা অনড়। মনে মনে হয়তো প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আদির শেষ দেখে তবে ওর দম। কিন্তু এমন কিছুই হলো না। ওকে আরেক দফায় চমকে দিয়ে মেয়েটা ওকে ছেড়ে দিলো আর ও ফ্লরের উপরে ধপাস করে আছড়ে পড়ল। কোমরের হাড় মটমট করে উঠলো সঙ্গে গলাই ব্যাথা। আদির কথা বলার মতো সাহস নেই আওয়াজ বের হচ্ছে না। ও শুধুমাত্র দেখলো। মেয়েটা ওর থেকে সামান্য দূরে দাঁড়িয়ে আছে। গায়ে পুরাতন ডিজাইনের সাদা লেহেঙ্গা। মনে হচ্ছে কোনো আগেকার দিনের রাজকুমারী। মেয়েটার ডান হাতে ঝকঝক করছে ধারালো খ*ঞ্জ*র। আদি ভূতের ভয় পেতো না তবে আজ পাচ্ছে। মেয়েটা একপা দুপা করে ওর দিকে এগিয়ে এসে শব্দ করে হেসে উঠলো। সেই হাসির শব্দটা আরও দীর্ঘ সূচালু হয়ে আদি কর্ণকুণ্ডলে প্রবেশ করলো। শব্দের তেজ সহ্য করতে না পেরে আদি জ্ঞান হারালো। তখন জ্ঞান ফিরলো তখন ও নিজেকে হাসপাতালের বিছানায় আবিস্কার করলো। মনে হলো ভয়ংকর কোনো স্বপ্ন দেখছে। আদিকে চোখ খুঁলতে দেখে মিঠি পাশ থেকে কেঁদে উঠে বলল,
> ভাইয়া তুমি ঠিক আছো? এরকম কেনো করলে? চিঠি লিখে তুমি বেলকনি থেকে লাফ দিয়ে দিলে? একদম কাজটা তুমি ঠিক করোনি। মম আর পাপা তোমার আর ঐশ্বর্যের বিয়ের ডেট আজকেই ঠিক করে ফেলবে চিন্তা করো না।

মিঠি একদমে কথাগুলো বলে থামলো। ওর বলা কথাগুলো আদির মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। কিসের বিয়ে, কিসের সুই*সা*ইড, আর কিসের চিঠি? হাজারো চিন্তা ওর মাথায় ঘোরাফেরা করছে কিন্তু এই মূহুর্তে বিয়েটা বন্ধ করা জরুরি ভেবে কথা বলতে চাইলো কিন্তু হলো না। গলা দিয়ে তো কোনো স্বর বের হচ্ছেই না হাত দিয়ে লিখবে সেটাও বন্ধ। ব্যাথাতে হাত নাড়াতে পযর্ন্ত পারছে না। কি হবে এখন? রাগে দুঃখে ওর চোখ ফেঁটে পানি চলে আসলো। এসব করে মেয়েটা কৌশলে ওর জান নেওয়ার চেষ্টা করলো। আদির চোখেমুখে আবারও আতঙ্ক ফুঁটে উঠলো। ভাবলো মেয়েটা কে হতে পারে?
***********
জগিং থেকে ফিরতি পথে বেলালের সঙ্গে দেখা হলো পাথরের। বেলালের চোখেমুখে তখন রাজ্যের ঘুম। গতকাল রাতে বৃষ্টিতে ভিজে ওর অবস্থা টাইট। তাছাড়া বাংলাদেশ এসেছে কয়েক ঘন্টা অতিবাহিত হয়ে গেছে তবুও বাড়ির রাস্তাটা পযর্ন্ত দেখা হলো না। সেই শোকে ওর জ্বর চলে এসেছে। বউ বারবার ফোনে করে ঘ্যানঘ্যান করছে। এদিকে মিলেছে খাড়ুস বস কিভাবে সবটা ম্যানেজ করবে এসব ভেবেই মাথার শক্তপক্ত চুলগুলো বিদায় নেওয়ার পথে। এভাবে চললে বেশি দূরে নেই সেই দিন যেদিন ছেলেমেয়েরা ওর মাথাটা স্টেডিয়াম মাঠ পেয়ে খেলতে চাইবে। এভাবে আর কতদিন? ক্লান্ত শরীর নিয়ে ঘুমিয়ে ছিল কক্সবাজারের অফিস থেকে ফোন এসেছে আজকেই সেখানে গিয়ে উপস্থিত হতে হবে। মিটিং আছে। বসের কক্ষে গিয়ে দেখলো কক্ষ শূন্য মানুষ গায়েব। বুঝতে বাকি নেই লোকটা এখন কোথায় তাইতো ব্রাশ না করেই বসের সন্ধানে বেরিয়ে আসল। পাথর ওর মুখটা এমন কাচুমাচু দেখে ভ্রু নাচিয়ে বলল,
> ঘুম ভালো হয়নি?
বেলাল জোরপূর্বক মুখে মিষ্টি করে হাসি এনে বলল,
> না স্যার ঘুম হয়েছে। আসলে কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়তে হবে।
পাথর ওর কথার গুরুত্ব দিলো না। নিজের মতো কক্ষের দিকে দৌড়াতে দৌড়াতে বলল,
> তুমি বাড়িতে চলে যাও আমি এদিকটা সামনে নিবো। অফিসের কাউকে বলে দাও আমার সঙ্গে থাকার জন্য। ড্যাডকে আমি ম্যানেজ করে নিব।

পাথরের কথা শুনে বেলালের চোখ চকচক করে উঠলো খুশিতে কিন্তু বেশিক্ষণ সেটা থাকলো না। বড় স্যার জানলে ওকে সঙ্গে সঙ্গে বিদায় করবে চাকরি থেকে। তাই ও দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বলল,
> আমি যাবো না স্যার। আপনার সঙ্গেই থাকবো। আপনি রেডি হোন টিকিটের ব্যবস্থা করছি।

পাথর জানে বেলাল ওকে ছেড়ে যাবে না। ওর বাবা প্রচণ্ড চতুর একজন মানুষ। বেলালকে ওর সঙ্গে পাঠানো হয়েছে ওর সম্পর্কে টাইম টু টাইম খবর পাঠানোর জন্য। কথাটা ভেবে ও কক্ষে ঢুকে গেলো।
***
বন্ধুর আসার খবর শুনে মৌসুমী দুদিন টানা শপিং করেছে। সেই সঙ্গে নিজের লুক আর হেয়ারস্টাইল সব চেঞ্জ করিয়েছে। মিষ্টি আর মিঠি ওকে দেখছে আর গবেষণা করছে। মেয়েটার মাথা যে আউলে গেছে বুঝতে বাকি নেই। তবে কে আসছে দেখার জন্য ওরা অধির আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে। আদি হাসপাতালে থাকার দরুন ও এসব থেকে বঞ্চিত হলো। তবে রিয়াদ চিমটি কাঁটতে ছাড়ছে না। বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে একা যেতে ওর কেমন অস্বস্তি অনুভব হচ্ছে ভেবে ভাইবোনদের সঙ্গে নেওয়ার চিন্তা করলো।তবে মিষ্টি বলে দিলো কহিনুরকে ছাড়া ও কিছুতেই যাবে না। মৌসুমী ডালিয়া হকের কাছে ঘুরঘুর করলো কহিনুরকে আনার ব্যবস্থা করে দিতে। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেটা হলো না। কহিনুরের আসার কোনো সুযোগ নেই। ওকে আসতে দেওয়া হলো না। মিষ্টির মুখ ভার হয়ে গেলো।।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here